পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ এর আবেদন করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে তথ্য সংশোধন ফরম ও অঙ্গীকারনামা পূরণ করে সংশোধনের প্রমাণপত্র হিসেবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিয়ে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম ২০২৪
জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে পাসপোর্টের তথ্যের গরমিল থাকলে সংশোধনের আবেদন করে E passport correction করতে পারবেন। পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম, কি কি লাগে, কত টাকা লাগে ও অনলাইনে আবেদন করার বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এই লেখাতে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারেই পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন। জানুন পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম, কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন করবেন।
এই ব্লগে পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগবে, কিভাবে আবেদন করবেন এবং পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাসপোর্ট সংশোধন বিষয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করেছে। এই নোটিশের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে পাসপোর্ট সংশোধন করার সম্পূর্ণ নিয়মকানুন স্পষ্ঠ করেছে।
আরো পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন
আপনারা যারা পাসপোর্ট সংশোধন করবেন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করবেন তাদের এই প্রজ্ঞাপন এবং পাসপোর্ট সংশোধনের সর্বশেষ নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত।
আসুন প্রথমেই জানি পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ নোটিশে কি বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে।
তবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে। বিশেষ প্রয়োজনে জেএসসি/জেডিসি/ এসএসসি/ দাখিল/ কারিগরি/ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের যে কোন একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে। পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট/ সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে। সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ২৮/০৪/২০২১, ৯/১২/২০২১ এবং ০৩/১১/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে জারীকৃত এতদসংক্রান্ত পরিপত্রসমূহ বাতিল করা হলো।
যথাযথ কতৃপক্ষে অনুমোদনক্রমে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। NID Card অনুযায়ী পাসপোর্ট এর জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হবে। সংশোধনের স্বপক্ষে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।
অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে জেএসসি/জেডিসি/ এসএসসি/এইচএসসি/ দাখিল/কারিগরি/ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমান পরীক্ষার সনদপত্র প্রয়োজন হতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিয়পত্রের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন সনদ বিবেচনা করা হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগে
আর আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে রেগুলার পাসপোর্টের মতোই সময় লাগবে। নিয়মিত ১৫ থেকে ২১ দিন, জরুরি ৫ থেকে ৭ দিন এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ কর্ম দিবসের মধ্যে দেয়া হয়।
আপনার পাসপোর্টে ভুল তথ্য আসলে সে ভুল তথ্য দেয়া পাসপোর্ট দেখিয়ে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে। ভুল সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট https://www.epassport.gov.bd ঠিকানায় পাসপোর্ট রিনিউ করার সুযোগ রয়েছে। ভুল তথ্যের পাসপোর্টটি তৈরি করতে আপনাকে যতগুলো ধাপ পার হতে হয়েছে, এখন পাসপোর্ট সংশোধনীর জন্যও ঠিক ততগুলোই ধাপ আপনাকে পার হতে হবে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
এ ছাড়া পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আপনার মোট যে কয়টি ডকুমেন্ট লাগতে পারে সেগুলো হলো আপনার তথ্য যাচাইয়ের জন্য লাগবে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কপি। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য পাসপোর্ট অফিসে একটি লিখিত আবেদন।
একটি অঙ্গীকারনামা। এই প্রক্রিয়া আপনি পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সরাসরি করতে পারেন। পুরাতন পাসপোর্টের কপি। বিদেশে দূতাবাসে আবেদন করা হলে– পার্মানেন্ট রেসিডেন্স কার্ড/ জব আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি।
নাগরিক কপি, পেশা প্রমাণের কপি, বৈবাহিক অবস্থার কপি, রি ইস্যু ফরম এবং পেমেন্ট স্লিপ। এসব কপির মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। আপনার আবেদনের পর পাসপোর্ট অফিস প্রদত্ত তথ্য যাচাই করবে। মূলত নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা ও ঠিকানার নাম পাসপোর্টে সংশোধন করতে হলে তথ্য পরিবর্তন অনুযায়ী ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম ২০২৪
পাসপোর্ট করার পরে অনেক সময় আমাদের অজান্তেই পাসপোর্টের মধ্য কোনো না কোনো ভুল হয়ে থাকে। তখন আমাদের পাসপোর্ট আবার ভুল সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন পাসপোর্ট সংশোধন করতে অনেক ঝামেলা এবং অতিরিক্ত টাকা লাগে। এ কারণে অনেক পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাই না।
আসলে পাসপোর্ট সংশোধন করতে কোনো ঝামেলা নেই এবং অতিরিক্ত কোনো টাকা লাগবে না। পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে পাসপোর্টটির রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে মনে রাখবেন পুরাতন পাসপোর্টে বিদ্যমান নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও বহিরাগমন এই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
কেউ যদি পাসপোর্টের পেশা পরিবর্তন করতে চাই, তাহলে কর্মক্ষেত্রের প্রত্যয়নপত্র এবং প্রতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রতিবেদন লাগবে। তবে, বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে এমন কোনো নিয়ম নেই। বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে আবেদনের সাথে নিকাহানামা জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট সংশোধন এখন খুবই সহজ ও ঝামেলা মুক্ত। একটি মাত্র সংশোধন ফরম পূরণ করে পাসপোর্টের যে কোন তথ্য সংশোধন করা যাবে। আপনার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে তথ্য সংশোধন ফরম পূরণ করে তার সাথে সংশোধনী অঙ্গিকারনামা সংযুক্ত করে আবেদন করলে সংশোধন হবে পাসপোর্টে থাকা যে কোন ভুল তথ্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ও বহিরাগম আনুবিভাগ প্রকাশিত ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ পরিপত্র অনুসারে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্টের তথ্যে গড়মিল থাকলে তা সংশোধন করার জন্য সংশধোন ফরম এবং পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তনের অঙ্গিকারনামা স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া
পাসপোর্টে ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হলে তা পরিবর্তনের জন্য তথ্য সংশোধনপূর্বক পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন করতে হয়। পাসপোর্ট সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে যে সকল তথ্য পরিবর্তন করা যাবে তার তালিকা দেয়া হল-
নিজের নাম বাংলা নিজের নাম ইংরেজি পিতার নাম (NID Card অনুসারে) মাতার নাম (NID Card অনুসারে) জন্ম তারিখ পেশা অন্যান্য
চাহিত সংশোধনীর পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণাদি জমা দিতে হবে। সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নিজের নাম, পিতা মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র এবং শিক্ষা সনদ জমা দিতে হয়।
পাসপোর্ট বয়স সংশোধন ফি ২০২৪
ইলেকট্রনিক বা ই–পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই–পাসপোর্ট চালু করেছে বাংলাদেশ। এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে ই–পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে কী লাগে, ই–পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ও খরচ, কত দিনে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরি।
কেননা, একটি ই–পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার (সাবমিট করা) পর যদি দেখেন, কোথাও ভুল হয়েছে, তাহলে আপনি তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। সেই সঙ্গে, একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই–পাসপার্টের জন্য আবেদন করা যায়।
অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার দিন–তারিখও পাওয়া যাবে অনলাইনে। কাগজপত্রেও লাগছে না কোনো সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক
ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’–এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। তবে আবেদন করার আগে দেখে নিতে হবে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।
প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংবলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা জমা দেওয়া যায়। এ ছাড়া অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সব কাজ শেষ হলে ‘ফাইনাল সাবমিট’ করতে হবে। এরপরই আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।
পাসপোর্ট বয়স সংশোধন করার নিয়ম ২০২৪
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে বা পাসপোর্ট সংশোধন ফি কত টাকা এবং পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জানুন। পাসপোর্ট করার পরে অনেক সময় আমাদের অজান্তেই পাসপোর্টের মধ্য কোনো না কোনো ভুল হয়ে থাকে। তখন আমাদের পাসপোর্ট আবার ভুল সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে।
আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন পাসপোর্ট সংশোধন করতে অনেক ঝামেলা এবং অতিরিক্ত টাকা লাগে। এ কারণে অনেক পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাই না।
আসলে পাসপোর্ট সংশোধন করতে কোনো ঝামেলা নেই এবং অতিরিক্ত কোনো টাকা লাগবে না। পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য আপনাকে পাসপোর্টটির রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে মনে রাখবেন পুরাতন পাসপোর্টে বিদ্যমান নাম, পিতা-মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও বহিরাগমন এই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
কেউ যদি পাসপোর্টের পেশা পরিবর্তন করতে চাই, তাহলে কর্মক্ষেত্রের প্রত্যয়নপত্র এবং প্রতিষ্ঠানিক পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রতিবেদন লাগবে। তবে, বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে এমন কোনো নিয়ম নেই।
বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে আবেদনের সাথে নিকাহানামা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গড়মিল থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী পিতা-মাতার নাম ও বয়স সংশোধন করার জন্য পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক
অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ বিবেচনা করা হবে এবং প্রয়োজনে জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি/দাখিল/কারিগরি/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের সনদপত্র বিবেচনা করা হবে।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য লিখিত আবেদন করতে হবে এবং পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে।
পূর্বে সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ২৮/০৪/২০২১, ০৯/১২/২০২২ এবং ০৩/১১/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে জারীকৃত পরিপত্রসমূহ বাতিল করা হয়েছে।
পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন ২০২৪
জানুন পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম এবং পাসপোর্ট সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন নিয়ে। সংশোধন করতে কি কি লাগবে ও কিভাবে আবেদন করবেন বিস্তারিত জানুন।
সম্প্রতি ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাসপোর্ট সংশোধন 2023 নোটিশ প্রকাশ করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে নতুন পাসপোর্ট প্রদান ও সংশোধনে কোন কোন নিয়ম মানা হবে তা স্পষ্ঠ করেছে।
যারা নতুন পাসপোর্ট করবেন বা পাসপোর্ট রিনিউ করবেন তাদের জন্য এ বিষয়ে জানা খুবই প্রয়োজন। তাই আমি আপনাদের জন্য বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য বর্তমান ও সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্রের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মধ্যে তথ্যের গরমিল হলে জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত তথ্য (নাম, পিতা-মাতার নাম, বয়স ইত্যাদি) অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করতে হবে।
তবে, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বিবেচনা করতে হবে; প্রয়োজনে জেএসসি/জেডিসি/ এসএসসি/ দাখিল/ কারিগরি/ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের যে কোন একটি সনদপত্র বিবেচনা করা যেতে পারে। সংশোধনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট/ সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীকে একটি অঙ্গীকারনামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষরপূর্বক দাখিল করতে হবে।
MRP হোক বা E passport হোক, পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য আপনাকে অনলাইনে ই পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করতে হবে। ই পাসপোর্ট আবেদনে সকল তথ্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID অনুসারে দিতে হবে। যেহেতু এটি সংশোধন বা রিনিউ আবেদন, ID Documents অপশন থেকে পুরাতন পাসপোর্টের তথ্য দিন এবং আবেদনটি সাবমিট করুন।
পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা
পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা : সবার শুরুতে একটা কথা জেনে রাখুন। আর সেই কথাটি হলো, আপনি যখন পাসপোর্ট সংশোধন এর জন্য সংশোধন করবেন। পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা পূরণ করার নিয়ম
তখন আপনাকে অবশ্যই অঙ্গীকারনামা দিতে হবে। আর কিভাবে আপনি এই অঙ্গীকারনামা পূরণ করবেন। আজকের আলোচনা তে আমি আপনাকে সেই বিষয় গুলো ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো।
২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস থেকে তথ্য সংশোধন এর একটি বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এবং সেই প্রজ্ঞাপণ এর মধ্যে ষ্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট সংশোধন করা যাবে। এবং এই সংশোধন এর কাজটি আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ এর সাহায্য করতে পারবেন। কিন্তুু আপনি যদি আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা কোনো ধরনের তথ্য সংশোধন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন থেকে আবেদন করতে হবে।
কিন্তুু যখন আপনি অনলাইনে আপনার পাসপোর্ট এর তথ্য সংশোধন করবেন। তখন আবারও একটি লিখিত আবেদন করতে হবে। সেই সাথে আপনাকে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে।
এবং আপনারা যাতে করে অঙ্গীকারনামা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন। সে কারণে পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে একটি নমুনা অঙ্গীকারনামা প্রকাশ করা হয়েছে। আমি উপরের আলোচনা তে আপনাকে বলেছি যে, আপনি যখন পাসপোর্ট সংশোধন করবেন। তখন আপনাকে একটি অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে।
যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য গুলো উল্লেখ করা থাকবে। যেমন, আপনার নিজের নাম, পিতা ও মাতার নাম, ধর্ম, জাতীয়তা ইত্যাদি। আর নিচে আমি উক্ত অঙ্গীকারনামার ফরম এর পিকচার দিয়েছি। আপনি চাইলে এখান থেকেও উক্ত পাসপোর্ট সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফরম টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা
জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে হয় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ।
হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে। নিয়ম হচ্ছে যিনি হলফনামাটি করলেন তিনি নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার হলফনামাটি সম্পর্কে সত্যপাঠ করবেন।
তখন নোটারি পাবলিক বা ম্যাজিস্ট্রেট হলফনামাটি যাচাই-বাছাই করে এর ওপর স্বাক্ষর দেবেন এবং একটি বিশেষ সরকারি সিল ব্যবহার করে এতে ক্রমিক নম্বর বসাবেন। হলফনামাটির একটি ফটোকপি তিনি রেখে দেবেন।
সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্য্ই সংশোধনের স্বপক্ষে যথাযথ প্রমানাদি দেখাতে হয় এবং ফটোকপি জমা দিতে হয়।
তবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের এবং পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের কাজে হলফনামা সম্পাদন করতে অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। অর্থাৎ হলফনামা লেখার পর (কম্পোজ বা টাইপ) তা প্রথমে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হবে এবং নোটারির সত্যায়নটি আবার প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সত্যায়ন করাতে হয়। যাকে বলা হয় কাউন্টার সাইন।
তবে, যে সব ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হইতে এফিডেভিট করার বাধ্যতামূলক নিয়ম না থাকলে আপনি আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে নোটারীর মাধ্যমেও করতে পারেন।
এফিডেভিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে একজন আইনজীবীর সহযোগিতা নেওয়া উত্তম। এবং এফিডেভিট নোটারীকৃত করার ক্ষেত্রে আইনজীবী কর্তৃক সত্যায়ন ও স্বা্ক্ষরও লাগে। জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি পোস্টই উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আমার একটি প্রস্তাবনা ছিলঃ মেয়ে তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। মেয়ের নামে কিছু জমি কিনেছিলেন বাবা। তখনো জন্ম নিবন্ধনের বিষয় ছিল না। ক্লাস নাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় মেয়ে তার নাম পরিবর্তন করে। পিতার নাম একই থাকে।
পরবর্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্রও সেই নতুন নামে করা হয়। এই সমস্যায় অনেকেই পড়েছেন। জমির মালিকের নাম এবং সার্টিফিকেট বা জাতীয় পরিচয়পত্রে ভিন্ন নামসংক্রান্ত জটিলতা এবং সমাধানে উপায় নিয়ে যদি একটি পোস্ট দিতেন।