জমির দলিল দিয়ে কোন কোন ব্যাংক লোন দেয়
সিসি লোন কোন কোন ব্যাংক দেয় নতুন আইনের ফলে এখন থেকে কারো প্রয়োজন হলে ব্যাংকে রাখা ফিক্সড ডিপোজিট, সোনা-রূপা বা দেশের বাইরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে রাখা কাঁচামালের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
অনুমোদিত নতুন ‘সুরক্ষিত লেনদেন’ আইনের ফলে ব্যাংকের থেকে ঋণ নিতে দৃশ্যমান সম্পত্তির বদলে অন্যান্য যেসব ভাসমান সম্পত্তির বাজারমূল্য আছে সেগুলোও ব্যাংক বন্ধক হিসেবে রাখতে পারবে।
জমির দলিল দিয়ে কোন কোন ব্যাংক লোন দেয়
কেবল স্থাবর সম্পত্তিই নয়, স্থায়ী আমানত কিংবা স্বর্ণ-রৌপ্য ও মেধাস্বত্বের মতো অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতেও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়া যাবে।
গত বৃহস্পতিবার ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর আইন)- ২০২৩’ এর চূড়ান্ত খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে বন্ধক রাখার জন্য অস্থাবর সম্পত্তির নিবন্ধন থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে মূল্য নির্ধারন সম্ভব এমন অস্থায়ী সম্পদ নিবন্ধনের জন্য আলাদা একটি কর্তৃপক্ষ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নতুন এই আইনের ফলে ব্যাংক এবং ঋণগ্রহীতা উভয় পক্ষই লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ নিতে হলে তার বিপরীতে জমি বা দালানের মতো সমমূল্যের দৃশ্যমান কোন সম্পদ ব্যাংকে জমা বা বন্ধক রাখতে হয়।
অনুমোদিত নতুন ‘সুরক্ষিত লেনদেন’ আইনের ফলে ব্যাংকের থেকে ঋণ নিতে দৃশ্যমান সম্পত্তির বদলে অন্যান্য যেসব ভাসমান সম্পত্তির বাজারমূল্য আছে সেগুলোও ব্যাংক বন্ধক হিসেবে রাখতে পারবে।
আরো পড়ুন: জমির দলিল হারিয়ে গেলে করণীয় কি
নতুন আইনের ফলে এখন থেকে কারো প্রয়োজন হলে ব্যাংকে রাখা ফিক্সড ডিপোজিট, সোনা-রূপা বা দেশের বাইরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে রাখা কাঁচামালের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। কপিরাইট আছে এমন কিছুও চাইলে ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখা যেতে পারে।
এছাড়াও দাম নির্ধারণ সাপেক্ষে আসবাবপত্র, ইলেকট্রিকপণ্য, সফটওয়্যার, অ্যাপসের মতো পণ্যও ঋণ নেয়ার সময় ব্যাংকের কাছে রাখা যেতে পারে। এছাড়া পুকুরের মাছ, বাগানের গাছ, গবাদি পশুর বিপরীতেও ব্যাংক ঋণ দেবে।
কোন কোন ব্যাংক মর্টগেজ লোন দেয়
বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার বাজারে গ্রাহক টানতে ঋণদান প্রক্রিয়াও ক্রমশ সহজ করছে তারা। ঋণ দু’ধরনের হয়ে যাকে- সিকিওর্ড এবং আনসিকিওর্ড।
যে সমস্ত ঋণ নিতে গেলে গ্রাহককে কোনও সম্পদ বন্ধক রাখতে হয় তাকে সিকিওর্ড লোন বলে। উল্টোদিকে, আনসিকিওর্ড ঋণের ক্ষেত্রে কোনও কিছু বন্ধক রাখার প্রয়োজন হয় না।
সিকিওর্ড লোনের মধ্যে সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ বা Loan Against Property অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ব্যাঙ্কিং পরিভাষায় একে মর্টগেজ লোনও বলা হয়। এতে ব্যাঙ্ক বা নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানিগুলি ঋণ গ্রাহকের বাড়ি, ফ্ল্যাট বা দোকানের মতো আবাসিক বা বাণিজ্যিক সম্পত্তি জামানত হিসাবে রাখা হয়।
আরো পড়ুন: জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন খরচ জানুন ২০২৪
সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ ভালো অপশন হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ ঋণের পরিমাণ কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার উপর কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। এটি ব্যবসা, বাড়ি নির্মাণ বা সংস্কার, বিয়ে, অসুস্থতার চিকিৎসা, ঋণ পরিশোধ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। বন্ধক রাখা সম্পত্তির মূল্যের 75% পর্যন্ত ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক ও NBFC-গুলি।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন মেয়াদের জন্য মর্টগেজ লোন দিয়ে থাকে। সাধারণত আনসিকিওর্ড লোনের তুলনায় মর্টগেজ লোনে সুদের হার কম থাকে। সুদের হারও বিভিন্ন হয়ে থাকে। গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর, লোনের মেয়াদ ও অঙ্ক, সম্পত্তির ধরন ইত্যাদি একাধিক বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে সুদ নির্ভর করে।
বন্ধক লোন নিতে হলে ব্যাংকে আপনার কোন সম্পত্তি জমা রেখে সেইটার বিনিময়ে লোন নিতে হয়। সম্পত্তিটা আপনার বাসা হতে পারে, আপনার জমি হতে পারে বা আপনার নামের কোন বিল্ডিং বা অফিস হতে পারে।
বন্ধক লোন নেওয়াটা বেশি সুবিধার বলে আমি মনে করি কারণ আপনি যদি লোন পরিশোধ করতে না পারেন তবে ব্যাংক আপনার সম্পত্তিটা নিয়ে নিবে। আপনি প্রথমবার কোন জায়গা কিনছেন? তবে বন্ধক লোন নেওয়ায় ভালো বলে আমি মনে করি।
বন্ধক লোন নেওয়ার জন্য কি কি করতে হবে? বন্ধক লোন সাধারণত আমাদের নিজেদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নেওয়া কিন্তু সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও আমরা এই লোন নিতে পারি। এই লোন নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হচ্ছে, আপনি লোন পরিশোধ করার পর পুনরায় আপনার সম্পত্তিটা ব্যবহার করতে পারি।
একবার লোনটা পরিশোধ হয়ে গেলেই আপনি আবার সম্পত্তিটা আপনার একমাত্র মালিক হয়ে যাবে। আপনি বিভিন্ন কাজে এই লোন নিতে পারেন যেমন, আপনার ব্যবসায়িক উন্নয়নের জন্য, বাসা করার জন্য, ছেলেমেয়েকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে।
কি ধরনের সম্পত্তি আপনি বন্ধক রাখতে পারবেন? আপনি আপনার যে কোন ধরনের সম্পত্তি বন্ধক রাখতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার বসবাসকৃত বাসাটাও বন্ধক রাখতে পারেন আবার আপনার যে বাসাটা ভাড়া দেওয়া আছে
ঐটা বন্ধক সম্পত্তি হিসেবে আপনি ব্যাংকে জমা দিতে পারবেন। আপনার নামে কোন বৈধ জায়গা থাকলে সেটাও বন্ধক রাখতে পারেন। কমার্শিয়াল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সম্পত্তি বা নির্মাণাধীন সম্পত্তি আপনি বন্ধক রাখতে পারেন।
ইন্টারেস্ট রেটের উপর ভিত্তি করে এই লোনকে ৩ভাগে ভাগ করা হয়। Fixed Rate Mortgage (FRM), Adjustable Rate Mortgage (ARM), Interest Only Mortgage Rate এইগুলোর মধ্যে FRM এর ক্ষেত্রে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এবং মূল অর্থ ব্যাংকে দিতে হবে।
ARM লোন বন্ধককৃত সম্পত্তির ইকোনমিক ও মার্কেট ভ্যালুর উপর নির্ভর করে। আপনি যদি Interest Only নেন তবে আপনাকে আগে ইন্টারেস্টের টাকাটা পরিশোধ করতে হবে তারপর লোনের বাকি টাকাটা দিতে হবে।
সিসি লোন কোন কোন ব্যাংক দেয়
.কোন একজন লোক কোন নিদিষ্ট ব্যাংকে বিশেষ কোন কিছু জামানতের বিনিময়ের ঋণ পেয়ে থাকে তাকে সাধারণ সিসি লোন বলে। সিসি একাউন্ট কারেন্ট একাউন্টের মত ই। ব্যাংক এই ব্যক্তিকে তার নিজের একাউন্টের নির্দিষ্ট একটা ঋণ দিয়ে থাকে এবং এই ব্যক্তি এর চেয়ে বেশি ঋণ নিতে পারে না। চাহিবার মাএ ফেরত দিতে হবে সাধারণত এই প্রকৃতির ঋণ এগুলো।
সিসি লোন এর অনেক রকম সুবিধা আছে। সিসি লোনের সুবিধা হচ্ছে এখনে সুদের হার অনেক কম আরো সুবিধা আছে যেটা হচ্ছে অনেক দীর্ঘ সময়ের জন্য লোন নেওয়া যায়। বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক আছে তারা তাদের নিয়ম অনুযায়ী নিদিষ্ট মেয়াদে সিসি লোন দিয়ে থাকে। প্রতিটি ব্যাংক তাদের নিয়ম নেমে সিসি লোন দিয়ে থাকে।
আপনি যদি অধিক লোন নিতে চান এবং কম জামেলাহীন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে সিসি লোন। আমি যত দূর জানি সিসি লোন সবচেয়ে বেশি নেয় ব্যবসায়ী লোক জন। এতক্ষণ আলোচনা করলাম সিসি লোন এর সুবিধা সম্পর্কে।
সিসি লোন এর সুবিধা থাকবে অসুবিধা থাকবে না এটা তো হয় না। এখন অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করি। সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো নির্দিষ্ট সময়ে লোন দিতে হবে। যদি আপনি নির্দিষ্ট সময় লোন না পারেন তাহলে আপনার জামানত ব্যাংক নিলামে তুলার সম্পণ অধিকার রাখে।
আর একটা অসুবিধা হলো কিন্তুু এটা সব ব্যাংক এজন্য না কিছু কিছু ব্যাংক লোন দেওয়ার পূর্বে সুদের টাকা গ্রহণ করে থাকে। সব ব্যাংক না কিছু কিছু ব্যাংক। সিসি লোন সাধারণ ১ বছরে জন্য দেওয়া হয়। আপনি চাইলে পুরোবর্তী এক বছর শেষে আবার সিসি লোনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারেন। সিসি লোনের ব্যাংকের সুদের হার ৯ %।
আপনি যদি এক লক্ষ টাকার সিসি লোন করেন তাহলে এক বছরের সুদ হবে ৯ হাজার টাকা। এই ইন্টারেস্ট টা প্রতি তিন মাস পর পর আপনার থেকে টেকে নেওয়া হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ১০ লক্ষ টাকার সিসি লোন করেন তাহলে আপনার এক বছর শেষে ৯০ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে।
এই ৯০ হাজার টাকা সুদ ব্যাংক আপনার থেকে প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর কেঁটে নিবে। বিজনেস করতে গিলে অনেক টা মূলধনের প্রয়োজন হয়। সবার কাছে এ রকম নগদ মূলধন নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের জমি জমা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যে দাম আছে।
আরো পড়ুন: অনলাইনে জমির ই-পর্চা দেখার নতুন নিয়ম
তার পর্রবতীতে আমরা যে সিসি লোন নিবো এ সিসি লোন কে আমরা আমাদের ব্যবসাতে সে টাকা কে খাঁটাবো এবং সে টাকা টা খাঁটানোর বিপরীতে আমরা কিছু অর্থ উপার্জন করবো। এখন এখানে একটি ব্যপার সম সময় মাথায় রাখতে হবে।
আমরা সিসি লোনের যে টাকা টাকে আমাদের ব্যবসাতে খাঁটাবো অবশ্য ই খেয়েল রাখতে হবে যাতে লভ্যাংশ টা আমাদের বছর শেষে যে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে তার থেকে ও বেশি কিন্তুু আমাদের উপার্জন করতে হবে। আপনি ১০ লক্ষ টাকা সিসি লোন করে বছর শেষে যদি ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনি ৯০ হাজার টাকা ব্যাংকে সুদ দিবেন বাকি ৯০ হাজর টাকার আপনি নিলেন। এখন যদি আপনি ১০ লক্ষ টাকা সিসি লোন গ্রহণ করে বছর শেষে ৯০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারলেন না। তাহলে দেখা যাবে বছর শেষে আপনার যে ১০ লক্ষ টাকা সিসি লোন ছিলো সেখান থেকে আরো আপনার টাকা কমে আসবে।
এভাবে দিনের পর দিন সিসি লোন টাকা কমতে শুরু করবে এবং আপনি আশা অনুযায়ী লাভ করতে পারবে না। একটা সময় দেখা যাবে আপনার ১০ লক্ষ টাকা থেকে সুদ কেঁটে নিয়ে নিয়ে একটা সময় দেখা যাবে আপনার আর কোন টাকা ই নেয়।
সেক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে দেওলিয়া ঘুষণা করবে এবং সিসি লোন নেবার সময় ব্যাংকে যে আপনার জমি জমা কাগজ জমা দিয়েছিলেন সেগুলো ব্যাংক নিয়ে নিলামে তুলবে। এজন্য ই আপনাদেরকে বলবো সিসি লোন নেওয়ার আগে ভেবে চিন্তে নিবেন এবং সিসি লোনের টাকা যে ব্যবসায়
আপনি ব্যয় করবেন সেখানে খেয়াল রাখবেন এখান থেকে যে লভ্যাংশ টি পাবেন সেটা যেন অবশ্য ই আপনার ব্যাংক ইন্টারেস্ট থেকে বেশি হয় তাহলে আপনি আপনার ব্যবসায় ভালো ভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন। অন্যথায় আপনার সমস্ত টাকা নষ্ট হবে এবং দেউলিয়া হয়ে যাবেন।
এ কারণে আপনাদের বলবো ব্যাংক থেকে সিসি লোন নেওয়ার আগে অবশ্য ই আগে পিছে ভেবে তারপরে ব্যাংকের সিসি লোন নিবেন। হয়তো সবাই এসব কথা খুলামেলা বলে না আমি আপনাদের কে বললাম এর ভালো দিক খারাপ দিক সব গুলোরই আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
সোনালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন
সোনালী ব্যাংকের একজন রেগুলার গ্রাহক হিসেবে সোনালী ব্যাংক লোন নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তা কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে জানা দরকার। অর্থাৎ আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের অধীনে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য কিংবা বিভিন্ন সেক্টরের জন্য লোন নিতে চান, তাহলে কি রকম শর্ত প্রযোজ্য হবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
আর আজকের এই আর্টিকেলের মূলত আলোচনা করা হবে সোনালী ব্যাংক লোন নেয়ার যেসমস্ত সেক্টর এবং যত টাকার পরিমাণ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। এই লোন নেয়ার মাধ্যমে আপনি যে সমস্ত টাকা পাবেন সেই টাকাগুলো আপনার ব্যবসায় কার্যক্রমে কিংবা অন্য যে কোন প্রফিটেবল খাতে ব্যবহার করতে।
মূলত সোনালী ব্যাংকের যে পার্সোনাল লোন সভা রয়েছে সেটিকে ছোট এবং বড় এন্টারপ্রাইজ লোন বলা হয়। তাহলে দেখে নিন এই লোন নেয়ার উপায় এবং কত টাকা নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে। যেকোনো ব্যক্তি কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা অব্দি লোন নিতে পারবে।
লোন নেয়ার জন্য বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে শুরু হয় এবং যে ব্যক্তি লোন নিবে সেই ব্যক্তিকে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। যে ব্যক্তি লোন পরিশোধের সময় এর অপব্যবহার করে এবং মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এই লোন নিতে পারবে না। নারী উদ্যোক্তা হলে খুব বেশি পরিমাণে সফলতা পেলে লোন নিতে পারবে।
বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক
এই লোন নেয়ার মাধ্যমে আপনি যে সমস্ত টাকা পাবেন সেই টাকাগুলো আপনার ব্যবসায় কার্যক্রমে কিংবা অন্য যে কোন প্রফিটেবল খাতে ব্যবহার করতে। মূলত সোনালী ব্যাংকের যে পার্সোনাল লোন সভা রয়েছে সেটিকে ছোট এবং বড় এন্টারপ্রাইজ লোন বলা হয়। তাহলে দেখে নিন এই লোন নেয়ার উপায় এবং কত টাকা নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে।
যেকোনো ব্যক্তি কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা অব্দি লোন নিতে পারবে। লোন নেয়ার জন্য বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে শুরু হয় এবং যে ব্যক্তি লোন নিবে সেই ব্যক্তিকে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
যে ব্যক্তি লোন পরিশোধের সময় এর অপব্যবহার করে এবং মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এই লোন নিতে পারবে না। নারী উদ্যোক্তা হলে খুব বেশি পরিমাণে সফলতা পেলে লোন নিতে পারবে।
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
ব্যাংক ঋণে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামা ব্যাংকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে দেশের ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ৩৭টি ব্যাংকের ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে অর্থাৎ ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। যার মধ্যে ১০ ব্যাংকের ঋণের সুদহার ৮ শতাংশের নিচে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মে শেষে ঋণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গড় সুদহার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। ঋণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সুদ নিচ্ছে বিদেশি ব্যাংক। ঋণের ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাংকগুলোর গড় সুদহার ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিশেষায়িত ব্যাংকের সুদহার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ঋণের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশের নিচে সুদ নেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বিদেশি হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ওয়ারি ব্যাংক, এইসএসবিসি এবং ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড।
এছাড়া বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত, বিশেষায়িত এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দিচ্ছে। এছাড়া ১০ শতাংশের নিচে ঋণ দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক,
সীমান্ত ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক, বিসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং যমুনা ব্যাংক।
ব্যাংকঋণের সুদহার গত বছরের এপ্রিল থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকগুলো সুদহারের এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে। কোনো কোনো ব্যাংক সুদহার আরও কমিয়েছে। প্রায় ১০ মাস পর এখন রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য গ্রাহক খুঁজছে। অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক নন, এমন ভালো গ্রাহকেরা কম সুদে এই ঋণসুবিধা পাবেন।
চলতি মূলধন এই ঋণের মেয়াদ হবে ছয় মাস—এর মধ্যে পুরো টাকা শোধ করতে হবে। চলতি মূলধনের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নতুন ঋণ দেবে অগ্রণী ব্যাংক। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন এই ঋণ প্রকল্প চালু করেছে ব্যাংকটি; যা পাওয়া যাবে ব্যাংকের সব শাখায়।
ব্যাংকটি চাইছে, দেশের ভালো শিল্পগোষ্ঠীগুলো এই সুবিধা নিয়ে ব্যাংকটির গ্রাহক হোক। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশের মাঝারি ও ছোট আকারের ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক হিসেবে টানতে চায়। এ জন্য কারা এই ঋণ পাবে, তার কয়েকটি শর্তও জুড়ে দিয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রচুর টাকা অলস পড়ে আছে। তাই ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দিলেও কোনো সমস্যা নেই। এ জন্য ভালো গ্রাহক ধরতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। একজন ভালো গ্রাহক ব্যাংকের ভাবমূর্তির জন্য বড় সম্পদ বলে আমরা মনে করি।’
গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন
গ্রামের গরিব মানুষদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো একটা ভালো বাড়ি করা, আর একটা ছোট বাড়ি করার জন্য কম হলেও ৫ থেকে ১০ লক্ষ্য টাকা প্রয়োজন, এই বিশাল পরিমান টাকা গরিব মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা প্রায় অসম্বব এমনকি মদ্ধবিত্ত পরিবারের জন্যও এই পরিমান টাকা ব্যবস্থা করা খুবি কষ্টকর। আর এই জন্য কিছু ব্যাংক প্রধান করছে গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন।
হ্যাঁ আপনিও অবশ্যই একটি বাড়ি করার স্বপ্ন দেখছেন এই জন্য আমাদের ওয়েবসাইট-এ এসেছেন। ধন্যবাদ, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন, গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন নেওয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে, কত দিনের জন্য লোন পাবেন, কত টাকা মাসিক কিস্তি দিতে হবে, খুন ব্যাংক গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন দিচ্ছে, খুন ব্যাংক থেকে হোম লোন নিলে ভালো হবে এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আমাদের এই পোস্ট-এ ইনশাআল্লাহ।
গ্রামে বাড়ি করার জন্য বা বাড়ি কিনার জন্য লোণ নিতে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে গুলো প্রায় সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রেই লাগে। তাই কি কি কাগজপত্র লাগবে আমি সবকিছু একত্রে লিখে দিচ্ছি। তবে ব্যাংক বেঁধে কম কাজগপত্র লাগতে পারে। এর ছেয়ে বেশি লাগবেনা আশা করছি।
গ্রামে বাড়ি করার জন্য ব্যাংক লোন নিতে সর্বপ্রথম আপনার একটা বৈধ আয়ের উৎস থাকতে হবে, সেটা হতে পারে যেমনঃ- ব্যবসা/চাকরি/ডাক্তার/প্রবাসী ইত্যাদি। মূল কথা হচ্ছে আপনি কিস্তি চালাতে পারবেন এই পরিমান আয়ের উৎস দেখাতে হবে।
আপনার আয়ের উৎস আছে তা প্রমান করতে হবে তার জন্য আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স/চাকরি করা প্রতিষ্টানের সুপারিশ পত্র/প্রবাসী লিগাল কার্ড অর্থাৎ আপনি যে কাজ করেন তার প্রমান দিতে হবে।
যে ব্যাংক থেকে লোণ নিবেন সে ব্যাংক-এ অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে, অনেক ক্ষেত্রে সে অ্যাকাউন্ট এর সাহায্যে লেনদেন করার শর্ত দেওয়া হতে পারে। যেমনঃ আপনি প্রবাসী হলে এই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দেশে পাটাতে হবে/ব্যবসায়ী হলে সে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এ টাকা জমা রাখতে হবে।