ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে। কিন্তু কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে গোসল করলে সতর্ক থাকা জরুরি।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে: জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত

গোসলের সময় জ্বর বাড়তে পারে, তাই হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া, দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করা উচিত নয়। দ্রুত গোসল সেরে ফেলা ভালো। এতে শরীর ঠান্ডা হতে পারবে না। ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। তাই গোসল অবশ্যই করা উচিত, তবে সতর্কতার সাথে। ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই গোসলের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। এছাড়া, গোসলের পর ভালোভাবে শরীর শুকিয়ে নেয়া উচিত। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং জ্বরের কষ্ট কমবে। সঠিকভাবে গোসল করলে ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকবে এবং সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি: ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হতে পারে। জ্বরের পাশাপাশি প্রচণ্ড মাথাব্যথা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে, জ্বরের সাথে খিঁচুনি হতে পারে।

মাংসপেশির ব্যথা: ডেঙ্গু জ্বরে মাংসপেশির ব্যথা খুবই সাধারণ। এ ব্যথা হাত, পা এবং পিঠে বেশি হয়। অনেক সময় মাংসপেশি এতটাই ব্যথা করে যে হাঁটা বা চলাফেরা কঠিন হয়ে যায়। এই ব্যথা সাধারণত ৭-১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু জ্বরের কারণ

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে। তবে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এটি সহায়ক।

মশার কামড়

ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান কারণ হলো মশার কামড়। মশা ভাইরাস বহন করে। কামড় দিলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এই ভাইরাস রক্তে প্রবাহিত হয়। ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

ভাইরাস সংক্রমণ

ডেঙ্গু ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়ায়। ভাইরাস সংক্রমণ হলে জ্বর, ব্যথা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। এ কারণে ডেঙ্গু জ্বর হয়।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। জ্বর থাকলে গরম পানিতে গোসল না করাই ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুব জরুরি। শরীরের অবস্থা দুর্বল হয়ে যায়। তাই বিশ্রাম শরীরকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। কাজের চাপ এড়িয়ে চলা উচিত। বেশি মাত্রায় শারীরিক পরিশ্রম করা ঠিক নয়।

পানীয় তরল গ্রহণ

ডেঙ্গু জ্বরে প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। এতে শরীরের পানির অভাব পূরণ হয়। ফলের রস, স্যুপ এবং তরল খাবার গ্রহণ করা উচিত। ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় খাওয়া ভালো। ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পেতে পানীয় গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গু জ্বর এবং গোসলের সম্পর্ক

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। গোসল করলে শরীর ঠান্ডা হয়। এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা ভালো। গরম পানি এড়িয়ে চলুন। ডেঙ্গু জ্বরে শরীর দুর্বল থাকে। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করা উচিত। গোসলের পর ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।

গোসলের উপকারিতা

শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস: ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। একটু ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে তাপমাত্রা কমতে পারে। এতে আরাম পাওয়া যায়।

শরীরের ময়লা দূর: গোসল শরীরের ময়লা দূর করে। এ সময় শরীর পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। এটি বিভিন্ন জীবাণু থেকে রক্ষা করে।

ডেঙ্গু জ্বরে গোসলের সময় সতর্কতা

ডেঙ্গু জ্বরে ঠান্ডা পানি ব্যবহার বেশ উপকারী। ঠান্ডা পানি শরীর ঠান্ডা রাখে। জ্বর কমাতে সাহায্য করে। তবে পানি খুব বেশি ঠান্ডা হওয়া উচিত নয়। হালকা ঠান্ডা পানি উপযুক্ত। ডেঙ্গু জ্বরে বেশি সময় গোসল করা উচিত নয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। অল্প সময়ের গোসল ভালো। সাবধানে গোসল করলে শরীর সতেজ থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর হলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা উচিৎ। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে এই পদ্ধতি কার্যকর। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, এটি শরীরের তাপমাত্রা আরো কমিয়ে দিতে পারে। গোসলের সময় বেশি সময় নেওয়া যাবে না। অল্প সময় ধরে গোসল করতে হবে। ভেজা শরীরে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। শুকনো তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকে।

গোসলের বিকল্প পদ্ধতি

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। ডেঙ্গু জ্বরে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল না করাই ভালো। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে।

সাধারণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিন মুখ, হাত, পা ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার পোশাক পরুন। বিছানা ও আশেপাশের স্থান পরিষ্কার রাখুন। ব্যবহৃত কাপড় ও বিছানার চাদর নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন। এভাবে পরিষ্কার থাকলে ডেঙ্গু জ্বর কমাতে সাহায্য হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে গোসলের নিয়ম

ডেঙ্গু জ্বর হলে শিশুদের গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। ঠান্ডা পানি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এতে অসুস্থ শিশুর কষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তাই, গরম পানি ব্যবহার করা নিরাপদ।

ঠান্ডা পানি ব্যবহার

ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা উচিত নয়। এতে শিশুর শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। তাপমাত্রা কমে গেলে অসুস্থতা বাড়তে পারে। তাই, গরম পানি ব্যবহার করা উচিত।

অল্প সময় গোসল

ডেঙ্গু জ্বর হলে অল্প সময় গোসল করানো উচিত। দীর্ঘ সময় গোসল করা শিশুর শরীর দুর্বল করে দিতে পারে। তাই, ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে গোসল শেষ করা ভালো।

বয়স্কদের জন্য গোসলের নির্দেশনা

ডেঙ্গু জ্বরে গোসল করা যেতে পারে। তবে কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে। পানি যেন বেশি ঠান্ডা না হয়। গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। গোসলের সময় দীর্ঘক্ষণ না থাকাই ভালো। দ্রুত গোসল শেষ করা উচিত। গোসলের পর ভালোভাবে শুকাতে হবে। ভেজা শরীরের উপর চাপ না পড়ে যেন।

ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। গরম পানি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করাই ভালো। এটি শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরম পানিতে গোসল করা উচিত। এভাবে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

গর্ভবতী নারীদের গোসলের নিয়ম

গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় গোসল করবেন না। এটি ক্লান্তি আনতে পারে। পানি পরিষ্কার এবং নিরাপদ হওয়া উচিত। ক্লিনার ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন। ক্লিনারগুলি কেমিক্যাল মুক্ত হতে হবে। পা পিছলে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সাবধানে গোসল করুন।

গোসল করার সময় কিছু স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। হালকা পানি ব্যবহার করুন। আস্তে আস্তে গোসল করুন। প্রচুর পানি পান করুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। নিয়মিত গোসল করুন। এটি শরীরকে পরিষ্কার এবং সতেজ রাখে। অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। এটি ত্বক শুষ্ক করতে পারে। মৃদু সাবান ব্যবহার করুন।

ডেঙ্গু জ্বরের সময় খাদ্যাভ্যাস

ডেঙ্গু জ্বরের সময় পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া খুব জরুরি। পুষ্টিকর খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফল, শাকসবজি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কম তেল এবং মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে। শরীরের জলীয় অংশের অভাব পূরণ হয়। তাজা ফলের রস খাওয়া ভালো। লেবুর রস, ডাবের পানি, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) খেতে হবে। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।

পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা

শরীরের পুনরুদ্ধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডেঙ্গু জ্বরের সময়। বিশ্রাম শরীরকে শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। বিশ্রাম ছাড়া শরীর সহজে রোগমুক্ত হতে পারে না। শরীরের ভিতরের কোষগুলির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বিশ্রাম বড় ভূমিকা রাখে। বেশি বিশ্রাম নিলে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়। শরীর যখন বিশ্রাম পায়, তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু জ্বরের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই জরুরি। বিশ্রাম শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ফলে শরীর সহজে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। বেশি বিশ্রাম নিলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে, তবে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।

মশার নিয়ন্ত্রণ

মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু ছড়ায়। তাই মশার নিয়ন্ত্রণ জরুরি। মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করতে হবে। পানির পাত্র ঢেকে রাখা উচিত। মশার নিধন স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। মশারি ব্যবহার করা ভালো। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জলাবদ্ধতা এড়াতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির ভিতরে ও বাইরে পরিষ্কার রাখতে হবে। জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে হবে। ফুলের টব, কুলার ও অন্যান্য পাত্র পরিষ্কার রাখা উচিত। বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

ডেঙ্গু জ্বরে মানসিক স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু জ্বরে মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে তবে ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করাই ভালো। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিত।

মনোবল বৃদ্ধি

ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় মনোবল ধরে রাখা খুব জরুরি। নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। এই আস্থা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ইতিবাচক চিন্তা শক্তি দেয়। ছোট ছোট কাজ করতে চেষ্টা করুন। এতে মনোবল বাড়ে। মনের শান্তি বজায় রাখতে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। তবে বেশি ক্লান্ত করবেন না।

পরিবারের সমর্থন

পরিবারের সমর্থন সবচেয়ে বড় শক্তি। পরিবারের লোকদের পাশে থাকুন। তাদের সঙ্গে গল্প করুন। এতে মন ভালো থাকে। পরিবারের সদস্যরা সাহায্য করুক। তারা আপনার যত্ন নিক। তাদের সমর্থন আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

ডেঙ্গু জ্বরের সময় হাইড্রেশন

ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখা জরুরি। ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে, তবে গরম পানি পরিহার করা উচিত। ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।

পানীয় জল

ডেঙ্গু জ্বরে প্রচুর পানি পান করা জরুরি। জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

ফলমূলের রস

ফলমূলের রস পান করুন। এতে ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়। এটি শরীরের শক্তি বাড়ায়। তাজা ফলের রস বেশি কার্যকর। প্যাকেটজাত রস এড়িয়ে চলুন। এতে চিনি বেশি থাকে।

ডেঙ্গু জ্বরে ওষুধের ব্যবহার

ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত প্যারাসিটামল ব্যবহৃত হয়। এটি জ্বর এবং ব্যথা কমায়। এসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ওষুধগুলো রক্তক্ষরণ বাড়াতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না। ডেঙ্গু হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার আপনার জন্য সঠিক ওষুধ এবং চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন। নিজের ইচ্ছায় ওষুধ পরিবর্তন করবেন না। পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং বিশ্রাম নিন।

ডেঙ্গু জ্বরের সময় সঠিক পোশাক

ডেঙ্গু জ্বরে গা গরম থাকলে হালকা গরম পানিতে গোসল করা যেতে পারে। আরামদায়ক ও হালকা পোশাক পরা উচিত।

সুতির পোশাক

ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতির পোশাক শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়ক। এটি ত্বক শ্বাস নিতে পারে। এ ধরনের পোশাক পরলে আরামদায়ক অনুভূতি হয়। গরমে শরীর কম ঘামে। ফলে জ্বরের সময় আরাম পাওয়া যায়।

হালকা রংয়ের পোশাক

ডেঙ্গু জ্বরের সময় হালকা রংয়ের পোশাক পরা ভালো। গাঢ় রংয়ের পোশাক বেশি তাপ শোষণ করে। হালকা রংয়ের পোশাক তাপ কম শোষণ করে। ফলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। আরামদায়ক বোধ হয়।

ডেঙ্গু জ্বরের সময় ব্যায়াম

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই খুব হালকা ব্যায়াম করতে হবে। হাঁটা বা হালকা স্ট্রেচিং ভালো। ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে দ্রুত আরোগ্য লাভ হয়। ডেঙ্গু জ্বর হলে বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে বিশ্রাম দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে। এতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

ডেঙ্গু জ্বরের পরবর্তী যত্ন

ডেঙ্গু জ্বরের পর শরীর দুর্বল হয়। বিশ্রাম খুব জরুরি। প্রচুর পানি পান করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরের শক্তি ফিরে আসবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্লেটলেটের মাত্রা দেখতে হবে। জ্বর পুরোপুরি সেরে গেছে কিনা নিশ্চিত করতে হবে।

FAQ

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি?

ডেঙ্গু জ্বর হলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে গোসল করলে কি ক্ষতি হবে?

না, হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ক্ষতি হবে না।

ডেঙ্গু জ্বরে কিভাবে গোসল করা উচিত?

ডেঙ্গু জ্বরে হালকা গরম পানি ব্যবহার করে দ্রুত গোসল করা উচিত।

ডেঙ্গু জ্বরে দিনে কয়বার গোসল করা যাবে?

ডেঙ্গু জ্বরে দিনে একবার গোসল যথেষ্ট।

ডেঙ্গু জ্বরে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যাবে কি?

না, ডেঙ্গু জ্বরে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা উচিত নয়।

ডেঙ্গু জ্বরে গোসল করলে কি তাপমাত্রা বাড়বে?

না, হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে তাপমাত্রা বাড়বে না।

ডেঙ্গু জ্বরে কোন সময় গোসল করা ভালো?

সকালে বা বিকালে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করা ভালো।

ডেঙ্গু জ্বরে গোসলের সময় কি সাবান ব্যবহার করা যাবে?

হালকা সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে গোসলের পর কি করা উচিত?

গোসলের পর বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

ডেঙ্গু জ্বরে গোসলের সময় কি সাবধানতা নিতে হবে?

হালকা গরম পানি ব্যবহার এবং দ্রুত গোসল করা উচিত।

লেখক এর মন্তব্য 

ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কিনা, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই বিভ্রান্তি রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীর পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে অত্যধিক ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলা ভালো। হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আরামদায়ক অনুভূতি পাবেন। সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাদের নির্দেশনা মেনে চলুন। শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন