ডেঙ্গু হলে যা খাবেন ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা

ডেঙ্গু রোগীর খাবার চার্ট তালিকা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় ত্রাসের নাম ডেঙ্গু। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। নবজাতকসহ যেকোনো বয়সের মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। 

আজ জানবো ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে কী খেলে উপকার পাওয়া যাবে এবং একজন ডেঙ্গু  রোগীর খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে

ডেঙ্গু রোগীর খাবার চার্ট তালিকা

যদি জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া ও বমি হয়ে থাকে তবে শাকসবজি, ডাল, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এ সময় জাউ ভাত, কাঁচা কলার ঝোল খুবই উপকারী। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ বা মুরগির পাতলা ঝোল দেওয়া যেতে পারে।

ডেঙ্গু হলে যা খাবেন ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা

ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা ও হিমোগ্লোবিন কমে যায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং প্লাটিলেট তৈরি করতে শরীরের প্রচুর আয়রনের প্রয়োজন। কলিজা, ডিম, ডালিম, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, বিট জুস, খেজুর, কিশমিশ, জলপাই, সবুজ শাকসবজি প্লাটিলেট ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

অন্ত্র থেকে আয়রন শোষণের জন্য ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার প্রয়োজন। এই ভিটামিন অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে বেশি পরিচিত। তাই কমলা, জাম্বুরা, আনারস, লেবু ও অন্যান্য টকজাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

যদি জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া ও বমি হয়ে থাকে তবে শাকসবজি, ডাল, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এ সময় জাউ ভাত, কাঁচা কলার ঝোল খুবই উপকারী। প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ বা মুরগির পাতলা ঝোল দেওয়া যেতে পারে। 

তখন তরল খাবার হিসেবে মুরগির স্যুপ, রাইস স্যুপ, আপেল জুস বা আপেল পিউরি দেওয়া যেতে পারে। ডাবের পানি ও ওরাল স্যালাইন ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের জুড়ি নেই। পালংশাক, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, মিষ্টিকুমড়া, ডালিম, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, কচুশাক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ রয়েছে, যা রোগীর শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে।

এ ছাড়া রক্তক্ষরণ ঝুঁকি কমাতে ডেঙ্গু রোগীকে ভিটামিন কে জাতীয় খাবার, যেমন সবুজ শাকসবজি, বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। এসব খাবারে দরকারি খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণও বেশি থাকে। তাই প্রতিদিন রোগীকে এই খাবারগুলো পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে।

ভিটামিন বি-১২–এর অন্যতম উৎস ডিম, দুধ, মাখন, পনির, কম চর্বিযুক্ত দই। ভিটামিন সি একটি কার্যকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিক রাখতেও কার্যকর। 

কমলা, মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আমড়া, পেঁপে, আম, আনারস, আঙুর, জাম ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন এই ফলগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়াতে হবে।

ডেঙ্গু রোগীর খাবার চার্ট তালিকা

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভাইরাসের চার ধরনের সেরোটাইপ (serotype) থাকে। এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। মশা কামড়ানোর (৪-১০) দিনের মধ্যে এই ভাইরাস দেহে বংশবৃদ্ধি করে রোগের সৃষ্টি করে। সাধারণত আমাদের রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ থাকে দেড় লক্ষ থেকে চার লক্ষের মধ্যে। ডেঙ্গুর তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে অনেক সময় এই প্লাটিলেটের পরিমাণও কমতে থাকে।

এডিস মশা আবদ্ধ জলাধার বা স্বচ্ছ পানিতে বংশ বিস্তার করে। যেমন- টবের পানি, নারকেলের ফাঁকা খোলা, এসির নিচে জমে থাকা পানি ইত্যাদি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে কামড়ানোর মাধ্যমে স্ত্রী এডিস মশা প্রথমে জীবাণুবাহক হয় এবং তারপর এটি অন্য কাউকে কামড়ালে সেই ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়। এভাবেই এই রোগ ছড়াতে থাকে আমাদের চারপাশে।

সাধারণত বছরের জুন-জুলাই মাস থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট উপসর্গ থাকে, কিন্তু সবারই যে সবসময় একই রকম উপসর্গ দেখা দিবে তা নয়। চলুন তবে দেখে নেই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ কী।

তবে সম্প্রতি যে ধরনের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আমাদের দেশে দেখা দিয়েছে তাতে বমি, ডায়রিয়া, পেট ব্যথাও দেখা দিচ্ছে। ইদানিং ডেঙ্গুর বেশিরভাগই হচ্ছে হেমোরেজিক ধরনের। যাতে রোগীর নাক দিয়ে, বমির সাথে, এমনকি টয়লেটের সাথেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। ফলে রোগীর প্লাটিলেট দ্রুত কমে যেতে শুরু করে এবং ভয়াবহ পরিণতিতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

তাই জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেকের আবার তীব্র জ্বর হচ্ছে না, সাধারণ জ্বরের মতোই লক্ষণ থাকে, কিন্তু ডেঙ্গু টেস্টে পজেটিভ আসছে। অনেকের পেটে ব্যথা, হালকা ঠান্ডা জ্বর ও বমি হতে পারে। এছাড়াও প্রেশার লো হয়ে যেতে পারে। একেক জনের একেক রকম লক্ষণ থাকে।

এ সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে পরিচিত হল পেঁপেপাতার রস। তেতো লাগলেও এই রস ডেঙ্গু মোকাবিলায় ভীষণ উপকারী।

প্রোটিনজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। তাই এই সময় খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি থাকা একান্ত জরুরি।

সবুজ শাকসবজি ভিটামিন কে ও আই-এর উৎস। পার্সলে পাতা, পালং শাক, পুদিনা, বাঁধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক কুমড়ো খাওয়ার পরামর্শ দেন। কুমড়ো ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তরল খাবার খাওয়া তুলনায় সহজ। তাই এই সময় শক্ত খাবারের পরিবর্তে তরল খাবার যেমন মাংসের স্যুপ,দইয়ের লস্যি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে খাবার দুই-আড়াই ঘণ্টা অন্তর পরিবেশন করা ভালো।

ডেঙ্গু হলে কি খাবার খাওয়া যাবে না

অতিরিক্ত তেল–মসলাজাতীয় খাবার পাকস্থলীকে অ্যাসিডিক করে তোলে।

ফাস্ট ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, কাঁচা সবজি বা কাঁচা খাবার (যেমন সালাদ), অতিরিক্ত শক্ত খাবার ইত্যাদি পরিহার করা উচিত। কারণ ডেঙ্গু জ্বরে হেমোরেজ বা রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কড়া দুধ–চা, কফি, এনার্জি ড্রিংক এসব খাবার শুধু হজমেই অসুবিধা করে না, দ্রুত আরোগ্য লাভের পথেও বাধা প্রদান করে। এ ছাড়া এতে থাকা ক্যাফেইনও ডাইইউরেটিক, যা শরীরকে পানিশূন্যতা করে। তাই এ সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।

ডেঙ্গু হলে তীব্র জ্বর দেখা দেয়, যার ফলে ক্ষুধামন্দা বা বমি বমি ভাব বা বমিও হয়ে থাকে, ফলে খাওয়াটা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তাই রোগের প্রাথমিক ধাপে তরল খাবার গ্রহণ করাটাই ভালো। শক্ত খাবারের তুলনায় শরীর এ খাবার সহজে গ্রহণ করতে পারে। 

তরল খাবার গ্রহণ করলে শরীর থেকে চলে যাওয়া পানির শূন্যস্থান পূরণ হতে পারে এবং একই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রোগীর অবস্থা একটু উন্নতির দিকে থাকলে তরল খাবাবের পাশাপাশি একটু সেমি সলিড এবং মাঝারি ঘন খাবার রোগীর খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে। এ সময় সহজে হজম যোগ্য খাবার যেমন-দইচিড়া, কলা, গরম ভাত এবং মুরগির পাতলা ঝোল, সেদ্ধ আলু, সেদ্ধ শাকসবজি, পেঁপে, লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

পানি জাতীয় সবজি দিয়ে দেশি মুরগির বা শিং, মাগুর, শোল মাছের পাতলা ঝোল করা যেতে পারে অল্প তেল, মসল্লা দিয়ে। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-এর উৎস হিসাবে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। 

ভিটামিন সি-এর উৎস হিসাবে বিভিন্ন ধরনের ফলের রস, স্যুপ এবং ডাবের পানি জাতীয় প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় পান করাতে হবে। এ জাতীয় তরলগুলো শরীরে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা ক্যান বা কৌটা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

আর্টিফিশিয়াল চিনিযুক্ত কোমল পানীয় বা বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট জুস বর্জন করতে হবে। কারণ, এগুলো থেকে এলসিডি, পেটের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে এবং সম্ভব শরীরে পিএস স্তরও নেমে যেতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে

শরীরের তাপমাত্রা: যদি জ্বর খুব বেশি থাকে বা শরীর খুব দুর্বল থাকে, তখন ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো। হালকা গরম বা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে ভালো হয়, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

সার্বিক অবস্থা: যদি খুব বেশি দুর্বলতা থাকে, তবে একা গোসল না করে কারো সাহায্য নেওয়া উচিত।

সময়: গোসলের সময় খুব বেশি না নেওয়া এবং দ্রুত গোসল করে শুকনো কাপড় পরে নেওয়া উচিত, যাতে ঠান্ডা না লাগে।

চিকিৎসকদের মতে, জ্বর হলেই প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেতে হবে। দুই-তিন দিন পরও যদি জ্বর না সারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।

বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া-সহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বাড়ছে এবং এ অবস্থায় কোনও অবহেলা করা উচিত নয়। জ্বরের বিষয়ে অবহেলার কারণে আপনার স্বাস্থ্যের অবনতিও হতে পারে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে

প্যারাসিটামল: জ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, কোনোভাবেই অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন খাওয়া উচিত নয়, কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান: ডেঙ্গু হলে শরীর অনেকটা পানি হারায়, তাই ডিহাইড্রেশন এড়াতে প্রচুর পানি পান করতে হবে।

বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, যাতে শরীর দ্রুত সেরে উঠতে পারে।

ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি12: রক্তস্বল্পতা থাকলে চিকিৎসক ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি12 সাপ্লিমেন্টস দিতে পারেন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়

রিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ আটটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি–সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু হলে কী ধরনের চিকিৎসা নেবেন, বাসায় না হাসপাতালে থাকবেন—নির্ভর করে এর ধরন বা ক্যাটাগরির ওপর। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধরন বা ক্যাটাগরি আছে—‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা স্বাভাবিক থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়াই যথেষ্ট।

‘বি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে। কিছু লক্ষণ, যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, অন্তঃসত্ত্বা, জন্মগত সমস্যা, কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই ভালো।

‘সি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। এতে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে করণীয়

জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। তাই ফুলদানি, ফুলের টব ও বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা ডাবের খোসা, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র ইত্যাদিতে ০৩ (তিন) দিনের বেশী সময় পানি জমতে না দেয়া।
  • দিনে ও রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারী ব্যাবহার করা।
  • বাড়ির আশ-পাশের ঝোপঝাড়, জলাশয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • প্রয়োজনে শরীরের অনাবৃত স্থানে মশা নিবারক ক্রীম/লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • পানীয় ও তরল জাতীয় দ্রব্যের বোতল যত্রতত্র ফেলে না রাখা।
ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টনের কৌটা, ডাবের খোসা/নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে। কাজেই এগুলোর বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেয়া।

সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেংগু রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ডেংগু কর্ণার খোলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগে ডেংগু শনাক্তের জন্য ডেংগু এন এস-১ এন্টিজেন টেস্ট করা হয়, টেস্ট ফি ৫০/- মাত্র।

এছাড়া ডেংগু সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন