প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ২০২৪

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় বর্তমানে এই ব্যাংকটিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করা যাচ্ছে ঘরে বসেই। তাই এই পোস্ট-এ আমরা আপনাদের জানাব কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়

বাংলাদেশের সব থেকে বড় সমস্যার মধ্যে বেকারত্বের সমস্যা অন্যতম। আর সেই বেকারত্বের হার কমাতে বাংলাদেশ-এর সরকারি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক দিচ্ছে প্রবাসী লোন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ২০২৪

অভিবাসন ঋণ পুনর্বাসন ঋণ কর্মসংস্থান ঋণ শিক্ষা ঋণ গৃহ ঋণ কৃষি ঋণ ব্যবসায়িক ঋণ স্বল্পমেয়াদী ঋণ দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ঋণের পরিমাণ ঋণের ধরণ, আবেদনকারীর আয়, ঋণের উদ্দেশ্য, এবং জামিনের উপর নির্ভর করে। সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ ঋণের ধরণ অনুসারে নির্ধারিত হয়।

বর্তমানে পিকেবি-এর ঋণের সুদের হার ৮% থেকে ১২% এর মধ্যে। ঋণের মেয়াদ ঋণের ধরণ এবং ঋণের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। সর্বোচ্চ ঋণের মেয়াদ ১৫ বছর। ঋণের জন্য আবেদনকারীকে পিকেবি-এর নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিতে হবে। ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে জামিন প্রদান করা বাধ্যতামূলক।

আরো পড়ুন: সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক

জামিনদার আবেদনকারীর আত্মীয় বা বন্ধু হতে পারে। ঋণ পরিশোধ মাসিক কিস্তিতে করতে হয়। ঋণের কিস্তি সময়মত পরিশোধ না করলে জরিমানা প্রযোজ্য। আবেদনকারীর সর্বশেষ পাসপোর্ট সাইজের ছবি আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

আবেদনকারীর ঠিকানা প্রমাণ (যেমন, বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি বিল) আবেদনকারীর আয়ের প্রমাণ (যেমন, বেতন সার্টিফিকেট) ঋণের উদ্দেশ্যের প্রমাণ (যেমন, ভিসা, ভর্তি কার্ড, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা) জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জামিনদারের আয়ের প্রমাণ জামিনদারের সম্পত্তির দলিল (যদি থাকে)

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি বিদেশ থেকে দেশে চলে এসেছেন। তার বৈধ কাগজপত্র বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট থাকতে হবে। বিদেশ থেকে আসার পাঁচ বছরের মধ্যে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা 'বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ' থেকে ঋণ নিয়ে আর্থিক ক্ষতি বা ধকল কাটাতে চেষ্টা করতে পারেন। এক্ষেত্রে মৎস্য, প্রাণী, কুটির শিল্প ইত্যাদি খাতে ঋণ দেয়া হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশে যাওয়ার পরে ঋণ গ্রহীতারা তাদের স্বজনদের কাছে টাকা পাঠান। সেখান থেকেই ঋণের অর্থ শোধ হয়ে যায়।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক (পিকেবি) প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এই ব্যাংক শুধুমাত্র সাধারণ ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে না, বরং প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধাও প্রদান করে।

আরো পড়ুন: জমির দলিল দিয়ে কোন কোন ব্যাংক লোন দেয়

আপনি যদি বিদেশে কাজের জন্য বৈধ ভিসার অনুমোদন পেয়ে থাকেন কিংবা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসতে চান কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে আপনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আছে।

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের এই ঋণ সেবা সম্পর্কে আজকের ব্লগে বিস্তারিত জানবো। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পেতে কি কি কাগজ লাগে, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা ও আবেদন করবেন কিভাবে তা সম্বন্ধে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবো।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন হলো সরকারের একটি বিশেষ ঋণ সেবা। যার মাধ্যমে বিদেশগামী কর্মীদের অথবা বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মীদের সহজ শর্তে জামানত বিহীন ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়।

১০০ কোটি টাকা প্রাথমিক মূলধন নিয়ে ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালু হয়। এই ব্যাংক প্রবাসীদের ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের ঋণ সেবা দিয়ে থাকে। তবে এই ব্যাংকের প্রধান কাজ ও উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ মঞ্জুর করা।

ব্যাংকটির বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধা চালু থাকলেও প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রধানত ৪ প্রকার। যথা
  • অভিবাসন ঋণ
  • পুনর্বাসন ঋণ
  • বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
  • বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়

কাজের জন্য বিদেশ ভ্রমণ ঋণ:
সর্বোচ্চ ৳ 3,00,000 (তিন লক্ষ টাকা)
স্ব-কর্মসংস্থান ঋণ:
সর্বোচ্চ ৳ 15,00,000 (পনেরো লক্ষ টাকা)
গ্রামীণ উদ্যোক্তা ঋণ:
সর্বোচ্চ ৳ 7,50,000 (সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)
বাড়ি কেনার ঋণ:
সর্বোচ্চ ৳ 50,00,000 (পঞ্চাশ লক্ষ টাকা)
শিক্ষা ঋণ:
সর্বোচ্চ ৳ 20,00,000 (বিশ লক্ষ টাকা)
চিকিৎসা ঋণ:
সর্বোচ্চ ৳ 10,00,000 (দশ লক্ষ টাকা)

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে

ঠিকানা: প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, ঢাকা – ১০০০।

ফোন: +88-02-8321878
মোবাইল: +88-01700-702700
E-mail: principalbranch@pkb.gov.bd

ঠিকানা: ৮৯/২, বিএমইটি ভবন, কাকরাইল, ঢাকা ।
ফোন: +88-028300310
মোবাইল: 01700-702701
E-mail: pkb.kakrail@yahoo.com

ঠিকানা: রাজিয়া হামিদ প্লাজা, ৩য় তলা, হোল্ডিং ৬০৭, সদর হাসপাতাল রোড, মুন্সিগঞ্জ সদর, মুন্সিগঞ্জ।

আরো পড়ুন: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪

ফোন: +88-02-7620789
মোবাইল: 01700-702704
E-mail: pkb.munshiganj@gmail.com

ঠিকানা: দিলু প্লাজা (৩য় তলা),  হোল্ডিং নং-১৫৩, ইঞ্জিনিয়ার খন্ডকার মোশারফ হোসেন কলেজ রোড, রঘুনন্দনপুর,
ফরিদপুর ।

ফোন: +88-0631-65255
মোবাইল: +88-01700-702703
E-mail: pkb.faridpur@gmail.com

ঠিকানা: ইব্রাহীম ভিলা-২য় তলা, হোল্ডিং নং-১১৮৭/১১৮৮, ঢাকা রোড, টাঙ্গাইল ।

ফোন: +88-092-162735
মোবাইল: +88-01700-702702
E-mail: pkb.tangail@yahoo.com

ঠিকানা: ৩৯/৪, কে এস টাওয়ার (৩য় তলা), শায়েস্থাখান রোড, পুরান কোর্ট, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়নগঞ্জ।

ফোনঃ +88-0247651276
মোবাইলঃ +88-01700-702748
E-mail: pkb.narayanganj@gmail.com

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে

এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি বিদেশ থেকে দেশে চলে এসেছেন। তার বৈধ কাগজপত্র বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট থাকতে হবে। বিদেশ থেকে আসার পাঁচ বছরের মধ্যে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে হবে।

আপনি কি বিদেশে চাকুরির বৈধ ভিসা পেয়েছেন? বিদেশ যাওয়ার টাকা নিয়ে চিন্তিত? বিদেশ থেকে ফিরে এসে আপনি কি বেকার? আর চিন্তা নয় বিদেশে ভালো চাকরির বৈধ ভিসা পেলেও টাকার জন্য এখন আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না। 

সকল সুযোগ সুবিধা এখন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহন করছেন প্রবাসীরা। কিন্তু সেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকেই ঋণ নিয়ে বিদেশ যেতে প্রবাসীদের ঘুষ দিতে হচ্ছে। এমনিই অভিযোগ ওঠেছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার বিরুদ্ধে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সেীদি আরব প্রবাসী মাহফুজ হাওলাদারের স্ত্রী রীনা বেগম জানান , বিদেশে যেতে আমি আমার স্বামীর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে তিন লাখ টাকার আবেদন করি। শর্তানুযায়ী জামিনদার , ট্রেড লাইসেন্স অন্যান্য কাগজ পত্র জমা দেই। তারা তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। তার জন্য পনের হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

আরো পড়ুন: কোন কোন ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া যায?

নিরুপায় হয়ে স্বামীর লোনের জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হই। কিন্তু ঘুষ নিয়ে তারা আমাকে মাত্র দেড় লাখ টাকা দেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার অফিস সহায়ক ফরহাদ হোসেন আমার কাছ থেকে ঘুষ নেয়। যার কোন রশিদ আমি পাইনি।

এখানেই শেষ নয় । সদরের আধারা ইউনিয়নের শামীম রহমান অভিযোগ করে বলেন , সৌদি আরব যাওয়ার জন্য আমি তিন লাখ টাকার জন্য আবেদন করি।

তার মধ্যে ৫ হাজার তিনশত টাকা ব্যাংক ডিপোজিট থাকবে। বাকি টাকার কোন হিসাবও নেই। রশিদও নাই। দালাল ও অফিসের কর্মকর্তরা মিলেই এসব কাজ করে। বাধ্য হয়ে ২২ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ২ লাখ টাকা আনি। এই হলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অবস্থা।

গত কয়েকদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানা সব অজানা তথ্য। পরিচয় গোপন করে অফিস সহায়ক ফরহাদের সাথে মোবাইলে কথা বলেন এই নিউজ প্রতিবেদক। মোবাইলে ফরহাদ জানান , প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এখন আর তিন লাখ টাকা দেয় না। 

টাকা/লোন পেতে বাড়তি কোন টাকা লাগে কিনা এই প্রশ্নে ফরহাদ জানান , দুই লাখ টাকা পেতে গেলে আমাকে অতিরিক্ত ২২ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা পেলে লোন ৩/৪ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। সন্ধার পর কাগজপত্র নিয়ে আসবেন।

গোপন সুত্রে জানা যায় , অফিস সহায়ক ফরহাদ অনেকের লোন পাশ করিয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। হয়েছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। সাধারনত তিনি বিকাশে লেনদেন করেন। যার বিকাশ নাম্বার ০১৭৭৭৩০৪৯১৯ । 

অথচ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা নাম্বার ব্যতিত কর্মকর্তদের নাম্বার গ্রাহকদের দেওয়ার নীয়ম নেই বলে জানা যায়। ফরহাদ হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মুন্সীগঞ্জে কর্মরত আছেন।

ব্যাংকের দেওয়া তথ্যমতে , আগস্ট ও চলতি সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত প্রায় দুই মাসে উপকারভোগীদের মাঝে ৯৭ টি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যার পরিমান এক কোটি উননব্বই লাখ টাকা।

দিনের পর দিন দালাল ও অফিস কর্তাদের যোগসাজশে ঋণ নিতে আসা উপকার ভোগীদের ভুলবাল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঋণ নিতে গেলে দালাল ধরতেই হবে। অন্যথায় ঋণ পাওয়া দুষ্কর।ৃ 

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বর্তমান সরকার নানামুখি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করলেও অসাধু কর্মকর্তারা নিরবে বসে তাদের পকেট কাটছেন। হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অনেকটা বাধ্য ও নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিয়ে লোন নিয়ে পরিবারের জন্য প্রবাসীরা পাড়ি জমান বিদেশে। যেন দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক ফরহাদ হোসেন জানান , আমি অনেক লোন পাশ করিয়ে দিয়েছি। তারা খুশি হয়ে আমাকে টাকা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক মুন্সিগঞ্জ শাখার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

উক্ত বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা “সকালের সময়কে” জানান জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন ।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আবেদন

শিক্ষাগত জীবনে চারটিতেই দ্বিতীয় শ্রেণি। নিয়োগের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর হলেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৩৭ বছর বয়সে। পারভীনের সঙ্গে আরও যেসব কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশিরভাগ কর্মীর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা চাকরি লাভের শর্ত মানা হয়নি। 

জানা গেছে, এসব কর্মকর্তাকে প্রথম পর্যায়ে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তখনও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আইন পাস হয়নি। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠাকালে তাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

দৈনিক এবং কখনও অফিসার ও এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে বেতনভাতা দেওয়া হয়েছে। আবার এক মাসের ব্যবধানে তাকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে বেতন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংকটির 

বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকা মাহ্তাব জাবিন শেয়ার বিজকে বলেন, এটি পুরোনো ইস্যু, অডিটের সময়ে আলোচনায় এসেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সার্ভিস রুলে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

এ বিষয়ে ব্যাংকটির এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ার বিজকে বলেন, ‘অন্য ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা বেশি। কিন্তু প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এখনও কর্মকর্তাদের সেই সুবিধা দেওয়ার জায়গায় যেতে পারেনি। এজন্য কেউ আগ্রহ দেখায় না।’

প্রবাস গমনেচ্ছুদের নামে ঋণ ইস্যু করে নিজেই সেই ঋণের অর্থ তুলে নিয়েছেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক। ব্যাংকের পিয়নের নামেও ইস্যু করা হয়েছে বিদেশগামীদের ঋণ। অর্থখরচ করা হলেও ভাউচার নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই গাড়ি ক্রয়। 

চুক্তির চেয়ে বেশি ভাড়া পরিশোধের পাশাপাশি প্রায় দুইশ কোটি টাকার অডিট আপত্তি। এসব কর্মকাণ্ডের কলকাঠি নাড়ছেন প্রশ্নবিদ্ধভাবে নিয়োগ পাওয়া ১০ কর্মকর্তা। এমন ঘটনা ঘটেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে।

জš§লগ্ন থেকেই বিতর্কের মধ্যে রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। বিদেশগামী ও প্রবাসীদের সুবিধার জন্য ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্যাংকটি। বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণে গঠিত এ ব্যাংকটি সাম্প্রতিক সময়ে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। 

রাষ্ট্রীয় মালিকানার এ ব্যাংকটি তফসিলভুক্ত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগও জমা হয়েছে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগ্যতা নিয়ে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠাকালে ব্যাংকটির দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ও দৈনিক ভিত্তিতে কয়েকজন ইন্টার্ন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। 

২০১১ সালের ২০ এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সার্ভিস রুল তৈরির বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সার্ভিস রুল না হওয়া পর্যন্ত কীভাবে পরিচলনা করা হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নিজস্ব সার্ভিস রুল তৈরি করতে। সার্ভিস রুল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসংস্থান ব্যাংকের সার্ভিস রুল অনুসরণ করতে বলা হয়। 

কিন্তু ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ওই নির্দেশনা মানেনি, নিয়োগ দিয়েছে পছন্দের ব্যক্তিদের। সরকারি চাকরিবিধির চেয়ে বেশি বয়স হওয়া সত্ত্বেও এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তও পূরণ না করেও অনেকে নিয়োগ পান ওই ব্যাংকটিতে।

এখানেই শেষ নয়। ইন্টার্ন হিসেবে অস্থায়ীভাবে বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ারাও পরে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পান হয় সিনিয়র কর্মকর্তা পদে। এসব কর্মকর্তার সম্মিলিত চক্রই এখন ব্যাংকের কলকাঠি নাড়ছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়।

অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ওই কর্মকর্তাদের অনেকে এখন আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন। ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন এক শাখা ব্যবস্থাপকের নাম, যিনি ঋণ ইস্যু করে নিজেই অর্থ তুলে নিয়েছেন। 

এছাড়া ওই শাখার পিয়নের নামে ইস্যু করেছেন প্রবাসী কর্মীর ঋণ। এভাবে নামে-বেনামে ঋণ তৈরি করায় তা ফেরত আসছে না। বর্তমানে ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। খেলাপি ঋণের উচ্চহারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতেও উঠে এসেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হাউজ লোন

ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় একটি সেভিংস একাউন্ট খুলতে হবে। আপনি যখন ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করবেন এই লোনের টাকা আপনাকে নগদ দেওয়া হবে না। এতে আপনাকে একটা একাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে আপনি এই লোনের টাকা আপনার একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে নিতে পারবেন।

এই ছিল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করছি আপনারা সকল নিয়মগুলো ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এর পরেও যদি নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে বুঝে না থাকেন তাহলে আপনার নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন তারা আপনাকে সকল নিয়মগুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা সম্পর্কে। প্রবাসী ভাইদের লোনের সুবিধা প্রদান করার জন্য ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

যার প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রবাসী ভাইদেরকে সহজ শর্তে বিনা জামানাতে ঋণ প্রদান করা। এই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে লোন নেওয়ার মাধ্যমে আপনি কিছু সুবিধা পাবেন। সুবিধাগুলো হল আপনি কাজের জন্য অথবা বিদেশে ভ্রমণের জন্য আর্থিক সহায়তা পেলেন।

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

জমি বিক্রি নয় বা এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণও নয়। এমনকি আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেও ঋণ নেওয়ার দরকার নেই। কাজের জন্য বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দেওয়ার জন্য বসে আছে ব্যাংক।

একটি-দুটি ব্যাংক নয়, সরকারি-বেসরকারি অন্তত সাতটি ব্যাংক বিদেশে যেতে আপনাকে ঋণ দিচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ঋণের টাকার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে কোনো জায়গা-জমিও বন্ধক রাখতে হবে না।

তবে বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। ২০১১ সালে ব্যাংকটি গঠনই করা হয় এ উদ্দেশ্যে। এ ব্যাংকের পাশাপাশি যেসব ব্যাংক বিদেশে যেতে ঋণ দিচ্ছে, তাদের মধ্যে সোনালী, অগ্রণী, পূবালী ও এনআরবি ব্যাংক অন্যতম। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও সম্প্রতি বিদেশে যেতে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশে ১ কোটি ২৫ লাখ বাংলাদেশি লোক রয়েছেন। প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ও প্রভাব নিয়ে তৈরি ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ দক্ষ, ৬২ শতাংশ অদক্ষ এবং ৩৬ শতাংশ আধা দক্ষ। 

এক শ্রেণির আদম ব্যাপারী নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে বিদেশে শ্রমিক পাঠান। অনেক সময় ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শ্রমিকদের পাঠানো হয়, যারা বিদেশে গিয়ে পরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। প্রতিবেদনে তাই ঋণ আবেদনের দীর্ঘসূত্রতা কমানো এবং ঋণ আদায়ে তদারকি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

কারা ঋণ পাবেন : ভিসা পাওয়ার পর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর আবেদন করতে হবে। বিদেশে কাজ করার জন্য যারা ভিসা পেয়েছেন, তারাই পাবেন এ ঋণ। অর্থাৎ ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ব্যাংক কোনো ভিসা পাইয়ে দেবে না। ঋণও দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে।

ঋণ ও সুদ : সরকারি ব্যাংকগুলো ১ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ দিয়ে আসছে। আর ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর। গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে আরও দুই মাস। সব মিলিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে ২৬ মাসের জন্য এবং সুদের হার ৯ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলো অবশ্য ঋণ দিচ্ছে ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদি। এ ব্যাংকগুলো সুদ নেয় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত।

তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বিদেশে গিয়ে পৌঁছানোর তিন মাস পর থেকে কিস্তি নেওয়া শুরু করে। অবশ্য সব ব্যাংকেরই ঋণের শর্ত ও অনুমোদনপ্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ওমান, কাতার, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া—এসব দেশের ক্ষেত্রে দুই বছর, শুধু সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এক বছর।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র : বৈধ ভিসার পাশাপাশি বিদেশগামী কর্মীকে যে কোম্পানি কাজ দেবে বা নিয়োগ করবে, সেই কোম্পানির নিয়োগপত্র লাগবে। লাগবে আবেদনকারীর সত্যায়িত তিন কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানাসংবলিত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ, পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। আরও লাগবে স্থানীয় বা ঘনিষ্ঠ এক বা একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত জামিননামা।

এই জামিননামা সম্পত্তি বন্ধকের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। আবেদনকারীর মতো জামিনদারদের ছবি, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া সনদ, পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হয়।

ঋণ পরিশোধ : সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। বিদেশে যাওয়ার পরে দুই বছরে ২৪ কিস্তি বা তিন বছরে বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হবে একটি করে। এ ব্যাংক এক অঙ্কের সরল সুদ নেয়। অগ্রণী ব্যাংকও এক অঙ্ক সুদ নেয়, তবে ঋণ পরিশোধ করতে হয় দেড় বছরে।

পূবালী ব্যাংক আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিলেও পরিশোধের মেয়াদ ২ বছর। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকসহ অন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে ১২, ২৪ ও ৩৬ মাসিক কিস্তিতে তা পরিশোধের ব্যবস্থা রেখেছে। বিদেশে যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে ঋণের মাসিক কিস্তি শুরু হয় এ ব্যাংকের।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন