পুরাতন আমাশয় রোগের ঔষধ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। আর এ ধারণা না থাকার কারণে আমরা অনেক সময় আমাশয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বিভিন্ন ভোগান্তিতে পরি। আমাশয় রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ত্বরান্বিত হয়। যার কারণবশত রোগী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার জীবন যাত্রার মান ক্ষুন্ন হয়।
ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি একটি বিপজ্জনক হজমজনিত রোগ। আমাশয় একটি গুরুতর রোগ যার জন্য একজন ব্যক্তিকে খাওয়া, পান করা, হাঁটাচলা এবং ঘুম থেকে বিরত থাকতে হয়।
পুরাতন আমাশয় রোগের ঔষধ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
সমীক্ষা অনুসারে, এই রোগটি বাংলাদেশের 15% মানুষকে প্রভাবিত করে এবং সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।তাছাড়া আমাশয় হলো পরিপাকতন্ত্র এন্টা নিবা হিস্টোরিয়া এবং শিগেলা নামক আরেকটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। এই রোগ পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে ছড়ায়।
এনটা নিবা হিস্টোরিকা এবং আর একটি জীবাণু জীবাণুর নাম হচ্ছে শিগিলা জীবাণু গুলো পরিপাকতন্ত্রে সংক্রমণ করে। পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ করে তার কারণে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। এছাড়া এছাড়া মশা মাছি দূষিত পানি এবং নদী নালার পানি খাওয়া, শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে না খেলে জীবাণুগুলো খাদ্যের মাধ্যমে হাতের মাধ্যমে খাওয়া মাধ্যমে এটি স্টমাকে চলে যায় যার কারণে এ রোগ হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেসব খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি
অপরিষ্কার চলাফেরা করা। ময়লা পানি ও খাবার গ্রহন। অনিদ্রা ও অধিক দুশ্চিন্তা মেট্রোনিডাজল (Metronidazole): এটি আমিবিক ডিসেন্ট্রির জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ২. অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন): ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
প্রোবায়োটিক: অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। ৪. ওআরএস (ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট): ডায়রিয়া বা পায়খানা পাতলা হলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
পানি: প্রচুর পানি পান করা উচিত, যেন শরীরের ডিহাইড্রেশন না হয়। ২. ফলের রস: যেমন ডাবের পানি, আপেলের রস ইত্যাদি।
সাদাভাত ও মুগ ডাল: সহজপাচ্য খাবার হিসেবে। 4. ইসবগুলের ভুষি: পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। ৫. খিচুড়ি: হালকা মশলাযুক্ত এবং সহজপাচ্য। ৬. দই: প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। ৭. গাজরের স্যুপ: হালকা এবং পুষ্টিকর।
মসলাযুক্ত খাবার: যেমন ভাজাপোড়া এবং ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার। ২. দুধ: অনেক ক্ষেত্রে দুধে ল্যাকটোজ থাকায় পেট খারাপ হতে পারে। ৩. ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার: যেমন কাঁচা সবজি বা ফল, যা পাকস্থলীর ওপর চাপ ফেলতে পারে।
কফি এবং অ্যালকোহল: পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন করতে পারে। ৫. ফাস্ট ফুড এবং প্রসেসড ফুড: হজমে সমস্যা করতে পারে এবং অসুস্থতা বাড়াতে পারে।
পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole): আমিবিক ডিসেন্ট্রির চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি অন্ত্রের আমিবা সংক্রমণ দূর করতে সহায়তা করে।
অর্নিডাজল (Ornidazole): এটি মেট্রোনিডাজলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং আমিবিক ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় কার্যকর।
টিনিডাজল (Tinidazole): এটি একটি অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল ঔষধ যা আমিবিক ইনফেকশন এবং অন্যান্য প্রোটোজোয়াল ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুন: হার্ট ভালো রাখতে যা খাবেন হার্টের রোগীর খাবার তালিকা
নিট্রোফুরানটোইন (Nitrofurantoin): কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) যুক্ত হলে ব্যবহৃত হতে পারে।
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin): ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক।
নলিডিক্সিক অ্যাসিড (Nalidixic Acid): ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রি রোগীদের জন্য একটি বিকল্প অ্যান্টিবায়োটিক।
প্যারাসিটামল (Paracetamol): জ্বর বা ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
অ্যান্টিস্পাসমোডিক ঔষধ (যেমন ডাইসাইক্লোমিন বা হায়োসিন বুটাইলব্রোমাইড): পেট ব্যথা বা পেশির খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে।
আমাশয় রোগের এন্টিবায়োটিক
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin): শিগেলা বা সালমোনেলার কারণে সৃষ্ট ডিসেন্ট্রি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin): এটি ক্যাম্পিলোব্যাক্টার বা সালমোনেলার কারণে সৃষ্ট ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স থাকলে এটি একটি ভালো বিকল্প।
নলিডিক্সিক অ্যাসিড (Nalidixic Acid): শিগেলার সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি প্রথম-প্রজন্মের কুইনোলোন অ্যান্টিবায়োটিক।
আরো পড়ুন: হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে? যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে
অফ্লোক্সাসিন (Ofloxacin): এটি শিগেলা এবং অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
লেভোফ্লোক্সাসিন (Levofloxacin): এটি সিপ্রোফ্লোক্সাসিনের মতোই কার্যকরী এবং ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
টেট্রাসাইক্লিন (Tetracycline): কিছু নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যখন অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়।
ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline): এটি টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের একটি অ্যান্টিবায়োটিক, যা ক্যাম্পিলোব্যাক্টার এবং অন্যান্য কিছু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর।
পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
শুক্রাণু বৃদ্ধি ঘটায় : যাদের শুক্রাণু পাতলা তারা বেত গাছের মূল চূর্ণ করে ঘিয়ে ভেজে নিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেতে পারলে শুক্রাণু বৃদ্ধি অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
দাঁতের গোড়া শক্ত করতে: প্রথমে বেত গাছের মূল সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর এই সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।
যাবতীয় রোগ নিরাময়ে: বেত গাছের মূলের ক্বাথ সেবন করলে মূত্র সংক্রান্ত যাবতীয় রোগ নিরাময় হয়।
পেটের সমস্যা অনেক কারণে হতে পারে। পেটের সমস্যা হলে আমরা মূলত বলে থাকি হজমে সমস্যা। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় আইবিএস। এটি অন্ত্র ও পরিপাক্বতন্ত্রের সমস্যা।
আইবিএসের সমস্যা হলে পেটে ব্যথা হয়, পেট ফেঁপে থাকে, অ্যাসিডিটি হয়, পায়খানার অভ্যাসে পরিবর্তন দেখা দেয় (কখনও পাতলা কখনও শক্ত), মাথাব্যথা হয়। তবে এই সমস্যা অনেক কোনো রোগের ক্ষেত্রে হতে পারে।
প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী, আমাশয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যপ্রধান আইবিসের সমস্যা হলে লোপেরামাইড, অ্যামিট্রিপটাইলিন, অ্যান্টিবায়োটিক রিফ্যাক্সামিনের মতো ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে জীবনযাপন ও খাদভ্যাসে পরিবর্তন এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কী খাচ্ছেন আর কী খেতে হবে, তা মাথায় রাখতে হবে। যেসব খাবার খেলে আইবিএসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেসব খাবার খাবেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদ খেলে আইবিসের সমস্যা ৬০ শতাংশ কমে যায়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে ৩০০-৪০০ মিলিগ্রাম হলুদ খেতে পারেন।
তবে আমাশয় চার অথবা ছয় সপ্তাহের বেশি সময় থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ইসবগুলের ভুষি (Psyllium Husk): ইসবগুলের ভুষি পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি অন্ত্রের ভিতরের দেয়ালে প্রাকৃতিক আস্তরণ তৈরি করে, যা অন্ত্রের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে ১-২ চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে পান করতে পারেন।
আরো পড়ুন: শর্করা জাতীয় খাবার কি কি কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত?
দই বা প্রোবায়োটিক (Yogurt or Probiotics): দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং হজম শক্তি বাড়ায়। দৈনিক এক বাটি দই খেতে পারেন, যা পেটের সমস্যা কমাতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়তা করে।
পানির সঠিক পরিমাণ গ্রহণ: পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীরের ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
মধু ও দারচিনির মিশ্রণ (Honey and Cinnamon): মধু ও দারচিনির মিশ্রণ অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং প্রদাহ কমায়। ১ চা চামচ মধু এবং ১/২ চা চামচ দারচিনি গুঁড়া হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
আদার রস (Ginger Juice): আদা অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ আদার রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে পারেন।
মেথির বীজ (Fenugreek Seeds): মেথি অন্ত্রের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজম শক্তি উন্নত করে। ১ চা চামচ মেথি বীজ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করতে পারেন।
গাজরের রস (Carrot Juice): গাজরের রস হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমায়। প্রতিদিন ১-২ গ্লাস তাজা গাজরের রস পান করতে পারেন।
পুদিনা পাতার রস (Mint Juice): পুদিনা পাতা অন্ত্রের সমস্যা কমাতে এবং হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ পুদিনা পাতার রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার খেতে পারেন।
পুরাতন আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
খাবার স্যালাইন আমরা জেনেছি আমাশয় দুই ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু দুই ধরনের আমাশয় রোগীর ক্ষেত্রেই প্রচুর পরিমাণে শরীর থেকে তরল পদার্থ নিঃসরণ হয়। যার কারণে রোগী অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি পানি শূন্যতাও হতে পারে। তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের জন্য অবশ্যই খাবার স্যালাইন এর গুরুত্ব অপরিসীম।
যখনই আপনি আমাশয় রোগের লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন যে আমাশয় হয়েছে ঠিক তখন প্রথম যে কাজ সেটি হল খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করা। ডিহাইড্রেশন হওয়ার পূর্বেই আমাদের তরল ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। ডাক্তারের মতে, প্রতিবার মলত্যাগের পরে এক গ্লাস খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
চিনির শরবত যেহেতু আমরা পূর্বেই জেনেছি যে শরীরে তরল পদার্থ নিঃসরণ হওয়ার প্রেক্ষিতে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এ সময় রোগীর চিনির শরবত খাওয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখা উচিত রোগীর ডায়াবেটিস আছে কিনা। যদি রোগীর ডায়াবেটিস না থাকে তাহলে এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো চিনি এবং সাথে এক চিমটি লবণ নিয়ে খেতে পারে। এটি খেলে স্যালাইনের মতোই কাজ করবে।
আরো পড়ুন: কোন শাকসবজিতে প্রোটিন আছে প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা
ডাবের পানি আমরা সকলেই জানি যে যে কোন রোগের ক্ষেত্রে ডাবের পানির গুরুত্ব অপরিসীম। ডাক্তাররা সবসময় রোগীকে ডাবের পানি খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর কারণ হচ্ছে আমাশয় হওয়ার পর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে শ্লেষ্মা ঝিল্লি অর্থাৎ আম বের হয়ে যায়।
যার কারনে শরীরে পানি স্বল্পতা ও ইলেক্ট্রোলাইট এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আর এই ইলেক্ট্রোলাইট এর ঘাটতি পূরণের জন্য ডাবের পানির কার্যকারিতা অপরিসীম। তাই আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা তে অবশ্যই ডাবের পানি রাখতে হবে।
রক্ত আমাশয় রোগের ঔষধের নাম
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole): এন্টামিবা হিস্টোলিটিকা সংক্রমণজনিত রক্ত আমাশয় (আমিবিক ডিসেন্ট্রি) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত ৫০০-৭৫০ মি.গ্রা. দিনে তিনবার, ৭-১০ দিন।
অর্নিডাজল (Ornidazole): আমিবিক ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ: ৫০০ মি.গ্রা. দিনে দুইবার, ৫-১০ দিন পর্যন্ত।
টিনিডাজল (Tinidazole): আমিবিক সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল ঔষধ। ডোজ: ২ গ্রাম একবার দিনে ৩ দিন পর্যন্ত।
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin): ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (যেমন, শিগেলা বা সালমোনেলা) দ্বারা সৃষ্ট রক্ত আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মি.গ্রা. দিনে দুইবার, ৫-৭ দিন।
অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin): ক্যাম্পিলোব্যাক্টার বা সালমোনেলা সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ: ৫০০ মি.গ্রা. দিনে একবার, ৩-৫ দিন পর্যন্ত।
লেভোফ্লোক্সাসিন (Levofloxacin): ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মি.গ্রা. দিনে একবার, ৫ দিন পর্যন্ত।
পারোমোমাইসিন (Paromomycin): অন্ত্রের অ্যামিবিয়াসিসের জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যখন মেট্রোনিডাজল বা টিনিডাজল কাজ করে না বা তাদের সাথেও ব্যবহার করা হয়।
প্রোবায়োটিক (Probiotics): অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডোজ: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
আমাশয় রোগের ঔষধ কোনটি
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (Ciprofloxacin): ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, বিশেষত শিগেলা বা সালমোনেলার সংক্রমণ ক্ষেত্রে। ডোজ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মি.গ্রা. দিনে দুইবার, ৫-৭ দিন।
অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin): এটি ক্যাম্পিলোব্যাক্টার এবং অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডোজ: ৫০০ মি.গ্রা. দিনে একবার, ৩-৫ দিন পর্যন্ত।
লেভোফ্লোক্সাসিন (Levofloxacin): এটি ব্যাকটেরিয়াল ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এবং বিশেষত শিগেলা সংক্রমণের জন্য কার্যকর। ডোজ: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মি.গ্রা. দিনে একবার, ৫ দিন পর্যন্ত।
৩. সহায়ক ঔষধ: ওআরএস (ORS - Oral Rehydration Solution): ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ এবং শরীরের তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে। প্রোবায়োটিক (Probiotics): অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ
পায়খানায় রক্ত এবং মিউকাস: মলত্যাগের সময় রক্ত এবং মিউকাস (আঠালো পদার্থ) দেখা যায়। এটি অন্ত্রের প্রদাহ বা সংক্রমণের লক্ষণ।
বারবার পাতলা পায়খানা: পায়খানার প্রকার সাধারণত পাতলা হয় এবং দিনে ৩-৪ বার বা তারও বেশি হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া থাকতে পারে।
পেট ব্যথা: বিশেষত তলপেটে কষে ধরা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। ব্যথা মলত্যাগের আগে এবং পরে বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত গ্যাস বা ফাঁপা পেট: অন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস জমে পেট ফাঁপা বা ফোলা অনুভূতি হয়। এটি পেটের অস্বস্তি বাড়ায়।
খাওয়ার অরুচি: ক্রমাগত পেট ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণে ক্ষুধামন্দা হতে পারে। রোগী খাবারের প্রতি অনীহা অনুভব করতে পারে।
ওজন কমে যাওয়া: দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া এবং খাওয়ার অরুচির কারণে ওজন কমে যেতে পারে। শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়।
শারীরিক দুর্বলতা এবং ক্লান্তি: দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের কারণে শরীরের এনার্জি লেভেল কমে যায় এবং রোগী দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করতে পারেন।
মৃদু থেকে মাঝারি জ্বর: দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের কারণে কখনও কখনও মৃদু জ্বর হতে পারে।
মালাবদল (Tenesmus): মলত্যাগের পরে মলাশয়ে অতৃপ্তির অনুভূতি এবং আরো মলত্যাগ করার প্রবণতা।
পায়খানা করার সময় পেটের খিঁচুনি: মলত্যাগের সময় পেটে খিঁচুনি বা মোচড় দেওয়ার মতো ব্যথা অনুভূত হতে পারে।