ঘরে বসে মোবাইলে আয়
ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায় বর্তমান বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ। দিনের পর দিন আমরা নতুন নতুন আইডিয়া গ্রহণ করে জীবনযাপন প্রণালি পরিবর্তন করছি। স্মার্টফোন হচ্ছে বিশাল পরিবর্তনের একটা মূল মাধ্যম, যার সঠিক ব্যবহারে আপনি করতে পারেন আপনার স্বপ্ন পূরণ। ফ্রি টাকা ইনকাম
ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, তা হচ্ছে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট। বর্তমান যুগে এসে মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা অনেকটা কঠিনই। আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট লাগবে।
ঘরে বসে মোবাইলে আয়
ঘরে বসে আয় করার নানা উপায় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সফলতা অর্জন সম্ভব। এমন না যে, আজকে শুরু করলাম আর কাল থেকে টাকা আসা শুরু হবে। নানা প্রলোভন ও প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে অনলাইনে। তাই সর্তক হয়ে সব কিছু জেনে বুঝে অনলাইনে আয় করার পথ বেছে নিতে হবে। আজকে আমরা ঘরে বসে আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বর্তমানে সবকিছুই অনলাইন প্লাটফর্মে ধাবিত হচ্ছে। তাই অনলাইনে কাজ করে আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর এই কাজ ঘরে বসে করা সম্ভব। ঘরে বসে আয় করা নিশ্চিত উপায় রয়েছে।
ঘরে বসে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ঘরে বসে কোন ধরনের সার্ভিস প্রদান করা যায় তা জানতে হবে। তার পরে আপনাকে জানতে হবে কোথায় আপনি সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারবেন। ঘরে বসে আয় করার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যা অনলাইন মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
বর্তমানে আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এইসব মার্কেট প্লেসে আপনি ঘণ্টা হিসেবে অথবা গিগ সাার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে আপনার কাজের দাম নির্ধারণ করতে পারেন।
অনলাইন ইনকাম করার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এড দেখে টাকা ইনকাম করা। আপনি যদি বিনা খরচে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করতে পারেন তবে অন্য কিছু করার প্রয়োজন নেই।
আমরা জানি বর্তমান সময়ে অনেক লোক আছে যারা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদিতে অযথা সময় নষ্ট করছে দিনে পর দিন। আপনি যদি চান অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি ফেসবুক এ সময় না দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য মনযোগ দিন। যে সকল ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন আজই সেই সকল সাইট খুঁজে বের করুন। তবে এই আর্টিকেলে আপনাকে সেসব সাইটের খোঁজ আমরা দিচ্ছি। আপনার কাজ আর্টিকেলটি পড়ে কাজ শুরু করা।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট
আপনারা সকলেই কমবেশি টেলিভিশন বা ইউটিউব ভিডিও দেখে থাকেন। আমরা যখন টেলিভিশনে মুভি, নাটক, গান ইত্যাদি দেখার সময় উপরিউক্ত প্রোগ্রামের মাঝে মাঝে কয়েক মিনিটের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির পন্য/দ্রব্য ইত্যাদি প্রচারের
আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে উপার্জন করতে চান তাহলে সত্যিই টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক লোক যারা নিজের ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে এড দেখে হাজার হাজার টাকা আয় করে আসছেন।
এখানে এড দেখার বিনিময়ে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটটি বেশ পুরোনো। এই সাইটে বাংলাদেশের অনেক লোক কাজ করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছেন।
ঘরে বসে কিভাবে আয় করা যায়
অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি।
আরো পড়ুন: টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।
অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়,
অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে।
তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।
মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
প্রযুক্তি আমাদের জীবন ও কর্মে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। দুনিয়াজুড়ে বাড়ছে অনলাইন জগতের প্রতি নির্ভরতা। অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জনের নানান পথ তৈরি হয়েছে। এসব কাজ যেমন আরামদায়ক, তেমনি সৃজনশীলও বলা যায়। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহিণী কিংবা নিয়মিত চাকরি করছেন
এমন ব্যক্তিরাও অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে বসে অনলাইনে যেভাবে ডলার বা টাকা আয় করবেন, তা জানতে আমরা আলাপ করেছি তেমনই কিছু পেশাদার ব্যক্তির সঙ্গে। চলুন জেনে নিই কীভাবে অনলাইনে আয় করা যায়।
এক দশকের বেশি সময় ধরেই অনলাইনে বড় ধরনের টাকা আয়ের সুযোগ আছে। আপওয়ার্ক, ফাইবারসহ বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসে ঢুঁ মারতে পারেন কনটেন্ট-সংক্রান্ত সুযোগ দেখতে। এ ছাড়া ফেসবুক বা লিংকডইন থেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কনটেন্ট তৈরির কাজের খোঁজ পাবেন। স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহফুজ কায়সার বলেন, ‘
আরো পড়ুন: add দেখে টাকা ইনকাম
এখন অনলাইনে নানান ধরনের কনটেন্টের চাহিদা। যে পরিমাণ চাহিদা, সেই পরিমাণ কনটেন্ট লেখক নেই। তাই নিজের মধ্যে সেই গুণ থাকলে কাজে লেগে পড়তে পারেন আপনিও। কনটেন্টের ধরনের ওপর নির্ভর করে আপনি সেখান থেকে পারিশ্রমিক পাবেন।
এসব কাজের জন্য যে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। আপনি চাইলে ইউটিউবের ভিডিও দেখেও প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। সাধারণ ল্যাপটপ ব্যবহার করেই এসব কাজ শুরু করা যায়।’
এখন ফেসবুকের মাধ্যমে এফ–কমার্স বিস্তৃত হচ্ছে। আবার ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্যাশন ও ডিজাইননির্ভর উদ্যোগের বিকাশ ঘটছে। উদ্যোক্তারা এসব প্ল্যাটফর্মে নিজেদের পণ্য ও সেবা বিক্রির কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজের ও টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
নারী উদ্যোক্তা ও অনলাইন ফ্যাশন প্ল্যাটফর্ম অরাম বাংলাদেশের প্রধান নিশাত আনজুম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে পণ্যের অর্ডার আসে।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট, ছবি বা ভিডিও শেয়ারের বিষয়গুলো যেনতেনভাবে করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে তরুণেরা কাজ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে মাসে ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব ঘরে বসে।’
নিজের হাতের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেই আপনি সেসব সেরে নিতে পারবেন। কেউ কেউ আরও দক্ষ লোকবল খোঁজেন, যাঁদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো ফেসবুকের নানা পোস্ট তৈরি, পোস্ট আপলোড, কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি করেন। এসব পেজের ম্যানেজার হিসেবে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা কোনো ব্যাপার নয়।
ফ্রি টাকা ইনকাম
ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট apps অনেকে রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি সঠিক এবং আসল ফ্রী টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট apps এর সম্পর্কে বিস্তারিত না জানেন তাহলে আপনি টাকা ইনকাম করতে ব্যর্থ হতে পারেন।
- ক্যাসক্যারম (Cashkarm )
- অ্যাপসকারমা (Apps Karma)
- ভিউ টাকা ( View Taka )
- স্কাই মিনিং (Sky Mining)
কিন্তু কোন সমস্যা নেই আপনার যদি কোন যোগ্যতা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সে বিষয়গুলি বা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ভালোভাবে শিখে কাজ শুরু করতে পারেন। বর্তমানে কাজ শিখার জন্য ফ্রিতে আপনি ইউটিউব ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি ভালোভাবে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি কোন ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ভালো হবে।
আপনি চাইলে ফ্রিতে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। এবং আপনি আপনার সেই টাকা বিকাশে
নগদে নিতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেই ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি বিকাশে / নগদে তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশ পেমেন্ট
লেখা লেখি করে আয় করার জন্য আপনার কোন যোগ্যতা না থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনি তাদের ওয়েবসাইট থেকে সে বিষয়ে ভালোভাবেই শিখে তারপরে তাদের কাছেই কাজ শুরু করতে পারেন। অথবা আপনি যদি এদের মধ্যে লেখালেখি করার অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন এখন থেকেই।
এজন্য কোন না কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতার থাকতে হবে সেটি হতে পারে মার্কেটিং হতে পারে মার্কেটিং কিংবা ডিজাইনের কাজ। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকে আপনার যদি কোন বিষয়ে যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ফ্রিতে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। নিম্নে কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্রেসিডেন্ট তুলে ধরা হলো।
- আপওয়ার্ক
- ফাইবার
- ফ্রিলান্সিং
আপনি উপরোক্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারেন। উপরোক্ত মার্কেটপ্লেস গুলো ছাড়া বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অনেক রয়েছে অনলাইনে। আপনি যদি গুগল এ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট পেয়েছে তালিকা খোঁজ সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্রেসার অনেক তালিকা খুঁজে পেতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি যানতে চান যে, কিভাবে মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়
বর্তমান আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ছেলেরা যেমন ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারে অনলাইনের মাধ্যমে। ঠিক তেমনিভাবে মেয়েদেরও ঘরে বসে আয় করার বিভিন্ন উপায় বের হয়েছে।
এখন আর চাকরির জন্য বিভিন্ন অফিসে দূর করায় যেতে হয় না ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে মেয়েরা অর্থ উপার্জন করা থাকে।
আপনি যদি কোন অফিসে চাকরি করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ৯টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট অফিসে অফিস করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার বাড়তি কোন কাজ করার সুযোগ পাবেন না।
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে নির্ভর করবে আপনার কাজ, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। আপনি যত বেশি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করা সুযোগ পাবেন।
ঘরে বসে মেয়েরা হস্তশিল্প তৈরি করতে পারে। যেমন: কাগজের তৈরি শিল্প, পুঁতি ও ব্রেসলেট ইত্যাদি অতি নৈপুণ্যে তৈরি করতে পারে। এছাড়া মেয়েরা যেকোনো শৌখিন জিনিস ও সজ্জিত উপকরণ তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারে।
আরো পড়ুন: অনলাইন ইনকাম করার উপায়
উপরোক্ত তৈরি পণ্যগুলো এখন ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে বিক্রি করা যায়। বর্তমানে অনেকগুলো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে মার্কেটিং করা যায়।
এসব সোশ্যাল মিডিয়ার নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে মার্কেটিং করে সফলতা লাভ করা সম্ভব। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে।
মানুষ এখন ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্ত হয়ে পড়েছে। মেয়েরা চাইলেই, হস্তশিল্পের পণ্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে কাস্টমারের নিকট পৌঁছে দিতে পারবে।
সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা জনপ্রিয় হলো ফেসবুক। ফেসবুকে খুব সহজে একটা ব্যবসায়িক পেজ তৈরি করে মার্কেটিং করা যায়। এখানে চাইলেই ফ্রিতে মার্কেটিং করা যায়। এজন্য আপনার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রতিনিয়ত আকর্ষণীয় পোস্ট করে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
হস্তশিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন ইমেজ ও পোস্ট পাবলিশ করলে একটা অডিয়েন্স বেস তৈরি হয়ে যাবে। সেখানে আপনি নিজে তৈরি হস্তশিল্পের মার্কেটিং করে বিক্রি করতে পারবেন। এ ছাড়া আপনি ফেসবুকের পেজ মার্কেটিং করে প্রথম অবস্থায় কাঙ্খিত গ্রাহকদের নিকট পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই ফেসবুক মার্কেটিং অল্প সময়ের মধ্যে আয়ত্ত করতে পারবেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে পণ্য অর্ডার গ্রহণ করে সেগুলো ডেলিভারি দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন। অনলাইনে মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। গ্রাহকদের সাথে প্রতারণামূলক কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না। গ্রাহকরা আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
রান্নাবান্নার রেসিপি নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করলে সেটার কদর বেশি রয়েছে ইউটিউবে। আপনি যদি রান্নাবান্না বিষয়ে অনেক বেশি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তবে সেগুলোর রেসিপি ভিডিয়ো তৈরি করে, সেটা থেকে ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন।
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করার অন্যতম সেরা জনপ্রিয় উপায় হলো রান্না-বান্নার রেসিপি তৈরি করে আয়। আপনার রান্নাবান্না নিয়ে জ্ঞান-স্বল্পতা থাকতে পারে। এজন্য আপনি বিভিন্ন রান্না বিষয়ক ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ইংলিশ এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে রান্না বিষয়ে। সেখান থেকে রেসিপি নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করতে পারেন।
তারপর ভিডিয়োগুলো আপনি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আপলোড দেবেন। সবসময় ব্যতিক্রমধর্মী রান্নাবান্নার রেসিপি নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করতে হবে। এসব ভিডিয়ো ইউটিউবে আপলোড করার পর, বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করতে হবে। এতে আপনার অনেক ফলোয়ার ও ভিউ হবে। এভাবে ঘরে বসে আপনি ইউটিউব থেকে রোজগার করতে পারেন।
বাংলাদেশের অনেক বড়ো বড়ো ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যেগুলো রান্নাবান্নার ভিডিয়ো করে এখন জনপ্রিয়। আপনি রেসিপি ভিডিয়ো তৈরি করার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে রিভিউ ভিডিয়োও তৈরি করতে পারেন। এভাবে আপনি ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েব সাইট যেমন ফেসবুক পেজ থেকেও আয় করতে পারবেন ভিডিয়ো কন্টেন্ট পাব্লিশের মাধ্যমে।
ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
আজকে আমি আপনাকে দেখিয়ে দিবো কিভাবে আপনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইন কাম করতে পারেন। আপনি যদি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘরে বসে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে একটি স্মার্ট ফোন থাকতে হবে।
আপনার কাছে যদি একটি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনেকেই ফোন থাকা সত্ত্বেও টাকা ইনকাম করতে পারে না কারণ তারা সঠিক গাইডলাইন হয় না এবং তারা হয়তো জানেন না কোন কোন উপায় অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করতে হয়। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে মনোযোগ দিয়ে পোস্ট করতে থাকুন। আপনি যদি ঘরে বসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে।
চলুন কয়েকটি সহজ উপায় জেনে নেই যে এই কাজগুলি করলে আপনি সহজে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে।
- কন্টেন্ট রাইটিং
- সিপিএ মার্কেটিং
- নিজের পণ্য বিক্রয়
- ব্লগিং
- ড্রপ শিপিং
সেখানে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্যই আপনি সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে তারপর সেখানে ভর্তি হবেন। কারণ বর্তমানে অনেক আইডি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলিতে ভর্তি হওয়ার পর তারা কোন কাজ দিতে পারেনা শুধু আপনাকে কাজ শিখিয়ে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে অনলাইন প্রত্যেকটা মানুষ ব্যবহার করে ছোট থেকে শুরু করে ভুল পর্যন্ত যারা রয়েছে তারা প্রত্যেকেই অনলাইনে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে থাকে।
বর্তমানে সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনকাম করার মাধ্যম। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন জেনে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই অনেক রকম মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিক্রি করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইন
ইনকামের পাশাপাশি অনেকেই এই গ্রাফিক ডিজাইন কিনে থাকে এবং দিন দিন এর চাহিদা বহুৎ পরিমান বেড়ে চলেছে। আপনারা যদি অনলাইন থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন আপনার জন্য একটি সেরা পথ গ্রাফিক ডিজাইন শিখে টাকা ইনকাম করা।
এখন অনেকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করে চলেছে এবং দিন দিন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। অনেক রকম আউটসোর্সিং সম্পর্কিত কাজ অনলাইনে পাওয়া যায় এবং সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ওয়েবসাইট তৈরি করার মতন কাজ।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কোডিংসম্পর্কে অনেক ভালো ধারণা লাগবে এবং কোডিং সম্পর্কের কাজ শিখতে হবে। আপনি যদি কোডিং করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে ইনকাম করে ভালো টাকা আয় ইনকাম করতে পারবেন। HTML দিয়ে প্রথমে কাজ শুরু করা কোডিং এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো।
ওয়েব development করে আপনারা সাধারণত প্রতিমাসে তিন হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। আপনার দক্ষতা ও স্কেলের উপর নির্ভর করবে আপনার প্রতি মাসের ইনকাম ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে।
তাছাড়াও আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কাছে আর্টিকেল রাইটিং করে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন। আপনার স্কিল এবং দক্ষতার উপর আপনার ইনকাম আর্টিকেল রাইটিং থেকে আসবে। গল্প কবিতা লিখে আয় বিকাশে পেমেন্ট পরবর্তী ধাপ নীচে👇
তাছাড়া আপনি ফাইবার ফ্রিল্যান্সার ডটকম নানা রকম মার্কেটপ্লেস এ আর্টিকেল রাইটিং করে সেগুলো বিক্রি করে খুব ভালো ইনকাম করতে পারবেন। পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ আর্টিকেল রাইটিং কে নিজের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। গল্প কবিতা লিখে আয় বিকাশে পেমেন্ট পরবর্তী ধাপ নীচে👇 আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং এ দক্ষ হতে পারেন। আপনি প্রচুর আয় ইনকাম করতে পারবেন এই আর্টিকেল রাইটিং করে।
ঘরে বসে হাতে লিখে আয়
প্রিয় পাঠক, আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কিভাবে মেয়েদের ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায়। যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তাদের জন্য এই নিবন্ধটি খুবই প্রয়োজনীয়। আজকাল পুরুষদের মতো নারীরা ঘরে থেকে আয় করলে সংসার চালানো খুব সহজ। ঘরে বসে মোবাইলে অর্থ উপার্জনের উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
আজ এই পুরো প্রবন্ধে আমরা মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়, মেয়েদের জন্য বাড়ি থেকে অর্থ উপার্জনের উপায়, মহিলাদের জন্য গৃহ ব্যবসা, বাংলাদেশ থেকে জরিপ আয় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব।
আজকাল ফেসবুক লাইভে নারীদের বিভিন্ন পোশাক বিক্রি করতে দেখা যায়। এটি সবচেয়ে বড় অনলাইন আয়ের প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি। এ ব্যবসার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই ব্যবসার জন্য কোনো দোকান বা কোনো শোরুম বা ভাড়ার জন্য জায়গার প্রয়োজন হয় না।
এই ব্যবসায় সর্বোচ্চ মুনাফা সম্ভব। আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারেন যদি আপনি কিছু উপায় অবলম্বন করেন যেমন,, অবশ্যই এখানে ভালো লাভ করা সম্ভব। নারীরা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারেন আজকে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার কথা বলব। প্রথম দেশীয় ব্যবসা হবে ক্যাটারিং। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে অর্থ উপার্জন করুন
বিভিন্ন ফ্যাশনেবল পোশাক উৎপাদন ও বিক্রয় অনলাইন টিউটরিং (যেমন 10 মিনিট স্কুল) সামাজিক মিডিয়া ব্যবস্থাপ। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ফেসবুকে তৈরি করা। ইউটিউবে রান্নার ভিডিও করার পাশাপাশি। শট তৈরির সাথে সম্পর্কিত টিপস এবং কৌশল।
বর্তমানে, ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের অন্যতম উপায় হ'ল হাতে লিখে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা। আপনি যদি ঘরে বসে লেখার অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আপনার লেখার মান অন্যদের থেকে ভাল হওয়া উচিত।
আপনার নিজস্ব সৃজনশীলতা আছে. আপনার নিজের সৃজনশীলতা থাকলে, আপনি ফাইবার আপ ওয়ার্কের মতো বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিষয়বস্তু লিখতে পারেন।
একজন ভালো লেখক এই লেখার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। তবে মানসম্পন্ন লেখা অবশ্যই সম্পূর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশে অনেক ব্লগিং কোম্পানী আছে যেগুলো দিয়ে আপনি লিখে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। ব্লগিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি হল অর্ডিনারি আইটি।
আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন তবে আপনি আপনার লেখার দক্ষতা দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইনে অর্থ উপার্জনের আরও কয়েকটি উপায় রয়েছে, তার মধ্যে একটি হল সার্ভে সাইট।
বর্তমানে, বাংলাদেশে অনেক তরুণী ঘরে বসে ক্যাপচা টাইপ করে বা জরিপ সাইটে কাজ করে প্রতি মাসে কমপক্ষে 15-20 হাজার টাকা আয় করছেন। এই সব কাজ কোথাও যেতে হবে না।