মাথায় আঘাত লেগে ফুলে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা কোনটি

মাথায় আঘাত পেয়ে বমি হলে যদি আঘাতের কারণে আপনার মাথা ফুলে যায়, অবিলম্বে একটি ঠান্ডা কম্প্রেস প্রয়োগ করুন এবং মাথা উঁচু রাখুন।  আঘাতের উপর চাপ দেওয়া এড়িয়ে চলুন এবং লক্ষণগুলি খারাপ হলে চিকিৎসার পরামর্শ নিন। বাচ্চাদের মাথায় আঘাত লাগলে করণীয়

বাচ্চাদের মাথায় আঘাত লাগলে করণীয়

মাথাকে হার্টের স্তরের উপরে উন্নীত করাও গুরুত্বপূর্ণ, যা প্রভাবিত এলাকায় রক্ত ​​​​প্রবাহ কমিয়ে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।  আঘাতের পরের মুহুর্তগুলিতে, দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ পুনরুদ্ধারের উপর উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।  মনে রাখবেন, পেশাদার চিকিৎসা মূল্যায়নের জন্য অপেক্ষা করার সময় এই পরামর্শটি একটি স্টপগ্যাপ।  

বাচ্চাদের মাথায় আঘাত লাগলে করণীয়

ফোলা জায়গায় কোল্ড প্যাক লাগালে তা ফোলা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।  যাইহোক, ত্বকে সরাসরি বরফ রাখা এড়িয়ে চলুন;  পরিবর্তে, একটি তোয়ালে এটি মোড়ানো।  যদি তন্দ্রা, বমি বা গুরুতর মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে জরুরিভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন।

মাথায় আঘাত পেয়ে বমি হলে

মাথায় ছোটখাট আঘাত পেলেও অনেকে তা নিয়ে ভাবেন না। কারও তেমন ধারণা নেই যে, সামান্য মাথার আঘাতই পরবর্তীতে মস্তিষ্কে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই! মাথায় আঘাত লাগার পরই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভেতরে আঘাত লাগলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই মাথার আঘাতকে কখনো অবহেলা করবেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্তিষ্কে আঘাত লাগার কারণে দেখা দিতে পারে নানা ধরনে সমস্যা। এক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখে ঘোলাটে দেখা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন: মাথা ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন

এমনকি ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তি হাঁটার সময়ও ভারসাম্য হারাতে পারেন। আবার হাত-পা অবশের মতো সমস্যাও হতে পারে। হতে পারে স্মৃতিভ্রম।
এজন্য এসব বিষয়ের প্রতি সবাইকে সতর্ক হতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জেনে নিন মাথায় আঘাত লাগলে দেখা দিতে পারে যে ৫ ধরনের সমস্যা-

​>> মাথায় আঘাত লাগলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হেমারেজের সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথায় হয় রক্তপাত। এই রক্তপাতের ঘটনাকেই বলে হেমারেজ।

ব্রেনের আশপাশে হেমারেজ হওয়ার ঘটনাকে বলে সাবঅ্যারকনয়েড হেমারেজ। আর ব্রেনের ভেতরে রক্তপাতের ঘটনাকে বলে ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমারেজ। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

মাথায় আঘাত লাগলে বমি হয় কেন

মাথায় আঘাতের পরে কেন বমি হয় তা বোঝা কার্যকর প্রাথমিক চিকিৎসার প্রতিক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  মূলত, উল্লেখযোগ্য শক্তির সাথে আঘাত করার সময় মস্তিষ্ক ট্রমা অনুভব করে, যার ফলে শরীর থেকে প্রতিক্রিয়া হয়।  বমি একটি অনিচ্ছাকৃত প্রতিচ্ছবি যা প্রায়ই এই ধরনের ট্রমা থেকে পরিণত হয়, আঘাতের তীব্রতার জন্য লাল পতাকা হিসাবে কাজ করে।

মাথার পিছনে আঘাত লাগলে কি হয়

মাথায় কোনও কারণে আঘাত লাগলে তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত পেলে শারীরিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন মানুষ। মস্তিষ্ক সারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেটি কাজ না করলে ভীষণ মুশকিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে হতে পারে বড় বিপদ।

মস্তিষ্ক আঘাত পেলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। মাথায় হালকা চোট-আঘাত লাগলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলা করি। এর লক্ষণ কিছু ক্ষেত্রে অল্প সময়েই দেখা যায় আবার কিছু ক্ষেত্রে বেশ ক’দিন সময় লাগে। মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে কোন কোন লক্ষণ অবহেলা করবেন না, তা জানা ভীষণ জরুরি।

আরো পড়ুন: মাথার টাকে চুল গজানোর উপায়

মাথায় আঘাত লাগলে অত্যধিক মাথা যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভার নিতে না পারা, মাথা ঘোরানো, বমি, সঠিক ভাবে হাঁটাচলা না করতে পারা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অবসাদ, উদ্বেগ, স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, দুর্বলতা এগুলি খুব সাধারণ বিষয়। 

এ ছাড়াও কিন্তু নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেকের ‘ব্রেন ডেথ’ হতে পারে। ফেশিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। 

এ ছাড়া হেমারেজ, ​​মাথায় ফ্র্যাকচার, ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরিও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের রক্তনালী পাতলা এবং ছোট হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। যে সব রোগীরা শারীরিক সমস্যার কারণে রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ খান, তাঁদেরও এই বিষয়ে বেশ সতর্ক থাকা জরুরি।

মাথার পিছনে ফুলে যাওয়ার কারণ

শিরোনাম দেখে অনেকেই আঁৎকে উঠবেন। ভাববেন মাথায় আবার এটমবোম হয় নাকি! আমি মিথ্যা বলছি না। মাথায় অনেকেই এটমবোম নিয়ে ঘুরে বেড়ান।

আমি যে এটমবোমের কথা বলছি তা মস্তিষ্কের রক্তনালীর একটি রোগ। কী সে রোগ জানতে চান? আজকে এটা নিয়েই আলোচনা করব।

মস্তিষ্কে অনেকগুলো রক্তনালী থাকে। এগুলো জালের মতো বিস্তৃত হয়ে মস্তিষ্কে রক্ত সরববাহ করে। একটি রক্তনালী ভাগ হয়ে দুটো শাখায় পরিণত হয়। রক্ত চলাচলের সময় এ ভাগ হওয়া অংশে রক্তের চাপ পড়ে বেশি। ফলে রক্তনালীর এ অংশ দুর্বল হয়ে পড়ে। 

চাপ বেড়ে গেলে এ দুর্বল অংশ ফুলে যায়। যেটাকে বলে এনিউরিজম। একসময় এনিউরিজম ফেটে যায়। ফেটে যাওয়া অংশ দিয়ে রক্ত মস্তিষ্কের আবরণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর একেই বলে সাব-এরাকনয়েড হেমোরেজ।

তো এ রোগকে এটমবোম বলা হচ্ছে কেন? কারণ হলো গবেষণালব্ধ তথ্য মতে, এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ১০-২০ শতাংশ মারা যান হাসপাতালে পৌঁছার আগেই। আরো ৩০-৪০ শতাংশ মারা যান প্রথম ৩০ দিনের মধ্যেই। মানে মোট আক্রান্তের ৫০ শতাংশ মারা যান প্রথম ৩০ দিনের মধ্যে। তাহলে প্রশ্ন বাকি অর্ধেকের কী হয়? জীবিতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে বেঁচে থাকেন। কাজেই এ রোগটি প্রাণহারী।

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

সাব-এরাকনয়েড হেমোরেজের মূল কারণ- এনিউরিজম যেটিকে আমি এটমবোম বলছি সেটি মাথায় থাকলে কিন্তু কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যদি না সেটি বড় হয়ে টিউমারের আকার ধারণ করে।

এটমবোম বাস্ট হলে যেমন প্রাণহানি হয় ঠিক তেমনি এনিউরিজম রাপচার বা ফেটে গেলে উপসর্গ দেখা দেয়।

এ রোগের উপসর্গ শুনেই রোগ নির্ণয় করা যায়। মূল ও প্রধান উপসর্গ হলো মাথাব্যথা। শুধু মাথাব্যথা নয় তীব্র মাথাব্যথা। এমন মাথাব্যথা জীবনে কখনোই হয়নি। অনেকে বলেন মাথায় বাজ পড়ার মতো ব্যথা। ব্যথা শুরু হয়ে কিছু সময়ের মধ্যে খুব তীব্র আকার ধারণ করে। 

অনেকের মাইগ্রেন থাকে তাদেরও তো মাথাব্যথা হয়। তাহলে তারা কিভাবে আলাদা করবেন? তারা আলাদা করবেন এভাবে যে এমন তীব্র মাথাব্যথা এর আগে কখনো হয়নি। শুধু মাথাব্যথা নিয়েই এক-তৃতীয়াংশ রোগী হাসপাতালে আসেন।

তবে মাথাব্যথার সাথে বমি হতে পারে, আক্রান্ত ব্যক্তি অজ্ঞান হতে পারেন। আক্রান্তের ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, চোখের পাতা পড়ে যেতে পারে, শরীরের কোনো পাশ অবস হতে পারে ও চোখে দেখার সমস্যা হতে পারে।

মাথায় আঘাত লাগলে কি কি সমস্যা হয়

এই সময় জীবনযাপন ডেস্ক: আমাদের শরীরটিকে একটি কম্পিউটার ভেবে নিন। এবার সেই যন্ত্রের সিপিইউ (CPU) হল আমাদের মাথা। মস্তিষ্ক (Brain) আমাদের গোটা দেহের চালনা করে। তাই মস্তিষ্ককে তৈরিও করা হয়েছে ভীষণই সতর্কতার সঙ্গে। 

এই অঙ্গটিকে ঢেকে রাখা হয় লোহার থেকে বেশি শক্ত হাড় দিয়ে। যাতে সহজে এই অঙ্গে আঘাত না লাগে। তবে জীবনে নিশ্চয়তা বলে কোনও শব্দ নেই। তাই যে কোনও কারণেই হোক লাগতে পারে চোট। আর চোট লাগার পরই দেখা দেয় নানা সমস্যা। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভিতরে আঘাত লাগলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই সংযত থাকা ছাড়া কোনও গতি নেই।

আরো পড়ুন: অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার নিয়ম ২০২৪

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে মস্তিষ্কে আঘাত লাগার কারণে দেখা দিতে পারে নানান রকম সমস্যা। এক্ষেত্রে বমি পাওয়া, বমি হয়ে যাওয়া, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখে ঘোলাটে দেখা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যেতে পারে। এমনকী ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। ব্যক্তি হাঁটার সময়ও ভারসাম্য হারাতে পারেন। এমনকী হাত, পা তুলতেও সমস্যা হতে পারে। হতে পারে স্মৃতিভ্রম।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এমনকী কোনও সমস্যা দেখা দিলে শীঘ্রই সমস্যার যাতে সমাধান হয় সেই বিষয়টি দেখতে হবে। এক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এই সমস্যাগুলি- (ছবি সৌজন্যে: নবভারত টাইমস)

ব্যথা পেয়ে ফুলে গেলে করণীয় কি

শরীরের কোনো জায়গায় জোরে আঘাত লাগলে বা থেঁতলে গেলে সে জায়গাটা প্রথমে লাল হয়ে ফুলে যায় এবং বেশ ব্যথা করতে থাকে। পরে জায়গাটি নীল ও ক্রমশ কালো হয়ে যন্ত্রণাদায়ক কালশিরার সৃষ্টি করে। পরে আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে এই আঘাতজনিত ফোলা ও কালশিরা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে আঘাতের জায়গাটিতে বরফ চেপে ধরুন। আঘাতের প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা দিলে ওই জায়গার রক্তনালি সংকুচিত হয়। এতে বেশি রক্তপাত হয় না এবং ফোলা ও ব্যথা কম হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তপাত না হওয়ায় কালশিরা পড়ে না।

এর সঙ্গে ব্যথার ওষুধ, যেমন : প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।

আক্রান্ত জায়গাটিতে প্রথমে মালিশ করলে ভালো লাভ হয় না। কিন্তু পরবর্তীকালে মালিশ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে মালিশ করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে হাড় ভেঙেছে কি না। হাড় ভাঙার আশঙ্কা থাকে, তাহলে মালিশ করা যাবে না।

আঘাত পাওয়ার পরের দিন আঘাতের জায়গায় গরম সেঁক দেবেন। তখন আর ঠান্ডা সেঁকের প্রয়োজন নেই। গরম সেঁকের কারণে ফোলা জায়গা থেকে জমে থাকা রক্তগুলো সরে যায়, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং আক্রান্ত জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠে।

তীব্র ব্যথা না কমলে এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে ফোলাও অপরিবর্তিত থাকে কিংবা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে হাড় ভাঙার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে নিজে কিছু না করে হাসপাতালে যান।

আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে কখনো গরম কিছুর সেঁক দেবেন না। কারণ, গরম সেঁক দিলে ওই জায়গায় রক্ত এসে জমা হয়। পরে ওই রক্ত জমাট বেঁধে গেলে জায়গাটা বেশি ফুলে যায় এবং ফুলে ওঠা জায়গাটিতে প্রচণ্ড ব্যথা করে। সে জন্য প্রথমে ওই স্থানে বরফ বা ঠান্ডা সেঁক দিতে হয়, তাহলে রক্তনালির সংকোচনের জন্য ওই স্থানে রক্ত আসে না। পরের দিন অবশ্য গরম সেঁক দিতে হবে।

শিশুর মাথায় আঘাত ও বমি

অঘটন যে কোনও সময়ে, যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে। আচমকা মাথায় কোনও কারণে আঘাত লাগলে, তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত পেলে শারীরিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন মানুষ। মস্তিষ্ক সারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেটি কাজ না করলে ভীষণ মুশকিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে হতে পারে বড় বিপদ।

তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটা হলে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। খেলার সময়ে, লাফালাফি করতে গিয়ে অনেক বার শিশুদের মাথায় আঘাত লাগে। চেয়ার, টেবিল, কিংবা খাট থেকে পড়ে গিয়েও এমনটা হতে পারে। এমন হলে কিন্তু কখনওই অবহেলা করবেন না। সামান্য চোট থেকেই ভবিষ্যতে হতে পারে বড় সমস্যা।

আরো পড়ুন: নিমের পাতার উপকার ও ব্যবহার

মাথায় চোট লাগলে অত্যধিক যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভার নিতে না পারা, মাথা ঘোরা, বমি, সঠিক ভাবে হাঁটাচলা না করতে পারা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অবসাদ, উদ্বেগ, স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেকের ‘ব্রেন ডেথ’ হতে পারে। ফেশিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এ ছাড়া হেমারেজ, মাথায় ফ্র্যাকচার, ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরিও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের রক্তনালী পাতলা এবং ছোট হয়। তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।

FAQ

মাথায় আঘাত পেলে কী করবো?

শীতল কম্প্রেস প্রয়োগ করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসক দেখান।

মাথার ফোলা কমানোর উপায় কী?

বরফ প্যাক ব্যবহার করুন এবং ফুলে যাওয়া স্থানটি উঁচু করে রাখুন।

সঠিক সময়ে চিকিৎসক দেখাবো কেন?

গুরুতর অভ্যন্তরীণ চোট এড়াতে এবং জটিলতা প্রতিরোধের জন্য।

মাথায় বরফ লাগানোর সঠিক পদ্ধতি কী?

বরফকে একটি পাতলা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ফোলা স্থানে ১৫-২০ মিনিট ধরে লাগান।

মাথার চোটে কাঁপুনি হলে কী করা উচিত?

অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা নিন কারণ এটি গুরুতর লক্ষণ।

মাথায় ফুলে গেলে বিশ্রাম কেন জরুরি?

বিশ্রাম আঘাত সারাতে এবং মস্তিষ্কের চাপ কমাতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্য

মাথায় আঘাত পেলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এই ব্লগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার ধাপগুলো জেনে নিন, যা আপনাকে ও আপনার প্রিয়জনের নিরাপত্তা দিতে সাহায্য করবে। সময়মত চিকিৎসা ও পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ মাথায় আঘাত ফোলা বিষয়ে সঠিক সমাধান প্রদান করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন