জমির খাজনা চেক করার নিয়ম ২০২৪

জমির খাজনা পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। তবে, সরকারি এই অর্থ পরিশোধের জন্য ভূমি অফিস কার্যালয়ে গেলে তুলনামূলক বেশি অর্থ প্রদান করতে হয়। তাছাড়া সেই খাজনা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে সাবমিট হচ্ছে কিনা তাও বলা যায় না।

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি

অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম এখন খুব সহজ। যাদের নামে বাড়ি, জমি বা ফ্ল্যাট রয়েছে তাদের সবাইকে প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে গিয়ে ভূমিকর পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক

জমির খাজনা চেক করার নিয়ম ২০২৪

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংদেশ সরকার ‍ভূমি সেবাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাটের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান,জমির খাজনা চেক,মৌজা ম্যাপ অনুসন্ধান ডাউনলোড,ই-নামজারি,নামজারী 

খতিয়ান,ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, সি.এস, এস.এ, আর এস খতিয়ান, মহানগর খতিয়ান, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা সহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আজকে আমরা জানবো অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম-২০২৪।

আপনি একজন বাংলাদেশ এর নাগরিক। আর বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যখন আপনি এই দেশের জমির মালিকানা পাবেন এবং নির্দিষ্ট পরিমান জমি ভোগ দখল করবেন তখন আপনাকে সেই জমি ভোগ করার বিনিময়ে প্রতিবছর সরকার এর নিকট নির্দিষ্ট পরিমান কর বা খাজনা প্রদান করতে হবে।

আরো পড়ুন: জমির দলিল কিভাবে বের করব

আর আপনি আপনার জমির উপর ভিত্তি করে যে পরিমান ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদান করবেন, মূলত সেই কর কে বলা হবে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর। আর এই খাজনার প্রচলন কিন্তু এখন থেকে নয়। বরং যখন জমিদার এর সময়কাল ছিলো তখন থেকেই খাজনা আদায় করার প্রচলন ছিলো।

১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে খাজনা শব্দটির পরিবর্তে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ আনুষ্ঠানিক পরিভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়।

বাংলাদেশ একসময় ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান অনেকটা জটিল ছিল যা ভূমি অফিসে প্রধান করতে হতো। তবে বর্তমানে ভূমি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। আপনি ঘরে বসেই জমির খাজনা প্রদান করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। চলুন জেনে নেই জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম।

বাংলাদেশ ২০২২ সাল পর্যন্ত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/ উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে জমির খাজনা পরিশোধ করতে হতো। কখনো কখনো ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে তথ্য হালনাগাদ করেভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হতো। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধুমাত্র অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করা যাবে।

জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে প্রথমে আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের https://ldtax.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করুন। উক্ত ঠিকানায় প্রবেশের পর নিচের ইনটারফেসটি চলে আসবে।

জমির খাজনা অনলাইনে

কোনো জমি ভোগদখলের জন্য প্রতিবছর সরকারকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এটাকেই খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর বলা হয়। প্রতি শতাংশ জমি হিসেবে খাজনার হার ধরা হয় এবং এই হার পরিবর্তনযোগ্য।

প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকেরা জমির খাজনা দিতেন। একসময় অর্থের পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলও খাজনা হিসেবে নেওয়া হতো। ১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে খাজনা শব্দটির পরিবর্তে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ আনুষ্ঠানিক পরিভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়।

আরো পড়ুন: অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম বাংলাদেশ

ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা পাওয়ার অধিকার লাভ করেন করদাতা। দাখিলা দেওয়া না হলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে। এই দাখিলা জমির মালিকানা প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এত দিন খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর প্রধানত নগদে পরিশোধ করা হতো। 

পাশাপাশি অনলাইনেও পরিশোধ করা যেত। তবে সরকার আগামী পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) থেকে ‘ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা’ চালু করছে। ফলে খাজনা নগদ পরিশোধের সুযোগ আর থাকছে না; অনলাইনে পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এজন্য এই ওয়েবসাইটে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে বলেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি

ভূমি অফিসে গিয়েও আপনি ভূমি কর পরিশোধ করে আসতে পারেন  অনলাইনেই ডাউনলোড করা যাবে খাজনার রশিদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার নিয়ম ২০২৩ ভূমি উন্নয়ন কর– ldtax.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এনআইডি মোবাইল নম্বর, 

এনআইডি, নাম ঠিকানা তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে আপনি পর্চার কপি আপলোড করলেই হোল্ডিং নম্বর এন্ট্রি দিয়ে দিবে ভূমি অফিস। অতপর আপনি হোল্ডিং নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেই ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবেন।

ভূমি মালিকগণের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি সেবা গ্রহিতাদেরকে স্বল্প ব্যয়ে, স্বল্প সময় ও সহজ সেবা প্রদানের জন্য সমগ্র বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরী করা হয়েছে। 

উক্ত সফটওয়্যারে মালিকানাধীন জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলছে। এ লক্ষ্যে আপনাকে এছাড়া আপনি নিজে জমির মালিকনা সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে নিন্মোক্ত উপায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। পদ্ধতিগুলো হলো-

আরো পড়ুন: জমির দলিলে নাম পরিবর্তন

অনলাইন পোর্টাল www.land.gov.bd অথবা www.ldtax.gov.bd এ ঢুকে NID ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জন্ম তারিখ এন্ট্রি করার মাধ্যমে:(২) কল সেন্টার নম্বর ১৬১২২ অথবা ৩৩৩ এ ফোন করে NID নম্বর, জন্ম তারিখ এবং জমির তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে;(৩) NID ব্যবহার করে যেকোন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) এর মাধ্যমে।

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করুন অনলাইনেই / সোনালী সেবা, ইউ পে, একপে ও ই চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করুন ভূমি কর।

জমির খাজনা ক্যালকুলেটর

যারা জমির মালিক রয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই জমির খাজনা পরিশোধ করতে হয় প্রতিবছরই। কারণ ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়াটা একটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। তাই সকলকে সময় মত অবশ্যই বমি কর বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করাই বেশি ভালো। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বিষয়টি আমরা জানি যে এটি প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে চলে আসছে।

অর্থাৎ প্রাচীনকালে যখন এলাকা রাজ রাজারা শাসন করতো তখন তাদের সবচাইতে আয়ের উৎস অর্থাৎ রাজাদের আয়ের উৎস ছিল প্রজাদের খাজনা বাবদ টাকা। খাজনা বাবার টাকা আদায় করেই রাজারা প্রজাদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক যে কাজগুলি করত সেই ব্যয় মেটাতো। 

তাই তখন থেকেই জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর প্রচলিত রয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য এই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সংস্কার হয়েছে। কিন্তু এখনো রয়ে গেছে সেই ভূমি উন্নয়ন করবা খাজনা।

আরো পড়ুন: জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন খরচ জানুন ২০২৪

প্রতিবছর এই খাজনা পরিশোধ করাটাই সকলের জন্য একটি ভালো বিষয় হতে পারে। তাছাড়া একযোগে অর্থাৎ কারো যদি অনেক জমি থেকে থাকে তাহলে সেই খাজনা অনেক বছর একসাথে পরিশোধ করতে হয় তবে অবশ্যই তাকে বেগ পেতে হয়। 

এই কারণে আমরা অবশ্যই প্রতি বছরের খাজনা প্রতিবছর পরিশোধ করব এই অঙ্গীকার করব আজকে। বাংলা মাস শুরু হয় বৈশাখ মাস থেকে এবং শেষ আজ চৈত্র মাস দিয়ে। বাংলাদেশের ভূমি আইনে খাজনা বৈশাখ মাস থেকে চৈত্র মাস এভাবে বছর হিসেবে নেওয়া হয়।

অর্থাৎ অন্য কোন জায়গায় বাংলা দিন তারিখ প্রযোজ্য না হলেও ভুমি ক্ষেত্রে বা ভূমি হিসাব এর ক্ষেত্রে ভূমিকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলা সন তারিখ কাজে লাগে। এ বিষয়টি প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে এবং এখনো চলে আসছে একই কায়দায়। 

তবে আপনারা যারা আজকে আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে, ভূমি উন্নয়ন কর ক্যালকুলেটর দেখার জন্য পা পাওয়ার জন্য সে বিষয়টি আপনারা অবশ্যই পাবেন। তবে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে হবে গুরুত্ব সহকারে।

কারণ আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই আজকে এই পোস্ট থেকে কিভাবে পণ্য ভূমি উন্নয়ন কর হিসাব করা হয় এবং কোন ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর হিসাব করা হয় সে সকল সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় আপনাদের অবগতির জন্য আজকে জানিয়ে দেবো। 

আর এই কারণে আপনাদেরকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়ে যাবেন। তবে আরেকটি বিষয় হলো জমিজমা সম্পর্কে অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে যেতে হবে।

কারণ আপনারা যে বিষয়টি বা জমিজমা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলি ভালো করে বোঝেন না তাহলে বিষয়টি বুঝতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে তাহলে অবশ্যই পেয়ে যাবেন এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি। 

তাহলে চলুন আমরা এখন ভূমি উন্নয়ন কর হিসাব করার যে ক্যালকুলেটর প্রয়োজন সেই ক্যালকুলেটর আপনাদের এখান থেকে দেখানোর চেষ্টা করব। কারণ ভূমি উন্নয়নকর প্রতি শতাংশ হিসেবে দেওয়া থাকে। তাই যদি ভূমি উন্নয়ন করেন কারো যদি অনেক বছর বাঁকে থাকে তাহলে তাদেরকে হিসাব করতে অর্থাৎ সাধারণ ক্যালকুলেটর হিসাব করতে অনেক সমস্যা হয়।

যদি ভূমি উন্নয়ন করে এর জন্য আলাদা একটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি এতে আমাদের অবশ্যই সুবিধা হবে। কারন আমরা দেখেছি বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তিই রয়েছে যারা অনেক বছর যাবত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেননি। 

তাহলে চলুন দেখা যাক সেই ক্যালকুলেটরটি কেমন হবে এবং কি ধরনের হবে আমাদের এখান থেকে দেখে নিই। তাহলে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছিলেন ভূমি উন্নয়ন করা সম্পর্কিত নতুন সেই ক্যালকুলেটর দেখার জন্য অবশ্যই তাই আপনারা এখন এখান থেকে দেখে নিতে পারলেন।

অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর (হোল্ডিং ট্র্যাকিং)

অনলাইন পোর্টাল land.gov.bd অথবা www.ldtax.gov.bd-এ ঢুকে এনআইডি ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জন্মতারিখ এন্ট্রি করার মাধ্যমে; অথবা কল সেন্টার নম্বর ৩৩৩ বা ১৬১২২-এ ফোন করে এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ এবং জমির তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে; অথবা

এনআইডি ব্যবহার করে যে কোন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার-এর মাধ্যমে। উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রেশনবিহীন কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা প্রদানের জন্য উপস্থিত হলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রথমেই তার সকল ডাটা এন্ট্রি করবেন। পাশাপাশি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে হোল্ডিং মালিকদের তথ্য এন্ট্রির উদ্যোগ নিবেন।

আরো পড়ুন: জমির দলিল হারিয়ে গেলে করণীয় কি

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনলাইনে খাজনা পরিশোধের পর কিউআর কোড-সম্বলিত অটোমেটেড দাখিলা জেনারেট হবে। এই ডিজিটাল দাখিলা যাতে সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য এবং অনলাইনে যাচাইযোগ্য হয়, সে লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় শীঘ্রই একটি পরিপত্র জারি করবে।

জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ

জমির খাজনা দেওয়ার পর অনেক সময় আমাদের খাজনা রশিদটি বা দাখিলাটি হারিয়ে যায়। আমরা কিভাবে রশিদটি বা দাখিলাটি পূণরায় ডাউনলোড করবো তা নিয়ে আজকের আলোচনা। চলুন জেনে নেই খাজনা রশিদ ডাউনলোড করার নিয়ম।

বর্তমানেও সরকারের বিভিন্ন আয়ের উৎসের মধ্যে একটি অন্যতম উৎস হল এই ভূমিকর। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত তাদের ভূমিকর যেন সময় মতো পরিশোধ করে দেন।

ভূমি মন্ত্রনালয়ের ভিবিন্ন অনলাইন সেবার মধ্যে অন্যতম সেবা হচ্ছে জমির খাজনা প্রদান। আগে জমির খাজনা দিতে নাগরিকদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এখন আর সে সমস্যা নেই। ঘরে বসেই পারে জমি খাজনা প্রদান করতে।


জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধের পর যে রশদটি পাওয়া যায় সেটাকে জমির খাজনা রশিদ বলা হয়। এটাকে আবার দাখিলাও বলা হয়। জমির খাজনা প্রদানের পর অনেক সময় আমাদের খাজনা রশদটি হারিয়ে যায়। তখন বিভিন্ন প্রয়োজনে খাজনা রশদটি একান্ত দরকার। যেমন-জমি রেজিস্ট্রারি, ব্যাংক লোন ইত্যাদি।

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে

জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধের জন্য রেজিস্ট্রেশন অপরিহার্য। সহজে ভূমিসংক্রান্ত সেবা দিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। 

এর আওতায় নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন ভূমি অফিস/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানার নিবন্ধন করা যাবে।
 
রেকর্ড/ খারিজ খতিয়ানের কপি পূর্ববর্তী দাখিলার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১ কপি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সচল মোবাইল ফোন নম্বর

অনলাইন পোর্টালে (www.land.gov.bd) অথবা (www.ldtax.gov.bd) জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, মোবাইল ফোন নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। কল সেন্টার নম্বরে (১৬১২২ অথবা ৩৩৩) ফোন করে জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ ও জমির তথ্য দিয়েও নিবন্ধন করা যাবে।

প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.land.gov.bd তে যেতে হবে; এর পর উপরের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'নাগরিক কর্নার' লিংকে ক্লিক করতে হবে; এরপর 'অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর (হোল্ডিং ট্র্যাকিং)' এই বাটনে ক্লিক করতে হবে; তারপরে একটি ফরম আসবে। 

সেখানে আপনি নিজের বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা নির্বাচন করতে হবে; এরপর হোল্ডিং নম্বর [যে খতিয়ান, দাগ ও জমির ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ করতে চান] লিখে 'অনুসন্ধান করুন' বাটনে ক্লিক করতে হবে; এরপরে কাঙ্খিত হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন করের তথ্য দেখা যাবে; তা ছাড়া 'বিস্তারিত বাটন' এ ক্লিক করলে উক্ত হোল্ডিং এর বিস্তারিত তথ্য দেখা যাবে।

জমির খাজনা চেক করার নিয়ম

আমাদের দেশের নাগরিকদের নির্দিষ্ট পরিমান জমির জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। আর এই ভূমি উন্নয়ন কর কে বলা হয়ে থাকে,খাজনা। বর্তমান সময়ে আপনাকে খাজনা সংক্রান্ত কোন কাজের জন্য আর ভূমি অফিসে যেতে হবে না। আবার আপনি চাইলে ঘরে বসেই অনলাইন থেকে জমির খাজনা পরিশোধ ও চেক করে নিতে পারবেন। চলুন আলোচনা করা যাক অনলাইনে জমির খাজনা চেক করার নিয়ম-২০২৩।

এক সময় মানুষের ভূমি অফিসে গিয়ে জমির খাজনা পরিশোধ করতে হতো। এখন আর ভূমি অফিসে যেতে হবে না। আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।

তবে আপনি যদি নিজের ঘরে বসে অনলাইন থেকে খাজনা পরিশোধ করতে চান। তাহলে আপনার সামনে দুইটি উপায় আসবে। আর অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করার সেই উপায় গুলো হলো,

ভূমি উন্নয়ন কর এর ওয়েবসাইট থেকে। ভূমি উন্নয়ন কর অ্যাপস দিয়ে। তো বর্তমান সময়ে আপনি অনলাইনে যে সকল উপায়ে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে পারবেন, সেই উপায় গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের ঘরে বসে খাজনা পরিশোধ করে দিতে পারবেন।

আমরা যখন জমি ক্রয় করতে যাই তখন আমাদের অবশ্যই জানতে হয় যে,উক্ত জমির খাজনা হাল সন পর্যন্ত দেওয়া আছে কিনা। অথবা আমাদের নিজস্ব জমির কতদিন বা কতবছর খাজনা দেওয়া হয়না কিংবা কত বছরে কত টাকা খাজনা বকেয়া আছে তাহা জানা একান্ত প্রয়োজন। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে জমির খাজনা চেক করতে হয় বা জমির খাজনা চেক করার নিয়ম।

আপনার যে ইউনিয়নে জমি রয়েছে সেই ইউনিয়নের ভূমি অফিসে সরাসরি গিয়ে জমির খাজনা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে সংশ্লিষ্ট জমির বর্তমান বা পূর্বের কোন বছরের খাজনার রশিদ অথবা নামজারীর কোন ফটোকপি সাথে নিয়ে যেতে হবে। ভূমি অফিসে গিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে।

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবেদন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মৌজার ভলিয়ম বা রেজিষ্টার বহি বের করে আপনাকে সরাসরি দেখিয়ে দিবে যে, আপনার জমির খাজনা কত বছরের বকেয়া বা খাজনা পরিশোধ আছে কিনা। এখানে আপনি ভলিয়ম বা রেজিষ্টার বহিতে আরো দেখতে পাবেন যে, জমির মালিকের নাম,জমির পরিমান,দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর,নামজারী সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন