শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসা ২০২৪ বিস্তারিত
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায় আধুনিক হাইব্রিড আখ হল গ্রহের সবচেয়ে বেশি ফসলের মধ্যে একটি, যা চিনি, গুড়, বায়োইথানল এবং জৈব-ভিত্তিক উপকরণ সহ পণ্য তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটিতে সবচেয়ে জটিল জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টগুলির মধ্যে একটি রয়েছে। শ্বেতী রোগ চেনার উপায়
বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক ফসলগুলির একটির জন্য একটি অত্যন্ত নির্ভুল রেফারেন্স জিনোম তৈরি করেছেন এবং কীভাবে জিনগুলি উদ্ভিদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে তার একটি বিরল উদাহরণ খুঁজে পেয়েছেন।
শ্বেতী রোগের স্থায়ী চিকিৎসা ২০২৪ বিস্তারিত
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়। কিন্তু যেসব জায়গায় লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন: হাত পা চাবানোর ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রয়োজনে ত্বক প্রতিস্থাপন করা যায়। তবে সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতি একরকম ফল দেয় না। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়।
ত্বক সাদা হলেই অনেকে ধরে নেয় শ্বেতী রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে। শ্বেতী রোগ নির্ণয়ের উপায় ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ত্বক এবং যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান।
আমাদের ত্বকের মেলানোসাইট কোষ থেকে মেলানিন নামক পিগমেন্ট বা রঞ্জক পদার্থ উৎপন্ন হয়। কোনো কারণে এই কোষ নষ্ট হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ত্বক সাদা হয়ে যায়।
ত্বক সাদা হওয়ার অনেক কারণ আছে। রক্তনালির কোনো অংশ সংকুচিত হয়ে গেলে সেই অংশ সাদা হয়ে যায়। শিশু বয়স থেকে লাল বা বাদামি রঙের তিল ছাড়াও সাদা রঙের তিল হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি বড় হয়, তখন একে নেভাস অ্যামিনিকাস বলে।
রোদে পুড়ে গেলে বা সানবার্ন হলে ত্বকের কিছু পুড়ে গিয়ে সাদা ছোপ পড়ে। কিছু ফাঙ্গাল ইনফেকশন আছে, যাকে ভারসিকালার বলে, যা ছোদ বা ছুলি নামে পরিচিত। সেখানেও সাদা হতে পারে।
২০ বছর বয়সের পর থেকে শ্বেতী রোগ বেশি হয়, তবে এটি যে কোনো বয়সে হতে পারে। পরিবারের কারও শ্বেতী থাকলে পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে শতকরা ২০ জনের এ রোগ হতে পারে। শ্বেতী কখনই ছোঁয়াচে নয়, সংক্রামকও নয়।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা উডস ল্যাম্প নামক একটি যন্ত্র দিয়ে ত্বক পরীক্ষা করলে দুধের বা চকের মতো সাদা চকচকে ত্বক দেখা যায়। তখন একে শ্বেতী বলে ধরা যায়। মুখের চারদিকে, আঙুলের মাথায়, হাতের পাশে শ্বেতী রোগ বেশি হয়। শ্বেতী রোগ হলে খাবার নির্বাচনে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে বেশি ডোজে কেউ প্রতিনিয়ত ভিটামিন-সি খেলে রঙ তৈরি করার পাথওয়েতে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।
শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
দেশ-বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না।
এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
আরো পড়ুন: কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেতী- বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। অনেকেই ভ্রƒ কুঞ্চিত করেন ভাবনায়, ছোঁয়াচে নয়তো! একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অভিব্যক্তি দেখে শ্বেতী রোগীর মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়?
কেউ হয়তো অপমানিতবোধ করেন, কেউ বা পান কষ্ট! তাই শ্বেতী রোগীকে অনাদর, অবহেলা-অবজ্ঞা নয়। এর চিকিৎসা হতে হবে ধাপে ধাপে ধৈর্য সহকারে। কারণ একদিন বা এক মাসেই এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ নয়।
এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে ইউনানী ভেষজ চিকিৎসা। ইউনানী ও ভেষজ চিকিৎসায় এ পর্যন্ত পার্শ্বে উল্লেখিত শিশুটি ছাড়াও কয়েক হাজার শ্বেতী রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছেন।
যেহেতু শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে করতে হয় তাই এটি অনেক সময়সাপেক্ষ। ৬ মাস থেকে ১৮ মাস এমনকি এক দুই বছর ধরে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতে চিকিৎসা চালাতে পারলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে।
শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs, Vitiligo Removerসহ চিকিৎসকের নির্দেশনামতে আরো কিছু
ঔষধ কয়েক মাস এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।
এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় এ চিকিৎসা গ্রহণ করলে শরীরে মেলানিন উৎপন্য হতে শুরু করে এবং আক্রান্ত স্থান ক্রমে কমে শরীরের অন্যান্য স্থানের মতোই সুন্দর হয়ে উঠে এবং শ্বেতী রোগের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরো পড়ুন: পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধ হোমিওপ্যাথি
সেই সাথে ভবিষ্যতে আবার যাতে শ্বেতী আক্রান্ত না হতে হয় সেজন্য ডাক্তারের নির্দেশমতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। ফলে পরবর্তীতে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আর থাকে না। যাদের শ্বেতী রোগ আছে তারা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনএ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা।
কারো কারো শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভালো হতে একটু সময় লাগে। কারো কারো এক বছর বা দেড়-দুই বছরও সময় লাগে। কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়। তবে শ্বেতীরোগের পরিমাণের উপর সময় কম বা বেশি লাগে। তাই নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।
প্রাথমিক পর্যায় হলে সম্প্রতি আবিষ্কৃত জবপধঢ় নামের ঔষধ ব্যবহারে এর সফল চিকিৎসা আছে। সেই সাথে Vitiligo Natural ব্যবহার করতে হবে। এটি শ্বেতী রোগের মহৌষধ। এছাড়া আরো কিছু ঔষধ রয়েছে, যা পরবর্তীতে অবস্থা ভেদে প্রদান করা হয়।
রোগের বয়স দীর্ঘ বা ক্রনিক হলে দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগী দুজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। কারণ শ্বেতী একটি জটিল রোগ। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়।
যাদের এ রোগটি শুরুর সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা যায় অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগ করা যায় এবং নিম্নে বর্ণিত খাবার বিধি-নিষেধের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়। তাদের এ রোগ সহজেই নির্মূল হয়।
আর এ রোগটি দু-তিন বছর যারা লালনপালন করছেন। খাবার-দাবার বিধি-নিষেধমতো গ্রহণ করছেন না, ঔষধ প্রয়োগ করছেন না তাদের সুস্থ হতে তিন, চার বা ছয়মাস এমনকি দু-এক বছর সময় লাগতে পারে।
তবে ঔষধ প্রয়োগের বিষয়ে ধৈর্য হারাবেন না। ঔষধ ব্যবহার করতে হবে এবং খাবার-দাবারের বিষয়ে নিম্নে বর্ণিত বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলতে দ্রুত এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
শ্বেতী রোগ চেনার উপায়
শ্বেতী রোগে শরীর সাদা হয়ে যায়। তবে সব সময়েই কি এ ধরনের লক্ষণ শ্বেতী রোগ? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭০০তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ারের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মর
শ্বেতী শব্দটি শুনলেই বোঝা যায়—সাদা। ত্বকের রং পরিবর্তিত হয়ে একেবারে সাদা রং অর্থাৎ দুধে সাদা যেটা বলে এরকম রঙের হয়ে যায়। এরকম হলে কিছুটা সন্দেহ করা যেতে পারে যে এটা শ্বেতী রোগের দিকে যাচ্ছে।
অনেক ত্বকের রোগ আছে, যেটা ত্বকে সাদা হয়ে যায়। এই সাদা শ্বেতী রোগের সঙ্গে প্রায় সময়ই সমস্যা তৈরি করে। তখন সেগুলোকেও বিবেচনায় আনতে হয়। খুব সহজভাবে বলতে গেলে চার-পাঁচ ধরনের ত্বকের রোগ আছে, যেটি প্রায়ই শ্বেতী রোগ বলে অনেকে বিবেচনা করতে পারে বা সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুন: চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন
যেমন : ছুলি। প্রায় সময়ই রোগীরা আমাদের কাছে ছুলি নিয়ে আসে। তারা ভাবে শ্বেতীরোগ হলো কি না। এ রকম আরো কিছু কিছু আছে যেমন সেভরিক ডার্মাটাইটিস। অর্থাৎ খুশকিজনিত ত্বকের রোগ। আমরা জানি খুশকি মাথায় হয়।
তবে খুশকি অনেক সময় মুখেও হয়ে যায় বা শরীরের অন্য জায়গায়ও হয়। খুশকি যখন মুখে হয়, তখন কিন্তু সাদা দেখায়। তখন রোগী চিন্তিত হয়ে যায় যে এটা শ্বেতী রোগ কি না।
তাদের তো দেখেই বোঝা যায়। আর একটি পরামর্শ দিতে চাই, আমি প্রথমে বলছিলাম, ধবল বা দুধের রঙের মতো সাদা—এই সাদা কিন্তু ওই সব রোগের ক্ষেত্রে হয় না। হালকা সাদা হয়। একেবারে দুধের রঙের মতো যে সাদা বলে, এটা অন্য কোনো রোগে হয় না। শুধু শ্বেতী রোগেই হয়। দুধের মতো সাদা রং যখন দেখতে পাবে, তখনই কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার মতো বিষয় রয়েছে।
শ্বেতী রোগ কি ভালো হয়
শ্বেতী ত্বকের একটি রোগ। ইংরেজি নাম লিউকোডারমা বা ভিটিলিগো। শ্বেতী আক্রান্ত রোগীকে দেখলে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। শ্বেতী রোগীরা বেশির ভাগই মানসিক অবসাদে ভোগেন। অন্যরাও তাঁদের এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এটি ছোঁয়াচে বা অভিশপ্ত কোনো রোগ নয়, কুসংস্কার এড়িয়ে যথাযথ চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়।
আমাদের ত্বকের মধ্যে মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন, যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলে দেখা দেয় শ্বেতী। শ্বেতী বা ধবল বংশগত কারণে হতে পারে।
প্রতি ১০০ জন শ্বেতী রোগীর মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেতী হয় বংশগত ধারায়, মাতৃ বা পিতৃকুলের কারও না কারও থেকে জিনের প্রভাবে। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শ্বেতী সাদা দাগ ছড়াতে থাকে নিজস্ব কারণে, যার মূলে রয়েছে মেলানিনের কারসাজি!
বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীতে আক্রান্ত। প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই প্রতিবছর ২৬ জুন তাঁর প্রয়াণ দিবসে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ভিটিলিগো ডে’ বা বিশ্ব শ্বেতী দিবস হিসেবে।
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ
সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকের ত্বক প্রথমে আক্রান্ত হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুই পাশে বা ঠোঁটের কোণ বা ওপরের ত্বকেও শুরু হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে শ্বেতী খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
আবার কারও এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই যায় না একসময় গায়ের রং আসলে কী ছিল! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতীর দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হওয়ার পর।
এটি একটি অটোইমিউন রোগ, আর এর সঙ্গে অন্যান্য অটোইমিউন রোগ সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। যেমন পরিপাকতন্ত্রের কিছু সমস্যা, থাইরয়েড বা অন্যান্য হরমোনের রোগ, টাইপ-১ ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যার দিকেও নজর দিতে হবে।
শ্বেতী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মানসিক চাপ রোগটিকে ত্বকের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। কারণ, মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেমকে আরও দুর্বল করে দেয়।
ক্যাফেইন, ডার্ক চকলেট, গ্লুটেন, দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য, সাদা চিনি এবং সাইট্রাস ফলের মতো কিছু সাধারণ খাবার শ্বেতী রোগকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। কোন কোন খাবারে সমস্যা বাড়ে, তা লক্ষ করুন আর নোট করুন। আখরোট, পেঁপে বেশি করে খাবেন।
ভিটামিন বি, সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিডসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সুষম খাবার গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পেতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। এ ছাড়া অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার তালিকায় প্রোবায়োটিকস এবং প্রিবায়োটিকস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অনেকেই শ্বেতী রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে ত্বকের বাইরের অংশে কিছু উপকরণের প্রয়োগ করে থাকেন। যেমন হলুদের গুঁড়ো ও শর্ষের তেলের মিশ্রণ। এতে কোনো ক্ষতি নেই। এ ছাড়া তুলসী বা পুদিনাপাতা পিষে তা লেবু রসে মিশিয়ে পেস্ট করে অনেকে ব্যবহার করেন।
শ্বেতী রোগের আরেকটি কারণ হলো কপারের ঘাটতি। বাদাম, বীজ এবং সবুজ সবজি তামাসমৃদ্ধ খাবার। তামার পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি পান করে আপনি উপাদানটির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আয়রন ও দস্তাসমৃদ্ধ খাবারও গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম, বীজ, শাক এবং সবুজ সবজি দস্তাসমৃদ্ধ।
শ্বেতী নিয়ে ভালো থাকতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা। সুতরাং সক্রিয় থাকুন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, পর্যাপ্ত ঘুমান ও সুষম খাবার গ্রহণ করুন।
শ্বেতী রোগের ক্রিম
দেশ-বিদেশে হাজার হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ এক বছর থেকে দশ-পনেরো বছর পর্যন্ত বয়ে চলছেন অসুখটি। কিন্তু অনেক সময় অনেক চিকিৎসা করেও সঠিক চিকিৎসার অভাবে এবং এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও প্রয়োগের অভাবে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না।
এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সঠিক তথ্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে, যাতে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেতী- বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধুমাত্র রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেতী রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। অনেকেই ভ্রƒ কুঞ্চিত করেন ভাবনায়, ছোঁয়াচে নয়তো!
একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার এই অভিব্যক্তি দেখে শ্বেতী রোগীর মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়? কেউ হয়তো অপমানিতবোধ করেন, কেউ বা পান কষ্ট! তাই শ্বেতী রোগীকে অনাদর, অবহেলা-অবজ্ঞা নয়। এর চিকিৎসা হতে হবে ধাপে ধাপে ধৈর্য সহকারে।
কারণ একদিন বা এক মাসেই এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সহজ নয়। এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে ইউনানী ভেষজ চিকিৎসা। ইউনানী ও ভেষজ চিকিৎসায় এ পর্যন্ত পার্শ্বে উল্লেখিত শিশুটি ছাড়াও কয়েক হাজার শ্বেতী রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছেন।
যেহেতু শ্বেতী রোগের চিকিৎসা ধাপে ধাপে করতে হয় তাই এটি অনেক সময়সাপেক্ষ। ৬ মাস থেকে ১৮ মাস এমনকি এক দুই বছর ধরে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতে চিকিৎসা চালাতে পারলে এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
এ চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় কিন্তু যেসব অংশে লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসায় দীর্ঘসময় লেগে যেতে পারে।
শ্বেতী রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
প্রয়োজনে রোগীর বয়স, রোগের সময়কাল, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বাছাই করা হয়। সেক্ষেত্রে এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় Recap ক্রিম, Vitiligo Natural, Vitiligo Natural Harbs, Vitiligo Removerসহ চিকিৎসকের নির্দেশনামতে
আরো কিছু ঔষধ কয়েক মাস এমনকি প্রয়োজনে কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে সেবন করতে হয়। এ চিকিৎসায় ধীরে ধীরে শ্বেতী থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব এবং সারাদেশে প্রায় এক হাজারেরও বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।
এ রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থায় এ চিকিৎসা গ্রহণ করলে শরীরে মেলানিন উৎপন্য হতে শুরু করে এবং আক্রান্ত স্থান ক্রমে কমে শরীরের অন্যান্য স্থানের মতোই সুন্দর হয়ে উঠে এবং শ্বেতী রোগের পরিসমাপ্তি ঘটে।
সেই সাথে ভবিষ্যতে আবার যাতে শ্বেতী আক্রান্ত না হতে হয় সেজন্য ডাক্তারের নির্দেশমতো চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। ফলে পরবর্তীতে এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আর থাকে না। যাদের শ্বেতী রোগ আছে তারা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনএ এটা একটা ভাল মানের চিকিৎসা সেবা।
কারো কারো শ্বেতীরোগ চিকিৎসায় ভালো হতে একটু সময় লাগে। কারো কারো এক বছর বা দেড়-দুই বছরও সময় লাগে। কারো কারো কম সময়ে ভাল হয়। তবে শ্বেতীরোগের পরিমাণের উপর সময় কম বা বেশি লাগে। তাই নিরাশ না হয়ে চিকিৎসা সেবা নিলে ভাল ফল পাবেন।
শ্বেতী রোগের প্রাথমিক লক্ষণ
আমাদের মধ্যে অনেকেই ধবল বা শ্বেতী রোগে ভোগেন। ধবল বা শ্বেতী রোগ কি? চামড়া সাদা বা কালো যাই হোক, ত্বক বা চামড়ার স্বাভাবিক রং যখন থাকে না এবং ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাই, তখন তাকে শ্বেতী বা ধবল রোগ বলা হয়।
ত্বকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ আছে যা মেলানিন নামক একটি রং উৎপাদন করে এবং এই মেলানিনের কারণেই আমরা ত্বকের স্বাভাবিক রংটি দেখতে পাই। এই মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে কিংবা মরে গেলে মেলানিন নামক রং উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে।
যাদের ডায়বেটিস আছে কিংবা থাইরয়েডের রোগ থাইরোডাইটিস আছে তাদের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। বিশেষ এক জাতের রক্তশুন্যতা থেকেও এই রোগটি হতে পারে। শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে বা প্রাণঘাতী রোগ নয়।
শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক বিরূপ ধারণা ও কুসংস্কার রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই রোগের নির্দিষ্ট কারণ এখনো জানতে পারেননি। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
শিশুদের শ্বেতী রোগ
জুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস বিরল রোগ যেটা মাংসপেশী এবং চামড়াকে আক্রান্ত করে। ১৬ বছর বয়সের আগে শুরু হলে এটিকে জুভেনাইল বলা হয়।
ধারনা করা হয় জুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস অটো ইমিউন রোগের পর্যায়ে পড়ে। সাধারনত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রমন প্রতিরোধে আমাদের সাহায্য করে। অটো ইমিউন রোগের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিভিন্নভাবে ক্রিয়াশীল হয় সাধারন কোষের উপর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এই ক্রিয়াশীলতা প্রদাহ সৃষ্টি করে যার ফলে কোষ ফুলে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
জেডিএম এর ক্ষেত্রে চামড়া এবং মাংসপেশীর ক্ষুদ্র রক্তনালী গুলো আক্রান্ত হয়। এর ফলে মাংশপেশী দুর্বল হয়ে যায় এবং ব্যাথার সৃষ্টি হয় বিশেষ করে শরীর, কোমড়. ঘাড় ও গলার মাংশ পেশীতে এটা হয়ে থাকে। বেশীর ভাগ রোগীর চামড়ায় র্যাশ থাকে।
এই র্যাশগুলো থাকে শরীরের বিভিন্ন অংশে, মুখমন্ডল, চোখের পাতা, আঙ্গুলের গিরা, হাটু এবং কনুইতে। চামড়ার র্যাশ এবং মাংসপেশীর দুর্বলতা একই সাথে নাও থাকতে পারে। র্যাশগুলো পরে বা আগে হতে পারে। বিরল কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য অঙ্গের ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলো আক্রান্ত হতে পারে।
শিশু কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্ক সবারই ডার্মাটোমায়োসাইটিস হতে পারে। বয়স্ক এবং জুভেনাইল ডার্মাটোমায়োসাইটিস এর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। ৩০% বয়স্ক ডার্মাটোমায়োসাইটিস ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত কিন্তু জেডিএমের সাথে ক্যান্সারের কোন সম্পর্ক নেই।
ডার্মাটোমায়োসাইটিস এর প্রতিকার জানা যায়নি। জেডিএম এর কারন খুজতে আন্তর্জাতিকভাবে অনেক গবেষণা হচ্ছে। জেডিএম কে অটোইমিউন রোগ বলা হচ্ছে এবং এটা অনেক কারনে হয়।এর মধ্যে বংশগত এবং পরিবেশের প্রভাবক যেমন অতি বেগুনী রশ্মি এবং সংক্রমন উল্লেখযোগ্য।
গবেষণায় দেখা গেছে কিছু জীবানু (ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস) ইমিউন সিস্টেমকে অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত করে। বাচ্চার জেডিএম হয়েছে এরূপ কিছু পরিবার অন্যান্য অটো ইমিউন রোগে ভোগে, যেমন-ডায়াবেটিস অথবা গেটেবাত। যাহোক পরিবারের দ্বিতীয় সদস্যের জেডিএম হওয়ার ঝুঁকি বেশী নয়।
বর্তমানে জেডিএমকে প্রতিরোধের কোন উপায় নেই। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি আপনার শিশুকে জেডিএম হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন না।
শ্বেতী রোগের খাবার
শ্বেতী (ভিটিলিগো) বা ত্বকের সাদা দাগ এক ধরনের 'অটো-ইমিউন ডিজিজ'। ভিটিলিগো বা শ্বেতী নিয়ে সমাজে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কেউ কেউ একে অভিশাপ মনে করেন।
এই সাদা দাগের সঙ্গে কুষ্ঠ রোগের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও সেই আতঙ্কে আক্রান্ত মানুষটি ও তার পরিবার অনেক বেশি ভেঙে পড়েন। দেখতে শ্রীহীন লাগা ছাড়া শ্বেতীর অন্য কোনো বিপজ্জনক দিক নেই।
শরীরের 'ইমিউন সিস্টেম' বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অজ্ঞাত কোনো কারণে নিজের শরীরের বিভিন্ন কোষ ও কলাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই জাতীয় রোগকে বলা হয় 'অটো-ইমিউন ডিজিজ'।
ত্বকের ভেতের থাকা মেলানোসাইট কোষ মেলানোজেনেসিস (অর্থাৎ ত্বকের রঞ্জক মেলানিন তৈরির প্রক্রিয়া) পদ্ধতিতে মেলানিন তৈরি করে। এই মেলানিনই ফর্সা বা কালো রঙের কারণ। বেশি মেলানিন হলে গায়ের রং কালো, মাঝামাঝি হলে বাদামি আর কম হলে ফর্সা হয়।
মেলানোজেনেসিস প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হলে ত্বক হয়ে ওঠে দুধ সাদা। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেরাই মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করে দেয় এই রোগে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিলে রক্তে এক ধরনের শ্বেত কণিকা- লিম্ফোসাইট বেড়ে যায়।
ধারণা করা হয়, এরাই মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস করে। ভিটিলিগো, শ্বেতী বা লিউকোডার্মা যে নামেই ডাকি না কেন এই রোগের একটাই উপসর্গ - ধবধবে সাদা দাগ। কোনো জ্বালা, ব্যথা বা চুলকানি কিছুই থাকে না।
অটো-ইমিউন ডিজিজ ছাড়াও নানা কারণে ত্বকে সাদা দাগ হতে পারে। আলতা, সিঁদুর বা প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহৃত ক্যামিক্যালের প্রভাবে অথবা পস্নাস্টিকের স্যান্ডেল দীর্ঘদিন পরলে অনেকের ত্বকে সাদা দাগ হতে দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে কেমিক্যাল লিউকোডার্মা বলা হয়।
আবার অনেক দিন ধরে শক্ত করে বেল্ট বেঁধে পোশাক পরলেও কোমরে এক ধরনের সাদা দাগ দেখা দেয়। যথাযথ চিকিৎসায় সবই সেরে যায়। অনেকেই নানা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে শ্বেতীর চিকিৎসা করাতে ভয় পান। এই ধরনের ভাবনার কোনো ভিত্তি নেই।