ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ২০২৪

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম আপনি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও থেকে ভালো টাকা আয় করতে হলে কমপক্ষে ১ লক্ষ ভিউ এর প্রয়োজন। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলের ভিওয়ার ভিউ থেকে আপনার আই মূলত নির্ভর করে আপনার ভিউয়ারের কনটেন্ট এর উপর।

ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি

বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেল (YouTube Channel) খুলে অনেকেই টাকা আয় করছেন৷ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক মাধ্যম হলো ইউটিউব৷

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ২০২৪

আর আপনি যদি জানতে চাচ্ছেন যে, ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে অবশ্যই দিবো৷

বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ ও লাভজনক উপায় প্রায় প্রত্যেকেই খুঁজে থাকে৷ এমনিতে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার অনেক অনলাইন কাজ রয়েছে যেগুলো করে আমরা ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারি।

কিন্তু অনলাইনে ইনকাম করার এমন অনেক মাধ্যমগুলোর মধ্যে ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক একটি প্লাটফর্ম৷ কেননা এখান থেকে আপনি ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল খোলে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি ২০২৪
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা আয় করা করা যায় এ সম্পর্কে আমি আপনাকে অবশ্যই বলবো৷ তবে এটা জানার আগে আপনাকে ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি জানতে হবে।

যেমন, কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়? ইউটিউব আমাদের কিভাবে টাকা দেয়? ইউটিউব কত ভিউতে কত টাকা দেয় এবং সব শেষে ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

এসব প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে এক এক করে নিচে বলে দিবো৷ এসব বিষয়ে জানতে পারলে আপনি ইউটিউব থেকে আয়ের পরিমাণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন৷ আপনাকে প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে হবে৷ ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এখান থেকে জেনে নিতে পারেন। এরপর আপনার চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে৷

এরপর আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন৷ ইউটিউব মনিটাইজেশন হলো এমন একটি সিস্টেম যেটার মাধ্যমে আপনার ইউটিউব চ্যানলের ভিডিওগুলোর মধ্যে ইউটিউবের তরফ থেকে কিছু বিজ্ঞাপন (advertisement) দেখানো হবে৷

যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখানোর বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন৷ আপনি অবশ্যই ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখার সময় ভিডিওর আগে পরে কতগুলো বিজ্ঞাপন দেখতে পান৷ এই বিজ্ঞাপনগুলো দেখানোর ইউটিউব চ্যানেলের মালিক টাকা ইনকাম করে থাকেন৷

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনের আবার কতগুলো শর্ত রয়েছে যেগুলো আপনার চ্যানেলের দ্বারা পূরণ হলেই কেবল আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবে৷

যেমন, আপনার ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করার আগে আপনার চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইব এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে৷

যখনই আপনার চ্যানেল 1000 সাবস্ক্রাইব এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম gain করবে, কেবল তখনই আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে করবেন৷ এখন আসি ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কিভাবে টাকা দেয়?

ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি

সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে প্রতিদিন প্রায় ২শ কোটি মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। প্রত্যেক মিনিটে প্রায় ৫০০ ঘণ্টারও বেশি স্ট্রিম হয় এই প্ল্যাটফর্মে। ফলে বিশাল এই প্লাটফর্ম থেকে বেশি বেশি আয় করার সুযোগও রয়েছে।

সবার আগে বেছে নিতে হবে কোন বিষয় আপনি কাজ করতে চান। আপনার পছন্দ করা কনটেন্ট আপনার নিজের কাছে কতটা ক্লিয়ার? এরপর সেই নির্দিষ্ট বিষয়টির উপরে তৈরি করুন ভিডিও। আপনার কনটেন্ট যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর হয় এবং ভালো হয়, তাহলে দর্শক আপনার ভিডিও দেখবে।

আরো পড়ুন: ইউটিউব মার্কেটিং শুরু করার নিয়ম জানুন

ইউটিউবের ভিডিওর ক্ষেত্রে কোয়ালিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভিডিওর কোয়ালিটি যত ভালো হবে, মানুষের দেখার আগ্রহ ততই বাড়বে। শুরুতে একটি ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন একটি প্রফেশনাল ভিডিও তৈরির জন্য যথেষ্ট। এরপর আরো ইলেকট্রনিকস জিনিস কিনতে পারেন।

দর্শকদের সঙ্গে কন্টাক্ট টুলস ব্যবহার করে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে। না করলে আপনি ফলোয়ারদের হারাতে পারেন। এছাড়াও প্রত্যেক ভিডিওতে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। নিজের ভিডিওর ট্রাফিক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনাকেই নিতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য সবার প্রথমে আপনার চ্যানেলে এক বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যায় আপনি টাকা না পেলেও আপনার যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার হবে তত আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়বে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আপনার চ্যানেলে যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বড় বড় কোম্পানি আপনার চ্যানেলে ব্র্যান্ড প্রোমোশনের আগ্রহ দেখাবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য সবার প্রথমে আপনার চ্যানেলে এক বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যায় আপনি টাকা না পেলেও আপনার যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার হবে তত আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়বে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আপনার চ্যানেলে যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বড় বড় কোম্পানি আপনার চ্যানেলে ব্র্যান্ড প্রোমোশনের আগ্রহ দেখাবে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম চ্যানেলটি মনিটাইজ হয়ে গেলে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এ যোগ দিন। প্রত্যেকটি ভিডিও থেকে আসা টাকার কিছু অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দেয় ইউটিউব। 

ইউটিউব স্টুডিও থেকে মনিটাইজেশন বিভাগে গিয়ে চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো সিলেক্ট করতে পারবেন। এখানেই ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে আপনার ইনকাম দেখে নিতে পারবেন।

১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ইউটিউব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন।

একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর। তবে ভিডিওটি কত দর্শক দেখেছেন সেটিই মূলত একটি ভিডিওকে বিচারের অন্যতম মানদণ্ড।

যখন ইউটিউবে একটি ভিডিওর ভিউ ১০ লাখ অতিক্রম করে, তখন নির্মাতা সেটি থেকে ভালো আয় করেছেন এমনটা ধরে নেওয়া যায়। কখনো কখনো তো একটি ভিডিও থেকে ১০ হাজার ডলারেরও বেশি আয় করা সম্ভব, সেটি যদি যথেষ্ঠ দর্শক টানতে পারে।

আরো পড়ুন: ইউটুব চ্যানেল এর অফিসিয়াল নাম

প্রযুক্তি বিষয়ক ভিডিও নির্মাতা শেলবি চার্চ ৩ বছর আগে বিজনেস ইনসাইডারকে জানিয়েছিলেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের ওপর বানানো তার একটি ভিডিও থেকে তখনই ৩০ হাজার ডলারেরও বেশি আয় হয়েছে। তখন তার ভিডিওটির ভিউ ছিল ১৮ লাখ।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম তিনি বলছিলেন, নির্দিষ্ট দর্শককে লক্ষ্য করে ভিডিও বানানোয় তার আরপিএম রেট (প্রতি হাজারে আয়) অনেক বেশি। ব্যবসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক ভিডিও থেকে আয় তুলনামূলক বেশি।

তিনি বলেন, 'ইউটিবাররা সবসময় অনেক অর্থ আয় করেন না। আয়ের বিষয়টি নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিডিও বানাচ্ছেন তার ওপর।'

ভিডিও নির্মাতারা যদি ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রাম বা ওয়াইপিপির তালিকাভুক্ত হন, তাহলে নির্দিষ্ট ভিডিওর মোট বিজ্ঞাপনী আয়ের ৫৫ শতাংশ অর্থ তাদের পকেটে যায়।

ন্যূনতম ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চ্যানেলের মোট ওয়াচ টাইম ৪ হাজার ঘণ্টা হলে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হওয়া যায়। এখন ইউটিউব শটস থেকেও নির্মাতারা অর্থ আয় করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ের জন্য ইউটিউব কত অর্থ দেয়, সে বিষয়ে ধারণা পেতে বিজনেস ইনসাইডার ২০২০ সালে ৩ জন ইউটিউবারের সঙ্গে কথা বলে।

চ্যানেলটি পরিচালনা করেন সেমিড, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি নিজের আসল নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ছিল দেড় লাখ এবং তখন তার চ্যানেলের দুটি ভিডিওর ভিউ ১০ লাখ ছাড়িয়েছিল।

তিনি বলেন, সাধারণত এই ভিডিওগুলো থেকে ২৫০০ থেকে ৪০০০ মার্কিন ডলার (আড়াই থেকে ৪ লাখ টাকা) আয় করা যায়। ১১ লাখ ভিউ হওয়া একটি ভিডিও থেকে তিনি আয় করেছেন ৩৪৭০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম

আপনি কি ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার কথা ভাবছেন? তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি খুঁজে পেয়েছেন। কারণ, ভিডিও না বানিয়ে কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। বিশ্বজুড়ে বিলিয়ন বিলিয়ন লোকের বিনোদনের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব (YouTube)

সাধারণত ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য নিজের বানানো ভিডিও ইউটিউবে আপলোড (upload) করতে হয়। এরপর YouTube Monetization চালু করার মাধ্যমে নিজের আপলোড করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়।

এছাড়াও ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিও কনটেন্টগুলো থেকে affiliate marketing এবং sponsorships এর মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন, আপনি নিজে ভিডিও না বানিয়েও ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম আপনি যদি ক্যামেরার সামনে ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ না করেন কিংবা আপনার high quality ভিডিও তৈরি এবং video editing এর ভালো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা না থাকে, তবুও আপনি ইউটিউব প্লাটফর্ম থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: ইউটুবে চ্যানেল নাম আইডিয়াস লিস্ট

এজন্য আপনার একটি smartphone এবং internet connection এর প্রয়োজন হবে। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেক সহজ উপায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে লোকেরা অনলাইনে আয়ের তুলনামূলক সহজ উপায় হিসেবে ইউটিউবকে বেছে নেন।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম কেননা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। Online Income এর বিভিন্ন উপায়গুলোর মধ্যে ইউটিউব থেকে দ্রুত এবং সহজেই দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

অনেক স্টুডেন্টরা পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে পার্ট টাইম জব হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার কথা ভাবেন। যারা নিজেদের চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি part-time job হিসেবে ইউটিউবে ইনকাম করতে চান, তারা নিজে ভিডিও তৈরি করার মতো পর্যাপ্ত সময় পান না।

এক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগ ছাড়াই এবং কোনো ধরনের ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়গুলো খুঁজে থাকেন।

আবার অনেকের ইউটিউবে ভিডিও বানানোর অধিক আগ্রহ থাকলেও ক্যামেরার সামনে সঠিকভাবে কথা বলতে না পারার কারণে ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন না।

এছাড়াও অনেকের video editing skills না থাকার কারণে high quality video তৈরি করতে ব্যর্থ হন। তাদের জন্য video না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়গুলো খুবই কার্যকর।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, কোনো ইনভেস্টমেন্ট না করে এবং নিজে ভিডিও তৈরি না করেও কী কী উপায়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়?

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ভিডিও না করেই ইউটিউব থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিজের ইউটিউব চ্যানেলে third-party content পাবলিশ করা।

 ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম উদাহরণস্বরূপ, ইউটিউবের aggregation নামক একটি পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে ইউটিউব অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের video content আপনার চ্যানেলে আপলোড করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম এতে আপনি একজন content creator হওয়ার পরিবর্তে অন্যের বানানো ভিডিও ব্যবহার করে ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করতে পারেন। ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম এক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নতুন নতুন ভিডিও আপলোড করতে খুব কম সময় লাগবে এবং অধিক পরিমাণে লোকেরা আপনার ভিডিওর প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম উদাহরণস্বরূপ, ONE Media Coverage ইউটিউব চ্যানেলটি aggregation পদ্ধতিতে মুভি ট্রেইলারগুলো তাদের চ্যানেলে আপলোড করে থাকে। বর্তমানে এই চ্যানেলে এক মিলিয়নেরও অধিক subscribers রয়েছে।

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

YouTube থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ইউটিউবে নিজের চ্যানেল তৈরি করতে হবে। চ্যানেল বানানোর পর টাকা আয় করার মাধ্যমে আপনাকে নিম্নলিখিত স্টেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে: ইউটিউব চ্যানেলে আপনার ভিডিওর শুরু হওয়ার আগে, পরে এবং মাঝে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলির মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন৷

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম চ্যানেল মেম্বারশিপ: টাকা খরচ করে আপনার চ্যানেলের মেম্বারশিপ নিলে সেখান থেকে আপনি টাকা পাবেন। মার্চ শেল্ফ: আপনার ফ্যানরা আপনার ভিডিওতে দেখানো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টগুলি কিনলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন৷

সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার: আপনার ভিডিও দেখার সময় দর্শকরা এক-বার ব্যবহার করা মজাদার অ্যানিমেশন কিনতে পারবেন। এছাড়াও তারা কমেন্ট সেকশনে নিজেদের কাস্টমাইজড কমেন্ট পোস্ট করতে পারবে। এর মাধ্যমেও আজকাল আয় করা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২৪

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ইউটিউব প্রিমিয়াম: যখন YouTube Premium মেম্বাররা আপনার ভিডিও দেখেন তখন সাবস্ক্রিপশনের কিছুটা অংশ আপনি পাবেন।

ইউটিউবের ভিডিওর ক্ষেত্রে কোয়ালিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভিডিওর কোয়ালিটি যত ভালো হবে, মানুষের দেখার আগ্রহ ততই বাড়বে। শুরুতে একটি ভালো ক্যামেরা, আলো, মাইক্রোফোন একটি প্রফেশনাল ভিডিও তৈরির জন্য যথেষ্ট। এরপর আরো ইলেকট্রনিকস জিনিস কিনতে পারেন।

দর্শকদের সঙ্গে কন্টাক্ট টুলস ব্যবহার করে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে। না করলে আপনি ফলোয়ারদের হারাতে পারেন। এছাড়াও প্রত্যেক ভিডিওতে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। নিজের ভিডিওর ট্রাফিক বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনাকেই নিতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য সবার প্রথমে আপনার চ্যানেলে এক বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যায় আপনি টাকা না পেলেও আপনার যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার হবে তত আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়বে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আপনার চ্যানেলে যতো বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বড় বড় কোম্পানি আপনার চ্যানেলে ব্র্যান্ড প্রোমোশনের আগ্রহ দেখাবে।

চ্যানেল মনিটাইজেশন বছর বা ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম হলে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশনের জন্য অ্যাপ্লিকেবল হবে। তবে মনিটাইজ হয়ে গেলেই যে টাকা আসবে, তা নয়। মনিটাইজ হলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন আসবে। 

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম সেগুলোতে কেউ ক্লিক করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখলে তবেই রোজগার করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। যদিও শুধুমাত্র ইউটিউব এর বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার শুরুর দিকে বেশি হয়না। তাই ধৈর্য্য ধরতে হবে।

ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ইউটিউবে কন্টেন্ট পোস্ট করে ভালো অর্থ উপার্জন শুরু করতে চাইলে ভিডিও উপার্জন সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসাবে দেখা হয়।

ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও হতে ১ – ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ টাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে আরও বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হবে এক ভিডিও থেকে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম প্রথম দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অ্যাডভার্টাইজিং রেট (CPM) : প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন, তা সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন- ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) : ভিডিওতে দর্শানো বিজ্ঞাপনগুলোর ওপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। CTR যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে।

ভিউয়ারদের লোকেশন : CPM এবং CTR বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলিতে CPM এবং CTR বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ভিডিও-র বিষয়বস্তু : ফিনান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো কিছু বিষয়ের উচ্চতর CPM এবং CTR থাকে। যার ফলে আয়ও হয় বেশি।

ভিডিওর দৈর্ঘ্য : ভিডিওগুলি যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে উপার্জনও হয় বেশি। ইউটিউব প্রিমিয়াম : ভিউয়াররা যদি ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য হন, তাহলে তারা যে ভিডিওগুলো দেখেন, সেগুলো মনিটাইজ করা যেতে পারে।

ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ : নিজের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত করে অথবা স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করেও উপার্জন করা যেতে পারে।

ইউটিউব-এ ১ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করার প্রক্রিয়াটি : YouTube Partner Program (YPP)-তে যোগ দিতে হবে। এটি ইউটিউবের মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম। যা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে নিজের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখাতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম করে। 

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম YPP-তে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিয়েটরদের কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকা আবশ্যক।

আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সক্ষম করুন : একবার YPP-তে যোগ দিলে ক্রিয়েটররা নিজেদের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন এনেবল করতে পারবেন। এমনকী তিনি কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দর্শাতে চাইছেন, সেটাও বেছে নিতে পারেন।

দর্শকদের আকর্ষণ করুন : যত বেশি মানুষ ভিডিও দেখবে, তত বেশি অর্থ উপার্জন হবে। নিজের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ক্রিয়েটরদের উচ্চ-মানের ভিডিও তৈরি এবং প্রোমোট করতে হবে।

নিজের উপার্জন ট্র্যাক করার উপায় : YouTube Analytics ব্যবহার করে নিজের উপার্জন ট্র্যাক করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ক্রিয়েটর দেখতে পাবেন যে, তার ভিডিওগুলো কতটা ভালো পারফর্ম করছে এবং তিনি কত টাকা উপার্জন করছেন। এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউটিউবে ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ উপার্জন করা সহজ নয়। সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম, ডেডিকেশন এবং সৃজনশীলতার প্রয়োজন হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায়

সাধারণত ইউটিউবাররা যে পাঁচটি উপায়ে আয় করে থাকেন সেগুলো হলো বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট লিংক, ডোনেশন, পণ্য বিক্রয় এবং স্পন্সর ভিডিও। তবে এই আয় করার ব্যাপারটি, ‘এডিট করলাম আর আপলোড দিলাম’ মোটেও এমন নয়। 

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম তাদেরকে কাজ করতে হয় এমন ভাবে যাতে একই সঙ্গে নিজেদের নাম অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিজেদের শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়। তো এই ইউটিউবাররা কত আয় করে থাকেন? 

এর উত্তরে বলা যায়, যদি তারা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে পরেন তাহলে আয়ও অনেক পরিমাণে হতে থাকে। সৌন্দর্য সম্পৃক্ত দুই ইউটিউবার জেফরি স্টার এবং জ্যাকলিন হিল এর বর্তমান সাবস্ক্রাইবার হলো যথাক্রমে ১২.৭ মিলিয়ন এবং ৫.৮ মিলিয়ন। 

আর তাদের চ্যানেল থেকে আয়ের পরিমাণ হলো যথাক্রমে ৫ মিলিয়ন ডলার এবং ১.৫ মিলিয়ন ডলার। অপরদিকে ভিডিও গেম নিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা ফেলিক্স কেজেলবার্গ ৮৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার নিয়ে আয় করছেন ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মজার ব্যাপার হলো বেশিরভাগ ইউটিউবাররাই অত পরিমাণ আয় করতে চান। ব্যাপার কিছুটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি স্কুলের একটি নাটকে অভিনয় করছেন আর মনে মনে নিজেকে ব্র্যাড পিট এর মতো ভাবতে শুরু করেছেন। 

জার্মান একটি গবেষণা সংস্থার মতে, ইউটিউবের অনেক জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোর মধ্যে মাত্র তিনভাগের আয় বছরে মাত্র সতের হাজার ডলারের মতো। যদিও এই আয় একদমই সামান্য নয়, তবে এই পরিমাণও নয় যার কারণে আপনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা শুরু করে দিতে পারেন।

ইউটিউবার হিসেবে এটা আয় করার একদম প্রাথমিক এবং সহজ একটি উপায়। ইতোমধ্যেই আপনারা হয়তো জানেন যে বেশিরভাগ ইউটিউবাররাই ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকেই আয় করে থাকেন। 

আমরা বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও শুরু হওয়ার আগে এবং চলাকালীন সময়ে যে বিজ্ঞাপন দেখতে পাই সেখান থেকেই মূলত এই আয় হয়ে থাকে। তবে প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন থেকে ঠিক কি পরিমাণে আয় হয় এই ব্যাপারটি গুগল অনেকটাই নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। 

ইউটিউবাররা জানতেও পারেন না যে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনটি থেকে তিনি কি পরিমাণ আয় করছেন। তবে একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় যে প্রতি এক হাজার ভিউ থেকে প্রায় তিন ডলার থেকে ১০ ডলারের মতো আয় হয়ে থাকে।

আর ইউটিউবের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এটাই যে আপনার কোনো ভিডিও যদি একবার জনপ্রিয় হয়ে যায় তাহলে এই ভিডিও যতদিন আপনার চ্যানেলে থাকবে ঠিক ততদিন আপনার আয় হতে থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হতে থাকবে আপনার আয় হতে থাকবে।

সাধারণত বেশিরভাগ ছোট এবং শুরুর দিকের চ্যানেলগুলো এভাবেই আয় করে থাকে এবং ঠিক এজন্যই একে বলা হয়ে থাকে ‘ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ একটি উপায়’। ইউটিউবে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে আলাদা করে কোনো কিছু করতে হবে না। 

তবে এটাকে সহজ উপায় বলা হলেও যতটা সহজ মনে হচ্ছে আদতে বিষয়টি এতটাও সহজ নয়। আপনি চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করার সাথে সাথেই আয় করতে পারছেন না।

কেননা এই আয়ের জন্য আপনার চ্যানেলটিকে একটি যোগ্যতার পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। আর সেটি হলো বিগত এক বছরের মধ্যে আপনার চ্যানেলের ভিডিওগুলো অবশ্যই চার হাজার ঘণ্টা ভিউ থাকতে হবে এবং আপনার চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে। 

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম এছাড়াও ইউটিউবে আপনার আয় যতক্ষণ না পর্যন্ত একশ ডলার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেই আয় আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসবে না।

যেহেতু বিজ্ঞাপন থেকে আয় সবসময় অনেক আকর্ষণীয় পরিমাণে হয় না তাই ইউটিউবাররা আরো ক্রিয়েটিভ উপায়ে আয় করার উপায় বের করেছেন। কোনো কোম্পানির সাথে আপনার চুক্তিতে যেতে হবে এই জন্য, আর তাদের পণ্যের লিংক আপনার ভিডিও ডিস্ক্রিপশনে দিয়ে রাখতে হবে এবং ভিডিওর মধ্যে তাদের এই পণ্যটির কথা আপনাকে বলে দিতে হবে। 

যখনই কেউ সেই লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করেন সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি কমিশন হিসেবে পেয়ে যাবেন। এতে আপনার লাভের সাথে সাথে কোম্পানিটিরও লাভ হচ্ছে, কেননা তাদের পণ্য বিক্রয়ের পাশাপাশি তাদের কোম্পানির মার্কেটিংও এর সাথে হয়ে যাচ্ছে।

চ্যানেলের ফ্যানরা আপনার ভিডিও দেখে আপনাকে কিছু অর্থ নিজের পকেট থেকে ডোনেট করার প্রক্রিয়াটিও ইউটিউবে আছে। প্যাট্রেয়ন নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিষয়টি হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি তৈরি করা হয়েছে নতুন ইউটিউবাররা যাতে করে ভিউয়ারদের কাছ থেকে তাদের চ্যানেলের জন্য অর্থায়ন পায়।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ধরুন আপনি একটা চ্যানেল খুলেছেন এবং সেখান থেকে আপনার তেমন কোনো আয় হচ্ছে না। কিন্তু এদিকে আপনার চ্যানেলের ফ্যানরা চায় আপনি যাতে ভিডিও তৈরি করা চালিয়ে যান। আর সেক্ষেত্রে 

তারা আপনাকে একটা ডোনেশন দিয়ে যাবে যাতে করে আপনি ভিডিও তৈরি চালিয়ে যেতে পারেন। তবে সাধারণত এই ডোনেশনের মাধ্যমে অনেক আয় করা সম্ভব হয় না। আর তাই এই ডোনেশন সিস্টেমটি রাতারাতি কাউকে বড়লোকও বানিয়ে দিতে পারে না।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা ২০২৩

সাম্প্রতিক সময় মেটা, রিলস-এ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। রিল থেকে টাকা আয় করার একাধিক সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক রিলস থেকে কী ভাবে আয় করবেন জেনে নিন।

সাম্প্রতিক সময় ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা, রিলস-এ প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফেসবুকের রিলে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি টিকটকের মত ছোট ভিডিয়ো হয়ে থাকে। এখন ফেসবুকের রিলস থেকেও ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। রিল থেকে টাকা আয় করার একাধিক সুযোগ দিচ্ছে ফেসবুক।

মেটার মতে রিলস হল ফেসবুকে সব থেকে দ্রুত উন্নতি করা ভিডিয়ো ফরম্যাট। বস্তুত মেটার 150টি দেশের তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আর্ধেক সময় রিলস দেখে কাটায়। একটি ফেসলুক রিল মূলত 3 সেকেন্ড থেকে 60 সেকেন্ড পর্যন্ত দীর্ঘ্য হয়ে থাকে।

অ্যাড - একজন ব্যক্তির 10 হাজার ফলোয়ার, 5টি ভিডিয়ো এবং গত 60 দিনে 6 লাখ মিনিটের ভিউ থাকলে সে রিলস-এ অ্যাড দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এই অ্যাড থেকে আসা অর্থের 55 শতাংশ আপনি এবং 45 শতাংশ ফেসবুক পাবে। এর আগে ফেসবুকের রিলস-এ অ্যাড দেওয়া যেত না। শুধুমাত্র ভিডিয়োতে অ্যাড দেওয়া যেত।

স্টারস - সম্প্রতি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আয়ের নতুন একটি মাধ্যম আনার কথা ঘোষণা করেছে মেটা। এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারী রিলস দেখার সময় স্টার দিতে পারবে। প্রতি 100 স্টারে 1 ডলার পাওয়া যাবে।

রিলস বোনাস প্রোগ্রাম - রিলস আনার পর থেকে মেটা একাধিক ভাবে রিলস-এ টাকা আয় করার সুযোগ তৈরি করছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল রিলস প্লে বোনাস প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পে মেটা কোনও ভিডিয়োতে 30 দিনে 1 হাজার ভিউ এলে টাকা দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পের অধীনে 35 হাজার ডলার বা 28 লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম চ্যালেঞ্জ - সম্প্রতি মেটা ঘোষণা করেছে যে যারা নিজস্ব রিল পাবলিশ করবে, তাদের টাকা দেওয়া হবে। এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একজন 4 হাজার ডলার বা 3 লাখ 30 হাজার টাকা আয় করতে পারে।

ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা

যারা ইন্টারনেটের জন্য কনটেন্ট তৈরি করেন তাদের সবচেয়ে বেশি আয় হয় ইউটিউবে। ভিডিও শেয়ারিংয়ের এর জনপ্রিয় মাধ্যমটিতে ভিডিও আপলোড করে আয় করা সহজ। সম্প্রতি ইউটিউব ঘোষণা করেছে মাত্র ৫০০ সাবস্ক্রাইবার হলেও চ্যানেল মনিটাইজ করা যাবে। 

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম ইউটিউব থেকে আয়ের পুরোটাই নির্ভর করে দর্শকদের উপর। অর্থাৎ যত বেশি অ্যাডস ভিউস হবে তত বেশি আয়। এছাড়াও ইম্পেশনেও আয় রয়েছে। তবে সেটা কম। 

যারা ইউটিউব চ্যানেল খোলার কথা পরিকল্পনা করছেন তাদের মনে একটাই প্রশ্ন আসতে পারে, কতজন লোক দেখলে কেমন উপার্জন হয়? কিন্তু আয়ের সঠিক অংকাট অনেকের কাছেই অজানা। এদিকে ইউটিউবাররাও তাদের আয়ের অংকটা প্রকাশ্যে আনতে চান না। কত ভিউজ হলে কত টাকা আয় হয় সে কথা জানেন না অনেকেই।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম দর্শকদের মনে একটা ধোঁয়াশা থেকে যায় যে ইউটিউব থেকে কতটা পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। আসলে ইউটিউবের অ্যালগরিদম অনুযায়ী ভিউসের সংখ্যা হাজার পেরোলেই ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব। তবে ভালোমতো উপার্জন করতে হলে কমপক্ষে এক লাখ ভিউ হওয়া দরকার।

প্রতি হাজার ভিউতে ইউটিউবের তরফে ১ থেকে ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে গড় আয় ১৪ ডলার। এখন প্রশ্ন হল, আয়ের পরিমাণ সমান নয় কেন? আসলে ইউটিউবের ভিডিওতে কোন ধরনের অ্যাডস আসছে, তার উপর আয় নির্ভর করে। যদি কোনও ভালো বা দামি ব্র্যান্ডের অ্যাডস দেখানো হয়, তাহলে অন্যান্য অ্যাডসের তুলনায় অনেক বেশি উপার্জন করা যায়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন