বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা ২০২৪
2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা প্রথম ৬ মাসের জন্য, বুকের দুধ বা ফর্মুলা (যদি মায়ের দুধ না পেয়ে থাকে) হল একমাত্র খাবার যা একটি নবজাতকের সকল পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। এরপরে শিশুর অন্যান্য খাবার খাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে একটু করে শক্ত খাবার শুরু করাতে হবে। ৪ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
একটি শিশুর বেড়ে উঠা এবং পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য সঠিক মাত্রা ও সুষম খাদ্য গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের দৈহিক পুষ্টির চাহিদা এবং খাদ্যতালিকাও এক নয়। বয়স অনুযায়ী তৈরি করতে হবে শিশুর সঠিক খাদ্যতালিকা।
বয়স অনুযায়ী শিশুর খাবার তালিকা ২০২৪
শিশুর বয়স ছয় মাস হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হয়। কিন্তু কোন বয়সে শিশুকে কখন কতটুকু খাবার দিতে হবে, এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা অনেকের মধ্যেই কম।
বেশির ভাগ মা মনে করেন, শিশুকে বেশি বেশি খাবার খাওয়ালে তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশ দ্রুত হবে। কিন্তু নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়ালে অনেক সময়ই খাবার খাওয়ার উপকারিতা থেকে শিশুরা বঞ্চিত হতে পারে।
আরো পড়ুন: সুন্দর ফেসবুক পেজের নাম ২০২৪
তা ছাড়া একেক বয়সী শিশুদের একেক পরিমাপের খাবার দেওয়া প্রয়োজন। তাই শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য নিয়ম মেনে পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের খাবার খাওয়াতে সাধারণত তেমন কোনো বেগ পোহাতে হয় না। কেননা এই বয়সী শিশুরা কথা বলতে শিখে যায়। পাঁচ বছর বয়স থেকে শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করে। এই বয়স থেকে শিশুর বৃদ্ধি দ্রুত ঘটতে থাকে।
খেলাধুলা ও বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির কারণে তাদের বেশি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। ছয় থেকে ১২ বছর বয়সীদের খাবারে সবচেয়ে বেশি দরকার প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট। ভাত, রুটি, নুডলস, আলুজাতীয় খাবারে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।
৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা
প্রি-স্কুলার এবং ছোট বাচ্চারা প্রায়শই কিছু খাবারের প্রতি ভালবাসা এবং অন্যগুলোর প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে, তাই আপনাকে তা খুঁজে বের করতে হবে। যদিও তাদের পেট ছোট তবে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে এবং প্রতি ১০ মিনিটে স্ন্যাকস চাওয়া থেকে বিরত রাখতে তাদের খাওয়ানোর সময়সূচী বা রুটিনে সুষম বিকল্পের প্রয়োজন।
প্রচুর প্রোটিন জাতীয় খাবার রয়েছে যা আপনার তিন বছরের শিশু খেতে পারে। নিশ্চিত করুন যে সেগুলি নরম এবং ডাইস করে রান্না করা হয়েছে বা নিরাপদ উপায়ে পরিবেশন করা হয়েছে।
- মিটবল
- ডিম
- চিকেন
- মাছ
- চিনাবাদাম মাখন বা বাদাম/বীজ মাখন (একটি ক্র্যাকার বা রুটিতে ছড়িয়ে, বা কিছুতে মিশ্রিত করে দিতে পারেন)
- দই বা আপেল সসের মতো অন্যান্য খাবারে বাদাম বা বীজ মেশানো
- মটরশুটি
- দুগ্ধজাত: দুধ, পনির, দই
- মসুর ডাল
- হিউমাস
- মেষশাবক
- গরুর মাংস
2 বছরের শিশুর খাবার তালিকা
সব মা বাবারাই জানেন ২ থেকে ৩ বছরের শিশুরা খাবার ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে ও অধৈর্য্যশীল হয়। মায়েরা চায় তার শিশুকে দিনভর পুষ্টিযুক্ত খাবার দিতে। কিন্তু আপনার ছোট্টো খুদে কে খাওয়ানো খুবই কস্টকর হয়ে ওঠে কারণ এই বয়সের বাচ্চারা অনেক কিছুই সহজে খেতে চায়না।
খাওয়ার চেয়ে খেলাধুলোতে মন বেশী। খেলাধুলো অবশ্যই জরুরু কিন্তু তার সাথে সাথে বাড়ন্ত বাচ্চার সঠিক পুষ্টিও খুব জরুরি। এই ২ টি ৩ বছর বয়সের মধ্যে অনেক বেবিরা প্লে স্কুলেও যেতে শুরু করে। এই সময় বুদ্ধির বিকাশ খুব দ্রুত হতে থাকে।
আরো পড়ুন: স্টাইলিশ ফেসবুক পেজের নাম ২০২৪
বুদ্ধির সাথে সাথে শারীরিক বিকাশও বৃদ্ধি প্রায়। এখন আপনার বেবির ওজন তার জন্মের ওজনের প্রায় ৪ গুন বৃদ্ধি পায়। তাই বুদ্ধির সঠিক বিকাশের জন্য সব ধরনের পুষ্টিযুক্ত ও বিভিন্ন ভ্যারাইটির খাওয়ার খাওয়ানোর প্রয়োজন।
শিশুর পাকস্থলী হয় খুবই ছোটো,তাই একসাথে অনেকটা খাওয়াবেন না। শিশুরা এই সময় সারাদিন খেলাধুলো ,দৌড়োনো এই সব নিয়েই ব্যাস্ত থাকে,ফলে তার প্রয়োজন হয় হাই এনার্জি।
শিশুর এই হাই এনার্জির যোগান দিতে শিশুকে সারাদিনে বারে বারে অল্প অল্প খাওয়ান। ২ থেকে ৩ বছরের শিশুরা দিনে অন্তত ৫ বার খায়। ৩ টে মেন বা প্রধান খাদ্য (Breakfast , Lunch, Dinner ) ও ২ টো স্ন্যাক (Morning snack and Evening Snack ) ।
আশাকরি আপনার বেবি এতদিনে মোটামুটি আকারে ইঙ্গিতে,বা মাথা নেড়ে বোঝাতে পারে যে সে আর খাবেন ,মানে তার পেট ভোরে গেছে।এই বয়সে বাচ্চাদের পেট একটু খেলেই ভোরে যায়। তাই তার ক্ষিদের দিকে খেয়াল রাখুন। বাচ্চার খিদে না থাকলে জোর করে একসাথে অনেকটা খাওয়াবেন না।
যদিও এই বয়সের বাচ্চারা পেট ভোরে গেলে আর খেতে চায়না। কিন্তু এখনকার নতুন রিসার্চে দেখা গেছে যে বেশি মাত্রায় নুন ,চিনি ও উচ্চ ফ্যাট যুক্ত বা তেল যুক্ত খাবার দিলে বাচ্চারা প্রয়োজনের থেকে বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলতে পারে অর্থাৎ ওভারইট (Over-eat) করতে পারে। যা আপনার ছোট বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ঠিক নয়(আড়াই বছরের শিশুর খাবার তালিকা)।
৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ শিশুদেরকে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের জন্য পুষ্টিকর ও শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে। খাবারের তালিকায় শিশুদের জন্য সেরা খাবারের বৈচিত্র্য থাকতে হবে।
যা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে এবং বিভিন্ন স্বাদের খাবারের সাথে পরিচিত হতে সাহায্য করবে। যেহেতু শিশুদের ইমিউনি সিস্টেম এখনও বিকাশ করছে এবং তাদের সুস্থ্য শরীর বৃদ্ধির জন্য সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে।
আরো পড়ুন: রোমান্টিক ক্যাপশন স্মার্ট ২০২৪
আপনার পাঁচ মাসের শিশুর শরীরের জন্য সেরা পুষ্টিকর ও বিশেষ খাবারের একটি তালিকা তৈরী করেছি যা আপনার অনেক উপকারে আসবে।
আপনার শিশুর ৫ মাসের শুরুতে শিশুটিকে কঠিন খাবার দেওয়ার উপযুক্ত সময়। প্রথমে আপনার শিশুটিকে অল্প অল্প করে খাবার দিন শিশুটি যতটুকু সে খেতে পারে এবং পরে আস্তে আস্তে খাবারের পরিমান বাড়াতে পারেন।
আবার জোর করে শিশুটিকে তার খাবারের অধিক পরিমানে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না, তাহলে শিশুর শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই শিশুকে পরিমানমত খাবার দিন।
শিশুকে খাবার খাওয়ানোর পদ্ধতি সঠিকভাবে পালন করা উচিত। কারন এটি অনেক গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। পাঁচ মাসের শিশুর জন্য সেরা কিছু খাবার নিচে দেয়া হল ।
- ডিম
- কলা
- আপেল
- ব্রকলি
- মিষ্টি আলু
- দই
- অ্যাভোকাডো
- স্কোয়াশ
- সবুজ মটরশুটি
আপনার ৫মাসের শিশুর শরীরের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরেকটি পুষ্টিকর খাবার হলো পাতলা খিচুড়ি। এই খিচুড়ি বিভিন্ন সবজি ও ডাল দিয়ে তৈরী করা যেতে পারে। যা আপনার শিশুর জন্য বেশ উপকারী। যেমন : ডালের মধ্যে মুগ ডাল, মুসর ডাল ও বুটের ডাল বেশ উপকারী শিশুদের জন্য।
আবার সবজির মধ্যে আলু, গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ব্রকলি এছাড়াও অন্যান্য সবজি দিয়ে খিচুড়ি তৈরী করতে পারেন।এই পাতলা খিচুড়ি আপনার শিশুকে অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। আপনাকে ৫ মাসের শিশুর শরীর সুস্থ্য রাখতে ও শরীর বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর পাতলা খিচুড়ির প্রয়োজন রয়েছে।
তাহলে আমরা এতক্ষণ জানলাম ৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা বা পাঁচ মাস শিশুর পুষ্টিকর খাবার তালিকা সম্পর্কে । এই ৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা বা পাঁচ মাস শিশুর পুষ্টিকর খাবার তালিকা যা আপনার শিশুর খাবার তালিকা তৈরি করতে আপনকে সাহায্য করবে।
৩ বছরের শিশুর খাবার তালিকা
সন্তানকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে তাকে প্রতিদিন ফল খাওয়াতেই হবে। আসলে আমাদের পরিচিত সব ফলে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই রোজ অন্তত একটা ফল খেলেই যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
শুধু তাই নয়, এই সব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই তো ছোট্ট সোনার ভালো চাইলে তাকে রোজ একটা ফল খাওয়াতেই হবে। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
সন্তানকে একদম ছোটবেলাতেই বিভিন্ন শাক ও সবজির স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু তার বিকাশের পথে আর কোনও বাধা থাকবে না।
কারণ, যে কোনও মরশুমি শাক ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই রোজের পাতে এইসব প্রাকৃতিক উপাদানকে জায়গা করে দিলে সন্তানের ব্রেন সহ দেহের একাধিক অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়বে। Foods For Baby:বছরের বাচ্চাকে খাওয়ান এইসব খাবার! এতেই বুদ্ধির গোড়ায় পড়বে সার, হবে সার্বিক বিকাশ! Produced Byসায়ন নস্কর |
সন্তানের বয়স ৩-এর গণ্ডি পেরলেই আপনাকে তার ডায়েটের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ এই বয়সের বাচ্চাদের শরীরে প্রতিনিয়ত গঠন ক্রিয়া চলে। তাই এই সময় দেহে পুষ্টির ঘাটতি হলে সন্তানের বৃদ্ধি ও বিকাশ থমকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আজকাল অনেক অভিভাবকই সন্তানকে সাপ্লিমেন্ট সর্বস্ব ডায়েটে অভ্যস্ত করে তোলেন। আর এই কারণেই সন্তানের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি রয়ে যায়। যার ফলস্বরূপ তারা সমবয়সিদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে।
তাই সন্তানকে যেমন সাপ্লিমেন্ট খাওয়াচ্ছেন তেমন খাওয়ান। কিন্তু সেই সঙ্গে তার পাতে জায়গা করে দিন কয়েকটি উপকারী খাবারকে। তাহলেই তার সার্বিক বৃদ্ধির পথ সুগম হবে।
ভাবছেন নিশ্চয়ই, ৩ বছর বয়সি সন্তানের পাতে ঠিক কোন কোন খাবার রাখলে তার বিকাশ হবে স্বাভাবিক গতিতে? সেই উত্তর জানতে এই প্রতিবেদনটি দ্রুত পড়ে ফেলুন। রোজ ফল খাওয়ান
আরো পড়ুন: আনকমন ফেজবুক পেজের নাম ২০২৪
সন্তানকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে তাকে প্রতিদিন ফল খাওয়াতেই হবে। আসলে আমাদের পরিচিত সব ফলে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। তাই রোজ অন্তত একটা ফল খেলেই যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
শুধু তাই নয়, এই সব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ইমিউনিটিকে চাঙ্গা রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই তো ছোট্ট সোনার ভালো চাইলে তাকে রোজ একটা ফল খাওয়াতেই হবে। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
শাক, সবজি থাকুক পাতে সন্তানকে একদম ছোটবেলাতেই বিভিন্ন শাক ও সবজির স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এই কাজটা করতে পারলেই কিন্তু তার বিকাশের পথে আর কোনও বাধা থাকবে না। কারণ, যে কোনও মরশুমি শাক ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার।
তাই রোজের পাতে এইসব প্রাকৃতিক উপাদানকে জায়গা করে দিলে সন্তানের ব্রেন সহ দেহের একাধিক অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়বে। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে হবে বাচ্চার বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে তার পাতে রাখতে হবে কিছু প্রোটিন রিচ খাবার।
এই কাজটা করতে পারলেই তার পেশির জোর বাড়বে। এমনকী চাঙ্গা হবে ইমিউনিটিও। তাই বয়সের গণ্ডি ৩ বছর পেরনোর পরই বাচ্চাকে রোজ মাছ, মাংস এবং ডিমের মতো খাবার খাওয়ান। আমিষে আপত্তি থাকলে সোয়াবিন, টোফু, পনির বা ছানা রাখুন সন্তানের পাতে। এতেই তার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মিটে যাবে।
৬ মাস শিশুর খাদ্য তালিকা
ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে একটু শাক, গাজর, ডাল, টমেটো, সামান্য তেল দিয়ে খিচড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন।তবে খিচুড়িতে মরিচ দেবেন না। এছাড়া মাছ বা মুরগির খিচুড়ি, সুজি, পায়েস, ডিমের পাতলা নরম হালুয়া, ফলের রস, সবজি সিদ্ধ করে ম্যাস করে শিশুকে সুস্বাদু খাবার বানিয়ে খাওয়াতে হবে।
মাছ-মাংস, ডিম এ সময় শিশুকে মাছ-মাংস, ডিম বা ডিমের তৈরি খাবার, দুধের তৈরি খাবার খাওয়াতে পারেন। ডিম ও দুধ শিশুর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। এছাড়া মাছ ও মাংস খাওয়ানো যেতে পারে। কলা, বেদেনা, আঙুর ও আপেল
ফলের মধ্যে কলা দিয়ে প্রথম খাওয়ানো শুরু করতে পারেন। পরে বেদেনা, আঙুর ও আপেল জাতীয় ফলগুলো রস করে খাওয়ানো যেতে পারে। পাকা পেঁপে ও কাঁচা পেঁপে শিশুকে পাকা পেঁপে ও কাঁচা পেঁপে খাওয়ানো যেতে পারে। পাকা পেঁপের রস করে আর কাঁচা পেঁপে সিদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন।
চালের সুজি শিশুদের সামান্য দুধ নিয়ে চালের সুজি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। সুজি অনেকেটা ভাতের কাজ করে। যা আপনার শিশুর শক্তি জোগাবে। আলু, দুধ, বাদাম শিশুকে আলু সিদ্ধ করে তার সঙ্গে দুধ ও বাদাম মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এটা শরীরের ভালো কাজ করে।
শিশুর শক্তি জোগাতে, সুঠাম দেহ গঠনে, দেহের ক্ষয়পূরণে, মেধা বিকাশে এবং শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে খাবার। তাই ৬ মাস বয়স থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দিন।
৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
ফল ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলির একটি চমৎকার উত্স। আপেল, কলা, পেঁপে, সবেদা ইত্যাদি নিয়মিত ফল ছাড়াও আপনি কিউই, স্ট্রবেরি, ডালিম ইত্যাদি কিছু ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । লম্বা কিউব আকারে কাটা ফলগুলি শিশুদের জন্য চমৎকার ফিঙ্গার ফুড তৈরি করে ।
আট মাস বয়সে, আপনার বাচ্চা বিভিন্ন সবজির পিউরির বদলে ছোট্ট ছোট্ট কিউব আকারে কাটা সিদ্ধ সবজি চিবোতে শুরু করে । বাচ্চাদের খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি খিচুড়িতে বা এক বাটি সিদ্ধ করে সংযোজন করা যায় । ফুলকপি, ব্রোকলি, শতমূলী, সবুজ মটরশুটি, কুমড়োর মতো সবজি ধীরে ধীরে খাবারের মধ্যে চালু করা যেতে পারে ।
আরো পড়ুন: শিক্ষামূলক পেজের ৫০০ টি ইউনিক নাম ২০২৪
মাছ একটি খুব পুষ্টিকর খাবার, যা শিশুদেরকে আট মাস বয়সে ছোট টুকরো করে দেওয়া যেতে পারে । টুনা, সালমন, রোহু ইত্যাদি মাছগুলি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা শিশুদের বৃদ্ধির ও বিকাশের জন্য খুব ভালো । শিশুদেরকে পিউরি বা স্যুপ হিসাবে মাছ দেওয়া যেতে পারে ।
টোফু বা পনির যথাক্রমে সোয়া দুধ এবং গরুর দুধ থেকে তৈরি করা হয় । এগুলি প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং শিশুদের বিকাশের জন্য খুব ভালো । ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার কারণে পনিরের জন্য অ্যালার্জি আছে এমন শিশুদের ক্ষেত্রে টোফু ব্যবহার করা যেতে পারে ।
৪ মাসের শিশুর খাবার তালিকা
বেশিরভাগ বাচ্চা চার মাস হওয়া পর্যন্ত মায়ের দুধ, বোতলের দুধ বা দুটি মিশিয়ে খেয়ে থাকে। প্রতি ৩-৪ ঘন্টায় তারা ৪ থেকে ৬ আউন্স দুধ খায়। পর্যাপ্ত পুষ্টি শিশু পাচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে ওর ডায়াপার কিছুক্ষন পর পর দেখুন।
কমপক্ষে দিনে পাঁচ ছয় বার ডায়াপার ভিজে যাওয়া উচিত। দুধ চুষে খাওয়ার সময় যদি আপনার শিশু টিক টিক আওয়াজ করে, তার স্বাস নিতে কষ্ট হয়, বমি করে অথবা বেশি বার থুতু বের করে, আপনার তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত।
আপনার শিশু কতবার মায়ের দুধ খাবে, তা অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে যেহেতু শিশুর চার মাস বয়স হয়ে গেলে সে রাত্রে বেশিক্ষন ঘুমাবে আর কিছুক্ষণ পর পর অল্প অল্প ঘুমাবে আর সেটা শিশুর বিকাশের একটি অংশ। বৃদ্ধির সময় অথবা যখন শরীর খারাপ থাকবে তখন হয়তো শিশু বেশিবার মায়ের দুধ খেতে চাইবে।
ডাক্তাররা ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বাচ্চাকে শক্ত খাবার দিতে বলেন যদিও বাচ্চা তখনও মায়ের দুধ বা ফর্মুলা দুধের ওপরেই তার বৃদ্ধির জন্য নির্ভরশীল থাকে। যদিও কোনো কিছু নতুন করার আগে আপনার ডাক্তারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।
ডঃ গারবির মতে, সবকিছু ঠিক থাকলে এমন নরম খাবার খাওয়ানো উচিত যে যাতে শিশু মাড়ি দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারে। এক এক করে খাবার শুরু করার সময় এলার্জি হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখুন।
বাবা মায়েদের বেশিরভাগ সময় শক্ত খাবার শুরু করার আগে ডাক্তারেরা শিশুর সিগনালের অপেক্ষা করতে বলেন যাকে বলে বেবি-লেড ফিডিং। খুব বেশি তাড়াতাড়ি শক্ত খাবার দেবেন না কারণ প্রত্যেক শিশু আলাদা। কোনো কোনো শিশু হয়তো চার মাসেই শক্ত খাবার খেয়ে নেবে কিন্তু অনেক শিশু ছয় মাসের আগে খেতে পারবে না।