ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা দেয় ২০২৪

ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও হতে ১ - ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ টাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে অনেক বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত উপার্জন হবে এক ভিডিও থেকে।

ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড়  ভিডিও  স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা দেয় ২০২৪

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ইউটিউবে কন্টেন্ট পোস্ট করে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় শুরু করতে চাইলে ভিডিও আয় সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা উচিত। ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসাবে দেখা হয়।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও হতে ১ - ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ টাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে অনেক বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত উপার্জন হবে এক ভিডিও থেকে।

শুরুর দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। ইউটিউবে ভিডিওর ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত আয় করা যাবে, তা প্রভাবিত করে এমন কিছু প্রধান কারণ

আরো পড়ুন: ইউটুব চ্যানেল এর অফিসিয়াল নাম

অ্যাডভার্টাইজিং রেট (CPM) : প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন, তা সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন- ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ভিউয়ারদের লোকেশন : CPM এবং CTR একেক দেশে এক এক রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলিতে CPM এবং CTR বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।

ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) : ভিডিওতে দর্শানো বিজ্ঞাপনগুলোর ওপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। CTR যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে।

ভিডিও-র বিষয়বস্তু : ফিনান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো বেশ কিছু বিষয়ের উচ্চতর CPM এবং CTR থাকে। যার ফলে উপার্জনও হয় বেশি। ভিডিওর দৈর্ঘ্য : ভিডিওগুলি যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে আয়ও হয় বেশি।

ইউটিউব প্রিমিয়াম : ভিউয়াররা যদি ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য হন, তাহলে তারা যে ভিডিওগুলো দেখেন, সেগুলো মনিটাইজ করা যেতে পারে।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ : নিজের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত করে অথবা স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করেও উপার্জন করা যেতে পারে।

ইউটিউব-এ ১ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করার প্রক্রিয়াটি : YouTube Partner Program (YPP)-তে যোগ দিতে হবে। এটি ইউটিউবের মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম। যা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে নিজের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখাতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম করে।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা YPP-তে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিয়েটরদের কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকা আবশ্যক।

আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সক্ষম করুন : একবার YPP-তে যোগ দিলে ক্রিয়েটররা নিজেদের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন এনেবল করতে পারবেন। এমনকী তিনি কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দর্শাতে চাইছেন, সেটাও বেছে নিতে পারেন।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা দর্শকদের আকর্ষণ করুন : যত বেশি মানুষ ভিডিও দেখবে, তত বেশি অর্থ উপার্জন হবে। নিজের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ক্রিয়েটরদের উচ্চ-মানের ভিডিও তৈরি এবং প্রোমোট করতে হবে।

নিজের উপার্জন ট্র্যাক করার উপায় : YouTube Analytics ব্যবহার করে নিজের উপার্জন ট্র্যাক করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ক্রিয়েটর দেখতে পাবেন যে, তার ভিডিওগুলো কতটা ভালো পারফর্ম করছে এবং তিনি কত টাকা উপার্জন করছেন। 

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউটিউবে ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ উপার্জন করা সহজ নয়। সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম, ডেডিকেশন এবং সৃজনশীলতার প্রয়োজন হবে।

ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন। একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, 

সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর। তবে ভিডিওটি কত দর্শক দেখেছেন সেটিই মূলত একটি ভিডিওকে বিচারের অন্যতম মানদণ্ড।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা প্রথম দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন: ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ২০২৪

ভিডিওর দৈর্ঘ্য : ভিডিওগুলি যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে উপার্জনও হয় বেশি। ইউটিউব প্রিমিয়াম : ভিউয়াররা যদি ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য হন, তাহলে তারা যে ভিডিওগুলো দেখেন, সেগুলো মনিটাইজ করা যেতে পারে।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ : নিজের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত করে অথবা স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করেও উপার্জন করা যেতে পারে।

ইউটিউব-এ ১ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করার প্রক্রিয়াটি : YouTube Partner Program (YPP)-তে যোগ দিতে হবে। এটি ইউটিউবের মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম। 

যা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে নিজের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখাতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম করে। YPP-তে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিয়েটরদের কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকা আবশ্যক।

আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সক্ষম করুন : একবার YPP-তে যোগ দিলে ক্রিয়েটররা নিজেদের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন এনেবল করতে পারবেন। এমনকী তিনি কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দর্শাতে চাইছেন, সেটাও বেছে নিতে পারেন।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা দর্শকদের আকর্ষণ করুন : যত বেশি মানুষ ভিডিও দেখবে, তত বেশি অর্থ উপার্জন হবে। নিজের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ক্রিয়েটরদের উচ্চ-মানের ভিডিও তৈরি এবং প্রোমোট করতে হবে।


নিজের উপার্জন ট্র্যাক করার উপায় : YouTube Analytics ব্যবহার করে নিজের উপার্জন ট্র্যাক করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ক্রিয়েটর দেখতে পাবেন যে, তার ভিডিওগুলো কতটা ভালো পারফর্ম করছে এবং তিনি কত টাকা উপার্জন করছেন। 

এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউটিউবে ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ উপার্জন করা সহজ নয়। সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম, ডেডিকেশন এবং সৃজনশীলতার প্রয়োজন হবে।

ইউটিউবের ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত টাকা আয় হয়

প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ঘরে বসেই হাতে থাকা ফোনে সব খবর পাচ্ছেন, দূর-দুরান্তে যোগাযোগ করতে পারছেন। যে কোনো দেশের নাটক সিনেমা স্মার্টফোনেই দেখে নিতে পারছেন। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।

সারাক্ষণ কোনো না কোনো সিরিজ, নাটক, সিনেমা বা গানে বিনোদন নিচ্ছেন ইউটিউবে। আবার অনেকে এই সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা।

তবে ইউটিউবে কত ভিউ হলে কত আয় হয়, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই। অনেক ভিডিওতে দেখবেন ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ থাকে। জানেন কি, ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?

আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল খোলে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি ২০২৪

ইউটিউবে কন্টেন্ট পোস্ট করে ভালো অর্থ উপার্জন শুরু করতে চাইলে ভিডিও উপার্জন সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়। প্রথম দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা মূলত কোনো একটি ভিডিওর ভিউ অন্তত এক হাজার হলে তবেই তা থেকে টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি অন্তত এক হাজার জন দেখলে তবেই সেই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও থেকে ১-২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৭- ২ হাজার ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে আরও বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হবে এক ভিডিও থেকে।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা আসল কথা হচ্ছে একেক জন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের আয় একেক রকম। ১ মিলিয়ন ভিউ হলে সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কত আয় হবে তা নির্ভর করবে তার চ্যানেলের পূর্ববর্তী হিস্ট্রির উপর। অর্থাৎ মনিটাইজেশন, বিজ্ঞাপন, চ্যানেলে কোনো স্ট্রাইক আছে কি না, কন্টেন্টের ওয়াচ সংখ্যা ইত্যাদি।

এছাড়া ইউটিউবের ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত উপার্জন করা যাবে, তা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিপিএম। অ্যাডভার্টাইজিং রেট প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন। 

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন-ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ক্লিক-থ্রু রেট বা সিটিআর। ভিডিওতে দর্শানো বিজ্ঞাপনগুলোর উপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। সিটিআর যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে। সিপিএম এবং সিটিআর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে সিপিএম এবং সিটিআর বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।

ভিডিওর বিষয়বস্তুও এক্ষেত্রে অনেক বড় ব্যাপার। ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো কিছু বিষয়ের উচ্চতর সিপিএম এবং সিটিআর থাকে। যার ফলে আয়ও হয় বেশি। ভিডিওগুলো যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে উপার্জনও হয় বেশি।

এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার থাকলে কত আয় করেন ইউটিউবাররা?

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ইউটিউবার, ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার, ভ্লগার- এই শব্দগুলো বেশ পরিচিত। অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বহু আগে থেকেই নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয়, সেইসঙ্গে ইউটিউবাররাও। 

ইউটিউবারদের কাজ তো আমরা হরহামেশাই দেখে থাকি, কিন্তু এই কাজের মাধ্যমে তারা কত আয় করেন, সে ব্যাপারেও নিশ্চয়ই জানার কৌতূহল হয়! শুধু ইউটিউব থেকে মাসিক আয় দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন এমন ইউটিউবারের সংখ্যাও কম নয়।

কিন্তু ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জনের জন্যও পূরণ করতে হয় কিছু শর্ত। একজন ইউটিউবারের জন্য এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার পাওয়া অনেক বড় একটি মাইলস্টোন। কারো এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে মানেই সে এখান থেকে আয় করেই স্বচ্ছন্দ্যে দিন পার করতে পারবে।

আরো পড়ুন: ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করার নিয়ম জানুন

যদিও ইউটিউবারদের আয়ের বিভিন্ন পন্থা থাকে, কিন্তু তাদের ভিডিওর মধ্যে প্রচারিত বিজ্ঞাপনই তাদের আয়ের একটি প্রধান উৎস বলা যায়। তাহলে এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার থাকলে একজন ইউটিউবারকে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ কত টাকা দেয়?

এক মিলিয়নেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এমন একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার হলেন নেইট ও'ব্রিয়েন। চলতি বছরের তিনি ইউটিউব থেকে আয় করেছেন ৪৪০,০০০ ডলার! এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তার মাসিক আয় ১৪,৬০০ থেকে ৫৪,৬০০ ডলার।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা আরেকজন লাইফস্টাইল ক্রিয়েটর ইউটিউবার টিফানি মা ইনসাইডারকে বলেছিলেন যে, তিনি তার ভিডিওতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মাসে ১১,৫০০ ডলারের মতো আয় করেন।

তবে ইউটিউব থেকে সরাসরি টাকা উপার্জন করতে চাইলে ক্রিয়েটরদের অবশ্যই পার্টনার প্রোগ্রাম-এর জন্য আবেদন করতে হবে। একইসঙ্গে ৫০০ সাবস্ক্রাইবারের একটা কোটা পূরণ করতে হবে, বিগত ৯০ দিনে তিনটি পাবলিক আপলোড থাকতে হবে অথবা 

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা বিগত বছরে ৩০০০ ওয়াচ আওয়ার কিংবা বিগত ৯০ দিনে ৩ মিলিয়ন ইউটিউব শর্টস ভিউ থাকতে হবে। আবেদন গৃহীত হওয়ার পর যাদেরকে যোগ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হবে, 

সেসব ক্রিয়েটররা চ্যানেল মেম্বারশিপ, সুপার চ্যাট, সুপার স্টিকারস, সুপার থ্যাংকস-এর মতো ফিচারগুলো থেকে এবং ইউটিউব শপিং-এর মাধ্যমে নিজেদের পণ্যের প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করার জন্য এই প্রোগ্রামে থাকা ক্রিয়েটরদের অবশ্যই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত এক বছরে ৪০০০ ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে। প্রতি ১০০০ অ্যাড ভিউ এর জন্য বিজ্ঞাপনদাতারা ইউটিউবকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে থাকেন। আয়ের ৪৫ শতাংশ ইউটিউব নেয় এবং বাকিটা ক্রিয়েটররা পান।

ইউটিউবে অর্থ উপার্জন পরিমাপের দুটি প্রধান সিস্টেম হলো সিপিএম রেট বা বিজ্ঞাপনদাতারা প্রতি ১০০০ অ্যাড ভিউতে ইউটিউবকে কত টাকা দিচ্ছে; এবং আরপিএম রেট বা প্রতি ১০০০ ভিডিও ভিউতে ইউটিউব টাকা কেটে রাখার পর একজন ক্রিয়েটর কত পাচ্ছে।

পারসোনাল ফাইন্যান্স ও ব্যবসায়ের মতো বিষয়গুলো বিজ্ঞাপনদাতাদের নজর আকৃষ্ট করে একজন ক্রিয়েটরের বিজ্ঞাপনের রেট বাড়াতে পারে। কিন্তু ইউটিউবার মা যেহেতু লাইফস্টাইল নিয়ে কাজ করেন, তাই নিজের আয় বাড়ানোর জন্যে অন্য একটি কৌশল অবলম্বন করেছেন তিনি।

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে মানতে হয় অনেক নীতিমালা। অনেকের ধারনা, একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে কিছু ভিডিও আপলোড করে দিলেই টাকা আয় করা যায়। এই ধারনা সঠিক নয়।

ইউটিউব থেকে আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনার ভিডিও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শককে দেখতে হবে। এ ছাড়া, আপনার চ্যানেলটি সম্পূর্ণভাবে ইউটিউব নীতিমালা মেনে পরিচালনা করতে হবে। তবেই কেবল ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।

চ্যানেল খোলার সময় থেকে ১ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘণ্টা ভিডিও ভিউ হতে হবে। তাহলে আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সবকিছু ঠিক থাকলে চ্যানেল রিভিউ করে মনিটাইজেশন অন করবে ইউটিউব।

ভিডিওতে ৪ হাজার ঘণ্টা অথবা শেষ ৯০ দিনে ইউটিউব শর্টসে ১০ মিলিয়ন ভিউ হলে তবেই আপনি মনিটাইজেশন থেকে আয় করতে পারবেন। সম্প্রতি ইউটিউব ক্রিয়েটরদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে 'ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম ২০২৩' নীতিমালায়।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ক্রিয়েটরদের উৎসাহ দিতে ইউটিউব তাদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। নতুন শর্তানুযায়ী কোনো চ্যানেল মনিটাইজেশন পেতে হলে ১ বছরের মধ্যে ১ হাজারের পরিবর্তে ৫০০ সাবস্ক্রাইবার এবং 

৪ হাজার ঘণ্টার পরিবর্তে ৩ হাজার ঘণ্টা ভিডিও ভিউ পেলেই আবেদন করতে পারবে। আর এর জন্য ইউটিউব শর্টস ভিডিওতে ভিউ লাগবে ৩ মিলিয়ন।

নতুন এই নীতিমালার পরে নতুন ক্রিয়েটররা খুব সহজেই ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন সুবিধা চালু করতে পারবেন। বর্তমানে এই সুবিধা পাবেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইউটিউব ক্রিয়েটররা। পর্যায়ক্রমে সব দেশের ইউটিউব ক্রিয়েটররা এই নীতিমালার আওতায় আসবেন।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ কত টাকা?

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন।

একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর। তবে ভিডিওটি কত দর্শক দেখেছেন সেটিই মূলত একটি ভিডিওকে বিচারের অন্যতম মানদণ্ড।

যখন ইউটিউবে একটি ভিডিওর ভিউ ১০ লাখ অতিক্রম করে, তখন নির্মাতা সেটি থেকে ভালো আয় করেছেন এমনটা ধরে নেওয়া যায়। কখনো কখনো তো একটি ভিডিও থেকে ১০ হাজার ডলারেরও বেশি আয় করা সম্ভব, সেটি যদি যথেষ্ঠ দর্শক টানতে পারে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ভিডিও নির্মাতা শেলবি চার্চ ৩ বছর আগে বিজনেস ইনসাইডারকে জানিয়েছিলেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের ওপর বানানো তার একটি ভিডিও থেকে তখনই ৩০ হাজার ডলারেরও বেশি আয় হয়েছে। তখন তার ভিডিওটির ভিউ ছিল ১৮ লাখ।

আরো পড়ুন: ইউটুবে চ্যানেল নাম আইডিয়াস লিস্ট

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা তিনি বলছিলেন, নির্দিষ্ট দর্শককে লক্ষ্য করে ভিডিও বানানোয় তার আরপিএম রেট (প্রতি হাজারে আয়) অনেক বেশি। ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ভিডিও থেকে আয় তুলনামূলক বেশি।

তিনি বলেন, 'ইউটিবাররা সবসময় অনেক অর্থ আয় করেন না। আয়ের বিষয়টি নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিডিও বানাচ্ছেন তার ওপর।'

ভিডিও নির্মাতারা যদি ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রাম বা ওয়াইপিপির তালিকাভুক্ত হন, তাহলে নির্দিষ্ট ভিডিওর মোট বিজ্ঞাপনী আয়ের ৫৫ শতাংশ অর্থ তাদের পকেটে যায়।

ন্যূনতম ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চ্যানেলের মোট ওয়াচ টাইম ৪ হাজার ঘণ্টা হলে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হওয়া যায়। এখন ইউটিউব শটস থেকেও নির্মাতারা অর্থ আয় করতে পারেন।

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ইউটিউবার, ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার, ভ্লগার- এই শব্দগুলো বেশ পরিচিত। অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বহু আগে থেকেই নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয়, সেইসঙ্গে ইউটিউবাররাও। 

ইউটিউবারদের কাজ তো আমরা হরহামেশাই দেখে থাকি, কিন্তু এই কাজের মাধ্যমে তারা কত আয় করেন, সে ব্যাপারেও নিশ্চয়ই জানার কৌতূহল হয়! শুধু ইউটিউব থেকে মাসিক আয় দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন এমন ইউটিউবারের সংখ্যাও কম নয়।

কিন্তু ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জনের জন্যও পূরণ করতে হয় কিছু শর্ত। একজন ইউটিউবারের জন্য এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার পাওয়া অনেক বড় একটি মাইলস্টোন। কারো এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে মানেই সে এখান থেকে আয় করেই স্বচ্ছন্দ্যে দিন পার করতে পারবে।

যদিও ইউটিউবারদের আয়ের বিভিন্ন পন্থা থাকে, কিন্তু তাদের ভিডিওর মধ্যে প্রচারিত বিজ্ঞাপনই তাদের আয়ের একটি প্রধান উৎস বলা যায়। তাহলে এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার থাকলে একজন ইউটিউবারকে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ কত টাকা দেয়?

এক মিলিয়নেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে এমন একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার হলেন নেইট ও'ব্রিয়েন। চলতি বছরের তিনি ইউটিউব থেকে আয় করেছেন ৪৪০,০০০ ডলার! এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তার মাসিক আয় ১৪,৬০০ থেকে ৫৪,৬০০ ডলার।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ পাওয়ার উপায়?

ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন। একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর 

মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর। তবে ভিডিওটি কত দর্শক দেখেছেন সেটিই মূলত একটি ভিডিওকে বিচারের অন্যতম মানদণ্ড।

প্রথম দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন, তা সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। 

যেমন- ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট। এমন বিষয়বস্তু বেছে নিন যা দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় এবং মূল্যবান। ট্রেন্ডিং টপিক, প্রয়োজনীয় টিউটোরিয়াল বা বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

ভিডিওর বিষয়বস্তু যেন ইউনিক এবং গুণগত মানসম্পন্ন হয়, যেন দর্শকরা নতুন কিছু শিখতে বা উপভোগ করতে পারে। আকর্ষণীয় এবং স্পষ্ট থাম্বনেইল তৈরি করুন, যা দর্শকদের ক্লিক করতে আকৃষ্ট করবে।

শিরোনামে কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা ভিডিওর বিষয়কে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। তবে ভুল তথ্য দেবেন না। ট্যাগ, ডেসক্রিপশন এবং টাইটেলে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা ভিডিওকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। ভিডিওর ডেসক্রিপশন ও ট্যাগে জনপ্রিয় সার্চ টার্ম যুক্ত করুন।

প্রথম ১০-১৫ সেকেন্ডে এমন কিছু দেখানোর চেষ্টা করুন যা দর্শককে ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী করবে।
কন্টেন্টের সূচনা যেন ইন্টারেস্টিং হয়, কারণ এটি দর্শকদের ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের ভিউ বাড়াতে পারবেন। ধারাবাহিকভাবে কন্টেন্ট পোস্ট করলে দর্শকরা চ্যানেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ে।

ভিডিওটি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সাহায্য নিন যাতে তারা শেয়ার করতে পারে। দর্শকদের সাথে কমেন্টের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করুন। লাইভ সেশন বা Q&A এর মাধ্যমে দর্শকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করুন।

সাধারণত ১০-১৫ মিনিটের ভিডিও দর্শকদের ধরে রাখার জন্য ভালো। ভিডিওর দৈর্ঘ্য বেশী বড় হলে দর্শকরা স্কিপ করতে পারে। যে ধরনের কন্টেন্ট এখন জনপ্রিয়, সেই ধরণের ভিডিও তৈরির চেষ্টা করুন। ইউটিউব ট্রেন্ডিং সেকশনে নজর রাখুন।

ফেসবুকে এক মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা?

বর্তমান ডিজিটাল যুগের সামাজিক মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক।আর ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করার বিষয়টি অনেকেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তবে, ফেসবুকে ভিউ ও আয় সম্পর্কিত বিষয়টি কেমন, তা বোঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব কি ভাবে ফেসবুকে ভিউ থেকে আয় করা যায় বা আয় করার জন্য কতটা ভিউ প্রয়োজন।

ফেসবুকের ভিউ বলতে বোঝায় কতজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আপনার পোস্ট, ভিডিও, অথবা কনটেন্টটি দেখেছে এটিকে বোঝায়।আর এ ভিউ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্টে প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন: ভিডিও: ভিডিওতে একটি ভিউ গননা তখনি করা হয় যখন কেউ আপনার ভিডিওটি ৩ সেকেন্ড বা তার থেকে বেশি সময় ধরে দেখে।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা ছবি বা পোস্ট: ছবির বা পোস্টের ক্ষেত্রেও ভিউ বলতে বোঝায় কতজন ব্যক্তি বা ব্যবহারকারী আপনার ছবিটি বা পোস্টটি তাদের নিউজ ফিডে দেখেছে। স্টোরি: ফেসবুক স্টোরিতে ভিউ তখনি করা হয় যখন কেউ আপনার স্টোরিটি সম্পূর্ণ বা অংশিক ভাবে দেখে থাকে।

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা মূলত ভিউ সংখ্যার মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন আপনার পোস্ট, ভিডিও ও কনটেন্ট কতটা মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং কেমন জনপ্রিয় হচ্ছে বেশি না কম।

মূলত ফেসবুক নির্দিষ্ট ভিউ সংখ্যা অনুযায়ী ও নির্দিষ্ট অর্থের হার নির্ভর করে আপনার কনটেন্টের ধরন, ভিউয়ারদের অবস্থান, বিজ্ঞাপনের ধরন এবং ফেসবুকের পলিসির ওপর।জেমন,আপ্নার ভিডিওর ধরণ যদি ভালো মানের বা আকর্ষণীয় এবং ভালো মানের হয় তাহলে বেশি ভিউ আসে।আজকে আমরা জানবো ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা পাওয়া যায়

যদি আপনার ফেসবুকে 10000 ফলোয়ার, পাঁচটি ভিডিও এবং সাত দিন এর মধ্যে ৬ লাখ মিনিটের ভিউ থাকে তাহলেই আপনি রিলশ অ্যাড দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই অ্যাড গুলো থেকে যে টাকা আসবে তার ৫৫% আপনি এবং ৪৫ শতাংশ ফেসবুক পাবে। এর আগে facebook রিলশ দেওয়া যেত না।

শুধু মাত্র ভিডিওতে এড দেওয়া যেত। স্টারস-সম্পত্তি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আই এর নতুন একটি মাধ্যম আনার কথা ঘোষণা করেছেন মেটা।, এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারীর দেখার সময় ষ্টার দিতে পারবে। প্রতি ১০০ টারে ১ ডলার পাবে।

রিলস বোনাস বা প্রোগাম রিলস আসার পর থেকে বাড়িতে বসে থাকে মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের রিলস করার সুযোগ তৈরি করেছে। যার মধ্যে উন্নত একটি উপায় হল স্প্রে বোনাস প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পের মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের কোন ভিডিওতে যদি ৩০ দিনে ১০০০ ভিউ গেলে টাকা দিয়ে থাকে।

ইউটিউবে ১০০ ভিউ কত?

Youtube: ইউটিউব থেকে টাকা আয় করাই বেশির ভাগ কনটেন্ট নির্মাতাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে। বর্তমানে অনেকেই Youtube Video থেকে নিজের কেরিয়ার তৈরি করতে চান। ফলে অনেকেরই প্রশ্ন যে ইউটিউব থেকে আয় করতে ভিডিয়োতে কত ভিউ প্রয়োজন। 

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা একই সঙ্গে ইউটিউব ভিউ প্রতি কত টাকা দেয় সেই বিষয়ও অনেকের আগ্রহ রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক যে ইউটিউব থেকে আয় শুরু করতে আপনার মোট কত ভিউ-এর প্রয়োজন।

এখন ইউটিউব থেকে একাধিক কনটেন্ট নির্মাতারা ভালো টাকা আয় করে থাকেন। ভারতে ক্যারি মিনাটি কিংবা আমেরিকার মিস্টার বিস্ট সকলেরই ইউটিউব থেকে ভালো টাকা আয় করেন। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতেও বর্তমানে ইউটিউব থেকে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।

তবে নতুন চ্যানেলের পক্ষে এটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। আপনি যদি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকেন তাহলে আপনার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন হতে পারে যে আপনার কতগুলি ভিউ দরকার বা ইউটিউব কত টাকা দেয়।

সাধারণত আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োর ভিউ 1000 হলেই আয় শুরু হয়। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োর ভিউ থেকে আয় শুরু করতে আপনার চ্যানেলের অবশ্যই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। 

ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা তবে ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োর থেকে ভালো টাকা আয় করতে হলে কম পক্ষে 100,000 ভিউ-এর প্রয়োজন। তবে ভিউ ছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। তার জন্য আপনি ভিডিয়োর লিঙ্ক থেকে অন্য জিনিস বিক্রি করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োর ভিউ থেকে আপনার আয় মূলত নির্ভর করে আপনার ভিডিয়োর কনটেন্টের উপর। বস্তুত ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিয়োর 1000 ভিউ-এর উপর 1 ডলার বা 82 টাকা থেকে 25 ডলার বা 2070 টাকা আয় হওয়া সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন