পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন লাগে

পাসপোর্ট পাওয়া যায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হওয়ার ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এই সময়কাল ভিন্ন হতে পারে বিভিন্ন কারণে। আপনি যখন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন এক অপরিহার্য প্রক্রিয়া বলে গন্য হয়।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন লাগে

এটা নির্ভর করে ভেরিফিকেশনের জটিলতা, উৎসবের মৌসুম, বা প্রশাসনিক বিলম্বের উপর। অতিরিক্ত জরুরি প্রয়োজনে, তথাকথিত 'তাত্ক্ষণিক পাসপোর্ট' সেবাও বা দ্রুত পাসপোর্ট সেবাও কিছু দেশে উপলব্ধ।

পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কত দিন লাগে

যে ব্যক্তি পাসপোর্ট এর আবেদন করছেন সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক কিনা সেটা যাচাই করার জন্য।

পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আমরা অনেকেই জানিনা পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কতদিন পরে আমাদের কাঙ্খিত পাসপোর্টটি হাতে পাওয়া যাবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো পুলিশ ভেরিফিকেশনে কতদিন পর পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়

পুলিশ ভেরিফিকেশনের কতদিন পরে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে সঠিকভাবে বলা কঠিন। কারণ এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয় এবং ডকুমেন্টের উপর, তাই নিচে বেশ কিছু বিষয়ের কথা নিচে তুলে ধরা হলো।

বিশেষ করে নতুন পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে সব থেকে ১৫ কার্য দিবস পর্যন্ত। এছাড়াও প্রিন্ট এবং ডেলিভারিও তারা সময় লাগতে পারে ৭ হতে ১০কার্য দিবস। আরো সময় লাগবে ৫ হতে ৭ কর্ম দিবস, মোট কথা বলা যায় ১০ থেকে ১৭ কার্য দিবস সময় লাগতে পারে।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট কর্মকর্তা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে, তাহলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ হতে দেরি হয় না। কিন্তু যদি আঞ্চলিক কর্মকর্তা কম থাকে সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট হাতে আসতে দেরি হতে পারে।

পাসপোর্ট দুইভাবেই নেওয়া যায়, একটি হলো স্পিড পোস্ট, অন্যটি হলো সাধারণ ডাকএর মাধমে। আপনি যদি স্পিড পোস্টে নিতে চান তাহলে সময় কম লাগবে, আর যদি আপনি ডাকযোগে নিতে চান তাহলে সময় একটু বেশি লাগতে পারে।

পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য যে ফর্ম পূরণ করা হয়, সেই ফর্মে যদি পরিপূর্ণ তথ্য না থাকে, সে ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণে ত্রুটি হতে পারে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সাপ্তাহিক ছুটি, কর্ম বিরতি ইত্যাদি সংক্রান্ত কারণে ও পাসপোর্টে পেতে দেরি হতে পারে।

র্তমানে অনলাইনে তাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের রয়েছে, অনলাইনে এর মাধ্যমে আপনারা সহজে পাসপোর্ট এর সকল তথ্য পেয়ে যাবেন .এছাড়াও বিভিন্ন এসএমএসের মাধ্যমেও তারা তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম

তোলা হচ্ছে মুখের ছবি, নেয়া হচ্ছে স্বাক্ষর। আবেদনের সঙ্গে যে সমস্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে – চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত সনদ/ ভোটার আইডি কার্ড/ জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বিদ্যুৎ, গ্যাস/ পানির বিল/ বাড়ির দলিলের ফটোকপি ইত্যাদি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। – ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র/ পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। পাসপোর্ট করার সময় লক্ষ্যণীয় 

আবেদনকারী নির্ধারিত ফরম অথবা আবেদন ফর্মের অবিকল টাইপ, সাইকোস্টাইল, ফটোকপিকৃত ফর্মে আবেদন করতে পারেন। বছরের কম বয়সি শিশুদের পাসপোর্ট তাদের মায়ের সাথে একত্রে করতে পারবে।

পনের বছরের কম বয়সি শিশুদের পৃথক পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মা ও বাবা দুজনের অথবা বৈধ অভিভাবকের স্ট্যাম্প সাইজ দুইটি ছবি আবেদন পত্রের নির্দিষ্ট জায়গায় লাগাতে হবে এবং ছবি সত্যায়িত করতে হবে। – নতুন পাসপোর্ট বারো বছরের কম বয়সি সন্তানের নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি লাগবে।
নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হলফনামা লাগবে। – পেশা পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পেশার সপক্ষে সনদ আবশ্যক হবে। – 

স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকা বা ভোটার পরিচয়পত্র অথবা পরিবর্তিত ঠিকানা সম্পর্কে যে কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আবশ্যক হবে। – সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে ওই সন্তানের জন্ম সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানায় ভেরিফিকেশন করে। আর পুলিশের রিপোর্ট প্রদানের পরই পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস ওয়ানস্টপ সার্ভিস পাওয়ার জন্য আপনাকে সাধারণ পাসপোর্টের মতোই ফরম সংগ্রহ করা জমাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে ।

পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কত টাকা লাগে

আধার কার্ড ভোটার কার্ড প্যান কার্ড পাসপোর্ট সাইজ ছবি ড্রাইভিং লাইসেন্স এরপর বাংলাদেশ পুলিশ (Bangladesh Police) ওয়েবসাইটের বাম পাশের উপরে প্রথমে থাকা অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (Online Police Clearance) ওয়েবসাইটে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। চাইলে সরাসরি এখানে ক্লিক করে অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (Police Clearance) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (Police Clearance Certificate) এর আবেদন করার পূর্বে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে তা হলঃ প্রার্থীর পাসপোর্টের তথ্য পাতার স্কেন কপি বা ফটোকপি করে ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি করে ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে। বাংলাদেশী নাগরিক বর্তমানে যে দেশে অবস্থান করে সেই দেশে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস 
কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত করে সেই সত্যায়িত কপি স্ক্যান করে নিতে হবে। সেই সত্যায়িত স্ক্যান কপি ই-মেইল বা যেকোন অনলাইন মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সদস্যকে প্রেরণ করতে হবে। 

পরিবারের সদস্য যখনই অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন করবেন তখন সেই স্ক্যান কপি দাখিল করতে হবে।

অন্যদিকে বিদেশী নাগরিকদের (যারা বাংলাদেশী নাগরিক নয়) ক্ষেত্রে নিজ দেশের জাস্টিস অব পিস (Justice of Peace) কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য পাতার স্ক্যানকপি দাখিল করতে হবে।

যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ফটোকপি করে ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে।

পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনে টাকা নিলে শাস্তি

পাসপোর্ট করে দিতে বললে তিনি প্রথমেই বলেন, ‘আপনি কি চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা? যদি স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তাহলে আপনাকে দুই জায়গায় ভেরিফিকেশন করাতে হবে। এজন্য আপনাকে ৭ হাজার ৩০০ টাকা দিতে হবে। 

একটি জায়গায় ভেরিফিকেশন করতে হলে ৬ হাজার ১০০ টাকা দিতে হবে। যদি জরুরি ভিত্তিতে করতে হয়, তাহলে প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য দিতে হবে ১২ হাজার টাকা।’

এভাবেই দালালকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ঝামেলায়ও পড়তে হয় না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট করে নিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। দালালরা পুলিশকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করায় ঠিকমতো ভেরিফিকেশন হয় না। ফলে পাসপোর্ট করতে এসে ধরা পড়ছে না রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গারা কীভাবে পাসপোর্ট পাচ্ছে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন চিত্র উঠে এসেছে। তবে এ কাজের পেছনে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত। কারণ নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছে। আর জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে তাদের সহায়তা করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার এক বাসিন্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাস খানেক আগে দালালের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে একটি পাসপোর্ট করেছি। দালালকে টাকা দেওয়ার পর আমাকে আর কিছু করতে হয়নি। এক সপ্তাহ পর দালাল পাসপোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন।’

পাসপোর্ট করেছেন এমন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ভেরিফিকেশনের সময় পাসপোর্ট আবেদনকারীর কোনও তথ্যই সঠিকভাবে যাছাই-বাছাই করা হয় না। অভিযোগ রয়েছে, ভেরিফিকেশনের সময় আবেদনকারীর ঠিকানায় গিয়ে তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ সময় পুলিশ তা করে না।

গত ৫ জুলাই পাসপোর্ট আবেদন করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী আফসান হাসান নেহা। ১৫ জুলাই পুলিশ তার বাসায় এসে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করার পর ২০ জুলাই তিনি পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। তবে এ ধরনের ঘটনা সংখ্যায় অনেক কম।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনে আমরা (পুলিশ) আবেদনকারীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিই। তার নাগরিকত্ব সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক আছে কিনা এগুলো দেখা বাধ্যতামূলক নয়। এরপরও পুলিশ সদস্যরা ভেরিফিকেশনের সময় কাগজপত্রগুলো ঠিক আছে কিনা মিলিয়ে দেখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন যদি মামলার তদন্তের মতো করা হয়, তাহলে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট হাতে পেতে অনেক বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। আবার সব বিষয় খতিয়ে দেখতে গেলে আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ টাকার জন্য তাদের নাজেহাল করছে।
তাহলে পুলিশ সদস্যরা যাবে কোথায়? এক্ষেত্রে কারও গাফিলতি ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সুতরাং কোনও পুলিশ অফিসার চাইবে না, অন্যের জন্য সে বিপদে পড়ুক।’

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) আব্দুল ওয়ারিশ বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটতো। আগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারী তথ্য যাছাই-বাছাই ছাড়াই ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেয়ে যেতেন। কিন্তু সেটি এখন অনেক কমে গেছে। 

আমি বলবো মহানগরীতে এটি এখন শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। তারপরও একেবারে দু-একটা হচ্ছে না, তা নয়। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি সংশ্লিষ্টদের পুলিশ সদস্যদের বলে দিয়েছি, যেন একটা ভেরিফিকেশন রিপোর্টও যাছাই-বাছাই ছাড়া না যায়।’

ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দেওয়ার সময় টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেই পুলিশ সদস্য ভেরিফিকেশন করেন, তাকে সরকার বেতন দেয়। আর যাতায়াতের জন্য তিনি টিএডিএ পান। তাই ওই পুলিশ সদস্য কোনোভাবে আবেদনকারীর কাছ থেকে টাকা নিতে পারেন না। কেউ টাকা চাইলে তিনি বিষয়টি তাকে অবহিত করার অনুরোধ জানান।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগে

অনেকেই আবার পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম জানেন বা। তাই আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। পাসপোর্ট রিনিউ করতে আমাদের কিছু কাগজপত্র লাগবে, সেগুলো থাকলে অনলাইনে আবেদন করে রিনিউ করা যাবে।

আসলে নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করা ও রিনিউ আবেদন করার প্রসেস প্রায় একই। শুধু অল্প কিছু পার্থক্য আছে। সংক্ষেপে পাসপোর্ট রিনিউ বা রি-ইস্যু করার নিয়ম বা ধাপ এগুলো। এই লিস্ট দেখলেই হয়ত বুঝে যাবেন কি করতে হবে।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে যেসব কাগজপত্র লাগে তা সব নতুন পাসপোর্ট করার মতই। তবে যেহেতু রিনিউ আবেদনকারীদের আগের একটা পাসপোর্ট আছে তাই অনেক পাসপোর্ট অফিসে কাগজের কিছু শিথিলতা থাকে। 
সবচেয়ে বেস্ট হল আপনি যে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করবেন সে অফিসে কেউ রিনিউ আবেদন করে থাকলে তার খোজ নেয়া। যাইহোক চলুন দেখে নেই পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে! জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (নিম্নোক্ত বয়স অনুযায়ী)

১৮ বছরের নিচে হলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ। ২০ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যক। পেশাগত প্রমাণ (যেমন ছাত্র হলে স্টুডেন্ট আইডি, জব হোল্ডার হলে জব আইডী, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, কৃষক হলে জমির খতিয়ান এসব) ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার, উকিল ও অন্যান্য পেশার লোকদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদ।

পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট

তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই প্রতিবেদনে বাড়ি বসে নতুন পাসপোর্ট আবেদন (Passport Application) করার সব উপায় জানানো হবে। পাসপোর্ট (Passport Status) হাতে পেতে নতুন কিছুই করতে হবে না। জানলে অবাক হবেন মাত্র 3 দিনের মধ্যে নতুন পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন। 

কিন্তু এই জন্য তৎকাল পাসপোর্ট (Tatkaal Passport) আবেদন করতে হবে। Passport Seva ওয়েবসাইট থেকেই বাড়ি বসে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে।

পাসপোর্ট ইন্ডিয়া প্রকাশিত তথ্য অনুসারে আবেদন জমা দেওয়ার পরে আপনার নথিগুলি যাচাই করা হবে। আবেদন চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তৃতীয় দিনে আপনার পাসপোর্ট তৈরি হয়ে যাবে। পাশাপাশি পুলিশ ভেরিফিকেশনের ঝামেলা থেকেও মিলবে মুক্তি।

সাধারণ পাসপোর্টের আবেদনের জন্য আপনাকে 1,500 টাকা ফি অনলাইনে জমা দিতে হবে। পাসপোর্টের আবেদন করার সময় এই ফি অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। যদিও তৎকাল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। Tatkaal Passport আবেদন করতে 2,000 টাকা ফি জমা দিতে হবে। আপনি অনলাইনে আবেদন করলে পাসপোর্ট সেবা ওয়েবসাইট থেকেই এই ফি জমা দিতে হবে।

দেশের প্রায় সব নাগরিক তৎকাল পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা হন তাহলে তৎকাল পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন না। তবে শুধু বড়রা নন, ছোটরাও তৎকাল পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। তবে এই জন্য সব নিয়ম মানতে হবে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন