অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো ২০২৪: সেরা ২০ টি সাইট
ই-কমার্স এবং ড্রপশিপিং: বর্তমানে সকলেই ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে অধিক আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই কারণে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলোর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনলাইন টিউটরিং:
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট বিশ্বজুড়ে প্রচুর পরিমাণে লোকেরা ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছেন।
আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজে প্রচুর সময় নষ্ট করে থাকি।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো ২০২৪: সেরা ২০ টি সাইট
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনি প্রচুর website বা android apps পেয়ে যাবেন, যেগুলোতে এড দেখে ইনকাম করা যাবে এরকমটা বলা হয়।
কিন্তু খুব কম সংখ্যাক apps বা website রয়েছে, যেগুলো সত্যিই এড দেখে টাকা আয় করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে আপনি প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা নানা ধরনের বিজ্ঞাপন বা এডস গুলো দেখবেন কিন্তু এর বিনিময়ে আপনাকে কোনো টাকা দেওয়া হয় না।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট তাই আজকের আর্টিকেলে আমি বিশ্বস্ত বা real এবং সেরা কিছু Ad দেখে টাকা ইনকাম করার apps বা website গুলোর বিষয়ে আপনাদের বলবো। এগুলোতে আপনারা ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
এইসব বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সাধারণ দক্ষতা থাকতে হবে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট তাহলে চলুন ভিডিও এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট বা অ্যাপস এর ব্যাপারে নিচে এক এক করে জেনে নেওয়া যাক।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:
আগে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া কে ব্যবহার করতো শুধু বন্ধু বান্ধবের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হওয়ার ফলে এখানে দিন দিন নানা ধরনের ব্যবসা গড়ে উঠছে। তাই একদম নতুন উদ্দোক্তারা তাদের বিজনেস এর ক্ষেত্রে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া কেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট নতুন উদ্দোক্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজনেস গড়ে তোলার কারন হলো এখানে তাদের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করার জন্য আলাদা করে পেমেন্ট করতে হয় না। কিন্তু দোকান ভাড়া নিয়ে ছোট ব্যবসা করতে গেলে সারা মাস আপনার বিক্রয় না হলেও আপনাকে মাস শেষে ভাড়া দিতেই হবে।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম অ্যাপ অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট
এরকম নানা ধরনের জটিলতা থাকার জন্য মানুষ এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। আপনি যদি আপনার ব্যবসার পরিচিতি বাড়াতে চান তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা দরকার। আর এ বিষয়ে যদি আপনি অজ্ঞ হোন তাহলে আপনি এই আর্টিকেল টা পড়ুন।
এখানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কি এবং এর গুরুত্ব টা-ই বা কত টুকু একটা বিজনেস দাড় করানোর ক্ষেত্রে ইত্যাদি আলোচনা করা হবে এবং এর পাশাপাশি আপনি আরও জানতে পারবেন কিভাবে, কোথা থেকে আপনি একজন ভালো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হায়ার করতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোডাক্ট বা সকল সার্ভিসের দেখাশোনা করার কাজ। এটি এমন একটি প্রসেস যার মাধ্যমে আপনার অনলাইন প্রেজেন্স বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর উপর যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট তে নানা ধরনের পোস্ট ক্রিয়েট, সেগুলো পাবলিশ এবং এনালাইসিস করার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট বলতে আরও বোঝায় সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের সাথে আপনার ইংগেজিং এবং ইন্টারেকটিং। আপনার যদি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ অনেক গুলো বিজনেস থাকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট তাহলে কি আপনার একার পক্ষে সব বিজনেস দেখাশোনা করা সম্ভব? কাস্টমার দের সাথে ইংগেজিং/সম্পৃক্ততা বাড়ানো সম্ভব? অবশ্যই আপনার উত্তর হবে “না”। এক্ষেত্রে আপনি আপনার বিজনেস এর ম্যানেজমেন্ট এর দায়িত্ব দিতে পারেন একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর উপর।
আপনি যদি আপনার অনলাইন বিজনেস কে ঠিকঠাক মত ম্যানেজ করতে চান সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর দ্বারা তাহলে আপনি yappobd.com থেকে হায়ার করতে পারেন। আমাদের আছে অভিজ্ঞ সোশ্যাল মিডিয়া মানেজার। এবার জেনে নেওয়া যাক সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতটা।
বিজনেস কৌশল প্রসারঃ
যেকোনো ধরনের বিজনেস কে সফল করতে হলে অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে ও কিছু টেকনিক আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কি?
এক্ষেত্রে অবশ্য একেক জনের স্ট্র্যাটেজি একেক রকম হয়ে থাকে কারন একেক জনের রুচি একেক রকম। আপনার বিজনেস এর প্রসার বাড়াতে চাইলে আপনি আপনার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট করার দায়িত্ব সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কে দিন।
এতে করে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময় বেচে যাবে। এবং আপনি এই সময় টা অন্য কাজে লাগাতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা যেহেতু এক্সপার্ট হয়ে থাকে এই বিষয়ে তাই তারা তাদের কিছু ট্রিকস দ্বারা আপনার বিজনেস কে গ্রো আপ করে দিবে।
কাস্টমার সংখ্যা বাড়ানোঃ
৭৪% মানুষ তাদের কেনা কাটা করার জন্য ফেসবুক এর উপর নজর রাখে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সংখ্যা টা দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা প্যানডেমিক এর জন্য। তাই সোশ্যাল মিডিয়া তে বিজনেস থাকলে সেটা নিয়ে আপনার ভাবা উচিত।
বিজনেসের প্রশার ঘটিয়ে সেটা সবার মাঝে পৌঁছে দিন। আপনার বিজনেস এর কোনো গ্রুপ বা পেইজ থাকলে সেটা বুস্ট করুন। পেইজ বা গ্রুপ বুস্ট করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনার অনলাইন বিজনেস এর এ্যাডভারটাইজ বুস্ট করার ফলে কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ বা পেইজ সবার কাছে যত পৌঁছাবে তত কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আপনার বিজনেস এর অ্যাডভারটাইজিং টা আপনি করে নিতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর দ্বারা।
আপনার উচিত হবে বুস্টিং, অ্যাডভারটাইজিং কিংবা অন্য যেকোনো উপায়ে কাস্টমারদের কাছে রিচ বাড়ানো। কাস্টমার বাড়লো কিন্তু আপনি প্রোডাক্ট খারাপ দিলেন, এক্ষেত্রে আপনার কাস্টমার দিন দিন কমবে তাই এদিকেও নজর দিন। কাস্টমার যত বাড়বে তত তাদের কে হ্যান্ডেলিং করাটা ও কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে আপনাকে হেল্প করার জন্য সর্বদা পাশে আছে অনেক এক্সপার্ট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার।
গ্রাহক সেবা নিশ্চিতঃ
একটি অনলাইন বিজনেস এর মুল কথা হওয়া উচিত ” গ্রাহকদের স্যাটিস্ফ্যাকশন-ই আমাদের সার্থকতা “। কিন্তু এই নীতি কয় জন-ই বা ফলো করে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট আপনি যত বড় অনলাইন বিজনেস-ই চালান না কেনো আপনি যদি গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে না পারেন আপনার বিজনেস টিকবে না। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ই-কমার্স বিজনেস হলো ইভ্যালি। কিন্তু তারা সব চাইতে বেশি সমালোচিত কারণ তাদের ডেলিভারি সিস্টেম ভালো না।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট কেও কেও তো আবার মজা করে বলে ” গার্লফ্রেন্ড থাকতে কাপল ওয়াচ অর্ডার দিছিলাম ইভ্যালি তে, ব্রেক-আপ হওয়ার পর সেটা আসছে”। এই ধরনের মিম থেকে এটাই প্রকাশ পায় ইভ্যালি তাদের কাস্টমারদের কে স্যাটিসফাইড করতে পারে নি।
তাদের মার্কেটিং এর কিছু বাজে স্ট্র্যাটেজির জন্য অনেকেই তো আবার অর্ডার দিয়ে মানুষিক বিষন্নতায় ভোগে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিজনেস কে ব্যান করে দিয়েছে। তাই আপনি যে ব্যবসাই করুন না কেনো সব সময় ম্যানেজিং সিস্টেম, কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন এর দিকে নজর রাখুন।
ধরুন আপনার একটি অনলাইনে জামা-কাপড়ের বিজনেস আছে। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে আপনি পারলে অনলাইন এ্যাডভারটাইজিং এর দায়িত্ব একজন কে দিবেন, প্রোডাক্ট লাইভ করাবেন একজন কে দিয়ে, এরকম ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে আলাদা আলাদা লোক কে নিয়োগ করুন।
এতে আপনার কাস্টমাররা স্যাটিসফাইড থাকবে এবং আপনার পুরাতন কাস্টমাররা আপনার কাছ থেকেই প্রোডাক্ট কিনবে এবং পাশাপাশি আপনার প্রোডাক্ট গুলোর মান ভালো হলে অন্য জনকে ও নিতে বলবে।
কমিউনিটির সুবিধা বৃদ্ধিঃ
আপনার অনলাইন বিজনেস কে যদি আপনি একাই হ্যান্ডেল করতে চান তাহলে আপনার কাস্টমারদের সাথে আপনার কমিউনিকেশন গ্যাপ সৃষ্টি হবে।
দেখা যাচ্ছে একটা কাস্টমার আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে কারণ তার একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার দরকার কিন্তু তখন আপনি অন্য একজন কাস্টমার এর সাথে বিজি। এর ফলে আপনার নতুন কাস্টমার টা কমিউনিকেশন গ্যাপের ফলে আপনার প্রোডাক্ট টি কিনতে আগ্রহী হবে না।
আর আপনার একার পক্ষে এতো লোকের সাথে কানেক্ট থাকা কখনোই পসিবল না। আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি এবং আপনার কাস্টমার কানেক্টেড থাকতে পারবেন।
গ্রাহক উপস্থিতিঃ
আপনি যদি আপনার ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ কিংবা ওয়েবসাইট এ আপনার প্রোডাক্টগুলোর পোস্ট অনিয়মিত ভাবে দিতে থাকেন তাহলে আপনার কাস্টমাররা আপনার কোনো কোন প্রোডাক্ট এর লঞ্চ মিস করেও ফেলতে পারে।
আপনি যদি গ্রাহক উপস্থিতি বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার এ রুলস মেইনটেইন করে চলুন। প্রতিদিন কিংবা সপ্তাহের একটা ফিক্সড টাইম এ আপনার প্রোডাক্ট এর নিউ পিকগুলো আপলোড দিন।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট
এতে করে আপনার কাস্টমাররা আপনার নিউ প্রোডাক্ট লঞ্চ হওয়ার আগ পর্যন্ত অনেক ইন্ট্রেসটেড থাকবে এবং নতুন প্রোডাক্টগুলো কেও-ই দেখতে মিস করবে না। আরো একটি কার্যকরী উপায় হলো আপনি যদি আপনার বিজনেস এর কোনো প্রোডাক্ট নিয়ে লাইভ করতে চান তাহলে তাহলে সেটা মিনিমাম ২-৩ দিন আগেই আপনার ফেসবুক পেইজ
অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে দিন। এতে করে আপনার লাইভ এ সবাই উপস্থিত থাকবে এবং নতুন প্রোডাক্ট এ কোনো অফার থাকলে মিস করবে না। এতে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করা ও সুবিধা হবে।
ই-কমার্স এবং ড্রপশিপিং:
ব্যবসায়িক থেকে গ্রাহক
এ ক্ষেত্রে কোনও ব্যবসায়িক পৃথক পৃথক গ্রাহকের কাছে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করে থাকে (যেমন আপনি একটি অনলাইন খুচরা বিক্রেতা থেকে একজোড়া জুতা কিনলেন))
ব্যবসায়িক থেকে ব্যবসায়িক
এ ক্ষেত্রে একজন বড় ব্যবসায়ী ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের নিকট পণ্য বিক্রয় করে থাকে। (যেমন কোন খুচরা বিক্রেতা বিক্রির জন্য কোন পণ্য ক্রয় করেন)
গ্রাহক থেকে গ্রাহক
যখন কোনও গ্রাহক অন্য কোনও গ্রাহকের কাছে কোনও পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে থাকে(যেমন আপনি আপনার পুরানো আসবাবপত্র অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন)।
গ্রাহক থেকে ব্যবসায়ী
যখন কোনও ভোক্তা তাদের নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবাগুলি কোনও ব্যবসাযিক সংস্থার কাছে বিক্রি করে ড্রপশিপিং একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে উদ্যোক্তারা কম, অগ্রিম বিনিয়োগের সাথে একটি ইকমার্স উদ্যোগ শুরু করতে পারে। এই মডেলটি কোনো ইনভেন্টরি বা শিপিং লজিস্টিকস ছাড়াই অনলাইনে পণ্য বিক্রির প্রস্তাব করে।
আসুন আমরা ড্রপশিপিংয়ের জটিলতাগুলি দেখি, সঠিক অংশীদারদের বেছে নেওয়ার গুরুত্ব অন্বেষণ করি এবং ড্রপশিপিং ব্যবসার জন্য শিপিংকে স্ট্রিমলাইন করার ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত মিত্র হিসাবে শিপ্রকেটের ভূমিকা হাইলাইট করি।
Dropshipping একটি ই-কমার্স ব্যবসায়িক মডেল যেখানে বিক্রয় ওয়েবসাইট তৃতীয় পক্ষের সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে আইটেম ক্রয় করে, যারা তখন ওয়েবসাইটের মালিকের পক্ষ থেকে অর্ডার পূরণ করে।
আরো পড়ুন: গেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
এটি কেবল অপারেশনাল খরচ কমায় না বরং গ্রাহক অধিগ্রহণ এবং ব্যবসা আনার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য সময় দেয়।
আপনি যদি নিজের ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করতে এবং সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের জন্য প্রস্তুত থাকেন, তাহলে আমাদের কাছে আপনার জন্য নিখুঁত গাইড রয়েছে। যদিও এটি প্রচুর পরিমাণে তহবিল নেয় না, ড্রপশিপিং ব্যবসার জন্য প্রচুর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়।
আসুন ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি পড়ি এবং বুঝতে পারি
একটি কুলুঙ্গি নির্বাচন করুন
ড্রপশিপিং শুরু করার সময় একটি কুলুঙ্গি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়, এবং কুলুঙ্গি এমন কিছু বলে মনে করা হয় যা আপনি আগ্রহী বা আগ্রহী তা নিশ্চিত করার জন্য যে আপনি লাইন থেকে নিরুৎসাহিত হবেন না।
একটি ড্রপশিপিং ব্যবসাকে স্কেল করতে বেশ প্রচেষ্টা লাগে। একটি কুলুঙ্গি নির্বাচন করার সময় এটি লাভজনক পণ্য এবং পণ্যগুলি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ যা একটি প্ররোচিত কেনাকাটা ট্রিগার করতে পারে। সঠিক পণ্য চয়ন করার জন্য আপনার ভোক্তাদের এবং বাজারকে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি সহজেই পাওয়া যায় না এমন পণ্যগুলিও চয়ন করতে পারেন, এইভাবে এটি আপনার পণ্য এবং ব্র্যান্ডের জন্য একটি জরুরী অবস্থা তৈরি করবে।
আপনার প্রতিযোগিতা গবেষণা
যখন আপনি আপনার ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করবেন, তখন আপনি শুধুমাত্র অন্যান্য ড্রপশিপারের বিরুদ্ধে নয় বরং আমাজনের মতো খুচরা জায়ান্টদের সাথেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আপনার প্রতিযোগীদের এবং তাদের বিক্রি করা পণ্য সম্পর্কে গবেষণা করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার গ্রাহকদের চাহিদা কি।
অনেক পণ্যের বাজারে কম প্রতিযোগিতা আছে, কিন্তু এর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ শিপিং খরচ, উত্পাদন সমস্যা, বা কম মুনাফা।
একজন সরবরাহকারীকে সুরক্ষিত করুন
যে কোনও ড্রপশিপিং ব্যবসার প্রধান অংশ হল একটি ভাল সরবরাহকারীকে সুরক্ষিত করা যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা পণ্য সংগ্রহ করতে পারে। সরবরাহকারী নিয়োগের সময় আপনাকে অবশ্যই যথাযথ পরিশ্রম করতে হবে। কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে - পণ্যের প্রাপ্যতা, পণ্যের দাম, জাহাজের মাধ্যমে পরিবহনের খরচ, এবং আরও
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট শিল্পে অনেক সরবরাহকারী আছেন যারা আপনাকে আপনার নিজস্ব ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করার সুযোগ দেয় যা আপনাকে চাহিদা, লাভজনক পণ্যগুলি সরবরাহ করে কম বাজেটের পরিসরে পাঠানো যেতে পারে।
ব্লগিং:
ব্লগ হলো ইংরেজি Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৯৭ সালে জন বারজার নামক একজন মার্কিন নাগরিক সর্ব প্রথম Weblog শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ওয়েবলগ শব্দটিকে ভেঙে We এবং Blog এই দুই নামে বিভক্ত করা হয় যার অর্থ দাঁড়ায় আমরা ব্লগ করি।
ব্লগ এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ হলো ডাইরি। অর্থাৎ আমরা একটি ডাইরিকে যেভাবে ইউজ করি ব্লগ ঠিক সেই কাজের জন্যই ব্যবহৃত হয়।
সময়ের সাথে সাথে ব্লগ ধারণার উৎপত্তিগত অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। বর্তমান এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ব্লগ অর্থ বুঝায় ইন্টারনেটে ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখালেখি করা। যারা এই ব্লগে লেখালেখি করে এবং মেইন্টেইন করে তাদের ব্লগার বলা হয়।
ব্লগারের ব্লগ লেখার যে প্রক্রিয়া তাকে যৌথভাবে ব্লগিং বলা হয়। ব্লগিং বর্তমান সময়ের ইন্টারনেট নির্ভর একটি অনেক জনপ্রিয় পেশা। যারা ব্লগ লেখে তারা সাধারণত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হয়। তারা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়মিত ভাবে ব্লগে লিপিবদ্ধ করে রাখে। সেই লেখা পড়ে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের নানা সমস্যা সমাধান করে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট তো, ব্লগিং হলো একটি ডাইরি বা ম্যাগাজিন যেখানে একজন ব্লগার তার অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ লেখা, ছবি এবং ভিডিও এর মাধ্যমে শেয়ার করে।
ব্লগিং করার উদ্দেশ্য সাধারণত দুই প্রকার হয়। প্রথমত নিজের জ্ঞান সবার জন্য উন্মুক্ত করার জন্য, দ্বিতীয়ত ইনকাম করার জন্য। বর্তমান সময়ে প্যাসিভ ইনকাম সোর্স হিসেবে ব্লগিং সবার প্রথমে আসে। কারণ ইন্টারনেট থেকে আয় করার জন্য ব্লগ অনেক ভালো একটি উৎস।
যাইহোক, এই সময়ে সবাই ব্লগ তৈরি করে সাধারণত আয় করার জন্যই। একজন শিক্ষক যেমন তার নতুন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে উপার্জন করে তেমনি একজন ব্লগার তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অনলাইনে ইনকাম করে।
আপনি ব্লগিং করার কারণে কি কি অর্জন করবেন তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ- আপনি যখন আপনার ব্লগে লিখবেন তখন অনলাইনে আপনার একটি পরিচিতি তৈরি হবে। দেখা যাবে গুগলে আপনার নাম লিখে সার্চ দিলে আপনার তথ্য পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ইন্টারনেটে আপনার একটি ইউনিক অস্তিত্ব বা পরিচিতি তৈরি করতে ব্লগিং আপনাকে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম বিডি
ব্লগ লিখে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। যেহেতু আমাদের সমাজে টিকে থাকতে গেলে আয় করতে হবে সেহেতু নিজের পারদর্শিতার বিনিময়ে যদি কিছু আয় হয় তবে তা হবে সোনায় সোহাগা। প্রতি বছর বিভিন্ন পরিসংখ্যান পাবলিশ হয়ে যেখানে দেখা যায় ব্লগ লিখে অনেকেই স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে। অতএব, ব্লগিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার জন্য ব্লগ লিখতে পারেন।
ব্লগ লিখে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের জানা-অজানা বিষয় মানুষকে জানাতে পারবেন। এতে অনেক মানুষের উপকার হবে। কারণ আমরা প্রায় সময় কোন সমস্যায় পরলে যখন অভিজ্ঞ কাউকে হাতের নাগালে না পাই তখন গুগলে সার্চ করি। গুগলে তখন উক্ত সমস্যার সমাধান যার ব্লগে আছে সেখানে নিয়ে যায়।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ব্লগ হলো একজন মানুষের মতামত বা অভিব্যক্তি জানানোর উপযুক্ত জায়গা। এখানে আপনি সাম্প্রতিক বিষয়ের উপর আপনার চিন্তা-চেতনা ও মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।
ব্লগিং করার কারণে আমরা যেমন অন্যদেরকে নতুন বা অজানা তথ্য দিতে পারি তেমনি নিজের জানার জন্য ব্লগের সাহায্য নিতে পারি। কারণ পৃথিবীর কোন মানুষ সবজান্তা নয়। জ্ঞান আহরণের জন্য আমাদের অন্য কারো শরণাপন্ন হতে হয়।
অনলাইন টিউটরিং:
অনলাইনে একজন মহান গৃহশিক্ষক হয়ে ওঠার কি কোনো রহস্য আছে? এখানে কিছু সেরা টিপস রয়েছে যা আপনাকে ডিগ্রী বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই অনলাইন টিউটর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।
অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম মূল্যায়ন
করণীয় প্রথম জিনিস গবেষণা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় তুলনা অনলাইন টিউটোরিয়াল প্ল্যাটফর্ম আপনার প্রয়োজন অনুসারে একটি খুঁজে পেতে. একজন অনলাইন গৃহশিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করা এবং নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটগুলিতে অর্থ প্রদান করা সহজ: Tutor.com, Wyzant, Chegg, Vedantu, VIPKid, ইত্যাদি...
উচ্চ-চাহিদার বিষয় বা দক্ষতা লাভ করুন
অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অনলাইন টিউটর হওয়ার সেরা টিপসগুলির মধ্যে একটি হল টিউটরিং বিষয় বা দক্ষতার উপর ফোকাস করা যা উচ্চ চাহিদা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, STEM বিষয়, পরীক্ষার প্রস্তুতি, বা ভাষা শেখার একটি বৃহত্তর ছাত্র বেস থাকে, যা আপনার আরও ছাত্রদের আকৃষ্ট করার এবং আরও আয় উপার্জনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করুন
আপনার বিষয় এলাকায় অনলাইন টিউটরিংয়ের জন্য বাজারের হারগুলি নিয়ে গবেষণা করা এবং সেই অনুযায়ী আপনার মূল্য নির্ধারণ করাও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার সময় এবং দক্ষতার মূল্যায়ন করার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হার অফার করার বিষয়ে সচেতন হন।
আপনার অনলাইন উপস্থিতি তৈরি করুন
আপনি যদি উচ্চ আয়ের সাথে অনলাইন টিউটর হতে চান তবে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে এবং সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য একটি পেশাদার অনলাইন উপস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন। আপনার যোগ্ত,
আরো পড়ুন: add দেখে টাকা ইনকাম
শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা এবং আগের ছাত্রদের প্রশংসাপত্র তুলে ধরতে ভুলবেন না। আপনি অনলাইন অনুসন্ধানে আপনার দৃশ্যমানতা উন্নত করতে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান কৌশলগুলিও ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি দেখাতে পারেন যদি আপনি কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ার লক্ষ্য রাখেন।
আকর্ষক পাঠের উপকরণ প্রস্তুত করুন
সর্বোপরি, অনলাইন নির্দেশের জন্য উপযোগী উচ্চ-মানের পাঠ উপকরণ তৈরি করার চেষ্টা করুন। আপনি আরও ইন্টারেক্টিভ উপস্থাপনা, ওয়ার্কশীট এবং কুইজ তৈরি করার কথা ভাবতে পারেন যা সহজেই ভাগ করা যায় এবং ডিজিটালভাবে অ্যাক্সেস করা যায়।
অহস্লাইডস শিক্ষার অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষক এবং দক্ষ করে, পাঠের উপকরণগুলিকে উন্নত করতে সাহায্য করার সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হতে পারে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আধুনিক জগতের মার্কেটিং প্রক্রিয়ার অনেক জনপ্রিয় মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট শব্দের বাংলা অর্থ অধিভুক্ত। কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে প্রমোট করা বা বিক্রি করে কমিশন নেওয়া কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
সহজভাবে বলতে গেলে, কোন প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের আওতায় পণ্য বিক্রি করার প্রক্রিয়াকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা যায়। সাধারণ মার্কেটিং থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটু আলাদা।
ধরুন আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে। আপনি মার্কেটিং খরচ কমানোর জন্য বা সেল বাড়ানোর জন্য কি করা যায়, তা নিয়ে চিন্তিত। এই পরিস্থিতিতে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আপনার জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসতে পারে। আপনাকে শুধু আপনার পণ্য বিক্রি করার উপরে উক্ত মার্কেটারকে কিছু কমিশন দিতে হবে।
সেই কমিশনের উপর ভিত্তি করে সে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করে সেল বাড়িয়ে দিবে। এতে আপনার এক্সট্রা মার্কেটিং খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত কোম্পানি অ্যামাজন বা আলি- এক্সপ্রেস অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি বছর পণ্য বিক্রি করে অনেক মুনাফা অর্জন করছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি সহজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলতে পারবেন। এটি এমন একটি বিজনেস মডেল যা সময়ের সাথে সাথে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক ভালো একটি মাধ্যম। এজন্য আপনাকে কীভাবে এগোতে হবে তা নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন পরে উৎস বা সোর্স এর। অর্থাৎ আপনাকে যে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট দেওয়া হবে তা প্রমোট করার জন্য একটি প্লাটফর্ম প্রয়োজন পরবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট হিসেবে ব্লগ অনেক জনপ্রিয়। অ্যাফিলিয়েট প্লাটফর্মগুলো ব্লগ ওয়েবসাইটকে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জন্য বেশি প্রাধান্য দেয়।
যাইহোক, অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চাইলে একটি ব্লগ আপনার কাছে হতে পারে এল ডোরাডো। প্রথমে পুরো মার্কেট রিসার্চ করে আপনাকে একটি ভালো মানের নিস বা বিষয় নির্বাচন করবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট যে নিস সিলেক্ট করবেন তার উপর নির্ভর করে ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে কনটেন্ট দিতে হবে। যখন সেই কনটেন্টগুলো পড়ার জন্য সাইট এ ভিজিটর আসবে কেবল তখনই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করলে সম্মতি পাওয়া যাবে।
অ্যাফিলিয়েট ব্লগগুলো সাধারণত ইনফো এবং মানি আর্টিকেল এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। অর্থাৎ কিছু আর্টিকেল নির্বাচিত প্রোডাক্ট সম্পর্কে বর্ণনা করে এবং কিছু আর্টিকেল প্রোডাক্ট এর ভালো মন্দ বর্ণনা করে। এই তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই একজন ভিজিটর সম্ভাব্য কাস্টমারে পরিণত হয়। মোটকথা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার কাস্টমারের কাছে পণ্য নিয়ে ভার্চুয়াল ভাবে পৌঁছাতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেল
আমরা জানি ইউটিউব হলো জনপ্রিয় একটি ভিডিও প্লাটফর্ম। যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকারের ভিডিও আপলোড হয়। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ সেই ভিডিও গুলো দেখে। সাধারণ মানুষের যখন একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করার চিন্তা-ভাবনা করে তখন তারা সামনাসামনি দেখে নিতে পছন্দ করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে যখন কোন পণ্য ক্রেতার কাছে সঠিক ভাবে বর্ণনা করা হয় তখন তা ভ্যালু ক্রিয়েট করে। কোন অ্যাফিলিয়েট পণ্য প্রমোট করার জন্য লেখার থেকে ভিডিও মাধ্যম অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ ভিডিও এর মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতা সেই পণ্যেটি সামনা-সামনি দেখে ভালো মন্দ বিচার করতে পারে।
আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আগ্রহী হন তাহলে একটু ইউটিউব চ্যানেল আপনার জন্য পারফেক্ট একটি সোর্স হতে পারে। সেখানে আপনাকে আপনার অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে। সেই ভিডিও দেখে ডেসক্রিপশনে থাকা লিংক থেকে কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট কিনলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
ই-মেইল মার্কেটিং
ই-মেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম। আপনি কাস্টম মেইল সার্ভার ইউজ করে অথবা ফ্রি মেইল সার্ভিস ইউজ করে মার্কেটিং করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অ্যাপ্রুভাল পেতে হবে।
তারপর পটেনশিয়াল কাস্টমারদের ই-মেইল সংগ্রহ করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট লিংক সহ মেইল টেম্পলেট তৈরি করে তা উক্ত মেইল অ্যাড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে। এখানে আপনার ক্রিয়েটিভিটির উপর নির্ভর করে সেল জেনারেট হবে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
আজকাল ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে অনেক মানুষ দেখতে পারবেন যারা শর্ট ভিডিও বা রিলস তৈরি করে উয়ারদেরকে ইনফ্লুএন্স করে।
আপনি নিজে যদি এরকম ইনফ্লুএন্সার হন তাহলে শর্টস বা রিলস ভিডিও এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন। এতে মনিটাইজেশনের ইনকামের সাথে সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকেও ইনকাম করতে পারবেন।
অভিজ্ঞতা অর্জন
ধরুন আপনি একজন মার্কেটার যিনি ভবিষ্যতে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ছাড়া নতুন বিজনেস শুরু করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ সম্প্রতি শুরু করা কোনো বিজনেস যদি বন্ধ হয়ে যায়
তবে সেখানে ইনভেস্ট করা অর্থ এবং সময় দুটোই নষ্ট হয়ে যাবে। কোনো বিজনেস কীভাবে পরিচালিত হয় এবং সেখানে কি কি সমস্যার উদ্ভব হয় তা না জানলে সেগুলো সমাধান করা অসম্ভব হয়ে পরবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একজন মার্কেটার বিজনেস মডেল সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করবে। এতে নতুন কোনো বিজনেস শুরু করা তার জন্য অনেক সহজ হবে।
ক্যারিয়ার তৈরি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুধু একটি অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি নয়, একটি সুন্দর এবং সুরক্ষিত ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্যও অনেক কার্যকরী মাধ্যম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেকগুলো বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় যাদের মধ্যে আছে এসইও, ওয়েবসাইট মেইন্টেইন, মার্কেটিং, অর্থনীতি, কনটেন্ট রাইটিং সহ অন্যান্য বিষয়।
এ সকল স্কিল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা ফুল টাইম জব করতে পারবেন। যা আপনার অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সব থেকে বেশি কার্যকরী হবে।
ইনকাম সোর্স
একটি শক্তিশালী ইনকাম সোর্স প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। আমরা লেখা পড়া করি এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। সরকারি বা বেসরকারি চাকরির দুনিয়া থেকে বের হয়ে স্বাধীন ভাবে আয় করার একমাত্র মাধ্যম হলো ব্যবসা।
কিন্তু মূলধন ঘাটতি সহ অন্যান্য প্রতিকূল পরিবেশের কারণে আমরা চাইলেই বিজনেস করতে পারি না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই সব প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের জন্য একটি সুরক্ষিত ইনকাম সোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
মোটকথা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার কারণে একাধারে আমাদের অভিজ্ঞতা যেমন বাড়বে তেমনি ইনকাম সোর্স তৈরি হবে।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম:
লেখাপড়া শেষে চাকরি করার জন্য যেমন আমাদের অফিসে অফিসে ঘুরে বেড়াতে হয় তেমনি ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর কাজ খুঁজতে হয়। ফ্রিল্যান্স কাজ পাওয়ার জন্য অনেক গুলো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে বায়ার কাজের বিবরণ দিয়ে রাখে। চলুন বিশ্বের সব থেকে সিকিউর এবং জনপ্রিয় কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা লাভ করি।
Fiverr
ফাইবার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর এত জনপ্রিয়তার পেছনের কাহিনি হলো এখানে অনেক ছোট ছোট প্রোজেক্ট পাওয়া যায়। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সিং শেখা ব্যক্তির জন্য ফাইবার একটি বেষ্ট অপশন।
এখানে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে সব ধরনের অনলাইন ইনকামের কাজ পাওয়া যায়। ফাইবারে সাধারণত নিজের বায়ার খুঁজতে হয়না। এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার যে যে কাজ পারে তার বিবরণ দিয়ে গিগ খুলতে হয়। ক্লাইন্ট নিজে থেকেই তার প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গিগ খুঁজে অর্ডার করে। এই মার্কেটপ্লেসে সর্বনিম্ন ১৫ ডলার থেকে প্রাইসিং শুরু হয়।
Upwork
আপওয়ার্ক এর পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে আপওয়ার্ক সব থেকে বেশি সিকিউর এবং প্রফেশনাল। এখানে প্রফেশনাল বায়ার বেশি থাকে যে কারণে অল্প কাজ জেনে খুব বেশি সুবিধা করা যায় না। তাছাড়া আপওয়ার্কে আপনার নিজের কাজ খুঁজে সেখানে কানেক্ট এর মাধ্যমে অ্যাপ্লাই করতে হয়।
বায়ার প্রপোজাল গুলো বাছাই করে সব থেকে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে। আপওয়ার্কে ছোট বড় সব ধরনের প্রোজেক্ট পাওয়া যায়। আপনি যদি অনলাইনে আয় করা যায় এমন যে কোন বিষয়ে খুব ভালো দক্ষ হন তাহলে আপওয়ার্ক আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে প্রোজেক্ট নির্ভর এবং ঘণ্টা নির্ভর কাজ পাওয়া যায়। প্রোজেক্টের উপর নির্ভর করে কি হিসেবে তা কমপ্লিট করতে হবে সেটা বায়ার নির্ধারণ করে দেয়। প্রোজেক্ট ভিত্তিক জবে আপনি এককালীন চার্জ নিতে পারবেন অন্যদিকে ঘণ্টাভিত্তিক কাজে আপনার ঘণ্টাভিত্তিক নির্দিষ্ট রেটে পেমেন্ট করা হবে।
Guru
গুরু আপওয়ার্ক এবং ফাইবারের মতই ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি বিষয়ের উপরে কাজ পাওয়া যায়।
গুরুতে সাধারণত আপওয়ার্ক এর মত জব পোস্ট হয়। অর্থাৎ বায়ার তাদের কাজের বিবরণ দিয়ে জব পোস্ট করে, সেখানে অ্যাকাউন্টধারী ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পাওয়ার জন্য বিড করে। বায়ার প্রপোজাল গুলো বাছাই করে উপযুক্ত ফ্রিল্যান্সার নির্ধারণ করে।
এখানে ফিক্সড এবং ঘণ্টা ভিত্তিক এই দুই পদ্ধতিতে কাজ করা যায়। গুরু অনেক শক্ত নিয়ম পালন করে তাদের মার্কেটপ্লেস নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে সেখানে খুব কম স্প্যাম হয়। গুরুতে পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে আছে পেপাল, ব্যাংক ট্র্যান্সফার এবং পেওনিয়ার।
Freelancer.com
ফ্রিল্যান্সার ডট কম একটি অনেক পুরাতন মার্কেটপ্লেস। সব মিলিয়ে এই প্লাটফর্মে ১৮০০ টির অধিক ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটেগরি আছে। এই মার্কেটপ্লেসে সর্বমোট 10,000,000 এরও বেশি জব পোস্ট করা আছে। বিগত ১৫ বছর ধরে Freelancer.com সফলতার সাথে সারাবিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য করে আসছে।
এখানে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মত ফিক্সড এবং ঘণ্টা ভিত্তিক কাজ পাওয়া যায়। তবে Freelancer.com এর আরও একটি ভালো এবং সম্ভাবনাময় দিক হচ্ছে এখানে কন্টেস্ট আয়োজন করা হয়। কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করা ফ্রিল্যান্সারগুলোর মধ্যে বায়ার যার কাজ পছন্দ করে সে বিজয়ী হয় এবং প্রাইজমানি হিসেবে পুরো প্রজেক্টের পেমেন্ট পায়।
People Per Hour
পিপল পার আওয়ার বা PPH ২০০৭ সাল থেকে তাদের যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত পিপিএইচ সাফল্যের সাথে তাদের রেপুটেশন ধরে রেখেছে। বর্তমানে এর সংগ্রহে তিন মিলিয়নের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
এখানে প্রায় সব ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। তবে পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেসের একটি অনন্য দিক হচ্ছে এখানে আপনি নিজের সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি বায়ারের পোস্ট করা কাজে অ্যাপ্লাই করার পাশাপাশি নিজের সার্ভিস বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।
99 Designs
৯৯ ডিজাইন ফ্রিল্যান্স ডিজাইনারদের জন্য স্বর্গ। এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইট শুধু ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করা জন্য অন্য ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সার আসে না।
এখানে ওয়েব পেজ ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, বুক কভার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট প্যাকেজিং সহ অন্যান্য গ্রাফিক্স রিলেটেড কাজ পাওয়া যায়।
মূলত 99 Designs ওয়েবসাইট একটু ভিন্ন ভাবে কাজ করে। এখানে বায়ার তার কেমন ডিজাইন লাগবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জব পোস্ট করে। সেখানে উক্ত বিবরণ অনুসরণ করে ডিজাইনারগন ডিজাইন সাবমিট করে। সাবমিট করা ফাইল থেকে যার ডিজাইন বায়ার পছন্দ করবে শুধু সে পেমেন্ট পাবে। আর বাকি যারা সাবমিট করেছে তারা কোনো পেমেন্ট পাবে না। অর্থাৎ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে 99 Designs মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করতে হয়।
Dribble
ড্রিবল একটি অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার মার্কেটপ্লেস। এখানে কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন ডিজাইন স্পেশালিস্ট হতে হবে, না হলে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন না।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট যাইহোক, ড্রিবল অন্য সকল মার্কেটপ্লেস থেকে ভিন্ন ভাবে কাজ করে। এখানে প্রথমে আপনাকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রফেশনাল প্রোফাইল রেডি করতে হবে। তারপর জব বোর্ড তৈরি করে সেখানে আপনার সব থেকে বেষ্ট ডিজাইন আপলোড করতে হবে।
কারণ এখানে ক্লাইন্ট নিজে খুঁজে খুঁজে বের করে ডিজাইন ক্রয় করে। লোকেশন নির্ধারণ করে কাজ করা যায় জন্য কম্পিটিশন কমিয়ে ফেলা যায়। এতে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকলে সহজেই সফলতা লাভ করা যায়।
Simply Hired
এই মার্কেটপ্লেস একটি কাজের সমুদ্র। কারণ এখানে জব পোস্ট এবং কমপ্লিট করার জন্য কোন চার্জ দিতে হয় না। এতে বায়ারদের জব পোস্ট করতে কোন বাঁধা থাকে না। যে কারণে সিমপ্লি হায়ার্ড মার্কেটপ্লেসে কাজের কোন কমতি নেই।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট আপনি যদি বেশি বেশি কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন তবে Simply Hired প্লাটফর্ম ঘুরে আসতে পারেন।
Toptal
টপটাল একটি প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। এখানে সব বিষয় প্রফেশনাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। টপটালে কাজ করার জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। মূলত এই মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করতে চাইলে আপনাকে একটি কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যেমন স্ক্রিনিং।
তারা তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস দেওয়ার আগে আপনার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে তারপর পারমিশন দিবে। হাজার হাজার অ্যাপ্লিকেশান বাছাই করে তারপর সব থেকে উপযুক্ত লোক নির্বাচন করে জন্য এখানে বায়ার পেতে তেমন সমস্যা হয় না। কারণ বায়ার সব সময় টপটাল এর মত মার্কেটপ্লেস বেশি পছন্দ করে।
Aquent
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট অন্যান্য ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের মত এটিও অনেক সম্ভাবনাময়। Aquent এর সব থেকে ইউনিক বিষয় হচ্ছে এখানে টিম ছাড়া কাজ করা যায় না। অর্থাৎ এই প্লাটফর্মে আপনি একা কাজ করতে পারবেন না।
এখানে যে সকল প্রোজেক্ট আসে তার সব হলো গ্রুপ ভিত্তিক। Aquent এ যোগ হতে চাইলে আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে আপনার একটি রানিং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারের গ্রুপ আছে। এর সাথে সাথে আপনার কম পক্ষে দুই বছরের বেশি অভিজ্ঞতা আছে সেই বিষয়ে প্রমাণ দিতে হবে। তদুপরি, আপনি একা Aquent এ অ্যাকাউন্ট করলেও যখন প্রোজেক্ট নিবন্ধন করা হবে তখন আপনাকে যে কোন গ্রুপ এর সাথে অ্যাড হয়ে কাজ করতে হবে।
উপরে বর্ণিত মার্কেটপ্লেগুলো বর্তমান সময়ের সব থেকে সেরা। বিশ্বে বর্তমানে যত ফ্রিল্যান্সার আছে তারা বেশিরভাগ এই সকল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে।
ক্যাপচা পূরণ এবং মাইক্রো টাস্ক:
কম্পিউটার এবং মানুষকে আলাদা করার জন্য একটি পরীক্ষা। এটি একটি চ্যালেঞ্জ-প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা যা ব্যবহারকারী মানুষ কিনা তা নির্ধারণ করতে কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত হয়।
ক্যাপচাগুলি স্বয়ংক্রিয় সফ্টওয়্যার প্রতিরোধ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে (বটএকটি প্রদত্ত সিস্টেমের পরিষেবার গুণমানকে অবনমিত করে এমন কর্ম সম্পাদন করা থেকে, যেমন ওয়েবসাইটে ফর্ম জমা দেওয়া, অ্যাকাউন্ট তৈরি করা বা স্প্যামিং করা।
ক্যাপচাগুলির জন্য সাধারণত ব্যবহারকারীদের এমন কাজগুলি করতে হয় যা মানুষের পক্ষে সহজ কিন্তু কম্পিউটারের জন্য চ্যালেঞ্জিং। এই কাজগুলির মধ্যে বিকৃত পাঠ্যের পাঠোদ্ধার করা, চিত্রগুলিতে বস্তুগুলি সনাক্ত করা বা সাধারণ গাণিতিক সমস্যাগুলি সমাধান করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
প্রাথমিক লক্ষ্য হ'ল কম্পিউটার দ্বারা প্রতিক্রিয়া তৈরি না করা নিশ্চিত করা, এইভাবে ওয়েবসাইট এবং অনলাইন পরিষেবাগুলিকে অপব্যবহার এবং স্প্যাম থেকে রক্ষা করা এবং মানব ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্যতা বজায় রাখা।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি জনপ্রিয় এবং বহুল চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি করা। ঘরে বসে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়। আগে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না।
অনলাইনে এ ধরনের কাজ করার জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ডেস্কটপ ছিল অত্যাবশ্যক। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজ এতটা সহজ হয়ে গেছে যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করা সম্ভব।
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থাকে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি মোবাইলেই বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রির যে কাজগুলো তুলনামূলকভাবে সহজ এবং খুব কম সময়ে করা যায় মূলত সেই কাজগুলো এখন মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব।
ফলে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রসারতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমেই ডাটা এন্ট্রির মতো কাজ করতে পারার সুযোগ থাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরে বসেই আয় করতে সক্ষম হচ্ছে।
মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অনলাইনেই পেমেন্ট করে থাকে। আপনারা ঘরে বসে মোবাইলে এ ধরনের কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করতে চাইলে ঘুড়ি লার্নিং এর এই কোর্স আপনাকে সহায়তা করবে। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার এমনই কিছু জনপ্রিয় উপায়।
ফ্রিল্যান্সিং
মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার জন্য আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer, Guru, PeoplePerHour ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে সাধারণত ডাটা এন্ট্রির কাজের চাহিদা এবং সুযোগ দুটোই অনেক বেশি। আপনি আপনার হাতে স্মার্টফোনটি দিয়েই এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করে যুক্ত হতে পারবেন। এরপর আপনাকে মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে কাজ নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা খুব সহজ এবং এ সকল কাজ মোবাইলে খুব সহজেই করা যায়। এই ওয়েবসাইটগুলোতে একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আপনারা ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি যদি মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করার কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে বছরে কয়েক হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।
অনলাইন সার্ভে (Online Survey)
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে আয় করতে পারবেন। Swagbaug, Survey Junkie, Google Opinion Reward ইত্যাদির মতো আরও নানা ধরনের অনলাইন সার্ভে সাইট আছে।
মূলত এই সার্ভেগুলোতে অংশগ্রহণ করে কিছু ব্যক্তিগত ডাটা এন্ট্রি করার মাধ্যমে ১-২ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। এই অনলাইন সার্ভে সাইটগুলোতে ডাটা এন্ট্রি করা খুবই সহজ এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও এই কাজগুলো খুব সহজেই করা যায়।
অনলাইন সার্ভের বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ছাড়াও বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপও রয়েছে যেগুলো মোবাইলে ডাউনলোড করে এই অনলাইন সার্ভের কাজগুলো খুব সহজে করা যায়। এ ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আপনারা ঘরে বসে বছরে হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।
ক্যাপচা পূরণ (Captcha Solving)
মোবাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার আরো একটি সহজ মাধ্যম হলো ক্যাপচা পূরণ করা বা ক্যাপচা সমাধান করা। সাধারণত বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম গুলোতে এ ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়।
ক্যাপচা পূরণ বা ক্যাপচা সলভ করা খুব সহজ একটি কাজ। ক্যাপচা পূরণের কাজ করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট গুলোতে কিছু নির্দিষ্ট ছবি, অক্ষর বা সংখ্যা দেওয়া থাকে যা একটি নির্দিষ্ট বক্সে বা খালিঘরে এন্ট্রি করতে হয়। ক্যাপচা সমাধান করে আয় করার একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো 2Captcha। ক্যাপচা সমাধানের মতো এই ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করে প্রতিদিন প্রায় ১০-২০ ডলার আয় করা সম্ভব।
মাইক্রো টাস্কিং (Micro Taking App)
মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার আরো একটি অন্যতম উপায় হলো মাইক্রো টাস্কিং করা। এই ধরনের কাজগুলো সাধারণত বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ বা অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায়। Amazon Mechanical Turk, ClickWorkers ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছোট ছোট ডাটা এন্ট্রির কাজ করা যায়।
তবে এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ডাটা এন্ট্রির পাশাপাশি আরো নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায় বলে এগুলোকে মাল্টি টাস্কিং কাজও বলা যায়। এই ধরনের ছোট ছোট কাজগুলোর জন্য কোম্পানি থেকে অনলাইন পেমেন্ট করা হয় এবং প্রতিটি টাস্ক এর জন্য ০.৫ ডলার থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত দেয়া হয়ে থাকে। এই কাজগুলো মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই করা যায়।
ট্রান্সক্রিপশন ( Transcription Service)
বর্তমানে ডাটা এন্ট্রি করার একটি জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন উপায় হলো ট্রান্সক্রিপশন। আপনার যদি ভালো ডাটা এন্ট্রি এবং টাইপিং করার দক্ষতা থাকে তাহলে মোবাইলে খুব সহজে ট্রান্সক্রিপশনের কাজ করতে পারবেন। এ ধরনের কাজে সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট অডিও ফাইলকে লেখার রূপান্তরিত করতে হয়।
অডিও ফাইলটিতে যেসব ডাটা দেয়া থাকবে সেগুলো আপনাকে টাইপ করতে হবে বা অনুরূপ ডাটার প্রতিলিপি তৈরি করতে হবে। ডাটা এন্ট্রি এই ধরনের কাজগুলো খুব সহজ হয় বলে মোবাইলেই বিভিন্ন অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা যায় এবং অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়।
ডাটা কালেকশন (Data Collection)
বর্তমানের ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মধ্যে আরও একটি বহুল জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ডাটা কালেকশন করার কাজ। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইটে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা সংগ্রহ করার জন্য পেমেন্ট করে থাকে।
ছবি তোলা বা সংগ্রহ করা, তথ্য রেকর্ড করা, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা, সার্ভে বা প্রশ্নের উত্তর দেয়া, রিসার্চের মাধ্যমে অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করা ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের ডাটা কালেকশনের কাজ করতে দেয়া হয়।
তাদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ডাটা সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হয় এবং পরবর্তীতে তারা অনলাইনে পেমেন্ট করে থাকে। মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা কালেকশনের এই কাজগুলো করে আপনারা ঘরে বসেই প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।