গুগল অ্যাডসেন্স কি? Google AdSense কিভাবে কাজ করে?

গুগল অ্যাডসেন্স আর্টিকেল বা ভিডিও তৈরি করে ভিজিটর ও ভিউয়ার থেকে টাকা আয় করার কথা শুনে থাকলে আপনি অবশ্যই গুগল অ্যাডসেন্স- এর বিষয় শুনেছেন। এটি হল, আপনার ওয়েবসাইটে বা চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করার উপায়। গুগল অ্যাডসেন্স

গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খুলতে কী কী প্রয়োজন?

গুগল অ্যাডসেন্স হল একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। কেউ যখন গুগল ডিসপ্লে নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন দেয় অর্থ প্রদান করে, তখন গুগল তার অ্যাডসেন্স নেটওয়ার্ক এর থাকা সাইটগুলোতে সেই বিজ্ঞাপনগুলো দেখায়।

গুগল অ্যাডসেন্স কি? Google AdSense কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের একটা সার্ভিস হলো এই এডসেন্স বা গুগল এডসেন্স। যার মাধ্যমে গুগল ইউটিউবারদের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ব্লগারদের ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে তার বিনিময়ে ইউটিউবার এবং ব্লগারদেরকে টাকা দেয়। সহজ কথায় এটি একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পাবলিশিং প্রোগ্রাম যা গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট। 

গুগল অ্যাডসেন্স একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ইউটিউবের ভিডিওতে বা ব্লগে বিভিন্ন রকমের অ্যাড দেখতে পাওয়া যায়! যা এই গুগল অ্যাডসেন্স এর উদাহরণ! কেননা এই এডগুলি গুগল অ্যাডসেন্স মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে! যাতে ক্লিক করলে কিংবা ভিজিট করলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন!

ব্লগ অথবা ইউটিউব থেকে যারা আয় করতে চাচ্ছেন Google AdSense হলো তাদের জন্য ইনকামের একটি পারফেক্ট মাধ্যম! যার প্রমাণ আমাদের আশপাশেই রয়েছে। যারা কিনা এই ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে গুগল এডসেন্সকে পুঁজি করে বেশ ভালোই ইনকাম জেনারেট করছে। আপনিও তাদের পথ অনুসরণ করে এই সেক্টরে সফল হতে পারেন!

গুগল অ্যাডসেন্স গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার মাধ্যমে বর্তমানে আয় করার ব্যাপারটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে! এর কারণগুলির মধ্যে অন্যতম কারণ হলো এটিতে এপ্লাই করতে তেমন কোনো জটিল তথ্যের প্রয়োজন পড়ে না! 

সবার আগে আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে, যদি আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান। পরবর্তীতে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেলেই আপনার ইনকাম জেনারেট হওয়া শুরু হবে! চলুন এবার জেনে নিই গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে কী কী তথ্যের প্রয়োজন পড়েঃ-

আরো পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় ২০২৪ বিস্তারিত

গুগল অ্যাডসেন্স গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে একটি গুগল আইডির প্রয়োজন পড়বে! এক্ষেত্রে একটি জিমেইল একাউন্টের দরকার পড়বে! একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য একটি সচল মোবাইল নাম্বার লাগবে। ভেরিফিকেশনের চিঠি পাঠানোর জন্য একটি রিয়েল ঠিকানা লাগবে।

বর্তমান সময়ে আমারা (যারা কিনা কাস্টমার বা ক্লায়েন্টও) অনলাইনে বিভিন্ন কন্টেন্ট পড়ে ও দেখে সময় পার করে। একজন ব্যক্তি হিসেবে আমি বা আপনি অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিনি। আর, এই কারণে অনলাইন কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন অনলাইনে দেয়।

অ্যাডসেন্স হল -অ্যাডওয়ার্ডস এর সমন্বয় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিসপ্লে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। অর্থাৎ, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বিজ্ঞাপন এর কাজ নিয়ে সেগুলো পাবলিশার নেটওয়ার্কে থাকা ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে। এর বিনিময় গুগল বিজ্ঞাপন এর থেকে উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ রাখে এবং সিংহভাগ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে দেয়।

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাডসেন্স প্ল্যাটফর্মটি হলো কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও পাবলিশারদের জন্য। যারা কিনা তাদের ওয়েব কন্টেন্ট বা ওয়েবসাইটে গুগল এড Display করে তারা AdSense প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে।

আর এই সিস্টেমে এডভেটাইজ করা হয় সেসব প্রতিষ্ঠান এর, যারা গুগল এড ব্যবহার করে তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। এখন আপনি যদি একজন ব্লগার বা ভ্লগার হন, আপনি আপনার কন্টেন্ট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট খুলতে কী কী প্রয়োজন?

সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের একটা সার্ভিস হলো এই এডসেন্স বা গুগল এডসেন্স। যার মাধ্যমে গুগল ইউটিউবারদের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ব্লগারদের ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে তার বিনিময়ে ইউটিউবার এবং ব্লগারদেরকে টাকা দেয়। 

সহজ কথায় এটি একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট পাবলিশিং প্রোগ্রাম যা গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ইউটিউবের ভিডিওতে বা ব্লগে বিভিন্ন রকমের অ্যাড দেখতে পাওয়া যায়! যা এই গুগল অ্যাডসেন্স এর উদাহরণ! 

কেননা এই এডগুলি গুগল অ্যাডসেন্স মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে! যাতে ক্লিক করলে কিংবা ভিজিট করলে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন!

আরো পড়ুন: ফ্রি একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করার বেস্ট ১৫টি সাইট বিকাশে পেমেন্ট ২০২৪

ব্লগ অথবা ইউটিউব থেকে যারা আয় করতে চাচ্ছেন Google AdSense হলো তাদের জন্য ইনকামের একটি পারফেক্ট মাধ্যম! যার প্রমাণ আমাদের আশপাশেই রয়েছে। যারা কিনা এই ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে গুগল এডসেন্সকে পুঁজি করে বেশ ভালোই ইনকাম জেনারেট করছে। আপনিও তাদের পথ অনুসরণ করে এই সেক্টরে সফল হতে পারেন!

গুগল অ্যাডসেন্স তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি ইউনিক এবং কোয়ালিটি কন্টেন্ট না দিয়ে যেনোতেনো কন্টেন্টে সাইট ভরিয়ে তুলেন তবে এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করেও কোনো লাভ হবে না!

গুগল অ্যাডসেন্স কেননা Google AdSense কতৃপক্ষ পরবর্তীতে আপনার এই আবেদনকে নাকোচ করে দিবে। সাথে এটিও মাথায় রাখবেন যেনো প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ৫ টির বেশি কন্টেন্ট থাকে। কোনো ক্যাটাগরি মোটেও খালি রাখা যাবে না।

পাশাপাশি ওয়েবসাইটে About us, Contact Us , Privacy policy পেইজগুলি আছে কিনা তা চেক করে না থাকলে ক্রিয়েট করে নিতে হবে। আর আপনাদের যদি মানসম্মত ওয়েব সাইট না থাকে তাহলে ভালো মানের ওয়েবসাইট নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনি একটি ২০০ শব্দের পোস্ট লিখে তা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করলে এবং এমন করে করে অসংখ্য পোস্ট করে ভাবলেন অনেক পোস্ট করা হয়ে গেছে। এবার নিশ্চয় এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে! এই টাইপের চিন্তাভাবনা কিন্তু পুরোপুরি ভুল। মাত্র ২০০ শব্দে কি কখনো যেকোনো টপিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়? অবশ্যই যায় না!

গুগল অ্যাডসেন্স একটি ব্লগে সাধারণত খোলামেলা আলোচনা করে টপিক সম্পর্কে পুরোপুরি উপস্থাপন করতে হয়। সুতরাং গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভ পেতে ব্লগ পোস্টগুলি সর্বনিম্ন ৫০০ শব্দের করে লিখুন। তবে আপনি 

যদি ব্লগের শব্দে সংখ্যার স্ট্যান্ডার্ড মান সম্পর্কে জানতে চা আমি বলবো ৫০০ শব্দ ব্লগিংয়ের জন্য কোনো সংখ্যাই না। একটি ব্লগ পোস্টে ১০০০ বা ততোধিক শব্দের কন্টেন্ট লিখতে পারলেই সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। যদিও ৫০০ থেকে ৮০০ শব্দের ব্লগগুলো মাঝামাঝি আকারের ব্লগ হিসেবে গণ্য হবে।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটে লেখার শুরুতেই কপিরাইট কন্টেন্ট বাদ দিতে হবে। একটি সিংগেল লাইনও কপি পেস্ট করে ব্লগসাইটে আপলোড করেন তবে অ্যাডসেন্স এপ্রুভ পেতে সমস্যায় পড়তে হবে। মনে রাখবেন কারো লেখা চুরি করে ব্লগিং ক্যারিয়ারে বেশিদূর আগাতে পারবেন না। 

আপনি যদি কোনভাবেই একজনের লেখা চুরি করে নিজের ব্লগে/ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন এক্ষেত্রে গুগল খুব সহজে তা ধরে ফেলতে পারবে! সুতরাং সাবধান! বেশি চালাকি করে নিজের ব্লগের বারোটা বাজাতে যাবেেন না।

কখন অ্যাডসেন্স এপ্লায় করতে হয়?

গুগল অ্যাডসেন্স ওয়েবসাইট কন্টেন্ট তৈরি করুন: আপনার সাইটে পর্যাপ্ত মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট থাকতে হবে যা ব্যবহারকারীদের জন্য মূল্যবান।

গুগল অ্যাডসেন্স ওয়েবসাইটের বয়স: গুগল কিছু দেশে ওয়েবসাইটের বয়সের উপর নির্ভর করে শর্ত দেয়, যেমন ভারত এবং চীন থেকে আবেদন করতে চাইলে সাইটটির ৬ মাসের পুরনো হতে হবে। নিয়মিত ভিজিটর: সাইটে নিয়মিত ভিজিটর থাকলে AdSense এর অনুমোদন পাওয়া সহজ হয়।

গুগল নীতিমালা মেনে চলা: গুগলের AdSense নীতিমালা এবং শর্তাবলী অবশ্যই মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে, কপিরাইট করা কন্টেন্ট বা অবৈধ বিষয়বস্তু থাকা যাবে না। মানসম্মত কন্টেন্ট: আপনার সাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে মূল ও মানসম্মত কন্টেন্ট থাকতে হবে, যা পাঠকদের জন্য উপযোগী।

আরো পড়ুন: রেফার করে ইনকামের বেস্ট ১০ টি সাইট  p2p করে বিকাশ ও নগদে পেমেন্ট

নিয়মিত আপডেট: সাইটটি নিয়মিতভাবে আপডেট করা হচ্ছে কিনা, তা যাচাই করতে হবে। পুরোনো, অপ্রাসঙ্গিক বা কম কন্টেন্টযুক্ত সাইট আবেদন করার জন্য উপযুক্ত নয়। ট্রাফিক বা ভিজিটর সংখ্যা: সাইটে একটি নিয়মিত ভিজিটর বেস থাকা উচিত, যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করা নেই, তবে একটি সক্রিয় ট্রাফিক থাকলে অনুমোদনের সম্ভাবনা বেশি।

বয়স সীমা: কিছু দেশে (যেমন ভারত এবং চীন), গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য সাইটের ৬ মাসের পুরনো হওয়ার শর্ত রয়েছে। তবে, অন্যান্য দেশে এটি প্রয়োজন নাও হতে পারে। গুগলের নীতিমালা মেনে চলা: আপনার সাইট গুগল অ্যাডসেন্সের নীতিমালা মেনে চলতে হবে, বিশেষত কপিরাইট করা কন্টেন্ট বা অবৈধ বিষয়বস্তু থাকতে পারবে না।

অ্যাডসেন্স কীভাবে টাকা দেয়?

গুগল অ্যাডসেন্স বর্তমান যুগে আমরা অনেকেই ইউটিউবিং করে বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ বানিয়ে টাকা আয় করতে চাই কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে এই টাকা কই থেকে আসে। অ্যাডসেন্সই হলো সেই জাদুর 

গুগল অ্যাডসেন্স চাবিকাঠি যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব থেকে টাকা আসে গুগল সেটি দিয়ে আপনার আমার ওয়েবসাইট এ ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেয় এবং তার বিনিময়ে আমাদের টাকা দিয়ে থাকে এবং তারা নিজেরাও টাকা আয় করে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগলের নিজস্ব একটি এডভার্টাইসমেন্ট সিস্টেম। যার মাধ্যমে গুগল ইউটিউবএ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন প্রচার করে আর এটির জন্য যার ইউটিউব ভিডিও অথবা যার ওয়েবসাইট বা ব্লগ এ বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে তাকে গুগল অর্থ প্রদান করে থাকে। 

সহজ ভাবে বললে আমরা ইউটিউব অথবা কোনো ওয়েবসাইট এ গেলে যে সকল বিজ্ঞাপন দেখতে পাই তাই গুগলের অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে দেয়া হয়। আমরা যারা গুগলে ওয়েবসাইট বানিয়ে অথবা ইউটিউব এ ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করতে চাই তাদের জন্য অ্যাডসেন্স দরকার হয়। 

আরো পড়ুন: ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার সেরা ৫০ টি সাইট ২০২৪

কারণ গুগল যখন কোনো ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেল এ অ্যাডসেন্স অন করে তখন ওই চ্যানেল বা ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে উক্ত চ্যানেলের বা ওয়েবসাইটের মালিককে তার জন্য টাকা দিয়ে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স গুগলের অ্যাডসেন্স থেকে আপনি ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন তার জন্য আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল এ ভালো কিছু কনটেন্ট থাকতে হবে তারপর গুগল তাদের নির্দিষ্ট 

কিছু নিয়ম পূরণ হলে যেকোনো ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলকে অ্যাডসেন্স এর আওতায় নিয়ে আসে ওই নিয়মগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল অ্যাডসেন্স এর আওতায় আসে না ও টাকাও ইনকাম করতে পারে না। 

২০২৩ এর Q1 এ গুগল ৬৯.৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে যার মধ্যে ৪০.৪ বিলিয়ন বা ৫৭.৮ % আসে সার্চ এড থেকে নেটওয়ার্ক এড থেকে আসে ১০.৭% বা ৭.৫ বিলিয়ন ডলার। এ থেকেই বোঝা যায় যে গুগল তাদের অ্যাডসেন্স থেকে কি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে।

অ্যাডসেন্স এর মূল কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ব্লগ , ওয়েবসাইট , ভিডিও কিংবা অ্যাপস এ এড দেখিয়ে যাদের ব্লগ,ওয়েবসাইট,ভিডিও বা অ্যাপস রয়েছে তাদের টাকা দেয়া। এই সব মাধ্যমে এড দেখানোর জন্য গুগল আগে থেকেই যারা এড দিতে চায় তাদের থেকে টাকা নিয়ে নেয় এবং পরে গুগল তাদের বিভিন্ন মাধ্যমে এই এড গুলো দেখিয়ে থাকে। যা আমরা ভিডিও , 

ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এ গেলেই দেখতে পাই। যারা গুগলের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় এড দিতে চায় তাদের প্রথমে গুগল এডস এ একটি একাউন্ট তৈরি করতে হয় বিশেষ করে যেসব মার্কেটাররা গুগল এডস নিয়ে কাজ করে থাকেন তাদের জন্য গুগল এডস একাউন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 

একটি বিষয় কেননা গুগল এডস একাউন্ট ছাড়া আপনি গুগল এ এড দেখাতে পারবেন না। আর যারা গুগল থেকে ওয়েবসাইট , ব্লগ বা ইউটিউব এ ভিডিও দিয়ে ইনকাম করতে চায় তাদের জন্য গুগল থেকে অ্যাডসেন্স এ একাউন্ট করতে হয় এবং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

গুগল অ্যাডসেন্স আপনি গুগল থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অ্যাডসেন্স এর আওতায় পড়তে হবে আপনি যদি অ্যাডসেন্স এর আওতায় না থাকেন তবে আপনি গুগল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন না। 

গুগল এর অ্যাডসেন্স পেতে হলে প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল ,ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস এর দরকার পরবে যার মাধ্যমে আপনি এড দেখাতে পারবেন। এর মধ্যে যেকোনো একটি থাকলে আপনি অ্যাডসেন্স একাউন্ট এ সাইন আপ করতে পারবেন।

অ্যাডসেন্স একাউন্ট এর মাধ্যমে যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ভিডিওতে অ্যাডসেন্স অন হয়ে যাবে তখন আপনি এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার ভিডিও ভিউ বা পেজ ট্র্যাফিক যত বেশি হবে আপনি তার মাধ্যমে তত বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। 

ইউটিউব ভিডিওর জন্য আপনি ১০০০ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ হাজার ঘণ্টা ওয়াচটাইম হলে আপনি মনিটাইযেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। আর ওয়েবসাইট এ অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ গুগল থেকে বলা হয়নি আপনার ভালো ট্র্যাফিক বা পেজ ভিউ থাকলে গুগল নিজ থেকেই আপনাকে অ্যাডসেন্স দিবে

Google AdSense ব্যবহারের সুবিধা কী?

গুগল অ্যালফাবেট কর্পোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের সব থেকে বড় সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট। গুগল তার মূল কোম্পানির আন্ডারে ওয়েবসাইট নির্মাতা বা বিজনেস মালিকের জন্য একটি আয় বৃদ্ধি করার একটি ইকো সিস্টেম তৈরি করেছে। গুগল অ্যাডস তাদের ইকো সিস্টেমের মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম।

অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য গুগল অ্যাডস এর বিকল্প তেমন ভালো আর কোন প্রতিষ্ঠান নেই। কারণ বিশ্বের মোট ইন্টারনেট ইউজারের ৯০% গুগলের দখলে। অর্থাৎ এমন কোন ইউজার পাওয়া যাবে না যে গুগল বা এর কোন সার্ভিস প্রতিদিন ব্যবহার করে না। মূলত গুগল তাদের অ্যাড দেখানোর জন্য ইউটিউব, গুগল সার্চ এবং অ্যাডসেন্স পাবলিশারদের ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করে।

অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য এর থেকে বড় অডিয়েন্স আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাছাড়া এখানে অ্যাড দিলে তা সহজেই টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে পৌঁছায়। গুগল অ্যাডস অ্যালফাবেট কোম্পানির আয়ের সব থেকে বড় মাধ্যম। গত বছর গুগল তাদের গুগল অ্যাডস প্রোগ্রাম থেকে ২২৪.৪৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার মুনাফা অর্জন করেছে।

গুগল অ্যাডসেন্স Smart Campaign: এই ক্যাম্পেইনে গুগল নিজে নির্ধারণ করে আপনার অ্যাড কোন মাধ্যমে সব থেকে বেশি মানাবে। অর্থাৎ তারা অ্যাড এনালাইজ করে তা সার্চ অ্যাড না ডিসপ্লে অ্যাড অথবা ভিডিও অ্যাড হিসেবে বেশি কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করে।

অনলাইনে আয়ের মাধ্যম হিসেবে গুগল এডসেন্স বেশ জনপ্রিয়। তাই অনেকেই জানতে চান, এখানে আসলে কত টাকা আয় করা সম্ভব? তো এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সোজা নয়, কারণ এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। যার মধ্যে রয়েছে আপনার সাইটের ট্র্যাফিক, আপনি কোন ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করেন এবং ক্লিক থ্রু রেট (CTR) এর উপর।

আরো পড়ুন: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো ২০২৪: সেরা ২০ টি সাইট

গুগল অ্যাডসেন্স যত বেশি লোক আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, অথবা YouTube চ্যানেল পরিদর্শন করবে, তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। এটি হলো, গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার সাধারন একটি বিষয়। যার মাধ্যমে আপনারা প্রাথমিক ভাবে অর্থ উপার্জনের শুরুটা করতে পারবেন।

আপনার বিজ্ঞাপন গুলোতে কতজন লোক ক্লিক করে, তার হার যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যদি আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমান ভিজিটর আসে তাহলে আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ার চান্স বেশি হবে, আর আয় বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপনের জন্য বেশি টাকা দেওয়া হয়, আবার কোনো বিজ্ঞাপনের জন্য স্বল্প পরিমান অর্থ প্রদান করা হয়। তবে সত্যি কথা বলতে গেলে, গুগল এডসেন্স থেকে আয়ের কোন সর্বোচ্চ সীমা নেই। আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করেন এবং গুগলের নীতি মেনে চলেন, তাহলে আপনি অনির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স বর্তমান সময়ে, অনলাইন বিজ্ঞাপন হলো ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ব্লগ তাদের আয় বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এই বিজ্ঞাপন প্রদানের জন্য মার্কেটে অনেক গুলো এড নেটওয়ার্ক ‍রয়েছে, যেমন Media.net, PropellerAds ইত্যাদি।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত গুলো এড নেটওয়ার্ক থাকার সত্ত্বেও, বেশিরভাগ মানুষ কেন AdSense-এর উপর নির্ভর করেন? – তো AdSense-এর জনপ্রিয়তার পেছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো,

গুগল-এর একটি সুনাম রয়েছে। যদি আপনি Google-এর নীতিমালা মেনে চলেন, তাহলে আপনার আয়ের জন্য Google নিজে পূর্ণ দায়িত্ব বহন করবে। অন্যান্য অনেক এড নেটওয়ার্কের তুলনায় Google অনেক বেশি বিশ্বস্ত, তাই আপনার আয় নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আর সঠিকভাবে কাজ করার মাধ্যমে আপনি যতো টাকা উপার্জন করবেন, গুগল আপনাকে নিজ দায়িত্বে সেই টাকা উত্তলন করার সুবিধা প্রদান করবে।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার পদ্ধতি

খুব কম পরিবর্তন হয় এমন কন্টেন্ট সহ কয়েকটি পৃষ্ঠার একটি সাইটের পরিবর্তে ব্লগের মতো সাইটে আপনি ও অন্যরা (যাদের কন্টেন্টের ব্যাপারে AdSense-এর নীতি অনুযায়ী আপনি দায়বদ্ধ থাকবেন) নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট যোগ করতে পারবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স কিছু ব্লগে, প্রতি ঘণ্টা থেকে প্রত্যেক মাসের সময়ের মধ্যে যেকোনও ফ্রিকোয়েন্সি সেট করা যেতে পারে। অবদানকারীর সংখ্যা, কন্টেন্ট পর্যালোচনা করে প্রকাশ করতে মালিক ও এডিটরের কতটা সময় লাগে ইত্যাদি বিষয়ের উপর এটি নির্ভর করে।

Daily Dot-এর মতো জনপ্রিয় ব্লগ এটির দর্শকদের থেকে উপার্জন করার জন্য Google AdSense ব্যবহার করে। নিম্নলিখিত অনুযায়ী এই ব্লগ মাসিক পঞ্চাশ লক্ষ থেকে ১ কোটি ইম্প্রেশন পায়: Google Display Planner। 

হেডার, ব্লগ পোস্টের ফুটার, প্রতিটি বিভাগের সেরা পোস্টের তালিকার মধ্যে ছাড়াও সাইটের বিভিন্ন জায়গায় তারা Google AdSense-এর ব্যানার দেখায়।

নিজের কন্টেন্ট তৈরি করা বা কন্টেন্ট প্রদান করছেন যারা তাদের ম্যানেজ করার ব্যাপারে স্বচ্ছন্দ বোধ না করলে, সাইটের পরবর্তী সেরা বিকল্প হিসেবে ফোরামের মাধ্যমে AdSense থেকে উপার্জন করতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লোকজন ফোরামে যান। যেমন, সমস্ত বেড়ালপ্রেমীদের জন্য তৈরি catforum.com Google AdSense-এর সাহায্যে মনিটাইজ করা হয়।

গুগল অ্যাডসেন্স AdSense এর কাজ করার প্রক্রিয়া খুবই simple. এজন্য আপনাকে প্রথমে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের head tag এর মধ্যে একটি ছোটো আকারের AdSense code set করতে হবে। এরপর আপনি গুগল এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য সম্পূর্ণ ready হয়ে যাবেন।

যখন গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে এডসেন্স ব্যবহারের জন্য অনুমোদন (approval) দেবে, তখন গুগলের তরফ থেকে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টে কিছু বিজ্ঞাপন (advertisements) দেখানো হবে এবং এই ads গুলো দেখানো হবে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টের বিষয়ের সাথে মিল রেখে।

এরপর যখন আপনার ওয়েবসাইটে আসা visitors এই advertisements গুলোর উপরে click করবে, তখন এর বিনিময়ে কিছু পরিমাণ টাকা আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হবে। বিজ্ঞাপন গুলোর উপর প্রতিটি ক্লিকের বিনিময়ে আপনাকে কত ডলার ($) দেওয়া হবে, সেটি বলা হয় সিপিসি।

গুগল অ্যাডসেন্স মনে করুন, আপনার এডসেন্স একাউন্টে বর্তমানে সিপিসি রয়েছে $0.10 তাহলে আপনি প্রতিটি ads click এর জন্য $0.10 পেয়ে যাবেন এবং এটি আপনার এডসেন্স একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।

গুগল অ্যাডসেন্স এভাবে যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে $100 জমা হয়ে যাবে, তখন আপনি সেই টাকা আপনার bank account এর মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারবেন।

তবে মনে রাখবেন, ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন শো করানোর জন্য আগে অবশ্যই ওয়েবসাইট বা ব্লগকে গুগল এডসেন্স এর জন্য apply করতে হবে এবং approval পেলে তবেই আপনি সাইটে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন place করতে সক্ষম হবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স গুগল এডসেন্স আমাদের প্রতি ১০০ এড ভিউস এর জন্য ১ ডলার পে করে থাকে। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন গুগল এডসেন্স আমাদের কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে টাকা প্রদাণ করে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স পাবার শর্ত

গুগল অ্যাডসেন্স হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এডভারটাইজিং মাধ্যম, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে গুগলের বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন আর সেই সাথে আপনার নিজের বিজ্ঞাপন ও এডসেন্সের মাধ্যমে প্রাকাশ করতে পারবেন। এটি Google মালিকানাধীন। 

আপনার পেমেন্ট পেতে কোন জামেলা পোহাতে হবে না আপনি পেমেন্ট নিয়ে ১০০% নিশ্চিত থাকতে পারবেন। এডসেন্স গুগলের আয়ের একটি বড় অংশ। গুগলের মাসিক আয় সম্পর্কে আপনার নিশ্চয় ধারণা আছে। এই আয়ের কিছু অংশই গুগল আপনাকে প্রদান করে প্রকাশক হিসেবে।

গুগল অ্যাডসেন্স গুগল এডসেন্সের অনেক কঠোর নিয়ম আছে যা কোন ভাবেই লঙ্ঘন করা উচিত নয়। একটি এডসেন্স প্রকাশক হিসাবে আপনার দায়িত্ব সাথে নিয়ম অনুসরণ করাও আপনার গুরু দায়িত্বে।

গুগল অ্যাডসেন্স এডসেন্স ডেস্কটপ ওয়েবসাইট, ভিডিও, গেমস, মোবাইল এপস (মোবাইল এপসের জন্য এডমব প্রয়োজন যা এডসেন্সের অনয় একটি শাখা) এবং আরও অনেক কিছুর জন্য উন্মুক্ত।

এডসেন্স বিজ্ঞাপন টেক্সট এবং ইমেজ সহ বিভিন্ন সাইজ থাকে। যেমনঃ- ব্যানার এড, ইন্ড্রাস্টিয়াল এড, নেটিব এড, রিওয়ার্ড এড, ভিডিও এড ইত্যাদি।
এডসেন্স প্রকাশকদের Google Inc. দ্বারা পেমেন্ট করা হয় যা সম্মানের ভাগীদার।

সাইটের কনটেন্ট:
সাইটে মানসম্পন্ন, অরিজিনাল এবং ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী কনটেন্ট থাকতে হবে।
কপিরাইট বা অন্যের কনটেন্ট চুরি করা যাবে না।
কোনো অবৈধ, আপত্তিকর বা ক্ষতিকর কনটেন্ট থাকা যাবে না (যেমন: সহিংসতা, ঘৃণামূলক বক্তব্য, অশ্লীলতা ইত্যাদি)।

বয়স সীমা:
আবেদনকারীকে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে।

গুগলের নীতি মেনে চলা:
গুগল অ্যাডসেন্সের নীতিমালা (AdSense Program Policies) মেনে চলতে হবে।

ট্রাফিক এবং ভিজিটর:
আপনার সাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রাফিক (ভিজিটর) থাকতে হবে।
সাইটের ভিজিটরদের উৎস হতে হবে প্রকৃত এবং স্বাভাবিক, কোনো ভুয়া বা অটোমেটিক বটের মাধ্যমে ভিজিটর বাড়ানো যাবে না।

ডোমেইন বয়স:
কিছু দেশে সাইটের ডোমেইন বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হয়। (যেমন: ভারত ও চীন)

সাইটে ন্যাভিগেশন:
সাইটের ন্যাভিগেশন সহজ এবং ব্যবহারকারীর জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে।

প্রাইভেসি পলিসি:
সাইটে প্রাইভেসি পলিসি পেজ থাকা বাধ্যতামূলক, যাতে কিভাবে ব্যবহারকারীর ডেটা ব্যবহার করা হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার সম্পর্কে কিছু টিপস

আপনি গুগল থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অ্যাডসেন্স এর আওতায় পড়তে হবে আপনি যদি অ্যাডসেন্স এর আওতায় না থাকেন তবে আপনি গুগল থেকে টাকা আয় করতে পারবেন না। 

গুগল অ্যাডসেন্স গুগল এর অ্যাডসেন্স পেতে হলে প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল ,ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস এর দরকার পরবে যার মাধ্যমে আপনি এড দেখাতে পারবেন। এর মধ্যে যেকোনো একটি থাকলে আপনি অ্যাডসেন্স একাউন্ট এ সাইন আপ করতে পারবেন।

অ্যাডসেন্স একাউন্ট এর মাধ্যমে যখন আপনার ওয়েবসাইট বা ভিডিওতে অ্যাডসেন্স অন হয়ে যাবে তখন আপনি এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার ভিডিও ভিউ বা পেজ ট্র্যাফিক যত বেশি হবে আপনি তার মাধ্যমে তত বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স ইউটিউব ভিডিওর জন্য আপনি ১০০০ হাজার সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ হাজার ঘণ্টা ওয়াচটাইম হলে আপনি মনিটাইযেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। 

আর ওয়েবসাইট এ অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ গুগল থেকে বলা হয়নি আপনার ভালো ট্র্যাফিক বা পেজ ভিউ থাকলে গুগল নিজ থেকেই আপনাকে অ্যাডসেন্স দিবে ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে।

অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে ইউটিউব এ সবসময় ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং এটির মাধ্যমে যখন আপনার ভিডিওতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিউ হয়ে যাবে তখন আপনি 

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এবং গুগল যদি আপনার অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার পর সেটি যদি এপ্রুভ করে তবে আপনি আপনার ভিডিও থেকে আয় করা শুরু করবেন।

ইউটিউব  ব্যবহারকারীদের প্রতিটি ভিডিওতে ১ টি ভিউর জন্য ০.০১$ ডলার থেকে ০.০৩$ ডলার দিয়ে থাকেন। এর মানে হলো আপনার ভিডিওতে ভিউ যত বেশি হবে আপনি তত বেশি পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে বড় ইউটিউবার হলেন মিস্টার বিষ্ট যিনি ইউটিউব থেকে থেকে বছরে ৫৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে থাকেন। বর্তমানে বাংদেশেরও অনেক ইউটিউবার ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষাদিক টাকার উপরে ইনকাম করছেন। 

গুগল অ্যাডসেন্স তাছাড়া একটি ভালোমানের ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনার ওয়েবসাইট এ অনেক বেশি পরিমাণে ট্র্যাফিক নিয়ে আসর মাধ্যমে বছরে কয়েক হাজার ডলারও ইনকাম করতে পারেন।

আপনি যখন অনেক পরিশ্রম করে কোনো একটি কনটেন্ট তৈরি করেন কিন্তু আপনি ওখান থেকে কোনো ধরনের অর্থ উপার্জন করতে পারেন না, তখন আপনি অনেক বেশি হতাশ হয়ে পড়বেন আর তাই আপনি যদি আপনার কনটেন্ট থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই গুগলের অ্যাডসেন্স পেতে হবে যার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

এর জন্য আপনাকে ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ব্লগ অথবা ইউটিউব ভিডিওতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিউ ও ট্র্যাফিক আন্তে হবে যার মাধ্যমে আপনি গুগল থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো ভালো কিছু কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যেটির মাধ্যমে 

আপনার ভিডিওটি ইউটিউবে ভাইরাল হতে পারে আর যদি ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে সেই কন্টেন্টের জন্য অনেক ভালো এসইও করে আপনার ওয়েবসাইটটিকে গুগল সার্চের প্রথম পৃষ্ঠায় র‍্যাঙ্ক করে অনেক বেশি ট্র্যাফিক নিয়ে আসতে পারবেন যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন