চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রুততম পেশী দ্বারা চালিত, আপনার চোখ তৈরি - বিশ্বাস করুন বা না করুন - চার মিলিয়ন কার্যকারী অংশ এবং 10 মিলিয়নেরও বেশি রঙ সনাক্ত করুন!

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না

প্রতি মিনিটে মস্তিষ্কে 1500 টুকরো তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং সরবরাহ করতে সক্ষম, আপনার চোখ ভিডিও ক্যামেরার মতো আপনার জীবনকে ক্যাপচার করে। এখানে নিবন্ধগুলির একটি সংগ্রহ রয়েছে যা চোখের যত্নের টিপস থেকে চোখের চিকিত্সা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় কভার করে৷ 

চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

চোখ ওঠার মেৌসুম চলছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে। এটি একটি সংক্রমণ। যেটি প্রায় মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে।এই রোগের  নাম কনজাংটিভাইটিস। সাধারণ ভাষায় যাকে ‘চোখ ওঠা’ বলে। এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে। 

আক্রান্ত ব্যক্তির চশমা, তোয়ালে, রুমাল, টিস্যু পেপার, বালিশ বা প্রসাধনী কোনো সুস্থ ব্যক্তি ব্যবহার করলে তারাও আক্রান্ত হতে পারেন।  বিশেষ করে অসুস্থ ব্যক্তির চোখের পানি কোনো সুস্থ ব্যক্তির চোখে লাগলে তারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অধিক। অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও চোখ ওঠার অন্যতম কারণ।

চোখ ওঠার লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ আই হসপিটালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. ইশতিয়াক আনোয়ার। চোখ ওঠার লক্ষণ

আরো পড়ুন: চোখ থেকে পানি পড়া

চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভা লাল বা টকটকে লাল দেখাবে। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয় তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। চোখে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা খচখচে ভাব, চোখের ভেতরে কিছু আছে এমন অনুভূতি হয়। 

চোখ থেকে বারবার পানি পড়ে, চোখের পাতায় পুঁজ জমে ও পাপড়িতে যা আঠার মতো লেগে থাকে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা খুলতে কষ্ট হয়। চোখের পাতা লাল হয়ে ফুলে চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। ঘরোয়া চিকিৎসা

একটি পরিষ্কার তুলা বা সাদা পরিষ্কার নরম সুতির কাপড় গরম পানিতে ডুবিয়ে চেপে নিয়ে আলতো করে ওই কাপড় বা তুলা দিয়ে চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে।

দুটি চোখের জন্য আলাদা কাপড় বা তুলা ও পানির পাত্র ব্যবহার করতে হবে। গরম সেঁক দেওয়ার কয়েক মিনিট পর বরফ বা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ও তুলা ডুবিয়ে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। চোখের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ এ সময় করা যাবে না। যেমন বেশিক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারে থাকা বা ছোট ছোট লেখা পড়া।

আরো পড়ুন: চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন চোখ ওঠা রোগ ৭-১০ দিনের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে যায়। নিচের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন- চোখ ওঠা রোগ দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে চলতে থাকলে। চোখে বারবার ময়লা জমলে। ২৮ দিনের কম বয়সি শিশুর চোখ লাল হয়ে গেলে।

চুলকানোর সঙ্গে সঙ্গে চোখে ভীষণ ব্যথা হলে, মারাত্মক মাথাব্যথা, অসুস্থ লাগলে। আলোর দিকে তাকালে চোখে ব্যথা হলে। একে ফটোফোবিয়া বলে। দৃষ্টিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন এলে যেমন কাঁপা কাঁপা রেখা বা বিদ্যুৎ চমকানোর মতো ঝলকানি দেখলে। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলে। চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিসের কারণের ওপর নির্ভর করে চোখ ওঠার চিকিৎসা দেওয়া হয়। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে চোখ উঠলে চিকিৎসক প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা পর পর অ্যান্টিবায়েটিক আইড্রপ ও রাতে ব্যবহারের জন্য মলম দিতে পারেন। 

ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে চোখ উঠলে অ্যান্টি হিস্টামিন বা অ্যান্টিঅ্যালার্জির ওষুধ, আই ড্রপ, মলম দেওয়া যেতে পারে। রোগীর যেসব বিষয়ে অ্যালার্জি আছে তা এড়িয়ে চলা বেশ জরুরি। 

যেমন ধুলাবালি, ধোঁয়া, ফুলের রেণু, সুইমিং পুলের ক্লোরিনযুক্ত পানি, বিশেষ কোনো প্রসাধনী বা রাসায়নিকের প্রভাবে চোখ উঠলে সেগুলোর সংস্পর্শ অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। কী করবেন, কী করবেন না

দিনে কয়েকবার চোখ পরিষ্কার করতে হবে, পরিষ্কার করার পর হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই চোখ ঘষাঘষি বা রগড়ানো যাবে না।বালিশের কভার, মুখ মোছার গামছা বা তোয়ালে, চশমা নিয়মিত গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

হাঁচি দেওয়ার সময় নাক, মুখ ঢেকে রাখুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন। চোখ সম্পূর্ণ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স পরা যাবে না। ইনফেকশন থাকা অবস্থায় কোন লেন্স পরে থাকলে সেটি ফেলে দিন। আক্রান্ত চোখে কোন প্রসাধনী দেওয়া যাবে না।

অ্যালার্জি এড়াতে কালো চশমা বা সানগ্লাসে চোখ ঢেকে রাখতে পারেন। কোনো আইড্রপের মেয়াদ প্যাকেটে এক-দুই বছর থাকলেও একবার এর মুখ খুললে ২৮ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কখন নিজেকে আলাদা রাখবেন

স্কুল বা ডে কেয়ার সেন্টারে অনেক শিশুর মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়লে কিছুদিন শিশুকে আলাদা রাখাই ভালো। যাদের অন্যদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে কাজ করতে হয়, একই টেলিফোন বা কম্পিউটার শেয়ার করতে হয় তারা পুরোপুরি সেরে ওঠার আগে কাজে যোগ না দেওয়াই ভালো। কাদের ঝুঁকি বেশি

প্রবীণ ও শিশুদের মধ্যে চোখ ওঠা সাধারণ রোগ। শিশুরা স্কুল বা খেলার মাঠ থেকে অন্যের সংস্পর্শে থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারাও ঝুঁকিতে থাকেন। যারা সম্প্রতি শ্বাসনালির সমস্যা যেমন সর্দি, হাঁচি, কাশিতে আক্রান্ত তাদের চোখ ওঠার ঝুঁকি বেশি থাকে। 

ডায়াবেটিস বা রোগ প্রতিরোধ সমস্যা দুর্বল করে এমন কোনো অসুখ থাকলে বা কাউকে নিয়মিত স্টেরয়েড নিতে হলে তার চোখ ওঠার ঝুঁকি বেশি থাকে। যারা নিয়মিত জনসমাগমস্থল যেমন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, ট্রেন স্টেশনে চলাচল করেন তারা সহজেই চোখ ওঠা সংক্রমণে আক্রান্ত হন।

মনে রাখবেন, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করবেন না। স্টেরয়েড ড্রপ ব্যবহার করলে জীবাণুর সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে, এমনকি কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থও হতে পারে।

চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ বেড়ে গেছে চোখ ওঠার সমস্যা। প্রায় প্রতিটি ঘরে কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটিকে বলে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

চোখ ওঠার প্রধান কারণ হতে পারে ভাইরাস। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেও দেখা দিতে পারে এ সমস্যা। চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ ফুলে যায়, চোখ ব্যথা করে ও খচখচে অনুভূত হয়।

চোখ ওঠার সমস্যায় ভুগলে সেরে ওঠার জন্য কিছু খাবারও খেতে হবে। চোখের নানা সমস্যায় উপকারী কিছু খাবার আমাদের হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ৩টি উপায়

কিশমিশে পর্যাপ্ত পলিফেনলস থাকায় শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করে। সেই সঙ্গে এটি চোখের মাসলের উন্নতিতেও সাহায্য করে। চোখ ভালো রাখতে চাইলে তাই নিয়মিত কিশমিশ খেতে হবে। রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খেলেও উপকার পাবেন।

পিংক সল্ট চোখের জন্য ভালো। এই লবণে আছে ৮০টির বেশি মাইক্রোমিনারেলস, যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাজ করে। তাই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে খাবারে পিংক সল্ট যোগ করতে পারেন, তবে তা অতিরিক্ত খাবেন না। 

কারণ, অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই দুই রঙে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। তাই চোখ উঠলে এই রঙের ফল চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

চোখ উঠলে কোন ড্রপ

দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এ রোগকে বলে কনজাংটিভাইটিস। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে। দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এ রোগকে বলে কনজাংটিভাইটিস। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে।

চোখ ওঠা রোগ কেন হয়? কীভাবে এটি ছড়ায়? লক্ষণ কী? প্রতিরোধে করণীয়? কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত? দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. চন্দ্র শেখর মজুমদার।

সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে, সে সময় এ রোগটা বেশি হয়।

সাধারণত কন্টাক্টের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। যেমন: রোগীর ব্যবহৃত জিনিস (গামছা, তোয়ালে, রুমাল) অন্যরা ব্যবহার করলে এ রোগ ছড়ায়। আবার হ্যান্ড টু আই কন্টাক্টের (হাত না ধুয়ে চোখ ছুঁলে) মাধ্যমেও ছড়ায়। অর্থাৎ আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত জিনিস কেউ ধরার পর যদি না ধুয়ে হাত চোখে দেয়।

সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এ রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। চোখ লাল হয়ে যায়। সাধারণত প্রথমে এক চোখ লাল হয়, পরে দুই চোখই হয় চোখ দিয়ে পানি পড়ে চোখে অস্বস্তিবোধ হয় (খচখচ করে)

চোখের পাতা ফুলে যায় চোখে ব্যথা হয় আলো সহ্য হয় না চোখে পিচুটি (কেতুর) হয় চোখে হালকা জ্বালাপোড়া হয় ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা লেগে থাকে কারো চোখের কর্নিয়া আক্রান্ত হলে তারা চোখে ঝাপসা দেখেন

চোখ ওঠার উপকারিতা

কনজেক্টিভাইটিস বা চোখ ওঠা, সাধারণত “গোলাপী চোখ” নামে পরিচিত। এটি এমন একটি অবস্থা যা কনজাংটিভা, চোখের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভেতরের পৃষ্ঠকে আবৃত করে এমন পাতলা, স্বচ্ছ স্তরের প্রদাহ বা ইনফেকশন সৃষ্টি করে। 

যদিও চোখ ওঠাকে প্রায়শই অস্বস্তিকর উপসর্গের সাথে চোখের অবাঞ্ছিত একটি সংক্রমণ হিসাবে দেখা হয়, তবে এটি স্বীকার করা অপরিহার্য যে এই অবস্থাটি আমাদের চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য উদ্দেশ্যগুলিও পরিবেশন করে। 

এই ব্লগে, আমরা আশ্চর্যজনক ভাবে চোখ ওঠার উপকারিতা এর উপর আলোকপাত করব এবং কীভাবে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা করবেন তাও আলোচনা করব।

চোখ ওঠার প্রাথমিক সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে এর ভূমিকা। যখন অ্যালার্জেন, বিরক্তিকর বা সংক্রামক এজেন্টের মতো ক্ষতিকারক পদার্থ চোখের সংস্পর্শে আসে, তখন শরীর একটি অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া শুরু করে, যা থেকে চোখ ওঠা হতে পারে। এই প্রদাহ শরীরকে আক্রমণকারীদের নির্মূল করতে সাহায্য করে, চোখের আরও ক্ষতি রোধ করে।

চোখ ওঠা চোখের জল থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং বিরক্তিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, চোখের জলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। অশ্রুতে অ্যান্টিবডি এবং এনজাইম রয়েছে যা ক্ষতিকারক পদার্থকে নিরপেক্ষ করতে পারে, নিরাময় প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে।

চোখ ওঠার সময় বর্ধিত টিয়ার বা চোখের পানি উত্পাদন চোখকে লুব্রিকেটেড রাখতে সাহায্য করে, শুষ্কতা প্রতিরোধ করে এবং একটি সুরক্ষামূলক স্তর প্রদান করে যা চোখকে বাহ্যিক উপাদান থেকে রক্ষা করে।

চোখ ওঠা ইমিউন সিস্টেমের বিকাশ এবং প্রশিক্ষণে অবদান রাখে। চোখ ওঠার অভিজ্ঞতা ইমিউন সিস্টেমকে ভবিষ্যতের সংক্রমণগুলিকে আরও কার্যকরভাবে চিনতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করে, ভবিষ্যতে অনুরূপ হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। চোখ উঠার লক্ষণ

আরো পড়ুন: চোখে এলার্জি হলে কী করবেন?

এই সময়ে অনেকের চোখ ওঠছে। এটি নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তিন থেকে ৭ দিনের মধ্যে চোখ এমনিতে ভালো হয়ে যায়।  চোখের ভাইরাসে কিছু ড্রপ আছে ব্যবহার করলে ফল পাওয়া যায়। আবার কোনো কোনো সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সাফী খান। কেন চোখ ওঠে চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়,  কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে।

চোখ উঠার লক্ষণ 

অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালিগুলো প্রদাহর কারণে  ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে।

ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে ওঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।

চোখ উঠলে বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে। চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ, তাই  যাদের চোখ ওঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। চোখ আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকও করবেন না। 

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে।  চোখে চুলকানি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করতে হবে। 

এ ক্ষেত্র অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।  কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

চোখ উঠার ড্রপ এর নাম

জীবনে একবারও চোখ ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর পরিবারে কারো চোখ ওঠেছে কিন্তু অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি এমন ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু চোখ উঠলে চিন্তার কিছু নেই। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। 

বিশেষ করে আমাদের দেশে শীতকালীন আবহাওয়ায় চোখ ওঠার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে চোখ ওঠার পরে অবশ্যই চোখের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।

চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়,  কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে।

অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালিগুলো প্রদাহর কারণে  ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে। 

ঘুম থেকে ওঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে ওঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।

চোখ ওঠার লক্ষণ ও প্রতিকার

জীবনে একবারও চোখ ওঠেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর পরিবারে কারো চোখ ওঠেছে কিন্তু অন্য কেউ আক্রান্ত হয়নি এমন ঘটনা কম ঘটে। কিন্তু চোখ উঠলে চিন্তার কিছু নেই। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে শীতকালীন আবহাওয়ায় চোখ ওঠার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে চোখ ওঠার পরে অবশ্যই চোখের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।

চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়,  কিছুটা ব্যথা ও খচখচ ভাব থাকে। এর সঙ্গে থাকে চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা। চোখ ওঠা হতে পারে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে। বেশির ভাগ সময়ই ভাইরাসে চোখ ওঠে।

চোখ উঠলে চোখ লাল হয়ে যায়। এটি একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে যেমন, জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনো ভাইরাসজনিত কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে ও ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনজনিত ইত্যাদি। 

তবে ভাইরাস কেরাটাইটিস বা হারপেম সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মূলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়। ছবি: সংগৃহীত

চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে

হঠাৎ লক্ষ্য করলেন চোখ লাল হয়ে আছে, কিছুটা ফুলেছে, অস্বস্তি হচ্ছে, এমনকি কম দেখছেন। সাধারণত একে আমরা ‘চোখ ওঠা’ বলি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটি কনজাংটিভাইটিস বা চোখের আবরণ কনজাংটিভার প্রদাহ। সম্প্রতি এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গরমে, বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে। ফলে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

চোখ ওঠার লক্ষ্মণ ও প্রতিকার নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি অপথামোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শওকত কবির। 

এই বিশেষজ্ঞ জানান, বর্তমানে রোগটি অনেকের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াজনিত; বর্তমানে যেটি হচ্ছে সেটি সিজনাল ফ্লু। 

চোখ লাল হয়ে ব্যথা হয় চোখের পাতা ফুলে যায় চোখে চুলকানি হতে পারে চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে সাময়িক সময়ের জন্য চোখে কম দেখতে পারেন চোখে ময়লা জমে থাকতে পারে চোখ ওঠার কারণ

চোখ উঠা হলো কনজাংটিভা বা চোখের স্বচ্ছ ঝিল্লির প্রদাহ বা সংক্রমণ, যা চোখের পাতাকে একসাথে করে চোখের সাদা অংশ বা শ্বেতমন্ডলকে ঢেকে রাখে। যখন কনজাংটিভায় ছোট রক্তনালীগুলো স্ফীত হয়, তখন সেগুলো আরও দৃশ্যমান হয়। এই কারণেই চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপী দেখায়। চোখ উঠা খুব বিরক্তিকর হলেও দৃষ্টিশক্তির উপর তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।

কিন্তু এক চোখে হলে সেটা আরেক চোখেও সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত এই অস্বস্তিকর অবস্থা এক কিংবা দুই সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তবে এক সপ্তাহের পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

চলুন, চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকারের পাশাপাশি জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন। বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে চোখ উঠার লক্ষণগুলোর মধ্যে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো

চোখের সাদা অংশতে গোলাপি বা লাল বর্ণ হওয়া চোখের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভেতরের অংশে রেখাযুক্ত পাতলা স্তর সৃষ্টি হয় চোখের পাতা ফুলে যায় ঘন ঘন অশ্রু বের হওয়া চোখে ঝাপসা দেখা এবং ঘন ঘন চোখ ঘষার উপক্রম হওয়া

চোখে চুলকানি ও জ্বালা অনুভূত হওয়া চোখ থেকে পুঁজ বা শ্লেষ্মা নিঃসৃত হয়ে চোখের পাপড়ি ও চক্ষুলোম ভিজে যেতে পারে বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠার সময়। ফলে চোখ সম্পূর্ণ মেলে তাকাতে কষ্ট হয়।

চোখ উঠা রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার জানার মাধ্যমে এই রোগ থেকে সাবধান থাকা যায়। যারা কন্টাক্ট লেন্স পরেন তাদেরকে এ রোগের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। লক্ষণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে কন্টাক্ট লেন্স পরিহার করাই উত্তম। চোখ উঠা রোগের উপর ঋতুগত প্রভাব আছে। 

ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াজনিত, গ্রীষ্মের মাসগুলোতে ভাইরাসজনিত এবং অ্যালার্জিজনিত চোখ উঠা পুরো বসন্ত ও গ্রীষ্ম জুড়ে দেখা যায়। তাই প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থাগুলো সারা বছর ধরেই নেয়া উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন