পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

বহু সংখ্যক লোক অনলাইনে পাসপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন তথ্য, এবং পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা জানার জন্য সার্চ করে থাকেন। তাই সকলের কথা চিন্তা করে আমাদের এই সুন্দরতম প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে। আশা করছি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা সঠিক তথ্যটি জানতে পারবেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকবেন।

10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে প্রেক্ষাপটে পাসপোর্ট একটি অতি জরুরি একটি তথ্য বহন করে থাকে। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। এখন ইলেকট্রনিক বা পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

পাসপোর্ট ফি কত : আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে। তবে আপনি যদি একান্তভাবে পাসপোর্ট ফি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গা তে চলে এসেছেন।

কেননা বরাবরের মতো আজকে আমি আপনাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যে, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে, 10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। 

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

আমি আমার পূর্ববর্তী আর্টিকেল গুলো তে পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। তো সেই আর্টিকেল গুলো তে অনেকে জানতে চেয়েছেন যে, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে।

সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। যেহেতু আপনারা এই বিষয় টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। সেহেতু আজকের এই আলোচনায় আমি আপনাকে উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

আর আপনি যদি এই পাসপোর্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে চান। তাহলে আপনাকে আজকের পুরো আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।


দেখুন আপনি যখন পাসপোর্ট করবেন। তখন আপনি বিভিন্ন বছর মেয়াদী পাসপোর্ট দেখতে পারবেন। যেমন, একজন ব্যক্তি চাইলে ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে পারবে। আবার আরেক জন ব্যক্তি চাইলে ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে পারবে।

তবে এই পাসপোর্ট গুলো আসলে কত বছর মেয়াদী হবে। তার ওপর নির্ভর করে যে উক্ত পাসপোর্ট এর জন্য কি পরিমাণ ফি প্রয়োজন হবে হবে। অপর দিকে একটি পাসপোর্ট এর ডেলিভারি টাইম এর দিকে আপনি পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন।

যেমন, আপনি চাইলে একটি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পরে অতি জরুরি হিসেবে মাত্র দুই দিনে সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে সে জন্য আপনাকে বাড়তি কিছু টাকা প্রদান করতে হবে। আবার আপনি যদি সাধারণ ডেলিভারির মাধ্যমে পাসপোর্ট নিতে চান।

সে ক্ষেত্রে আপনার কম টাকা প্রয়োজন হবে। তো এই যাবতীয় বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করে যে আপনার পাসপোর্ট ফি কত টাকা প্রযোজ্য হবে।

10 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

ইলেকট্রনিক বা ই–পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই–পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে কী লাগে, ই–পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ও খরচ, কত দিনে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরি।

কেননা, একটি ই–পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার (সাবমিট করা) পর যদি দেখেন, কোথাও ভুল হয়েছে, তাহলে আপনি তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। সেই সঙ্গে, একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই–পাসপার্টের জন্য আবেদন করা যায়।

আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন

অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার দিন–তারিখও পাওয়া যাবে অনলাইনে। কাগজপত্রেও লাগছে না কোনো সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে। 

ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’–এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।

প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। 

এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়া যায়। এ ছাড়া অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব কাজ শেষ হলে ‘ফাইনাল সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ নেবেন। তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট, যে বাসায় থাকেন সে বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। 

সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন। এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। ছবি তোলা, সব আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি রিসিট দেবে। 

পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রসিদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

5 বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি ৫ বছর মেয়াদের ই পাসপোর্ট করতে চান সেক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে ৫ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা হতে পারে কিংবা ৫ বছর মেয়াদের ই পাসপোর্ট করতে খরচ কত হবে সে সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সর্বশেষ আপডেট করার তথ্য অনুযায়ী বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সর্বশেষ সংরক্ষিত পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য যে টাকা পয়সার হিসাব রয়েছে, তার হিসাব সমীকরণ দেখে নিতে চান, তাহলে এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।

আপনি হয়তো এই সম্পর্কে অবগত আছেন যে আপনি যদি পাসপোর্ট তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার প্রয়োজন অনুসারে ৩ টি ক্যাটাগরির পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন।

এর মধ্যে থেকে একটা হল সাধারণ পাসপোর্ট এবং তারপরে তা হল জরুরী পাসপোর্ট এবং এর পরেরটা হল অতি জরুরী পাসপোর্ট।

ঠিক একইরকমভাবে আপনি যদি ৫ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে ভিন্ন দুটি ক্যাটাগরির পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন এর মধ্যে থেকে একটি হল ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এবং তারপর এটি হল ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট।

এবার আপনি যদি এই দুইটি ক্যাটাগরির জন্য ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করেন তাহলে পাঁচ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে, তার হিসাব নিচে থেকে দেখা নিতে পারেন।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করে ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতের পাওয়া পর্যন্ত করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন এই লিখাটিতে। দালাল ছাড়া ই পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগে জানতে পারবেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা “দালাল ছাড়া” পাসপোর্ট করা যায় না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ই পাসপোর্ট আবেদন করার পদ্ধতি আমার নিজের পাসপোর্ট আবেদনের অভিজ্ঞতা আলোকে ধাপে ধাপে বর্ণনা করতে চলেছি।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পেতে কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়েছে এবং কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, আপনারা কিভাবে সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন এ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থাকবে।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক

অনলাইনে এই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য epassport gov bd ভিজিট করে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন করুন, পরবর্তী ধাপে একটি email ID প্রদান করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।

পাসপোর্ট আবেদন করার বিষয়টি একটু লম্বা এবং জটিল প্রক্রিয়া। আবেদন করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে অনুসরণ করলে যে কেউ ঘরে বসে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলতে পারবে। আবেদন করার প্রক্রিয়াটি জানার আগে চলুন জেনে নেই ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।

ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর পাসপোর্ট এর ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়। তখন সাথে করে প্রয়োজনে কিছু ডকুমেন্ট নিতে হয়।

পাসপোর্ট আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র / ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় পরিচয় পত্র, Application Summery এবং নাগরিক সনদ। অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে এনআইডি কার্ডের বিপরীতে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে পিতা-মাতার আইডি কার্ডের কপি বাধ্যতামূলক।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে দেখে নিন– আমাদের  অজ্ঞতা এবং অসচেতনতা কারণে নতুন পাসপোর্ট করতে দালালের শরণাপন্ন হয়ে নানানভাবে প্রতারিত হতে হয়। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে, খুব অল্প টাকায় নিজেরই পাসওয়ার্ডটি বানিয়ে ফেলা যায়।

নিজে নিজে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২৩ এবং  পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে দেখে নিন | এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। পাসপোর্টের সরকার নির্ধারিত ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে দালাল চক্রের প্রতারণা হতে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করার সেবা চালু রয়েছে। যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক চাইলেই পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ অথবা নতুন পাসপোর্ট তৈরির জন্য আবেদন করতে পারবে। নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি এবং পাসপোর্ট রিনিউয়াল ফি একই।

ডেলিভারির ধরন, পাসপোর্টের মেয়াদ, এবং পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠের উপর নির্ভর করে পাসপোর্ট ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট রেগুলার ডেলিভারিতে করতে অনেক কম টাকা খরচ হবে আবার ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে করতে খরচ বেশি।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে – বাংলাদেশী পাসপোর্ট চার ধরনের হয়ে থাকে। পাসপোর্ট এর মেয়াদের উপর ভিত্তি করে দুই ধরনের ই পাসপোর্ট দেখা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যার দিকে লক্ষ্য করলে আরো দুই ধরনের পাসপোর্ট দেখা যায়।

পাসপোর্ট এর মেয়াদ এবং পৃষ্ঠা সংখ্যার উপর নির্ভর করে পাসপোর্ট ফি নির্ধারিত হয়। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে এ বিষয়টি পাসপোর্ট এর ধরন ছাড়াও ডেলিভারির ধরনের উপরও নির্ভরশীল।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে– ১০ বছর মেয়াদে ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট Regular ডেলিভারিতে করতে ৫৭৫০ টাকা খরচ হয় ও Express ডেলিভারিতে নিতে হলে ৮০৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। এবং ৫ বছর মেয়াদে ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট Regular ডেলিভারিতে করতে ৪০২৫ টাকা খরচ হয় ও Express ডেলিভারিতে ৬৩২৫ টাকা দিতে করতে হয়

এরকমভাবে পাসপোর্ট এর মেয়াদ, পৃষ্ঠা সংখ্যা ও ডেলিভারির ধরন অনুসারে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে সর্বোচ্চ ১৩৮০০ ঢাকা থেকে সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে : যখন আপনি এক দেশ থেকে অন্য আরেক টি দেশে যেতে চাইবেন। তখন সর্ব প্রথম আপনাকে পাসপোর্ট করতে হবে। তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত এখন পর্যন্ত জানেনা যে, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। কারণ যখন আপনি পাসপোর্ট করতে যাবেন।

তখন আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর আপনি যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই ডকুমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে পারবেন না। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কোন প্রকার পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আর সে কারণেই সেই সময় আমরা জানতে চাই যে, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।

মূলত আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে সে বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। তবে আজকে শুধু মাত্র পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সে বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।


বিষয় টি এমন নয়, বরং এর পাশাপাশি আপনি পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। যেমন নতুন পাসপোর্ট বয়স ভিত্তিক কি কি ডকুমেন্টস দিতে হয়। এর পাশাপাশি ই- পাসপোর্ট ফরম পূরণের নিদর্শণাবলী গুলো কি কি। এবং সবশেষে আপনাকে পাসপোর্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব।

তো আপনি যদি এ যাবতীয় তথ্য গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চেষ্টা করুন আজকের আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার। যাতে করে আপনার পাসপোর্ট সম্পর্কিত কোন কিছু অজানা না থাকে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক।

বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকলেই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের NID Card আছে তারা ভোটার আইডি ব্যবহার করে আর যাদের নেই তারা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়েই অনলাইনে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে।

পাসপোর্ট আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে অনলাইনে আবেদন নির্ভুলভাবে করা সত্ত্বেও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ই পাসপোর্টের আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকলে আবেদন গ্রহণ করে না।

প্রাপ্তবয়স্কদের ই পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক (২০ বছরের নিচে) পাসপোর্ট আবেদনের জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। যারা এখনো আইডি কার্ড হাতে পাননি তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে আবেদন করতে পারবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের ই পাসপোর্ট করতে GO অথবা NOC প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টস গুলোর সাথে নাগরিকত্ব সনদ অথবা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সেই সাথে পেশাজীবী প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

হারানো কিংবা চুরি হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট ইস্যু আবেদন করতে আবেদনের সাথে পাসপোর্ট হারানো GD copy দাখিল করতে হয়। আপনার পাসপোর্টে যে থানার অধীনে চুরি হয়েছে বা হারিয়ে গেছে সেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিখে তা সংরক্ষণ করুন।

ই পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে পাসপোর্ট ফি পেমেন্ট করা। পেমেন্ট মাধ্যমিক হিসেবে অফলাইন বাছাই করলে ব্যাংকের মাধ্যমে ই পাসপোর্টটি পরিশোধ করতে হবে। ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা হয়ে গেলে ব্যাংক থেকে পেমেন্ট স্লিপ দেওয়া হবে। এটি আবেদনের ডকুমেন্টের সাথে যুক্ত করুন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ

ই-পাসপোর্টের বিতরণ কার্যক্রম আজ বুধবার শুরু হচ্ছে। আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।

 ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পাতার। ই- পাসপোর্টের রয়েছে তিনটি ধরণ। অতি জরুরি, জরুরি ও সাধারণ। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি ভিন্ন ভিন্ন হারে জমা দিতে হবে।

৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা এবং সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৩,৫০০ টাকা।

১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,০০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা। 

৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ১০,৫০০ টাকা।

১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা। ৬৪ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা। ৬৪ পাতার অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ১২,০০০ টাকা।

ফি’র সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট জমা দিতে হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। ১৮ বছরের কম আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন