স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা বিদেশি ফল হলেও এখন আমাদের দেশে বেশ সহজলভ্য হয়ে উঠছে স্ট্রবেরি। রঙিন ও আকর্ষণীয় দেখতে এই ফল খেতেও দারুণ সুস্বাদু। তবে এখানেই শেষ নয়, স্ট্রবেরি খাওয়ার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতাও। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে একসঙ্গে অনেকগুলো উপকার পাবেন। স্ট্রবেরি গাছের দাম
স্ট্রবেরি ফলটি দেখতে যতটাই সুন্দর, খেতেও ঠিক ততটাই সুস্বাদু। এর উপকারিতা কিন্তু আরেক ধাপ এগিয়ে। এই সময়ে বাজারে পাওয়া স্ট্রবেরি।
স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
বর্তমানে অনেক কম বয়সীর মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে থাকতে পারে খাদ্যাভ্যাসও। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস বেছে নিতে হবে। সেই তালিকায় রাখতে পারনে স্ট্রবেরির নাম। কারণ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্ট্রবেরির ভূমিকা রয়েছে। এই ফল নিয়মিত খেলে তা শরীরে পটাশিয়াম পৌঁছে দেয়। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
হার্ট ভালো রাখার জন্য বেছে নিতে হবে সহায়ক খাবার। তেমনই একটি ফল হলো স্ট্রবেরি। এটি আপনাকে হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্ডিওভ্যাসকুলার ডিজিজ দূরে রাখতে স্ট্রবেরির গুরুত্ব অপরিসীম। খাবারের তালিকায় স্ট্রবেরি রাখলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে হার্ট ভালো রাখা সহজ হয়।
স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা অনেকগুলো দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য উপকারী। বেশ কয়েক বছর ধরে স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি খাওয়া বেশ কয়েকজনের উপর সমীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের বয়সের তুলনায় মস্তিষ্ক বেশি ভালো কাজ করে। স্ট্রবেরিতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য হলেও আপনার পাতে রাখুন স্ট্রবেরি নামক ফলটি। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পেট ভালো রাখতে এবং ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রিবায়োটিক হিসাবে স্ট্রবেরির গুরুত্ব রয়েছে। এটি যে কারও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও।
স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা স্ট্রবেরিতে প্রচুর ভিটামিন এ, সি ফোলেট, ফসফরাস আর ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। সারা দিনে গোটা তিন-চার স্ট্রবেরি খেতে পারলেই আপনার ভিটামিন সি লক্ষ্যমাত্রার দিকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবেন।
স্ট্রবেরির আরেকটি উপকারিতা হলো এটি খেলে ভালো থাকবে আপনার দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য। তাই দাঁত ও হাড় নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চাইলে পাতে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি।
স্ট্রবেরির অ্যান্টিঅক্সিডান্টস আর প্লান্ট কম্পাউন্ড রক্তে উপস্থিত শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ঠেকায় ফ্রি র্যাডিকালসের বাড়বাড়ন্তও। আর ফ্রি র্যাডিকালস নিয়ন্ত্রণে থাকলে ক্যান্সারও দূরে থাকে।
তাই প্রতিদিনই পাতে রাখার চেষ্টা করুন সুস্বাদুু এই ফলটি। স্ট্রবেরি যোগ করুন আপনার রোজের স্মুদি, প্যানকেক, সালাদে। পানি ঝরিয়ে নেয়া ঘন দই, স্ট্রবেরির কুচি, এক চামচ মধু আর কিছু সিডস একসঙ্গে মিশিয়ে নিলে দারুণ ডেজার্ট তৈরি হবে। সোডিয়াম প্রায় নেই বলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগীদের জন্য এটি ভালো। রক্তচাপ রোধে সহায়তা করে এই ফল।
স্ট্রবেরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেক, বিশেষ করে পলিফেনলজাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্ট্রবেরি মানুষের শরীরের ক্ষতিকর চর্বি এলডিএল কমায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে। চুল পড়া রোধ করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। কারণ এতে সব ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করাটা সহজ হয়। আপনি যদি নিয়মিত স্ট্রবেরি খান তাহলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করবে। এই ফলে ভিটামিন এবং পানি দুটিই বেশি থাকে। যে কারণে গরমের সময়ে এটি বেশ উপকারী।
বর্তমানে অনেক কম বয়সীর মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে থাকতে পারে খাদ্যাভ্যাসও। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস বেছে নিতে হবে। সেই তালিকায় রাখতে পারনে স্ট্রবেরির নাম। কারণ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্ট্রবেরির ভূমিকা রয়েছে। এই ফল নিয়মিত খেলে তা শরীরে পটাশিয়াম পৌঁছে দেয়। যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা হার্ট ভালো রাখার জন্য বেছে নিতে হবে সহায়ক খাবার। তেমনই একটি ফল হলো স্ট্রবেরি। এটি আপনাকে হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্ডিওভ্যাসকুলার ডিজিজ দূরে রাখতে স্ট্রবেরির গুরুত্ব অপরিসীম। খাবারের তালিকায় স্ট্রবেরি রাখলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যে কারণে হার্ট ভালো রাখা সহজ হয়।
অনেকগুলো দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রবেরি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য উপকারী। বেশ কয়েক বছর ধরে স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি খাওয়া বেশ কয়েকজনের উপর সমীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের বয়সের তুলনায় মস্তিষ্ক বেশি ভালো কাজ করে। স্ট্রবেরিতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।
স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য হলেও আপনার পাতে রাখুন স্ট্রবেরি নামক ফলটি। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পেট ভালো রাখতে এবং ক্যান্সার থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রিবায়োটিক হিসাবে স্ট্রবেরির গুরুত্ব রয়েছে। এটি যে কারও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও।
স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয়
স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় স্ট্রবেরি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখেএবং চুল পড়ার রোধ করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়ে এবং চুল ভেঙে যায়। এই সব সমস্যা দূর করার জন্য স্ট্রবেরি খাওয়া উপকারী।
কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি, যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। চুল সুস্থ রাখতে নারকেল তেল এবং কিছু পরিমাণে মধুর সঙ্গে স্ট্রবেরি পেস্ট ভালো ভাবে মিশিয়ে নেওয়া পর, হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়ার কমে যাবে তার সঙ্গে চুলের সাইন ফিরে আসবে।
স্ট্রবেরি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরি মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, যা আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসাবে কাজ করে। অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে স্ট্রবেরির মধ্যে।
স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় এই উপাদানটির জন্য এই স্ট্রবেরির রং লাল হয় এবং চকচকে হয়। এই উপাদানটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরির মধ্যে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তাই একে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য স্ট্রবেরী খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
স্ট্রবেরি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকা পলিফেনল এবং পুষ্টিগুণ হাঁটুর ফোলা ভাব, ব্যথা সবই কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ির প্রদাহ কমাতে স্ট্রবেরি সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় স্ট্রবেরির মধ্যে পেকটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার।এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি।
স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় স্ট্রবেরি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরি মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। ফলের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চোখের ছানি এবং চোখের অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড যৌগটি পরিমাণ বৃদ্ধি চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি।
স্ট্রবেরি পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরির মধ্যে অ্যাফ্রোডিসিয়াক নামক একটি উপাদান পাওয়া যায় যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে পুরুষত্বহীনতায় উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে।
স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা, পাস্তুরায়ন ছাড়া দুধ এবং ওই ধরনের দুধ থেকে তৈরি কোমল পনির। এগুলোতে লিসটেরিয়া নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা লিসটেরিওসিস নামের এক ধরনের রোগ তৈরি করতে পারে। মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার। কারণ সেগুলোতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা কাঁচা ও পুরোপুরি রান্না না হওয়া মাংসজাত পণ্য যেমন সসেজ ও কোল্ড কাট। এগুলোতে টোকসোপ্ল্যাজমা গনডির মতো পরজীবী এবং সালমোনিলা ও লিসটেরিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। কাঁচা মাছ ও সিফুড। কারণ এগুলোতে উচ্চমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী থাকতে পারে।
কিছু মাছে উচ্চ মাত্রায় পারদ (মার্কারি) থাকে এবং এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বেশির ভাগ শিকারি মাছ যেমন হাঙ্গর, সোর্ড ফিশ, মার্লিন ও কিং ম্যাককেরেলে মার্কারি বেশি থাকে। স্মোকড কিন্তু রান্না না করা মাছ যেমন, স্মোকড স্যালমন। গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা
রান্না না করা অঙ্কুরিত বীজ, খাদ্যশস্য ও শিম। কাঁচা মূলা, শিম ও আলফালফার বীজ এবং রেডি-টু-ইট সালাদ এসব খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোতে লিসটেরিয়া, সালমোনিলা ও ই. কোলির মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। কাঁচা বা কম সিদ্ধ ডিম। এতে সালমোনিলা ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা যকৃত (লিভার) ও অন্যান্য অঙ্গের মাংস। যকৃতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকলেও এটা গর্ভধারিণী নারীদের খেতে বলা হয় না। কারণ এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ থাকে এবং এই মাংসে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
স্ট্রবেরি অপকারিতা
স্ট্রবেরি অপকারিতা এলার্জি: কিছু লোক স্ট্রবেরিতে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে, যেমন ত্বকের র্যাশ, চুলকানি বা গলা ফুলে যাওয়া। অম্লভাব (Acidity): স্ট্রবেরি একটি অ্যাসিডিক ফল, তাই এটি অতিরিক্ত খেলে পেটে অম্লভাব বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
স্ট্রবেরি অপকারিতা রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো: স্ট্রবেরি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, তাই যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সমস্যা আছে তাদের এটি খাওয়ার সময় সতর্ক হওয়া উচিত। স্ট্রবেরি অপকারিতা
স্ট্রবেরি অপকারিতা পেস্টিসাইড উপস্থিতি: স্ট্রবেরির চাষে প্রচুর পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয়, তাই ভালোভাবে ধুয়ে না খেলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ ঢুকতে পারে। অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ: স্ট্রবেরিতে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে কিছু লোকের হজমে সমস্যা হতে পারে।
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘বারি স্ট্রবেরি-১’ নামে স্ট্রবেরির একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতটি বাংলাদেশের সবখানেই চাষ করা যায়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়।
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি প্রতি গাছে গড়ে ৩২টি ফল ধরে যার গড় ওজন ৪৫০ গ্রাম। হেক্টর প্রতি ফলন ১০-১২ টন। এই জাতের পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। জাতটি যথেষ্ঠ পরিমানে সরু লতা ও চারা উৎপাদন করে বলে এর বংশ বিস্তার সহজ।
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ এবং মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর থেকে প্রচলিত জাত মডার্ন স্ট্রবেরি-১, মডার্ন স্ট্রবেরি-২, মডার্ন স্ট্রবেরি-৩, মডার্ন স্ট্রবেরি-৪, মডার্ন স্ট্রবেরি-৫; আমাদের দেশে চাষযোগ্য জাত।
স্ট্রবেরি মূলত মৃদু শীত প্রধান অঞ্চলের ফসল। ফুল ও ফল আসার সময় শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওয়া রবি মৌসুমে স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। উর্বর দোআঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ যেসব জমিতে পানি জমে সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো যাবে না।
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি জমি ভালভাবে চাষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে অন্ততঃ ১ফুট গভীর করে জমি চাষ দিতে হবে। শেষ চাষের সময় পরিমানমতো সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। স্ট্রবেরির চারা আশ্বিন (মধ্যসেপ্টেম্বর থেকে মধ্যঅক্টোবর) মাসে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা যায়।
চারা রোপণের জন্য জমিতে বেড তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিটি বেড প্রায় ৩ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মধ্যে ১-১.৫ ফুট চওড়া নালা রাখতে হবে। প্রতিটি বেডে দুই লাইনের মধ্যে ১.৫-২ ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি লাইনে ১-১.৫ ফুট দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে। এই হিসেবে প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি চারা রোপণ করা যায়।
ভাল ফলনের জন্য জমিতে পরিমানমতো সার দিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে ফলন ভালো হয়। সাধারণ হিসেবে প্রতি শতক জমিতে শুকনা পঁচা গোবর সার ১০০-১২০ কেজি, ইউরিয়া সার ১ কেজি, টিএসপি সার ৮০০ গ্রাম, এমওপি সার ৯০০ গ্রাম, জিপসাম সার ৬০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি সার জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ও অবশিষ্ট এমওপি সার চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ১৫-২০ দিন পর পর ৪-৫টি কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি জমিতে রসের অভাব দেখা দিলে প্রয়োজনমতো পানি সেচ দিতে হবে। স্ট্রবেরি জলাবদ্ধতা একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত বের করে দিতে হবে।
স্ট্রবেরি রানারের (কচুর লতির মতো লতা) মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে। তাই পূর্ববর্তী বছরের গাছ নষ্ট না করে জমি থেকে তুলে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রোপণ করতে হবে। ওই গাছ থেকে উৎপন্ন রানারের শিকড় বের হলে তা কেটে ৫০ ভাগ গোবর ও ৫০ ভাগ পলিমাটিযুক্ত পলিথিন ব্যাগে লাগাতে হবে। এরপর পলিথিন ব্যাগসহ চারাটি হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
অতিরিক্ত বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার জন্য চারার উপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। রানারের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হলে স্ট্রবেরির ফলন ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই জাতের ফলন ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাথার জন্য টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উৎপাদিত চারা ব্যবহার করা ভালো।
স্ট্রবেরি গাছের দাম
স্ট্রবেরি গাছের দাম এই কর্মকর্তা বলেন, শীতপ্রধান দেশের ফল হিসেবে স্ট্রবেরির প্রচলন থাকলেও এখন বাংলাদেশেও অনেক জায়গায় স্ট্রবেরির চাষ হচ্ছে। আকর্ষণীয় বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি অত্যন্ত সমাদৃত।
ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্যের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ বৃদ্ধিতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে এই ফল। অল্প পুঁজি, স্বল্প শ্রম, কিন্তু লাভ অনেক বেশি। তাই এ ফল চাষে অল্প দিনেই সফলতার মুখ দেখেছেন এ উপজেলার অনেক কৃষক।
শ্রীপুর উপজেলা বরমী ইউনিয়নের বরমা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করতে হয়। এ জন্য পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর দিয়ে ৫-৬ বার চাষ দিয়ে জমির মাটি ঝরঝরে করে নিতে হয়। তারপর সার, গোবর ও ক্যালসিয়ামের অন্য উপাদান ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত করতে হয়। বিঘাপ্রতি স্ট্রবেরি চাষে খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
স্ট্রবেরি গাছের দাম ওই গ্রামের অপর কৃষক আশরাফুল জানান, মৌসুমের শুরুতে স্ট্রবেরির সাদা ফুল ফোটে। পরে হলুদ রঙের ফল ধরে। সবশেষে পাকা লাল টুকটুকে রং ধারণ করে। উইন্টারডন জাতের একটি চারা গাছ থেকে মৌসুমে কমপক্ষে দুই কেজি ফল পাওয়া যায়।
বরমী ইউনিয়নের বরমা গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে শুনে সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের স্ট্রবেরি বাগান দেখতে ছুটে এসেছি। বাগান দেখে ভালো লেগেছে। বাগান থেকে নিজ হাতে ছিড়ে স্ট্রবেরি খেয়েছি। বেশ ভালো স্বাদ। সাইফুল ভাইয়ের বাগান দেখে আমিও স্ট্রবেরি বাগান করবো বলে ভাবছি। স্ট্রবেরি চাষে বেশি খরচ হয় সেচ দিতে। এ পর্যন্ত ২৫-৩০ বার সেচ দিয়েছেন।
স্ট্রবেরি গাছের দাম স্ট্রবেরির বাগান দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তারা গাছ থেকে স্ট্রবেরি নিজ হাতে ছিড়ে খাচ্ছেন। অনেকেই এখন স্ট্রবেরির চাষ করার কথাও ভাবছেন।
স্ট্রবেরি গাছের দাম স্ট্রবেরি চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন শ্রীপুরের গোদারচালা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২৮)। তিনি বলেন, টিস্যু কালচার ল্যাব থেকে মাদার গাছ কিনে চারা তৈরি করেছেন।
এ চারা তিনি জমিতে রোপণ করেন এবং অন্যদের কাছেও চারা বিক্রি করে থাকেন। প্রথম তিনি মাদার গাছ ৪০ টাকা করে কেনেন। পরে মাদার গাছ থেকে যে চারা উৎপাদন হয় তা নিজের চাহিদা মেটানো পর কৃষকদের কাছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
তিনি দেড় বিঘা জমিতে সাড়ে ৪০০ স্ট্রবেরি গাছ লাগিয়েছেন। দৈনিক ১৫ থেকে ২০ কেজি স্ট্রবেরি জমি থেকে তুলে থাকেন। প্রতি কেজি স্ট্রবেরি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি করেন। এ পর্যন্ত তিনি দেড় লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন।
স্ট্রবেরি গাছের দাম তোফায়েল বলেন, আমার স্ট্রবেরি চাষ দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগামী মৌসুমে স্ট্রবেরি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
স্ট্রবেরি গাছের দাম সরেজমিনে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ক্ষেতের পাশেই টানানো সাইনবোর্ড ‘রেডগ্রিন স্ট্রবেরি ভিলেজ’। শীতের ফসল এই স্ট্রবেরির বর্তমান মৌসুম প্রায় শেষ।
ক্ষেত পরিচর্যার পাশাপাশি অবশিষ্ট স্ট্রবেরি সংগ্রহের কাজ এখনও চলছে। তোফায়েল জানান, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্ট্রবেরি সংগ্রহের কাজ শেষ করে চারা তৈরির কাজে মনোযোগ দেবেন।
স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায়
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘বারি স্ট্রবেরি-১’ নামে স্ট্রবেরির একটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতটি বাংলাদেশের সবখানেই চাষ করা যায়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে ফুল আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা যায়।
প্রতি গাছে গড়ে ৩২টি ফল ধরে যার গড় ওজন ৪৫০ গ্রাম। হেক্টর প্রতি ফলন ১০-১২ টন। এই জাতের পাকা ফল আকর্ষণীয় টকটকে লাল বর্ণের। জাতটি যথেষ্ঠ পরিমানে সরু লতা ও চারা উৎপাদন করে বলে এর বংশ বিস্তার সহজ।
স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায় এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভাবিত জাত রাবি-১, রাবি-২, রাবি-৩ এবং মডার্ন হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর থেকে প্রচলিত জাত মডার্ন স্ট্রবেরি-১, মডার্ন স্ট্রবেরি-২, মডার্ন স্ট্রবেরি-৩, মডার্ন স্ট্রবেরি-৪, মডার্ন স্ট্রবেরি-৫; আমাদের দেশে চাষযোগ্য জাত।
স্ট্রবেরি মূলত মৃদু শীত প্রধান অঞ্চলের ফসল। ফুল ও ফল আসার সময় শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওয়া রবি মৌসুমে স্ট্রবেরি চাষের উপযোগী। উর্বর দোআঁশ থেকে বেলে-দোআঁশ যেসব জমিতে পানি জমে সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো যাবে না। স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায়
জমি ভালভাবে চাষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে অন্ততঃ ১ফুট গভীর করে জমি চাষ দিতে হবে। শেষ চাষের সময় পরিমানমতো সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। স্ট্রবেরির চারা আশ্বিন (মধ্যসেপ্টেম্বর থেকে মধ্যঅক্টোবর) মাসে রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা যায়।
চারা রোপণের জন্য জমিতে বেড তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিটি বেড প্রায় ৩ ফুট প্রশস্ত করে তৈরি করতে হবে। দুই বেডের মধ্যে ১-১.৫ ফুট চওড়া নালা রাখতে হবে। প্রতিটি বেডে দুই লাইনের মধ্যে ১.৫-২ ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি লাইনে ১-১.৫ ফুট দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে। এই হিসেবে প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি চারা রোপণ করা যায়।
ভাল ফলনের জন্য জমিতে পরিমানমতো সার দিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে ফলন ভালো হয়। সাধারণ হিসেবে প্রতি শতক জমিতে শুকনা পঁচা গোবর সার ১০০-১২০ কেজি, ইউরিয়া সার ১ কেজি, টিএসপি সার ৮০০ গ্রাম, এমওপি সার ৯০০ গ্রাম, জিপসাম সার ৬০০ গ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায় শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম ও অর্ধেক পরিমাণ এমওপি সার জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া ও অবশিষ্ট এমওপি সার চারা রোপণের ১৫ দিন পর থেকে ১৫-২০ দিন পর পর ৪-৫টি কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।