স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা জানুন

স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা জানুন স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় বিদেশি ফল হলেও এখন আমাদের দেশে বেশ সহজলভ্য হয়ে উঠছে স্ট্রবেরি। রঙিন ও আকর্ষণীয় দেখতে এই ফল খেতেও দারুণ সুস্বাদু। তবে এখানেই শেষ নয়, স্ট্রবেরি খাওয়ার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতাও। 

টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে একসঙ্গে অনেকগুলো উপকার পাবেন। তাই স্ট্রবেরির মৌসুমে এটি পাতে রাখতে ভুলবেন না। স্ট্রবেরি গাছের দাম 

স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয়

স্ট্রবেরি ফলটি দেখতে যতটাই সুন্দর, খেতেও ঠিক ততটাই সুস্বাদু। এর উপকারিতা কিন্তু আরেক ধাপ এগিয়ে। এই সময়ে বাজারে পাওয়া স্ট্রবেরি।

স্ট্রবেরি কেন খাবেন স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা জানুন

প্রচুর পানি থাকে স্ট্রবেরিতে, কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুব কম। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন, তারা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

স্ট্রবেরিতে প্রচুর ভিটামিন এ, সি ফোলেট, ফসফরাস আর ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। সারা দিনে গোটা তিন-চার স্ট্রবেরি খেতে পারলেই আপনার ভিটামিন সি লক্ষ্যমাত্রার দিকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবেন।

স্ট্রবেরির আরেকটি উপকারিতা হলো এটি খেলে ভালো থাকবে আপনার দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য। তাই দাঁত ও হাড় নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চাইলে পাতে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি।

সকালের নাস্তাটা একটু ভারি খেতে অনেকে পছন্দ করেন। এমন কিছু যা অনেক সময় পেটে থাকে। আর এ তালিকায় রয়েছে ওটস, দই, ফলের সালাদ, মাফিনসহ আরও অনেক কিছু। এ সব কিছুর সাথেই স্ট্রবেরি দিয়ে খাওয়া যায়। এতে স্বাদ পূর্বের থেকে আরও বেড়ে যায়।

পরিবারের জন্য হোক কিংবা নিজের জন্য হোক, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকালে নাস্তা তৈরি করা অনেক কষ্টের। মাঝে মাঝে বোঝা মনে হয়। রসালো এই ফলটি সকালের তীব্র ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বেশ চমৎকার ভাবে। স্ট্রবেরিকে একটা ধন্যবাদ তো দেওয়া উচিত।

আরো পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে যা খাবেন হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তায় রয়েছেন, তারা প্রত্যেকদিন স্ট্রবেরি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায় সহজে। মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে এমন কিছু সকালে খাওয়ার থেকে ফ্যাট ছাড়া কোনো কিছু খেয়ে তবেই দিন শুরু করা উচিত। 

ফ্যাট ছাড়া খাবার স্বাস্থ্যকর। স্ট্রবেরিতে ফ্যাটের পাশাপাশি কোনো কোলেস্টেরল নেই। ৪৫ গ্রাম ক্যালোরি রয়েছে ৮টা স্ট্রবেরিতে। একটি কমলার থেকে বেশি ভিটামিন-সি দিয়ে থাকে স্ট্রবেরি।

খুব কমই হয়তো ফল আছে যা দিয়ে যে কোনো কিছু তৈরি করা যায়। এর গন্ধ এবং স্বাদ খাবারকে তৈরি করে অনেক বেশি মজাদার। ফল হিসেবে খেলে এর স্বাদের জুরি নেই তেমনি রান্নায় এর তেমন কোনো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। 

ঘরে স্ট্রবেরি থাকলেই বানিয়ে নিতে পারবেন নানা ধরনের খাবার। চাইলেই বানাতে পারেন স্ট্রবেরি মাফিন্স, খেতে পারেন ওটসের সাথে মিশিয়ে, ব্লেন্ড করে স্মুদি, আবার ইচ্ছে করলে তৈরি করতে পারেন জ্যাম বা জেলি।

স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

স্ট্রবেরি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখেএবং চুল পড়ার রোধ করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়ে এবং চুল ভেঙে যায়। এই সব সমস্যা দূর করার জন্য স্ট্রবেরি খাওয়া উপকারী। 

কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি, যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। চুল সুস্থ রাখতে নারকেল তেল এবং কিছু পরিমাণে মধুর সঙ্গে স্ট্রবেরি পেস্ট ভালো ভাবে মিশিয়ে নেওয়া পর, হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়ার কমে যাবে তার সঙ্গে চুলের সাইন ফিরে আসবে।

স্ট্রবেরি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরি মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, যা আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসাবে কাজ করে। অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে স্ট্রবেরির মধ্যে। 

এই উপাদানটির জন্য এই স্ট্রবেরির রং লাল হয় এবং চকচকে হয়। এই উপাদানটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: ডেঙ্গু হওয়ার পর যে খাবারগুলো খেতে হবে ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা

স্ট্রবেরির মধ্যে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তাই একে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য স্ট্রবেরী খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়।

স্ট্রবেরি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকা পলিফেনল এবং পুষ্টিগুণ হাঁটুর ফোলা ভাব, ব্যথা সবই কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ির প্রদাহ কমাতে স্ট্রবেরি সাহায্য করে।

স্ট্রবেরির মধ্যে পেকটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার।এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি।

স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চোখের ছানি এবং চোখের অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 

স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড যৌগটি পরিমাণ বৃদ্ধি চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি।

স্ট্রবেরি পুরুষদের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরির মধ্যে অ্যাফ্রোডিসিয়াক নামক একটি উপাদান পাওয়া যায় যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে পুরুষত্বহীনতায় উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে।

গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা

ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস: স্ট্রবেরি ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস, যা গর্ভবতী মায়ের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং ভ্রূণের বিকাশে সহায়তা করে।

ফোলেটের উৎস: স্ট্রবেরিতে ফোলেট থাকে, যা ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের সঠিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। গর্ভাবস্থায় ফোলেটের অভাব নিউরাল টিউব ডিফেক্টের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আরো পড়ুন: ক্যালসিয়াম কতটুকু দরকার ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা

ফাইবারে সমৃদ্ধ: স্ট্রবেরিতে ফাইবার থাকে, যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হলো কোষ্ঠকাঠিন্য, তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: স্ট্রবেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে এবং ভ্রূণের কোষের সুরক্ষা দিতে পারে।

কম ক্যালোরিযুক্ত এবং হাইড্রেটিং: স্ট্রবেরি কম ক্যালোরিযুক্ত এবং প্রচুর পরিমাণে পানি ধারণ করে, যা গর্ভাবস্থায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয়

কাঁচা খাওয়া: স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে সরাসরি খাওয়া যায়। এটি সবচেয়ে সহজ এবং স্বাস্থ্যকর উপায়। ফলের সালাদে: স্ট্রবেরি অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে ফলের সালাদ তৈরি করা যায়, যা হালকা এবং পুষ্টিকর স্ন্যাকস হিসেবে কাজ করে। স্মুদি: স্ট্রবেরি, দুধ, দই বা পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করা যায়। এতে আপনি চিয়া সিড বা ওটসও যোগ করতে পারেন।

দইয়ের সাথে মিশিয়ে: দইয়ের সাথে কাটা স্ট্রবেরি মিশিয়ে খেলে এটি মজাদার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকস হয়। স্ট্রবেরি ডেজার্ট: কেক, পুডিং বা কাস্টার্ডের সাথে স্ট্রবেরি ব্যবহার করা যায় মিষ্টির স্বাদ বাড়ানোর জন্য।

ওটমিল বা সিরিয়ালের সাথে: সকালের নাশতায় ওটমিল বা সিরিয়ালের উপরে স্ট্রবেরি কেটে দিয়ে খেতে পারেন, যা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। স্ট্রবেরি জ্যাম: স্ট্রবেরি দিয়ে জ্যাম তৈরি করে রুটি বা টোস্টের সাথে খাওয়া যায়।

স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ

হার্টের ফাংশন ভালো রাখে: স্ট্রবেরিতে রয়েছে উচ্চ মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা (খারাপ) কোলেস্টেরল দ্বারা আক্রান্ত কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও রক্তের বাহ্যিক ত্বককে ত্বরান্বিত করে, উন্নত রক্ত প্রবাহ সৃষ্টি করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধ করে। স্ট্রবেরিতে রয়েছে উচ্চ ফাইবার কনটেন্ট ও ভিটামিন সি যা একটি আদর্শ কার্ডিয়াক স্বাস্থ্য প্যাক হিসেবে কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ফ্লেট, অ্যানথোসায়ানিন্স, কুইরেটটিন, এবং কেমফেরোল যা চমৎকার এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এই উপাদানগুলো ক্যান্সার এবং টিউমারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। দৈনিক স্ট্রবেরি গ্রহণ ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি হ্রাস করে যা গবেষণা দ্বারাও প্রমাণিত।

আরো পড়ুন: ভিটামিন সি কোন খাবারে আছে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে: স্ট্রবেরিতে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পরিমাণে এবং কম মাত্রার সোডিয়াম। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ভাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ সহজ করে। এবং প্রত্যেকটি ফাংশনের কাজ সক্রিয় করতে সাহায্য করে।

চোখের যত্ন:স্ট্রবেরি শুষ্ক চোখের অবস্থার প্রতিরোধ করতে পারে, অপটিক স্নায়ুর অধঃপতন, দৃষ্টি ত্রুটি, এবং সংক্রমণ জাতীয় সমস্যা প্রতিরোধ করে। স্ট্রবেরির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ফ্ল্যাভোনোয়েডস, ফেনোলিক ফাইটোকেমিক্যালস এবং এল্যাজিক এসিডের মতো উপাদান গুলো প্রায় সব ধরনের চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্ট্রবেরিতে রয়েছে পটাসিয়াম যা চোখের সঠিক চাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস কমায়: স্টাডিজে দেখা গেছে যে স্ট্রবেরিতে, কম গ্লাইএসএমিক ইনডেক্স আছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। এছাড়াও স্ট্রবেরি খেলে ডায়াবেটিক্স এর গ্লাইএসেমিক নিয়ন্ত্রণ করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: স্ট্রবেরি অ্যাডিপোনেটটিন এবং লেপ্টিনের উৎপাদনে সহায়তা করে, যা উভয়ই চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে। এসব উপাদান ক্ষুধা হ্রাস, গ্লুকোজ হ্রাস, এবং শরীরের ওজন এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

জন্ম ত্রুটি প্রতিরোধ করে: স্ট্রবেরি মধ্যে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় জন্ম ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় সুস্থ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এটিও গুরুত্বপূর্ণ।

স্ট্রবেরি খাওয়ার অপকারিতা

স্ট্রবেরি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখেএবং চুল পড়ার রোধ করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়ে এবং চুল ভেঙে যায়। এই সব সমস্যা দূর করার জন্য স্ট্রবেরি খাওয়া উপকারী। 

কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে ভিটামিন সি, যা চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। চুল সুস্থ রাখতে নারকেল তেল এবং কিছু পরিমাণে মধুর সঙ্গে স্ট্রবেরি পেস্ট ভালো ভাবে মিশিয়ে নেওয়া পর, হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এতে চুল পড়ার কমে যাবে তার সঙ্গে চুলের সাইন ফিরে আসবে।

স্ট্রবেরি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। স্ট্রবেরি মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল, যা আ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসাবে কাজ করে। অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে স্ট্রবেরির মধ্যে। 

আরো পড়ুন: কিডনি পরিষ্কার রাখে যেসব খাবার কিডনি পরিষ্কার করে এই ৯ খাবার

এই উপাদানটির জন্য এই স্ট্রবেরির রং লাল হয় এবং চকচকে হয়। এই উপাদানটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করতে সাহায্য করে।

স্ট্রবেরির মধ্যে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তাই একে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য স্ট্রবেরী খুব উপকারী বলে বিবেচিত হয়।

স্ট্রবেরি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকা পলিফেনল এবং পুষ্টিগুণ হাঁটুর ফোলা ভাব, ব্যথা সবই কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর অভাবে মাড়ির প্রদাহ কমাতে স্ট্রবেরি সাহায্য করে।

স্ট্রবেরির মধ্যে পেকটিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা এক প্রকার দ্রবনীয় ফাইবার।এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি।

স্ট্রবেরি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চোখের ছানি এবং চোখের অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 

স্ট্রবেরির মধ্যে উপস্থিত ফ্লাভোনয়েড যৌগটি পরিমাণ বৃদ্ধি চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি।

স্ট্রবেরি ফলের দাম বাংলাদেশ

বাজারে চাহিদা থাকলেও আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় স্ট্রবেরির আবাদ থেকে সরে যাচ্ছে এ জেলার চাষিরা। গত বছরের তুলনায় ১৮ হেক্টর কম জমিতে উচ্চ-ফলনশীল এ ফল চাষ হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত বছর ১০০ হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়। এবার ৮২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এরমধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় ৮০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১ হেক্টর এবং গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় ১ হেক্টর রয়েছে। 

স্ট্রবেরি চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি স্ট্রবেরির চাষ হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়। সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই ফলের চারা রোপণ করতে হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হয়। 

চাষিরা জানান, ফলটি পরিপক্ব হওয়ার পর পাইকাররা ক্ষেতে আসেন। এখান থেকে স্ট্রবেরি কেনেন। ফলটি দ্রুত পচনশীল হওয়ায় পরিপক্বের পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে চাষিকে বিক্রি করতে হয়। এবার মৌসুমের শুরুর দিকে প্রতিকেজি স্ট্রবেরি বিক্রি হয় ১৮০০-২২০০ টাকা। 

এখন আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা। জেলা শহরে বিক্রি হওয়ার পাশাপাশি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। সেসব জায়গায় বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। 

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আকারভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে স্ট্রবেরি বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকাদের স্ট্রবেরি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মাঝারি ৭০০ টাকা, বড় ৮০০ টাকা। তবে বাজারে নিম্নমানের ছোট আকারের স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। কয়েক দিন আগে তোলা এই স্ট্রবেরির দাম ৪০০ টাকা। 

এই স্ট্রবেরি চাষি বলেন, এবার মৌসুমের প্রথমে স্ট্রবেরির আশানুরূপ দাম পাওয়া গেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম কমে গেছে। এখন কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় তিনি আশাহত। তিনি বলেন, ‘ভরা মৌসুমে দাম কিছুটা কমে। কিন্তু এখন ক্ষেত থেকে পানির দরে কিনছেন পাইকার ব্যবসায়ীরা।’ 

ওই এলাকার এক কৃষকের ছেলে সিয়াম উদ্দিন। তিনি অনলাইনে ফলটি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। সিয়াম বলেন, ‘এখন অনলাইনের মাধ্যমে স্ট্রবেরি বিক্রি করা সহজ। ভোক্তার অর্ডার কনফার্ম হওয়ার পর মাঠ থেকে ফল তুলে কুরিয়ারে বুকিং দিলেই হয়ে যায়। এতে আমরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভোক্তাও অনেক কম দামে কিনতে পারছেন।’ 

চাষি আনিসুর রহমান বলেন, ‘স্ট্রবেরি চাষ ঝুঁকিপূর্ণ। যথাযথ যত্ম নিতে না পারলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ কারণে অনেকে শাকসবজি চাষে ঝুঁকছেন।’ 

একজন পাইকার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ক্ষেত থেকে স্ট্রবেরি কেনা হয় বাজারে বিক্রির দামের তুলনায় একটু কমেই। এই ফল মাত্র কয়েক দিন রাখা যায়। সময় মতো বাজার ধরাতে না পারলে অনেক স্ট্রবেরি পচে যায়। তাই কম দামে কেনা হয় এই ফল।’ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, স্ট্রবেরি সময় মতো বাজারজাত করা না গেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ফলের আবাদ ঝুঁকির্পূর্ণ। যে সকল কৃষক স্ট্রবেরি আবাদ করছেন, তাদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

স্ট্রবেরির চারা এখনও তেমন সহজে পাওয়া যায় না। কোনো কোনো নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া স্ট্রবেরি গাছের গোড়া থেকে বেশকিছু লম্বা লম্বা লতা মাটির উপর দিয়ে লতিয়ে যায়। মাটির সংস্পর্শে লতার গিট থেকে শেকড় গজায়। 

শেকড়যুক্ত গিট কেটে নিয়ে মাটিতে পুঁতে দিলে নতুন চারা তৈরি হয়। অর্ধেক মাটি অর্ধেক গোবর সার মিশিয়ে পলিব্যাগে ভরে একটি করে শেকড়যুক্ত গিটসহ লতা পুঁতে দিতে হয়। এক্ষেত্রে একটি গাছ থেকে ১৮-২০টি চারা তৈরি করা সম্ভব।

জমি ভালোভাবে চাষ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে অন্তত ৩০ সেন্টিমিটার গভীর করে জমি চাষ দিতে হয়। যেহেতু স্ট্রবেরি গাছের শেকড় মাটির উপর দিকে থাকে; সেজন্য মাটি ঝুরঝুরা করে নির্ধারিত মাত্রায় সার মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

স্ট্রবেরির চারা মধ্যঅক্টোবর থেকে মধ্যডিসেম্বর পর্যন্ত রোপণ করা যায়। তবে নভেম্বর মাস স্ট্রবেরি চারা রোপণের জন্য সবচেয়ে ভালো। জমি তৈরির পর লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব হবে ৫০ সেন্টিমিটার ও প্রতি সারিতে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্ট্রবেরির চারা লাগাতে হয়।

বৃষ্টি হলে ক্ষেত থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে দিতে হবে। না হলে গাছ পঁচে যাবে। তবে ফল ধরা শুরু হলে ২-৩ দিন পর পরই সেচ দিতে হবে।

প্রতি একরে ৫০-৬০ কেজি ইউরিয়া, ৭০ কেজি টিএসপি এবং ৮০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। এসব সার একভাগ দিতে হয় ফুল আসার একমাস আগে এবং অন্য ভাগ দিতে হয় ফুল ফোটার সময়।

স্ট্রবেরি গাছের দাম

২০২৪ সালে স্ট্রবেরি গাছের গড় দাম স্থানভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত একটি স্ট্রবেরি গাছের দাম ৫০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে দাম নির্ভর করে গাছের বয়স, জাত এবং সরবরাহকারীর উপর। 

উন্নত জাতের এবং বয়স্ক স্ট্রবেরি গাছের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া শহুরে এলাকায় গাছের দাম গ্রামাঞ্চলের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে। স্ট্রবেরি গাছের দাম নির্ধারণে মাটি, জলবায়ু এবং পরিবহন খরচও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্ট্রবেরি গাছের বীজের দাম ২০২৪ সালে সাধারণত ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকতে পারে। বিভিন্ন জাতের স্ট্রবেরি বীজের দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। উন্নত জাতের বীজের দাম বেশি হয় কারণ এগুলো অধিক ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধী হয়। 

বীজ কেনার জন্য স্থানীয় নার্সারি, অনলাইন স্টোর এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্র অন্যতম উৎস হতে পারে। স্ট্রবেরি বীজ কেনার সময় বীজের মান এবং উৎপত্তি পরীক্ষা করা জরুরি। বীজের মানের উপর ফলনের গুণমান নির্ভর করে। তাই ভালো মানের বীজ কেনা সবসময়ই বেশি লাভজনক।

স্ট্রবেরি চারার দাম বয়স এবং জাত অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত একটি স্ট্রবেরি চারার দাম ২০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে হয়। বয়স অনুযায়ী, ছোট চারার দাম কম এবং বয়স্ক চারার দাম বেশি হয়। এছাড়া সরবরাহকারীর উপরেও দাম নির্ভর করে। 

উন্নত এবং বিশ্বস্ত সরবরাহকারীর চারার দাম কিছুটা বেশি হতে পারে তবে এগুলো সাধারণত ভাল মানের হয়। স্ট্রবেরি চারা কেনার সময় সেগুলোর স্বাস্থ্য এবং রোগমুক্ত অবস্থা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। চারার স্বাস্থ্যকর এবং রোগমুক্ত অবস্থায় থাকলে ফলনও ভালো হবে।

স্ট্রবেরি চারা পাওয়ার জন্য স্থানীয় নার্সারি, অনলাইন স্টোর এবং কৃষি গবেষণা কেন্দ্রগুলো অন্যতম প্রধান উৎস। স্থানীয় নার্সারি থেকে সরাসরি গিয়ে চারা কেনা সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুবিধাজনক। এছাড়া অনলাইন স্টোর থেকে চারা কেনা সম্ভব হলেও সেখানে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। 

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রগুলো সাধারণত উন্নত মানের এবং রোগমুক্ত চারা সরবরাহ করে থাকে। স্থানীয় নার্সারি এবং গবেষণা কেন্দ্র থেকে চারা কেনার সময় চারা গুলোর স্বাস্থ্য এবং মান পরীক্ষা করা উচিত। অনলাইন স্টোর থেকে চারা কেনার সময় রিভিউ এবং রেটিং দেখে নিশ্চিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রথমে জমি প্রস্তুতি করতে হয়। উর্বর মাটি এবং সঠিক সেচ ব্যবস্থার জন্য জমি প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রবেরি চাষের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রয়োজন হয়। 

বাংলাদেশে শীতকালীন সময় স্ট্রবেরি চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। সঠিক সেচ ব্যবস্থা এবং সার ব্যবস্থাপনা স্ট্রবেরি গাছের ভাল ফলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করতে সঠিক কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয়।

স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রথমেই জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করা দরকার। মাটি চাষের আগে কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে জমি উর্বর করতে হবে। স্ট্রবেরি গাছের জন্য ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকা জরুরি। কারণ জমিতে জলাবদ্ধতা হলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। 

স্ট্রবেরি গাছের জন্য হালকা বেলে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এছাড়া মাটির পিএইচ মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকা উচিত। স্ট্রবেরি গাছ লাগানোর আগে মাটি ভালোভাবে আগাছামুক্ত করা প্রয়োজন।

স্ট্রবেরি চাষের অর্থনৈতিক সুবিধা ব্যাপক। এটি চাষীরা তুলনামূলকভাবে কম খরচে অধিক লাভ পেতে পারে। একটি ভালো ফলন হলে চাষীরা প্রতি একর জমি থেকে বেশ ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারে। স্ট্রবেরি একটি উচ্চমূল্য ফল হওয়ায় এর বাজার মূল্যও ভালো থাকে। এছাড়া, স্ট্রবেরি ফল প্রক্রিয়াজাত করেও ভাল দামে বিক্রি করা যায়, যেমন জ্যাম, জেলি, এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য।

স্বাস্থ্যগতভাবে স্ট্রবেরি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভালো উৎস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। স্ট্রবেরি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়া স্ট্রবেরি ত্বকের জন্যও উপকারী এবং এটি বয়সজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

পরিবেশগতভাবে স্ট্রবেরি চাষ মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। স্ট্রবেরি চাষের জন্য কম পানি প্রয়োজন হয় এবং এটি মাটির ক্ষয় রোধ করতে সহায়ক। এছাড়া, স্ট্রবেরি গাছ মাটিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখতে সাহায্য করে যা পরবর্তী ফসলের জন্য উপকারী।

স্ট্রবেরি চাষের অর্থনৈতিক সুবিধা ব্যাপক। এটি চাষীরা তুলনামূলকভাবে কম খরচে অধিক লাভ পেতে পারে। একটি ভালো ফলন হলে চাষীরা প্রতি একর জমি থেকে বেশ ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারে। স্ট্রবেরি একটি উচ্চমূল্য ফল হওয়ায় এর বাজার মূল্যও ভালো থাকে। এছাড়া, স্ট্রবেরি ফল প্রক্রিয়াজাত করেও ভাল দামে বিক্রি করা যায়, যেমন জ্যাম, জেলি, এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পণ্য।

স্বাস্থ্যগতভাবে স্ট্রবেরি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভালো উৎস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। স্ট্রবেরি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়া স্ট্রবেরি ত্বকের জন্যও উপকারী এবং এটি বয়সজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

পরিবেশগতভাবে স্ট্রবেরি চাষ মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। স্ট্রবেরি চাষের জন্য কম পানি প্রয়োজন হয় এবং এটি মাটির ক্ষয় রোধ করতে সহায়ক। এছাড়া, স্ট্রবেরি গাছ মাটিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখতে সাহায্য করে যা পরবর্তী ফসলের জন্য উপকারী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন