জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২৪

ই পর্চা বের করার নিয়ম আপনাকে দিনের পর দিন ভূমি অফিসে ঘুরতে হবে না। আপনি এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে জমির খতিয়ান বের করতে পারবেন। সেই সাথে জমির খতিয়ানের অনলাইন কপি ও সার্টিফাইড কপিও সংগ্রহ করতে পারবেন। www.land.gov bd আর এস খতিয়ান

ই পর্চা বের করার নিয়ম

একটি জমি কার কার নামে রেকর্ড হয়েছে তা জানার প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়। রেকর্ড যাচাই এখন অনলাইনেই করা যায়। এজন্য, আপনার কাছে শুধু একটি মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২৪

অনলাইনে জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম 2024 জানার আগে জেনে নিন জমির খতিয়ান কি। মৌজা বা এলাকা ভিত্তিক একাধিক বা একজন ভূমি বা জমির মালিকের জমিজমার বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপ কালে তৈরি করা হয় তাকেই জমির খতিয়ান বলে।

এই জমির খতিয়ানে ভুমধ্যাধিকারীর ও প্রজার নাম, খাজনার হার, জমির দাগ নাম্বার, প্রকৃতি ইত্যাদি দেওয়া থাকে। আমাদের দেশে জমির খতিয়ান বিভিন্ন রকমের দেখা যায়।

সি এস খতিয়ান সম্পর্কে জানার আগে আর এস খতিয়ান সম্পর্কে জেনে নিন। কখনো জমির জরিপ হওয়ার পর যদি ভুল-ত্রুটি থেকে থাকে তার সংশোধন করার জন্য যে জরিপ করা হয় তাকে আরএস খতিয়ান বলে।

জরিপ কর্মচারীরা এসএ জরিপের আলোকে খতিয়ান তৈরীর সময় সরেজমিনে তদন্ত করেনি এবং সেখানে অনেক ভুল ক্রটি থেকে গেছে।  এই খতিয়ানটিই আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত। আমাদের সম্পূর্ণ দেশে আরএস খতিয়ান এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি তবে অনেক জেলাতেই চূড়ান্তভাবে আর এস খতিয়ান প্রকাশিত হয়েছে।

আরো পড়ুন: জমির খতিয়ান ডাউনলোড

আরএস খতিয়ানে সাধারণত জমিজমা মাপামাপির ক্ষেত্রে ভুলক্রটি কম দেখা যায় কারণ এই জমিজমা মাপামাপির সময়ে সরাসরি সরকারি আমিনরা মাঠে উপস্থিত থাকেন।

তবে এই আরএস খতিয়ানটি আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গাতেই বিএস খতিয়ান নামেও পরিচিত। আর এস খতিয়ান সম্পর্কে জানলেন এইবার জানবেন সি এস খতিয়ান কি।
সি এস খতিয়ান

এস এ খতিয়ান সম্পর্কে জানার আগে সি এস খতিয়ান সম্পর্কে জেনে নিন। ১৯১০-১৯২০ সালের দিকে জমির আয়তন অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নিদের্শক মৌজা নকশা তৈরি করেন সরকারি আমিনগন প্রতিটি জমিজমা পরিমাপ করে।

এ সময় প্রতিটি জমিজমার দখলদার মালিকের বিবরণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করা হয় সেটি সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সি এস খতিয়ান সম্পর্কে জানলেন এইবার জানবেন এস এ খতিয়ান।
এস এ খতিয়ান

খাস জমির খতিয়ান নম্বর কত জানার আগে জেনে নিন এস এ খতিয়ান কি। প্রজাস্বত্ব আইন ও জমিদারি অধিগ্রহণ হয় ১৯৫০ সালে এরপর সরকার জমিদারী অধিগ্রহণ করেন।

এরপর সিএস খতিয়ান সংশোধন করে এসএ খতিয়ান প্রস্তুত করা হয় কিন্তু এই খতিয়ান প্রস্তুতের সময় সরকারি কর্মচারীরা সরাসরি মাঠে না নেমে সিএস খতিয়ানের উপর নির্ভর করে। এস এ খতিয়ান টি ১৩৬২ সালে তৈরি হয় বলে একে অনেকেই ৬২র খতিয়ানও বলে থাকে।

কোন কোন অঞ্চলে এই এসএ খতিয়ান আবার আরএস খতিয়ান নামেও পরিচিত। এস এ খতিয়ান কি জানলেন এবং জমির খতিয়ান কি জানলেন এইবার জানবেন খাস জমির খতিয়ান নম্বর কত।

নামজারি খতিয়ান বের করার নিয়ম

আপনি যে কোন একটি প্রেমেন্ট গেটওয়ে সিলেক্ট করে নিচের বক্সে দুই সংখ্যার যোগফল দিয়ে পরবর্তী ধাপ(ফি পরিশোধ) বটন টি তে ক্লিক করুন। এখন আপনার প্রেমেন্ট মোবাইল নাম্বার দিন।

নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, নামজারি খতিয়ান অপশনে ক্লিক করে যে জমির নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান সেটি যে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজায় অবস্থিত তা সিলেক্ট করুন। এরপর, জমির খতিয়ান নং লিখে সার্চ করলে নামজারি খতিয়ানের তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।

ই নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চাইলে নিম্নে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এখানে, ধাপে ধাপে সবকিছু উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করুন মেনু থেকে নামজারি খতিয়ান অপশনে ক্লিক করুন বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা নির্বাচন করুন খতিয়ান নং লিখে খুঁজুন বাটনে ক্লিক করুন

আরো পড়ুন: জমির খতিয়ান চেক ২০২৪

এই ধাপগুলো অনুসরণ করার পর খতিয়ানের তালিকা থেকে মালিকের নাম আসলে সেখানে দুইবার ক্লিক করুন। তাহলে উক্ত খতিয়ান নাম্বার দিয়ে যে জমি আছে সেটির মালিকের নামসহ বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। এখানে থেকে চাইলে খতিয়ান আবেদন করতে পারবেন।

নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য https://eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। মেনু থেকে নামজারি খতিয়ান অপশনে ক্লিক করুন। বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা নির্বাচন করে খতিয়ান নং লিখে সার্চ করুন। এভাবে সহজেই নামজারি খতিয়ান চেক করতে পারবেন।

উপরের ইমেজটি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, নামজারি খতিয়ান অনলাইন অনুসন্ধান করার জন্য আমি eporcha gov bd ওয়েবসাইট ওপেন করেছি। এরপর, নামজারি খতিয়ান মেনুতে ক্লিক করেছি।

অতঃপর, নিচের বক্সে বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং খতিয়ান তালিকা থেকে খতিয়ান নং বা জমির মালিকের নাম নির্বাচন করেছি। এরপর, ডাবল ক্লিক করলে নিচের ইমেজের মতো খতিয়ানের তথ্য দেখতে পাবেন।

খতিয়ান এর তথ্য অনুসন্ধান করার পর আপনি চাইলে উক্ত খতিয়ান এর অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এজন্য, খতিয়ান আবেদন বাটনে ক্লিক করে পর্যাপ্ত তথ্য এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। এরপর নামজারি খতিয়ান এর অনলাইন কপি সংগ্রহ করে খতিয়ান যাচাই ও জমির দাগ নম্বর যাচাই করতে পারবেন।

খতিয়ান বের করার লিংক

ই পর্চা বের করার নিয়ম

এনআইডি কার্ড নম্বর। জন্ম তারিখ। খতিয়ান বা দাগ নম্বর ফোন নম্বর খতিয়ান কপির মূল্য ১০০ টাকা । এখানে, e Namjari খতিয়ান দিয়ে দেখানো হলো। এই পেইজের উপরে নামজারি খতিয়ান অপশনটি সিলেক্ট করে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান অপশনটির প্রতিটি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।

বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম, মৌজার নাম এবং সব শেষে খতিয়ানের তালিকা অপশনে খুজুন বাটনে ক্লিক করুন। দাগ নম্বর দিয়ে অনলাইন কপি সংগ্রহ অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন কাগজপত্র সকল কাগজপত্র এখন অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন

আরো পড়ুন: নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই

খতিয়ান নম্বর বা মালিকের নাম অথবা দাগ নম্বর ইনপুট দিবেন। আপনি ক্যাপচা এন্ট্রি করার পর অনুসন্ধান করুন এ ক্লিক করলেই আপনি অনলাইন পর্চা পেয়ে যাবেন। সি এস এবং এস এ খতিয়ান বা পর্চা অনলাইন কপি দেখা যায়।

শুধুমাত্র দাগ নম্বর খতিয়ান নম্বর জানা থাকলে আপনি পর্চার অনলাইন কপি অনলাইন কপি ঘরে বসে সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনে পর্চার আবেদন করার পদ্ধতি 2024 ক্যাপচা এন্ট্রি করুন, অনুসন্ধান করুন ক্লিক করুন আবেদন করুন ক্লিক করুন অনলাইন কপি সিলেক্ট করুন

জমির পর্চা অনলাইন

খতিয়ান নম্বর জানা থাকলে খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ করে, দাগ নম্বর জানা থাকলে দাগ নম্বর দিয়ে সার্চ করে, জমি মালিকের পিতা বা স্বামীর নাম জানা থাকলে জমি মালিকের পিতা/স্বামীর নাম দিয়ে সার্চ করে। জমি বর্তমান সময়ে সব চেয়ে বড় মূল্যবান সম্পদ। 

তার জন্য আজ আমাদের এই পোস্টে, আপনাকে জানাব অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার নিয়ম এবং জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম সমূহ। বর্তমান সময়ে অনেক লোক আছে, যাদের নিজের নামে জমি আছে কিন্তু এখনও জানেন না। তাই আপনি যদি মনে করেন।

আপনার নামে কোন জমি আছে। তাহলে, অনলাইনের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন, জমির মালিক কে এবং কত টুকু জমি আছে। তাই আপনি যদি অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায় জানতে চান।

তাহলে, আমাদের দেওয়া আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা জানি, বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমির সকল সেবা এখন ডিজিটাল প্রযক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন: নতুন ভূমি আইন ২০২৪ দলিল যার জমি তার

তার ফলে জমির খতিয়ান বের করে নিতে কিংবা জমির মালিকানা বের করর উপায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইন ইন্টারনেটে সার্চ করেই তাৎক্ষনিক ভাবে জমির খতিয়ান এবং মালিকানা খুজে বের করা যায়।

তার জন্য আপনার যদি জমি/ ভূমি সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকা সত্ত্বেও নিজের বাবা মা, দাদা দাদির রেখে যাওয়া জমি/ ভূমির হিসাব নিজেই রাখতে পারবেন। জমির মালিকানা এবং খতিয়ান বের করার আগে আপনাকে জানতে হবে খতিয়ান কি এবং কাকে বলে। তো চলুন জমির মালিকানা বের করার উপায় জানতে নিচের ধাপ ‍গুলো অনুসরণ করা যায়।

খতিয়ান নং বের করার নিয়ম

প্রবেশ করার পর আপনার সামনে নিচের পেইজটি চলে আসবে। এই পেইজের উপরে সার্ভে খতিয়ান অপশনটি সিলেক্ট করে সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান অপশনটির প্রতিটি কলাম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।

দাগ নং জমির মালিকানা নাম। পর্চা নাম জানা থাকতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার এবং জন্মতারিখ। একটি সচল মোবাইল নাম্বার।

eporcha.gov.bd তে যান। পর্যায়ক্রমে বিভাগ > জেলা > উপজেলা>খতিয়ানের ধরণ> মৌজা বাছাই করুন। অধিকতর অনুসন্ধান’ লেখায় ক্লিক করুন। খুজুন’ এ ক্লিক করুন। জমির খতিয়ান নম্বর ও মালিকদের নাম দেখতে পাবেন।

আবার ‘অধিকতর অনুসন্ধান’ লেখায় ক্লিক করুন এবং স্ক্রল করে আপনার খতিয়ান নম্বরে যান এবং সেখানে ক্লিক করুন। বিস্তারিত’ লেখায় ক্লিক করে সেটি আপনার খতিয়ান কিনা নিশ্চিত হোন। খতিয়ানটির কপি উঠিয়ে নিন। এজন্য ‘খতিয়ান আবেদন’ লেখায় ক্লিক করুন।

আরো পড়ুন: জমির খতিয়ান অনুসন্ধান

আবেদন ফর্মে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর দিন এবং ‘যাচাই করুন’ লেখায় ক্লিক করুন। যাচাই সম্পন্ন হয়েছে কিনা খেয়াল করুন। ইংরেজিতে নাম, ঠিকানা, (ই-মেইল থাকলে দিতে পারেন), লিখুন এবং আবেদনের ধরন অর্থাৎ ‘অনলাইন কপি’ অথবা ‘সার্টিফাইড কপি’ লেখায় ক্লিক করুন।

এভাবে পরবর্তী কয়েকটি ধাপে ফি পরিশোধ করে খতিয়ান ডাউনলোড করুন। সার্টিফাইড কপি’ পেতে চাইলে ‘সার্টিফাইড কপি’ লেখায় ক্লিক করে খতিয়ানের কপি কোথায় পেতে চান অর্থাৎ ‘অফিস কাউন্টার’ অথবা ‘ডাকযোগে’ লেখার বামে গোল ঘরটিতে ক্লিক করুন।

আর এস পর্চা ডাউনলোড

বিভাগ, জেলা ও উপজেলা, গ্রাম। মৌজা, দাগ নাম্বার এবং জমির মালিকের নাম। জমির খতিয়ান নাম্বার। আর এস খতিয়ান চেক করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.eporcha.gov.bd/ প্রবেশ করুন। 

এরপরে বিভাগ এবং জেলা উল্লেখ করুন এবং খতিয়ানের জায়গায় “আর এস খতিয়ান” সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যথাক্রমে উল্লেখ করে “অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করুন। বিভাগ সিলেক্ট করুন। জেলা সিলেক্ট করুন। উপজেলা সিলেক্ট করুন এর পরে যথাক্রমে ,মৌজা।

খতিয়ান নং অথবা, দাগ নং বা, মালিকের নাম সিলেক্ট করে দিন। (যেহেতু আমরা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে চেক করব সেহেতু শুধুমাত্র খতিয়ান নাম্বারটি বসিয়ে দিতে হবে। আপনি চাইলে দাগ নাম্বার দিয়ে যাচাই করতে পারবেন) পরবর্তীতে “খুঁজুন” বাটনে ক্লিক করুন।

www.land.gov bd আর এস খতিয়ান

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন