ভিটামিন সি কোন খাবারে আছে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
ভিটামিন সি জাতীয় সবজি ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরকে রাখে সতেজ ও স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার গ্রহণের কারণে শরীরে ফ্যাট জমাট বাধতে পারে না। ফলে খারাপ কোলেস্টরেলও জমতে পারে না। ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয়
অনেকের ধারণা, শুধু টক জাতীয় খাবারেই রয়েছে ভিটামিন ‘সি’। টক জাতীয় খাবারগুলো ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার। কিন্তু এছাড়া আরও কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
ভিটামিন সি কোন খাবারে আছে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
ভিটামিন সি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা বা রক্তের লৌহ শোষণেও ভিটামিন সির ভূমিকা রয়েছে। মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচল ও তথ্য আদান-প্রদানে এটি ভূমিকা রাখে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন মূলত শাকসবজিতেই পাওয়া যায়। লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। কমলা, মালটা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতা গোত্রের সব সবজি ও শাকেও পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। এ ছাড়া কিছু মসলাজাতীয় উদ্ভিদ যেমন: কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলেপাতা ভিটামিন সির ভালো উৎস।
আরো পড়ুন: পুরাতন আমাশয় রোগের ঔষধ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
কাটা-ছেঁড়া বা অস্ত্রোপচারের পর ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়া উচিত, এতে ঘা দ্রুত শুকায়। ঠান্ডা-সর্দি বা জ্বরেও এটি দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।
আলু: স্বাস্থ্যকর খাদ্যের তালিকায় এই নাম দেখে বেশ অবাক হচ্ছেন তো? আলু খাওয়া সকলের জন্য মোটেই খারাপ নয়। একটি বড় আলুতে থাকে ৭২. ৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। ফলে প্রতিরোধশক্তি বাড়তে পারে নিয়মিত আলু খেলেও।
ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে কারণ এটি কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করেÂ
উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করেÂ
রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে কারণ এটি আয়রন শোষণে সহায়তা করেÂ
এলছানি পড়ার ঝুঁকির মালিকএবং বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয়কে ধীর করেÂ
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা কোষের ক্ষতি কমায়, এটি সাহায্য করেকার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বজায় রাখাÂ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারেÂ
যদিও কমলা বিখ্যাতÂভিটামিন সি এর উৎস, উচ্চ ঘনত্ব আছে যে অন্যান্য ফল এবং সবজি আছে. মনে রাখা একটি আকর্ষণীয় তথ্য হল যে আপনি যখন খোসা ছাড়েনকমলা, ভিটামিন সিএটি যত বেশি বাতাসের সংস্পর্শে আসে তত দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায়, তাই খোসা ছাড়ানো বা কেটে ফেলার সময় আপনাকে এটি দ্রুত সেবন করতে হবে৷Â
আপনার শরীর নিজে থেকে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না এবং এটি 24 ঘন্টার বেশি সময় ধরে ভিটামিন সি সঞ্চয় করতে পারে না, তাই এটি অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারআপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায়ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলÂ এবং অন্যান্যভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবারআপনার খাদ্যতালিকায়, ঘাটতি নিয়ে আপনাকে কখনই চিন্তা করতে হবে নাÂ
একটি সুবিধা দেখতে পড়ুনভিটামিন সি ফল এবং উদ্ভিজ্জ চার্টএটি আপনাকে আপনার ডায়েটে সঠিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে সাহায্য করবেভিটামিন সি ফলের চার্টএই বিভিন্ন খাবার সম্পর্কেও আপনাকে আকর্ষণীয় তথ্য এবং তথ্য দেবেÂ
ভিটামিন সি জাতীয় খাবারের উপকারিতা
এ সম্পর্কে রাজধানীর পান্থপথ অ্যাস্থেটিক স্কিন লেজারের পুষ্টিবিদ তায়েবা সুলতানা বলেন, “ভিটামিন সি মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি- ত্বক, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।”
তাছাড়া ভিটামিন সি’তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বলে জানান তায়েবা সুলতানা।
আরো পড়ুন: কিডনি পরিষ্কার রাখে যেসব খাবার কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার
ভিটামিন সি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা বা রক্তের লৌহ শোষণেও ভিটামিন সির ভূমিকা রয়েছে। মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচল ও তথ্য আদান-প্রদানে এটি ভূমিকা রাখে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন মূলত শাকসবজিতেই পাওয়া যায়। লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। কমলা, মালটা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতা গোত্রের সব সবজি ও শাকেও পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। এ ছাড়া কিছু মসলাজাতীয় উদ্ভিদ যেমন: কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলেপাতা ভিটামিন সির ভালো উৎস।
কাটা-ছেঁড়া বা অস্ত্রোপচারের পর ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়া উচিত, এতে ঘা দ্রুত শুকায়। ঠান্ডা-সর্দি বা জ্বরেও এটি দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।
ভিটামিন সি জাতীয় সবজি
আলুকে সবাই ফ্যাট বলে থাকলেও আলুতে আছে ৭২.৭ কিলোগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। পরিমিত আলু আপনি সবসময়ই খেতে পারবেন। আলুতে ভালো পরিমাণে ভিটামিন আছে। যা আপনাকে প্রতিদিনের কাজকর্মে শক্তি দিয়ে থাকে। এছাড়া, খুব সহজেই হজম হয়ে যায় বিধায় শরীরে কোলেস্টরেলও জমতে পারে না। তাই ডায়েটে রাখতে পারেন আলু।
বাঁধাকপি (Cabbage) বাঁধাকপিতে রয়েছে অসংখ্য ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল। এক কাপ বাঁধাকপিতে ২২ ক্যালোরি থাকে। এটিতে ভিটামিন সি-এর দৈনিক চাহিদার ৫৪ শতাংশ রয়েছে। এতে রয়েছে ৮৫ শতাংশ ভিটামিন কে। এতে ২ গ্রামের বেশি ফাইবার থাকে। এতে এক গ্রাম প্রোটিন থাকে।
আরো পড়ুন: ইউরিক এসিড রোগীর খাদ্যাভ্যাস ও ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার
বাঁধাকপি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এবার জেনে নিন, এটি খেলে শরীরে কী কী হয়।
ব্রোকলি (Broccoli) ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যালস দূর করে।
ব্রকলিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়াতে এটি দেহের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে প্রতিহত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ফাইবার ও পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খেলে অন্য খাবারের আসক্তি কমে।
সালফোরাফেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডকে বিভিন্ন হৃদরোগের থেকে রক্ষা করে। ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায়।
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, জ্বর, মুখের ঘা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি আরও অনেক রোগ প্রতিহত করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পালং শাক (Spinach) পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুবই জরুরী।এছাড়া এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন সি ও ই কে তরান্বিত করে আমদের পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এতে আ্মাদের শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এছাড়া এই সবজি আমাদের রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল
কমলা (Orange): প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লেবু (Lemon): ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। আমলকি (Indian Gooseberry): ভিটামিন সি-এর প্রাকৃতিক উৎস এবং এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।
আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেসব খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার
পেয়ারা (Guava): এটি একটি উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি যুক্ত ফল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্ট্রবেরি (Strawberry): ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলগুলোর মধ্যে আমলকি (Indian Gooseberry) অন্যতম। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে প্রায় ৫০০-৭০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা কমলা বা লেবুর চেয়ে অনেক বেশি।
ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয়
থাইরয়েডের সমস্যা ভিটামিন সি-র অভাব হলে শরীরে থাইরয়েড হর্মোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। শরীরে হাইপার থাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, খিদে চলে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
ত্বকের রোগ ভিটামিন সি–র অভাবে ত্বকের নানা রোগ হতে পারে। ত্বক জ্বালা করে, চুলকায়। ভিটামিন সি-তে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন প্রোটিনটি স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া শরীরে এই ভিটামিনের অভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ির রোগ হতে পারে। হতে পারে স্কার্ভি রোগও।
রক্তাল্পতা শরীরে আয়রন শোষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে আয়রন শোষণের হার কমে যায় ফলে রক্তাল্পতার মতো রোগ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার অভাবও হয়।
ভিটামিন সি এর প্রাণিজ উৎস
যকৃৎ (Liver): বিশেষ করে গরু ও ভেড়ার যকৃতে কিছুটা ভিটামিন সি থাকে। কাঁচা মাছ (Raw fish): কিছু কাঁচা মাছ, যেমন স্যামন বা টুনা, সামান্য পরিমাণে ভিটামিন সি ধারণ করে। দুধ (Milk): তাজা গরুর দুধে সামান্য ভিটামিন সি থাকে, তবে তা প্রক্রিয়াজাত করলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ কমে যায়।