জমির পরিমাপ শতাংশ ২০২৪

একটি জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগে বা মোট কত টাকা খরচ হয় তা আমাদের জানা একান্ত জরূরী। কেননা আমরা যারা সাধারন মানুষ তাদের অনেকেরই জানা থাকেনা এই বিষয়টি। যার কারনে একেক দলিল লেখক বা আইনজিবীর কাছে থেকে একেক তথ্য পাওয়া যায়।

জমির পরিমাপ ক্যালকুলেটর

জমি ক্রয়ের জন্য দরদাম ঠিক করার পর পরই আমাদের মাথায় আসে জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন খরচের বিষয়টি। কেননা বর্তমানে জমির রেজিস্ট্রেশন খরচের পরিমান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

জমির পরিমাপ শতাংশ ২০২৪

সাধারণত জমি মাপার সময় একজন আমিন বা সার্ভেয়ার পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। আপনারা আপনারা দ্বারা জমি মাপার সময় কিছু হলেও বুঝতে পারবেন। পক্ষপাতদুষ্ট আমিন থেকে বাঁচতে আপনাকে কিছু বিষয় জানতে হবে। 

এ ছাড়া জমির মাপ জানা থাকলে জমি কেনার আগে ওই জমির পরিমাণ কত তা নিজে নিজে মেপে বের করা যায়। জমি মাপার বিভিন্ন সূত্র রয়েছে এবং সুত্রগুলো জানা থাকলে আশা করি আপনাদের জমি মাপার সময় তা কাজে আসবে। প্রথমেই সুত্রগুলো জেনে নেয়া যাক- ক্ষেত্রফল = বাহু X বাহু, কর্ন = ১ বাহু X ১.৪১৪, পরীসিমা= ১ বাহু X ৪ । 

এখন যদি প্রশ্ন হয় একটি বর্গক্ষের বাহুগুলির দৈর্ঘ্য ১২০ লিংক করে হলে উহার ক্ষেত্রফল এবং জমির পরিমাণ বের কর। ক্ষেত্রফল= বাহু X বাহু = ১২০ X ১২০= ১৪৪০০ বর্গলিংক (যদি ক্ষেত্রফলের একেকটি বাহু ১২০ লিংক হয়)।

আরো পড়ুন: জমির দলিল কিভাবে বের করব

এখন আমরা আগেই জেনেছি যে, ১ শতাংশ = ১০০০ বর্গ লিংক তাহলে জমির জরিমান, ১০০০ বর্গ লিংক = ১ শতাংশ ১ বর্গ লিংক = ১০০০ ভাগের ১ ভাগ ১৪৪০০০ বর্গ লিংকে কত হবে? সুতরাং ১৪৪০০০ বর্গ লিংকে ১০০০ দিয়ে ভাগ দিলে যা হবে তাই হচ্ছে তার ফল অর্থাৎ ১৪.৪০ শতাংশ হবে। 

জমি মাপার সময় বিভিন্ন হিসাব নিকাশ-১ জমি মাপার সময় যে সকল হিসাব নিকাশ আমাদের জানতে হবে এবং বুঝতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমেই জমির মাপের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন একক নিয়ে আলোচনা করব। 

শতাংশের হিসাবের একক ১ শতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক, ১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গ ফুট, ১ শতাংশ = ১৯৩.৬০ বর্গহাত ১ শতাংশ = ৪৮.৪০ বর্গগজ ১ শতাংশ = ৪০.৪৭ বর্গ মিটার আর ফুট সম্পর্কে আমরা সাধারণত সকলেই জানি। 

রৈখিক বা আর এফ টি বর্গ বা স্কয়ার ঘনফুট বা সিএফটি। প্রথমেই জমি মাপার জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমেই গান্টার শিকল পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। এডমন্ড হান্টার এই শিকলের আবিষ্কারক। এটা ৬৬ ফুট লম্বা এবং ১০০ টি সমান ভাগে বিভক্ত। 

প্রতি ভাগের দৈর্ঘ্য ০.৬৬ ফুট বা ৭০৯২ ইঞ্চি এবং প্রতি ভাগকে ১ লিংক বলে। ৮০ শিকল = ১ মাইল এবং ১০ শিকল = ১ ফালং ডায়াগনার স্কেল বা গান্টার স্কেল এটি একটি চার কোনা বিশিষ্ট তামা ও ব্রোঞ্জের তৈরি স্কেল। এটির চার পাশে ১০ টি ঘর বা কক্ষ থাকে প্রতিটি ঘরের মান ১০০ লিংক। 

১৬”=১ মাইল স্কেলে এটি তৈরি করা হয়। এবং গান্টার চেইনর সাথে মিল আছে বলে একে হান্টার স্কেল বলা হয়। আইভার অফসেট এটি একটি প্লাষ্টিকের তৈরি স্কেল এই স্কেলের সাথে গান্টার স্কেলের মিল আছে।  দৈর্ঘ্য ২’’ এবং প্রস্ত .৫” (ইঞ্চি) এই স্কেলের সাহায্যে নকশার সংকোচিত দুরত্ব সহজে মাপা যায়।

ডিভাইডার বা কাটা কম্পাস এটি একটি জ্যামিতিক কম্পাস। এটির সাহায্যে নকশার সংকোচিত দুরত্ব নিয়ে ডাইগোনাল স্কেলে মাপ নেয়া যায় এবং দুরত্ব গুনে গুনে সংখ্যা বুঝা যায়।

জমির পরিমাপ ক্যালকুলেটর

ক্ষেত্রফল = ০.০০ বর্গফুট
= ০.০০ বর্গমিটার
= ০.০০ ডিসমিল বা ডেসিমাল বা শতাংশ
= ০.০০ কাঠা
= ০.০০ একর

[ ১ ডিসমিল বা ডেসিমাল বা শতাংশ = ৪৩৫.৬ বর্গফুট ]
[ ১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট ]
[ ১ একর = ৪৩৫৬০ বর্গফুট ]
উত্তর আইল a = ০.০০ ফুট
দক্ষিণ আইল b = ০.০০ ফুট
পূর্ব আইল c = ০.০০ ফুট
পশ্চিম আইল d = ০.০০ ফুট

উত্তর-দক্ষিনের গড় = ( a + b ) / ২ = ( ০.০০ + ০.০০ ) / ২ = ০.০০ ফুট
পূর্ব-পশ্চিমের গড় = ( c + d ) / ২ = ( ০.০০ + ০.০০ ) / ২ = ০.০০ ফুট

চারকোনা বা চার আইল বিশিষ্ট জমির ক্ষেত্রফল
ক্ষেত্রফল = (উত্তর-দক্ষিনের গড় × পূর্ব-পশ্চিমের গড়)
= ০.০০ × ০.০০ বর্গফুট
= ০.০০ বর্গফুট
= ০.০০ ÷ ৪৩৫.৬ = ০.০০ ডিসমিল বা ডেসিমাল বা শতাংশ
= ০.০০ ÷ ৭২০ = ০.০০ কাঠা
= ০.০০ ÷ ৪৩৫৬০ = ০.০০ একর
প্রথম আইল (a) = ০.০০ ফুট
দ্বিতীয় আইল (b) = ০.০০ ফুট
তৃতীয় আইল (c) = ০.০০ ফুট

আরো পড়ুন: অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম বাংলাদেশ

s = ( a + b + c ) / ২ = (০.০০ + ০.০০ + ০.০০) / ২ = ০ / ২ = ০.০০
এখানে s হচ্ছে অর্ধপরিসীমা

তিনকোনা বা তিন আইল বিশিষ্ট জমির পরিমাপের সূত্র
√ ( s ( s - a ) ( s - b ) ( s - c ) )
= √ ( ০.০০ ( ০.০০ - ০.০০ ) ( ০.০০ - ০.০০ ) ( ০.০০ - ০.০০ ) )
= √ ( ০.০০ × ০ × ০ × ০ )
= √ ০
ক্ষেত্রফল = ০.০০ বর্গফুট
= ০.০০ ÷ ১০.৭৬৩৯ = ০.০০ ডিসমিল বা ডেসিমাল বা শতাংশ
= ০.০০ ÷ ৪৩৫.৬ = ০.০০ বর্গমিটার
= ০.০০ ÷ ৭২০ = ০.০০ কাঠা
= ০.০০ ÷ ৪৩৫৬০ = ০.০০ একর

জমির পরিমাপ হিসাব

বর্তমানে জমি কোনো ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে “জমি” নামক এই সম্পদের পরিমাপ করতে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সবচেয়ে বেশি জটিলতা দেখা দেয় জমির পরিমাপ সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে। 

এই ধরণের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংক্রান্ত জটিলতা থেকে শত্রুতা, ঝামেলা, মামলা থেকে শুরু করে প্রাণনাশের ঘটনা পর্যন্ত ঘটতেও দেখা যায় দেশে। সুতরাং, জমির পরিমাপ সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য জমি মাপার পদ্ধতি ও জমির হিসাব নিকাশ করার সম্যক জ্ঞান থাকা জরুরি। 

আজকের আর্টিকেলে আমরা জমির হিসাব বের করার নিয়ম ও জমি মাপার পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা লাভ করার চেষ্টা করবো। জমি পরিমাপ করার পদ্ধতি অঞ্চল ভেদে ভিন্ন প্রকার হয়। তবে বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের পদ্ধতিতে জমি পরিমাপ করা হয়।

চেইন বা গান্টার শিকল পদ্ধতি ফিতা দিয়ে পরিমাপ পদ্ধতি বা ফিতা পদ্ধতি  ফরাসী বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা ইস্পাতের শিকল দিয়ে জমি পরিমাপের পদ্ধতি আবিস্কার করেন। তার নামানুসারে এই পদ্ধতি কে গান্টার শিকল পদ্ধতি বলা হয়। 

আরো পড়ুন: জমির দলিলে নাম পরিবর্তন

আমাদের দেশে গান্টার পদ্ধতি অধিক জনপ্রিয় এবং সরকারি ভাবে জমি পরিমাপের সময় গান্টার শিকল পদ্ধতিতে-ই জমির পরিমাপ করা হয়। বর্তমানে প্রচলিত আধুনিক লম্বা যে ধরনের ফিতা দিয়ে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পরিমাপ করা হয়, সেই ফিতার সাহায্যে জমির পরিমাপ কে ফিতা পদ্ধতি বলা হয়।

সাধারণত জমির মালিকের প্রয়োজনে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আমিন দ্বারা এই ধরনের পরিমাপ গুলো করা হয়। চেইন বা গান্টার শিকল পদ্ধতিতে জমির পরিমাপ করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির আবিষ্কারক এডমন্ড গান্টার একটি শিকল তৈরি করেন। যার মাধ্যমেই তিনি এই পদ্ধতির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। 

২০.৩১ মিটার বা ফুট দৈর্ঘ্যের এই শিকল কে ১০০ ভাগে ভাগ করা হলে, প্রতিটি ভাগ কে লিঙ্ক, জরীপ বা কড়ি হিসেবে অভিহিত করা হয়।  গান্টার শিকলের প্রতি ১ লিঙ্ক বা ৭.৯ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ১০ টি চেইন ও প্রস্থে ১ টি চেইনের গুণফল = ১০ বর্গ চেইন।  আবার ১০ বর্গ চেইন = ১ একর গান্টার। 

ফিতা দিয়ে জমি মাপার নিয়ম

জমি নিয়ে আমাদের প্রায়ই ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। উক্ত ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন সময় জমিজমা মাপার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই আমাদের জমি মাপার নিয়ম জানা একান্ত জরুরী। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো জমি মাপার পদ্ধতি ।

জমি মাপার পদ্ধতি Standard Measurement যা “সরকারি মাপ” বলে পরিচিত। ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদি লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে জমির পরিমাপ হলো:

ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতক কাঠা বিঘা এবং একর উক্ত পরিমাপের জন্য ব্যবহার করা হয় ইঞ্চি, ফুট ও গজ ১২” ইঞ্চি = ১ ফুট ৩ ফুট= ১ গজ জমি বা ভূমি পরিমাপের পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম পদ্ধতি চালু দেখা যায়। পদ্ধতি যত রকম থাকুক না কেন সুত্র একই।

এই সুত্র ধরে বিভিন্ন এককের সাথে তুলনা করলে সহজেই বিভিন্ন রকম পরিমাপ সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। আবার বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমি পরিমাপের ভিন্নতা থাকলেও সরকারিভাবে দুই প্রকার হিসাব চালু রয়েছে।

শতাংশের হিসাব ও কাঠার হিসাব। এই দুই প্রকার হিসাবে দলিল লেখনসহ ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

জমির পরিমাপ লিংক

আমাদের প্রায়ই জমি মাপ জোখের প্রয়োজন পড়ে। জমি আছে অথচ ঝামেলায় পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া জমি ভাগাভাগি হলেও জমি পরিমাপের বিষয়টি চলে আসে। জমি পরিমাপ করা  এমন গুরুত্বপূর্ণ হলেও জমি 

পরিমাপ করার জন্য সার্ভেয়ার বা আমিন সব সময় পাওয়া যায় না। আবার সার্ভেয়ার বা আমিন পাওয়া গেলেও উক্ত সার্ভেয়ার বা আমিন প্রতিপক্ষের সাথে যোগসাজশে আপনার জমির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।

আরো পড়ুন: জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন খরচ জানুন ২০২৪

এজন্য জমি পরিমাপের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রত্যেক জমিদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকে আমরা জমি পরিমাপের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জানব। এই পোস্টটি পড়ে খুব সহজেই একজন ব্যক্তি তার জমি নিজেই পরিমাপ করতে পারবেন। 

জমি পরিমাপের ক্ষেত্রে যে চেইন ব্যবহার করা হয় সেটির নাম হল গান্টার্স চেইন। ইংরেজ বিজ্ঞানী গানটার জরিপ কাজে এই চেইন আবিষ্কার করেন বলে তার নাম অনুসারে এই  চেইনটির নাম গান্টার্স রাখা হয়েছে। এই চেইন সম্পর্কে আমাদের একটু ধারণা রাখা প্রয়োজন। 

এই চেইনের দৈর্ঘ্য ২২ গজ বা ৬৬ ফুট। এতে মোট ১০০ টি লিংক রয়েছে। প্রতিটি লিংকের দৈর্ঘ্য ৭.৯২ ইঞ্চি।

জমি পরিমাপের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শতাংশ ধরে জমির পরিমাপ করা। গান্টার্স চেইনের ১০০০ বর্গলিংক = ১ শতাংশ ধরা হয়। সাধারণত জমি বর্গাকৃতির হয়ে থাকে। এখন আমরা চেইন দিয়ে এক শতক জমি মেপে দেখব। এক্ষেত্রে আগে নিচের ছবিটি দেখুন।

উপরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে জমির দুইটি দৈর্ঘ্য আছে এবং দুইটি প্রস্থ আছে। প্রতিটি দৈর্ঘ্যের পরিমাণ ৩১.৬২ লিংক। দৈর্ঘ্য দুইটি যোগ করলে ৬৩.২৪ লিংক হয়। এই ৬৩.২৪ লিংকে ২ দিয়ে ভাগ ককরলে একটি গড় দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে সেটি হলো ৩১.৬২ লিংক। 

তেমনিভাবে একই পদ্ধতিতে প্রস্থ দুইটি যোগ করলেও ৬৩.৩৪ লিংক হয় এবং গড় প্রস্থ ৩১.৬২ লিংক হয়। এখন দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ গুন করলে (৩১.৬২ গুনন ৩১.৬২) = ১০০০ বর্গলিংক হয়। আর আমরা তো জানি যে ১০০০ বর্গলিংক = ১ শতক হয়। যদি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ গুন করে ১০০০ লিংক থেকে বেশি বা কম হয় তাহলে গুন করে প্রাপ্ত লিংককে ১০০০ দিয়ে ভাগ করলেইই মোট শতাংশ বেরিয়ে যাবে।

ভূমি পরিমাপ পদ্ধতি

ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মানভূম ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকায় এককের মানে বিভিন্নতা পরিদৃষ্ট হয়।

বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার পরিমাপ হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা'র হিসাব। এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এই যে, এক একরের এক শত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় "এক-শতাংশ" জমি। 

আরো পড়ুন: জমির দলিল হারিয়ে গেলে করণীয় কি

অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো "এক ডেসিমাল জমি"। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো "বিঘা" এবং বিঘা'র উর্ধ্বতর একক হলো "একর।" ২০ কাঠা সমান এক বিঘা জমি এবং তিন বিঘা সমান এক একর জমি। 

এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং "প্রমিত মান" (Standard Measurement) হিসেবে সরকারীভাবে অনুমোদিত তবে আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে কখনো কখনো সরকারী কাগজে হেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • ১ কিলোমিটার = ১০০০ মিটার
  • ১ কিলোমিটার = ১০৯৩.৬১ গজ
  • ১ কিলোমিটার = ০.৬২ মাইল
  • ১ মিটার = ১০০ সেন্টিমিটার
  • ১ সেন্টিমিটার = ১০ মিলিমিটার
  • ১ মিলিমিটার = ১০০০ মাইক্রোমিটার
  • ১ মাইক্রোমিটার = ১০০০ ন্যানোমিটার
  • ১ মাইল = ১৭৬০ গজ
  • ১ মাইল = ১.৬ কিলোমিটার
  • ১ গজ = ৩ ফুট
  • ১ ফুট = ১২ ইঞ্চি
  • ১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার
ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। 

আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট।

ভূমি পরিমাপের মূল একক

ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। 

আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট। ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। 

তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট।

ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। 

আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট।

জমির পরিমাপ শতাংশ ক্যালকুলেটর

মানুষের জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিরন্তর সঙ্গী হল ভুমি বা ভূমি। এই মূল্যবান ভুমি নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন ভূমি পরিমাপ ও ভূমি রেজিস্ট্রি সেবা এই অ্যাপটি। ভূমি পরিমাপ ও রেজিস্ট্রি সেবা নিয়ে মানুষেকে নানান রমক সমস্যায় পড়তে হয়। ভূমি ও রেজিস্ট্রি ( vumi registry ) সেবা কি? 

তা আমরা জানাব আমাদের ভুমি ও রেজিস্ট্রি সেবা ( vomi o registry seba ) সর্ম্পকে তথ্য দিয়ে। ভূমি ও রেজিস্ট্রি ( vomi registration ) সেবা পাওয়া আামদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সহিত বলতে হয় এই ভূমির মাপ তথা ভূমি আইন ও ভুমি জরিপ নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা সহ অনলাইনে প্রামাণ্য বইয়ের অভাব। অথচ সুষ্ঠু ভূমি মাপ 

( vumir map ) নিশ্চিতের অন্যতম উপায় হল ভূমি জরিপ ( vumi jorip ) পদ্ধতি তথা ভূমির খতিয়ান ও নকসা প্রণয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে সৃষ্ট ধারণা অর্জন। ভুমি আইন জানা আমাদের সকলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

জমির হিসাব ( jomir hisab ) তথা জমির পরিমাপ ( jomir porimap ) বা জমির মাপ ( jomir map ) হল সবচেয়ে গুরুক্তপুর্ণ একটি বিষয়। জমির হিসাব ( jomir hisan ) তথা জমির পরিমাপ ( jomi porimap ) বা জমির মাপ ( jomir map ) 

এর বিষয়ে সকল প্রকার খুটিনাটি বিষয় আামাদের এই অ্যাপটিতে আলোচনা করা হয়েছে। জমির পরিমাপ যদি কাগজ পত্রে ঠিক ভাবে না থাকে হাতলে আমরা বিভিন্ন জটিল সমস্যায় পতিত হব। জমি ক্রয় বিক্রয় এর ক্ষেত্রে জমির দলিল ও জমির নকশা সর্ম্পকে আমাদের ভালো ধারণা থাকতে হবে। 

যদি আমরা জমির দলিল ও জমির নকশা সর্ম্পকে ভালো ধারণা না রাখি তাহলে আমরা খুব সহজেই প্রতারণার শিকার হব। এর সাথে আমাদের ভুমি আইন সর্ম্পকে ও ভালো ধারণা রাখতে হবে । ভুমি আইন যদি না জানি তাহলে আমরা ঠিক মত কোন সমস্যাস সমাধান করতে পারবো না।

ভূমি আইন আমাদের কে জমি জমার সকল বিষয়াদির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে । কোন পরিস্থিতির জন্য আমাদের কি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে তা আমরা জানতে পারি। যে কোন জমি ( jomi ) কেনার আগে জমি জরিপ করা আমাদের কর্তব্য। 

জমি জরিপ যদি ঠিক থাকে তাহলে আমাদের জন্য জমি ক্রয় করা সহজ হয়ে যাবে। আমরা কোন আইনি জটিলতায় পড়বো না। বাড়ি তৈরির যাবতীয় হিসাব নিকাশ এর জন্য আমাদের জমির মাপ না খুবই প্রয়োজন। 

সঠিক জমি নির্বাচন করুন এবং সুন্দর বাড়ি তৈরি করুন। ভালো বাড়ির ডিজাইন এর জন্য জমির নকশা ভালো হওয়া প্রয়োজন। জমি মাপার ক্যালকুলেটর,জমির যাবতীয় মাপ ও আইন কানুন,জমির মাপ,vumir porimap app

জমির মাপ, তথ্য ও আইন ~ vumir porimap ভূমির পরিমান পদ্ধতি,Land Calculator - জমি পরিমাপের ক্যালকুলেটর, জমির পরিমাপ,জমি বা ভূমি পরিমাপ পদ্ধতি, ভুমি আইন,ভুমি সেবা,জমা খরচ, ভুমি ও রেজিস্ট্রি সেবা ও আইন কানুন , নিয়ে তথ্যমুলক ও শিক্ষা মূলক বাঙ্গালী এপ।

আপনাকে ভূমি পরিমাপ ভূমি আইন , ভূমির মাপ jomir hisab সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা থাকতে হবে নইলে জমির হিসাব ও জমি পরিমাপ নিয়ে আপনাকে অনেক কস্ট করতে হবে। আমরা অনেকেই জমি মাপার পদ্ধতি জানি না। সাধারণত জমি মাপার সময় একজন আমিন বা সার্ভেয়ার অপর পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দুই নাম্বারি করতে পারেন। আপনারা অামিন দ্বারা জমি মাপার সময় কিছু হলেও বুঝতে পারবেন।

ভূমি নিবন্ধকরণ একটি জটিল বিষয় যার মধ্যে ভূমি পরিমাপ, ভূমি গণনা, বাংলাদেশের ভূমি আইন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যদিও এই বিষয়টি জটিল হলেও সম্পত্তি পরিচালনার জন্য এটি জানা খুব স্পষ্ট। কারণ ভুমির মানচিত্র, ভুমি জোরিপ, ভূমি নিবন্ধকরণ ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে এই জিনিসগুলি অবশ্যই দুর্দান্ত সতর্কতার সাথে করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন