বিটকয়েন কি সম্পর্কে জেনে নিন ২০২৪

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা বর্তমান যুগে বিটকয়েনের ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনারা অনেকেই জানিনা যে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে। বিটকয়েন হল একটি ইলেকট্রিক মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা বলে। 

বিটকয়েনের মুদ্রার কেনা বেচা বা আদান প্রদান সবকিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে বিটকয়েন কেনাবেচা করতে পারেন। বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

বিটকয়েন এক ধরনের সম্পদ। লেনদেনের উপায়। যেটা মুদ্রা ব্যবস্থা, কাগজের নোট আসার পরের নতুন ধারণা । অনেকেই মনে করেন বিটকয়েন আসল মুদ্রাকে পুরোপুরি সরিয়ে দেবে না।

বিটকয়েন কি সম্পর্কে জেনে নিন ২০২৪

ব্যাংক বিটকয়েনের ব্যাপারে সতর্কতা ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইসু করে না বিধায় আর্থিক এর বিপরীত আর্থিক দাবির কোন ধরনের স্বীকৃতি নেই।

এ সকল ধরনের লেনদেনের মাধ্যমগুলো আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে। ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। তাছাড়া অনলাইন ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকরা মানি লন্ডারিং ঝুঁকি থাকতে পারে। 

এইজন্য বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণে এ আইন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গুগলে 'বিটকয়েন' লিখে যদি বিষয়টি বুঝতে চান তাহলে আপনার চোখ ছানাবড়া হলেও হতে পারে। একটি বিটকয়েনের মূল্যমান নাকি ৩৭ লক্ষ টাকারও বেশি! ভাবছেন, এ আবার কোন দেশের মুদ্রা? এতো তেজ! আরেকটু ঘাটলেই বুঝবেন একে হাতে ধরা যায় না। এই মুদ্রা ডিজিটাল মুদ্রা।

আমরা জানি ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করা যায়। ক্রেডিট কার্ড তো টাকা না। সে টাকার প্রতিনিধি। ক্রেডিট কার্ড থাকলে টাকা সাথে করে নিয়ে ঘুরতে হয় না। সফটওয়ার সিস্টেমে অর্থ লেনদেন হয়ে যায়। ক্রেডিট কার্ড তাও হাতে ধরা যায়, বিটকয়েনকে কিন্তু স্পর্শও করা যায় না। 

তার নিজেরও কোনো অস্তিত্ব নেই “কঠিন” পদার্থ হিসাবে। এটা তরল না, বায়বীয়ও না। এটি শতভাগ ডিজিটাল। আপনি শুধু জানবেন অর্থ আছে। আর এটাকে সুরক্ষা দিচ্ছে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের এক জগত।

তবে, এ বছরের হিসাব অনুযায়ী, ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের ৬৫ শতাংশের বেশি বিটকয়েনের দখলে। আর এ কারণেই সবাই বিটকয়েনকেই চেনে বেশি।

বিটকয়েন এক ধরনের সম্পদ। লেনদেনের উপায়। যেটা মুদ্রা ব্যবস্থা, কাগজের নোট আসার পরের নতুন ধারণা । অনেকেই মনে করেন বিটকয়েন আসল মুদ্রাকে পুরোপুরি সরিয়ে দেবে না। একসাথেই থাকবে বা চলবে। আমাদের টাকা পয়সার লেনদেনের মাঝে কোনো না কোনোভাবে ব্যাংক থাকে, অনেক সিস্টেম জড়িত থাকে। 

আর বিটকয়েনের খারাপ দিক হলো আপনি যদি ভুলে কাউকে বিটকয়েন ট্রান্সফার করে দেন, তাহলে সেটা আর ফেরত পাবেন না। কারণ ব্যংক আগে জানতো টাকাটা কাকে দিচ্ছেন, অর্থাৎ কার হিসাবে ঢুকছে।

আগেই বলেছি, বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল কারেন্সির উপর কোনো ব্যংক বা সরকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেই। পিয়ার-টু-পিয়ার সফটওয়ার সিস্টেম এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির উপর ভর করে এটি চলে।

তাই শুধু আপনিই সেই কথার মূল অর্থ বুঝতে পারবেন। আর কেউ পারবে না। যে চাবিকাঠি দিয়ে কথাটি গোপন করা হয় তাকে বলে 'এনক্রিপশন কি'। এই 'কি' বা চাবিটা সবাই জানবে না। এই চাবিটা পাঠাবে প্রেরক, আর পাঠক ওই চাবি দিয়ে তালা খুলে বুঝে নেবে বার্তা। 

বিটকয়েন খুব গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর দিয়ে একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে যায়, সেখানে উঁচুস্তরের ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার হয়, আর এজন্যই বিটকয়েনের জেনেরিক নাম হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। এনক্রিপশন করা কারেন্সি বা মুদ্রা।

আপনি চাইলে কিন্তু আপনার বিটকয়েন কারন্সিকে কাগজের মুদ্রায় রূপান্তর করতে পারবেন। সেটারও একটা প্রক্রিয়া আছে। বিটকয়েন পৃথিবীর প্রথম বা একমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। এখন তো পাঁচ হাজারেরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে। কিন্তু বড়ো বাজারটা বিটকয়েনের।

২১ মিলিয়নেই সে স্থির। তাই এটার মান শুধু বাড়তেই থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। একটি বিটকয়েনের মূল্য একসময় ছিল ১৫০ ডলার। সেটা বেড়ে ৫০ হাজার ডলারও ছুঁয়েছে।

১ বিটকয়েন সমান কত টাকা

আপনি কোন দেশের মুদ্রার সাথে বিটকয়েন (฿) বা আপনি যেদেশ ঠিক করে দিয়েছেন সেই দেশেশ মুদ্রার রেট জানতে চান, সেটি ঠিক করে নিন ।

BTC-এর বর্তমান মার্কেট ক্যাপ হল $১.৩৩T।
১ বিটকয়েন সমান ২,৫৫২,২২৬.৪৯ টাকা। আর ডলার হিসাবে ১ বিটকয়েন সমান ২৯,৩০২.৬০ ডলার।

বিটকয়েন একটি ডিজিটাল মুদ্রা। যা বিভিন্ন জিনিস কিনতে এবং স্টকের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে ব্যবহৃত হয়। বিটকয়েন বাংলাদেশে অবৈধ এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। বন্ধুরা এই বিষয়ে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন। সম্পূর্ন তথ্য উইকিপিডিয়ায় পাবেন।

বিটকয়েন এর আবিষ্কারক কে

বিটকয়েন এর আবিষ্কারক হলেন সাটোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) নামে পরিচিত একজন ব্যক্তি বা একটি দল। ২০০৮ সালে সাটোশি নাকামোতো একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন যেখানে বিটকয়েন এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তির মূল ধারণাগুলো বর্ণনা করা হয়।

২০০৯ সালে বিটকয়েনের প্রথম সংস্করণ মুক্তি পায়। যদিও সাটোশি নাকামোতো নামে পরিচিত এই ব্যক্তি বা দলের আসল পরিচয় এখনো অজানা রয়ে গেছে।

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ

ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন বাংলাদেশে অবৈধ। তারপরও অবৈধ এই ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ নিয়ে কয়েকটি বৈঠক করেছেন। 

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অবৈধ বিটকয়েন ব্যবহার রোধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগকে অথবা অন্য কোনও বিভাগকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অচিরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা বিটকয়েনে লেনদেনকারীদের খুঁজতে শুরু করেছেন। এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসিও। এই তিনটি সংস্থার কর্মকর্তারা এ নিয়ে চারবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছেন।

প্রকৃতপক্ষে বিটকয়েন লেনদেন হয় ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে। এর লেনদেনের জন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংকের প্রয়োজন হয় না। যার ফলে একে নিয়ন্ত্রণ করারও কোনও সংস্থা পৃথিবীতে নেই।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই বিটকয়েন কিনে রেখেছেন। এছাড়া দেশের বাইরে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন এই বিটকয়েনে। 

অবৈধ বিটকয়েনের সঙ্গে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ছেন দেশের কিছু সেলিব্রেটিও। বেশ কিছু এজেন্ট প্রতিষ্ঠান তারকা ক্রিকেটারসহ সেলিব্রেটিদের বিটকয়েনসহ কিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করতে উৎসাহ জোগাচ্ছে।

এদিকে বিটকয়েন ব্যবহার করে কোনও ধরনের লেনদেন না করতে সবাইকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিটকয়েন পৃথিবীর অন্য কোনও দেশেরও স্বীকৃত বা বৈধ মুদ্রা নয়। এ ধরনের মুদ্রায় লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ। এই মুদ্রার লেনদেনে মানি লন্ডারিং ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।

এ বিষয়ে বিএফআইইউ-এর এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিটকয়েনের বিষয়ে কঠোর নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব ব্যাংককে মনিটরিং করতে বলে দেওয়া আছে। অচিরেই এ ব্যাপারে সার্কুলার জারি করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে বিটকয়েন কেনার সুযোগ নেই। এটা ধরতে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির তদন্ত সহজ নয়, একটু জটিল। যেহেতু বিটকয়েন বাংলাদেশে অবৈধ, সেহেতু এ ধরনের অবৈধ লেনদেন যারা করছে তাদের বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এ নিয়ে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে।’

মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও বিটকয়েন দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ফলে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ সম্মেলনের এক সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেছিলেন, 

চলতি বছরের জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির কাজ হবে বাংলাদেশে কীভাবে দ্রুত ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করা যায়, তা খতিয়ে দেখা।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েনে। তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। 

২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন এই ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র প্রচলন করে। নাকামোতোর উদ্ভাবিত সেই ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন।

ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে দু’জন ব্যবহারকারীর মধ্যে এটি সরাসরি (পিয়ার-টু-পিয়ার) আদান-প্রদান হয়। লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় ‘ক্রিপ্টোগ্রাফি’ নামের পদ্ধতি। নিজের পরিচয় প্রকাশ না করে এই পদ্ধতিতে লেনদেন করা যায়। অন্যদিকে, লেনদেনের ব্যয়ও খুব কম। 

তবে বিটকয়েনের জনপ্রিয়তার বড় একটি কারণ হলো—বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলে কয়েকগুণ লাভ হবে, এমন ধারণা। সম্প্রতি বিটকয়েন মুদ্রাটি আলোচনায় উঠেও এসেছে এ কারণেই। গত এক বছরে এই ভার্চুয়াল মুদ্রাটির দাম হু হু করে বেড়েছে। ফলে অনেকেই এই বিটকয়েন কেনার দিকে ঝুঁকছেন।

এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিটকয়েন মূলত ইন্টারনেট সিস্টেমে একটা নির্দিষ্ট অংকে প্রোগ্রামিং করা আছে, যা চাইলে কেনা যায়। 

তবে এটি কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোনও দেশের জারি করা মুদ্রা নয়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করেছে। এটাকে এক ধরনের জুয়া খেলা বলা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই মুদ্রার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, এর কোনও কর্তৃপক্ষ নেই। এ কারণে এটা অবৈধ। তবে জুয়াড়িদের কাছে এটা জনপ্রিয়। একসময় এর দাম ছিল একশ ডলার। এক বছরের মধ্যে তা বেড়ে হয় এক হাজার ডলার। 

এখন এর দাম ১৯ হাজার ডলারে উঠে গেছে। যে কারণে লোভে পড়ে অনেকেই এই মুদ্রায় বিনিয়োগ করছে। কিন্তু হঠাৎ করে এর পেছনের লোকেরা বাজার থেকে সরে গেলে বিপদে পড়বেন অনেকেই।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিটকয়েন বাংলাদেশে অবৈধ। এই মুদ্রা দেশের কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। অবৈধ বিটকয়েনে লেনদদেন হলে মানুষের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ ধরনের অবৈধ মুদ্রার ব্যাপারে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশে বিটকয়েনের লেনদেন হচ্ছে, যা কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। ফলে মানুষের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ ধরনের অবৈধ মুদ্রার লেনদেন না করতে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইনভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপ্পেল ও লিটকয়েনসহ বিভিন্ন বিনিময় প্ল্যাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনও দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা বৈধ মুদ্রা নয়। ফলে এর বিপরীতে কোনও আর্থিক দাবির স্বীকৃতিও নেই। ভার্চুয়াল এসব মুদ্রার লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত না হওয়ায় তা আইন দ্বারা সমর্থিত নয়।

বিটকয়েন কি হালাল

অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়ে থাকেন। তাদের ফতোয়া প্রদানের কিছু বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল ক্রিপ্টোকারেন্সি রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। ক্রিপ্টোকারেন্সির নিজস্ব কোনো মূল্য নেই।

তাদের করা উক্তিগুলো কতটা যুক্তিযুক্ত সে বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব। এল সালবাডোর নামে একটি দেশ বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে লিগ্যাল টেন্ডার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।অর্থাৎ আপনি সেখানে যে কোনো কিছু কেনার পর বিটকয়েন এ পেমেন্ট করতে পারবেন এবং বিক্রেতা সেটা গ্রহন করতে বাধ্য থাকবে।

তাহলে ১ম পয়েন্ট অনুযায়ী বলা যায় আমেরিকায় বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি হালাল এবং বাংলাদেশে হারাম। অবৈধ কাজের লেনদেন করার জন্য বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার। আমরা এখন যদি কাগজের টাকা দিয়ে মাদক কেনা-বেচা করি অথবা কোন হ্যাকারকে পেমেন্ট করি তাহলে কি কাগজের টাকা হারাম হয়ে যাবে

গত ১৫ বছর আগে ১ ভরি স্বর্নের দাম ছিল ৮-১০ হাজার টাকা।যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকার কম বা বেশি।আমরা জানি পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে স্বর্ণ আছে এবং চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যার কারনে স্বর্ণের দামও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।বিটকয়েনের বেলায় ও ঠিক একই ব্যাপার কাজ করে।পৃথিবীতে মাত্র ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন মাইনিং সম্ভব।যার ফলে চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিটকয়েনের দামওবেড়ে চলছে।

দার আল ইফতা জানায়, বিটকয়েন দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কেন্দ্রীয় আর্থিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে।

মিসরের গ্র্যান্ড মুফতির উপদেষ্টা মাগদি আশৌর জানান, এই মুদ্রা সরাসরি সন্ত্রাসীদের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়। যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি।

আশৌর আরও জানান, এই মুদ্রার কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। যা ইসলামে চুক্তি বিনষ্ট করা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এজন্য তা হারাম। মিসরের আগে সৌদি আরবের এক মন্ত্রী আসিম আল-হাকিম বিটকয়েনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ ব্যাংকও বিটকয়েন লেনদেন অবৈধ ঘোষণা করে।

বিটকয়েন হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল সাংকেতিক মুদ্রা। এটি লেনদেন হয় ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে। এর লেনদেনের জন্য কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংকের প্রয়োজন হয় না। যার ফলে একে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও সংস্থাও পৃথিবীতে নেই। এটিকে যেমন অনেকেই সুবিধা বলে বিবেচনা করে থাকেন, তেমনই এটিই এই মুদ্রা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংশয়।

বিটকয়েনের চাহিদা এবং মূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ডলারের বিপরীতে ১টি কয়েনের বিনিময় মূল্য ৪১৯.৭৫ ডলার থাকলেও এ সপ্তাহে এর বিনিময় মূল্য ছিল ১৪৩১৭.৮৬ ডলার। প্রায় প্রতিদিনই এর দাম বাড়ছে। 

দেড় বছরে দাম বেড়েছে প্রায় চারগুণ। বাংলাদেশি টাকায় একটি বিটকয়েনের দাম এখন প্রায় ১২ লাখ টাকা। অস্বাভাবিক হারে এই বিনিময় মূল্য বাড়ার কোনও কারণ জানা নেই খোদ ব্যবহারকারীদেরও।

বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কী

তবে এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিত লাভ করে। সাতোশি নাকামোতো উদ্বোধিত নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন। এই বিটকয়েন লেনদেনের কোন ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই, ইলেকট্রনিক মাধ্যম অনলাইনে দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি পিয়ার-টু -পিয়ার আদান প্রদান করা হয়। 

এই লেনদেনের নিরাপত্তা ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতিকে। বিটকয়েন জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হচ্ছে নিজের পরিচয় না প্রকাশ করে এতে লেনদেন করা যায়।

অন্যদিকে লেনদেনের খরচ টা খুব কম তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো বিটকয়েনের বিনিয়োগ করলে কয়েক গুন লাভ হবে এমন কিছুটা ধারণা হয়তোবা মানুষের মধ্যে রয়েছে। এই বিটকয়েন এখনো কোনো দেশের মুদ্রা স্বীকৃতি না পেলেও এর জনপ্রিয়তা অনেক। ফলে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।

আমরা বিটকয়েন সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে গেছি উপরের আর্টিকেলগুলোতে বিটকয়েনের উদ্ভাবিত ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখন মূলত বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ বলতে বর্তমানে এই বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা নামক অতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এই ইলেকট্রনিক লেনদেনের বা আদান প্রদানের মাধ্যমে কেনা বেচা করা আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে।

বিটকয়েনের পিয়ার-টু-পিয়ার আদান প্রদান ইলেকট্রনিক্স বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষেরা বিটকয়েন মুদ্রার কেনাবেচা করছেন। রহস্যময় যে কোডারদের উপর নির্ভর করে বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ কিভাবে উদ্ভাদিত হবে।

১ বিটকয়েন সমান কত সাতোশি

এই লিংকে যান , তাহলে তালিকাটি পেয়ে যাবেন    ( https://fx-rate.net/BDT/ )
বিটকয়েনকে সাধারণত বিটিসি (বিটকয়েন) বা স্যাট (সাতোশি) হিসাবে প্রকাশ করা হয়, 1 বিটকয়েন 100 মিলিয়ন সাতোশি ।
1 SATS = 0.0002616 USD ।

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ ও অবৈধ

বিটকয়েন অনেক দেশে বৈধ হলেও এর বৈধতার স্তর এবং নিয়ম-কানুন ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন রকম হতে পারে। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো

বিটকয়েন বৈধ দেশে:
যুক্তরাষ্ট্র: বিটকয়েন বৈধ এবং এটি ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত। তবে, বিভিন্ন রাজ্যে বিটকয়েনের ব্যবহারের ওপর নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে।
জাপান: জাপান বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এটি পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: বিটকয়েন বৈধ এবং ব্যবহার করা যায়। তবে, এর ওপর কর আরোপ করা হয় এবং প্রতিটি সদস্য দেশে ভিন্ন নিয়ম রয়েছে।
কানাডা: বিটকয়েন বৈধ এবং এটি ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, বিটকয়েনের ট্রেডিং ও লেনদেনের ওপর নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া: বিটকয়েন বৈধ এবং এটি ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত। অস্ট্রেলিয়াতে বিটকয়েনের ব্যবহার এবং ট্রেডিং নিয়ম-কানুনের অধীন।

বিটকয়েন সীমিত বা নিষিদ্ধ দেশে:
চীন: চীন বিটকয়েনের ব্যবহার এবং ট্রেডিং নিষিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রমও নিষিদ্ধ।
ভারত: ভারতে বিটকয়েন সরাসরি নিষিদ্ধ নয়, তবে এটি বিনিয়োগ এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন কঠোর।
রাশিয়া: রাশিয়াতে বিটকয়েনের লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ।

সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ দেশ:
বঙ্গলাদেশ: বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
নেপাল: বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বোলিভিয়া: বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এই তথ্যগুলো সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ বিভিন্ন দেশের সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সির নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে। সুতরাং, বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের বর্তমান নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন