পাসপোর্ট হয়েছে কিনা কিভাবে চেক করবে বিস্তারিত জানুন

পাসপোর্ট হলো এমন একটি সরকারি নথি যা একজন ব্যক্তির পরিচয় এবং জাতীয়তার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং তাকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করার অনুমতি প্রদান করে। পাসপোর্টে সাধারণত ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ, ছবি, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য থাকে।

পাসপোর্ট হয়েছে কিনা কিভাবে চেক করবে বিস্তারিত জানুন

এছাড়াও, পাসপোর্টে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের অনুমোদন থাকে, যা বহিরাগত দেশগুলোতে যাতায়াতের সময় বিভিন্ন নিরাপত্তা ও আনুষ্ঠানিকতার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়।

পাসপোর্ট হয়েছে কিনা কিভাবে চেক করবে বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশে পাসপোর্ট আবেদন করার পর আপনার পাসপোর্ট প্রসেসিং করতে হবে কটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা আপনাকে আপনার পাসপোর্টের অবস্থা সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে। স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করা যায়। পাসপোর্ট আবেদন অনুমোদন হয়েছে কিনা তা জানতে, নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন

১অনলাইনে চেক করুন:

বাংলাদেশ সরকারের ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) পোর্টালে গিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।

এই লিংকে যান: Bangladesh e-Passport Status Check।

ওয়েবসাইটে ঢুকে "Check Status" অপশনটি নির্বাচন করুন।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪


আপনার Tracking Number এবং জন্ম তারিখ (Date of Birth) দিন।



২এসএমএস-এর মাধ্যমে চেক করুন:

মোবাইল থেকে SMS এর মাধ্যমে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস জানতে চাইলে, নিচের ফরম্যাটে SMS পাঠান:

MRPT <আপনার Tracking Number>

এটি লিখে পাঠিয়ে দিন 26969 নম্বরে (বাংলাদেশের যেকোনো মোবাইল নম্বর থেকে)।

কিছুক্ষণের মধ্যে একটি SMS এর মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাবেন।

৩পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন:

আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি যে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করেছেন, সেখানে সরাসরি গিয়ে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন।

আপনার Tracking Number এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যান।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

Tracking Number সংরক্ষণ করে রাখুন, এটি পাসপোর্ট চেক করতে প্রতিবার প্রয়োজন হবে।

সাধারণত পাসপোর্ট প্রস্তুত হতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে, তাই স্ট্যাটাস নিয়মিত চেক করতে থাকুন।

পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝব?

আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা তা জানার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ই-পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারেন। পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে যান: বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট খুলুন।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়

  • আবেদন নম্বর বা রসিদ নম্বর প্রবেশ করুন: আপনার পাসপোর্টের আবেদন করার সময় যে রসিদ বা আবেদন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেটি এখানে প্রবেশ করান।
  • স্ট্যাটাস চেক করুন: আবেদন নম্বর প্রবেশ করার পর সিস্টেমটি দেখাবে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা। যদি লেখা আসে “পাসপোর্ট রেডি”, তাহলে আপনার পাসপোর্ট প্রস্তুত।

এছাড়া, আরও সহায়তার জন্য স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা কল সেন্টারে ফোন করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

অনলাইনে কিভাবে পাসপোর্ট দেখা যায়?

পাসপোর্ট চেকিং ওয়েবসাইট epassport.gov.bd ওয়েবসাইটের অ্যাপ্লিকেশন  পেইজ থেকে Online Registration ID অথবা Passport Application ID দ্বারা পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন। এবং পাসপোর্ট এর বিভিন্ন স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানা যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট এর বিভিন্ন স্ট্যাটাস সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনি অন্য কোন দক্ষ ব্যক্তি দ্বারা পাসপোর্ট চেক করে নিতে পারেন। 

পাসপোর্ট আসতে কত দিন লাগে?

বাংলাদেশে সাধারণত নতুন পাসপোর্ট আবেদনের পর পাসপোর্ট আসতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫কার্যদিবস। তবে এটি নির্ভর করে আবেদনকারীর পাসপোর্টের প্রকার এবং আবেদন প্রক্রিয়ার ধরন জরুরি বা সাধারণএর উপর।
  • সাধারণ পাসপোর্ট: ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবস।
  • জরুরি পাসপোর্ট: সাধারণত ৫ থেকে ৭কার্যদিবস।

অনলাইনে পাসপোর্ট ভেরিফাই?

বাংলাদেশে অনলাইনে পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক এবং ভেরিফিকেশন করার সুযোগ রয়েছে। আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে পারেন:

  • ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভেরিফিকেশন করতে পারেন



  • স্ট্যাটাস চেক অপশনটি নির্বাচন করুন:ওয়েবসাইটের হোমপেজে বা মেনুতে "পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক" বা সমজাতীয় অপশন থাকতে পারে। সেটি ক্লিক করুন।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন আপনার পাসপোর্ট আবেদন নম্বর বা রসিদ নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে।
  • স্ট্যাটাস চেক করুন সঠিক তথ্য দিলে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট ফি কত?

আমাদের অসচেতনতা এবং অজ্ঞতার কারণে নতুন পাসপোর্ট করতে দালালের কাসে আমরা নানানভাবে প্রতারিত হই। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে, খুব অল্প টাকায় নিজেরই পাসওয়ার্ডটি বানিয়ে ফেলা যায়।বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের জন্য ফি মূলত আপনার পাসপোর্টের ধরণ ৫ বা ১০ বছর মেয়াদী এবং প্রসেসিং টাইমের ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে ফি গুলি হলো:

৫ বছরের মেয়াদী ই-পাসপোর্টের ফি:

সাধারণ (১৫ কার্যদিবস): ৩,৪৫০ টাকা

তৎকাল (৭ কার্যদিবস): ৫,৭৫০ টাকা

অতি জরুরি (২ কার্যদিবস): ৬,৯০০ টাকা

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট কপি কিভাবে অনলাইনে পেতে পারি

১০ বছরের মেয়াদী ই-পাসপোর্টের ফি:

সাধারণ (১৫ কার্যদিবস): ৫,৭৫০ টাকা

তৎকাল (৭ কার্যদিবস): ৯,২০০ টাকা

অতি জরুরি (২ কার্যদিবস): ১১,৫০০ টাকা

এই ফি পরিবর্তন হতে পারে, তাই আবেদন করার আগে সর্বশেষ তথ্য নিশ্চিত করতে ই-পাসপোর্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে পাসপোর্টের জন্য যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হতে পারে, সেগুলো হলো: 

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (১৮ বছরের বেশি বয়সের জন্য) অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ (১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য)
২. আবেদনকারীর ছবি
  • অনলাইন আবেদনের সময় ছবি আপলোড করতে হতে পারে। এছাড়াও, পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলা হতে পারে।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ প্রয়োজনে
  • কখনো কখনো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র প্রয়োজন হতে পারে। যেমন এসএসসি বা সমমানের সনদ।
৪. পিতা-মাতার পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রয়োজনে
  • ১৮ বছরের নিচে হলে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে হতে পারে।
৫. ঠিকানার প্রমাণপত্র

আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন

  • ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, অথবা হোল্ডিং ট্যাক্স রিসিপ্টের কপি দিতে হতে পারে।
৬. ব্যাংক চালান বা ফি জমাদানের রসিদ
  • পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার রসিদ।
৭. অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি
  • বিয়ে সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এবং বিশেষ ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি।
পাসপোর্ট আবেদনের ধাপ:
১. অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। ২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন। ৩. ফি জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করুন। ৪. নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে সাক্ষাৎ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন