ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখাতে সাহায্য করবে। সাথে সাথে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিবে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট

ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে নানা বিধি-নিষেধ। শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলেই রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। ডায়াবেটিকরা অনেক কিছুই খেতে পারেন না।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিক রোগীদের মাখন, ঘি, মিষ্টি, সব রকমের মিষ্টিস্বাদযুক্ত খাবার যেমন, চিনি, মধু, গুড়, লজেন্স, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, ফলের রস, নরম পানীয়, অ্যালকোহল, স্বাস্থ্যকর পানীয়, তেলেভাজা, শিঙাড়া, কচুরি, চপ, কাটলেট থেকে দূরে থাকাই ভাল। 

ডাবল টোনড দুধ। বিস্কুটের মধ্যে ক্রিমক্র্যাকার, মারি, থিন অ্যারারুট। ফলের মধ্যে ভিটামিন সি আছে এমন ফল যেমন মুসাম্বি, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, আপেল ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। 

আরো পড়ুন: পুরাতন আমাশয় রোগের ঔষধ আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা

কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে খেতে পারেন অল্প ভাত, রুটি, সুজি, চিঁড়ে, কর্নফ্লেক্স, মুড়ি, ব্রাউন ব্রেড ইত্যাদির খেতে পারেন, তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়। আনাজপাতির মধ্যে মেপে খেতে পারেন রাঙা আলু, কচু, কাঁচা কলা, মুলো, গাজর, কুমড়ো ও এঁচোড়। 

পটল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়ো, করলা, পেঁপে, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, বাঁধাকপি, লাউ, ফুলকপি, শসা, থোর, মোচা, ক্যাপসিকাম, টোম্যাটো, পেঁয়াজ, আদা, সব ধরনের শাক, বিনস, ডুমুর, শিম, সজনে ডাঁটা— ডায়াবেটিক রোগীরা বেশি করে ডায়েটে পারেন।

ডায়াবিটিক ডায়েটের মূল মন্ত্র, প্রাতরাশ ভারী হবে, দুপুরের খাবার মাঝারি ও রাতের খাবার হালকা। কিন্তু সাধারণত ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাওয়া ও রাতে ভারী খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে রোগীদের মধ্যে। এই অভ্যাসের জেরে রক্তে শর্করার মাত্রা বিগড়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীরা বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকলেই বিপদ। দুটো খাবারের মাঝে শসার সঙ্গে টক দই, ডিম সেদ্ধ, ছোলা, ছাতু, মাখানা— এই সব খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট

কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা: কার্বোহাইড্রেট রক্তের শর্করা বাড়ায়, তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: প্রোটিন রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি করা: স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন অলিভ অয়েল, বাদাম, এবং এভোকাডো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।

খাবার সময়: ছোট পরিমাণে এবং নিয়মিত বিরতিতে খাবার খাওয়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক।

সকাল (ব্রেকফাস্ট) ১টি ডিমের সাদা অংশ, ১ স্লাইস পুরো গমের পাউরুটি, কিছু সালাদ (টমেটো, শসা), ১ কাপ গ্রিন টি

আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেসব খাবারে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি

সকাল ১১টা (স্ন্যাক্স) ১টি ছোট আপেল বা ১টি কমলা, ৫-৬টি বাদাম বা আখরোট

দুপুর (লাঞ্চ) ১ কাপ ব্রাউন রাইস বা ২টি ছোট রুটি (আটা), ১ কাপ সবজি (ব্রকলি, গাজর), ১০০ গ্রাম গ্রিলড মুরগি/মাছ

বিকেল ৪টা (স্ন্যাক্স) ১ কাপ মটরশুটি বা ছোলা, ১ কাপ লো ফ্যাট দই বা ছানা

রাত (ডিনার) ১ কাপ সবজি (ফুলকপি, শিম), ১টি ছোট রুটি, ১০০ গ্রাম গ্রিলড মুরগি/মাছ

রাত ৯টা (স্ন্যাক্স) ১টি ছোট পেয়ারা বা কিছু বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি)


ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ফল
আপেল ফাইবার সমৃদ্ধ, ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, GI কম ১টি মাঝারি সাইজের (প্রতিদিন ১টি)

বেরি (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ফাইবার ও ভিটামিন C বেশি, GI কম ১ কাপ (প্রতিদিন ১ কাপ পর্যন্ত)

নাশপাতি ফাইবার সমৃদ্ধ, ভিটামিন C এবং পটাসিয়াম থাকে ১টি মাঝারি সাইজের (প্রতিদিন ১টি)

কিউই ভিটামিন C, K এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, GI কম ১টি মাঝারি সাইজের (প্রতিদিন ১টি)

চেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ, GI কম ১ কাপ (প্রতিদিন ১ কাপ পর্যন্ত)

পিচ ফাইবার ও ভিটামিন C সমৃদ্ধ, GI কম ১টি মাঝারি সাইজের (প্রতিদিন ১টি)

কমলা ভিটামিন C ও ফাইবার সমৃদ্ধ, GI কম ১টি মাঝারি সাইজের (প্রতিদিন ১টি)

পেয়ারা ভিটামিন C, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ১টি মাঝারি সাইজের (প্রতিদিন ১টি)

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সবজি

পালং শাক: ভিটামিন এ, সি এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
লাল শাক: আয়রন এবং ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ।
মেথি শাক: রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

বাঁধাকপি: ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি।
ব্রোকলি: ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
পুঁই শাক: পুষ্টিকর এবং শর্করা কম।

আরো পড়ুন: হার্ট ভালো রাখতে যা খাবেন হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

করলা: রক্তে শর্করার স্তর কমাতে সহায়ক।
লাউ: শর্করা কম এবং ফাইবার বেশি।
শসা: হালকা, শর্করা কম, এবং পানি সমৃদ্ধ।
মিষ্টি কুমড়া: অল্প শর্করা এবং ফাইবার যুক্ত।

বেগুন: ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
টমেটো: লাইকোপিন, ভিটামিন সি, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
ক্যাপসিকাম: ভিটামিন সি এবং ফাইবার যুক্ত।
গাজর: কম শর্করা এবং বেটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। অপ্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি কম পরিশোধিত শর্করা ও কার্বোহাইড্রেইট ধরনের শস্য গ্রহণে সচেতন থাকতে হবে।

নানান রকম ফল, সবজি, শস্য, চর্বিহীন মাংস ও স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া জরুরি। সেই সাথে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় ও উচ্চ চর্বি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা উপকারী।

এছাড়াও খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন বেশি বা স্থূলকায় হলে সামান্যতম ওজন হ্রাস রক্তের শর্করা ও ইন্সুলিনের সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। স্বাস্থ্যকর ওজন নিয়ন্ত্রণে সুষম খাবার ও নিয়মিত শরীত শরীরচর্চা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন: হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে? যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে

কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণে সতর্কতা: কার্বোহাইড্রেইট সরাসরি রক্তের শর্করার ওপরে প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ রক্তের শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে যা হরমোনের প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে গ্লুকোজের উৎপাদন বাড়ায়। চাপ নিয়ন্ত্রণ কৌশল মেনে চলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন, যোগ ব্যায়াম-সহ পছন্দের শরীচর্চা করা প্রয়োজন। এছাড়াও বিশ্রাম ও কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস রোগীর সকালের খাবার

ওটমিল (Oatmeal): ওটমিল একটি ভালো বিকল্প কারণ এতে উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আপনি এতে কিছু বাদাম বা বেরি যোগ করতে পারেন স্বাদ এবং পুষ্টি বাড়ানোর জন্য।

ডিম: ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক। আপনি সেদ্ধ ডিম, পোচ বা অমলেট হিসেবে ডিম খেতে পারেন। ডিমের সাথে সবজি যোগ করলে এটি আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

গ্রিক দই (Greek Yogurt): গ্রিক দই প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক্সের একটি ভালো উৎস, যা হজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে কিছু ফল বা বাদাম যোগ করলে এটি আরও পুষ্টিকর হয়।

মাল্টিগ্রেইন টোস্ট: মাল্টিগ্রেইন বা সম্পূর্ণ শস্যের রুটি টোস্ট করে তার উপর অ্যাভোকাডো বা বাদামের মাখন লাগিয়ে খেতে পারেন। এতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং ফাইবার ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে।

আরো পড়ুন: শর্করা জাতীয় খাবার কি কি কোন ধরণের শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত?

ফলের সালাদ: তাজা ফলের সালাদ যেমন আপেল, নাশপাতি, বেরি, এবং সাইট্রাস ফল দিয়ে তৈরি করা যায়। এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং এটি ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।

২ কাপ সেদ্ধ চালের ভাত, একটা সেদ্ধ ডিম কুসুমসহ, মাছ/ মাংস, ১-২ কাপ মিক্সড সবজি এবং ১-২ কাপ পাতলা ডাল।

ক্যালরি: ২ কাপ ভাতে (২৪০ গ্রাম) ৩০০ কিলোক্যালরি, ডিম বা মাছ-মাংস ৭০, সবজি ডাল গড়ে ৫০, তেল ৫০ এবং চিনি ছাড়া চা ২৫ কিলোক্যালরি। মোট ৪৯৫ কিলোক্যালরি থাকে।

হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা

খাবার ধরনের                                হার্ট রোগীদের জন্য                                     ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
প্রোটিন                                     মুরগি, মাছ, শিম, ডাল                             মুরগি, মাছ, শিম, ডাল
ফলমূল                             আপেল, কমলা, বেরি, পেয়ার                             আপেল, কমলা, বেরি, পেয়ার (স্বল্প পরিমাণে)

সবজি                             ব্রকোলি, পালং শাক, গাজর                                     ব্রকোলি, পালং শাক, গাজর
দানা ও শস্য                 ওটমিল, ব্রাউন রাইস, পুরো গমের রুটি                 ওটমিল, ব্রাউন রাইস, পুরো গমের রুটি

চর্বি                                     অলিভ তেল, আখরোট, বাদাম                         অলিভ তেল, আখরোট, বাদাম (সীমিত পরিমাণে)

দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য                 কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, গ্রীক দই         কম ফ্যাটযুক্ত দুধ, গ্রীক দই (স্বল্প পরিমাণে)

প্রি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

সকালের নাস্তা:
ওটমিল: ওটমিল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
গ্রীক দই: কম চর্বিযুক্ত বা নন-ফ্যাট দই, যার সঙ্গে কিছু বেরি বা বাদাম মেশানো যেতে পারে।
মসুর ডাল বা চানা ভুনা: এটি উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মধ্যাহ্নভোজ:
সম্পূর্ণ গমের রুটি বা ব্রাউন রাইস: এগুলি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সবজি: সালাদ, বেকড বা স্টিমড সবজি, যেমন ব্রোকলি, গাজর, বাঁধাকপি, টমেটো ইত্যাদি।
মাছ বা চিকেন: গ্রিলড বা বেকড মুরগি বা মাছ, যা প্রোটিনের ভালো উৎস।

বিকালের স্ন্যাকস:
বাদাম: যেমন আখরোট, আমন্ড, বা কাজু।
ফল: আপেল, বেরি, নাশপাতি, কমলা ইত্যাদি। (কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের ফল বেছে নেওয়া ভালো)
গ্রিন টি: কোনো চিনি ছাড়া।

রাতের খাবার:
গ্রিলড বা বেকড ফিশ/চিকেন: এটি হালকা প্রোটিন সরবরাহ করে এবং রাতে খাওয়ার জন্য নিরাপদ।
সামান্য ডাল বা সবজি: বেকড বা স্টিমড।
সবুজ সালাদ: লেটুস, টমেটো, কাকড়া, শসা ইত্যাদি মেশানো যেতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন