ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয় কারণ ও প্রতিকার
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে। এটি সাধারণত গলা বা টনসিলের সংক্রমণ, এসিড রিফ্লাক্স, বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। আমরা অনেক সময় এই সমস্যার সম্মুখীন হই। এটি সাধারণত খুব যন্ত্রণাদায়ক হয় এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটায়। গলা ব্যথার কারণগুলো জানলে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারি। এই ব্লগে আমরা ঢোক গিলতে গলা ব্যথার সাধারণ কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। পাশাপাশি কিছু উপায় জানাবো যা এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। তাই আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এই ব্লগটি আপনার জন্য।
গলা ব্যথার কারণ
গলা ব্যথা ঢোক গিলতে হতে পারে সংক্রমণ বা ফ্যারিঞ্জাইটিসের কারণে। এছাড়া, টনসিলের সমস্যা এবং এসিড রিফ্লাক্সও গলা ব্যথার কারণ হতে পারে। গলা ব্যথার প্রধান কারণ হলো বিভিন্ন সংক্রমণ। শীতকালে ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়। ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা হয়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণেও গলা ব্যথা হতে পারে। স্ট্রেপ থ্রোট একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। এছাড়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং মোনোনুক্লিওসিস সংক্রমণেও গলা ব্যথা হয়। এই সব সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।
অ্যালার্জি এবং পরিবেশ পরিবর্তনেও গলা ব্যথা হয়। ধুলোবালি, ফুলের রেণু এবং পশুর লোমে অ্যালার্জি হয়। এই অ্যালার্জিতে গলা ব্যথা হয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় গলা শুকিয়ে যায়। গলা ব্যথা হতে পারে। ধূমপানের ধোঁয়াও গলা ব্যথার কারণ। তাই, পরিষ্কার বাতাসে থাকা ভালো।
বিভিন্ন সংক্রমণ
ভাইরাসের আক্রমণে গলা ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে ফ্লু বা ঠান্ডা লাগলে। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে গলার টিস্যু ফুলে যায়। গিলতে কষ্ট হয়। গলা লাল হয়ে যায়। মাঝে মাঝে জ্বর আসতে পারে। গলা ব্যথা কয়েক দিন থাকে। বিশ্রাম নিলে আরাম পাওয়া যায়। স্ট্রেপ্টোকক্কাল ইনফেকশন গলা ব্যথার কারণ। গলা ফুলে যায়। গিলতে কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে জ্বর আসতে পারে। গলা লাল হয়ে যায়। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ডাক্তার দেখতে হবে। সঠিক চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করা যায়।
ভাইরাল সংক্রমণ
গলা ব্যথা সাধারণ সর্দির একটি সাধারণ উপসর্গ। সর্দির ভাইরাস গলায় সংক্রমণ করে। এতে গলা ফোলা এবং ব্যথা হয়। ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিম খেলে আরও ব্যথা হয়। বিশ্রাম নিলে আরাম পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও গলা ব্যথার কারণ। জ্বর এবং শরীর ব্যথা থাকে। গলা ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। গরম পানি পান করলে স্বস্তি মেলে। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ
স্ট্রেপ থ্রোট একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। এতে গলা লাল হয়। গলা ফুলে যায়। অনেক সময় ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। গলা ব্যথা খুব বেশী হয়। স্ট্রেপ ব্যাকটেরিয়া থেকে এই রোগ হয়। টনসিলাইটিস হলে গলা খুব ব্যথা করে। ঢোক গিলতে সমস্যা হয়। টনসিল ফুলে যায়। এই রোগে জ্বর হতে পারে। টনসিলের চারপাশ লাল হয়। কখনো কখনো সাদা দাগ দেখা যায়।
অ্যালার্জি ও পরিবেশ
বায়ুর ধুলাবালি ও দূষণ গলায় ব্যথার কারণ হতে পারে। ধুলাবালি শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। গলা শুকিয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা বাড়তে পারে। দূষিত বায়ু শ্বাসের সাথে গলায় প্রবেশ করে সমস্যা করে। তাই পরিষ্কার ও পরিবেশবান্ধব স্থানে থাকা জরুরি। কিছু খাদ্য ও পানীয় অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। দুধ, ডিম বা সামুদ্রিক খাবার গলা ব্যথা বাড়াতে পারে। ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম গলার ব্যথা বাড়াতে পারে। তাই সচেতন হয়ে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা উচিত।
ধুলাবালি ও দূষণ
ধুলাবালি ও দূষণ আমাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে। এটি গলায় প্রদাহ সৃষ্টি করে। পরিষ্কার বাতাস না পেলে সমস্যা বাড়ে। ধুলার কণা গলায় জ্বালা করে। গলা শুকিয়ে যায়। এর ফলে গলা ব্যথা হয়। ধুলা বা পোলেন থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জি গলায় স্ফীতি সৃষ্টি করে। এতে গলা ব্যথা বাড়ে। অ্যালার্জিজনিত কাশি এবং হাঁচিও হতে পারে। অ্যালার্জি নাক ও গলাতে সংক্রমণ ঘটায়। এজন্য গলা ব্যথা হয়।
খাদ্য ও পানীয়
মশলাযুক্ত খাবার গলা ব্যথার কারণ হতে পারে। মশলার ঝাঁজ গলায় জ্বালা করে। এটি ঢোক গিলতে কষ্ট বাড়ায়। মশলা খাবার পর প্রচুর পানি পান করা উচিত। এটি গলার জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানীয় গলা ব্যথা বাড়ায়। ঠান্ডা পানীয় গলার শ্লেষ্মা কঠিন করে তোলে। এতে ঢোক গিলতে কষ্ট হয়। ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এর পরিবর্তে হালকা গরম পানি পান করা ভালো। এটি গলা শান্ত করে।
প্রাথমিক প্রতিকার
গলা ব্যথা হলে লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা খুবই উপকারী। লবণ পানি ব্যাকটেরিয়া মারে এবং গলার ব্যথা কমায়। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর দিনে তিন থেকে চার বার গার্গল করুন। গরম পানীয় গলার আরাম দেয়। গরম চা, মধু মেশানো পানি বা গরম স্যুপ পান করুন। এই ধরনের পানীয় গলার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানি পান করাও ভালো। তবে বেশি গরম পানীয় এড়িয়ে চলুন।
গার্গল করা
লবণ পানিতে গার্গল করলে গলা ব্যথা কমে। লবণ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। লবণ পানি তৈরির জন্য এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে আধা চামচ লবণ মেশান। এই মিশ্রণ দিয়ে দিনে কয়েকবার গার্গল করুন। এটি গলার অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। গার্গলের জন্য হালকা অ্যান্টিসেপটিকও ব্যবহার করা যেতে পারে। ফার্মেসি থেকে পাওয়া যায়। এটি গলা পরিষ্কার রাখে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ব্যবহার করার আগে নির্দেশিকা পড়ুন। কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
গরম পানীয়
ভেষজ চা গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তুলসী, আদা এবং পুদিনা দিয়ে তৈরি চা খুবই উপকারী। এই চা গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করলে গলার ব্যথা কমে। ভেষজ চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরম পানির সাথে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করলে গলা ব্যথা কমে। মধু গলার ব্যথা ও খুসখুসে ভাব দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই মিশ্রণটি প্রাকৃতিক ও কার্যকর।
ওষুধ ও চিকিৎসা
গলায় ব্যথা ঢোক গিলতে হতে পারে সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, এলার্জি বা শুষ্কতা এটি সৃষ্টি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, দ্রুত আরোগ্যের জন্য। গলা ব্যথা কমাতে পেইন কিলার ওষুধ কার্যকর। এই ওষুধগুলি ব্যথা কমায় এবং আরাম দেয়। যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন। সাধারণত, ডাক্তারের পরামর্শে এই ওষুধ খাওয়া উচিত। বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। কখনও কখনও গলা ব্যথা অন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নিরাময় করে।
গলা ব্যথার কারণ যদি ব্যাকটেরিয়া হয়, এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন। ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা উচিত। ডাক্তারের নির্দেশ অনুসারে পুরো কোর্স শেষ করতে হবে। অন্যথায় সমস্যা বাড়তে পারে। এন্টিবায়োটিক সবসময় প্রয়োজন হয় না। ভাইরাস সংক্রমণে এটি কার্যকর নয়।
পেইন কিলার
প্যারাসিটামল গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি নিরাপদ এবং সহজলভ্য। প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু উভয়ের জন্য উপযুক্ত। তবে ডোজ অনুযায়ী খেতে হবে। অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ইবুপ্রোফেন প্রদাহ এবং ব্যথা কমায়। এটি গলা ব্যথা থেকে আরাম দেয়। এটি খাবারের পর নিতে হবে। অতিরিক্ত ইবুপ্রোফেন খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে খাওয়া উচিত।
এন্টিবায়োটিক
গলা ব্যথা হলে অনেক সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। তবে সব সময় এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় না। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে এন্টিবায়োটিক দরকার হয়। ভাইরাসের কারণে গলা ব্যথা হলে এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। তাই এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। গলা ব্যথা হলে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার সঠিক পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হলে ডাক্তারই তা নির্ধারণ করবেন। নিজে নিজে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সব সময় ডাক্তারকে জানানোর পরই ওষুধ নিন।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
গলা ব্যথা এড়াতে হাইজিন মেনে চলা খুবই জরুরি। হাত নিয়মিত ধুতে হবে। খাবার আগে ও পরে হাত ধোয়া উচিৎ। পরিষ্কার পানি ব্যবহার করা জরুরি। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। মাস্ক ব্যবহার করুন। গলা ব্যথা প্রতিরোধে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ। প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া ভাল। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। প্রতিদিন পানি বেশি করে খেতে হবে।
হাইজিন মেনে চলা
প্রতিদিন ভালোভাবে হাত ধোয়া খুব জরুরি। সঠিকভাবে হাত ধুলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস কমে। খাবার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধোয়া উচিত। পরিষ্কার পানি ও সাবান ব্যবহার করতে হবে। সাবান না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। মাস্ক পরা আমাদের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক ভাইরাস ও জীবাণু থেকে রক্ষা করে। জনসমাগমে গেলে মাস্ক পরতে হবে। সঠিকভাবে মাস্ক পরা শিখতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের পর ভালোভাবে ধুতে হবে। একবার ব্যবহার করা মাস্ক ফেলে দিতে হবে।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সুষম খাদ্য খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন ফল, শাকসবজি, প্রোটিন এবং শস্য খান। ভিটামিন সি এবং ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত দুধ এবং ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে। পানি পান করাও খুব দরকারি। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে শক্তিশালী করে। ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে। হাঁটা, দৌড়ানো এবং যোগব্যায়াম ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ব্যায়াম করলে মনও ভালো থাকে।
গলা ব্যথার ঝুঁকি
ধূমপান গলা ব্যথার প্রধান কারণ। সিগারেটের ধোঁয়া গলা শুষ্ক করে। গলার টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূমপানের ফলে গলা সংক্রমণ হতে পারে। গলা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। ধূমপান ত্যাগ করা জরুরি। অতিরিক্ত চিৎকার গলা ব্যথার কারণ। গলার টিস্যুতে চাপ পড়ে। শুষ্কতা এবং ব্যথা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশ্রাম প্রয়োজন। অনেক পানি পান করতে হবে। উচ্চ স্বরে কথা বলা এড়িয়ে চলা উচিত।
ধূমপান
ধূমপান গলার টিস্যু নষ্ট করে। এর ফলে গলা ব্যথা হয়। সিগারেটের ধোঁয়া শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে। এতে শ্বাসনালির সংক্রমণ ঘটতে পারে। ধূমপানে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। এছাড়াও, ধূমপান গলার টিস্যুতে জ্বালা সৃষ্টি করে। এই কারণেও গলা ব্যথা হতে পারে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে ধূমপান বন্ধ করা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এটি শ্বাসযন্ত্রের শক্তি বাড়ায়। গলা ব্যথা কমাতে গরম পানি পান করুন। হালকা খাবার গ্রহণ করুন। এতে গলা আরাম পাবে। ধূমপান বন্ধ করতে পরামর্শকের সাহায্য নিতে পারেন।
অতিরিক্ত চিৎকার
অতিরিক্ত চিৎকার করলে গলা ব্যথা হতে পারে। গলার শরীরের টিস্যু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গলার শিরা ও পেশী আঁটসাঁট হয়ে যায়। ফলে, ঢোক গিলতে ব্যথা হয়। শীতল পানীয় পান করলে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। চিৎকার কমাতে চেষ্টা করুন। গলা ভিজিয়ে রাখুন। গরম পানি পান করুন। ভিটামিন সি গ্রহণ করুন। গার্গল করুন লবণ পানিতে। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। বিশ্রাম নিন পর্যাপ্ত। গলা পরিষ্কার রাখুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ
গলা ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। যদি ঢোক গিলতে খুব কষ্ট হয়, তাহলে দেরি করবেন না। জ্বর বা গলায় ফোলা থাকলে অবশ্যই দেখাবেন। বাচ্চাদের গলা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক গলা পরীক্ষা করতে পারেন। রক্ত পরীক্ষা বা গলা শ্লেষ্মা পরীক্ষা করতে হতে পারে। এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান ও প্রয়োজন হতে পারে। এসব পরীক্ষা সঠিক কারণ জানার জন্য জরুরি।
FAQ
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়?
গলা ব্যথার সাধারণ কারণ হল সংক্রমণ, ঠাণ্ডা বা গলার প্রদাহ।
গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত?
গরম পানি পান করুন, বেড রেস্ট নিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঢোক গিলতে ব্যথা কি বিপজ্জনক?
প্রথমে নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোন খাবার গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে?
গরম স্যুপ, মধু ও আদা চা।
গলা ব্যথার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা কী?
লবণ পানিতে গার্গল করুন, গরম পানীয় পান করুন।
গলা ব্যথা কি ঠাণ্ডা বা ফ্লুর লক্ষণ?
হ্যাঁ, এটি ঠাণ্ডা বা ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ।
গলা ব্যথা হলে কোন ডাক্তার দেখানো উচিত?
ইএনটি বিশেষজ্ঞ বা সাধারণ চিকিৎসক।
ঢোক গিলতে ব্যথা কমানোর উপায় কি?
গরম পানীয় পান করুন, বিশ্রাম নিন এবং লবণ পানিতে গার্গল করুন।
শিশুর গলা ব্যথা হলে কি করবেন?
ডাক্তারকে দেখান এবং গরম পানীয় দিন।
গলা ব্যথার সময় কোন খাবার এড়ানো উচিত?
মশলাদার এবং ঠাণ্ডা খাবার।
লেখক এর মন্তব্য
ঢোক গিলতে গলা ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হলো গলার সংক্রমণ, এলার্জি, বা গলা শুষ্ক হওয়া। এই সমস্যা সাধারণত সাময়িক হলেও, যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।