জমির দলিল কিভাবে বের করব
সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে সাধারণ কয়েক বছরের দলিলের বালাম বা ভলিউম বহি থাকে। বেশি পুরাতন দলিল খুজে পেতে আপনাকে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সদর রেকর্ডরুম থেকে তল্লাশি দিয়ে বের করতে হবে।
অনলাইনে রেজিস্ট্রি অফিসের কোন দলিল খুজে পাবেন না। এজন্য আপনাকে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে একজন সাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখকের সহায়তায় তল্লাশি দিয়ে দলিল বের করতে হবে। প্রত্যেকটি দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে এক্সট্রা মোহরার বা নকলনবিশ দ্বারা বড় সাইজের বালাম বা ভলিউম বহিতে দলিল কপি করে মূল দলিল পক্ষকে ফেরত প্রদান করা হয়।
জমির দলিল কিভাবে বের করব
আপনার যদি জমি থাকে সেটার প্রমান হলো দলিল। তাই জমি থাকলে অবশ্যই উক্ত জমির দলিল থাকা জরুরি। তাছাড়া জমি নিয়ে যদি কোনো সমস্যা হয় তখন দলিল ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করতে হয়।
যদি আপনার জমির দলিল না থাকে তাহলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আমরা আজ আলোচনা করবো পুরাতন দলিল বের করার নিয়ম। পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে। চলুন আলোচনা করা যাক।
আগে পুরাতন দলিল বের করতে আমাদের নিকটস্ত সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বা জেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করতে হতো। এখন আর সেখানে না গেলেও চলবে।
আসলে সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এখনো এমন কোনো অনলাইন সিস্টেম বের করেনি, যার মাধ্যমে জমির নতুন এবং পুরাতন দলিল বের করা যাবে। তবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন জমির দলিলের মৌলিক কিছু তথ্য।
আরো পড়ুন: জমির দলিল হারিয়ে গেলে করণীয় কি
মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পুরাতন দলিল যাচাই করতে আপনাকে কয়েকটি বিষয় জানা থাকতে হবে। যেমন-জেলার নাম, জমি রেজিস্ট্রেশন সাল, দলিলের মালিকের নাম, বাবার নাম ইত্যাদি। নিম্মে কয়েকটি ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Wb registration লিখে প্রবেশের পর উক্ত পেইজের উপরে Wb registration.gov.in এই লিংকে ক্লিক করুন। উক্ত লিংকে ক্লিক করলেই আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে নিচের পেইজে।
নাম দিয়ে জমির দলিল
জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে জমির প্রকৃত মালিকের নাম জানা থাকলে কোন রকম ঝামেলায় পড়ার সুযোগ নেই। আপনি যখন কারো জমি ক্রয় করবেন অবশ্যই জমির মালিকানা যাচাই করে কেনা উচিত।
তাছাড়া আপনি বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে পারেন যেমন জমির ভুয়া দলিল দিয়ে আপনাকে জমি বিক্রি করতে পারে, এক্ষেত্রে আপনি যদি সচেতন হন তাহলে অবশ্যই নাম দিয়ে জমির দলিল বা মালিকানা অনলাইনে যাচাই করে নিতে পারবেন।
পূর্বে আমরা দেখিয়েছি কিভাবে দাগ নম্বর, এবং খতিয়ান নাম্বার দিয়ে জমির মালিকানা বের করতে হয়। তবে অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন নাম দিয়ে জমির দলিল বের করা যায় কিনা। এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে দলিল কাকে বলে?
সাধারণত যে কোন লিখিত বিবরণ যা আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলে। তবে ভূমি নিবন্ধন আইন মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন তা ই হলো দলিল। তবে আপনার জন্য জানার বিষয় হল অনলাইন থেকে আপনি শুধু জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন, এবং দেখতে পারবেন জমির দাগ নাম্বার এবং ক্ষমতা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য।
তবে অনলাইনে মাধ্যমে আপনি দলিলের কোন কপি বের করতে পারবেন না। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমানে ফি প্রদানের মাধ্যমে আপনি খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি বের করতে পারবেন।
দলিল তল্লাশি অনলাইনে
দলিল তল্লাশি করার নিয়ম লিখে যেহুতু আপনি গুগলে সার্চ করেছেন। সেহুতু আপনার এই গুরুত্বপূন্য নতির প্রয়োজন। প্রথমেই আমরা জানি তল্লাশি মানে কি ? তল্লাশি হলো খোজাখোজি করা। মানে কোনো কিছুকে খোজানো মানে তল্লাসি করা।
জমির এই নথি খোজা মানেই তল্লাসি করা। সাধারণত আমরা যদি কোনো কারণে এই কাগজটি হারিয়ে ফেলি কিংবা নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমরা তল্লাশি করি বা খোজাই।
আর এই কাগজটি খোজার নির্দিষ্টি কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মের বাইরে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। তাই আজকে আমি আপনাকে এই কানুন গুলোই বলবো । অনেক কারনেই দলিল তল্লাশি করতে হয়। মনে করেন আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে আপনি একটি জমি ক্রয় করেছিলেন।
আরো পড়ুন: জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন খরচ জানুন ২০২৪
আপনি এই দলিল সংগ্রহ করেও রেখেছিলেন। কিন্তু কোনো কারনে কিংবা কোনো দূর্গঠনার কারনে আপনার দলিল নষ্ট হয়ে গেছে। অথবা আপনার এই ডকুমেন্টটি পোড়ে গেছে। কিন্তু আইনি কোনো জঠিলতার কারণে বা জমি বিক্রয়ের জন্য
অথবা আপনার এই জমির যে কোনো প্রয়োজনে দলিলের প্রয়োজন পড়ল। তখন এই কাগজ তল্লাশি ছাড়া আর কোন পদ্ধতি নাই। এখন আপনার প্রয়োজন পড়বে তল্লাশি করার। আর আপনি এটাকে খোজতে হবে নির্ধারিত কিছু নিয়ম মেনে। প্রশ্ন হলো তল্লাশি কোথায় কি ভাবে করবো। তাই এ বিষয়ে কিছু দলিল তল্লাশির করার নিয়ম কানুন রয়েছে। আর সেটা জেনে রাখা ভালো।
পুরাতন দলিল তল্লাশি বলেন বা নতুন দলিলের নকল কপি বলেন। প্রতিটা কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যা আমাদের অজানা থাকার কারনে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই এ বিষয়ে আইনি কিছু নিয়ম জানা একান্ত জরুরী।
এক্ষেত্রে দুইটি নিয়ম অবলম্বন করা যায়। একটি হলো যদি মূল দলিল থাকে, আর অন্যটি হলো যদি দলিল না থাকে। যদি মূল দলিল না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তল্লাশি অপরিহার্য । কেননা সূচিপত্র তল্লাসি করে আপনাকে জানতে হবে আপনার দলিলটি কার নামে ছিলো।
কত সালে কখন হয়েছে। নতুবা আপনি এই দলিলের কোনো তথ্য পাবেননা। কেউ আপনাকে দেবেওনা। যদি সেটা প্রমাণ না হয় যে দলিলটি আপনার প্রয়োজন।
জমির দলিল তল্লাশি
তল্লাশি মানে খোঁজা-খুঁজি করা। যখন একটা দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা হয় তখন তা অনুমোদন হলে বালাম বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপর দলিলটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে দুটি সূচি তৈরি করা।
একটি সূচি তৈরি করা হয় দাতা/গ্রহীতার নাম,বাবার নাম দিয়ে। আর একটি সূচি তৈরি করা হয় জমির মৌজার নাম দিয়ে। অফিসিয়ালি এই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার জন্য একটি দলিল সম্পাদন হওয়ার পর তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেজিস্ট্রি অফিসে জমা থাকে।
এই নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রহীতাকে দলিল প্রদান করা হয়। এই দলিল যখন কেউ হারিয়ে ফেলে কিংবা কোনো ভাবে নষ্ট হয়ে যায় তখন তার সার্টিফাইড কপির প্রয়োজন হয়। তখন রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে সেই দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা যায়।
আপনি যদি কোন জমি ক্রয় করতে চান তাহলে জমির মালিকানা যাচাই করতে হতে পারে। এজন্য যার জমি ক্রয় করতে চান তার পুরাতন দলিল তল্লাশি করে দেখা উচিৎ। বাংলাদেশ সরকা্রের ভূমি মন্ত্রনালয় এখনো অনলাইন সিস্টেমের এই সাইটি উন্নতি করেনি। তাই বাংলাদেশের কোন দলিলের তথ্য এইভাবে জানা সম্ভব নয় কিন্তু ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দলিল তল্লাশি করা যায়।
এই ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা হতে পারে। এক যদি মূল দলিল থাকে এবং দুই যদি মূল দলিল না থাকে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তল্লাশি অপরিহার্য কেননা সূচিপত্র তল্লাশি করে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, কাঙ্খিত দলিলটি আপনার প্রয়োজন।
পুরাতন জমির দলিল ডাউনলোড বাংলাদেশ
অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম বাংলাদেশ আপনি যদি একজন জমির মালিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই জমির দলিল আপনার কাছে থাকা খুবই জরুরী একটি বিষয়।
জমির মালিকের কাছে যদি জমির দলিল না থাকে সে ক্ষেত্রে অনেকেই তার কথাতে বিশ্বাস আনতে পারেন না এবং কিছু লোক এমন রয়েছেন যারা জমির মালিক হওয়া সত্ত্বেও জমির দলিল না থাকার কারণে সেই জমির দখল নিতে পারছেন না।
আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে আপনার জমির দলিল সংগ্রহ করতে পারবেন তা জানাতে। সত্যিই যে আপনি অনলাইন থেকে আপনার জমির দলিল সংগ্রহ করতে পারবেন সেই বিষয়ে আমরা আপনাদের আজকে জানাবো। প্রচলন কিভাবে অনলাইনে জমির দলিল বের করতে হয় এবং সেই বের করার নিয়ম ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আরো পড়ুন: অনলাইনে জমির ই-পর্চা দেখার নতুন নিয়ম
আপনারা যারা জমির মালিক রয়েছেন তারা জমির দলিল বিষয় নিশ্চয়ই কোন না কোন দিন ভুক্তভোগীর শিকার হয়েছেন। জমির জন্য জমির দলিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এই দলিল যদি একজন জমির মালিকের কাছে না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তাকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
তবে যারা নতুন অবস্থাতে জমিগুলো ক্রয় করেন তাদের জমির দলিল বের হতে কিছু সময় লাগে এবং অনেকেই রয়েছেন যারা পুরাতন জমির দলিল খুঁজছেন তাদের জন্য জমির দলিল বের করা অনলাইনে নতুন একটি পদ্ধতি বের হয়েছে।
অনেক জমির মালিক এমন রয়েছেন বহু আগে জমির দলিল করেছেন এবং সেই জমির দলিল সংগ্রহ করতে পারেননি হারিয়ে ফেলেছেন। সেই সকল জবের মালিকগণ কিভাবে জমির দলিল সংগ্রহ করতে পারবেন সেই বিষয়ে আমরা আজকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। অবশ্যই এর জন্য আপনার প্রয়োজন কিছু সঠিক তথ্য এবং আমরা চেষ্টা করব সেই তথ্যগুলো আপনাদের দিতে।
অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম বাংলাদেশ
তাহলে, আমাদের দেওয়া আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা জানি, বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমির সকল সেবা এখন ডিজিটাল প্রযক্তির মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার ফলে জমির খতিয়ান বের করে নিতে কিংবা জমির মালিকানা বের করর উপায় অনেক সহজ হয়ে গেছে। কারণ বর্তমান সময়ে অনলাইন ইন্টারনেটে সার্চ করেই তাৎক্ষনিক ভাবে জমির খতিয়ান এবং মালিকানা খুজে বের করা যায়।
আমরা জানি, অনেক লোকের বাবা মা, দাদা দাদি, মৃত্যুর আগে জমি/ ভূমি রেখে যান, কিন্তু তার ওয়ারিশগণ সেটি খুঁজে পায় না। আবার দেখা যায় জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে গেলে দালাল এর হাতে পড়ে অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়।
তার জন্য আপনার যদি জমি/ ভূমি সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকা সত্ত্বেও নিজের বাবা মা, দাদা দাদির রেখে যাওয়া জমি/ ভূমির হিসাব নিজেই রাখতে পারবেন। জমির মালিকানা এবং খতিয়ান বের করার আগে আপনাকে জানতে হবে খতিয়ান কি এবং কাকে বলে। তো চলুন জমির মালিকানা বের করার উপায় জানতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করা যায়।
খতিয়ান বলতে যা বুঝায় পর্চা বলতেও তাই। মানে খতিয়ান এবং পর্চা একই জিনিস। যার নামে জমির খতিয়ান তার নামেই পর্চা। অনেক এলাকা বা গামে এটিকে বিভিন্ন নাম ধরে ডাকা হয়। জমির মালিকানা প্রমাণ করার জন্যে সরকারি যে, দলিল রয়েছে তাকেই খতিয়ান বলা হয়।
আইন এর ভাষায় বলতে গেলে, সরকারি জমি জরিপ করার সময় জরিপ এর বিভিন্ন স্টেপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত ভাবে বাংলাদেশের ফরম নং আইনের ভাষায় বলতে গেলে, সরকারি ভাবে জমি জরিপ করার
সময় জরিপের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত ভাবে বাংলাদেশ ফরম ন: ৫৪৬২ (সংশোধিত) তে ভূমির মালিকানা, দাগ নং এর বর্ণনা সহ যে, নথি প্রকাশ করা হয়ে থাকে তাকেই খতিয়ান বলে।