পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন
পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন পাসপোর্ট করার পরে অনেক সময় আমাদের অজান্তেই পাসপোর্টের মধ্য কোনো না কোনো ভুল হয়ে থাকে। তখন আমাদের পাসপোর্ট আবার ভুল সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে। পাসপোর্ট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে
পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের সুযোগ রেখে নতুন একটি পরিপত্র জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন
পাসপোর্টে প্রদন্ত তথ্য সংশোধনপূর্বক দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যু এর আবেদনসমুহ নিস্পত্তিকরণ। তথ্য সংশোধনপূর্বক দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট রি-ইস্যু এর আবেদনসমুহ নিস্পত্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা নিমরূপ
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে।
তবে,অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বিবেচনা করতে হবে; প্রয়োজনে জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত ‘বিশ্বিদ্যালয় ও সমমান-এর যে কোন একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
সংশোধনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদন করতে হবে।আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটসংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অন্দীকারনামাযথাযথভাবে পুরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ২৮/০৪/২০২১, ০৯/১২/২০২১ এবং ০৩/১১/২০২২ তারিখে জারীকৃত এতদসংক্রানত’ পরিপত্রসমুহ এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকদ্বয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, ই-পাসপোর্টের Personal Data and Emergency Contact page -4 Spouse শব্দটিকে Legal Guardian শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন, QR Code অপসারণ এবং Address অংশে
দুই লাইনের পরিবর্তে তিন লাইন সংযোজনের (প্রতি লাইনে ৪৮ ক্যারেক্টার) প্রযোজ্য সংশোধনীর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে; যা ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কার্যকর হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে এনরোলমেন্ট সম্পন্নকারী আবেদনকারীগণের Delivery Skip এ SPOUSE NAME উল্লেখ থাকলেও ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পার্সোনালাইজেশনকৃত ই-পাসপোর্টের Personal Data and Emergency Contact Page এ Spouse Name এর পরিবর্তে Legal Guardian’s Name অপশনটি থাকবে।
ই-পাসপোর্টে Legal Guardian অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে নিয়ে উল্লিখিত কাগজপত্রাদি গ্রহণপূর্বক আবশ্যিকভাবে স্ক্যান করতে হবে। ক) সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে Legal Guardian – এর অনাপত্তি সনদ (NOC) খ) Legal Guardian এর জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্টের কপি।
পাসপোর্ট বয়স সংশোধন ফি ২০২৪
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারেই পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন। জানুন পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম, কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন করবেন। এই ব্লগে পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগবে, কিভাবে আবেদন করবেন এবং পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাসপোর্ট সংশোধন বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করেছে। এই নোটিশের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট সংশোধন করার সম্পূর্ণ নিয়মকানুন স্পষ্ঠ করেছে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
আপনারা যারা পাসপোর্ট সংশোধন করবেন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করবেন তাদের এই প্রজ্ঞাপন এবং পাসপোর্ট সংশোধনের সর্বশেষ নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত। আসুন প্রথমেই জানি পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ নোটিশে কি বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে।
তবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। বিশেষ প্রয়োজনে জেএসসি/জেডিসি/ এসএসসি/ দাখিল/ কারিগরি/ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের যে কোন একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে।
পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট/ সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে।
NID Card অনুযায়ী পাসপোর্ট এর জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হবে। সংশোধনের স্বপক্ষে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে জেএসসি/জেডিসি/ এসএসসি/এইচএসসি/ দাখিল/কারিগরি/ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমান পরীক্ষার সনদপত্র প্রয়োজন হতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন সনদ বিবেচনা করা হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে
আর আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে রেগুলার পাসপোর্টের মতোই সময় লাগবে। নিয়মিত ১৫ থেকে ২১ দিন, জরুরি ৫ থেকে ৭ দিন এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ কর্ম দিবসের মধ্যে দেয়া হয়।
আপনার পাসপোর্টে ভুল তথ্য আসলে সে ভুল তথ্য দেয়া পাসপোর্ট দেখিয়ে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে। ভুল সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট https://www.epassport.gov.bd ঠিকানায় পাসপোর্ট রিনিউ করার সুযোগ রয়েছে। ভুল তথ্যের পাসপোর্টটি তৈরি করতে আপনাকে যতগুলো ধাপ পার হতে হয়েছে, এখন পাসপোর্ট সংশোধনীর জন্যও ঠিক ততগুলোই ধাপ আপনাকে পার হতে হবে। এ ছাড়া পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আপনার মোট যে কয়টি ডকুমেন্ট লাগতে পারে সেগুলো হলো
আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন
আপনার তথ্য যাচাইয়ের জন্য লাগবে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কপি। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য পাসপোর্ট অফিসে একটি লিখিত আবেদন। একটি অঙ্গীকারনামা। এই প্রক্রিয়া আপনি পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সরাসরি করতে পারেন।
পুরাতন পাসপোর্টের কপি। বিদেশে দূতাবাসে আবেদন করা হলে– পার্মানেন্ট রেসিডেন্স কার্ড/ জব আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি। নাগরিক কপি, পেশা প্রমাণের কপি, বৈবাহিক অবস্থার কপি, রি ইস্যু ফরম এবং পেমেন্ট স্লিপ।
এসব কপির মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। আপনার আবেদনের পর পাসপোর্ট অফিস প্রদত্ত তথ্য যাচাই করবে। মূলত নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা ও ঠিকানার নাম পাসপোর্টে সংশোধন করতে হলে তথ্য পরিবর্তন অনুযায়ী ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।
পাসপোর্ট বয়স সংশোধন করার নিয়ম
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে বা পাসপোর্ট সংশোধন ফি কত টাকা এবং পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জানুন।
পাসপোর্ট করার পরে অনেক সময় আমাদের অজান্তেই পাসপোর্টের মধ্য কোনো না কোনো ভুল হয়ে থাকে। তখন আমাদের পাসপোর্ট আবার ভুল সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে।
আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন পাসপোর্ট সংশোধন করতে অনেক ঝামেলা এবং অতিরিক্ত টাকা লাগে। এ কারণে অনেক পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাই না।
আসলে পাসপোর্ট সংশোধন করতে কোনো ঝামেলা নেই এবং অতিরিক্ত কোনো টাকা লাগবে না। পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে পাসপোর্টটির রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে মনে রাখবেন পুরাতন পাসপোর্টে বিদ্যমান নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও বহিরাগমন এই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
কেউ যদি পাসপোর্টের পেশা পরিবর্তন করতে চাই, তাহলে কর্মক্ষেত্রের প্রত্যয়নপত্র এবং প্রতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রতিবেদন লাগবে। তবে, বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে এমন কোনো নিয়ম নেই।
বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে আবেদনের সাথে নিকাহানামা জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধন করতে নতুন পাসপোর্ট ফি ভ্যাট সহ সর্বনিন্ম ৪,০২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩,৮০০ টাকা লাগে। মনে রাখবেন পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আলাদা ভাবে কোনো ফি বা টাকা লাগে না। আপনি শুধুমাত্র পাসপোর্ট ফি প্রদান করবেন।
পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ।
হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে। নিয়ম হচ্ছে যিনি হলফনামাটি করলেন তিনি নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার হলফনামাটি সম্পর্কে সত্যপাঠ করবেন।
তখন নোটারি পাবলিক বা ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামাটি যাচাই-বাছাই করে এর ওপর স্বাক্ষর দেবেন এবং একটি বিশেষ সরকারি সিল ব্যবহার করে এতে ক্রমিক নম্বর বসাবেন। হলফনামাটির একটি ফটোকপি তিনি রেখে দেবেন। সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্য্ই সংশোধনের স্বপক্ষে যথাযথ প্রমানাদি দেখাতে হয় এবং ফটোকপি জমা দিতে হয়।
তবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। অর্থাৎ হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) তা প্রথমে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে এবং নোটারির সত্যায়নটি আবার প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। যাকে বলা হয় কাউন্টার সাইন।
তবে, যে সব ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হইতে এফিডেভিট করার বাধ্যতামূলক নিয়ম না থাকলে আপনি আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে নোটারীর মাধ্যমেও করতে পারেন।
এফিডেভিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে একজন আইনজীবীর সহযোগিতা নেওয়া উত্তম। এবং এফিডেভিট নোটারীকৃত করার ক্ষেত্রে আইনজীবী কর্তৃক সত্যায়ন ও স্বা্ক্ষরও লাগে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে পাসপোর্টের তথ্যের গরমিল থাকলে সংশোধনের আবেদন করে E passport correction করতে পারবেন। পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম, কি কি লাগে, কত টাকা লাগে ও অনলাইনে আবেদন করার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এই লেখাতে।
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে তথ্য সংশোধন ফরম ও অঙ্গীকারনামা পূরণ করে সংশোধনের প্রমাণপত্র হিসেবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিয়ে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ কর্তৃক ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ পরিপত্র আনুসারে NID Card/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন/ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়ে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করা যায়। পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ধারাবাহিকভাবে নিচে তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে একটি নোটিশ প্রকাশ করেছে। এই ঘোষণায় দেশে ও বিদেশে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের জন্য স্পষ্ঠ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এরইসাথে এ সম্পর্কিত পূর্ব নির্দেশিকা গুলো বাতিল করা হয়েছে। পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের এই নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল থাকলে ভোটার আইডি কার্ডের প্রদত্ত তথ্য- নিজের নাম, পিতা মাতার নাম এবং বয়স আনুসারে পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তন করে রিইস্যু করতে পারবে।
যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুসারে তথ্য সংশোধন করতে পারবে। বিশেষ প্রয়োজনে JSC/ JDC/ SSC/ দাখিল/ কারিগরি/ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের যে কোন একটি সার্টিফিকেট দেখাতে পারবে।
পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।
E passport correction করার জন্য epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করুন। তারপর সাইন ইন করে ‘Apply for a new passport’ অপশনে যান। আবেদন ফরমে ব্যক্তিগত, পিতা মাতার তথ্য, ID Documents অপশনে আপনার পুরাতন পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে, জরুরী যোগাযোগ, পাসপোর্টের মেয়াদ, ডেলিভারির ধরন ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করুন।
এবার অনলাইনে বা এ চালানের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন। নিকটস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। পরবর্তীতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সংশোধিত বা নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম
পাসপোর্ট নবায়ন এর জন্য এই ফরমটি পূরণ করে বর্তমান পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ সংযুক্ত করতে হবে এবং মূল পাসপোর্টটি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। তথ্য পরিবর্তন/সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমানপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
সরকারি, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাষিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও সরকারি চাকুরীজীবির স্বামী/স্ত্রী, এবং সরকারি চাকুরীজীবির নির্ভরশীল ১৫ (পনের) বৎসরের কম বয়সী সন্তান সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অনাপত্তি সনদ (NOC) ওয়েব সাইটে আপলোড পূর্বক দাখিল করতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি ও তাদের স্বামী/স্ত্রী সাধারণ ফি জমা করে জরুরি সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে অবসরের সনদ জমা দিতে হবে। বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রি-ইস্যুর আবেদনের জন্য নিন্মরূপ কাগজপত্র প্রয়োজন।