জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম অনলাইনে ২০২৪
জমির খাজনা অনলাইনে বর্তমান সরকার এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল কিভাবে আপনি জমির নামজারি করতে পারেন,
ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারেন, অনলাইন থেকে কিভাবে জমির খতিয়ান উত্তোলন করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি জমির জরিপ করতে পারেন। সর্বশেষ রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি
আপনি যে সকল খতিয়ানের অনলাইন কপি পাবেন সেগুলো হচ্ছে সিএস , এসএ, পিএস, আর এস বি এস। বর্তমান সরকার জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে ভূমি সেবা চালু করেছে ।
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম অনলাইনে ২০২৪
জমির মালিক অথবা তাঁর উত্তরাধিকারের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সচল মোবাইল নাম্বার নামজারি খতিয়ান অথবা পূর্ববর্তী কোনো সালে কর পরিশোধের রশিদ এ পর্যায়ে আপনার মোবাইলে যাওয়া ওটিপি (One Time Password) লিখে 'যাচাই করুন' বাটনে ক্লিক করতে হবে।
আপনি একজন বাংলাদেশ এর নাগরিক। আর বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যখন আপনি এই দেশের জমির মালিকানা পাবেন এবং নির্দিষ্ট পরিমান জমি ভোগ দখল করবেন তখন আপনাকে সেই জমি ভোগ করার বিনিময়ে প্রতিবছর সরকার এর নিকট নির্দিষ্ট পরিমান কর বা খাজনা প্রদান করতে হবে। ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ মোবাইল এপসের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: জমির রেকর্ড যাচাই ২০২৪ বিস্তারিত জানুন
আগে জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য ইউনিয়ন/উপজেলা ভূমি অফিসে অনেকগুলো কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি উপস্থিত হতে হতো। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধায় অল্প কিছু কাগজ/ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে নিজের মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়া যায়।
সর্বশেষ রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি পূর্ববর্তী দাখিলার কপি জাতীয় পরিচয়পত্র একটি স্মার্টফোন, মোবাইল নাম্বার ও ইন্টারনেট কানেকশন। জমির অবস্থান অনুযায়ী-বিভাগ,জেলা, উপজেলা ও মৌজার তথ্য।
অনলাইনে খাজনা দিতে হলে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো ভূমি মন্ত্রনালয়ের ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাগরিক কর্নার অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন। অতঃপর পেমেন্ট করুন- অপশনে প্রবেশ করে জমির ঠিকানা দিয়ে তথ্য বের করে নিন।
তারপর এনআইডি যাচাই করলে জমির খাজনা কত টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হবে তা দেখা যাবে। এবার,খতিয়ানের বিস্তারিত পেইজে‘অনলাইন পেমেন্ট’অপশনে ক্লিক করে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম নির্বাচন করে পেমেন্ট করতে হবে।
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের https://ldtax.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করুন। উক্ত ঠিকানায় প্রবেশের পর নিচের ইনটারফেসটি চলে আসবে।
অনলাইনে জমির খাজনা দিতে হলে খাজনা পরিশোধের পূর্বে আপনার জমির নতুন খতিয়ান যুক্ত করতে হবে। সেজন্য আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড থেকে খতিয়ান অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার সামনে নিচের ফরমটি চলে আসবে।
উপরের ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে সংযুক্তি আপশনে পূর্ব থেকে কম্পিউটার/মোবাইলে স্ক্যান করে রাখা খতিয়ান/দাখিলার কপি আপলোড করে সংযুক্তি করতে হবে। বাকিি অপশনলো ঠিকঠাক পূরন করে সবশেষে সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করে সংরক্ষণ করুন।
উপরের পেইজে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করার পর খতিয়ান আপলোড হতে ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তারপর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস প্রদানকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্ন করবে।
জমির খাজনা অনলাইনে
প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকেরা জমির খাজনা দিতেন। একসময় অর্থের পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলও খাজনা হিসেবে নেওয়া হতো। ১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে খাজনা শব্দটির পরিবর্তে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ আনুষ্ঠানিক পরিভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়।
ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা পাওয়ার অধিকার লাভ করেন করদাতা। দাখিলা দেওয়া না হলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে। এই দাখিলা জমির মালিকানা প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। ফলে খাজনা নগদ পরিশোধের সুযোগ আর থাকছে না; অনলাইনে পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এজন্য এই ওয়েবসাইটে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে বলেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধের জন্য নিবন্ধন অপরিহার্য। সহজে ভূমিসংক্রান্ত সেবা দিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। এর আওতায় নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন ভূমি অফিস/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানার নিবন্ধন করা যাবে।
আরো পড়ুন: জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২৪
জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দিতে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ‘ভূমিসেবা’ নামে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। নাগরিকেরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা অনলাইন ব্যাংকিং বা অন্য যেকোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন করের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন, ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
জমির নিবন্ধন করে পেমেন্ট গেটওয়ে সোনালী সেবা/উপায়/ইউ-পে/একপে/ই-চালানের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধের পর কিউআর কোড বা বারকোড সংবলিত ইলেক্ট্রনিক দাখিলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে এবং তা ডাউনলোড করা যাবে।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি
রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি। পূর্ববর্তী দাখিলার কপি। পাসপোর্ট সাইজের ছবি ০১ কপি। জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
সচল মোবাইল নম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি তথ্য ব্যাংকের পাশাপাশি অনলাইনে ভূমি কর দেয়ার ব্যবস্থাও বুধবার উদ্বোধন করেছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সিলেট সিটিকর্পোরেশন ভুক্ত এলাকা।
রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশন ভুক্ত এলাকা। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলা, সাভার, ধামরাই, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, হাটহাজারি ও কক্সবাজার জেলা সদরের পৌর এলাকা। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌর এলাকা এবং সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ও মেঘনাঘাট এলাকা।
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি, জামিরদিয়া, ধানসুর, ভানডাব, কাঁঠালি ও মেহেরবাড়ি মৌজা। নোয়াখালী জেলার চৌমুহনি পৌর এলাকা। রাজউকের আওতাধীন পূর্বাচল আবাসিক এলাকা।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, নোয়াখালি, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসদরের পৌরএলাকা। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কালিগঞ্জ, খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন ও দামোদর ইউনিয়নের মশিখালি মৌজা। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌর এলাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ, কুমিল্লা জেলার লাকসাম ও চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলা। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পৌরএলাকা এবং টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর পৌরএলাকা। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর পৌরসভা। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরববাজার পৌরএলাকা।
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি পৌরএলাকা এবং পাবনা জেলার ঈশ্বরদী পৌরএলাকা। খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপুর ইউনিয়ন ও আড়ংঘাটা ইউনিয়ন, বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়ন, ডুমুরিয়া উপজেলার অন্যান্য সকল পৌরএলাকা। পৌরএলাকা ঘোষিত হয় নাই এমন এলাকা।
ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে
প্রোফাইল এসে যেসব তথ্য দেওয়া নেই সেগুলো আপডেট করে নিতে হবে। তথ্য আপডেট করতে উপরে ডানসাইটে সম্পাদনা বাটনে ক্লিক করুন। তথ্যগুলো প্রদান করে Save বাটনে ক্লিক করুন। আবারো ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসবেন ।
জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধের জন্য রেজিস্ট্রেশন অপরিহার্য। সহজে ভূমিসংক্রান্ত সেবা দিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। এর আওতায়
নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন ভূমি অফিস/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানার নিবন্ধন করা যাবে। রেকর্ড/ খারিজ খতিয়ানের কপি পূর্ববর্তী দাখিলার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১ কপি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সচল মোবাইল ফোন নম্বর
আরো পড়ুন: জমির খতিয়ান ডাউনলোড
অনলাইন পোর্টালে (www.land.gov.bd) অথবা (www.ldtax.gov.bd) জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, মোবাইল ফোন নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। কল সেন্টার নম্বরে (১৬১২২ অথবা ৩৩৩) ফোন করে জাতীয় পরিপয়পত্র
প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.land.gov.bd তে যেতে হবে; এর পর উপরের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'নাগরিক কর্নার' লিংকে ক্লিক করতে হবে; এরপর 'অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর (হোল্ডিং ট্র্যাকিং)' এই বাটনে ক্লিক করতে হবে; তারপরে একটি ফরম আসবে।
সেখানে আপনি নিজের বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা নির্বাচন করতে হবে; এরপর হোল্ডিং নম্বর [যে খতিয়ান, দাগ ও জমির ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ করতে প্রদর্শিত হোল্ডিং এর ওপর কোনো আপত্তি থাকলে 'আপত্তি দাখিল' বাটনে ক্লিক করতে হবে; এরপর একটি ফরম পাওয়া যাবে।
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
আপনি একজন বাংলাদেশ এর নাগরিক। আর বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যখন আপনি এই দেশের জমির মালিকানা পাবেন এবং নির্দিষ্ট পরিমান জমি ভোগ দখল করবেন তখন আপনাকে সেই জমি ভোগ করার
বিনিময়ে প্রতিবছর সরকার এর নিকট নির্দিষ্ট পরিমান কর বা খাজনা প্রদান করতে হবে। আর আপনি আপনার জমির উপর ভিত্তি করে যে পরিমান ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদান করবেন, মূলত সেই কর কে বলা হবে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর।
১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে খাজনা শব্দটির পরিবর্তে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ আনুষ্ঠানিক পরিভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ মোবাইল এপসের মাধ্যমে।
আগে জমির খাজনা পরিশোধ করার জন্য ইউনিয়ন/উপজেলা ভূমি অফিসে অনেকগুলো কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি উপস্থিত হতে হতো। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধায় অল্প কিছু কাগজ/ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে নিজের মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়া যায়।
সর্বশেষ রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি
পূর্ববর্তী দাখিলার কপি জাতীয় পরিচয়পত্র একটি স্মার্টফোন, মোবাইল নাম্বার ও ইন্টারনেট কানেকশন। জমির অবস্থান অনুযায়ী-বিভাগ,জেলা, উপজেলা ও মৌজার তথ্য।
অনলাইনে খাজনা দিতে হলে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো ভূমি মন্ত্রনালয়ের ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাগরিক কর্নার অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন। অতঃপর পেমেন্ট করুন- অপশনে প্রবেশ করে জমির ঠিকানা দিয়ে তথ্য বের করে নিন।
তারপর এনআইডি যাচাই করলে জমির খাজনা কত টাকা খাজনা পরিশোধ করতে হবে তা দেখা যাবে। এবার,খতিয়ানের বিস্তারিত পেইজে‘অনলাইন পেমেন্ট’অপশনে ক্লিক করে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম নির্বাচন করে পেমেন্ট করতে হবে
আরো পড়ুন: জমির খতিয়ান চেক ২০২৪
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের https://ldtax.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করুন। উক্ত ঠিকানায় প্রবেশের পর নিচের ইনটারফেসটি চলে আসবে।
জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম এর ২য় ধাপে নাগরিক নিবন্ধন এর মাধ্যমে রেজিস্টেশন করার পর পুনরায় লগইন করার পর নিচের ফরমটি আপনার সাওমনে চলে আসবে। এখানে অনলাইনে কর পরিশোধের জন্য প্রথমেই আপনার প্রোফাইল ১০০% নিশ্চিত করতে হবে।
খতিয়ান আপলোড সম্পন্ন হলে পুনরায় ভূমি উন্নয়ন কর ওয়েবসাইটে নাগরিক লগইন করে ড্যাশবোর্ডে চলে যান। তারপর ড্যাশবোর্ড থেকে হোল্ডিং বাটনে ক্লিক করুন।অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর (হোল্ডিং ট্র্যাকিং)
জমির খাজনা কত টাকা শতক
২৫ বিঘার বেশি কৃষি জমি (পৌরসভা এলাকায় ভিতর বা বাহিরে) প্রতি শতাংশ ২ টাকা। পৌরসভার ভিতর প্রতি শতাংশ ১৫ টাকা।
পৌরসভার বাহিরে প্রতি শতাংশ ১০ টাকা। পৌরসভার ভিতর প্রতি শতাংশ ৬০ টাকা। পৌরসভার বাহিরে প্রতি শতাংশ ৪০ টাকা। জমির ধরণ: কৃষি জমি এবং অ-কৃষি জমির জন্য খাজনার হার আলাদা।
জমির অবস্থান: শহর, পৌরসভা, ইউনিয়ন - এসব এলাকার ভিত্তিতে খাজনার হার ভিন্ন হতে পারে। জমির ব্যবহার: আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির জন্য খাজনার হার আলাদা। জমির শ্রেণী: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণীর জমির জন্য খাজনার হার আলাদা।
২৫ বিঘা (৮.২৫ একর) পর্যন্ত: খাজনা মওকুফ। ৮.২৫ একরের বেশি থেকে ১০ একর পর্যন্ত: প্রতি শতক ০.৫০ টাকা। ১০ একরের বেশি: প্রতি শতক ১.০০ টাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আবাসিক জমি: প্রতি শতক ২২ টাকা।
ঐসব মহানগরীর বাণিজ্যিক জমি: প্রতি শতক ১২৫ টাকা। জেলা সদরের আবাসিক জমি: প্রতি শতক ৭ টাকা। জেলা সদরের বাণিজ্যিক জমি: প্রতি শতক ২২ টাকা। অন্যান্য পৌর এলাকার আবাসিক জমি: প্রতি শতক ৬ টাকা। অন্যান্য পৌর এলাকার বাণিজ্যিক জমি: প্রতি শতক ১৭ টাকা।
আরো পড়ুন: নাম দিয়ে জমির মালিকানা যাচাই
আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন এলাকার, নির্দিষ্ট ধরণের জমির খাজনার হার জানতে চান, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনাকে সাহায্য করার। ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মোবাইল নম্বর ইমেইল ঠিকানা খতিয়ান নম্বর দাগ নম্বর জমির পরিমাণ
জমির ব্যবহারের ধরণ (যেমন: কৃষি, আবাসিক, বাণিজ্যিক ইত্যাদি) ব্যাংক হিসাবের তথ্য (যদি অনলাইনে পেমেন্ট করতে চান) প্রথমে, আপনাকে https://ldtax.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটের ডানদিকে "নিবন্ধন" বাটনে ক্লিক করুন। নির্দেশ অনুযায়ী ফর্মটি পূরণ করুন।
আপনার মোবাইল নম্বরে একটি OTP (One Time Password) পাঠানো হবে। সেই OTP ফর্মে প্রদান করুন। একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন এবং "নিবন্ধন" বাটনে ক্লিক করুন। আপনার এনআইডি নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন।
"হোল্ডিং" মেনুতে যান এবং "নতুন হোল্ডিং যোগ করুন" বাটনে ক্লিক করুন। আপনার খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, জমির ব্যবহারের ধরণ ইত্যাদি তথ্য প্রদান করুন। আপনার প্রদান করা তথ্য যাচাই করা হবে এবং অনুমোদন করা হলে, আপনার হোল্ডিং তালিকাভুক্ত করা হবে।
জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ
জমিজমা থাকলে প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকার দ্বারা নির্ধারিত পরিমানে খাজনা পরিশোধ করতে হয়। প্রাচীনকালে সরকারের বা রাজাদের রাজস্ব আয়ের এটি ছিল প্রধান উৎস।
বর্তমানেও সরকারের বিভিন্ন আয়ের উৎসের মধ্যে একটি অন্যতম উৎস হল এই ভূমিকর। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত তাদের ভূমিকর যেন সময় মতো পরিশোধ করে দেন।