বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা ২০২৪

বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকা ১৩ থেকে ১৯ বছর- এই বয়সকে বলা হয় টিনএজ। এসময় ছেলে, মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে। 

টিনএজ বয়সে দেহে ব্যাপক পুষ্টির চাহিদা থাকে। তাই এই বয়সে প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিবেলায় যেন ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনজাতীয় খাবার থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। সারাদিনের খাবার তালিকা

বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকা

বয়স অনুযায়ী দেহে পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। কোন বয়সে কী ধরনের পুষ্টির চাহিদা থাকে তা জানা দরকার। অনেকের ধারণা, একই ডায়েট চার্ট সারাজীবন অনুসরণ করা যায়। আবার কেউ কেউ ভাবেন, সব বয়সে একই ধরনের খাবার খেতে হবে। এই ধারণাগুলো ভুল। বয়স, লিঙ্গ ও শারীরিক সমস্যাভেদে একেকজনের জন্য একেকধরনের খাবার উপযোগি।

বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা ২০২৪

ব্রাউন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল কলেজের গবেষকদের মতে, ২০-২৯ বছর বয়সী মানুষেরা তাদের বয়ঃসন্ধিকালের তুলনায় ২৫ শতাংশ অধিক পরিমাণে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। আমেরিকান ডায়েটিক এসোসিয়েশন এর মুখপাত্র বনি টব বলেন, কোনোরকমে রাতের খাবার খেয়ে নেয়ার অভ্যাসের কারণে প্রতিদিন শরীরের চাহিদা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির অনেকটাই পূরণ হয় না।

আরো পড়ুন: বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা ২০২৪

তাই ফাস্টফুড খেলেও তা যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাই রাতের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন- গ্রিলড চিকেন, শ্রিম্প ককটেল, স্টিমড ডাম্পলিং বা মমো এবং বিভিন্ন ধরনের সালাদ। এই খাবারগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে তার সাথে ঘরের তৈরি খাবারগুলো, যেমন- ভাত, নুডলস বা পাস্তা ও যেকোনো সবজি খেয়ে নিতে পারেন।

সার্বিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মাংসপেশি ও হৃদযন্ত্রের যথাযথ কার্যকর থাকা প্রয়োজন। আর তাই শরীরে প্রয়োজন সঠিক মাত্রার পটাশিয়াম। কিন্তু ইউএসডিএ (দ্য ইউনাইটেড স্টেটস্‌ ডিপার্টমেন্ট অব এগরিকালচার)-এর মতে, ২০-২৯ বছর বয়সী অধিকাংশ নারীই সঠিক চাহিদার চাইতে কম পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। 

দুই কাপ পরিমাণ ফলমূল (একটি আপেল, একটি কলা, টক দই ও স্ট্রবেরি) এবং আড়াই কাপ পরিমাণ সবজি (যেকোনো শাক-সবজি, সাথে ব্রোকলি থাকলে ভালো হয়) খেলে শরীরে প্রতিদিনের পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আপনার শরীরে সেরেটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। সেরেটোনিন হলো মস্তিষ্কে ভালো লাগার অনুভূতিটি কাজ করানোর এক রাসায়নিক পদার্থ। যেহেতু এই সময়টাতে মেয়েদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত থাকার প্রবণতা বেশি লক্ষণীয়, 

তাই তাদের শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সঠিক চাহিদা পূরণ করা বেশ প্রয়োজন। স্যামন ও টুনা মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সবচাইতে ভালো উৎস। এছাড়াও আখরোট ও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ থেকেও এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা

পৃথিবীকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে একটি ডায়েট প্রস্তুত করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা দিয়ে সামনে দশকগুলোতে একশ' কোটিরও বেশি মানুষকে খাওয়ানো যাবে। আর এটা সম্ভব হবে আমাদের গ্রহের কোন ক্ষতি না করেই।

সামনের দশকগুলোতে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য সরবরাহ কিভাবে করা যাবে সেটা নিয়েই এতোদিন গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। আমরা যেসব খাবারে আমাদের প্লেট ভরিয়ে রাখি, সেখানে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করেন তারা।

আরো পড়ুন: আনারস খেলে কি হয়? আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা কি?

অবশেষে তারা একটি উপায় বের করেছেন। আর সেটা হল "দ্য প্লানেটারি হেলথ ডায়েট" অর্থাৎ পৃথিবী সুরক্ষায় স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে। এই ডায়েটটি তৈরি করা হয়েছে মাংস এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদ না দিয়েই।

তবে প্রোটিন চাহিদার একটা বড় অংশ মেটাতে সেখানে বাদাম, বিভিন্ন ধরণের ডাল আর বীজ যুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ হল ডায়েট থেকে মাংসের পরিমাণ কমিয়ে বিকল্প প্রোটিনের উৎস্য খোঁজা। যেসব পুষ্টিকর খাবার আমরা এড়িয়ে যেতে চাই সেগুলোর প্রতি আগ্রহ জন্মানোর ওপরও তারা জোর দেন।

সারাদিনের খাবার তালিকা

বাঙালি খেতে ভালোবাসে এটা কোনো নতুন কথা নয়। স্বুসাদু খাবার সামনে পেলে আমরা ভুলে যাই পরিমিত খাবার খাওয়ার বিষয়টি।

সপ্তাহে প্রতিদিন হাজার চেষ্টা করেও কাজ হবে না যদি আমরা খাবার গ্রহণে সচেতন না হই। পরিশ্রম এবং বয়সের ওপর নির্ভর করে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা করে নিলে বাড়তি খাওয়া এবং অসময়ে খাওয়ার প্রবণতা কমে আসতে বাধ্য। আসুন সপ্তাহের সাত দিনের একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করি।

শনিবার:
সকাল: রুটি, সবজি, ডিম, চা
দুপুর: ভাত, মাছ, সবজি, ডাল।
বিকেল: ফল
রাত: রুটি, সবজি, এক গ্লাস দুধ।

রবিবার
সকাল: পরোটা, সবজি, চা।
দুপুর: ভাত, শাক, মাছ।
বিকেল: জুস
রাত: রুটি, সবজি, সালাদ।

সোমবার
সকাল: টোস্ট, কলা, চা।
দুপুর: ভাত, সবজি, মাংস সালাদ।  
বিকেল: স্যান্ডউইচ
রাত: রুটি, ডাল, সালাদ

মঙ্গলবার
সকাল: পাউরুটি, জ্যাম, ডিম, চা
দুপুর: ভাত, সবজি, ছোট মাছ, ডাল
বিকেল: পেয়ারা অথবা আপেল
রাত: সবজি খিচুরি

বুধবার
সকাল: রুটি, কলিজা ভুনা, চা
দুপুর: ভাত, সবজি, সালাদ, ডাল
বিকেল: বিস্কুট, কফি
রাত: ভাত, ডাল, ভাজি, মাছ।

বৃহস্পতিবার
সকাল: রুটি, সবজি, একটা ফল, চা।
দুপুর: ভাত, ডাল, মাংস
বিকেল: মুড়ি, চিড়া, চা
রাত: রুটি, সবজি, সালাদ

শুক্রবার
সকাল: সবজি খিচুড়ি
দুপুর: ভাত, মাছ, সবজি, সালাদ
বিকেল: ফল
রাত: আপনার পছন্দ।

পুরো সপ্তাহ নিয়মমতো খাবার খান। ছুটির দিন রাতে নিজেন পছন্দের মেন্যু বেছে নিন। এই তালিকা তৈরি করে চোখে পড়ে এমন জায়গায় রাখুন। আর বাড়তি খাওয়ার আগে একবার তালিকাটির দিকে দেখে নিন। আমাদের মনই বারণ করবে বাড়তি খেতে। নিজেকে ভালোবাসুন পরিমিত খেয়ে সুস্থ থাকুন।

১৮ বছরের খাদ্য তালিকা

কিশোর বয়স ছেলে–মেয়ে উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এ পরিবর্তনকে সুষ্ঠুভাবে হতে দেওয়ার জন্য খাবারদাবারের গুরুত্ব অপরিসীম।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কারণ, এই বয়সে শারীরিক বিকাশ ও বৃদ্ধি, পড়ালেখায় মনোনিবেশ, খেলাধুলা ও শরীরচর্চামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে হয় বলে কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে হয়।

আরো পড়ুন: মধুর উপকারিতা ও অপকারিতা

এ ছাড়া টাইপ টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতেও কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত ক্যালরি নিশ্চিত করতে হবে। 

সাধারণত প্রতিদিন কিশোরীদের ১ হাজার ৬০০–২ হাজার ২০০ ক্যালরি এবং কিশোরদের ১ হাজার ৮০০-২ হাজার ৬০০ ক্যালরি প্রয়োজন হয়। এ পরিমাণ ক্যালরি তাদের শক্তি সরবরাহের পাশাপাশি উচ্চতা বৃদ্ধি ও শরীরে ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। তবে এটি নির্ভর করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের হারের ওপর।

ওজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা

যে খাদ্যের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান পরিমাণমত বর্তমান থাকে, তাকেই এক কথায় সুষম খাদ্য বলা হয়। অর্থাৎ মানবদেহের প্রয়োজণীয় ও পরিমাণমত ছয়টি উপাদানযুক্ত খাবারকেই সুষম খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। 

সুষম খাদ্য দেহের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের যোগান দেয়। এটা ব্যক্তির দেহে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব মেটায়। তাই প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের বয়স, চাহিদা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। 

সুষম খাদ্যের মধ্যে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ছয়টি খাদ্য উপাদান যেমনঃ আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি বিদ্যমান থাকে। এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বুদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে।

প্রোটিন জাতীয় খাদ্য শ্রেনীঃ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, সীমের বীজ, বাদাম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। 

পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির মাথাপিছু দৈনিক ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এই শ্রেণীর খাদ্য প্রোটিন ছাড়াও লোহা, ভিটামিন, থায়ামিন, নায়াসিন কালসিয়াম, ফসফরাস সরবরাহ করে থাকে। প্রাণিজ এবং উদ্ভিজ্জ উভয় প্রকার প্রোটিনই আমাদের দেহের জন্য আবশ্যক। তবে বিশেষ করে বাড়ন্ত ছেলে-মেয়ে, গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদায়ী মায়ের খাদ্যে প্রতিদিন অবশ্যই কিছু প্রাণিজ প্রোটিন থাকা উচিত।

শস্য জাতীয় খাদ্যঃ চাল, গম, ভুট্টা, আলু, এবং চাউল ও গম থেকে তৈরি ভাত রুটি, চিড়া, মুড়ি, খই ইত্যাদি এই শ্রেনীর অন্তর্ভূক্ত। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরির অর্ধেকেরও বেশি শস্য জাতীয় খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। শক্তি উৎপাদনের জন্য এবং দেহের বৃদ্ধির জন্য শস্য-জাতীয় খাদ্য একান্ত প্রয়োজন এই জাতীয় খাদ্য দামে সস্তা এবং সহজপ্রাপ্য বলে আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এখনও খেয়ে বেঁচে আছে ।

তিন বেলার খাবার তালিকা

সকালের নাস্তাঃ 
রুটি, সবজি, ডিম সেদ্ধ ইত্যাদি। 

মধ্য দুপুরের খাবারঃ 
যে কোন একটি মিষ্টি ফল ( আম, কলা, কমলেবু ইত্যাদি), সেই সাথে টক জাতীয় ফল বা দেশীয় ফল। 

দুপুরের খাবারঃ
ভাত, ডাল, সবজি/ শাক, মাছ/ মাংস, সঙ্গে সালাদ বা টক দই। 

বিকালের নাস্তাঃ
বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ছোলা, বিস্কুট এবং চিনি ছাড়া চা অথবা কফি। 

রাতের খাবারঃ 
ভাত/রুটি, সবজি, মাছ/ মাংস ডাল ইত্যাদি। 

ঘুমানোর আগেঃ
এক গ্লাস ননি মুক্ত দুধ। 

অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে।

মেয়েদের খাদ্য তালিকা

নিজের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে এখনো অনেক অসচেতন এ দেশের নারীরা। পরিবারের সবাইকে খাইয়ে তাঁরা খান, প্রতিদিন রান্না হওয়া খাবারের বিশেষ অংশ পরিবারের পুরুষ ও সন্তানদের জন্য তুলে রাখেন তাঁরা। এভাবে নিয়মিত ভালো ও পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হয় নারীর শরীর। 

আধুনিক কর্মজীবী নারীও ঘরসংসার–কাজের জায়গা সামলাতে গিয়ে নিজের খাবারের প্রতি মনোযোগ দেন কম। হাতের কাছে চটজলদি খাবার, যেমন বাইরের প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে থাকেন। 

আরো পড়ুন: হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে

দীর্ঘদিন ধরে চলা এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস থেকে দেখা দেয় পুষ্টির ঘাটতি। যে কারণে নারীরা নানা রকম রোগে ভোগেন। পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে শরীর ফিট রাখতে নারী–পুরুষ–শিশুনির্বিশেষে সবাইকে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

গোটা শস্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। গোটা শস্যের তুষ ও ফাইবার স্টার্চের গ্লুকোজের ভাঙনকে ধীর করে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া গোটা শস্যের ফাইবারগুলো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। 

এ জন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে লাল চাল, লাল আটা, ওটস, বার্লি ইত্যাদি। গবেষণা বলছে, যেসব নারী খাবারে প্রতিদিন কমপক্ষে চারটি গোটা শস্যকে অগ্রাধিকার দেন, তাঁদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে। 

গোটা শস্য–জাতীয় খাবারের মধ্যে ফাইটিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, সেলেনিয়ামের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে, যা নারীদের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে অস্টিওপোরোসিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

বাদামকে বলা হয় পুষ্টির আধার। এতে আছে ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা পুষ্টি উপাদান, যা নারীর হাড়ের স্বাস্থ্য ও পেশির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের মাসিক শুরু হওয়া থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত হরমোন ওঠানামা করে। এই হরমোন নিয়ন্ত্রণে বাদামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। 

এ ছাড়া বাদামে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড। বাদাম প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো মেজাজ, ঘুম এবং সামগ্রিক সুস্থতাকেও প্রভাবিত করে। বাদাম আয়রনের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। 

বিশেষ করে মাসিক, গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় নারীর ডায়েটে পেস্তাবাদাম রাখলে আয়রনের মাত্রা বাড়ে। বাদাম ফোলেটসমৃদ্ধ বি ভিটামিন, যা গর্ভাবস্থায় মায়ের শক্তি বাড়ায়, শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে। আখরোটে অন্যান্য বাদামের চেয়ে ভিটামিন ই বেশি, যা নারীদের ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। 

পুরুষের খাদ্য তালিকা

প্রতিদিন সুষম ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে। পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী কোন কোন খাবার কতটুকু গ্রহণ করতে হবে তা নিচে খাদ্য পিরামিডের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলো

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৭০ থেকে ৪৫০ গ্রাম চাল, আটা, ভুট্টা গ্রহণ করা উচিত। এর সাথে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম শাকসবজি এবং ১৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম খেতে হবে। এ ছাড়া সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিলি তেল ও চর্বি এবং ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম ডাল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে।

আরো পড়ুন: শরীরে ভিটামিন ডি পেতে হলে কতক্ষণ রোদে থাকা উচিৎ

মানুষের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের জন্য কেবল ভাত-মাছ হলেই যথেষ্ট নয়। এর সাথে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকায় দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার দৈনিক ১৫০ থেকে ৪৫০ মিলি, ফলমূল ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম এবং চিনি ১৫ থেকে ২৫ গ্রাম থাকতে হবে। প্লেট পদ্ধতিতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দুপুরের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের অনুপাত (ওজনের ভিত্তিতে)

এ পদ্ধতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দুপুরের খাবারের সাথে ৪০০ গ্রাম ভাত (৫৩%), ২০০ গ্রাম মিশ্রিত সবজি (১৫%), ৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম (৬%), ১০০ গ্রাম শাক (১৫%), ২০ গ্রাম ডাল (৪%) এবং ৫০ গ্রাম মৌসুমী ফল (৭%) থাকতে হবে।

বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকা

প্রতিদিন সুষম ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করতে হবে। পুষ্টি চাহিদা অনুযায়ী কোন কোন খাবার কতটুকু গ্রহণ করতে হবে তা নিচে খাদ্য পিরামিডের মাধ্যমে উল্লেখ করা হলো

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক ২৭০ থেকে ৪৫০ গ্রাম চাল, আটা, ভুট্টা গ্রহণ করা উচিত। এর সাথে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম শাকসবজি এবং ১৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম খেতে হবে। এ ছাড়া সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিলি তেল ও চর্বি এবং ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম ডাল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে।
মানুষের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের জন্য কেবল ভাত-মাছ হলেই যথেষ্ট নয়। এর সাথে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের খাদ্য তালিকায় দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার দৈনিক ১৫০ থেকে ৪৫০ মিলি, ফলমূল ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম এবং চিনি ১৫ থেকে ২৫ গ্রাম থাকতে হবে। প্লেট পদ্ধতিতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দুপুরের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের অনুপাত (ওজনের ভিত্তিতে)

এ পদ্ধতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দুপুরের খাবারের সাথে ৪০০ গ্রাম ভাত (৫৩%), ২০০ গ্রাম মিশ্রিত সবজি (১৫%), ৫০ গ্রাম মাছ, মাংস, ডিম (৬%), ১০০ গ্রাম শাক (১৫%), ২০ গ্রাম ডাল (৪%) এবং ৫০ গ্রাম মৌসুমী ফল (৭%) থাকতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন