ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকামের পদ্ধতি ২০২৪
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম বর্তমানে বাড়িতে বসে থেকে খুব সহজে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ থেকে আপনি একাধিক উপায়ে টাকা আয় করতে পারেন। ফেসবুক থেকে আপনি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে বা অন্যদের বিভিন্ন সেবা দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ ।ফেসবুক থেকে ঘরে বসে খুব সহজে ভিডিও বানিয়ে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকামের পদ্ধতি ২০২৪
ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পেজের মালিকরা তাদের কনটেন্ট থেকে অর্থ আয় করতে পারেন। এই প্রক্রিয়াটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে ভিডিও, লাইভ স্ট্রিম, ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এবং ব্র্যান্ডেড কনটেন্টের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ দেয়।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এ আয়ের সুযোগ প্রদান করে, যার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের পেজে তৈরি কনটেন্টের জন্য বিজ্ঞাপনী আয় পান।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম আপনার পেজ মনিটাইজ হলে, ভিডিওর শুরু, মাঝখানে বা শেষে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম এটি ইন-স্ট্রিম এডস নামে পরিচিত এবং এর মাধ্যমে আপনার আয় হবে। ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করার অন্যতম সহজ পদ্ধতি।
ফেসবুকের নতুন ফিচার “Ads on Reels” হলো একটি সুযোগ, যা আপনাকে ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে দেয়। রিলস হল ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের কম দৈর্ঘ্যের ভিডিও।
যদি আপনি নিয়মিত এই ধরনের ভিডিও আপলোড করেন, তাহলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই বিজ্ঞাপন অপশনটি সক্রিয় করে দেবে। এর ফলে, আপনার রিলস ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন যুক্ত হবে এবং আপনি সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন।
এরপর আপনার রিল ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন যুক্ত হবে, এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে হওয়া আয় সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। প্রতিটি ভিডিওতে যত বেশি ভিউ হবে, তত বেশি আয় হবে, এবং ১০০ ডলার পূর্ণ হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে।
আপনি যদি Facebook-এর শর্তাবলী পূরণ করেন এবং "যোগ্য" বলে বিবেচিত হন, তাহলে ক্রিয়েটর স্টুডিও থেকে ইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপনগুলি সক্ষম করা যেতে পারে৷ এই ক্ষেত্রে, Facebook আপনার নির্দিষ্ট ভিডিওতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা ম্যানুয়ালি ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন যোগ করবে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম জেনে রাখা ভালো, ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনকে বিজ্ঞাপনের ধরন এবং প্রদর্শনের সময়ের উপর ভিত্তি করে তিনটি বিভাগে ভাগ করা যায়। তারা হল:
প্রি রোল বিজ্ঞাপন: ফেসবুকে ভিডিও শুরু হওয়ার ঠিক আগে যে বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শিত হয় তাকে প্রি রোল বিজ্ঞাপন বলা হয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপন সাধারণত স্বল্প সময়ের হয়।
নতুন অবস্থায় প্রি-রোল বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো। এর কারণ হল অনেক দর্শক মূল ভিডিও শুরু হওয়ার আগে শুরুর বিজ্ঞাপনগুলি দেখে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। কিন্তু, পরে যখন লোকেরা আপনাকে চিনবে, তখন এই ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে দর্শকদের ধৈর্য ভাঙার সম্ভাবনা কম।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম মিড-রোল বিজ্ঞাপন: ভিডিও চলাকালীন প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলিকে মিড-রোল বিজ্ঞাপন বলা হয়। এই বিজ্ঞাপনগুলি হঠাৎ করেই টিভি বিজ্ঞাপনের মতো আসে।
ছবি বিজ্ঞাপন: এই ধরনের বিজ্ঞাপন চিত্র কেন্দ্রিক। এই ক্ষেত্রে, একটি বিজ্ঞাপন চিত্র বা ব্যানার প্রধান ভিডিও নীচে প্রদর্শিত হয়. আপনি যদি আপনার ভিডিওর শুরুতে বা মাঝখানে ভিডিও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে না চান, তাহলে আপনি এই ধরনের ছবি ভিত্তিক ফেসবুক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি আপনার ভিডিওতে কি ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবেন এবং Facebook থেকে আয় করবেন তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের এই স্বাধীনতা ভিডিও নির্মাতাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে অর্থ উপার্জন করা কি ভাল? নাকি ফেসবুক?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউটিউবের চেয়ে ভিডিও আপলোড নগদীকরণের জন্য ফেসবুক ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনগুলি বেশি লাভজনক। কারণ, ইউটিউবে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলি দেখার 2-3 সেকেন্ড পরে বাদ দেওয়া যেতে পারে। এই ভিডিও নির্মাতারা সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপনের টাকা পান না।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম কিন্তু এ ধরনের বিজ্ঞাপন এড়াতে ফেসবুকের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই দর্শক পুরো ভিডিওটি দেখতে বাধ্য হয় এবং ভিডিও নির্মাতা পুরো বিজ্ঞাপনের অর্থ উপার্জন করতে পারে।
এছাড়াও, যেহেতু ফেসবুক অনেক লোকের বাড়ি, তাই এখানে একটি ভিডিও আপলোড করার পরে একটি প্রচার চালানোও খুব সহজ। তাই ভিডিওটির দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম অন্যদিকে, ইউটিউবে একটি ভিডিও প্রকাশ করার জন্য আপনাকে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুকে লিঙ্কটি শেয়ার করতে হবে। তাই অবশ্যই ইউটিউবের চেয়ে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আয় করা সহজ।
আপনি যদি আপনার পৃষ্ঠায় অন্য কারোর YouTube ভিডিও প্রকাশ করেন, তবে Facebook তা অবিলম্বে সরিয়ে দেবে না। কারণ আপনার ভিডিও অন্য প্ল্যাটফর্ম থেকে কপি করা হয়েছে কিনা তা বোঝার ক্ষমতা ফেসবুক রোবটের নেই।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম কিন্তু, যদি কেউ সেই ভিডিওটি রিপোর্ট করে, তাহলে তা যাচাই-বাছাই করা হবে এবং প্রমাণিত হলে, আপনার পৃষ্ঠা মাসিক বা সারাজীবনের জন্য নগদীকরণ বা ইন-স্ট্রীম বিজ্ঞাপনের সুবিধা হারাবে।
শুধু তাই নয়, সেই ফেসবুক পেজে ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্জিত আগের অর্থ বাজেয়াপ্ত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। ফেসবুকে অনেক নিউজ শেয়ারিং পেজ আছে। তারা নিয়মিত বিভিন্ন নিবন্ধের লিঙ্ক প্রকাশ করে। লিঙ্ক প্রচার করে এমন ওয়েবসাইটগুলির আয়ের একটি প্রধান উৎস হল ফেসবুক বিজ্ঞাপন।
আপনি যদি তাদের প্রচারিত লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করেন তবে আপনি নিবন্ধগুলির সাথে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এই সমস্ত বিজ্ঞাপন ফেসবুক নিজেই পরিবেশন করে। ওয়েবসাইট মালিকরা এই বিজ্ঞাপন প্রচার করে একটি ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন.
ওয়েবসাইট নিবন্ধগুলিতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে Facebook থেকে অর্থ উপার্জন করার এই প্রোগ্রামটিকে "ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্রোগ্রাম" বলা হয়। Facebook ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্রোগ্রামের একটি মজার দিক হল যে আপনাকে অর্থোপার্জনের জন্য "কোথায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে" নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। স্বয়ংক্রিয় ফেসবুক বিজ্ঞাপন বসানো.
"Facebook Instant Articles" প্রোগ্রাম দ্বারা আচ্ছাদিত ওয়েবসাইট পৃষ্ঠাগুলি দেখতে অনেকটা Google-এর AMP পৃষ্ঠাগুলির মতো AMP ওয়েবপৃষ্ঠাগুলি দ্রুত লোড হয়, এই ওয়েবপৃষ্ঠাগুলিও দ্রুততর হয় এছাড়াও, এই পৃষ্ঠাগুলিতে প্রচুর বিজ্ঞাপন রয়েছে৷
প্রথমত, তাত্ক্ষণিক নিবন্ধ প্রোগ্রামে যোগদান করার জন্য, আপনার অনন্য নিবন্ধ সহ একটি ওয়েবসাইট, একটি ফেসবুক পৃষ্ঠা এবং একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন৷ বলে রাখা ভালো যে নিয়মিত লেখাগুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত। ফেসবুক সাধারণত অনিয়মিতভাবে নিবন্ধ প্রকাশ করে এমন ওয়েবসাইটগুলিকে প্রোগ্রামে যোগদানের অনুমতি দেয় না।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম এইভাবে Facebook থেকে অর্থ উপার্জন করতে, প্রথমে আপনাকে Facebook Instant Articles দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। তারপর প্রোগ্রামে আপনার ওয়েবসাইট যুক্ত করার জন্য আবেদন করতে তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে কি না তা জানাতে তারা সাধারণত প্রায় 3 দিন সময় নেয়। আবেদনটি একবার গৃহীত হলে, আপনি খুব সহজেই Facebook থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন।
আবেদন গৃহীত হওয়ার পর ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্রোগ্রামে ওয়েবসাইটের নিবন্ধ জমা দেওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে। সেগুলি হল: API, RSS ফিড এবং CMS প্লাগইন (ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা)।
এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে, API তুলনামূলকভাবে সহজ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত। ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য সিএমএস প্লাগইনগুলিও একটি কার্যকর পদ্ধতি। কিন্তু ফেসবুক কিছু সময় পরে তাদের নির্দেশিকা এবং নীতি পরিবর্তন করার পরে
এবং প্লাগইন বিকাশকারীরা সেই পরিবর্তনগুলি বজায় রাখতে প্লাগইনগুলি আপডেট করতে পারে না, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতে সাময়িক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।
ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪
In-stream ads
Ads on Reels
Fan subscription
Affiliate Marketing
Brand Collaboration/Promotion
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম এটি ইন-স্ট্রিম এডস নামে পরিচিত এবং এর মাধ্যমে আপনার আয় হবে। ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করার অন্যতম সহজ পদ্ধতি।
এরপর আপনার রিল ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন যুক্ত হবে, এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে হওয়া আয় সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।
এ ছাড়া ফেসবুকে পেজ খুলে অনেকেই ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। আবার অনেকেই ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।
সম্প্রতি দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে, তিন পদ্ধতিতে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। সেগুলো হচ্ছে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস। তবে এসব ব্যবস্থার পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে এ পরিবর্তন।
জানা গেছে, নতুন ব্যবস্থায় ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।
২০২৫ সালে সবার জন্য নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
তবে বর্তমানে সামগ্রিকভাবে ফেসবুকে অর্থ উপার্জন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনকার একটি পেজের কোনো অর্গানিক পোস্টের গড় রিচ সাধারণত মোট ফলোয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালেও যেটি ছিল ৭ শতাংশ। আর যারা বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সর করা বিষয়ের মাধ্যমে পে-টু-প্লে করেন; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিচ আরও হ্রাস পেয়ে যায়।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম তবে ভালো খবর এই যে, ফেসবুক তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের জন্য নতুন এবং চমৎকার কিছু উপায় তৈরি করছে। যদিও সেগুলো মূলত উদ্যোক্তা এবং ফেসবুকে বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার আছে এমন সব পেজের জন্য।
আপনার যদি বেশ ভালো সংখ্যক ফলোয়ারযুক্ত পেজ থাকে এবং সেখান থেকে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে চান অথবা বিদ্যমান কোনো ব্যবসার জন্য আরও গ্রাহক পেতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ৬টি উপায়। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনাকে যেসব প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে হবে সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে।
প্রথমত, ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। এগুলো হলো প্ল্যাটফর্মের একবারে মৌলিক নিয়ম। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিভৎস বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু পোস্ট করা যাবে না।
দ্বিতীয়, পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি। এই নিয়মগুলো সামগ্রিকভাবে আপনার ফেসবুক পেইজের জন্য। সেইসঙ্গে আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট কীভাবে তৈরি করেন এবং শেয়ার করেন সেগুলোর জন্য। এ ছাড়া আপনি কীভাবে অনলাইনে অর্থপ্রদান করেন এবং গ্রহণ করেন তার জন্য।
সবশেষে রয়েছে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। এগুলো বিশেষত কনটেন্ট সম্পর্কিত নিয়ম। যা আপনার পোস্ট করা প্রতিটি কনটেন্টের জন্য প্রযোজ্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো হিংসাত্মক বা অনিরাপদ কনটেন্ট আপলোড না দেওয়া।
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
ভিডিও: ভিডিওতে একটি ভিউ গননা তখনি করা হয় যখন কেউ আপনার ভিডিওটি ৩ সেকেন্ড বা তার থেকে বেশি সময় ধরে দেখে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম ছবি বা পোস্ট: ছবির বা পোস্টের ক্ষেত্রেও ভিউ বলতে বোঝায় কতজন ব্যক্তি বা ব্যবহারকারী আপনার ছবিটি বা পোস্টটি তাদের নিউজ ফিডে দেখেছে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম স্টোরি: ফেসবুক স্টোরিতে ভিউ তখনি করা হয় যখন কেউ আপনার স্টোরিটি সম্পূর্ণ বা অংশিক ভাবে দেখে থাকে।
যদি আপনার ফেসবুকে 10000 ফলোয়ার, পাঁচটি ভিডিও এবং সাত দিন এর মধ্যে ৬ লাখ মিনিটের ভিউ থাকে তাহলেই আপনি রিলশ অ্যাড দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই অ্যাড গুলো থেকে যে টাকা আসবে তার ৫৫% আপনি এবং ৪৫ শতাংশ ফেসবুক পাবে। এর আগে facebook রিলশ দেওয়া যেত না।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম শুধু মাত্র ভিডিওতে এড দেওয়া যেত। স্টারস-সম্পত্তি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আই এর নতুন একটি মাধ্যম আনার কথা ঘোষণা করেছেন মেটা।, এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারীর দেখার সময় ষ্টার দিতে পারবে। প্রতি ১০০ টারে ১ ডলার পাবে।
রিলস বোনাস বা প্রোগাম রিলস আসার পর থেকে বাড়িতে বসে থাকে মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের রিলস করার সুযোগ তৈরি করেছে। যার মধ্যে উন্নত একটি উপায় হল স্প্রে বোনাস প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পের মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের কোন ভিডিওতে যদি ৩০ দিনে ১০০০ ভিউ গেলে টাকা দিয়ে থাকে।
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ফেসবুক ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়। একটা ভিডিও তে এক মিলিয়ন ভিউ বা তার বেশি ভিউ মানে অবশ্যই ভিডিওটি অনেক ভাইরাল হয়ে থাকবে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কিন্তু আয় তুলনা মূলক বেশি হয়ে থাকে। এই নিয়মটি ইউটিউবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ইউটিউবেও ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়। আমরা যদি এক মিলিয়ন ভিউয়ের টাকা হিসাব করি। তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ এক লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তবে আমি আগেই বলেছি যে ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়ে থাকে। এটি আমি একটি আনুমানিক হিসাব আপনাদের সামনে পেশ করলাম।
ফেসবুক মনিটাইজেশন পলিসি 2024
যোগ্যতা
ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল: মনিটাইজেশনের জন্য অবশ্যই আপনার একটি ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল থাকতে হবে যা নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার ও সক্রিয় হতে হবে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম লোকেশন ও ভাষা: নির্দিষ্ট দেশ বা ভাষার ক্ষেত্রে মনিটাইজেশন সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশে এটি চালু হয়েছে।
কনটেন্টের নিয়মাবলী: কনটেন্ট অবশ্যই ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং কপিরাইট নীতি মেনে তৈরি হতে হবে।
ইন-স্ট্রিম এডস
ভিডিও লেন্থ: ইন-স্ট্রিম এডসের জন্য কনটেন্টটি ন্যূনতম ১ মিনিটের হতে হবে।
ভিডিও কোয়ালিটি: ভিডিওটি হাই কোয়ালিটি এবং অরিজিনাল হতে হবে, অন্য কোথাও থেকে কপিরাইট ভঙ্গ করে নেওয়া চলবে না।
সাবস্ক্রিপশন ও ফ্যান সাবস্ক্রিপশন
ফ্যান সাবস্ক্রিপশন: ফলোয়ারদের পেইড সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে। এতে সাবস্ক্রাইবারদের জন্য এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট দেওয়া যাবে।
পেইড অনলাইন ইভেন্ট
অনলাইন ইভেন্ট: লাইভ ইভেন্ট আয়োজন করে দর্শকদের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে আয় করা যাবে।
স্টারস
স্টারস উপহার: লাইভ ভিডিওতে দর্শকরা স্টারস পাঠাতে পারেন, যা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয়ের উৎস হতে পারে।
ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট
ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট: ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আয় করা যাবে। তবে স্পন্সরড কনটেন্টের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং স্পন্সরশিপ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে। ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন - ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।
অ্যাড ব্রেকস এর অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞাপন বিরতি। মনে করেন, আপনি ফেসবুকে কোন ভিডিও দেখছেন। ভিডিও এর মাঝে হঠাৎ করে ১০-১৫ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন চলে আসলো। কিংবা ভিডিও এর নিচে একটি অ্যাপস ডাউনলোডের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনদাতা থেকে ফেসবুকের আয়ের ৫৫ ভাগ জমা হবে ভিডিও প্রকাশকারীর অ্যাকাউন্টে। বর্তমানের বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ভিডিওতে এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
ফেসবুকের এই সুবিধা পেতে আপনার একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে। যেখানে ১০,০০০ এর বেশি ফলোয়ার (লাইক), সবশেষ ৬০ দিনে এক মিনিট দৈর্ঘের ৩০ হাজার ভিউ এবং ভিডিও এর দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৩ মিনিট হতে হবে।
ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম
বর্তমানে ফেসবুক একটি খুব জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বহু মানুষ প্রতিদিন এই প্ল্যাটফর্মে অনেক সময় কাটান। ফলে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করাও অনেকটাই সহজ। আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। ফেসবুকে একাধিক ভাবে টাকা আয় করা সম্ভব। আসুন এর মধ্যে সেরা 5টি টাকা উপার্জনের বিকল্প সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি একজন কনটেন্ট নির্মাতা হন, তাহলে আপনি একাধিক উপায় ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। কোনও ব্র্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং তাদের জিনিসে প্রচার আপনার কনটেন্টের মাধ্যমে করলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার অপর একটি ভালো মাধ্যম হল ফেসবুকের অফিসিয়াল ব্র্যান্ড কোলাবরেশন প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া। তবে অফিসিয়াল পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য হতে আপনার ফেসবুক পেজে কমপক্ষে 1,000 ফলোয়ার লাগবে।
ফেসবুকের লাইভ-স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োর সময় দেখানো বিজ্ঞাপনগুলির থেকেও টাকা আয় করা সম্ভব। এর মাধ্যমে ভালো টাকা আয় হয়। কিন্তু এর জন্য আপনার গত 60 দিনে প্রায় 600,000 মিনিটের ভিউ টাইম প্রয়োজন হবে।
ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এটা আমরা অনেকে জানি না। আবার অনেকেই ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকি। আপনারা যারা জানেন না ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম হয় তারা অনেকেই অবাক হবেন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে। আসলে ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। facebook থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা জানি না কোন কোন মাধ্যম গুলোকে বা কি ভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় যে কারণে আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি না। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে কয়েকটি সহজ টেকনিক নিম্ন উল্লেখ করা হলো।
ফেসবুকে রিলস ভিডিও তৈরি করে আপনারা ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন। অনেকেই রয়েছেন যারা রিলস ভিডিওর সাথে এখনও পরিচিত না। তবে আপনারা জানলে খুশি হবেন যে রিলস ভিডিও থেকে ইনকাম করা খুবই সহজ। আপনারা ৩০ সেকেন্ড এক মিনিট ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিওগুলো ছাড়ার মাধ্যম দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা ইনকাম করতে পারবেন না তবে আপনার আইডি বা পেজ যত ভালো হবে পরবর্তীতে মনিটাইজেশন পাওয়ার মাধ্যমে আপনারা এই ভিডিও থেকে ইনকাম করতে পারেন। যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও করে আপনার খুব সহজে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আর ফেসবুক থেকে এখন প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। আপনারা ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চাইলে রিলস ভিডিও করতে পারেন।
আমরা অনেক পপুলার পেজে অ্যাড হয়ে থাকি। বিভিন্ন রকম ফানি ভিডিও দেখার জন্য অথবা পোস্ট দেখার জন্য বা পড়ার জন্য। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ফেসবুক পেজ থেকেও ইনকাম করা সম্ভব। আপনারা ফেসবুক পেজ তৈরি করার মাধ্যমে সেখানে কাজ করে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি ভালো পেজ তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পেজে যদি পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে এবং তার সাথে সাথে পেজে শর্তগুলো আপনি যদি পূরণ করতে পারেন তবে আপনি পেজ থেকে ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন। এই যে আপনারা ছোট-বড় বিভিন্ন রকম ভিডিও ছাড়তে পারবেন। এর থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার দশ হাজার ফলোয়ারের প্রয়োজন হবে।
অতঃপর ওয়াচ টাইমের প্রয়োজন হবে। আপনি যদি ১০ হাজার ফলোয়ার তৈরি করতে পারেন এবং ওয়াচ টাইম পূরণ করতে পারেন। আর আপনার যদি সকল কন্টেন্ট গুলো ইউনিক হয়ে থাকে তাহলে আপনারা খুব সহজে ফেসবুকে মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। আর এই মনিটাইজেশন এর মাধ্যম দিয়ে আপনারা ফেসবুক পেজ থেকে ভাল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করি তারা কোন না কোন গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আপনারা নিজেরা ফেসবুক গ্রুপ খোলার মাধ্যম দিয়ে ও ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই ভাবছেন গ্রুপ থেকে কিভাবে ইনকাম সম্ভব। গ্রুপে তো কোন মনিটাইজেশন অপশন চালু নেই। তাহলে কিভাবে সম্ভব গ্রুপ থেকে ইনকাম করা।
গ্রুপের মনিটাইজেশন অপশন চালু নেই তবে আপনার গ্রুপ যদি সচল থাকে এবং গ্রুপ যদি ভালো থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি গ্রুপ থেকে খুব সহজে ইনকাম করতে পারেন। গ্রুপের মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। অথবা আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট শেয়ার করার মাধ্যমে অথবা অন্যান্য কাজ করার মাধ্যমে গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে পারেন।
অথবা আপনার যদি কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন সেই সকল বিষয়ে এগুলোতে টিপস দেওয়ার মাধ্যমে মেম্বার গুলোর কাছ থেকে অর্থ নিতে পারেন। গ্রুপ থেকে আপনারা বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন। তবে গ্রুপ থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার গ্রুপ ভালো হতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটেও থাকতে হবে আপনার গ্রুপে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি হালাল
ব্যবসার পরিধি অনেক বড়। বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইনেও নানা ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুক-ইউটিউবকে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকে। ফেসবুকে মার্কেটিং, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, মিডিয়া ম্যানেজিং কিংবা বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের উপায় আছে। আবার ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে উপার্জনের বিষয়টিও ইদানীংকালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।
উপার্জন যে উপায়েই হোক না কেন, হালাল হওয়ার জন্য মৌলিকভাবে দুটি মূলনীতি খেয়াল রাখতে হয়। ১) ব্যবসায়িক পণ্য, উৎপাদন ও কারবার বৈধপন্থায় হতে হবে। অবৈধ পণ্যের ব্যবসা ও কারবারকে ইসলাম বৈধতা দেয় না।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম যেমন মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ, অশ্লীলতা ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত হওয়া। বিষয়গুলোকে ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে। ২) ব্যবসায় কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল, মিথ্যাচার ও ফাঁক-ফোকর থাকা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩১৪৭; সহিহ মুসলিম: ১৬৪; ইবনে মাজাহ: ২২২৫; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৯০৫)
অতএব, যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয় কিংবা যেসব কনটেন্ট বা ছবি শরিয়তের মূলনীতিবিরোধী, সেসব ভিডিও-কনটেন্ট-ছবি ইত্যাদি দেখা, প্রচার করা, লাইক করা, সেসব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা কোনোটিই বৈধ নয়। তা থেকে উপার্জনও বৈধ নয়।
অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই সহযোগিতাকারীরা গোনাহগার হবেন এবং তাদের উপার্জিত অর্থও হালাল হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।’ (সুরা মায়েদা: ২)
আর যদি নাজায়েজ কনটেন্ট বা ভিডিও না হয়, তাহলে লাইক-কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব, ভিডিও আপলোড, ছবি-কনটেন্ট আপলোড করে উপার্জন করা জায়েজ আছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে গ্রাস (আত্মসাৎ) করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ব্যবসা করে ভোক্তা কিংবা গ্রাহকের কাছ থেকে শুধু অর্থ উপার্জন হচ্ছে তা নয়; বরং পণ্যের আদান-প্রদানে পরস্পরের সেবা হচ্ছে। তাই শুধু নিজের স্বার্থটা নয়, ব্যবসায় মানুষের উপকারের মানসিকতাও রাখতে হবে। কারও ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যের ক্ষতি করা কোনোটিই উচিত নয়।’ (ইবনে মাজাহ: ২৩৪১)
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম প্রসঙ্গত গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিস হলো ‘গুগল এডসেন্স’। অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন ইউটিউবসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রচার করে থাকে। আর সে অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।
সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল হয় কিংবা হারাম পণ্যের হয়, তাহলে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। উপরন্তু হারামের প্রচার ও সহযোগিতার কারণে গুনাহগার হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা নুর: ১৯)