বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৪

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২টি দেশে ভিসা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক কাগজপত্র সাথে নিয়ে দূতাবাসে ইন্টারভিউ পর্যন্ত যাওয়া রীতিমত খাঁড়া পাহাড় বেড়ে চূড়ায় উঠার মত। ভিসা পাওয়ার এই ধকল সামলাতে যেয়ে মাঝপথে অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলেন। ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ২০২৪

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২টি দেশে

২০২৪ সালে বাংলাদেশিরা ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে: নানা দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসা-মুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের পূর্ব থেকে কোন ধরনের ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়২০২৪

১৮ জুলাই বিশ্বের পাসপোর্টগুলোর র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭তম। গত জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। বিশ্বে ভিসামুক্ত চলাচল স্বাধীনতার ওপর গবেষণা করে এ সূচক প্রকাশ করে তারা।

সাম্প্রতিক এ সূচকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা এখন আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪০টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন। এ তালিকায় ছয়টি এশিয়ার দেশ আছে। এ ছাড়া আছে আমেরিকার একটি, আফ্রিকার ১৫টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৭টি দেশ ও অঞ্চল। 

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪

এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে (এক তারকা চিহ্নিত) অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে নিতে হবে ই-ভিসা। একটি দেশের পাসপোর্ট দেখিয়ে কতটি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিংটি তৈরি করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি হলেও বাংলাদেশকে ‘ভিসা ফ্রি’ সুবিধা দেয়া দেশের সংখ্যা একই রয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায়। এশিয়ায় এ সুবিধা দেয় ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা ও পূর্ব তিমুর। 

এছাড়াও আফ্রিকার ১৬টি, ওশেনিয়া অঞ্চলের ৭টি ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১২টি দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ভিসা ফ্রি’ সুবিধা মেলে।

বাংলাদেশ সম্প্রতি ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ই-পাসপোর্টের প্রচলনের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান 

আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে। অন্যদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বন্দরের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আরও অনেক সহজ হবে।

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, পাসপোর্টের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে নাগরিকত্বের মূল্যায়নই করা হয়। এই র‌্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জানা যায়- আপনার দেশ সম্পর্কে বা আপনার পাসপোর্ট সম্পর্কে তাদের মূল্যায়নটা কী। পাসপোর্টের এ র‌্যাংকিংটা দেশের অর্থনীতি, শাসন ব্যবস্থা ও দেশের মানুষের অবস্থাসহ অনেক বিষয় বিবেচনা করে তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, কোন দেশের পাসপোর্টের দাম বেশি বা কম, সে বিষয়ে কিছু স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়ে র‌্যাংকিংটা করা হয়। কোন দেশের পাসপোর্টের মূল্য কত, তা নির্ভর করে ওই পাসপোর্টের কী গুণাগুণ রয়েছে তার ওপর। 

যেমন মনে করেন- ব্রিটিশ বা আমেরিকান পাসপোর্ট জাল করা খুব কঠিন, সে তুলনায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট জাল করা বেশ সহজ। যেই দেশগুলোর পাসপোর্টের মূল্য বেশি, মনে করা হয় যে ওই দেশগুলোর 

প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো শক্তিশালী, তাদের অর্থনীতি ভালো, তাদের গভর্ন্যান্স (শাসনপদ্ধতি) ভালো এবং বিশ্বের কাছে ওই দেশগুলোর একটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না

ভিসা ছাড়াও যে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে যাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেই আপনি কোনো ধরনের ভিসার ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ২০টি চমৎকার দেশে আর এটি অবশ্যই যেকোনো ট্রাভেলারের জন্য দারুণ সুখবর। তবে ভিসা ছাড়াই তালিকায় থাকা ৪২টি দেশের যেকোনো একটিতে যেতে হলে আপনাকে শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমনঃ 

আপনার পাসপোর্টটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে। সাধারণত, বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী পাসপোর্টটি ডেস্টিনেশন থেকে এক্সিটের তারিখ , অর্থাৎ দেশটি ছেড়ে আসার তারিখের পর থেকে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হয় এবং

আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ট্রাভেল করার আগে যে দেশে যাচ্ছেন সেটির জন্য সঠিক স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance) কিনে রাখা জরুরি। আপনি কোথায় যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে বীমার ধরন এবং মূল্য ভিন্ন হতে পারে। এশিয়া - ৬টি দেশ - ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর।

দক্ষিণ আমেরিকা - ১টি দেশ - বলিভিয়া। উত্তর আমেরিকা (ক্যারাবিয়ান অঞ্চল) - ১১ টি দেশ - বাহামাস, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপসমূহ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, ট্রিনিডাড ও টোব্যাগো।

ওশিয়ানিয়া - ৮টি দেশ - কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, কিরিবাস বা কিরিবাটি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউয়ে, সামোয়া, ভানুয়াটু, টুভালু। আফ্রিকা - ১৬টি দেশ - লেসোথো, গাম্বিয়া, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, টোগো।

বর্তমান সময়ে প্রায় সব ট্রাভেলারদের মধ্যেই ই-ভিসা বেশ পরিচিত। ই-ভিসা মূলত সাধারণ ভিসার একটি ইলেক্ট্রনিক ভার্সন । এটি একটি নিয়মিত ভিসার মতোই কাজ করে তবে নিয়মিত ভিসার তুলনায় কিছু এটির সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বেশি, কেননা ই-ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে 

এম্বাসির লম্বা লাইনে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যেই দেশে যেতে চান, সেখানের এম্বাসির পোর্টালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করলেই আপনার কাজ শেষ। 

অর্থাৎ, আপনাকে আর এম্বাসিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না বা ডকুমেন্টের কোনো হার্ড কপিও জমা দিতে হবে না। তাই বুঝতেই পারছেন, ই-ভিসা প্রক্রিয়াটি কতটা ঝামেলামুক্ত, সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী!  

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না

এখন বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪২টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। গত বছর বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারতেন ৪০টি দেশে।

আগাম ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিদের ভ্রমণের এই তালিকায় আছে এশিয়ার ৬টি দেশ। এছাড়া আছে দক্ষিণ আমেরিকার ১টি, আফ্রিকার ১৬টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৮টি দেশ ও অঞ্চল। এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়ার ক্ষেত্রে নিতে হবে ই-ভিসা।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়

ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, 

সোমালিয়া, গাম্বিয়া, টোগো, কেনিয়া, বাহামা, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ডমিনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, কুক আইল্যান্ড, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নুউয়ে, সামোয়া, টুভালু, ভানুয়াতু এবং কিরিবাতি।

বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা পাওয়া যায়

বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে অধিকাংশ মানুষ। ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। এছাড়া ইউরোপের প্রায় সব দেশেই জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত। 

আবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা প্রাপ্তি যেমন সহজ, তেমনি খরচও অনেক কম। বর্তমানে ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্রান্স, পর্তুগাল, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ইত্যাদি।

ফ্রান্স অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী একটি দেশ। ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসাও সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে খুব সহজেই কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন।

অভিবাসীদের স্বর্গ বলা হয় পর্তুগালকে। পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে সহজ। পর্তুগালে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ সহজ। এছাড়া ভ্রমণ ও পড়াশোনার জন্য সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে।

মাল্টা ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশ। ইউরোপের এই দেশে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে কাজ নিয়ে মাল্টায় যাচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসাপ্রাপ্তিও বেশ সহজ। ইউরোপের অন্যদেশগুলোর তুলনায় মাল্টায় যেতে খরচও বেশ কম।  

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

সুইজারল্যান্ডঃ আপনারা সকলেই জানেন সুইজারল্যান্ড একটি উন্নত দেশ এই দেশে একজন প্রবাসী বার্ষিক গড়ে বেতন ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৭ মার্কিন ডলার আয় করে থাকে যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় দেড় কোটি টাকা।এই হিসাবে বাংলাদেশী টাকায় এক মাসে ১২ লাখ টাকার ওপরে আয় করে যা বৈশ্বিকভাবে প্রায় দ্বিগুণ হারে আয়।

সুইডেনঃ একজন সুইডেনে বসবাসকারী প্রবাসীর বার্ষিক গড় আয় ৮৪ হাজার ৮০২ ডলার। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার পরিমান 66 লাখ 87 হাজার টাকা। ৭১ শতাংশ প্রবাসী বলেছে দেশটিতে কাজের পরিবেশ অনেক ভালো হয়ে থাকে তাই তারা এই দেশে আসতে বেশি আগ্রহী।

জার্মানিঃ প্রায় অনেক মানুষেরই স্বপ্ন হয়ে থাকে জার্মানিতে যাওয়া একজন প্রবাসী জার্মানিতে প্রতিবছর গড় আয় করে ৯৭ হাজার ৬৯৩ মার্কিন ডলার যা নিরাপত্তা দক্ষতা বৃদ্ধি ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য দেশটি ২০১৬ সালে সেরা গন্তব্যস্থলে পরিণত হয়েছে।

নরওয়ে: আপনি যদি প্রবাসী হিসেবে নরওয়েতে যেতে চান তাহলে প্রবাসীদের নরওয়েতে বার্ষিক গড় আয় ৯৭ হাজার ৪৮৬ মার্কিন ডলার এবং নরওয়েতে কাজের অবস্থা অনেক ভালো এবং সেখানকার পরিবেশ অনেক বেশি সুবিধা দিয়ে থাকে।

আরব আমিরাত: আপনি যদি মধ্য প্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরায় যেতে চান তাহলে সেখানে একজন প্রবাসীর গড় আয়ু হয়ে থাকে ১ লাখ ১২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় পরিমাণ প্রায় 89 লাখ টাকা।

সিঙ্গাপুর: যারা সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইছেন তারা একজন প্রবাসীর বার্ষিক গড় আয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪১ মার্কিন ডলার হয়ে থাকে যা একজন প্রবাসী জীবন যাপন করার জন্য খুব বেশি ইতিবাচক হয়নি। তবে তারা উন্নত জীবন যাপন করতে পৌঁছাতে না পারলেও তারা ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে পেরেছে।

হংকং: আপনি যদি হংকং এ যেতে চান তাহলে সেখানকার প্রবাসীদের বার্ষিক গড়ায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৬ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা এটি উন্নত জীবনযাপন করতে প্রায় সক্ষম।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট কপি কিভাবে অনলাইনে পেতে পারি

অস্ট্রেলিয়া: অনেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহী তবে আপনারা কি জানেন অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসীদের বার্ষিক গড় বেতন ৮৫ হাজার ২৮৮ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যাওয়ার পরিমান প্রায় ৬৭ লাখ টাকা। অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার টাকার পরিমান কম।

আপনি যদি স্বল্প খরচে বা কম টাকায় বিদেশে যেতে চান তাহলে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিতে পারেন কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়। দেশের অধিকাংশ মানুষই বিদেশে যাওয়ার জন্য ইউরোপের দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। 

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার মানুষ ইউরোপের দেশে ভ্রমণের জন্য বা কাজের উদ্দেশ্যে যায়। ইউরোপের যে একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭ টি দেশে বিনা ভিসা ভ্রমণ করতে পারবে এই জন্য সবচেয়ে বেশি ইউরোপে দেশে মানুষ যেতে চাই। 

বর্তমান ২০২৩ সালে ইউরোপের যে দেশগুলোতে ভিসা সহজে পাওয়া যায় তার মধ্যে ফ্রান্স, মাল্টা, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া ইত্যাদি।এ সকল দেশ ছাড়াও আপনি বেলজিয়াম, 

অস্ট্রেলিয়ার, ডেনমার্ক, মালটা, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড ইতালি, আইসল্যান্, হাঙ্গেরি, গ্রীস, জার্মানি এই দেশের ভিসার মাধ্যমে আপনি এই ২৬ টি ইউরোপীয় দেশে অবাধে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকতে পারবেন।

ফ্রান্সঃ আপনি যদি ফ্রান্সে যেতে চান টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ব্যাংক খুব সহজে কারণ ফ্রান্সের অর্থনৈতিক দেশ শক্তিশালী দেশ।ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা ও খুব সহজে পাওয়া যায় কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পেতে একটু কষ্ট করা লাগে তবে নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে সহজে পাওয়া যাবে

মাল্টা: আপনি যদি ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশে যেতে চান তবে এটি হলো মাল্টা। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর এই মালটায় কাজের উদ্দেশ্যে প্রায় মানুষই পাড়ি জমাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে কাজ নিয়ে মাল্টা যাচ্ছে অনেকেই তবে তড়িৎ ও স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সবচেয়ে বেশি সহজ অন্যান্য বিচার তুলনায় এবং খরচ কম।

সুইজারল্যান্ড: প্রতিটা মানুষের স্বপ্নের দেশ হয়ে থাকে সুইজারল্যান্ড কারণ সুইজারল্যান্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সবচেয়ে বেশি সুইজারল্যান্ডে যেতে চাই। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যেতে চান তাহলে 

আপনি টুরিস্ট ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন সুইজারল্যান্ডের। তবে সুইজারল্যান্ড এর কাজের ভিসা পেতে খুব কষ্ট করতে হয় কারণ খুব কঠিন নিয়ম কাজের ভিসার জন্য।

পর্তুগাল: পর্তুগালের নাগরিকত্ব পাওয়া যায় খুব সহজেই কারণ পর্তুগালের ভিসা পাওয়াও খুব সহজ। যদি পর্তুগালে ভ্রমণ বা পড়াশোনার জন্য যেতে চান তাহলে খুব সহজেই আপনি এই ভিসা পেয়ে যাবেন তবে কমপক্ষে আপনার আইইএলটিএস স্কোর হতে হবে ৬.০০।

নেদারল্যান্ড: নেদারল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ তবে কয়েক বছর ধরে যেসব শিক্ষার্থী নেদারল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করছে সবাই পেয়েছে তবে এর জন্য তাদের আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫০ হতে হবে।  

ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ২০২৪

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে ১০৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭তম। সূচকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা এখন আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪২টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন।

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে ১০৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭তম। সূচকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা এখন আগাম ভিসা ছাড়া বিশ্বের ৪২টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করতে পারেন।

আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন

দক্ষিণ আমেরিকা: বলিভিয়া। আফ্রিকা মহাদেশ: বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, গাম্বিয়া, টোগো, কেনিয়া।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চল: বাহামা, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ডমিনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো।

ওশেনিয়া অঞ্চল: কুক আইল্যান্ড, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নুউয়ে, সামোয়া, টুভালু, ভানুয়াতু এবং কিরিবাতি।  

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া ঢোকা যাবে ৪২টি দেশে

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, পাসপোর্টের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে নাগরিকত্বের মূল্যায়নই করা হয়। এই র‌্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জানা যায়- আপনার দেশ সম্পর্কে বা আপনার পাসপোর্ট সম্পর্কে তাদের মূল্যায়নটা কী। পাসপোর্টের এ র‌্যাংকিংটা দেশের অর্থনীতি, শাসন ব্যবস্থা ও দেশের মানুষের অবস্থাসহ অনেক বিষয় বিবেচনা করে তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, কোন দেশের পাসপোর্টের দাম বেশি বা কম, সে বিষয়ে কিছু স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিয়ে র‌্যাংকিংটা করা হয়। কোন দেশের পাসপোর্টের মূল্য কত, তা নির্ভর করে ওই পাসপোর্টের কী গুণাগুণ রয়েছে তার ওপর। 

যেমন মনে করেন- ব্রিটিশ বা আমেরিকান পাসপোর্ট জাল করা খুব কঠিন, সে তুলনায় বাংলাদেশের পাসপোর্ট জাল করা বেশ সহজ। যেই দেশগুলোর পাসপোর্টের মূল্য বেশি, মনে করা হয় যে ওই দেশগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো শক্তিশালী, 

তাদের অর্থনীতি ভালো, তাদের গভর্ন্যান্স (শাসনপদ্ধতি) ভালো এবং বিশ্বের কাছে ওই দেশগুলোর একটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে।

পাসপোর্টের র‌্যাংকিং উপরের দিকে থাকার প্রধান সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনি একটু ভালো ব্যবহার পাবেন। কোনো দেশের ভিসার জন্য আবেদন করলে হয়তো কিছুটা নমনীয়ভাবে দেখা হয়। আর র‌্যাংকিংয়ে নিচের দিকে থাকলে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্টধারী সম্পর্কে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খোঁজখবর নেয়া থেকে শুরু করে ভিসার আবেদন নাকচও করতে পারে কোনো দূতাবাস।

তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ৬১। দেশটির পাসপোর্ট ৮৫টি দেশে ভিসাবিহীন প্রবেশের সুযোগ দেয়। এ অঞ্চলে তাদের পরে ৮৪তম অবস্থানে রয়েছে ভারতের পাসপোর্ট। তাদের রয়েছে ৫৮টি দেশে ভিসাবিহীন ভ্রমণের সুযোগ। শ্রীলংকার পাসপোর্ট ৯৭তম, নেপাল ১০১তম আর পাকিস্তান রয়েছে ১০৪তম অবস্থানে।

এ সূচকে মোট ১০৭টি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে। এ তালিকায় ধারাবাহিকভাবেই শীর্ষে রয়েছে জাপান। ১৯১টি দেশে জাপানের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১৯০। জাপানের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট। 

১৯০টি দেশে তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসার সুযোগ রয়েছে। তৃতীয়তে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্টে সুযোগ রয়েছে ১৮৯টি দেশে। শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় পরবর্তী ১৩টি দেশ ইউরোপের।

১৮৯টি দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা নিয়ে জার্মানির পাসপোর্ট দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে। চতুর্থে আছে ইতালি ও ফিনল্যান্ড। পঞ্চম শক্তিশালী পাসপোর্ট তিনটি দেশের- স্পেন, লুক্সেমবুর্গ ও ডেনমার্ক। ষষ্ঠ অবস্থানে সুইডেন ও ফ্রান্স। 

এরপরের অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসসহ ৫টি দেশ। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। দেশটির পাসপোর্টে ভিসা ছাড়া যাওয়া যায় ১৮৪টি দেশে। যুক্তরাজ্যও আছে একই অবস্থানে।

ই পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যাবে

ভিসা ছাড়া ভ্রমণের মজাই আলাদা। কোনো ঝুট-ঝামেলা নেই, শুধু প্লেনের টিকিট কেটে চলে গেলেন ঘুরতে। জাপান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড বা আমেরিকার নাগরিকেরা ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন প্রায় গোটা পৃথিবীটা। 

অর্থাৎ এসব দেশের পাসপোর্টে ভিসামুক্ত সুবিধা আছে বেশিরভাগ দেশে। সে হিসেবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট খুব একটা প্রভাবশালী নয়। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স ২০২৩ অনুসারে, ভিসা ছাড়া বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ৪০টি দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। 

এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু দেশ ভ্রমণ করতে ভিসা লাগবে না, কিছু দেশে পৌঁছার পর ভিসা মিলবে আর শুধু শ্রীলঙ্কার জন্য লাগবে ই-টুরিস্ট ভিসা। অর্থাৎ আগে-পরে কখনই ভিসার জন্য পাসপোর্ট নিয়ে সশরীরে হাজির হতে হবে না।

বাকি দেশগুলোর মধ্যে ২০টি দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যাবে অর্থাৎ আগে-পরে কখনোই ভিসা নিতে হবে না। ১৯টি দেশ দেয় অন-অ্যারাইভাল ভিসা অর্থাৎ সেসব দেশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে ভিসা দেওয়া হয়।

তবে ঘোরার জন্য এশিয়ার এই পাঁচ দেশই আদর্শ। ভুটানের দূষণমুক্ত বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখার মজাই আলাদা। একবার সেখানে পৌঁছে গেলে আর আসতে মন চাইবে না। সাধারণ পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য রাজধানী থিম্পু, পারো, পুনাখার মতো জায়গাগুলি। 

এসব জায়গায় যে পাহাড়ি নদীগুলো পাবেন সেগুলোর সৌন্দর্যে মোহিত হবেন। থিম্পুর বুদ্ধ পয়েন্টের বিশাল বুদ্ধ মূর্তি আর সেখান থেকে দেখা পাহাড়ের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। জিগমে দর্জি ন্যাশনাল পার্ক আবার বাঘের আস্তানা হিসেবে মশহুর। 

পারোর কাছে অবস্থিত টাইগার নেস্ট বিশেষ করে যারা ট্র্যাকিং করেন তাঁদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে। পুনাখার ঝুলন্ত সেতুও দেখার মতো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন