ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায় ২০২৪

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা আয় করার জন্য ফেসবুক বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অফার করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিডিওতে ছোট ছোট বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করা। বিজ্ঞাপনগুলো একটি ভিডিওতে তিন পদ্ধতিতে দেখানো হয়।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা ২০২৪

ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা আয় যদিও পরিবর্তনশীল। কখনো সঠিক উপার্জন কথা বলা না গেলেও কিছু অনুমান করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নিন ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায় একটি আনুমানিক ধারণা।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায় ২০২৪

ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা আয় যদিও পরিবর্তনশীল। কখনো সঠিক উপার্জন কথা বলা না গেলেও কিছু অনুমান করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নিন ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায় একটি আনুমানিক ধারণা।

বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমেঃ একটি মনিটাইজেশন চালু আছে এমন ফেসবুক পেইজ থেকে গড়ে ভিডিওর ১০০০ ভিউ থেকে প্রায় $8-$15 আয় করা যায়। অর্থাৎ যদি আপনার ফেসবুক ভিডিও ১ মিলিয়ন ভিউ হয় তাহলে আপনি $8000 থেকে $15000 আয় করতে পারবেন। 

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় মনে রাখবেন ফেসবুক ভিডিও আয় এর এটি একটি অনুমান মাত্র। উক্ত আয় আপনার বিজ্ঞাপনের এবং ভিউ এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে।

ফ্যান সদস্যতাঃ আপনি যদি ফ্যান সাবস্ক্রিপশন এর জন্য প্রতিমাসে $4.99 আর আপনার যদি ১০০০ জন ফলোয়ার থাকে তাহলে প্রতি মাসে আপনার আনুমানিক ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় হতে পারে $4999 প্রায়।

ফেসবুক ভিডিও থেকে টাকা আয় করার জন্য ফেসবুক বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অফার করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিডিওতে ছোট ছোট বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করা। বিজ্ঞাপনগুলো একটি ভিডিওতে তিন পদ্ধতিতে দেখানো হয়। প্রি রোল বা ভিডিও শুরু হওয়ার আগে। মিড রোল বা ভিডিও মধ্যবর্তী জায়গায়।

পোস্ট রোল বা ভিডিও শেষ হওয়ার পরে। উক্ত বিজ্ঞাপনগুলি কিভাবে আপনার টাকা আয় করতে সাহায্য করে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ফেসবুক ভিডিওতে অ্যাড দেখানোর পূর্বে ফেসবুক কর্তৃক কিছু নিয়ম কানুন আছে যা

আপনাকে কমপক্ষে ৫ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। আপনার ভিডিও গত ৬০ দিনে মোট ৬০ হাজার মিনিট দেখা হতে হবে। আপনার পেজে কমপক্ষে ৫টি রিয়েল ভিডিও থাকতে হবে। যা অন্যদেরকে সহজে আকৃষ্ট করবে।

আপনার পেজের ফলোয়ার আপনাকে মাসিক আয়ের জন্য সরাসরি সাহায্য করে। শুধু টাকা ইনকাম করতে নয় আপনার ভিডিওগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। কোনো সামগ্রী স্পন্সার করতে পারেন। এটি একটি ফেসবুকে টাকা আয় করার জন্য কই লাভজনক হতে পারে। স্পন্সর করলে ব্যান্ড কোম্পানিগুলো খুব বেশি পরিমাণে পেমেন্ট করে।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে আপনার ফ্যান ফলোয়ার কোন ধরনের ভিডিও পছন্দ করছে। এছাড়াও ভিডিও তে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং বেশি ভিউ আসে সেইসব ভিডিও নিয়ে কাজ করলে বেশি আয় করা যায়।

ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা ২০২৪

CPM মানে: প্রতিহাজার ভিউতে বিজ্ঞাপন দাতারা কত টাকা দেয় তা বোঝা যায় । CPC মানে: যখন কোন বিজ্ঞাপনে ভিউয়ার ক্লিক করে তখন কত টাকা পাওয়া যায় তা বোঝা যায় । CTR মানে: কত ভাগ মানুষ বা ভিউয়ার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে তা বোঝা যায় ।

যদি আপনার ফেসবুকে 10000 ফলোয়ার, পাঁচটি ভিডিও এবং সাত দিন এর মধ্যে ৬ লাখ মিনিটের ভিউ থাকে তাহলেই আপনি রিলশ অ্যাড দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই অ্যাড গুলো থেকে যে টাকা আসবে তার ৫৫% আপনি এবং ৪৫ শতাংশ ফেসবুক পাবে। এর আগে facebook রিলশ দেওয়া যেত না।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় শুধু মাত্র ভিডিওতে এড দেওয়া যেত। স্টারস-সম্পত্তি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আই এর নতুন একটি মাধ্যম আনার কথা ঘোষণা করেছেন মেটা।, এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারীর দেখার সময় ষ্টার দিতে পারবে। প্রতি ১০০ টারে ১ ডলার পাবে।

রিলস বোনাস বা প্রোগাম রিলস আসার পর থেকে বাড়িতে বসে থাকে মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের রিলস করার সুযোগ তৈরি করেছে। যার মধ্যে উন্নত একটি উপায় হল স্প্রে বোনাস প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পের মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের কোন ভিডিওতে যদি ৩০ দিনে ১০০০ ভিউ গেলে টাকা দিয়ে থাকে।

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ফেসবুক ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়। একটা ভিডিও তে এক মিলিয়ন ভিউ বা তার বেশি ভিউ মানে অবশ্যই ভিডিওটি অনেক ভাইরাল হয়ে থাকবে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কিন্তু আয় তুলনা মূলক বেশি হয়ে থাকে। এই নিয়মটি ইউটিউবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ইউটিউবেও ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়। আমরা যদি এক মিলিয়ন ভিউয়ের টাকা হিসাব করি। তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ এক লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তবে আমি আগেই বলেছি যে ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়ে থাকে। এটি আমি একটি আনুমানিক হিসাব আপনাদের সামনে পেশ করলাম।

ফেসবুক পেজর মাধ্যমে আয়: ফেসবুক পেজে আপনি ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ চালিয়ে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় আবার স্পনসরড পোস্টের মাধ্যমে আপনি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রমোট করে আয় করতে পারেন। এ ছাড়াও মার্কেটপ্লেস আপনার পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আয়: আপনি একটি বিশেষজ্ঞ গ্রুপ তৈরি করে সেখানে সদস্যদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন।আবার এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট গ্রুপের সদস্যদের জন্য বিশেষ কনটেন্ট প্রদান করতে পারেন এবং এর জন্য ফি নিতে পারেন।

ফেসবুক অ্যাডস: আপনার নিজস্ব পণ্য বা সেবা প্রমোট করার জন্য ফেসবুক অ্যাডস ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে সরাসরি বিক্রি বা ক্লিক-পে-কস্ট (CPC) মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক লাইভ: লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ফ্যানদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এবং ডোনেশন, সুপার চ্যাটস (ফেসবুকের মেটা প্ল্যাটফর্মে) বা ব্র্যান্ড স্পনসরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। 

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: বিভিন্ন ধরনের পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যখন আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে কেউ কিছু কিনবে, আপনি কমিশন পাবেন।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও সেলদ: আপনি যদি বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে কোনো বিষয়ে ইবুক, কোর্স, বা টিউটোরিয়াল তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন বা নিজস্ব ডিজাইন করা পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক অ্যাড ব্রেকিং: ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে অ্যাড ব্রেকিং করে প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪

ফেসবুক মনিটাইজেশন থেকে আয় করার জন্য আপনাকে কয়েকটি শর্ত পূরন করতে হবে এবং একই সাথে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

আজকের পর্বে আমি আলোচনা করবো কি কি শর্ত পূরনের মাধ্যেমে আপনি আপনার ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে পারবেন এবং তা থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন।

আপনারা হয়তবা ইতি মধ্যে অবগত হয়েছেন ইউটিউবের মতো ফেসবুক মনিটাইজেশন থেকে ও আয় করা সম্ভব। তবে ফেসবুক মনিটাইজেশন এর কথা শুনে ভয় পাবার কিছুই নেই।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় কেননা মনিটাইজেশন এর কথা বলতেই আমাদের মনে পড়ে যায় ইউটিউবে ৪০০০ ঘন্টার মতো ওয়াচ টাইম এর কথা। কিন্তু ফেসবুক থেকে আয় এর জন্য ইউটিউবের মতো এত কঠিন শর্ত পূরনের প্রয়োজন নেই।

ফেসবুক ইউটিউব এর মত অনেক জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলেও, ভিডিও এর ক্ষেত্রে ইউটিউব এর তুলনায় ফেসবুক একেবারেই নতুন। আর তাই মনিটাইজেশনের শর্ত ও ইউটিউবের তুলনায় ফেসবুকে তুলনা মুলক অনেক সহজ।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় ইউটিউব এর মতো ফেসবুকে ও মনিটাইজেশনের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উক্ত শর্ত গুলো পূরন করতে হবে।

ইউটিউবে যেমন চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবারের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি ফেসবুকেও এমন শর্ত রয়েছে। তবে সুবিধা এটাই যে উক্ত শর্ত সমুহ ইউটিউবের মতো এত কঠিন নয়।

In-stream ads Fan subscriptions Stars Brand Collabs Manager তবে এই মূহুর্তে In-stream ads এবং Brand Collabs Manager এই দুটি মনিটাইজেশন সুবিধা চালু রয়েছে। নিচে In-stream ads এবং Brand Collabs Manager মনিটাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় আপনারা হয়তবা দেখে থাকবেন ফেসবুকে ভিডিও প্লে করার সময় ৬ থেকে ১২ সেকেন্ডর বিজ্ঞাপন প্রচার হয়ে থাকে। সেটাই মূলত In-stream ads নামে পরিচিত।

ইউটিউবের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ভিডিও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়ে থাকে। তবে ইউটিউব থেকে এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ইউটিউবে বেশির ভাগ বিজ্ঞাপন Skip করার অপশন থাকে যার কারনে বিজ্ঞাপনের সম্পূর্ন অর্থ পাওয়া যায় না।

কিন্তু ফেসবুকে বিষয়টি তেমন নয়। ফেসবুকে ভিডিও বিজ্ঞাপন গুলো Skip করার কোন অপশন না থাকায় ব্যবহারকারীকে স্বাভাবিক ভাবেই সম্পূর্ন বিজ্ঞাপনটি দেখতে হয়। যার দরুন বিজ্ঞাপনের সম্পূর্ন অর্থই পাওয়া যায়।

Page Age Followers 1-minute views of 3-minute videos আপনি পেজ তৈরি করেই তা মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে পেজের বয়স কমপক্ষে ৩ মাস হতে হবে।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় অর্থাৎ পেজ তৈরি করার ৩ মাস পূর্বে আপনার পেজ যতই জনপ্রিয় হোক না কেন তা মনিটাইজেশনের জন্য ELIGIBLE হবে না।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় In-stream ads এর মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করতে পেজেটিতে কমপক্ষে ১০,০০০ (দশ হাজার) ফলোয়ার থাকতে হবে।

ফেসবুকের পেজ লাইক আর ফলোয়ার এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অনেকে লাইক এবং ফলোয়ার বিষয়টাকে একই জিনিস মনে করেন। কিন্তু আদোতে বিষয়টা মোটেও এক নয়।

যদিও কেউ পেজে লাইক করলে সয়ংক্রিয় ভাবে তা ফলোয়ার হিসাবেও কাউন্ট হয়। তবুও পেজ লাইক এর চেয়ে ফলোয়ার তৈরি করা তুলনামুলক ভাবে অনেক সহজ।

কোন একজন ভিজিটর যদি নিজে থেকে আপনার পেজের লাইক বাটনে ক্লিক করে তাহলে আপনার পেজে একটি লাইক এবং একই সাথে একজন ফলোয়ার কাউন্ট হবে।

তবে ফেসবুক লাইক না বৃদ্ধি করেও শুধুমাত্র ফলোয়ার বৃদ্ধি করা সম্ভব। যেমন আপনি যদি আপনার পেজ দ্বারা কোন একটি পোষ্টে কমেন্ট করেন। তাহলে সেই পোষ্টে ক্লিক করে যত সংখ্যাক ভিজিটর আপনার পেজটি ভিজিট করবে ঠিক ততো সংখ্যাক ফলোয়ার আপনার পেজে কাউন্ট হবে।

অর্থাৎ তারা আপনার পেজটি লাইক না করলেও আপনার পেজের ফলোয়ার হিসাবে কাউন্ট হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন পেজ লাইক এর চেয়ে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা তুলনামুলক ভাবে অনেক সহজ একটি কাজ।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার নিয়ম

তবে বর্তমানে সামগ্রিকভাবে ফেসবুকে অর্থ উপার্জন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনকার একটি পেজের কোনো অর্গানিক পোস্টের গড় রিচ সাধারণত মোট ফলোয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালেও যেটি ছিল ৭ শতাংশ। আর যারা বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সর করা বিষয়ের মাধ্যমে পে-টু-প্লে করেন; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিচ আরও হ্রাস পেয়ে যায়।

তবে ভালো খবর এই যে, ফেসবুক তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের জন্য নতুন এবং চমৎকার কিছু উপায় তৈরি করছে। যদিও সেগুলো মূলত উদ্যোক্তা এবং ফেসবুকে বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার আছে এমন সব পেজের জন্য।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় আপনার যদি বেশ ভালো সংখ্যক ফলোয়ারযুক্ত পেজ থাকে এবং সেখান থেকে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে চান অথবা বিদ্যমান কোনো ব্যবসার জন্য আরও গ্রাহক পেতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ৬টি উপায়। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনাকে যেসব প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে।

প্রথমত, ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। এগুলো হলো প্ল্যাটফর্মের একবারে মৌলিক নিয়ম। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিভৎস বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু পোস্ট করা যাবে না।

দ্বিতীয়, পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি। এই নিয়মগুলো সামগ্রিকভাবে আপনার ফেসবুক পেইজের জন্য। সেইসঙ্গে আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট কীভাবে তৈরি করেন এবং শেয়ার করেন সেগুলোর জন্য। এ ছাড়া আপনি কীভাবে অনলাইনে অর্থপ্রদান করেন এবং গ্রহণ করেন তার জন্য।

সবশেষে রয়েছে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। এগুলো বিশেষত কনটেন্ট সম্পর্কিত নিয়ম। যা আপনার পোস্ট করা প্রতিটি কনটেন্টের জন্য প্রযোজ্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো হিংসাত্মক বা অনিরাপদ কনটেন্ট আপলোড না দেওয়া।

আপনার মনিটাইজেশনের যোগ্যতা যাচাই করতে আপনার ফেসবুকের ক্রিয়েটর স্টুডিওতে যান। সেখানে মনিটাইজেশন ট্যাবে ক্লিক করুন। কোনো পেজের জন্য আপনার মনিটাইজেশনের যোগ্যতা দেখতে চান তা নির্বাচন করুন। এ ছাড়া সেখানে আপনাকে পেজ সম্পর্কে মনিটাইজেশনের অন্যান্য তথ্যও দেওয়া থাকবে।

একবার যদি আপনি ফেসবুকে কনটেন্ট মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য হয়ে যান। তারপর আপনার আয় নিয়মিত বজায় রাখতে সেই যোগ্যতা ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

এর জন্য নিয়মিতভাবে প্লাটফর্মের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডগুলো পর্যালোচনা করুন, উচ্চমানের কনটেন্ট দিয়ে ডোমেইন পরিষ্কার রাখুন এবং কনটেন্ট পোস্ট করার অধিকারটি নিশ্চিত রাখুন। যদি কোনো কারণে আপনার পেইজটি অযোগ্য হয়ে যায়। 

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় তাহলে ফেসবুক আপনাকে আপনার ক্রিয়েটর স্টুডিওতে মনিটাইজেশন ট্যাবের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে কী কারণে আপনি আর যোগ্য নন সেটিও তারা জানিয়ে দেবে।

ভিডিওর মধ্যে থাকা বিজ্ঞাপন কিংবা ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনগুলো বেশ চমৎকারভাবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যখন একজন ব্যবহারকারী একটি ফেসবুক ভিডিও দেখতে থাকেন। তখন যদি ভিডিওটির মধ্যে একটি বিজ্ঞাপন আসে; তাহলে বিজ্ঞাপনটি দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। 

এর কারণ তার মূল ভিডিওটির বাকি অংশ দেখার আগ্রহ, তাই তিনি ওই ভিডিওটি দেখতে থাকেন। তাই এটি ফিডের একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপনের চেয়ে কার্যকর। কারণ ব্যবহারকারীদের ফিডের স্বতন্ত্র বিজ্ঞাপন এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়

বর্তমান সময়ে আমরা ফেসবুক সকলেই ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুক খুবই জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ প্লাটফর্ম। বর্তমানে সবাই আমার ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে থাকি। 

যদি আমরা ব্যস্ততার মাঝে থাকি তবুও একটু সময় পেলে আমরা ফেসবুক ব্যবহার করি। আর ফেসবুক এতই জনপ্রিয় যে খুব কম মানুষই আছে যারা ফেসবুক ব্যবহার করেনা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়।

আজকের আর্টিকেলটি মূলত ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এই বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে। আজকে আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়। 

ফেসবুক সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন। তো আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান আর ফেসবুক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকে আর্টিকেল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ফেসবুকে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক চার ই ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুকের সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফেসবুকে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এখান থেকে আপনারা বিভিন্ন রকম ভাবে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুকের পূর্বসূরী সাইট ফেসম্যান যেটি মার্ক জুকারবার্গ ২৮ অক্টোবর ২০০৩ সালে তৈরি করেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এটা আমরা অনেকে জানি না। আবার অনেকেই ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকি। আপনারা যারা জানেন না ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম হয় তারা অনেকেই অবাক হবেন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে। আসলে ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব।

বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। facebook থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা জানি না কোন কোন মাধ্যম গুলোকে বা কি ভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় যে কারণে আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি না। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে কয়েকটি সহজ টেকনিক নিম্ন উল্লেখ করা হলো।

বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায়, তার মধ্যে ফেসবুক পেজ তৈরি করা অন্যতম। কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন নিচে তুলে ধরা হলো। একটা পেশাদার ফেসবুক পেজ থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকারও বেশি আয় করা সম্ভব, যদি আপনি নিয়ম মেনে কাজ করেন। 

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে রয়েছে নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো। ইন স্ট্রিম অ্যাড অ্যাড অন রিলস পণ্যের প্রচার-প্রচারণা ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করা গ্রুপ পরিচালনা ফলোয়ারদের মাধ্যমে টাকা আয়

পেজ বা বিভিন্ন গ্রুপে প্রোডাক্ট এর প্রচার ফেসবুক ফলোয়ারদের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি পেইড ইভেন্ট তৈরি করা Subscription তৈরি করা ফেসবুকে মার্কেটিং করা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন বিজনেস দাড় করানো ইত্যাদি

তবে অধিকাংশ মানুষ, ফেসবুকের জন্য ভিডিও তৈরি করে টাকা আয় করার চেষ্টা করে থাকে। যেটা খুবই কার্যকরী একটা উপায়। আপনিও চাইলে ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন। 

বিভিন্ন রকমের শিক্ষনীয় ভিডিও থেকে শুরু করে, বিনোদনমূলক ভিডিও, রান্নাবান্নার ভিডিও, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল স্টোরি টেলিং ধরনের ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। যার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়।

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়? যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনাকে বলতে চাই, আপনার ফেসবুকে যতো ফলোয়ার থাকুক না কেন আপনি টাকা পাবেন না।

ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে আপনাকে ফেসবুক মনিটাইজেশন অন করতে হবে। আর কিভাবে ফেসবুক মনিটাইজেশন অন করবেন সেই বিষয়ে আজকে আমারা বিস্তারিত জানব।

অনেকের দেখা যায় ফেসবুকে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার রয়েছে কিন্তু তারা ফেসবুকের পলিসি মেনে ভিডিও আপলোড করেন না তাই তারা মনিটাইজেশন পান না।

যদি আপনার ফেসবুক ভিডিওতে ভিউ আসা শুরু হয়ে থাকে তাহলে এই ভিডিও থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। ফেসবুক থেকে আয় করার রয়েছে অনেক পদ্ধতি। তাই ক্রিয়েটররা একবার ফেসবুকে ঢুকে গেলে এখান থেকে লিভ না নিয়েই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।।

যদি আপনি জানতে চান এবং শিখতে কিভাবে ফেসবুক মনিটাইজেশন অন করতে হয় তাহলে আপনি একদম সঠিক যায়গায় এসেছেন। আজকে আমি স্টেপ বাই স্টেপ শিখিয়ে দেব কিভাবে ফেসবুক মনিটাইজেশন অন করতে হয় যদি আপনি ফেসবুকে লাইভ, রিলস ভিডিও অথবা লং ভিডিও শেয়ার করে থাকেন।

আপনাকে অবশ্যই ফেসবুকের পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি মেনে ভিডিও আপলোড করতে হবে। অরিজিনাল ভিডিও হতে হবে। কপি পেস্ট করা যাবে না।

ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য ফলোয়ার জরুরি কিন্তু মনিটাইজেশন অন করতে না পারলে আয় হবে না। আরেকটা অপশন হল Subscription এর মাধ্যমে আয়। এটি অন করার জন্য দরকার ১০০০০ ফলোয়ার।

আশা করছি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি যে ফেসবুকে যতই ফলোয়ার থাকুক না কেন টাকা পাবেন না। টাকা পেতে অন করতে হবে মনিটাইজেশন।

ফেসবুকে রয়েছে অনেক ধরনের মনিটাইজেশন পদ্ধতি আর এক একটার জন্য আলাদা আলাদা ক্রাইটেরিয়া। এবং এই ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ি নির্দিষ্ট পরিমান ফলোয়ার দরকার।

কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায়

আমরা যারা ফেসবুক ইউজার তারা প্রায় প্রতিদিনই কিছুক্ষণ পর পর একবার করে হলেও ফেসবুকে ঢু মারি। পোস্ট করি, মিম দেখি, রিয়েক্ট করি, শেয়ার করি এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে চ্যাটিং এ আড্ডাও দেই।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় এখন আমি আপনাদের সামনে কিছু মাধ্যম বা পদ্ধতি তুলে ধরবো যেগুলোর মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায়

আপনি যদি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে ফেসবুকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে, তারপর সেই একাউন্ট থেকে ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। পেজ ক্রিয়েট করার পর সেটাকে সুন্দর করে কাস্টমাইজ করতে হবে, যাতে ভিউয়ারসরা আপনার কন্টেন্টের উপর আকৃষ্ট হয়।

এরপর থেকে নিয়মিতভাবে ভিডিও বা আপনার কন্টেন্ট আপলোড করা শুরু করতে হবে, প্রতিদিন অন্তত ১ টা বা ২ টা ভিডিও বা কন্টেন্ট আপলোড করতেই হবে। অতঃপর ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করার চেষ্টা করুন, তারপর ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন।

ফেসবুক মনিটাইজেশন হয়ে গেলে ফেসবুকের এডগুলো আপনার ভিডিও বা কন্টেন্টগুলোতে সংযোগ করুন। আপনার কন্টেন্ট মনিটাইজেশন করার পর ব্যাংক একাউন্টের পেমেন্ট এড্রেসটি সংযোগ করে দিবেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় এরপর থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার ফেসবুক কন্টেন্টের দ্বারা প্রতিদিন ঘন্টা প্রতি ওয়াচ টাইম বা ভিউয়ারসের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আবার আপনি চাইলে আপনার পন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটাও ঘরে বসেই করে ফেলতে পারেন। কিন্তু এইসব করার আগে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর নিম্নোক্ত তিনটি দিক ভালো মতো নজরে রেখে মেইনটেইন করতে হবে।

ফেসবুক পেজঃ পন্যের মার্কেটিং এর কাজ সম্পন্ন করতে হলে উক্ত পন্য সম্পর্কিত একটা প্রফেশনাল পেজ থাকতে হবে যেটাকে আপনি অফিসিয়াল বিজনেস পেজ হিসেবে রাখবেন। যাতে মানুষ আপনার পন্যের সঠিক অবস্থান এবং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারে এবং আপনার পন্যের উপর আস্থা রাখতে পারে।

ফেসবুক গ্রুপঃ ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে অনেক মানুষই নিজের মন্তব্য বা তাদের ব্যবহৃত পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন রিভিও বা ফিডব্যাক দিয়ে থাকে। 

এক্ষেত্রে আপনিও আপনার পন্য সম্পর্কিত একটা গ্রুপ খুলে ফেলতে পারেন, এতে করে আপনি আপনার গ্রাহকদের মন্তব্য গুলো ফলো করে তাদের চাহিদা মতো পন্য সরবরাহ করতে পারেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন। এটা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।

ফেসবুক অ্যাডঃ ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই পন্যের গ্রাহক খুঁজে পাবেন। আপনি কোন ধরণের গ্রাহক চান, তাদের বয়স কত হবে, তারা কোন শহরের বাসিন্দা হবে, কোন দেশের নাগরিক হবে এবং তারা উক্ত পন্যগুলো কিনতে ইচ্ছুক কিনা সহ সব ধরণের কাস্টমাইজ করে আপনি আপনার পন্যে অ্যাড সংযোগ করতে পারেন।

এই তিনটি দিক থেকে যেকোনো একটার যদি অনুপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে আশানুরূপ ফলাফল নাও পেতে পারেন। আর যদি এই তিনটি দিকই ভালোভাবে মেইনটেইন করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন না, বলুন?

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে প্রতি সেকেন্ডে পাঁচটি করে নতুন একাউন্ট ক্রিয়েট হচ্ছে। সুতরাং এর চেয়ে বড় প্লাটফর্ম বোধহয় আর নেই যেখান থেকে আপনি কোনো ইনভেস্ট ছাড়াই ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় এখান থেকে আপনি আপনার অডিয়েন্স বেছে নিতে পারেন, তাদেরকে ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরণের কাজ হাসিল করে নিতে পারেন।

আপনাকে শুধু যেটা করতে হবে সেটা হলো তাদের মন জুগিয়ে চলা এবং তাদের আনন্দ দেওয়া বা এন্টারটেইন করা। তার পাশাপাশি এটারও খেয়াল রাখা যাতে তাদের উপকার হয় এমন কিছু কন্টেন্ট আপনি তাদেরকে দিতে পারছেন এবং তারা সেটাকে পজিটিভ্লি নিচ্ছে।

ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করার উপায়

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। শুধুই কী তাই! এর বাইরে ফেসবুকে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা।

এছাড়াও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে প্রকাশের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে আয়ের নতুন পথ। বর্তমানে বিশ্বের ৩২টি দেশের ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে এই সুবিধা পাচ্ছেন।

অ্যাড ব্রেকস এর অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞাপন বিরতি। মনে করেন, আপনি ফেসবুকে কোন ভিডিও দেখছেন। ভিডিও এর মাঝে হঠাৎ করে ১০-১৫ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন চলে আসলো। 

কিংবা ভিডিও এর নিচে একটি অ্যাপস ডাউনলোডের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনদাতা থেকে ফেসবুকের আয়ের ৫৫ ভাগ জমা হবে ভিডিও প্রকাশকারীর অ্যাকাউন্টে। বর্তমানের বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ভিডিওতে এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় একটি ফেসবুকে পেইজে লেখা, ছবি, ভিডিওসহ নানা রকমের কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়। সে সব কনটেন্টের বিস্তারিত জানা যায় ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিওতে। 

এই ক্রিয়েটর স্টুডিও (www.facebook.com/creator/studio) এর ভিডিও সেকশনে ভিডিও আপলোডের সময় অ্যাড ব্রেকস নির্বাচন করতে হবে। এসময় আপনি বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য দু’টি অপশন দেখতে পাবেন। এর একটি হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় নির্বাচন পদ্ধতি অন্যটি পছন্দের পদ্ধতি। 

স্বয়ংক্রিয় নির্বাচন পদ্ধতিতে ফেসবুক তার ইচ্ছামত সময়ে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে। আর পছন্দের ক্ষেত্রে আপনি ৬০ ও ১২০ সেকেন্ডের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে পূর্বের ভিডিওতে অ্যাড ব্রেকস চালু করতে ভিডিও এর এডিট অপশনে গিয়ে ডান দিকের মেনু থেকে অ্যাড ব্রেকস নির্বাচন করতে হবে।

ফেসবুক পেইজের লাইভ ভিডিওতে অ্যাড ব্রেকস সুবিধা রয়েছে। এজন্য লাইভ ভিডিও কমপক্ষে ৪ মিনিট হতে হবে। একই সঙ্গে ভিডিওটি কমপক্ষে ৩০০ জনকে দেখতে হবে।

আমরা অনেকেই ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজে অনেক ভিডিও পোস্ট করি। এসব ভিডিও মানুষ অসংখ্যবার দেখছেন, মন্তব্য করবেন। এ থেকে আয় করা সম্ভব। ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে কী উপায়ে আয় করা যায়

ইউটিউবের ক্ষেত্রে প্রথমেই একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। জিমেইল ব্যবহার করে ইউটিউবে লগইন করে চ্যানেল তৈরি করা যায়। ফেসবুকে নিজস্ব একটি পেজ তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনার কনটেন্টগুলো প্রদর্শিত হবে। এসব করার জন্য আপনার বয়স অন্তত ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।

ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলেই সেখান থেকে টাকা আসবে, বিষয়টি এমন নয়। সে জন্য আপনার অ্যাকাউন্টটি মোনিটাইজেশন হতে হবে। মূলত এটি হচ্ছে— ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে অর্থ আয়ের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়া। চাইলেই এ মোনিটাইজেশন করা যায় না।

ইউটিউবের ক্ষেত্রে আপনাকে ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে চ্যানেলের অন্তত ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকবে হবে। সর্বশেষ ১২ মাসে চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওর ভিউ অন্তত ৪০০০ ঘণ্টা হতে হবে। ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকতে হবে।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় বিশেষ করে দেখা হবে এগুলো আসল নাকি কোথাও থেকে নকল করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ফেসবুক মনিটাইজেশন খুলে দেবে, আপনি বিজ্ঞাপন পাবেন এবং সেটা পছন্দমতো স্থানে বসাতে পারবেন।

আবার কোন পাতা হয়তো ৩০ হাজার লাইক নিয়ে মনিটাইজেশন পেয়েছে। এটা আসলে নির্ভর করে তারা ফেসবুকের শর্তগুলো কতটা ভালোভাবে পূরণ করতে পারছে। জেনে রাখা বলা, ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে পেজ থেকে ভিডিও আপলোড করতে হবে। প্রোফাইল থেকে পাবলিশ করা হলে মনিটাইজেশনের জন্য গণ্য হবে না।

চ্যানেলের মোট কতজন সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন, সেটা ততোটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, যদি তারা চ্যানেলটি নিয়মিত না দেখেন। কারণ চ্যানেলের আয় নির্ভর করে বিজ্ঞাপনের ওপর। চ্যানেলের ভিউ যত বাড়বে, চ্যানেলটি ইউটিউব থেকে ততো বেশি বিজ্ঞাপন পেতে শুরু করবেন আর আয় ততো বাড়বে।

10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়

বর্তমান ডিজিটাল যুগের সামাজিক মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক।আর ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করার বিষয়টি অনেকেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। 

তবে, ফেসবুকে ভিউ ও আয় সম্পর্কিত বিষয়টি কেমন, তা বোঝা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানানোর চেষ্টা করব কি ভাবে ফেসবুকে ভিউ থেকে আয় করা যায় বা আয় করার জন্য কতটা ভিউ প্রয়োজন।

ভিডিও: ভিডিওতে একটি ভিউ গননা তখনি করা হয় যখন কেউ আপনার ভিডিওটি ৩ সেকেন্ড বা তার থেকে বেশি সময় ধরে দেখে। ছবি বা পোস্ট: ছবির বা পোস্টের ক্ষেত্রেও ভিউ বলতে বোঝায় কতজন ব্যক্তি বা ব্যবহারকারী আপনার ছবিটি বা পোস্টটি তাদের নিউজ ফিডে দেখেছে।

CPM মানে: প্রতিহাজার ভিউতে বিজ্ঞাপন দাতারা কত টাকা দেয় তা বোঝা যায় । CPC মানে: যখন কোন বিজ্ঞাপনে ভিউয়ার ক্লিক করে তখন কত টাকা পাওয়া যায় তা বোঝা যায় । CTR মানে: কত ভাগ মানুষ বা ভিউয়ার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে তা বোঝা যায় ।

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ফেসবুক ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়। একটা ভিডিও তে এক মিলিয়ন ভিউ বা তার বেশি ভিউ মানে অবশ্যই ভিডিওটি অনেক ভাইরাল হয়ে থাকবে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কিন্তু আয় তুলনা মূলক বেশি হয়ে থাকে। এই নিয়মটি ইউটিউবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ইউটিউবেও ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়। আমরা যদি এক মিলিয়ন ভিউয়ের টাকা হিসাব করি। তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ এক লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তবে আমি আগেই বলেছি যে ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়ে থাকে। এটি আমি একটি আনুমানিক হিসাব আপনাদের সামনে পেশ করলাম।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় ফেসবুক পেজর মাধ্যমে আয়: ফেসবুক পেজে আপনি ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ চালিয়ে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন।

আবার স্পনসরড পোস্টের মাধ্যমে আপনি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রমোট করে আয় করতে পারেন। এ ছাড়াও মার্কেটপ্লেস আপনার পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আয়: আপনি একটি বিশেষজ্ঞ গ্রুপ তৈরি করে সেখানে সদস্যদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন।আবার এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট গ্রুপের সদস্যদের জন্য বিশেষ কনটেন্ট প্রদান করতে পারেন এবং এর জন্য ফি নিতে পারেন।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: বিভিন্ন ধরনের পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যখন আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে কেউ কিছু কিনবে, আপনি কমিশন পাবেন।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও সেলদ: আপনি যদি বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে কোনো বিষয়ে ইবুক, কোর্স, বা টিউটোরিয়াল তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন বা নিজস্ব ডিজাইন করা পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক অ্যাড ব্রেকিং: ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে অ্যাড ব্রেকিং করে প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন