ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার ১০+ উপায় ২০২৪
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম আজকের এই ডিজিটাল বিশ্বে অনলাইনে অর্থ উপার্জন এর সুযোগ সত্যই সীমাহীন। ফেইসবুক থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে ফেইসবুক নিয়ে জানতে হবে। ফেইসবুক, বিশ্বের অন্যতম প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি। এখানে অর্থ উপার্জনের বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
অন্যদিকে, অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। বা কিভাবে Facebook ব্যবহার করে আয় করবেন। আপনি যদি তাই মনে করেন তাহলে আপনি একজন জিনিয়াস।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার ১০+ উপায় ২০২৪
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর বিজ্ঞাপন এবং আপনার রেফারেলের মাধ্যমে করা প্রতিটি বিক্রয়ের উপর একটি কমিশন পাবেন ।
অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন এক অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি নামিদামি অনলাইন কোম্পানিগুলোর “এফিলিয়াতে প্রোগ্রাম ” অপশনে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে তাদের প্রোডাক্টস ও সার্ভিস গুলি প্রচার করে দিবেন।
তারা আপনাকে একটি লিংক দিবেন যা শুধু মাত্র আপনার ব্যবহারের জন্য। আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য তৈরি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করুন।
যদি শ্রোতারা আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে ক্রয় করে তবে আপনি একটি কমিশন পাবেন৷ এই ভাবেই আপনি ফেইসবুক থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ফ্রি একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম করার বেস্ট ১৫টি সাইট বিকাশে পেমেন্ট ২০২৪
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম লোকাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য । আপনার আশেপাশে থাকা ঐতিহ্যবাহী খাবার ,হস্তনির্মিত কারুশিল্প বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র যাই থাকুক না কেন, আপনি সেগুলিকে মার্কেটপ্লেসে বিক্রয়ের জন্য তৈরি করতে পারেন।
খুব সহজে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আপনার লোকাল ঐতিহ্যবাহী প্রোডাক্ট বিক্রয় করতে পারবেন। এটি গ্রামের অপরিচিত প্রোডাক কে বিজনেস এ পরিণত করার এটি একটি সহজ উপায়।এবং নিজেকে পরিচিত করতে পারেন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম আপনি কি অনলাইন থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান? আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে এটি করতে পারবেন। এর জন্য শুধু দরকার হবে শুধু জ্ঞান এবং দক্ষতা। জ্ঞান, দক্ষতা এবং ফেসবুক চালানোর জন্য একটি ডিভাইস (মোবাইল অথবা কম্পিউটার) হলেই ফেসবুকে সহজ উপায়ে টাকা আয় করা যায়।
১৫ টির বেশি উপায়ে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায় হলো ফেসবুক বিজনেস পেইজ থেকে টাকা আয় করা। একটি বিজনেস পেইজ থাকলে ফেসবুক থেকে ঘরে বসে হাজার উপায়ে ইনকাম করার সুযোগ থাকে। দেশে হাজার হাজার মানুষ ফেসবুক থেকে আয় করছে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম আমাকে তাই অনেকে জিজ্ঞাসা করে যে ভাই কিভাবে ফেসবুকে টাকা আয় করবো? তাদের সবার জন্য আমার আজকের আর্টিকালটি যথেষ্ঠ। কারন, ফেইসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এর ১৫ টি সহজ উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।
আপনি হয়তো আগে কোথাও শুনেছেন অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় এবং এর জন্য বিভিন্ন apps রয়েছে। কিন্তু এটা শুনে অভাক হচ্ছেন facebook app এর মাধ্যমেই অনলাইনে টাকা উপার্জন করা যায়।
অনলাইনে আরো অনেক টাকা আয় করার apps আছে, কিন্তু এদের মধ্যে সবগুলো বিশ্বস্ত না। কিন্তু ফেসবুক একদম বিশ্বস্ত একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ক্যারিয়ার গড়ার বিভিন্ন উপায় খুজে পাবেন। যেমন ফেসবুক পেইজ থেকে ইনকাম, লাইক দিয়ে টাকা আয় কিংবা ভিডিও তৈরি করে আয় ইত্যাদি।
ফেসবুক বিজনেস পেইজ হলো এক ধরনের ওয়েব পেজ যেখানে বিভিন্ন সেবা-পরিসেবা চালানো যায় এবং সেখানে বিজনেস করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করার অন্যতম একটি সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যম হলো এই বিজনের পেইজ তৈরি করা। যে কেউ চাইলে খুব সহজে একদম ফ্রি-তে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করে নিতে পারেন।
এবং সেই পেইজ মার্কেটিং করে ফলোয়ার জড়ো করে পারেন। যার পেজে যত বেশি ফলোয়ার থাকবে সে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজেই ফেসবুকে টাকা ইনকাম করতে পারবে। বিশেষ করে আপনার যদি কোনো ব্যাবসা থাকে তাহলে সেই ব্যাবসার জন্য একটি ফেসবুক পেইজ তো অবশ্যই থাকা উচিত।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাবসার কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সার্ভিসের বেশি-বেশি প্রচার-প্রচারনা করতে পারবেন। এর ফলে আপনি বেশি-বেশি কাস্টমার পাবেন। এতে করে ফেসবুকে আপনার পণ্য বিদ্ধির হার বেড়ে যাবে।
তাছাড়া ফেসবুকে পেইজের মাধ্যমে আরো অনেক উপায়ে টাকা আয় করা যায় কিভাবে তা নিচে গেলে আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। যেগুলো নিচে পর্যায়ক্রমে জানতে পারবেন। মোবাইল ইউজারদের দ্রুত খবর পড়ার সুবিধা দিতে ফেসবুক নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল (Instant Article)।
খেয়াল করলে দেখতে পাবেন কিছু খবর বা শিরোনামে সঙ্গে বজ্রের মতো একটি চিহ্ন দেওয়া থাকে এবং সে শিরোনামের লিংকে ক্লিক করলে ফেসবুকের মধ্যেই খবরটি ওপেন হয়। ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল থেকে ক্লিক করে কোনো পোস্ট পড়তে গেলে সেখানে অনেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন।
এই বিজ্ঞাপন দেখানোর বিনিময়েই ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল প্রকাশককে টাকা দিয়ে থাকে। বিশ্বের বড় বড় সংবাদ মাধ্যমগুলো ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মধ্যমে বিভিন্ন খবরা-খবর প্রকাশ করে থাকে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম দ্রুত সাইটে প্রবেশ, ফেসবুকেই পাঠকদের পড়ার সুবিধা এবং ওয়েবসাইটের মালিকদের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার করার জন্য এই ফিচারটি চালু করেছে ফেসবুক।
আপনার যদি নিজস্ব কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে এবং সেখানে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে তাহলেই কেবল এই ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ১০ টি উপায়
Facebook Instant Article এর মাধ্যমে অনেকেই ফেসবুকে লাখ লাখ টাকা আয় করে, কিন্তু এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। তাছাড়া ফেসবুকের সিটিআর রেট খুবই জঘন্য। অনেকেই ফেসবুকের এ রেটের জন্য বিরক্ত।
আপনার পেইজটি কতটা জনপ্রিয় তার ওপর নির্ভর করবে আপনার আয় কত হবে। সাইটের ভাষা বাংলা নাকি ইংরেজি এটি কোনো বিষয় নয়। তবে, ইউরোপীয় দেশ তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ থেকে যদি ক্লিক পড়ে তাহলে আপনার আয় তুলনামূলক বেশি হবে।
জেনে রাখা ভালো বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করে শুধুমাত্র ফেসবুকের এই ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল ফিচারটি ব্যবহার করে। আয়ের টাকা ১০০ ডলার হলেই সরাসরি চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং সেজন্য ফেসবুকের সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে হবে।
ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অর্থ উপার্জনের জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন ও মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির মতো বিষয়।
তবে বর্তমানে সামগ্রিকভাবে ফেসবুকে অর্থ উপার্জন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনকার একটি পেজের কোনো অর্গানিক পোস্টের গড় রিচ সাধারণত মোট ফলোয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালেও যেটি ছিল ৭ শতাংশ। আর যারা বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সর করা বিষয়ের মাধ্যমে পে-টু-প্লে করেন; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিচ আরও হ্রাস পেয়ে যায়।
তবে ভালো খবর এই যে, ফেসবুক তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের জন্য নতুন এবং চমৎকার কিছু উপায় তৈরি করছে। যদিও সেগুলো মূলত উদ্যোক্তা এবং ফেসবুকে বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার আছে এমন সব পেজের জন্য। আপনার ফেসবুক পেজের মনিটাইজেশনের যোগ্যতা রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখুন।
আরো পড়ুন: ইউটিউব চ্যানেল খোলে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি ২০২৪
আপনার ফেসবুক পেজে যে কনটেন্ট পোস্ট করবেন সেগুলো অবশ্যই প্লাটফর্মের প্রয়োজনী শর্ত মেনে পোস্ট করতে হবে। যা সাধারণত ৩টি বিভাগে বিভক্ত। প্রথমত, ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। এগুলো হলো প্ল্যাটফর্মের একবারে মৌলিক নিয়ম। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিভৎস বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু পোস্ট করা যাবে না।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম দ্বিতীয়, পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি। এই নিয়মগুলো সামগ্রিকভাবে আপনার ফেসবুক পেইজের জন্য। সেইসঙ্গে আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট কীভাবে তৈরি করেন এবং শেয়ার করেন সেগুলোর জন্য। এ ছাড়া আপনি কীভাবে অনলাইনে অর্থপ্রদান করেন এবং গ্রহণ করেন তার জন্য।
সবশেষে রয়েছে কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি। এগুলো বিশেষত কনটেন্ট সম্পর্কিত নিয়ম। যা আপনার পোস্ট করা প্রতিটি কনটেন্টের জন্য প্রযোজ্য। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো হিংসাত্মক বা অনিরাপদ কনটেন্ট আপলোড না দেওয়া।
আপনার মনিটাইজেশনের যোগ্যতা যাচাই করতে আপনার ফেসবুকের ক্রিয়েটর স্টুডিওতে যান। সেখানে মনিটাইজেশন ট্যাবে ক্লিক করুন। কোনো পেজের জন্য আপনার মনিটাইজেশনের যোগ্যতা দেখতে চান তা নির্বাচন করুন। এ ছাড়া সেখানে আপনাকে পেজ সম্পর্কে মনিটাইজেশনের অন্যান্য তথ্যও দেওয়া থাকবে।
ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা
ভিডিও: ভিডিওতে একটি ভিউ গননা তখনি করা হয় যখন কেউ আপনার ভিডিওটি ৩ সেকেন্ড বা তার থেকে বেশি সময় ধরে দেখে। ছবি বা পোস্ট: ছবির বা পোস্টের ক্ষেত্রেও ভিউ বলতে বোঝায় কতজন ব্যক্তি বা ব্যবহারকারী আপনার ছবিটি বা পোস্টটি তাদের নিউজ ফিডে দেখেছে।
মূলত ফেসবুক নির্দিষ্ট ভিউ সংখ্যা অনুযায়ী ও নির্দিষ্ট অর্থের হার নির্ভর করে আপনার কনটেন্টের ধরন, ভিউয়ারদের অবস্থান, বিজ্ঞাপনের ধরন এবং ফেসবুকের পলিসির ওপর।জেমন,আপ্নার ভিডিওর ধরণ যদি ভালো মানের বা আকর্ষণীয় এবং ভালো মানের হয় তাহলে বেশি ভিউ আসে।আজকে আমরা জানবো ফেসবুকে কত ভিউ কত টাকা পাওয়া যায়
যদি আপনার ফেসবুকে 10000 ফলোয়ার, পাঁচটি ভিডিও এবং সাত দিন এর মধ্যে ৬ লাখ মিনিটের ভিউ থাকে তাহলেই আপনি রিলশ অ্যাড দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই অ্যাড গুলো থেকে যে টাকা আসবে তার ৫৫% আপনি এবং ৪৫ শতাংশ ফেসবুক পাবে। এর আগে facebook রিলশ দেওয়া যেত না।
শুধু মাত্র ভিডিওতে এড দেওয়া যেত। স্টারস-সম্পত্তি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আই এর নতুন একটি মাধ্যম আনার কথা ঘোষণা করেছেন মেটা।, এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারীর দেখার সময় ষ্টার দিতে পারবে। প্রতি ১০০ টারে ১ ডলার পাবে।
আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স কি? Google AdSense কিভাবে কাজ করে?
রিলস বোনাস বা প্রোগাম রিলস আসার পর থেকে বাড়িতে বসে থাকে মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের রিলস করার সুযোগ তৈরি করেছে। যার মধ্যে উন্নত একটি উপায় হল স্প্রে বোনাস প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পের মেয়েরা বা একাধিক বেকার ছেলেদের কোন ভিডিওতে যদি ৩০ দিনে ১০০০ ভিউ গেলে টাকা দিয়ে থাকে।
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, ফেসবুক ১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়। একটা ভিডিও তে এক মিলিয়ন ভিউ বা তার বেশি ভিউ মানে অবশ্যই ভিডিওটি অনেক ভাইরাল হয়ে থাকবে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কিন্তু আয় তুলনা মূলক বেশি হয়ে থাকে। এই নিয়মটি ইউটিউবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ইউটিউবেও ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়। আমরা যদি এক মিলিয়ন ভিউয়ের টাকা হিসাব করি। তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ এক লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তবে আমি আগেই বলেছি যে ভাইরাল ভিডিওতে ইনকাম বেশি হয়ে থাকে। এটি আমি একটি আনুমানিক হিসাব আপনাদের সামনে পেশ করলাম।
ফেসবুক পেজর মাধ্যমে আয়: ফেসবুক পেজে আপনি ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ চালিয়ে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন।আবার স্পনসরড পোস্টের মাধ্যমে আপনি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রমোট করে আয় করতে পারেন। এ ছাড়াও মার্কেটপ্লেস আপনার পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
ফেসবুক অ্যাডস: আপনার নিজস্ব পণ্য বা সেবা প্রমোট করার জন্য ফেসবুক অ্যাডস ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে সরাসরি বিক্রি বা ক্লিক-পে-কস্ট (CPC) মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক লাইভ: লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ফ্যানদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এবং ডোনেশন, সুপার চ্যাটস (ফেসবুকের মেটা প্ল্যাটফর্মে) বা ব্র্যান্ড স্পনসরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: বিভিন্ন ধরনের পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারেন। যখন আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে কেউ কিছু কিনবে, আপনি কমিশন পাবেন।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও সেলদ: আপনি যদি বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে কোনো বিষয়ে ইবুক, কোর্স, বা টিউটোরিয়াল তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন বা নিজস্ব ডিজাইন করা পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক অ্যাড ব্রেকিং: ফেসবুক ভিডিও আপলোড করে অ্যাড ব্রেকিং করে প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: যদি আপনার ফেসবুকে বেশি পরিমাণ ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ব্র্যান্ডের প্রমোশন করতে পারেন এবং তার জন্য আয় করতে পারেন।
ফেসবুক মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪
ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ফেসবুক পেজের মালিকরা তাদের কনটেন্ট থেকে আয় করতে পারেন।
২০২৪ সালে ফেসবুক তাদের মনিটাইজেশন নীতিমালা আরও উন্নত ও কঠোর করেছে, যা প্রতিটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় শুরু করার আগে জানতে হবে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম এই আর্টিকেলে ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন শর্ত ২০২৪, নতুন নিয়ম ও কিভাবে সেগুলো পূরণ করে আয় শুরু করা যায় তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এ আয়ের সুযোগ প্রদান করে, যার মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের পেজে তৈরি কনটেন্টের জন্য বিজ্ঞাপনী আয় পান।
পেজ এবং ফলোয়ারের সংখ্যা: ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন (যেখানে ভিডিও চলার সময় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়) ব্যবহার করতে হলে ১০,০০০ ফলোয়ার থাকা এবং গত ৬০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৬ লাখ মিনিটের ভিডিও দেখার সময় লাগবে।
আরো পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় ২০২৪ বিস্তারিত
নতুন ফিচার এবং আপডেট: ২০২৪ সালে ফেসবুক ক্রিয়েটরদের জন্য আরও উন্নত বিশ্লেষণ এবং মনিটাইজেশন টুল নিয়ে এসেছে। এগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য আয় বৃদ্ধি ও কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশ্লেষণ সহজতর করে তুলবে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুক স্টার এবং ফ্যান সাবস্ক্রিপশন: লাইভ স্ট্রিম বা ভিডিও কনটেন্টে ভিউয়াররা ফেসবুক স্টার কিনে ক্রিয়েটরদের সহায়তা করতে পারেন, যেখানে প্রতি স্টারের জন্য $0.01 আয় হয়। ফ্যান সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে ফলোয়াররা মাসিক ফি প্রদান করে বিশেষ কন্টেন্ট অ্যাক্সেস করতে পারে।
ব্র্যান্ডেড কনটেন্ট এবং বিজ্ঞাপন: ফেসবুক ব্র্যান্ড কোলাব ম্যানেজারের সাহায্যে ক্রিয়েটররা ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কন্টেন্ট শেয়ার করে আয় করতে পারেন। তবে এতে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে এটি ব্র্যান্ড স্পন্সর করা কনটেন্ট।
নিয়মাবলী মেনে চলা: ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং মনিটাইজেশন নীতিমালা মানতে হবে। এতে স্প্যাম, বিভ্রান্তিকর তথ্য, এবং অপব্যবহার পরিহার করা আবশ্যক।
ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে।
অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।
মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব।
এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভ্লগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন?
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে। ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।
অ্যাড - একজন ব্যক্তির 10 হাজার ফলোয়ার, 5টি ভিডিয়ো এবং গত 60 দিনে 6 লাখ মিনিটের ভিউ থাকলে সে রিলস-এ অ্যাড দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এই অ্যাড থেকে আসা অর্থের 55 শতাংশ আপনি এবং 45 শতাংশ ফেসবুক পাবে। এর আগে ফেসবুকের রিলস-এ অ্যাড দেওয়া যেত না। শুধুমাত্র ভিডিয়োতে অ্যাড দেওয়া যেত।
স্টারস - সম্প্রতি ফেসবুক রিলস থেকে অর্থ আয়ের নতুন একটি মাধ্যম আনার কথা ঘোষণা করেছে মেটা। এই নতুন ফিচারে একজন ব্যবহারকারী রিলস দেখার সময় স্টার দিতে পারবে। প্রতি 100 স্টারে 1 ডলার পাওয়া যাবে।
রিলস বোনাস প্রোগ্রাম - রিলস আনার পর থেকে মেটা একাধিক ভাবে রিলস-এ টাকা আয় করার সুযোগ তৈরি করছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল রিলস প্লে বোনাস প্রোগ্রাম। এই প্রকল্পে মেটা কোনও ভিডিয়োতে 30 দিনে 1 হাজার ভিউ এলে টাকা দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পের অধীনে 35 হাজার ডলার বা 28 লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।
চ্যালেঞ্জ - সম্প্রতি মেটা ঘোষণা করেছে যে যারা নিজস্ব রিল পাবলিশ করবে, তাদের টাকা দেওয়া হবে। এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একজন 4 হাজার ডলার বা 3 লাখ 30 হাজার টাকা আয় করতে পারে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অর্থ উপার্জনের জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন ও মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির মতো বিষয়।
তবে বর্তমানে সামগ্রিকভাবে ফেসবুকে অর্থ উপার্জন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এখনকার একটি পেজের কোনো অর্গানিক পোস্টের গড় রিচ সাধারণত মোট ফলোয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালেও যেটি ছিল ৭ শতাংশ। আর যারা বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সর করা বিষয়ের মাধ্যমে পে-টু-প্লে করেন; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিচ আরও হ্রাস পেয়ে যায়।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম প্রথমত, ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। এগুলো হলো প্ল্যাটফর্মের একবারে মৌলিক নিয়ম। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিভৎস বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু পোস্ট করা যাবে না।
দ্বিতীয়, পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি। এই নিয়মগুলো সামগ্রিকভাবে আপনার ফেসবুক পেইজের জন্য। সেইসঙ্গে আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট কীভাবে তৈরি করেন এবং শেয়ার করেন সেগুলোর জন্য। এ ছাড়া আপনি কীভাবে অনলাইনে অর্থপ্রদান করেন এবং গ্রহণ করেন তার জন্য।
ফেসবুক থেকে কত টাকা আয় করা যায়
বর্তমান সময়ে আমরা ফেসবুক সকলেই ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুক খুবই জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ প্লাটফর্ম। বর্তমানে সবাই আমার ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে থাকি। যদি আমরা ব্যস্ততার মাঝে থাকি তবুও একটু সময় পেলে আমরা ফেসবুক ব্যবহার করি।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম আর ফেসবুক এতই জনপ্রিয় যে খুব কম মানুষই আছে যারা ফেসবুক ব্যবহার করেনা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়।
আজকের আর্টিকেলটি মূলত ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় এই বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে। আজকে আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন ফেসবুক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। ফেসবুক থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন। তো আপনি যদি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান আর ফেসবুক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকে আর্টিকেল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুকে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক চার ই ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুকের সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফেসবুকে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম এখান থেকে আপনারা বিভিন্ন রকম ভাবে আয় করতে পারবেন। ফেসবুকের পূর্বসূরী সাইট ফেসম্যান যেটি মার্ক জুকারবার্গ ২৮ অক্টোবর ২০০৩ সালে তৈরি করেন। ফেসবুক থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এটা আমরা অনেকে জানি না। আবার অনেকেই ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকি। আপনারা যারা জানেন না ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম হয় তারা অনেকেই অবাক হবেন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে। আসলে ফেসবুক থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব।
বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। facebook থেকে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা জানি না কোন কোন মাধ্যম গুলোকে বা কি ভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায় যে কারণে আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি না। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে কয়েকটি সহজ টেকনিক নিম্ন উল্লেখ করা হলো।
ফেসবুকে রিলস ভিডিও তৈরি করে আপনারা ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন। অনেকেই রয়েছেন যারা রিলস ভিডিওর সাথে এখনও পরিচিত না। তবে আপনারা জানলে খুশি হবেন যে রিলস ভিডিও থেকে ইনকাম করা খুবই সহজ। আপনারা ৩০ সেকেন্ড এক মিনিট ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিওগুলো ছাড়ার মাধ্যম দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম প্রাথমিক অবস্থায় আপনারা ইনকাম করতে পারবেন না তবে আপনার আইডি বা পেজ যত ভালো হবে পরবর্তীতে মনিটাইজেশন পাওয়ার মাধ্যমে আপনারা এই ভিডিও থেকে ইনকাম করতে পারেন।
যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও করে আপনার খুব সহজে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আর ফেসবুক থেকে এখন প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। আপনারা ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চাইলে রিলস ভিডিও করতে পারেন।
আমরা অনেক পপুলার পেজে অ্যাড হয়ে থাকি। বিভিন্ন রকম ফানি ভিডিও দেখার জন্য অথবা পোস্ট দেখার জন্য বা পড়ার জন্য। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ফেসবুক পেজ থেকেও ইনকাম করা সম্ভব। আপনারা ফেসবুক পেজ তৈরি করার মাধ্যমে সেখানে কাজ করে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি ভালো পেজ তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পেজে যদি পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে এবং তার সাথে সাথে পেজে শর্তগুলো আপনি যদি পূরণ করতে পারেন তবে আপনি পেজ থেকে ভালো পরিমান অর্থ আয় করতে পারবেন। এই যে আপনারা ছোট-বড় বিভিন্ন রকম ভিডিও ছাড়তে পারবেন। এর থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার দশ হাজার ফলোয়ারের প্রয়োজন হবে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম অতঃপর ওয়াচ টাইমের প্রয়োজন হবে। আপনি যদি ১০ হাজার ফলোয়ার তৈরি করতে পারেন এবং ওয়াচ টাইম পূরণ করতে পারেন।
আর আপনার যদি সকল কন্টেন্ট গুলো ইউনিক হয়ে থাকে তাহলে আপনারা খুব সহজে ফেসবুকে মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। আর এই মনিটাইজেশন এর মাধ্যম দিয়ে আপনারা ফেসবুক পেজ থেকে ভাল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করার উপায়
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম অ্যাড ব্রেকস এর অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞাপন বিরতি। মনে করেন, আপনি ফেসবুকে কোন ভিডিও দেখছেন। ভিডিও এর মাঝে হঠাৎ করে ১০-১৫ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন চলে আসলো।
কিংবা ভিডিও এর নিচে একটি অ্যাপস ডাউনলোডের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনদাতা থেকে ফেসবুকের আয়ের ৫৫ ভাগ জমা হবে ভিডিও প্রকাশকারীর অ্যাকাউন্টে। বর্তমানের বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ভিডিওতে এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম ফেসবুকের এই সুবিধা পেতে আপনার একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে। যেখানে ১০,০০০ এর বেশি ফলোয়ার (লাইক), সবশেষ ৬০ দিনে এক মিনিট দৈর্ঘের ৩০ হাজার ভিউ এবং ভিডিও এর দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ৩ মিনিট হতে হবে।
পেইজের ভিডিওতে অ্যাড ব্রেকস চালু করতে www.facebook.com/business/m/join-ad-breaks ঠিকানায় গিয়ে পেইজের যোগ্যতা যাচাই করুন। এরপর অ্যাড ব্রেকস চালুর আবেদন করুন। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুক আবেদনের আপডেট জানিয়ে দেবে।
একটি ফেসবুকে পেইজে লেখা, ছবি, ভিডিওসহ নানা রকমের কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়। সে সব কনটেন্টের বিস্তারিত জানা যায় ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিওতে। এই ক্রিয়েটর স্টুডিও (www.facebook.com/creator/studio)
এর ভিডিও সেকশনে ভিডিও আপলোডের সময় অ্যাড ব্রেকস নির্বাচন করতে হবে। এসময় আপনি বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য দু’টি অপশন দেখতে পাবেন। এর একটি হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় নির্বাচন পদ্ধতি অন্যটি পছন্দের পদ্ধতি। স্বয়ংক্রিয় নির্বাচন পদ্ধতিতে ফেসবুক তার ইচ্ছামত সময়ে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।
আর পছন্দের ক্ষেত্রে আপনি ৬০ ও ১২০ সেকেন্ডের মধ্যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে পূর্বের ভিডিওতে অ্যাড ব্রেকস চালু করতে ভিডিও এর এডিট অপশনে গিয়ে ডান দিকের মেনু থেকে অ্যাড ব্রেকস নির্বাচন করতে হবে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি হালাল
ব্যবসার পরিধি অনেক বড়। বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইনেও নানা ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুক-ইউটিউবকে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকে। ফেসবুকে মার্কেটিং, পণ্য ক্রয়-
বিক্রয়, মিডিয়া ম্যানেজিং কিংবা বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের উপায় আছে। আবার ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে উপার্জনের বিষয়টিও ইদানীংকালে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।
উপার্জন যে উপায়েই হোক না কেন, হালাল হওয়ার জন্য মৌলিকভাবে দুটি মূলনীতি খেয়াল রাখতে হয়। ১) ব্যবসায়িক পণ্য, উৎপাদন ও কারবার বৈধপন্থায় হতে হবে। অবৈধ পণ্যের ব্যবসা ও কারবারকে ইসলাম বৈধতা দেয় না। যেমন মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ, অশ্লীলতা ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত হওয়া।
বিষয়গুলোকে ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে। ২) ব্যবসায় কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল, মিথ্যাচার ও ফাঁক-ফোকর থাকা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।’
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ২৩১৪৭; সহিহ মুসলিম: ১৬৪; ইবনে মাজাহ: ২২২৫; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৯০৫)
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম অতএব, যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয় কিংবা যেসব কনটেন্ট বা ছবি শরিয়তের মূলনীতিবিরোধী, সেসব ভিডিও-কনটেন্ট-ছবি ইত্যাদি দেখা, প্রচার করা, লাইক করা, সেসব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা কোনোটিই বৈধ নয়।
তা থেকে উপার্জনও বৈধ নয়। অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই সহযোগিতাকারীরা গোনাহগার হবেন এবং তাদের উপার্জিত অর্থও হালাল হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।’
আর যদি নাজায়েজ কনটেন্ট বা ভিডিও না হয়, তাহলে লাইক-কমেন্ট, শেয়ার, সাবস্ক্রাইব, ভিডিও আপলোড, ছবি-কনটেন্ট আপলোড করে উপার্জন করা জায়েজ আছে।
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে গ্রাস (আত্মসাৎ) করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ব্যবসা করে ভোক্তা কিংবা গ্রাহকের কাছ থেকে শুধু অর্থ উপার্জন হচ্ছে তা নয়; বরং পণ্যের আদান-প্রদানে পরস্পরের সেবা হচ্ছে। তাই শুধু নিজের স্বার্থটা নয়, ব্যবসায় মানুষের উপকারের মানসিকতাও রাখতে হবে। কারও ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যের ক্ষতি করা কোনোটিই উচিত নয়।’ (ইবনে মাজাহ: ২৩৪১)