কিডনি পরিষ্কার রাখে যেসব খাবার কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার

কিডনি রোগীর খাবার তালিকা আপনি যা খাবেন তাই আপনার স্বাস্থ্যে প্রতিফলিত হবে। এবং আর যে কোনো অঙ্গের মতোই কিডনির সুরক্ষায়ও বিশেষ কিছু খাবার দরকার হয়। স্বাস্থ্যবান হৃদপিণ্ডের মতোই একটি স্বাস্থ্যবান কিডনি থাকাটাও জরুরি। কিডনিদের প্রধান কাজ হলো দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেওয়া। কিডনি পরিষ্কার করার ঔষধ

কিডনি রোগীর খাবার তালিকা

আমরা সারাদিনে যা খাই বা পান করি, সেসব খাবারই পারে আমাদের শরীর গড়তে কিংবা ভাঙতে। আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

কিডনি পরিষ্কার রাখে যেসব খাবার কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার

পানীয় জল: কিডনি পরিষ্কার রাখার জন্য সবচেয়ে সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।

লেবু জল: লেবু জল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা কিডনির স্টোন গঠনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং কিডনি পরিষ্কার রাখে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: এটি কিডনির বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়।

আরো পড়ুন: ইউরিক এসিড রোগীর খাদ্যাভ্যাস ও ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার

ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, ফোলেট এবং ফাইবার যা কিডনির জন্য উপকারী।

বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি): বেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিডনির কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

তরমুজ: তরমুজে প্রচুর পানি থাকে যা কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।

আঙুর: আঙুরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কার্বনেটেড পানীয়: এটি কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই এটি থেকে দূরে থাকা উচিত।

ধনেপাতা: ধনেপাতা কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

কিডনি রোগীর খাবার তালিকা

সকালের নাস্তা:
গরম জল বা লেবু জল: একটি উপকারী শুরু।
অলিভ অয়েল দিয়ে সিদ্ধ সবজি: ব্রকলি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি।
কমলালেবু বা আপেলের একটি টুকরা।

মধ্যাহ্নভোজ:
ভাত বা রুটি: সাদা চাল বা গমের রুটি, তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত।
সিদ্ধ বা গ্রিলড মাছ বা মুরগি: লবণ ছাড়া।
সবুজ সবজি: কুমড়ো, লাউ, পটল ইত্যাদি, লবণ কম ব্যবহার করে রান্না করা।
ডাল: পরিমাণে কম, কারণ প্রোটিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

বিকালের খাবার:
ফল: আপেল, পেয়ারা, আঙুর ইত্যাদি।
হালকা স্ন্যাকস: অল্প মাখন দিয়ে গমের টোস্ট বা রাইস কেক।

রাতের খাবার:
সাদা ভাত বা রুটি: পরিমাণে কম।
সিদ্ধ বা বেকড মাছ বা মুরগি: লবণ ছাড়া।
সবুজ সবজি: ফুলকপি, লাউ, কুমড়ো ইত্যাদি।
যে সব শাক খাওয়া যাবে : ডাটা শাক ,লাউ শাক, কলমি শাক, লাল শাক ৷

কিডনি পরিষ্কার করার ঘরোয়া উপায়

পর্যাপ্ত পানি পান: যেভাবে কাজ করে: কিডনির প্রধান কাজ হল শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া। পর্যাপ্ত পানি পান করলে প্রস্রাবের মাধ্যমে এই বর্জ্যগুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায়। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

লেবু জল: যেভাবে কাজ করে: লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে স্টোন গঠনের ঝুঁকি কমায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: যেভাবে কাজ করে: প্রতিদিন ১-২ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কিডনি থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে এবং স্টোন গঠনের ঝুঁকি কমায়।

আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেসব খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার

ধনেপাতা জল: যেভাবে কাজ করে: ধনেপাতা কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে কিছু ধনেপাতা সেদ্ধ করে প্রতিদিন সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

তরমুজ: যেভাবে কাজ করে: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা কিডনিকে হাইড্রেট রাখে এবং টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।

ইসবগুল: যেভাবে কাজ করে: ইসবগুলের ভুসি কিডনির বিষাক্ত পদার্থ ও অবশিষ্টাংশগুলোকে বের করে দেয়। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।

আদা এবং হলুদের মিশ্রণ: যেভাবে কাজ করে: আদা ও হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদান কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। আদা এবং হলুদ দিয়ে তৈরি চা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

ডান্ডেলিয়ন রুট চা: যেভাবে কাজ করে: ডান্ডেলিয়ন রুট চা কিডনি এবং লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়।

অ্যালোভেরা রস: যেভাবে কাজ করে: অ্যালোভেরা রস প্রাকৃতিকভাবে কিডনি পরিষ্কার করতে সহায়ক। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা রস খেলে কিডনির কার্যকারিতা উন্নত হয়।

কিডনি ভালো রাখে এমন ১০ টি খাবার

পানিঃ পানিতে ক্যালরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারে শূন্যের কোঠায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, একজন নারীর দিনে ৯ গ্লাস এবং পুরুষের ১৩ গ্লাস পানি খাওয়া দরকার। 

কিডনি ভালো রাখাসহ সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। মাত্রাতিরিক্ত পানিও শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই প্রতিদিনের কার্যকলাপ ও কিডনির অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কি পরিমাণে পানি পান করা উচিত তা আগে থেকে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুন: পুরাতন আমাশয় রোগের ঔষধ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা

বাঁধাকপিঃ প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ক্যালরির পরিমাণ ২২, প্রোটিন ১ গ্রাম ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৫ গ্রাম থাকে। এতে কোন ক্ষতিকর ফ্যাট বা চর্বি থাকেনা। এটি এমন একটি সবজি যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেগুলো শরীর থেকে জীবাণু বের করে দিতে সাহায্য করে। 

ক্যান্সার, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ এবং মূত্রাশয়জনিত সমস্যাগুলোর প্রতিরোধক হিসেবেও এর অবদান রয়েছে। বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যেগুলো কিডনির কোন ক্ষতি করে না। তাই নির্বিঘ্নে খেতে পারেন এই সবজিটি।

ফুলকপি ফুলকপি হলো কিডনির একটি সুপারফুড। রান্নার আইটেম হিসাবে বা শুধু সেদ্ধ কিংবা গ্রিল বা সালাদে দিয়েও ফুলকপি খাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং ফাইবার রয়েছে । এতে ক্যালরির পরিমাণ ২৫। 

এছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে প্রোটিন ২ গ্রাম ও কার্বোহাইড্রেট ৫ গ্রাম থাকে। এছাড়াও এতে কিডনির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু যৌগ রয়েছে সেগুলো শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ক্যাপসিকাম বিদেশী সবজি হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে ক্যাপসিকাম একটি জনপ্রিয় সবজি হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে প্রোটিন ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৯ গ্রাম এবং ক্যালরির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ৪৬.২। 

লাল রঙের ক্যাপসিকামে পটাসিয়ামের পরিমাণ কম থাকে যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, এ, ফলিক এসিড ও ফাইবার। লাল ক্যাপসিকামে লাইকোপিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা কয়েক রকমের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।

পেঁয়াজ পটাশিয়ামের পরিমাণ কম ছাড়াও পিয়াজে রয়েছে ক্রোমিয়াম, যা চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটকে বিপাক করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ কিডনিকে সঠিকভাবে কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে। তাই পিয়াজ কিডনির জন্য অনেক উপকারী। 

প্রতি ১০০ গ্রাম পিয়াজে ক্যালরি ৬৪, প্রোটিন ২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৫ গ্রাম পরিমাণ থাকে। এতে কোন প্রকার চর্বি নেই। এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড যা রক্তনালী থেকে চর্বি জাতীয় পদার্থ বের করে দিয়ে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

রসুন পেঁয়াজের মতো রসুনও একটি শক্তিশালী ভেষজ। তাছাড়া এটি খাবারের স্বাদও বাড়ায়। প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে ক্যালরি রয়েছে ২০৩, প্রোটিনের পরিমাণ ৯ গ্রাম, ফ্যাট ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৪৫ গ্রাম। রসুনের রস ও মেটাফরমিন (টাইপ-২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্দেশিত ঔষধ) একসাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিস মোকাবেলায় বেশ কার্যকরী।  

আপেল প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ক্যালরির পরিমাণ ১৭৫, প্রোটিনের পরিমাণ ১৯ গ্রাম, উপকারী ফ্যাট ১০ গ্রাম থাকে। মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। মাছে থাকা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরে জ্বালাপোড়া কমাতে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া এলডিএল (লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে কিডনি থাকে সুরক্ষিত। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন ধরনের মাছ রাখা উচিত।   

লেবুর শরবতে থাকা ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড অভ্যন্তরীণ পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা রয়েছে এতে। এজন্য সকালে বা দুপুরে খাওয়ার আগে লেবুর শরবত পান করা যেতে পারে।

লাল আঙ্গুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক পলিফেলনিক যৌগ, যা রেসভেরাট্রল নামে পরিচিত। এটি হৃদপিণ্ডকে সুস্থ এবং কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা। রেসভেরাট্রল মূত্রাশয়জনিত ক্ষত উন্নয়ন করতে সহায়তা করে। তাই কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লাল আঙ্গুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।

লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায়

পর্যাপ্ত পানি পান করুন: কিভাবে সাহায্য করে: পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনি ও লিভার হাইড্রেট থাকে এবং তাদের কার্যকারিতা ভালো হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন: কিভাবে সাহায্য করে: প্রাকৃতিক ও পরিশোধিত খাবার যেমন সবজি, ফল, সুষম প্রোটিন এবং শস্য গ্রহণ করুন। চর্বিযুক্ত, ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো লিভার এবং কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন: কিভাবে সাহায্য করে: অ্যালকোহল ও ধূমপান লিভার ও কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের কার্যকারিতা হ্রাস করে। লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে হলে এগুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি।

আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেসব খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: কিভাবে সাহায্য করে: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা ভালো হয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: কিভাবে সাহায্য করে: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে লিভার ও কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: কিভাবে সাহায্য করে: অতিরিক্ত ওজন লিভার ও কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

ঔষধ ও সাপ্লিমেন্ট সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন: কিভাবে সাহায্য করে: কিছু ঔষধ ও সাপ্লিমেন্ট লিভার ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই কোনও ঔষধ নেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

টক্সিন এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে থাকুন: কিভাবে সাহায্য করে: বিভিন্ন কেমিক্যাল, যেমন পেইন্ট থিনার, ক্লিনিং এজেন্ট ইত্যাদি লিভার ও কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এগুলো থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখুন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান: কিভাবে সাহায্য করে: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে লিভার ও কিডনির কোনও সমস্যা আগেভাগে ধরা পড়ে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

স্ট্রেস কমান: কিভাবে সাহায্য করে: স্ট্রেস লিভার ও কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ধ্যান, যোগ ব্যায়াম এবং অন্যান্য রিলাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।

ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর খাবার তালিকা

সকালের নাস্তা:
ওটমিল: চিনি ছাড়া, মধু বা স্টিভিয়া দিয়ে।
ডালিয়া: গমের ডালিয়া, হালকা দুধ বা দইয়ের সাথে মিশিয়ে।
সবজি দিয়ে সিদ্ধ ডিম: লবণ এবং মসলা কম দিয়ে।
এক টুকরো টোস্ট: সম্পূর্ণ গমের রুটি, সামান্য মাখন দিয়ে।

মধ্যাহ্নভোজ:
সিদ্ধ ভাত বা রুটি: সাদা চালের ভাত বা সম্পূর্ণ গমের রুটি, পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত।
গ্রিলড মাছ বা মুরগি: লবণ এবং তেল কম ব্যবহার করে।
সবজি: কুমড়ো, লাউ, পটল ইত্যাদি লবণ কম ব্যবহার করে রান্না করা।
মসুর ডাল: প্রোটিনের উৎস, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

বিকেলের খাবার:
ফল: আপেল, নাশপাতি, আঙুর (কম পরিমাণে)।
এক গ্লাস বাদাম দুধ: চিনি ছাড়া।

রাতের খাবার:
রুটি বা ভাত: পরিমাণে কম।
সিদ্ধ বা গ্রিলড মাছ বা মুরগি: লবণ কম দিয়ে।
সবজি স্যুপ: হালকা সবজি দিয়ে তৈরি।
সবুজ শাক: পালং শাক, মুলা শাক ইত্যাদি।

কিডনি পরিষ্কার করার ঔষধ

  • ডায়ুরেটিকস (Diuretics)
  • এ্যাপেল সিডার ভিনেগার সাপ্লিমেন্ট
  • নেফ্রোটক্সিন ডিটক্সিফায়ার (Nephrotoxin Detoxifiers)
  • কার্সিল (Karsil) বা সিলিমারিন (Silymarin)
  • ভেষজ চা (Herbal Teas)
  • ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট

কিডনি ভালো রাখার খাদ্য

রসুন : নিয়মিত খালি পেটে রসুন খেলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়। এর পাশাপাশি শরীরও ফিট থাকে। রসুনে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যালিসিন উপাদান কিডনিকে সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকরী।

আপেল : আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শুধু শরীরকেই ফিট রাখে না কিডনিকেও সুস্থ রাখে। এতে থাকা অ্যাক্টিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল কমায়, যা জন্য কিডনির জন্য ভালো।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

জিএফআর: কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে তা রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন অর্থাত্‍‌ বর্জ্য পদার্থ ঠিকমতো বের করে দিতে পারে না। তবে, এই ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা হল প্রথম ধাপ। এর পর জিএফআর দেখতে হবে। সেই রেজাল্ট দেখেই ডাক্তার বুঝতে পারবেন কিডনি কেমন কাজ করছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন