অনলাইন ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪ ঘরে বসে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবার আগে মাথায় আসে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এটি বর্তমানে অনেকটা জনপ্রিয়ও বটে। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা বা প্রতিভা থাকে তবে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায় ফ্রিল্যান্সিং। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিও আপনাকে অনলাইনে টাকা রোজগার করতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এমন অনেক সংস্থা আছে যাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, তাহলে সংস্থাগুলি আপনাকে তার জন্য বেশ কিছু টাকা দেবে।
অনলাইন ইনকাম করার উপায়
যা করোনাকালীন সময়ে খুবই বাস্তব আকারে আমাদের সবার সামনে হাজির হয়েছে। এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ব্যাপারটার সাথে আমরা খুবই পরিচিত। তাই অনায়াসে বলা যায় ঘরে বসে আয় করা এখন খুবই সম্ভব। তবে ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণার পাশাপাশি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ঘরে বসে আয় করার নানা উপায় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সফলতা অর্জন সম্ভব। এমন না যে, আজকে শুরু করলাম আর কাল থেকে টাকা আসা শুরু হবে। নানা প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে অনলাইনে। তাই সর্তক হয়ে সব কিছু জেনে বুঝে অনলাইনে আয় করার পথ বেছে নিতে হবে। আজকে আমরা ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন প্লাটফর্মে ধাবিত হচ্ছে। তাই অনলাইনে কাজ করে আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর এই কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব। ঘরে বসে আয় করা নিশ্চিত উপায় রয়েছে। প্রয়োজন শুধু কাজের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন। ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ঘরে বসে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ঘরে বসে কোন ধরনের সার্ভিস প্রদান করা যায় তা জানতে হবে। তার পরে আপনাকে জানতে হবে কোথায় আপনি সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ফ্রিতে টাকা ইনকাম
বর্তমানে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এইসব মার্কেট প্লেসে আপনি ঘণ্টা হিসেবে অথবা গিগ সাার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আপনার কাজের দাম নির্ধারণ করতে পারেন।
যে কোন প্রজেক্ট অথবা গিগ এ বর্ণিত সার্ভিস প্রদানের পর বায়ার যদি কাজের অনুমোদন দেয় তবেই আপনি আয় নিশ্চিত করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর পুরো সার্ভিস আপনি ঘরে বসে দিতে পারবেন। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট ও ব্যাংক এর মাধ্যমে আপনার আয় আনতে পারবেন।
নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগে লেখালেখি তথা বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যখন অধিক সংখ্যক লোক আপনার ব্লগসাইট ভিজিট করবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল এর দেয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক থেকে আপনি অনায়াসে আয় করতে পারেন। আর এটা ঘরে বসেই করা যায়।
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় এর একটি হলো গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়। আপনার ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ এ নির্ধারিত স্থানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা যায়। গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি গুগল থেকে টাকা পাবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আয়ের সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ হলো গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়। আপনি পৃথিবীর যে কোন স্থানে থাকেন না কেন নিয়মিত আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আজকালকার জীবনে খরচা বেড়ে যাওয়ার কারণে বহু মানুষই বাড়িতে থেকেই অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজছেন। আর, আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরাই আবার কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই টাকা আয় করতে বেশি পছন্দ করে থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভবই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর চাইলে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেও কিন্তু প্রতি মাসে অনেক টাকা রোজগার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে, আপনি নিজেকে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই আপনার উপার্জনের পরিমাণ নির্ধারিত হবে। তবে, এক্ষেত্রে আপনার কতজন ক্লায়েন্ট রয়েছে, তার উপরেও কিন্তু আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে।
আরো পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৪
এই কাজে আপনাকে, মূলত অন্যান্য ক্লায়েন্ট, কোম্পানি বা ব্যক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল/পেজ গুলিকে পরিচালনা করার কাজ দেওয়া হয়। আপনি fiverr, freelancer.com, LinkedIn বা hired.com-এর মতো সাইট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের চাকরিগুলো খুঁজে পেতে পারেন।
বিশ্বাস করুন, বর্তমান সময়ে এই কাজে আনলিমিটেড টাকা রোজগারের সুযোগ রয়েছে। আপনি যত ভালো ও আকর্ষণীয় ভাবে কনটেন্ট লিখতে জানবেন, ততটাই অধিক টাকা আয়ের সুযোগ আপনার জন্য হয়ে দাঁড়াবে।
বিভিন্ন কনটেন্ট এজেন্সী বা কোম্পানির দেওয়া পোস্ট গুলি থেকে আপনি কনটেন্ট রাইটিং কাজের জন্যে আবেদন করতেই পারেন। এছাড়া, অনেক প্রকাশনা সংস্থাও আছে, যারা বিভিন্ন লেখার ব্যাপারে পারদর্শী লেখকদের নিয়োগ করে থাকে।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪
ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বিক্রি করে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনার যেকোনো একটি দক্ষতা থাকতে হবে, যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, লেখালেখি, অনুবাদ, মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদিতে আপনার গিগ তৈরি করে কাজ পেতে পারেন।
ব্লগিং হলো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে নিয়মিত লেখালেখি করে আয় করা। আপনার যদি কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা থাকে। তাহলে আপনি সেই বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে তাতে নিয়মিত লেখালেখি করতে পারেন। আপনার ব্লগের ভিজিটর বাড়লে আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন, যেমন বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, প্রিমিয়াম কন্টেন্ট ইত্যাদি।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অন্য কারো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন নেওয়া। আপনি যদি কোনও পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে আগ্রহী হন। তাহলে আপনি সেই পণ্য বা পরিষেবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেন। আপনি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে কমিশন পাবেন।
আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার ৫ টি সেরা উপায় ২০২৪
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি একজন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তির জন্য দূরবর্তীভাবে কাজ করেন। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের কাজের পরিধি ব্যাপক, যেমন অফিস ম্যানেজমেন্ট, গ্রাহক সেবা, সামাজিক মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি। আপনি যদি কম্পিউটার দক্ষ এবং যোগাযোগে পারদর্শী হন। তাহলে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করা। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে দক্ষ হন। তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারেন। এইগুলি ছাড়াও অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আরও অনেক উপায় রয়েছে। আপনি আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী কোনও উপায় বেছে নিতে পারেন।
প্রোগ্রামিং হল এমন একটি কম্পিউটার বিজ্ঞানের শাখা যাতে আপনি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন। আপনি আপনার প্রোগ্রামিং দক্ষতা ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা অন্যান্য উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
ভালোবাসেন তাহলে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। আপনি ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি কিংবা চাকরির পাশাপাশি ব্লগিং করতে পারেন।
আপনি যদি কোন ভাষার উপর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনুবাদ পরিষেবা করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। অনুবাদ পরিষেবা দিতে আপনাকে বাইরে যেতে হবে না। ঘরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি ট্রান্সলেশন বা অনুবাদ পরিষেবা দিয়ে উপার্জন করতে পারেন। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে কোন ধরনের টাকা খরচ করতে হবে না।
বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইটের মালিক তাদের ওয়েবসাইটে জন্য কন্টেন রাইটার নিয়ে থাকে। আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তাহলে কনটেন্ট রাইটিং হিসেবে যেকোনো কোম্পানিতে ঘরে বসে তাদের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। আপনি চাইলে কনন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় করতে পারেন।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের সেরা ১০ টি উপায় 2023
ওয়েব ডিজানিং হল ওয়েবপেজ লেআউট ও ডিসাইন করার এক ধরণের কাজ। এটা তোর জন্য প্রয়োজন হবে সৃজনশীলতা। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে আইডিয়া থাকে তাহলে ফাইবারে গিয়ে আপনি চাকরির পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসেবে এই কাজটি করে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকায় আয় করতে পারবেন।
আজকের আধুনিক যুগে অনেক কোম্পানি রয়েছে তারা তাদের কোম্পানি প্রচারের জন্য বিডিও মাধ্যম দিয়ে বেছে নিয়েছে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ভালো জানেন, তাহলে আপনি ঘরে বসে সেইসব কোম্পানিদের সাথে ভিডিও নিয়ে কাজ করে ভালো একটি আয় করতে পারেন।
আমাদের দেওয়া পাঁচটি আইডিয়া কাজে লাগিয়ে আপনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আমাদের দেওয়া পাঁচটি আইডিয়া যদি আপনার ভালো থাকে ভালো লাগে। তাহলে, কমেন্ট করে জানাবেন। এরকম যদি আরো আইডিয়া পেতে চান আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
অ্যামাজন ইন্ডিয়ার মার্চ বাই আমাজন হল ভারতীয়দের জন্যে তৈরী একটি জনপ্রিয় প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম। আপনি ভালো ডিজাইনার হয়ে থাকলে এটি আপনার কাছে আয়ের একটি লাভজনক উৎস হতে পারে।
অন্যান্য প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মের থেকে আমাজনের জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায়, এর ওয়েবসাইটে সবসময়েই বেশি ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ, এখান থেকে আপনি আপনার ডিজাইনের জন্য যথেষ্ট সহজেই ক্রেতা পেতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন,কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি,এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি,এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন),প্রোগ্রামিং ইত্যাদি,ওয়েব ডিজাইন,লোগো ডিজাইন,এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন),কভার ডিজাইন,কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি,এন্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি,ভিডিও এডিটিং,অ্যানিমেশন ইত্যাদি
টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
হ্যাঁ! তবে কিছু কথা থেকে যায়। এই প্রশ্নটির উত্তর অনেকের কাছে অনেক কঠিন মনে হলেও আমার কাছে কিন্তু খুবই সহজ!
বর্তমানে ফেসবুক থেকেও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই ফেসবুক অযথা স্ক্রল না করে এখান থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি ফেসবুক পেজ থেকে কিভাবে ইনকাম করতে হয় সেটি জানেন তাহলে খুব সহজে ঘরে বসে অল্প একটু পরিশ্রম করেই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই ফেসবুক রেজ থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আগে আমরা ফেসবুক আমাদের বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেও বর্তমানে আমরা ফেসবুক পেজ অথবা রিলস থেকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে এবং সেগুলো আপলোড করার মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম
আরো পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের সেরা ১০ টি উপায় 2023
আপনার যদি লেখালেখির হাত ভালো হয়ে থাকে, তবে ব্লগ পোস্ট লিখে আয় করতে পারেন। ব্লগ পোস্ট লেখা যেতে পারে নিজের ওয়েবসাইটে কিংবা অন্য কোনো ওয়েবসাইটে। নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করে ব্লগ পোস্ট করে সেখান থেকে বিভিন্নভাবে আয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে এইক্ষেত্রে অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে অন্যের ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করে আয় করতে চাইলে সেক্ষেত্রে যেসব ওয়েবসাইট লেখক খুঁজছেন সেসব ওয়েবসাইটে প্রদত্ত কনটাক্ট ইনফো ব্যবহার করে যোগাযোগ করুন। এছাড়া ফেসবুক, লিংকডইনসহ অনেক জব বোর্ডে ব্লগ পোস্ট রাইটার এর খোঁজে পোস্ট করা হয়।
অনলাইনে আয়ের আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, যার কথা ইতিমধ্যে অনেক পোস্টে উল্লেখ করেছি। অন্যের সেবা বা প্রোডাক্টের প্রোমোশন চালিয়ে সেলস থেকে পাওয়া কমিশন এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভালো বিষয় হলো যেকেউ এর মাধ্যমে আয় করতে পারে। আবার তুলনামূলক কম পরিশ্রমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায়। এই ধরুন আপনার পছন্দের ১০মিনিট স্কুল কোর্স বা দারাজ প্রোডাক্ট নিয়ে ছোট একটা ফেসবুক পোস্ট লিখলেন, আর সেখানে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকটি যুক্ত করে দিলেন।
কেউ যখন আপনার পোস্টে দেওয়া লিংক ব্যবহার করে উক্ত প্রোডাক্ট কিনবে, তখন আপনি পাবেন অ্যাফিলিয়েট কমিশন। এর উপর আপনার যদি ফলোয়ারসহ ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ অনেকটা সহজ হয়ে গেলো।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
যদিও এই টাকা রিওয়ার্ড পয়েন্ট হিসাবে পাবেন আপনি। যা দিয়ে মোবাইল রিচার্জ বা অন্যান্য বিল পে করতে পারেন। অ্যাপ ইন্সটল করার পাশাপাশি এখানে ভিডিও ফরম্যাটে বিজ্ঞাপন দেখারও পয়েন্টস দেওয়া হয়। অন্যান্য ইউজারদের ইনভাইট করেও পয়েন্টস সংগ্রহ করতে পারেন।
অনলাইন আয়ের আরও একটি সহজ উপায়। এই অ্যাপ আপনার ফোনের লকস্ক্রিনের বদলে একটি বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কন্টেন্ট শো করতে বলবে। যতগুলি বিজ্ঞাপন দেখবেন ঠিক ততই টাকা পাবেন।। তবে এই টাকা আসে ক্যারট রূপে। প্রতি 1,000 ক্যারটে 1 ডলার পাবেন যা দাঁড়ায় প্রায় 68 টাকা। 15 দিন বাদ এই টাকা Paypal অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ট্রান্সফার করা যাবে।
এই অ্যাপে টাকা আয়ের পদ্ধতি হল এটি আপনার কি-বোর্ডে কিছু বিজ্ঞাপন শো করাবে। ইন্সটল করার পরই সেই নোটিফিকেশন চলে আসবে। যত বিজ্ঞাপন দেখবেন তত টাকা ক্রেডিট হবে। প্রতি বিজ্ঞাপনে 1 টাকা করে দেবে Keettoo। যা Paytm অথবা Mobikwik ওয়ালেটের মাধ্যমে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আনতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় ফোনেই কাজ করে এই অ্যাপ। এখানে আপনি যে যে রেঁস্তোরায় খাবার খেয়েছেন তার বিল আপলোড করতে হবে। তারপর 5 টাকা করে অ্যাপের ওয়ালেটে ক্রেডিট করা হবে। এই অ্যাপের আরও একটি সুবিধা হল আপনার লোকেশনের নিকটবর্তী কী কী রেঁস্তোরা রয়েছে তাও দেখা যাবে।
অফলাইন ব্যবসা যেমন রেঁস্তোরা, স্পা এই জাতীয় অংশীদারদের কাছ থেকে যখন কোনো অ্যাপ ইউজার পরিষেবা নেবে এবং তার বিল আপলোড করবে তার পরিবর্তে ক্যাশব্যাক দেবে এই অ্যাপ। 2014 সাল থেকে শুরু হয় CrownIt। এই অ্যাপে পাওয়া ক্যাশব্যাক অন্যান্য কাজে যেমন অনলাইন শপিং, সিনেমা এবং রিচার্জে ব্যবহার করতে পারেন।