ঢাকা ডেন্টাল কলেজ চিকিৎসা খরচ ২০২৪
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল ঠিকানা ঢাকা ডেন্টাল কলেজ বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল। এটি মিরপুরে অবস্থিত। এই কলেজটিতে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। দাঁতের চিকিৎসা খরচ
দেশের বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের ভর্তি ফি ৮ লাখ টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অনুমোদন পেলে আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি বাস্তবায়ন হতে পারে।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ চিকিৎসা খরচ ২০২৪
ঢাকার বাসিন্দা রহিমা সুলতানা সম্প্রতি দাঁতের সমস্যা নিয়ে জরুরিভাবে বাসার কাছে চিকিৎসকের কাছে যান। তার দাঁতের ক্ষয়প্রাপ্ত টিস্যুগুলো সরিয়ে ফিলিং করে দেন চিকিৎসক। এতে তার খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। পুরো দাঁত তুলতে গেলে খরচ হতো ৫ হাজার টাকা।
পেশায় গৃহকর্মী রহিমার মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের বেশিরভাগেরই স্বাস্থ্যসেবার জন্য টকা বরাদ্দ থাকে না। শেষ পর্যন্ত বারডেম হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে যান রহিমা। সেখানে চিকিৎসক তার আক্রান্ত ৩টি দাঁত তুলে ফেলেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেন।
এজন্য সুলতানার খরচ হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। বারডেমের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন সুলতানা।
সারা বিশ্বেই দাঁতের চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। ঢাকাও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারি হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট, ডেন্টাল কলেজ এবং আধা-সরকারি হাসপাতালগুলো তুলনামূলক কম খরচে ভালো চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
এর মধ্যে বারডেম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল সাশ্রয়ী ব্যয়ে মানসম্মত চিকিৎসার জন্য উল্লেখযোগ্য দুটি প্রতিষ্ঠান। যে কেউ বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন। প্রথমে হাসপাতাল থেকে একটি স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে এবং তারপর নির্দেশিত ডেন্টাল কেয়ার ইউনিটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০ টি মেডিকেল কলেজ
এ হাসপাতালটিতে কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডোনটিকস, পেডিয়াট্রিক ডেনটিস্ট্রি, অর্থোডোনটিকস, ডেন্টোফেসিয়াল অর্থোপেডিক্স, প্রোস্টোডনটিকস, ডেন্টাল সার্জারি ইত্যাদি বিভাগ আছে।
এই সরকারি এবং আধা-সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ দাঁতের ডাক্তার আছেন। এখানকার চেম্বার ও সরঞ্জাম অটোক্লেভ স্টিম স্টেরিলাইজার ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করা হয়।
ডা. রাফিয়া নাজনীন বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখাও আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি। দাঁতের চিকিৎসা করতে করতে ডাক্তারের দক্ষতা বাড়ে, এটি কেবল জ্ঞান ব্যবহারের বিষয় নয়। এই দক্ষতা তৈরি হতে সময় লাগে। দৈনিক আমরা ৩০-৪০ জন রোগী দেখি। অন্যান্য বিভাগেরও নিজস্ব রোগী আছে।'
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অন্য হাসপাতালের তুলনায় বারডেম অনেক বেশি আস্থার একটি জায়গা। ডা. রাফিয়া নাজনীন বলেন, 'আমাদের এখানে রোগীদের ফি'র ওপর ভর্তুকি দেওয়া হয় এবং আমাদের বেতনও সরকার দেয়। সরকারি হাসপাতালে কাজ করা মর্যাদাপূর্ণ। অর্থ উপার্জন আমাদের অগ্রাধিকার নয়।'
রহিমা সুলতানার মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বারডেম এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল আশীর্বাদস্বরূপ। অন্যান্য হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকের তুলনায় এই হাসপাতালগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল ঠিকানা
অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না, আবার থাকলেও রোগী দেখেন না। বেশির ভাগ রোগী দেখেন ইন্টার্নি চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন তারা।
প্রায়ই চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন রোগীদের। নানা ছুতোয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন।মিরপুরে অবস্থিত এই সরকারি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে এরকম হাজারো অভিযোগ রয়েছে। ফলে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানে আসা রোগীরা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের ৬৪ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
এখানে সবাই স্টুডেন্ট,কোনও ডাক্তার নাই।এক জনের কাছে গেলে তিনি কন ওনার কাছে যাও, তার কাছে গেলে আরেকজনের কাছে পাঠায়ে দেয়,এমন ঠেলাঠেলি চলতে থাকে। আবার কাল যে ডাক্তার দেখেছেন, তিনি যদি আজ না থাকেন, তাহলে অন্য ডাক্তার দেখতে চান।’ কথাগুলো বলছিলেন আদাবর থেকে আসা শাহিনুর বেগম।
কেবল শাহিনুর বেগমই নন,মিরপুরের নূর নবী সিদ্দিক, রংপুরের মহসিন আহমেদ, মালিবাগের জেবুন্নেসা রহমানসহ আরও অনেক রোগী এবং রোগীদের স্বজনরা বিভিন্ন অভিযোগ করলেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
তারা বলেন, সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্তেও গজ,ব্যান্ডেজ, হ্যান্ড গ্লাভস, ওষুধ সব কিছুর জন্য এখানকার লোকদের টাকা দিতে হয়। আর চিকিৎসকরা হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীদের রেফার করেন বাইরের ক্লিনিকে।
পিজি হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দাঁতের রোগ চিকিৎসায়, উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়েছে। এর ফলে দন্ত চিকিৎসকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ হওয়ার সাথে সাথে দন্তরোগের উচ্চতর শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের শিক্ষা ও সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
এর অংশ হিসেবে সোমবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক মিলনায়তনে ডেন্টাল অনুষদের দন্ত বিভাগ সমূহের উচ্চতর শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণাসহ সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালায় কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব ডেন্টাল বেসিক এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্সেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
আরো পড়ুন: ফেসবুক পেজের ইউিনক ২০০+ নাম ইংরেজিতে
এ সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব ডেন্টাল বেসিক এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্সেস বিষয়টি ২৪ বছর আগে বাস্তবায়ন হওয়া উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা, বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে নানাবিধ উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রতিটি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রী চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রফেসর এমিরেটাস ও ভালো থিসিসের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর এওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটি বিভাগের কারিকুলাম ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সাধারণ চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা ইউনিটের আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। ৩৫৭ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল চালু করেছে। এছাড়াও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ও করোনা সনাক্তকরণ টেস্ট কার্যক্রম চালু রেখেছে।
কর্মশালার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল ২৩ আগস্টকে 'কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অব ডেন্টাল বেসিক এন্ড প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্সেস' দিবস ঘোষণা করেন।
কর্মশালা সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ওরাল হেলথ ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ হেলাল উদ্দিন। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওরাল হেলথ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আশীষ কুমার বনিক। উপস্থিত ছিলেন ওরাল হেলথ ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিব কুমার বণিক।
কর্মশালায় দেশের বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসকগণ সরাসরি এবং ভারত, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞগণ ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নিহত শহীদদের স্মরণে ও শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সরকারি হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসা
সরকারি হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট, ডেন্টাল কলেজ এবং আধা-সরকারি হাসপাতালগুলো তুলনামূলক কম খরচে ভালো চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে বারডেম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল সাশ্রয়ী ব্যয়ে মানসম্মত চিকিৎসার জন্য উল্লেখযোগ্য দুটি প্রতিষ্ঠান।
যে কেউ বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন। প্রথমে হাসপাতাল থেকে একটি স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে এবং তারপর নির্দেশিত ডেন্টাল কেয়ার ইউনিটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
এ হাসপাতালটিতে কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডোনটিকস, পেডিয়াট্রিক ডেনটিস্ট্রি, অর্থোডোনটিকস, ডেন্টোফেসিয়াল অর্থোপেডিক্স, প্রোস্টোডনটিকস, ডেন্টাল সার্জারি ইত্যাদি বিভাগ আছে।
আরো পড়ুন: স্টাইলিশ ফেসবুক পেজের নাম ২০২৪
বারডেম হাসপাতালের কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডোনটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাফিয়া নাজনীন বলেন, 'আমরা একটি অলাভজনক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। দরিদ্র ও দুস্থ রোগীদের সহায়তার জন্য বারডেমে একটি সমাজকল্যাণ বিভাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নারী-পুরুষ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সব ডায়াবেটিস রোগীদের পুনর্বাসনসহ সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য।'
এই সরকারি এবং আধা-সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ দাঁতের ডাক্তার আছেন। এখানকার চেম্বার ও সরঞ্জাম অটোক্লেভ স্টিম স্টেরিলাইজার ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করা হয়।
ডা. রাফিয়া নাজনীন বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখাও আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি। দাঁতের চিকিৎসা করতে করতে ডাক্তারের দক্ষতা বাড়ে, এটি কেবল জ্ঞান ব্যবহারের বিষয় নয়। এই দক্ষতা তৈরি হতে সময় লাগে। দৈনিক আমরা ৩০-৪০ জন রোগী দেখি। অন্যান্য বিভাগেরও নিজস্ব রোগী আছে।'
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অন্য হাসপাতালের তুলনায় বারডেম অনেক বেশি আস্থার একটি জায়গা। ডা. রাফিয়া নাজনীন বলেন, 'আমাদের এখানে রোগীদের ফি'র ওপর ভর্তুকি দেওয়া হয় এবং আমাদের বেতনও সরকার দেয়। সরকারি হাসপাতালে কাজ করা মর্যাদাপূর্ণ। অর্থ উপার্জন আমাদের অগ্রাধিকার নয়।'
রহিমা সুলতানার মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য বারডেম এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল আশীর্বাদস্বরূপ। অন্যান্য হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকের তুলনায় এই হাসপাতালগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়।
দাঁতের চিকিৎসা খরচ
মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী। তাই সুন্দর থাকতে মানুষ কি না করে? বর্তমানে মানুষ সুন্দর করে হাসতে অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছে অর্থোডন্টিক্স চিকিৎসায়। আজ আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো অর্থোডন্টিক্স চিকিৎসা নিয়ে-
অর্থোডন্টিক্স, যা দাঁত সোজা করা নামেও পরিচিত। আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু, ফাঁকা দাঁত সোজা করার জন্য এ চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। এটি আপনার দাঁতের মধ্যে ফাঁক ও সাধারণ সমস্যা যেমন ওভারজেট বা গভীর কামড় ঠিক করতে পারে।
এ ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আপনার মুখের হাসিই বদলে যাবে। অর্থোডন্টিক্সের পুরো নাম ‘অর্থোডন্টিক্স অ্যান্ড ডেন্টোফেসিয়াল অর্থোপেডিকস’।
অর্থোডন্টিক্স চিকিৎসা মূলত ব্রেসেস, রিটেইনার্স এবং এলাইনার্সের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। তারমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিক্সড ব্রেসেস। এছাড়া রিমুভাল ব্রেসেসেরও প্রচলন আছে ব্যাপক।
অর্থোডন্টিক্স চিকিৎসা ১২-১৪ বছরেই শুরু করা যায়। যখন একটি শিশুর সব দুধদাঁত পরে স্থায়ী দাঁত উঠে যায়। এছাড়া বয়স বেশি হলেও করা যাবে। তবে বয়স যত বাড়বে; দাঁত ঠিক হতে সময় তত বেশি লাগবে। এ চিকিৎসার জন্য বয়স ও সমস্যাভেদে ৬ মাস থেকে ৩ বছর সময় লাগতে পারে।
অর্থোডন্টিক্স সমস্যা যেমন মিসলাইন করা দাঁত, চিবানো অসুবিধা, চোয়াল নাড়াচাড়া করা দাঁত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে তা দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ, দাঁতের এনামেল অস্বাভাবিক পরিধান ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু, ফাঁকা দাঁত সুন্দর করার জন্য এ ট্রিটমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কম খরচে ডেন্টাল চিকিৎসা
ঢাকার বাসিন্দা রহিমা সুলতানা সম্প্রতি দাঁতের সমস্যা নিয়ে জরুরিভাবে বাসার কাছে চিকিৎসকের কাছে যান। তার দাঁতের ক্ষয়প্রাপ্ত টিস্যুগুলো সরিয়ে ফিলিং করে দেন চিকিৎসক। এতে তার খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। পুরো দাঁত তুলতে গেলে খরচ হতো ৫ হাজার টাকা।
পেশায় গৃহকর্মী রহিমার মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের বেশিরভাগেরই স্বাস্থ্যসেবার জন্য টকা বরাদ্দ থাকে না। শেষ পর্যন্ত বারডেম হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে যান রহিমা। সেখানে চিকিৎসক তার আক্রান্ত ৩টি দাঁত তুলে ফেলেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেন।
আরো পড়ুন: কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত
এজন্য সুলতানার খরচ হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। বারডেমের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন সুলতানা। সরকারি হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিট, ডেন্টাল কলেজ এবং আধা-সরকারি হাসপাতালগুলো তুলনামূলক কম খরচে ভালো চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
এর মধ্যে বারডেম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল সাশ্রয়ী ব্যয়ে মানসম্মত চিকিৎসার জন্য উল্লেখযোগ্য দুটি প্রতিষ্ঠান।
যে কেউ বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেন। প্রথমে হাসপাতাল থেকে একটি স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে এবং তারপর নির্দেশিত ডেন্টাল কেয়ার ইউনিটে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
এ হাসপাতালটিতে কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডোনটিকস, পেডিয়াট্রিক ডেনটিস্ট্রি, অর্থোডোনটিকস, ডেন্টোফেসিয়াল অর্থোপেডিক্স, প্রোস্টোডনটিকস, ডেন্টাল সার্জারি ইত্যাদি বিভাগ আছে।
বারডেম হাসপাতালের কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড এন্ডোডোনটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাফিয়া নাজনীন বলেন, 'আমরা একটি অলাভজনক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। দরিদ্র ও দুস্থ রোগীদের সহায়তার জন্য বারডেমে একটি সমাজকল্যাণ বিভাগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নারী-পুরুষ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সব ডায়াবেটিস রোগীদের পুনর্বাসনসহ সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করাই আমাদের লক্ষ্য।'
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ফোন নাম্বার
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ একটি প্রমুখ ডেন্টাল ইনস্টিটিউট, যা বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি উত্তরদাতা। এই কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে ডেন্টাল শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
কলেজটি একধরনের সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি ক্যাম্পাসে অবস্থিত, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা অন্যকথায় একটি আধুনিক ও তত্ত্ববদ্ধ শিক্ষার পরিবেশে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে।ঢাকা ডেন্টাল কলেজ চিকিৎসা খরচ,ঢাকা ডেন্টাল কলেজে চিকিৎসা খরচ উচ্চ মানের শিক্ষা ।
এবং প্রশিক্ষণের জন্য একমুখী প্রযুক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে। কলেজের শিক্ষকবৃন্দ বিশেষজ্ঞতা এবং দক্ষতার সাথে প্রস্তুত আছে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অত্যন্ত আধুনিক অধ্যায়বর্তী সুযোগ-সুবিধার সাথে এই কলেজটি প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সহজেই অনুপ্রাণিত হোক আপনার পেশাদার পথে এবং একটি উচ্চ মানের ডেন্টাল শিক্ষা প্রদানকারী ঢাকা ডেন্টাল কলেজের চিকিৎসা খরচে যোগ দিন।ঢাকা ডেন্টাল কলেজ একটি পূর্বাধুনিক দাঁতের চিকিৎসা ।
এবং শিক্ষার প্রতি কমিটমেন্টভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এখানে চিকিৎসা খরচের সম্মিলিত প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন উপায়ে বৃদ্ধি করে এবং এটি তাদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের কাছে সুবিধা অনুভূত করে।
এখানে ডেন্টাল চিকিৎসার মাধ্যমে সকল ধরণের দাঁতের সমস্যার জন্য একটি সম্পূর্ণ চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে।ঢাকা ডেন্টাল কলেজ চিকিৎসা খরচ,ঢাকা ডেন্টাল কলেজে চিকিৎসা খরচ মৌলিকভাবে সুস্থ এবং নিজস্ব প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে।
এখানে শিক্ষকবৃন্দ, চিকিৎসক, এবং অনুভূত স্টাফ একটি সুস্থ শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রতিবদ্ধ রয়েছেন। এটি চিকিৎসার উন্নত মানকে অনুভূত করার জন্য সকল আবশ্যক সম্পদ ও সুবিধা দিয়ে একটি উত্কৃষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
ভাঙ্গা দাঁতের চিকিৎসা খরচ
ভাঙা দাঁতের চিকিৎসা করার জন্য ৩,৫০০ টাকা থেকে প্রায় ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে এছাড়া চিকিৎসা খরচ সাধারণত দাঁতের অবস্থার উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় তাই কত টাকা খরচ হবে সেটা আপনার দাঁত দেখে বলা সম্ভব।
আপনার হয়তো অনেকেই জানেন এম,আই ডেন্টাল কেয়ার ভাঙা দাঁতের চিকিৎসা করার হয়। এবং তারা আন্তর্জাতিক গাইডলাইন ফলো করে বর্তমান সময় দাঁতের আধুনিক চিকিৎসা গুলো করে থাকে। আপনার চাইলে খুবই কম খরচে এম,আই ডেন্টাল কেয়ার থেকে ভাঙ্গা ফাঁকা
আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু দাঁতের চিকিৎসা সহ দাঁতের সকল চিকিৎসা নিতে পারেন। চিকিৎসা বিষয় বিস্তারিত তথ্যের জন্য কল করুন অথবা সরাসরি চেম্বারে চলে আসুন নিচে এম,আই ডেন্টাল কেয়ারের সম্পূর্ণ ঠিকানা দেয়া হলো
নকল দাঁত লাগানোর খরচ
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মতিউর রহমান মোল্লা বলেন, কৃত্রিম দাঁত টাইটেনিয়াম বা টাইটেনিয়াম অ্যালয় দিয়ে তৈরি হলে খরচ একটু বেশি। এটা আমাদের দেশে তৈরি হয় না। ভারতেও তৈরি হয় না।
নরমালি আমেরিকা, ইউরোপ; আমাদের দেশে যেমন আমেরিকা, ইউরোপ ও কোরিয়া থেকে আসে। অন্য দেশেও আছে। এগুলোর কোয়ালিটি ভালো। এদের সাকসেস রেট ৯৫ শতাংশের বেশি। বুঝতেই পারছেন ফেইলিউর প্রায় নেই।
চায়নাগুলোর দাম অনেক কম, কিন্তু ফেইলিউর কত হয় আমি জানি না। সব মিলিয়ে প্রতি দাঁত ৬০ হাজার টাকার মতো লাগবে। কেননা সার্জারি করতে হবে। কৃত্রিম দাঁত খুলে আবার লাগানো যায়—এগুলোকে আমরা বলি ডেনচার। ফ্লেক্সিবল ডেনচার ব্যবহারে আরাম ও সুবিধামতো খোলা ও পরা যায়।
কৃত্রিম দাঁত পোরসেলিন ক্রাউন ব্রিজের মতো কমিয়ে পাশের দাঁতের সঙ্গে সংযুক্ত করে স্বাভাবিক রঙের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়, ফলে বোঝার কোনো উপায় থাকে না যে এটা কৃত্রিম দাঁত। এরপর এসেছে আধুনিক ডেন্টাল ইমপ্লান্টের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ওই স্থানে একটি দাঁত প্রতিস্থাপন করা,