সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত। জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম সর্দি ও কাশি সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে হয়। সাধারণত এই রোগগুলি আত্মসাতের মাধ্যমে নিজেকে স্বাভাবিকভাবে ঠিক করে নিতে পারেন। এই রোগের জন্য প্রায় কোনও বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন নেই। জ্বর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত না

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত


তবে, যদি সর্দি ও কাশি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত অতি ঝুঁকিপূর্ণ সমার্থক লক্ষণগুলি সহ হয় যেমন শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত না

সর্দি ও কাশির সময়ে খাবার নিয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত হতে পারে, কিন্তু কেবল খাওয়া এবং পানীয়ের সঠিক ব্যবস্থা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সর্দি ও কাশির সময়ে খাবার নিয়ে কিছু প্রধান সাবধানতা নিম্নে উল্লিখিত হতে পারে

স্থানীয় বা প্রায় অনুমোদিত ওষুধগুলি ব্যবহার করা সাধারণত আরাম এবং সাধারণ রোগের লক্ষণগুলি নির্ধারণ করে তাদের মাত্রার উপর। তবে, ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে এবং যে কোন নতুন ঔষধ ব্যবহারের আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

  • উপকারিতা থাকা খাবার তাজা ফল, সবজি, প্রোটিন যুক্ত খাবার এবং মৌসুমী খাবার যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • গরম খাবার গরম খাবার যেমন সুপ, চা, হলুদের দুধ ইত্যাদি সর্দি ও কাশির সময়ে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুন: নাকের পলিপাস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ২০২৪

  • ভিটামিন C ধারণ খাবার ফল এবং সবজির মধ্যে ভিটামিন C প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা ম্যানেজমেন্ট করে আপনার সর্দি ও কাশির লক্ষণগুলি।
  • জল: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ, যা শরীরের তরালতা বজায় রাখে এবং কাশি ও সর্দির লক্ষণগুলি হ্রাস করে।

এই সব সাবধানতা মেনে চললে সর্দি ও কাশির অবস্থা ভালো হয়ে আসবে। তবে, যদি কোনও কম্প্লিকেশন বা দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণ দেখা যায়, তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

সর্দির ট্যাবলেট এর নাম

সর্দি ও কাশির লক্ষণ নিয়ে ঔষধ ব্যবহার করার পূর্বে কোনও চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসক পরামর্শ দেওয়ার পরে সাধারণত সর্দি ও কাশির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধগুলি প্রেস্ক্রিপ্ট করেন। কিছু সাধারণ সর্দি ও কাশি ঔষধের নাম হতে পারে

  1. পারাসেটামল জ্বর, শিরাশুল, যক্ষ্মা বা সাধারণ ব্যাথা নিয়ে প্রয়োজনে পারাসেটামল ব্যবহার করা হয়।
  2. এন্তাসিড কিছু সময় সর্দি বা কাশি এর কারণে পেটে অসুবিধা হতে পারে, এই অসুবিধা দূর করার জন্য এন্তাসিড ব্যবহার করা হয়।
  3. এন্টিহিস্টামিন এন্টিহিস্টামিন সর্দি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন সেপ্টিলিন, সিট্রিজিন ইত্যাদি।
  4. কাফিন যুক্ত মধু কাফিন যুক্ত মধু কাশির লক্ষণ হ্রাস করে এবং গলা ব্যথা কমায়।

কোনও ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে কোনও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত, যাতে সঠিক ঔষধের মাত্রা এবং ব্যবহারের সময়ের জন্য নির্দেশ প্রাপ্ত হয়।

জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম

জ্বর, সর্দি এবং কাশির জন্য ব্যবহৃত সাধারণ ঔষধের কিছু নাম হতে পারে প্যারাসিটামল (Paracetamol) জ্বর ও শিরাশুলের জন্য ব্যবহৃত একটি সাধারণ ঔষধ। ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): জ্বর এবং অতিরিক্ত ব্যথা নির্বাপনে ব্যবহৃত হতে পারে। ডিক্লোফেনাক (Diclofenac): জ্বর ও শিরাশুল এবং অতিরিক্ত ব্যথা নির্বাপনে ব্যবহৃত হতে পারে।

আরো পড়ুন: মাথা ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

  1. সেলফেনাপ্রিড (Acetaminophen): জ্বর ও অতিরিক্ত ব্যথা নির্বাপনে ব্যবহৃত হতে পারে। সেপ্টিলিন (Cetirizine) সর্দি, নাক দিয়ে পানি পড়া, এবং এলার্জির লক্ষণ নির্বাপনে ব্যবহৃত হতে পারে। পারাসেটামল সার্পিল মিক্সচার (Paracetamol syrup mixtures): বাচ্চাদের জন্য সাধারণত ব্যবহৃত হয় এই ধরণের সিরাপ।

এই ঔষধের ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত যেন সঠিক মাত্রা এবং ব্যবহারের সময়ের নির্দেশ প্রাপ্ত হয়।

সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত

ফ্লু বা সর্দির সময় চিকেন স্যুপ বেশ উপাদেয়। গরম গরম চিকেন স্যুপ খেতে পারলে ইমিউন সিস্টেমের উপকার হয়।  গরম চা মানে দুধ চা নয়৷ বরং লাল চা যদি ঠান্ডার সময় খেতে পারেন তবে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যাবে। 

সর্দি বা ফ্লু হলে কারো মাথা ঘুরালে, বমি বা পাতলা পায়খানা হলে কলা কিছুটা নিরাময়রুপে কাজ করে৷ এই সময় কলা আপনার পেটের অবস্থা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার সবসময় সর্দি জ্বরে সাহায্য করে। বিশেষত রোজ ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত। তবে টক কমলা এড়ানো উচিত। কুমড়োর বীজে জিংক, ভিটামিন ই এবং আঁশ পাওয়া যায়। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে কুমড়োর বীজ যথেষ্ট উপকার করে। 

কাশি হলে কি ঔষধ খাব

কাশি একটি সাধারণ রোগ, কিন্তু যখন এটি দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তখন এটি আপনার জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়াও, এটি সামাজিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করে। এটা এমন একটি সমস্যা যা যে কোনো সময় যে কারোর হতে পারে। 

যখনই আবহাওয়াতে সামান্য পরিবর্তন হয়, তখন প্রথম প্রভাবটি আমাদের দেহে পরে এবং শীতকালীন অসুস্থতা যেমন কাশি আমাদের বাধা দেয়। ঠান্ডা লাগলে, আমাদের নাক পুরো গলা বন্ধ করে দেয় এবং আমরা শ্বাস নিতে কষ্টপেতে শুরু করি। 

আরো পড়ুন: অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার

বহুবার ঠান্ডা লাগা নিরাময় হলেও, তবে কাশি আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করে এবং এই কাশি শ্লেষ্মা ছাড়া শুষ্ক। তবে, কাশি নিরাময় করার দ্রুত উপায়ে, মানুষ কাশির সিরাপ ব্যবহার করে, যা দ্রুত পরিত্রাণ সরবরাহ করে, তবে ঘরোয়া প্রতিকারগুলি কাশি থেকে স্থায়ীভাবে ত্রাণ পেতে সবচেয়ে কার্যকরী।

কাশি দুই ধরনের হতে পারে: শুকনো কাশি এবং শ্লেষ্মা কাশি। শুষ্ক কাশিতে কোন থুতু বা শ্লেষ্মা নেই, এই ধরনের কাশি নাক বা গলার ভাইরাল সংক্রমণের সময় ঘটে। শুকনো কাশি অনুভূতি দেয় যে আমাদের গলাতে কিছু আটকে আছে এবং কাশির পরেও সেটা যায়নি। বন্ধুরা, আজ আমরা এই বেদনাদায়ক শুষ্ক কাশি সম্পর্কে কথা বলব পাশাপাশি ঘরোয়া নিরাময় শিখতে এবং এটি কিভাবে

এড়াব তা শিখব। এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যাবহার করে আপনি কেবল শুষ্ক কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে না বরং রাসায়নিক ধারণকারী কোনও ঔষধও নেওয়া এড়ান। এই রেসিপি কাশি জন্য একটি সর্বরোগনিবারক ঔষধ।

শুকনো কাশি অনেক কারণে হতে পারে। সঠিক কারণ চিহ্নিত করলে তা সঠিক চিকিৎসা করা সহজ করে তোলে, তাই শুষ্ক কাশি নির্মূল করার সমাধানগুলি জানার আগে, শুকনো কাশিটির কারণ কী তা জানা যাক।

আপনার নাক এবং গলার অ্যালার্জিক কাশির কারণে শুষ্ক কাশি হতে পারে। যদি আপনার হাঁপানি (অ্যাস্থমা) বা টিবির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ থাকে তবে এটাও আপনার শুষ্ক কাশির কারণ হতে পারে।

আপনার যদি কোনও ঠান্ডা, জ্বর বা কোন ধরণের ভাইরাল সংক্রমণ থাকে, তবে এটি আপনার শুষ্ক কাশির জন্য একটি বড় কারণ হতে পারে।

যদি একজন ব্যক্তির ফুসফুসের ক্যান্সার থাকে তবে সেটি তাঁর কাশি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসার কারণে আপনি শুষ্ক কাশির অভিযোগ পেতে পারেন। যখন নাক বেশি শ্লেষ্মা তৈরি করে, তখন শ্লেষ্মা গলাতে যায়, যা কাশি ঘটাতে পারে।

শুষ্ক কাশি অপসারণের জন্য প্রতিদিন ১ চামচ মধু গ্রহণ করুন, আপনি ত্রাণ পাবেন। বিশুদ্ধ মধুতে এমন এনজাইম রয়েছে যা কাশি উপশম করে। মধুতে অনেক ধরনের ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কাশির জন্য সর্বরোগনিবারক ঔষধ।

১ গ্লাস গরম জলে ১ চা চামচ লবণ যোগ করে এবং সকালে সন্ধ্যায় শোষন করলে, এটি শুষ্ক কাশিতে ত্রাণ সরবরাহ করে। আপনি লবণ থেকে পরিত্রাণ পান, আপনি গলার ব্যথা এবং কাশি নিরাময় করতে শুরু করেন।

কালো মরিচকেও কাশির জন্য ভাল ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মরিচ তার ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটারও গুণমান সুখী কাশির উপর নির্ভর করে। কালো মরিচ গুঁড় করুন এবং ঘিতে ভাজুন এবং গলা এবং শুষ্ক কাশির থেকে ত্রাণ পান।

বেসিল, কালো মরিচ এবং আদা চা শুষ্ক কাশি অপসারণে সেরা বলে মনে করা হয়। তাই একটি ভাল মশলা চা বানান এবং কাশি থেকে পরিত্রাণ পান।

রসুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যা অবিলম্বে গলার কাশি নিরাময় করতে সহায়তা করে। ১ কাপে দুই বা তিন রসুন কুঁড়ি ফুটান। যখন জল ঠান্ডা হয়, এতে মধু মেশান এবং পান করুন, এটি শুষ্ক কাশিতে আরাম দেয়।

এক চা চামচ মধুতে এক চা চামচ রস মেশান এবং দিনে দুবার নিন। শুষ্ক কাশি একটি অদরকারী উপসর্গ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, এটি জ্বলন্ত অনুভূতি এবং গলার ব্যথা সৃষ্টি করে। অতএব, আপনার যদি দীর্ঘ সময় ধরে কাশি হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

জ্বর সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত

এই মৌসুমে ঘরে ঘরে জ্বর। টাইফয়েড, ডেঙ্গু, কোভিড-১৯-এর পাশাপাশি ঋতু পরিবর্তনের কারণেও মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে বমি, পেটব্যথা, পুরো শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা ও অরুচির সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে রোগী। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার। 

স্যুপ: জ্বর হলে মুরগির মাংস ও সবজি দিয়ে স্যুপ করে খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় রোগী দ্রুত শক্তি পায় এবং সুস্থ হয়। প্রোটিন রোগীকে দ্রুত আরোগ্য লাভে সাহায্য করে। স্যুপ খেতেও সহজ।

আরো পড়ুন: দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধের দুর্দান্ত উপায়

ডিম: ডিম–সবজি দিয়ে স্যুপ কিংবা সেদ্ধ ডিম রাখুন খাবারে। ডিমের প্রোটিন আপনাকে বাড়তি শক্তি জোগাবে।

ফলের শরবত: লেবু, কমলা, মাল্টা, বেদানা ও আনারসের জুস খাবেন। এগুলোয় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। 

দইয়ের লাচ্ছি: দই হচ্ছে প্রোবায়োটিকস। এ সময় জ্বরে পেটব্যথা, বদহজম ও পাতলা পায়খানার সমস্যা হয় অনেকের। তাই খাবার তালিকায় টক দই কিংবা দইয়ের লাচ্ছি রাখতে পারেন। পেট ঠান্ডা রাখবে। হজম ভালো হবে। 

ডাবের পানি: ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়ামসহ অন্যান্য মিনারেল রয়েছে, যা রোগীর শরীরে পর্যাপ্ত পানি ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে। 

শেক: কলা–দুধ কিংবা কলা–আম দিয়ে শেক করে দিতে পারেন। দুধ ও ফলের শেক, দুধ ও বাদামের শেক দ্রুত জ্বর সারাতে সাহায্য করবে। তবে জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা পেটব্যথা থাকলে কোনো ধরনের শেক দেবেন না। 

ফল: মৌসুমি ফল ও কলা খেতে পারেন। ফলে বিদ্যমান অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে। 

জাউ ভাত: ভারী ও সহজপাচ্য খাবার হিসেবে রোগীকে এক বা দুবেলা জাউ ভাত দিতে পারেন। সঙ্গে কবুতর বা মুরগির মাংসের ঝোল। চাইলে চাল, ডাল, মাংস, পেঁপে বা অন্য সবজি দিয়ে পাতলা খিচুড়িও করতে পারেন। জ্বরের কারণে রোগী দুর্বল হয়ে যায়। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে শর্করাজাতীয় খাবারের বিকল্প নেই। শর্করা হিসেবে জাউ ভাত বা পাতলা খিচুড়ি দিতে পারেন। 

রোগীকে বাইরের খাবার, তৈলাক্ত ভাজাপোড়া ও অর্ধসেদ্ধ খাবার দেবেন না। অতিরিক্ত চা-কফি বুক ধড়ফড়ানি বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, জ্বরে নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়। তবে আদা চা, লেবু চা ও মধু দিয়ে লিকার চা খেতে পারেন।

নাকের সর্দি দূর করার ঔষধ

শীতে অনেকেরই অসাবধানতাবশত ঠান্ডা লেগে যায়। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে সর্দি-কাশি আর নাক বন্ধের মাধ্যমে। বিশেষ করে যাঁদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে। কারণ, এ সময় পরিবেশে ধুলাবালু বেশি ও বাতাস শুষ্ক থাকে। এ ছাড়া যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়।

নাক বন্ধ হলে দ্রুত পরিত্রাণের জন্য অনেকে নোজল ড্রপ বা ওষুধের সাহায্য নেন। তবে এসব ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ব্যবহারে একটা সময় এসব ওষুধ কোনো কাজে আসে না। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু সমাধান চেষ্টা করা যেতে পারে।

নাসাপথের ঝিল্লিগুলোর প্রদাহ বা অস্বস্তির ফলে নাকে যে গুমোটভাব তৈরি হয়, তাকে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বলা হয়। নাকের রক্তবাহগুলো ফুলে গেলেও নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি অথবা সাইনাসের সংক্রমণের সঙ্গে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কিত।

আরো পড়ুন: দাঁত ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে এর মধ্যে একটি মাইক্রোফাইবার তোয়ালে বা রুমাল ডুবিয়ে ভালো করে চিপে নিতে হবে। এবার এ রুমাল নাকে-মুখে দিয়ে রাখুন ৫ থেকে ১০ মিনিট। এ প্রক্রিয়া ৩-৪ বার করুন। তাহলে নাক বন্ধভাব অনেকটা কেটে যাবে ও স্বস্তি পাবেন।

গরম পানিতে এক চা-চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় দিনে দুইবার পান করবেন। ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম বন্ধ নাক খুলতে, বুকের কফ অপসারণ এবং ভাইরাস দূর করতে সাহায্য করে।

একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে এর মধ্যে কিছু পুদিনাপাতা দিন। এবার পাত্রটি কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। তারপর কম আঁচে ৫ থেকে ১০ মিনিট সেদ্ধ পানিটা গরম করে নিন। এই পানীয় দিনে দুইবার চায়ের মতো করে পান করুন। পুদিনার পানীয় বুকের প্রদাহ কমায় ও বন্ধ থাকা নাক খুলতে সাহায্য করে।

এক লিটার পানি ভালো করে ফুটিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল দিন। এবার তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে ভাপ নিন। এটা করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে নাকের বন্ধভাব খুলে যাবে। সঙ্গে মাথাব্যথা থাকলেও কিছুটা উপশম হবে।

এক গ্লাস পানিতে আধা চা-চামচ লবণ দিন। এবার নাক দিয়ে এ পানি টেনে ভেতরে নিন। চাইলে দিনে দুই থেকে তিনবার এটা করতে পারেন। ড্রপের সাহায্যে নাকেও দিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন ফোঁটার বেশি নয়।

নাকের মিউকাস পরিষ্কার করতে গ্রিন টিও উপকারী। এতে নাক পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিনও দূর হয়ে যায়।

বন্ধ নাক খুলতে ভালো কাজ করে গোলমরিচ। হাতের তালুতে অল্প একটু গোলমরিচগুঁড়া নিয়ে সামান্য শর্ষের তেল দিন। আঙুলে লাগিয়ে নাকের কাছে ধরুন। হাঁচি হবে। সেই সঙ্গে নাক, মাথার জমাটভাবও কেটে যাবে।

এক কাপ টমেটোর রস, এক টেবিল চামচ রসুনকুচি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ঝাল সস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। এ চা দিনে দুইবার খান। ঠান্ডা, কাশি ও নাক বন্ধভাব দ্রুতই কেটে যাবে

ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত

শীতকাল শেষে বসন্তের আগমন ঘটেছে প্রকৃতিতে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে বাতাসে ফুলের রেণু ভেসে বেড়ায়, শুষ্ক আবহাওয়ায় ঝড়া শুকনো পাতা আর ধুলোবালি বেশি থাকে। যে কারণে এ সময় সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়তে থাকে। এ ছাড়া ভাইরাস ও বিভিন্ন অনুজীব সক্রিয় থাকে ঋতু পরিবর্তনের সময়।

যেহেতু এই সময়ে এগুলো বেশি সক্রিয় থাকে তাই যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের হাঁচি, কাশি, শরীরে ব্যথাসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, সর্দি-কাশির সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া কিছু খাবার অবশ্যই বেশ উপকারী। যেমন

এ সময় সরিষা বা কালোজিরা রাখা যেতে পারে খাদ্যতালিকায়। সরিষার তেল দিয়ে আলু ভর্তা, টমেটো ভর্তাসহ বিভিন্ন ধরনের ভর্তা তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে সর্দি-কাশি উপশমের জন্য। কালোজিরা ভর্তা বেশ উপকারী। এটি ঠান্ডা-কাশিসহ নানা রোগ থেকে মুক্তির মাধ্যমে শরীরকে ভালো রাখে।

সরিষা শাক, সরিষা ভর্তাও বেশ উপকারী। এটি ফুসফুসের স্বাভাবিক কাজ করতে সাহায্য করে। নাক বন্ধ, খুসখুসে কাশি এ ধরনের সমস্যা এ সময় বেশি দেখা যায়। সরিষার যেকোনো খাবার খাদ্যতালিকায় থাকলে নাক বন্ধ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 নাক ও ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ভিটামিন এ,  ভিটামিন সি। সেক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার বিচি, মিষ্টি আলুর তৈরি বিভিন্ন খাবার খেলে সর্দি-কাশি নির্মূল হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

রসুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। রসুন মুড়ির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন খাবারে রসুন দেওয়া যেতে পারে।

সর্দি-কাশির জন্য তুলসি পাতা কার্যকরী। সকালে ঘুম থেকে উঠে  তুলসি পাতার রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়, বিশেষত বাচ্চাদের। বড়রা তুলসী পাতার চা বা তুলসি পাতা সালাদের সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন।

শীতকালে বা শীতের শেষেও বাজারে যেসব ফল পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন অনুজীবের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতেও সাহায্য করে। এ সময় কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, টক জাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। 

বাজারে মৌসুমি যেসব সবজি পাওয়া যাবে সেগুলো দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। সবজির সঙ্গে মুরগির মাংস বা ডিম মিশিয়ে আদা, রসুনসহ রান্না করে খাওয়া বেশ উপকারী। এটি ইমিউনিটি বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির সমস্যায় কাজে আসে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন