অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে আমি বলব, অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ নিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় সকল জেলাতেই দেয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

নতুন পাসপোর্ট করবেন? অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার আগে জেনে নিন পাসপোর্ট করার নিয়ম কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং কত টাকা লাগবে বিস্তারিত।

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে (ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়

(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)  (গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।

দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।

১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের ‍উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে। 

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।

কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।

(ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

আবেদনের সময় মূল জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।

পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ই পাসপোর্ট এর আবেদন করার ক্ষেত্রে সবথেকে সুবিধা জনক ধাপ হল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করতে হয় না। খুব অল্প কাগজপত্র দিয়ে অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানুন- পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।

ই পাসপোর্ট করতে যেসব কাগজপত্র লাগে তা হচ্ছে Online Application Summery; Online Registration Form; জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বয়স ২০ এর কম ও এনআইডি না থাকলে); ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);

পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং পাসপোর্টের ফটোকপি (রিনিউয়ের জন্য); পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে); পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি এদের ক্ষেত্রে পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড;

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক

নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। ই পাসপোর্ট করার জন্য ভিজিট করুন www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। এরপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনুসারে অনলাইনে আবেদন করুন। 

আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য এবং পিতা-মাতা সকল তথ্য আপনার আইডি অনুসারে লিখুন। এরপর পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে আবেদনটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পাসপোার্ট অফিসে জমা দিন।

জাতীয় ‍পরিচয়পত্র(NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী আবেদনকারীর সকল তথ্য পুরন করতে হবে। অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক নির্দেশনাবলী মেনে চলুন। আবেদনে কোন ভুল করলে পরবর্তীতে এটি নিয়ে আপনাকে অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।

অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম

ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী: বর্তমানে সারাদেশে সকল পাসপোর্ট অফিস এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস শাখাতে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে । বাংলাদেশ সকল নাগরিক পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই যাহারা বিদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক বা বিদেশে প্রবাসী হিসেবে যেতে আগ্রহী।

আপনাদের কাছে যেহেতু পাসপোর্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই আপনি আপনার নিজস্ব শহর জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সহজেই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও বিভাগীয় শহর বা ঢাকার আগারগাঁও অবস্থিত পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনি খুব সহজেই নির্দিষ্ট একটি ফর্মে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে আপনি পাসপোর্ট পেতে পারেন ।

এখন পাসপোর্ট আবেদন খুবই সহজ হয়ে গেছে । আপনি পাসপোর্ট আবেদনের পর সাত দিনের মধ্যেই আপনার হাতে পাসপোর্ট চলে আসবে । তবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি আপনাকে পালন করতে হবে। যেই নির্দেশনা গুলো এখানে নিচে দেওয়া হয়েছে । আসুন আমরা নির্দেশনা গুলো আগে জানি তারপরে পাসপোর্ট এর আবেদন সম্পন্ন করি।

১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) দ্বারা দাখিল করতে হবে। ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) দ্বারা দাখিল করতে হবে।

২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অবশ্যই প্রয়োজ্য হবে। তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।

পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড

E passport application form ডাউনলোড করেই ঘরে বসে পাওয়া যায় ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট।  মূহুর্তের মধ্যে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করেই কিভাবে পাসপোর্ট পাবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে।

তবে যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক

ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল দেশে কি আর সেই কষ্ট সহ্য হয়? না তা মুঠেও কাম্য নয়। আগে পাসপোর্ট এর আবেদনের জন্য অনেক দৌড়াতে হতো পাসপোর্ট অফিসে। এখন থেকে আর কষ্ট করতে হবে না। কাজেই এখন থেকে মাত্র ৫টি ধাপ অনুসরণ করেই আবেদন করতে পারবেন ই-পাসপোর্টের।

ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম

ইলেকট্রনিকস পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট গ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ইলেকট্রনিকস পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট গ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ২৩ তারিখ (বৃহস্পতিবার) থেকে অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে। এরপর অধিদফতরের আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, সচিবালয় ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কার্যালয়ে গিয়ে আবেদনকারীরা বায়োমেট্রিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন।

ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে প্রথমে (www.epassport.gov.bd) এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে (Directly to online application) ক্লিক করতে হবে।

প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে।

এছাড়াও যদি অধিদফতরের অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যে কোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর এখানে দিতে হবে। এরপর ফাইল সাবমিট করতে হবে। এর ফলে আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে। পরবর্তী ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

নতুন পাসপোর্ট ফরম

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করে ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতের পাওয়া পর্যন্ত করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন এই লিখাটিতে। দালাল ছাড়া ই পাসপোর্ট করার নিয়ম এবং ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগে জানতে পারবেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা “দালাল ছাড়া” পাসপোর্ট করা যায় না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ই পাসপোর্ট আবেদন করার পদ্ধতি আমার নিজের পাসপোর্ট আবেদনের অভিজ্ঞতা আলোকে ধাপে ধাপে বর্ণনা করতে চলেছি।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পেতে কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়েছে এবং কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, আপনারা কিভাবে সেগুলো থেকে বিরত থাকবেন এ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থাকবে।

আরো পড়ুন: মালয়েশিয়া ভিসা চেক পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে

ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর পাসপোর্ট এর ছবি এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয়। তখন সাথে করে প্রয়োজনে কিছু ডকুমেন্ট নিতে হয়।

পাসপোর্ট আবেদন করতে যে সকল কাগজপত্র / ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় পরিচয় পত্র, Application Summery এবং নাগরিক সনদ। অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে এনআইডি কার্ডের বিপরীতে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে পিতা-মাতার আইডি কার্ডের কপি বাধ্যতামূলক।

জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে) পাসপোর্ট Application Summery ই পাসপোর্ট আবেদন কপি নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ / গ্যাস) পেশাজীবী প্রমাণপত্র

আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যুক্ত করতে হবে। 

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য Bangladesh e-Passport Portal ভিজিট করুন। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এবং আপনার থানা নির্বাচন করুন। একটি সচল ইমেইল আইডি এবং নিরাপত্তা ক্যাপচা পূরণ করে কন্টিনিউ বাটনে চাপুন।

আপনার ইমেইলে no-reply@epassport.gov.bd এই ঠিকানা থেকে ইমেইল ভেরিফিকেশনের জন্য মেইল করা হবে। ইমেইলের লিংক প্রবেশ করলে আপনার একাউন্টটি একটিভ হয়ে যাবে। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য, জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করুন।

অনলাইনে ই পাসপোর্ট চেক করে আপনার পাসপোর্ট আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমি বুঝতে পারছি কথাগুলো আপনার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, আর এটা হওয়াই স্বাভাবিক। সম্পূর্ণ পাসপোর্ট আবেদনের বিষয়টি একটি বাক্যে বা এক কথায় বলে ফেলা সম্ভব নয়।

পাসপোর্ট আবেদনের পুরো বিষয়টি কয়েকটি ধাপে বিন্যস্ত করা হলো, যাতে করে যে কেউ এই ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন