প্রিয়জনের অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

অসুস্থতা নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস প্রিয় মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে কারোরই ভালো লাগেনা। প্রিয় মানুষের অসুস্থতা যেন নিজের অসুস্থতা বলে প্রতিয়মান হয়। আর প্রিয় মানুষের অসুস্থ তাই আমরা সকলেই কামনা করি সেই ব্যক্তি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এবং আমাদের মাঝে আগের মত হাসতে খেলতে ফিরে আসুক প্রিয়জনের অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

অসুস্থতা নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস

প্রত্যেকের জীবনে প্রিয় মানুষ রয়েছে এবং প্রিয় মানুষের সংস্পর্শে আমাদের জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে। প্রিয় মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আমরা চিন্তিত হয়ে থাকি যে সেই ব্যক্তিটি কবে সুস্থতা লাভ করবে।

প্রিয়জনের অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

প্রত্যেক মানুষের জীবনে যে সকল প্রিয় মানুষ রয়েছে তাদের প্রতি যদি আমরা যত্নশীল হয়ে থাকি এবং নিয়মিত যদি খোঁজখবর রাখে তাহলে এই ধরনের অসুস্থতা থেকে বাঁচার সম্ভব। তারপরও কোন কারনে 

যদি সেই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে আমাদের উচিত হবে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে তাদের সেবাশশ্রূষা করা। আর প্রিয় মানুষ যদি অসুস্থ থেকে আমাদের সেবাশশ্রূষা পেয়ে থাকে এবং আমাদের কেয়ারিং পেয়ে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠছে।

কারণ অসুস্থ হলে একজন মানুষের যথাযথ দেখভালের পাশাপাশি মানসিক সাপোর্টের প্রয়োজন হয়। আপনারা ফেসবুকে পোস্ট প্রদান করার পাশাপাশি তাকে যদি মানসিক সাপোর্ট প্রদান করেন এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন তাহলে দেখবেন যে আসলেই তিনি খুব তাড়াতাড়ি রিকভার করতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন: স্টাইলিশ ফেসবুক পেজের নাম ২০২৪

প্রিয় মানুষের অসুস্থ তাই আমরা যদি মনে করি যে তাদেরকে সুস্থ করে তুলবো এবং নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে যদি চেষ্টা করি তাহলে এটা খুব সহজেই সম্ভব। এক্ষেত্রে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থতা কামনা করতে হবে এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের দোয়ার ওপরে নির্ভর করে সুস্থতা প্রদান করবেন। 

তাই প্রিয় মানুষের অসুস্থতায় নিজেরা না চিন্তিত হয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সঠিক তথ্য সেবনের মাধ্যমে সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে পারি। 

সেই সাথে সকলকে জানিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং সকলের নিকট থেকে দোয়া কামনা করার উদ্দেশ্যে আপনারা যখন ফেসবুকে পোস্ট করবেন তখন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংক্রান্ত পোস্ট সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

অসুস্থতা নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস

মানুষের জীবনে অসুস্থ মহান আল্লাহ তাহলে আর পক্ষ থেকে আসে। অসুস্থতা নিয়ে আনুগত্য ও নাফরমানীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। একজন ঈমানদার ব্যক্তিও অসুস্থ হতে পারেন। এজন্য অসুস্থতার সাথে ঈমানের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনিও অসুস্থ হয়েছেন। 

যে ছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে প্রিয়। তারাও অসুস্থ হয়েছেন এজন্যই বলা যায় অসুস্থতা এবং সুস্থতার সাথে নাফরমানীর তুলনা দেওয়া যাবে না। অসুস্থ সবাই হতে পারে কে কখনো অসুস্থ হবে এটা কেউ বলতে পারবে না শুধু আল্লাহ তাআলা ছাড়া। 

যদি আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে আল্লাহ তায়ালাকে মনে করুন। কারণ অসুস্থ আসে জীবনে আল্লাহর পক্ষ থেকেই মানুষের পরীক্ষা নিতে। আজকের এই পোস্টে অসুস্থতা নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি জানাবো।

আরো পড়ুন: রোমান্টিক ক্যাপশন স্মার্ট ২০২৪

অসুস্থতার এবং রোগের কোন নিজস্ব শক্তি নেই। রোগ ব্যাধি দেওয়ার মালিক হলেন আল্লাহ। আল্লাহ যদি চায় সবাইকেই অসুস্থ করে দিতে পারেন আবার তিনি সবাইকে সুস্থ করতে পারেন। এই পৃথিবীতে কোন বস্তু নেই যে মানুষকে সুস্থ করতে পারে একমাত্র আল্লাহ যিনি সবাইকে সুস্থতা দান করে। 

ইসলামে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অনেক কথা বলা হয়েছে। যদি আপনার জ্বর ও ঠান্ডা আসে তাহলে আপনি মধু পান করতে পারেন তাহলে আপনার জ্বর এবং ঠান্ডা চলে যাবে। 

কিন্তু বর্তমান সমাজে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে আল্লাহর নাম্বারে তারা হাসপাতালের পিছনেই বেশি দৌড়ায়। অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্লাহ তায়ালা কে মনে করুন তিনিই আপনাকে সুস্থতা দান করবেন কারণ তিনি সুস্থতা দান করার মালিক।

অসুস্থ নিয়ে স্ট্যাটাস

অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু যায় পায়ে হেঁটে। অসুস্থ লোকের চিন্তা ভাবনাও অসুস্থ থাকে। অসুস্থতা স্বাধীনতার বিপরীত। এটি সবকিছুকে অসম্ভব করে তোলে। অসুস্থতা মনকে মাঝে মাঝে ঘোরাফেরা করার ও সুরক্ষার জন্য মুক্ত করে তোলে।

আরো পড়ুন: আনকমন ফেজবুক পেজের নাম ২০২৪

অসুস্থতা আমাদের সবচেয়ে অবাক করা আচরণ করতে পারে। অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধার প্রায়শই মনে হয় আবার জীবন শুরু করার মতো। আপনার অসুস্থতা আপনার পরিচয় নয়। আপনার রসায়ন আপনার চরিত্র নয়।

আপনি যখন দু:খিত এবং একা থাকবেন তখন নিজেকে অসুস্থ বলে বোধ হয়। যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়। যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়। - via Bongquotes.com অসুস্থতার কারণে মানুষ সাধারণত বিস্ময়কর আচরণ করে৷

বন্ধুর অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

যে কেউ রোগাক্রান্ত হয়, তার থেকে গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে যায় যেভাবে গাছ হতে তার পাতাগুলো ঝরে যায় ।
— সহিহ বুখারী (৫৬৪৭)

অসুস্থ মানুষের চিন্তা ভাবনা গুলোও অসুস্থ।
– হুমায়ুন আহমেদ

যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়।
– জুভেনাল

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, বেশীর ভাগ রোগ থেকে বেঁচে যাবেন ।
— হাবিবুর রাহমান সোহেল

অসুস্থতার জন্য মানুষ সবচেয়ে বিস্ময়কর আচরণ করতে পারে৷
– সুসান মিনোট

বিশ্রাম নেওয়া কখনোই আলস্য নয়৷ বিশ্রাম হলো অসুস্থতার উপযুক্ত ঔষধ ।
– গ্লেন শোয়েইজার

অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু রওয়ানা দেয় পায়ে হেঁটে।
– প্রবাদ বাক্য

আরোগ্য লাভের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ।
– প্রবাদ বাক্য

হে মানুষ! তোমরা নিজেদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করো। দারিদ্র্যতা বা অসুস্থতা তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷
– বেদ

সৎ কর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ ও মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার উপরে বিজয়ী করে৷
– বেদ


পাঁচটি সেরা বিপদের পূর্ববর্তী পাঁচটি সতর্কতা।যথা- বার্ধ্যেকের দৌর্বল্যের পূর্বে যৌবনের, রোগের পূর্বে স্বাস্থ্যের, দারিদ্র্যের পূর্বে ধন সম্পদের, কাজের পূর্বে অবসর সময়ের,এবং মৃত্যুর পূর্বে জীবনের যথারীতি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করা ও সদ্ব্যবহার করা।
– আল হাদীস

আরো পড়ুন: শিক্ষামূলক পেজের ৫০০ টি ইউনিক নাম ২০২৪

সংসারে সেরা লোকেরাই কুঁড়ে এবং বেকার লেকেরাই ধন্য। উভয়রে সম্মিলন হলেই মণী কাঞ্চন যোগ। এই কুঁড়ে বেকারে মিলনের জন্যই সন্ধ্যা বেলার সৃষ্টি হয়েছে । রোগীদের জন্য সকাল বেলা৷ রোগীদের জন্য রাত্রি। কাজের লোকদের জন্য দশটা – চারটা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সুখ কি এমন রোগে অনাহারে পিষ্ট পচন
সভ্য পশুর হীন চিৎকার
শুধু প্রতারণার মিথ্যে মুখোশ,
শুধু অপচয়ে আত্মবিনাশ,
আর কিছু নয়।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্

আলো হওয়া বেঁধো না, রোগে ভোগে মরো না।
– খনার বচন

দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ বন্ধন এবং বিপদ। সবকিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধ রূপ বৃক্ষের ফল।
– চাণক্য

দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মতো তেলের অভাবে দুঃখ পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
– হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)

সংসারে অভ্যন্তরীন অসুস্থতা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভেতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, অসুস্থতা এড়াবার ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়
– বারট্রান্ড রাসেল

শুধমাত্র ভালবাসাই পারে সকল রোগের উপশম ঘটাতে।
– গতিয়ে৷


রাজনীতি এবং সংস্কৃতি দুটো ভিন্ন বিষয়৷ একটি রোগ অন্যটি স্বাস্থ্য।
– হুমায়ুন আজাদ

খেয়ে যার হজম হয়, রোগ তার চেয়ে দূরে রয়৷
– চাণক্য

প্রেম ভালবাসা হলো একটা বিশেষ ধরণের মানসিক রোগ৷
– প্লেটো৷

সন্দেহ হলো মারাত্মক অসুস্থতা৷ একবার উদ্রেক হলে তা নির্মমভাবে শেষ হয়৷
– জন ম্যাসফিল্ড

ঋণ, অগ্নি এবং রোগের শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে৷
– চাণক্য

স্বাস্থ্যবান দেহ আত্নার জন্য প্রিয় অতিথিশালা স্বরূপ আর রোগাক্রান্ত দেহ আত্নার জন্য বদ্ধ কারাগার স্বরূপ।
– বেকন

জ্বর অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

জ্বর কম বেশি অনেক মানুষের হয়ে থাকে এবং জ্বর একটা কমন অসুখ হয়ে থাকার কারণে এটা খুব দ্রুত যেমন হয় তেমনি ভাবে খুব দ্রুত আবার ছেড়ে দেয়। তবে আবহাওয়া জনিত বা ভাইরাসজনিত জ্বরের কারণে কিন্তু অনেক সময় এটা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। 

জ্বরের উপসর্গ বলতে গেলে একটা শরীরকে গরম করে তোলে এবং শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ গরম হয়ে থাকার কারণে আমরা সকল দিক থেকে রুচিবোধ হারিয়ে ফেলে অথবা কাজ করার প্রতি আমাদের আগ্রহ হারিয়ে যায়।

তাই এরকম পরিস্থিতিতে আপনারা যদি জর নিয়ে অনেক কষ্টে ভুগে থাকেন তাহলে সেটার জন্য আপনারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে সকল স্ট্যাটাস প্রদান করবেন সেগুলো সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনার জন্য হতে পারে। 

কারণ আপনার অসুস্থ তাই যাদের খারাপ লাগবে তাদের কাছ থেকে দোয়া চাইলে তারা অবশ্যই মন থেকে দোয়া করবে এবং আপনারা এই দোয়ার মাধ্যমে হয়তো নিরাময় লাভ করতে পারেন। দোয়া এমন একটা জিনিস যেটা মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু সাধন করতে পারি অথবা মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে এগুলো প্রদান করেন।

বড় ভাই অসুস্থ নিয়ে স্ট্যাটাস

মনটা কয়েকদিন বড়ই খারাপ যাচ্ছে। ঘুমাতে গিয়েও ভালভাবে ঘুমাতে পারিনা। পারবই বা কেমন করে! কয়েকদিন দরে বড় ভাইয়ার যেই অবস্থা দেখে আসছি তা কল্পনা করলে আর দুচোখ কিছুতেই একসাথ হয় না। দুচোখ বেয়ে অজর দরায় বর্ষন হয়। 

মা-বাবা, বোন, ভাবির আত্মনাদ আর একমাত্র ছোট ভাতিজা রোহানের মুখের দিকে তাকালে যে কোন কোমল হৃদয় ব্যক্তির চোখেই অশ্রু ঝরবে। বিশেষ করে পূর্বের কাল রাত গুলোর কথা মনে পড়লে আর কিছুতেই চোখে ঘুম আসে না। 

গত কয়েকদিন যাবত বড় ভাইয়া ভয়ংকর অসুস্থ। সারা দিন তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভাল অনুভব হলেও অন্ধকার রাতটা তার সকল কষ্ট, বেদনা, অভিমান আমার এই ভাইটার উপর নিষ্ঠুরভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকে বেশ কষ্ট দিয়ে দূর থেকে অনেক আনন্দ পায়।

আরো পড়ুন: মোটিভেশনাল পেজের ৫০০ টি ইউিনিক নাম ২০২৪

ভাইয়া অসুস্থ হওয়ার বুঝতে পারলাম আসলে একজন মানুষের প্রতি অন্যজনের কত ভালবাসা! সারাদিন তার খবর নেওয়ার জন্য দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যে ফোন আসে তা অকল্পনীয়। ভাইয়া পেশায় একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও একজন গ্রাম্য ডাক্তার হলেও তার গ্রামে তার যে বিশাল পরিচিতি তা আমি এ কয়েকদিনে বেশ ভাল করেই বুঝতে পারলাম।

তার অসুস্থতার কথা শুনে দেশ বিদেশ থেকে যার যার অবস্থান অনুসারে যে যেভাবে পেরেছে আমার বা ভাইয়ার নাম্বারটা সংগ্রহ করেই ফোন আর ফোন। সবারই একই প্রশ্ন সে এখন কেমন আছে?

ভাইয়া মানষিক দিক থেকে অনেক অনেক যন্ত্রনায় ভুগছে। কিছুক্ষন পর পর আমাকে, ভাবিকে উদ্দেশ্য করেই কেঁদে উঠে বলে, আমার রোহানকে তোমরা আপন মনে করে মানুষ করো। কখনো তাকে পিতৃহীন বুঝার সুযোগ দিওনা। আর আমার মা বাবাকে আমার এই অবস্থার কথা বলো না। না হলে আমি যে তাদের হারিয়ে ফেলবো। 

(ভাইয়া নিজে শত কষ্ট করে ও কাউকে বুঝতে দিত না নিজের কষ্টের কথা। নিজে শত অসুস্থ থাকলে ও নিজের অসুখ চেপে রাখত। কাউকে বুঝার সুযোগ দিত না। অথচ পরিবারের কারো সামান্য একটু অসুখ হলে ডাক্তার ওষধ নিয়ে কত ব্যস্ততা। ভাইয়া এই ছিলে তুমি! )

এ কথা শুনে মনের মাঝে বেঝে উঠে, ভাইয়া তোমাকে কিভাবে বোঝাবো আমরা যে তোমাকে হারাতে বসেছি।

কিছুক্ষন পর পর অসহায়ের মত আমার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আমাকে বলে উঠে, “ কিরে কিছু খাইছছ”। তার এই বলার মাঝে কত কষ্ট জড়িয়ে আছে তা শুধু সৃষ্টি কর্তাই জানেন। 

যদিও ভাইয়াকে শান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলি খাইছি; কিন্তু আসলে যে ভাইয়ার, বাবা মার, ভাবির, ছোট এই ভাতিজাটার এই করুন অবস্থা দেখে নিজের মুখে খাওয়া কিছুতেই প্রবেশ করে না।

সারাদিন ভাইয়ার পাশে থেকেও রাত ভাইয়াকে হাসপাতালে একা রেখে বাসায় আসতে মোটেও ইচ্ছে হয় না। তারপর ও ছোট ভাই আর ভাবিকে ভাইয়ার পাশে রেখে চলে আসি।

গভীর রাতে কেন জানি ভাইয়ার পুরনো স্মীতিগুলো আমার বেশ মনে পড়ে যায়। এইতো কয়েকদিন আগে ভার্সিটির এক বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি বেড়াতে যাই। তখন ভাইয়া আমাদের জন্য কত কি আপ্রায়ন। সকালে আমাদের ঘুম থেকে উঠা পর্যন্ত নাস্তা নিয়ে টেবিলে বসে থাকত। 

কিন্তু আমাদের ঘুমের ডিষ্টার্ব হবে ভেবে আমাদের ঘুম থেকে তুলতো না। আমরা উঠা পর্যন্ত নাস্তা নিয়ে টেবিলে বসে থাকত। পরে আমরা উঠলে একসাথে নাস্তা করতাম। অন্যান্য খাবারগুলোও ঠিক একইভাবে করতাম।

ভাইয়া সারাদিন পরিশ্রম করেও রাত খাওয়া শেষে আমাদের সাথে বেশ আড্ডা দিত। ভাইয়ার সেই স্মিতিগুলো মনে পড়লে দুচোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি না।

ভাইয়াকে হারালে আমি তো আমার এক বন্ধুকে হারাবো, হারাবো শরীরের এক অঙ্গ। পরিবার হারাবে তাদের একমাত্র আয়ের উতসকে। ধবংস হয়ে যাবে আমাদের সাজানো ছোট এই সোনার সংসারটি।

ভাই প্রিয় কোটি দর্শকের কাছে আমার আকুল আবেদন তারা যেন মন থেকে আমার ভাইয়ার জন্য বিধাতার কাছে পরিয়াদ করে। বিধাতার কাছে ও করুন প্রার্থনা, তিনি যেন আমার ভাইয়াকে পূর্বের মত সুস্থ করে তার ছোট এই শিশুটির খালি বুক পূর্ন করে। আর আমরা এবং তার ভক্তরা যেন তাকে আমাদের সবার মাঝে পূর্বের মত ফিরে পাই।

মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু যায় পায়ে হেঁটে। অসুস্থ লোকের চিন্তা ভাবনাও অসুস্থ থাকে।

অসুস্থতা স্বাধীনতার বিপরীত। এটি সবকিছুকে অসম্ভব করে তোলে। অসুস্থতা মনকে মাঝে মাঝে ঘোরাফেরা করার ও সুরক্ষার জন্য মুক্ত করে তোলে। অসুস্থতা আমাদের সবচেয়ে অবাক করা আচরণ করতে পারে। অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধার প্রায়শই মনে হয় আবার জীবন শুরু করার মতো।

আপনার অসুস্থতা আপনার পরিচয় নয়। আপনার রসায়ন আপনার চরিত্র নয়। আপনি যখন দু:খিত এবং একা থাকবেন তখন নিজেকে অসুস্থ বলে বোধ হয়। যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়।

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, বেশীর ভাগ অসুস্থতা থেকে বেঁচে যাবেন। অসুস্থতার কারণে মানুষ সাধারণত বিস্ময়কর আচরণ করে৷ বিশ্রাম নেওয়া কখনোই আলস্য নয়৷ বিশ্রাম হলো অসুস্থতার উপযুক্ত ঔষধ । অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

হে মানুষ! তোমরা নিজেদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করো। দারিদ্র্যতা বা অসুস্থতা তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷ সৎ কর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ ও মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার উপরে বিজয়ী করে৷

প্রিয়জনের অসুস্থতা নিয়ে কবিতা

জীর্ণতা বাসা বেধেছে আজি এ অন্তরালে
অসুস্থতা তুমি মোরে করেছ পরাজিত।
নিথর দেহখানি পরে রয়েছে
সমস্ত পৃথিবীটা আজ অন্তঃসারশূন্য।

শূন্যতা তুৃমি মোরে করেছ আলিঙ্গন
তোমার পেয়ালা আজি প্রস্ফুটিত যেন এ বুকে।
ভীষ্মের শরশয্যার মত আজি এ দেহখানি
পরে রয়েছে বিরক্তিকর এ রুমের একখানা শয্যায়।

আজি আমাকে নিয়ে খেলায় মত্ত
অসুস্থতা আর কতিপয় ব্যাস্ততা
যে খেলায় পরাজিত আমি
এ পরাজয় যেন চির সত্য।

আজি এ মনটা পেতে চায় একটুখানি শুশ্রূষা
মনে ভাসছে মায়ের মলিন মুখখানা।
আমার তরে দোয়া কর মা তুমি
তোমার দোয়ার নেই কোন তুলনা।

অসুস্থতা আমাকে দিয়েছ অবিমিশ্র এ ব্যাকুলতা
তাই লিখতে পারছি না কোন কবিতা।
কবিতা নামের আমার এ এলোমেলো লাইনগুলো
আজ বুঝিয়ে দিচ্ছে আমি কতটুকু অসুস্থ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন