ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং অর্থ গ্রহণ এবং উত্তোলন

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থই হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কারো কাজ না করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। মূলত যারা এ ধরনের কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে এখন আমরা কম বেশি সব বয়সের মানুষ বেশ পরিচিত। এখন তরুণ সমাজের কাছ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং অর্থ গ্রহণ এবং উত্তোলন

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থই হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আদেশ অনুযায়ী কারো কাজ না করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। মূলত যারা এ ধরনের কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং হলো কোন প্রতিষ্ঠানে পার্মানেন্ট চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রজেক্ট বেসিসে কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে মানুষ শত বছর ধরে। যেমন একজন রিক্সাওয়ালাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ সে অন্যের রিক্সা চালায়, ইচ্ছা হলে প্যাসেঞ্জার নেয়, নাহলে নেয় না। 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম তার ফ্রিডম আছে। ইদানিং ফটোগ্রাফাররাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ তারা কোথাও ফটোগ্রাফার হিসাবে চাকরি না করে বরং অনুষ্ঠান বেসিসে শুট করে আর পারিশ্রমিক নেয়।

ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে আছে, বিশ্বে বাংলাদেশের দক্ষ পেশাদারদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে শত কোটি টাকার। হিসেব মতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার আছে ৫ লক্ষাধিক। ফ্রিল্যান্সিং -এ যেমন রয়েছে সম্ভাবনা, তেমনি এ নিয়ে আছে প্রচুর ভুল ধারণা। 

আরো পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় ২০২৪ বিস্তারিত

ফ্রিল্যান্সিং কি, এই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষের সঠিক ধারণা না থাকায় এই ভুল ধারণাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদ। এ সব নিয়েও আলোচনা হবে এই লেখাতে।

মনে করুন আপনি একজন সিনেম্যাটোগ্রাফার। এখন একটা ভিডিও এডিট করার জন্য আপনার একজন ভিডিও এডিটর প্রয়োজন। তখনই আপনি একটা বিজ্ঞাপনে দেখলেন একজন এডিটর কাজ খুঁজছেন। ব্যস, আপনি তাকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাজটা করতে বললেন। এখানে ভিডিও এডিটর হলেন ফ্রিল্যান্সার, আপনি বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং বিজ্ঞাপনটি হলো মার্কেটপ্লেস।

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং -এ মূলত ক্লায়েন্ট একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আপনাকে কাজ দিবে, আপনি সে কাজে চুক্তিবদ্ধ হবেন, নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজটা করবেন, আর সেটা অনলাইনের মাধ্যমেই ক্লায়েন্টকে ডেলিভার করবেন, আর ক্লায়েন্ট অনলাইনের মাধ্যমেই 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম আপনাকে পেমেন্ট করবে। ফ্রিল্যান্সিং কি (freelancing কি) সে বিষয়ে নিশ্চয়ই একটা ভালো ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এখন একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই ফ্রিল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সার, আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কী।

ধরুন আপনি ভাল একাউন্টিং করেন। আমেরিকার এক ক্লায়েন্টের কোম্পানির ১৫ দিনের একাউন্ট অডিট করতে হবে। সে একটা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজটা অফার করল। অনেকের মতো আপনি অ্যাপ্লাই করলেন। আপনি কাজটা পেলেন। একটা এমাউন্ট পেমেন্টে চুক্তিবদ্ধ হলেন। 

কাজটা আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে সম্পন্ন করলেন, অনালাইনের মাধ্যমে আপনি সেটা ডেলিভার করলেন, ক্লায়েন্ট আপনাকে পেমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে দিল।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন।

দেখা গেলো আপনার এখন কাজ করতে ইচ্ছা করছে না; আপনি করবেন না। যখন ইচ্ছা করবে তখন আবার চাইলেই করতে পারবেন। ধরাবাঁধা কোনো অফিস টাইম নেই। এরপরে এখানে আপনার নির্দিষ্ট কোনো ইমপ্লয়ার (Employer) নেই। যখন যে বায়ারের কাজ নিবেন তখন সে-ই আপনার ইমপ্লয়ার (Employer)।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম সাধারন চাকরি থেকে এখানে আরেকটি বিষয়-এর ভিন্নতা আছে। সেটি হলো কাজের স্থান। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর নির্দিষ্ট কোনো অফিস নেই। মূলত আপনার বাড়িই হচ্ছে আপনার অফিস।

এখানে বসেই আপনি বিভিন্ন দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর ক্ষেত্রে খুব সহজেই সরকারি বেসরকারি অনেক চাকরির থেকে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন আপনার যদি যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা থাকে।

এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাদের দেশে দক্ষতার কদর হয় না সেভাবে; কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে হয়। আপনি সেসব দেশের বায়ারদের সাথে কাজ করে বাংলাদেশের তুলনায় দ্বিগুণ/তিনগুণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এটা সকলেরই প্রশ্ন যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। তো এই পেশায় ঢোকার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার যে কাজে আগ্রহ সব থেকে বেশি সে কাজটি বেছে নিবেন।

এর ফলে আপনি কাজ করে যেমন মজা পাবেন, তেমন অনেক দূর যেতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত সেক্টরটিতে। যেমন ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphics Design) সেকশনটা বেছে নিলেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য। এই কাজটি কিন্তু ক্রিয়েটিভ মানুষদের কাজ। সবার দ্বারা ডিজাইন করা সম্ভব নয়।

তো এটি বেছে নেওয়ার পূর্বেই আপনি দেখবেন যে, এই কাজটি আপনি কেমন পারছেন, কেমন আগ্রহ আপনার এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর। যদি দেখেন সব কিছু ঠিকঠাক, সেক্ষেত্রে এটিকে নির্ধারিত করে এই রিলেটেড যত কাজ আছে সব শিখবেন। যেমন: ব্যানার, কভার পেজ, লিফলেট, পোস্টার, লোগো ইত্যাদি ডিজাইন করা।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম তো কাজ শেখার পরে এবার কাজ করার পালা। কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে (Freelancing Platform) একাউন্ট খুলতে হবে।

এরকম অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে বর্তমানে। যেমন: Fiverr, Freelancer, Upwork ইত্যাদি। একাউন্ট খোলার পর সেটিকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। দোকানে যেমন বিভিন্ন পন্য সাজানো থাকে, ঠিক তেমন করেই আপনার করা কাজগুলো পোর্টফোলিও আকারে সাজিয়ে রাখতে হবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস (Marketplaces) গুলোতে। এর পরে শুধু প্রথম কাজের জন্য অপেক্ষা।

আসলে প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রেই প্রথম ধাপটা একটু কষ্টকর হয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও বিষয়টি ভিন্ন নয়। এক্ষেত্রেও প্রথম কাজটা পাওয়া একটু কষ্টসাধ্য। তবে কারো রেফারেন্সের মাধ্যমে কাজ পাওয়া অনেক সহজ এখানে। সেক্ষেত্রে আপনি পরিচিত কোনো ফ্রিল্যান্সারের সাহায্য নিতে পারেন।

বাংলাদেশে একটা বড় কমিউনিটি আছে ফ্রিল্যান্সারদের। সেখান থেকেও সাহায্য নিতে পারেন। প্রথম কাজ পাওয়া গেলে এর পর থেকে আর কাজের অভাব হয় না। তবে তার জন্য আপনাকে আপনার কাজের কোয়ালিটি বজায় রাখতে হবে, আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করতে হবে।

কেন শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং?

বেকারত্বের হাত থেকে রেহায় পেতে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার জন্য সেরা সিধান্ত। আবার অনেকে চাকুরি করতে ভাল লাগে না। চাকুরির ক্ষেত্রে সকাল-সন্ধ্যা সময় মত অফিসে যেতে হয়। অফিসে কাজ করার চাপ থাকে,

সে কারণে অনেকে চাকুরি করা টা পারফেক্ট মনে করে না। তাছাড়া আবার অনেকে ছোট-খাটো ব্যবসা করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পছন্দ করে। আপনি যে কোন স্থান থেকে কাজ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, অর্থাৎ আপনি বায়ারের কাজটি আপনি সম্পূর্ণ মুক্তভাবে করতে পারবেন। 

তাছাড়া কাজের জন্য অফিসের প্রয়োজন নাই। মিনিমাম বাজেটের কম্পিউটার দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে হতে পারেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। 

আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার ১০+ উপায় ২০২৪

কোন বিষয়ের দক্ষতা অর্জন করে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলো হল- Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদি। এই সব সাইটে অ্যাকাউন্ট করে আপনি কাজ করতে পারবেন খুব সহজেই।

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটিকে আরও সহজভাবে বর্ণনা করতে অনলাইন ইনকাম টার্ম ব্যবহার করা হয়। সাধারণত অনলাইনে যে যে কাজ পাওয়া যায় সেগুলো করে দিয়ে যে অর্থ পাওয়া যায় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে না কাজ করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করা কে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয় করা বলে।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং ধারণাটি প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে প্রচলিত আছে। প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশের মাধ্যমে এই শব্দটি একটি আলাদা আত্মমর্যাদা পেয়েছে। যাইহোক, ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে আমাদের সবার কৌতূহল আছে কারণ মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো প্রতিনিয়ত অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে নিউজ কভার করছে।

এতে সমাজে একটি পজিটিভ পরিবেশ বিরাজ করছে। চুক্তিভিত্তিক কাজ করার কারণে একমাত্র এই পেশায় নিজের বস নিজেই হওয়া যায়। অনলাইন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।

মোটকথা, ফ্রিল্যান্সিং পেশার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায় যা দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে।

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি পেশা যাকে অনলাইন ইনকাম হিসেবেও অনেকে চেনে। তো যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। আজকাল ফেসবুক এবং ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার শব্দটি আমাদার সবার কাছেই সুপরিচিত।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নেয়া কাজ গুলি করার জন্য আপনার কোনো বিশেষ জায়গার প্রয়োজন হবেনা। কারণ প্রায় সব ধরণের কাজ করার জন্য আপনার কেবল একটি ল্যাপটপ (laptop) বা কম্পিউটার (computer) এবং তার সাথে ইন্টারনেট কানেক্শনের প্রয়োজন হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম কারণ, নিজের জন্য কাজ খোঁজা থেকে আরম্ভ করে, কাজটি তৈরি করে আপনার ক্লায়েন্ট (client) কে জমা দেয়া, সবটাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেমন -social media websites, social media groups, freelancing marketplace আরো অনেক। 

এগুলিতে গিয়ে আপনার করতে হবে। নিজের দক্ষতা (skills) প্রচার বা মার্কেটিং করলে লোকেরা জানতে পারবেন যে আপনি কোন কাজের বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট এবং কোন কাজ আপনি তাদের জন্য করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ১০ টি উপায়

তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়া শুরু করার সাথে সাথে নিজের কাজের নলেজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা অনলাইন প্রচার বা মার্কেটিং করাটা অনেক জরুরি। আপনি যে niche বা টপিক টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন, সেই niche এর মার্কেটে কতটা প্রয়োজন এবং চাহিদা আছে সেটা জানা জরুরি।

এই ধরণের সাইট গুলিতে বিভিন্ন employer বা clients রা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুজেঁন। এবং ফ্রিল্যান্সাররা নতুন নতুন কাজ খোঁজার জন্য এই সাইট গুলিকে ব্যবহার করেন।

মনে রাখবেন, এই সাইট গুলিতে হাজার হাজার লোকেরা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য বিশ্বাসী freelancer দের খুজেঁন। এবং আপনি যদি প্রথমেই নিজের ক্লায়েন্ট (client) এর জন্য সময় মতো ভালো ভাবে কাজ করে দিতে পারেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে এ অনেক ভালো প্রভাব ফেলবে।

একটা কথা কি, মানুষ যা নিয়ে ঘাটাঘাটি করে সে দিকেই এক্সপার্ট হয়। কেউ প্রথম দিনই সফল হয় না। অপনি যদি আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করনে তাহলে আজই না হোক কাল বা এক মাস পর অথবা এক বছর পর এক জন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। 

আর আপনি যোদি ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে ধোঁকা খান তাহলে আগামী কাল আপনি ঐসব দিক এড়িয়ে ভালো দিকে যেতে পারেন। আপনি যদি প্রথাগত চাকরি করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানা শুরু করেন। এখানে কাজের অভাব নেই। আপনি সহজেই আপনার পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারেন। 

তার পর দেখলেন আপনার ভালো লাগে না, আপনি সহজেই অন্য বিষয়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে একটা বিষয়কে সিলেট করে সমনের দিকে এগানো ভালো। একটা বিষয় নিয়ে যে যত ঘাটবে সে তত ঐ বিষয়ে নিয়ে দক্ষ হতে পারবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আপনি যদি গ্রাফ্রিক্সের কাজ যেনে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন সব সময় গ্রাফ্রিক্স রিলেটেড কাজ করার জন্য। 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম দক্ষ মানুষ স্থান সব সময়ই উপরের দিকে, এবার তা যে বিষয়ই হোক না কেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেতে একজন ফ্রিল্যান্সারকে এক সাথে অনেক কিছুই করতে হয়। সাজতে হয় ওয়ান ম্যান আর্মি। যাই করুন না কেন, আপনার লক্ষ কিন্তু স্থির রাখতে হবে।

আগে যে কোন একটা বিষয় দক্ষ হতে হবে। এর পর অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে একটু সময় দিতে হবে। ঘাটাঘাটি করতে হবে। যারা অনেক দিন থেকে কাজ করে, তাদের প্রোফাইল দেখতে হবে। তাদের প্রোফাইলের মত নিজের প্রোফাইল সাজাতে হবে। এমন না যে ফ্লুয়েন্টলি আপনাকে কথা বলতে হবে বা একটি জব পোস্ট পড়ে কী কী ‍করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার মত ইংরেজী জ্ঞান থাকতে হবে।

আপনি যদি কিছু কাজ জানেন, তাহলে নিজের যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলুন। একাউন্ট খুলে ঐ মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আগে ভালো করে জানুন।প্রত্যেকটা মার্কেটপ্লেসে এ নিজের প্রোফাইল সাজাতে হয়। প্রোফাইলে নিজে কী কী কাজ পারি তা যুক্ত করতে হবে। নিজে যেটা পারি, সেটা সত্যি পারি কিনা, তার জন্য অনলাইন পরিক্ষা দিতে হয়। 

এসব করতে পারলে বুঝতে পারবেন আপনি কাজ কারার জন্য উপযুক্ত। এরপর কাজ পাওয়ার জন্য কাজ করার জন্য বিড করতে থাকুন । যে কাজটি ‍পারবেন বলে মনে হয় তাকে বিড করুন। ক্লায়েন্টকে সুন্দর একটা মেসেজ দিন। কাজ পেতে বেশি সময় লাগে না।আ মি এখানে কিছু মার্কেটপ্রেসের লিঙ্ক দিচ্ছি। এর বাহিরে আরো অনেক গুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে।

১০টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

Fiverr
ফাইবার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর এত জনপ্রিয়তার পেছনের কাহিনি হলো এখানে অনেক ছোট ছোট প্রোজেক্ট পাওয়া যায়। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সিং শেখা ব্যক্তির জন্য ফাইবার একটি বেষ্ট অপশন।

এখানে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে সব ধরনের অনলাইন ইনকামের কাজ পাওয়া যায়। ফাইবারে সাধারণত নিজের বায়ার খুঁজতে হয়না। এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার যে যে কাজ পারে তার বিবরণ দিয়ে গিগ খুলতে হয়। ক্লাইন্ট নিজে থেকেই তার প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গিগ খুঁজে অর্ডার করে। এই মার্কেটপ্লেসে সর্বনিম্ন ১৫ ডলার থেকে প্রাইসিং শুরু হয়।

Guru
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম গুরু আপওয়ার্ক এবং ফাইবারের মতই ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি বিষয়ের উপরে কাজ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল খোলে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি ২০২৪

গুরুতে সাধারণত আপওয়ার্ক এর মত জব পোস্ট হয়। অর্থাৎ বায়ার তাদের কাজের বিবরণ দিয়ে জব পোস্ট করে, সেখানে অ্যাকাউন্টধারী ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পাওয়ার জন্য বিড করে। বায়ার প্রপোজাল গুলো বাছাই করে উপযুক্ত ফ্রিল্যান্সার নির্ধারণ করে।

People Per Hour
পিপল পার আওয়ার বা PPH ২০০৭ সাল থেকে তাদের যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত পিপিএইচ সাফল্যের সাথে তাদের রেপুটেশন ধরে রেখেছে। বর্তমানে এর সংগ্রহে তিন মিলিয়নের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।

এখানে প্রায় সব ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। তবে পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেসের একটি অনন্য দিক হচ্ছে এখানে আপনি নিজের সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি বায়ারের পোস্ট করা কাজে অ্যাপ্লাই করার পাশাপাশি নিজের সার্ভিস বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।

99 Designs
৯৯ ডিজাইন ফ্রিল্যান্স ডিজাইনারদের জন্য স্বর্গ। এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত সব ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইট শুধু ডিজাইনারদের জন্য তৈরি করা জন্য অন্য ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সার আসে না।

এখানে ওয়েব পেজ ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন, বুক কভার ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন এবং প্রোডাক্ট প্যাকেজিং সহ অন্যান্য গ্রাফিক্স রিলেটেড কাজ পাওয়া যায়।

Aquent
অন্যান্য ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের মত এটিও অনেক সম্ভাবনাময়। Aquent এর সব থেকে ইউনিক বিষয় হচ্ছে এখানে টিম ছাড়া কাজ করা যায় না। অর্থাৎ এই প্লাটফর্মে আপনি একা কাজ করতে পারবেন না।

এখানে যে সকল প্রোজেক্ট আসে তার সব হলো গ্রুপ ভিত্তিক। Aquent এ যোগ হতে চাইলে আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে আপনার একটি রানিং অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারের গ্রুপ আছে। এর সাথে সাথে আপনার কম পক্ষে দুই বছরের বেশি অভিজ্ঞতা আছে সেই বিষয়ে প্রমাণ দিতে হবে। তদুপরি, আপনি একা Aquent এ অ্যাকাউন্ট করলেও যখন প্রোজেক্ট নিবন্ধন করা হবে তখন আপনাকে যে কোন গ্রুপ এর সাথে অ্যাড হয়ে কাজ করতে হবে।

উপরে বর্ণিত মার্কেটপ্লেগুলো বর্তমান সময়ের সব থেকে সেরা। বিশ্বে বর্তমানে যত ফ্রিল্যান্সার আছে তারা বেশিরভাগ এই সকল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়

কিছু কিছু মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি টাকা তোলা গেলেও সব মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি টাকা তোলা যায় না। তখন সেই টাকা টা তোলার জন্য বিশেষ কিছু অনলাইনের সার্ভিস ব্যবহার করতে হয় কিংবা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হয়। যেমন বিভিন্ন ব্যাংক, কার্ড, এজেন্ট ব্যাংক সহ আরো অনেক ধরণের পদ্ধতির দ্বারা টাকা তুলতে হয়।

এমনিতে সাধারণত, আপনার উপার্জিত টাকা আপনার মার্কেটপ্লেসের [upwork.com, freelancer.com, peopleperhour.com, guru.com, 99designs.com, graphicriver.net, themeforest.net] একাউন্টেই ডলার হিসেবে জমা থাকে। যখন লেনদেন কিংবা উত্তোলনের প্রয়োজন পড়ে তখন যেকোনো মানি ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি নিজের ব্যাংক একাউন্টে উক্ত টাকা ট্রান্সফার করে নিতে পারেন। 

এক্ষেত্রে টাকা ট্রান্সফারের সময় বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ভেদে আপনার উত্তলিত টাকার পরিমাণের উপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে নেওয়া হবে। আবার নিজের দেশের ব্যাংকে টাকা টান্সফার হওয়ার পর সেখান থেকেও ব্যাংক চার্জ কাটতে পারে।

যেহেতু আপনি ইন্টারন্যাশনাল ভাবে লেনদেন করছেন সেহেতু Swift Code এর প্রয়োজন পড়তে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আপনি আপনার যে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে এনেছেন সেই ব্যাংকের Swift Code টা যেন আপনার মনে থাকে। ভুলে গেলেও সমস্যা নেই, সেই ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলে কিংবা গুগলে সেই ব্যাংকের নাম লিখে Swift Code এর জন্য সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

আমাদের দেশে মোটামুটি অনেকগুলো জনপ্রিয় অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে এবংএর মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সুযোগ সুবিধাও রয়েছে। সেসব ব্যাংকিং ব্যবস্থার অনুমোদন আমাদের দেশে থেকে থাকলেও পেপাল এর অনুমোদন এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স কি? Google AdSense কিভাবে কাজ করে?

তাই অনেক সময় যারা পেপালে লেনদেন করার চেষ্টা করে থাকেন তারা প্রায়ই ভোগান্তির স্বীকার হোন। আজকে আমি আপনাদের শিখাবো কিভাবে পেপালের দ্বারা ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে সেটা বিকাশের মাধ্যমে ক্যাশআউট করা যায়।

তাহলে, প্রথমেই আপনি নিজের বিশ্বস্ত কারোর মাধ্যমে কিংবা কোনো অর্গানাইজেশন এর দ্বারা ইন্টারন্যাশনালি ভাবে পেপালে একটা একাউন্ট খুলবেন, তারপর আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পেপালে নিয়ে আসবেন। তারপর গুগলে যাবেন। 

সেখানে গিয়ে Xoom লিখে সার্চ করবেন, তারপর Xoom থেকে পেপালে লগইন করবেন। লগইন করার পর উইথড্র অপশনে গিয়ে আপনার দেশীয় ব্যাংক সিলেক্ট করবেন। দেশীয় ব্যাংক সিলেক্ট করার পর আপনার টাকার পরিমাণ লিখে সেই ব্যাংকে ট্রান্সফার করে দিন।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম তারপর আপনার দেশীয় ব্যাংকের একাউন্ট থেকে bKash সিলেক্ট করে বিকাশে সেন্ড মানি করে দিন। ব্যাস… আপনি এখন চাইলে ব্যাংক কিংবা বিকাশ উভয় জায়গা থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

এতো এতো ঝামেলা পার করে টাকা পেতে হয় বলেই অনেকেই পেপালকে এড়িয়ে চলে। আমিও আপনাকে পরামর্শ দিবো পেপালের ঝামেলায় না জড়ানোর জন্য। এর চেয়ে ভালো ভালো কিছু অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যম রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে আপনি কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই আপনার মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা তুলতে পারবেন। সেই মাধ্যমগুলোর সম্পর্কে নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করবো

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং টাকা হাতে পাবেন

Payoneer – সেক্ষেত্রে আপনি পেওনিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে প্রায় সব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতেই মাস্টার কার্ড সার্ভিস টি চালু হয়েছে, আপনি চাইলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ATM এর সাহায্যে আপনার মার্কেটপ্লেস থেকে জমানো টাকা তুলতে পারবেন। 

এই মাস্টার কার্ড কিংবা ATM কার্ডটি পেতে হলে আপনাকে Payoneer এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটা একাউন্ট খুলতে হবে এবং কিছু নির্দিষ্ট পরিমানের চার্জ পরিশোধ করতে হবে।

অতঃপর ১৫-২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় মাস্টারকার্ড টি পৌঁছে যাবে। কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর এর মধ্যে ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন কোড দিবেন, পরবর্তীতে যেকোনো ATM বুথ থেকে এই কোডের মাধ্যমে টাকা উঠাতে পারবেন। 

এই কার্ড দিয়ে আপনি অনলাইনে শপিং সহ যেকোনো ধরণের কেনাকাটা করতে পারবেন এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে রিলেটিভকে টাকা পাঠাতে পারবেন কিংবা তার কাছ থেকে টাকা আপনার একাউন্টে আনতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম আমাদের দেশের প্রায় সব ব্যাংকেই এখন ATM কার্ড সাপোর্ট করে, তাই আপনি চাইলে যেকোনো ATM থেকে টাকা তুলতে পারবেন। 

প্রতিবার টাকা উত্তোলনের সময় আপনার একাউন্ট থেকে চার্জ হিসেবে ২ থেকে ৩ ডলার কেটে নেওয়া হবে। আপনি যদি (বাৎসরিক)এককালীন ভাবে চার্জ পরিশোধ করতে চান তাহলে খরচ পড়বে ২৯ ডলারের মতো আর মাসিকের ক্ষেত্রে ৩ ডলারের মতো।

Skrill – আপনার টাকা মার্কেটপ্লেসে জমা হওয়ার পর সেই টাকা কে স্ক্রিলে ট্রান্সফার করতে পারেন, এক্ষেত্রেও মার্কেটপ্লেস ভেদে আপনার কাছ থেকে ট্রান্সফার ফি কেটে নিতে পারে। 

এর পর স্ক্রিল থেকে আপনার দেশীয় ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিবেন, এই ধাপেও ব্যাংক কে ট্রান্সফার ফি দিতে হতে পারে। এখানেও আপনার দেশীয় ব্যাংক এর Swift Code প্রয়োজন পড়বে।

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম নাহলে টাকা স্ক্রিল থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার হবে না। এই পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম লেনদেন বা ট্রাঞ্জেকশানের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ দিনের মতো লাগে, পরবর্তীতে সাধারণত প্রায় ৭ দিনের মধ্যেই হয়ে যায়। এক্ষেত্রে টাকা উইথড্র করতে খরচ পড়ে প্রায় ৩.৯৫ ডলার।

Xoom – যুমের সাহায্যেও টাকা উত্তোলন করা যায়, তার জন্য আপনাকে গুগলে গিয়ে Xoom লিখে সার্চ করতে হবে, তারপর সেখানে একটা একাউন্ট খুলে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ট্রান্সফার করে আপনার Xoom একাউন্টে আনতে চান সেটা সিলেক্ট করুন। 

তারপর সেখান থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে, নগদে, উপায়ে কিংবা বিকাশে ট্রান্সফার করে উত্তোলন করতে পারেন।

Tap Tap Send – ট্যাপ ট্যাপের ক্ষেত্রে তো টাকা উত্তোলন করা আরোও সোজা। তার জন্য আপনাকে প্রথমে গুগলে যেতে হবে, গুগলে গিয়ে Tap Tap Send লিখে সার্চ করবেন এবং তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটা একাউন্ট খুলবেন। 

তারপর সেখান থেকে কোন দেশে টাকা পাঠাবেন সেটা সিলেক্ট করে, তার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার লিখে, সেই সাথে আরোও রিকোয়ার্ড* যেসব তথ্য চায় সেগুলোদিয়ে এবংটাকার পরিমান লিখে সেন্ড করে দিলেই সেটা ডিরেক্ট তার ব্যাংক একাউন্টে গিয়ে পৌঁছাবে।

মজার ব্যাপার হলো এই টাকা সেন্ড করতে কিংবা এই টাকা উত্তোলন করতে কোনো রকম চার্জ দিতে হয় না। তাই আপনি যত ডলারই উত্তোলন করতে চান না কেন Tap Tap Send হবে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।

bKash/নগদ/Upay/সরাসরি ব্যাংক – যখন আপনি একজন কিংবা একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে বার বার কাজ করবেন অর্থাৎ তারা যখন আপনার রেগুলার ক্লায়েন্ট হয়ে যাবে তখন তাদের সাথে ফাইভার কিংবা আপওয়ার্কের মতো মার্কেটপ্লেস থেকে প্রজেক্ট না নিয়ে সরাসরি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রজেক্ট নিতে পারেন।

ক্লায়েন্ট যদি বিদেশী হয় তাহলে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবেন, এক্ষেত্রে উপরের মাধ্যমগুলোর প্রয়োজন পড়তে পারে আবার নাও পড়তে পারে। আর যদি বাংলাদেশী ক্লায়েন্ট হয় তাহলে বিকাশ/নগদ/উপায় কিংবা সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমেও লেনদেন করতে পারেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়

ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
ফ্রিল্যান্সার অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি মার্কেটপ্লেস যা ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। ক্লায়েন্ট দুটি ক্যাটাগরিতে জব পোস্ট করে কনটেস্ট আকারে এবং প্রজেক্ট আকারে। কনটেস্ট আকারে জব পোস্ট করলে ফ্রিল্যান্সাররা 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কন্টেস্ট এ অংশগ্রহন করে এবং কাজ সাবমিট করে। প্রোজেক্ট আকারে জব পোস্ট করলে ফ্রিল্যান্সার সংশ্লিষ্ট কাভার লেটার সহ বিড করতে পারে। ফ্রিল্যান্সারের করা বিড থেকে ক্লায়েন্ট যোগ্য প্রার্থী কে বেছে নেয়। 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম ফ্রিল্যান্সার ঘন্টা চুক্তি বা প্রোজেক্ট অনুযায়ী কাজ করতে পারে। ফ্রিল্যান্সার ১০% করে কমিশন কেটে নেয়। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৯৯ডিজাইনস (99desings)
৯৯ডিজাইনস গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। দেশ বিদেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা এখানে কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা কাজ করেন বলে এখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। 

এই মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের তিনটি রাঙ্ক রয়েছে এন্ট্রি লেভেল ,মিড্ লেভেল,টপ লেভেল। ৯৯ডিজাইনস কোন কমিশন কেটে নেয় না। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)
পিপল পার আওয়ার আরও একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে সার্ভিস সেল ও করা যায় আবার ক্লায়েন্টের জব পোস্ট এ বিড ও করা যায়। যার জন্য এর জনপ্রিয়তা একটু বেশি। এই মার্কেটপ্লেসে ২টি পদ্ধতি কাজ করা যায়, আওয়ারলি ও জব পোস্ট ছোট কাজের জন্য আওয়ারলি সেরা। সাধারণত ১-৫ দিনের কাজের জন্য আওয়ারলি সেরা। 

অন্যটি হলো বায়ার জব পোস্ট করেন তার চাহিদা অনুযায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার সেই জব এ বিড করে কাজ নিতে পারেন।পিপল পার আওয়ার তিন ধাপে কমিশন নিয়ে থাকে ২৫০ পাউন্ড পর্যন্ত ২০%, ২৫০-৫০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ৭.৫%, ৫০০০+ পাউন্ড ৩.৫%। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

টপটাল (Toptal)
অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মত আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। বাহিরের দেশে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিযোগিতা কম থাকায় দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের অল্প সময়েই উন্নতি করতে পারে। এই মার্কেটপ্লেসে তিনটি ক্যাটাগরিতে সরাসরি ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করা যায়। 

আওয়ারলি, পার্ট টাইম, ও ফুল টাইম। আওয়ারলি রেট $৬০ থেকে $২৫০। পার্ট টাইম রেট সপ্তাহে $১০০০ থেকে $৪০০০। ফুলটাইম রেট সপ্তাহে $২০০০ থেকে $৮০০০। কাজ শেষে আপনি ক্রেডিট কার্ড, পেপাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

গুরু (Guru)
Guru আর একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে প্রায় 1.5 মিলিয়ন এর বেশি ইউজার রয়েছে। এখানে ক্লায়েন্ট চাহিদা অনুযায়ী যেকোন ক্যাটাগরিতে জব পোস্ট করে। ফিক্সড প্রাইস ও আওয়ারলি দুই ধরনের জব পোস্ট করা যায়। 

ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রি ও প্রিমিয়াম দুই ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। ফ্রি মেম্বারশিপ একাউন্ট থেকে গুরু ৯% কমিশন কাটে ও প্রিমিয়াম মেম্বারশিপে ৫% পর্যন্ত কমিশন কাটে। প্রিমিয়াম মেম্বারশিপে ভাল সুবিধা এরা দিয়ে থাকে। কাজ শেষে আপনি U.S. Bank Account (eCheck), PayPal, Payoneer এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

ক্রাউড সোর্স (Crowdsource)
ক্রাউড সোর্স অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস গুলোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন । অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে কম ক্যাটাগরিতে কাজ হয়। কোকাকোলার মত নামী ব্র্যান্ড গুলো ক্রাউড সোর্স এর সাথে কাজ করে।

এখানে কাজ করতে গেলে ফ্রিল্যান্সার দের ট্রেনিং এবং টেস্ট বাধ্যতামুলক। প্রতিটি কাজের শেষে দুই ধাপে কোয়ালিটি চেক করে কমপ্লিট করা হয়। সরাসরি ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সারের সম্পর্ক থাকে না তাই এটা শুধু মাত্র দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সর্বোত্তম। কাজ শেষে আপনি ক্রেডিট কার্ড, পেপাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

কোডেবল (Codeable)
কোডেবল ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার, কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যারা কোড নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য। এখানে শুধু মাত্র প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত কাজ হয় তাই তুলনামূলক প্রতিযোগিতা অনেক কম। 

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম এখানে ক্লায়েন্ট চাইলে সরাসরি ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করতে পারে। ক্লায়েন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী জব পোস্ট করে থাকে। ফ্রিল্যান্সাররা জব এ বিড করতে পারে। কোডেবল ১৭.৫% করে কমিশন কেটে নেয়। কাজ শেষে পেপাল, ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট গ্রহন করার সুবিধা রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন