ঘি খাওয়ার নিয়ম ও খাঁটি ঘি এর উপকারিতা
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা ঘি যেহেতু একটি উপকারী খাবার তাই ঘি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী । কারণ প্রতিটা জিনিসের উপকারের পাশাপাশি তার অপব্যবহারে জন্য অপকারিতাও রয়েছে । একটি শক্তিবর্ধক এবং উপকারী খাদ্য উপাদান হিসেবে আমাদের সকলের কাছেই একটি পরিচিত খাবারের নাম হল ঘি। ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ঘি বাঙালিদের জন্য একটি সুপার ফুড। ভোজন রসিক আমরা এই ঐতিহ্যবাহী পণ্য খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বাড়াতে খেয়ে থাকি। তবে আমরা বেশিরভাগ মানুষ এর পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অবগত নই।
ঘি খাওয়ার নিয়ম ও খাঁটি ঘি এর উপকারিতা
ঘি খাওয়ার নিয়ম ঘি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি। এটি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর একটি ভালো উৎস। ঘি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
ঘি খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে। দুপুরের খাবারের সাথে এক চা চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে। রাতের খাবারের সাথে এক চা চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে। ঘি বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, ভাত, রুটি, তরকারি, ডাল, মাছ, মাংস, ইত্যাদি।
ঘি খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। যদি আপনার কোলেস্টেরল বা ওজনের সমস্যা থাকে, তাহলে ঘি খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। খাঁটি ঘি এর উপকারিতা খাঁটি ঘি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। খাঁটি ঘি এর কিছু উপকারিতা হলো
আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও এটি খাওয়ার নিয়ম
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে লুব্রিকেট করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ঘি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে ঘি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমায়।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায় এবং হাড়ের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সাহায্য করে। সুতরাং, ঘি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। নিয়মিত খাঁটি ঘি খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা
ঘি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি। এটি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর একটি ভালো উৎস। ঘি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা হলো হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে লুব্রিকেট করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ঘিতে থাকা বুট্রিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ঘি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং HDL (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ঘিতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি রক্তের প্রবাহে কোলেস্টেরলকে শোষণ করতে বাধা দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ায়। ঘিতে থাকা ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে ঘি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমায়। ঘিতে থাকা বুট্রিক অ্যাসিড চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
আরো পড়ুন: প্রতিদিন দুধ খেলে কি হয়? দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা
এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ঘিতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায় এবং হাড়ের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। ঘিতে থাকা ভিটামিন ডি হাড়ের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ঘি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সাহায্য করে। ঘিতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
তবে, প্রতিদিন ঘি খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ঘি খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি আপনার কোলেস্টেরল বা ওজনের সমস্যা থাকে, তাহলে ঘি খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। সাধারণভাবে, প্রতিদিন এক থেকে দুই চা চামচ খাঁটি ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ঘি খাওয়ার ক্ষতি
ঘি একটি পুষ্টিকর খাবার যা ভিটামিন এ, ই, এবং ডি এর একটি ভালো উৎস। এটি ত্বক, চুল, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে, অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই অতিরিক্ত ঘি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি ঘিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে রক্তনালীতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি ঘিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পাশাপাশি ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণও কিছুটা থাকে। অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাটের কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
অ্যালার্জি ঘিতে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ঘি খেয়ে কারও যদি পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বা অন্যান্য অ্যালার্জির উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে ঘি খাওয়া বন্ধ করা উচিত। ঘি খাওয়া কাদের জন্য ক্ষতিকর? উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ থাকলে উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ থাকলে ঘি খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ ঘি রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা এই রোগের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: শীতের সেরা ১০ পিঠার নাম সম্পর্কে জেনে নিন
ওজন বেশি থাকলে ওজন বেশি থাকলে ঘি খাওয়া এড়ানো উচিত। কারণ ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, যা ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের ঘি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং ফ্যাট থাকে, যা গর্ভকালীন বা স্তন্যদানকালীন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কিভাবে ঘি খাওয়া নিরাপদ? ঘি খাওয়ার সময় নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ঘি একটি পুষ্টিকর খাবার হলেও অতিরিক্ত ঘি খাওয়া ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন দুই চা চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিত নয়। নিয়মিত ব্যায়াম করা ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই ঘি খেলে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত, যাতে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলা যায়।
অন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে খাওয়া ঘিকে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে খাওয়া উচিত। যেমন, ফল, সবজি, এবং হালকা আমিষ।
ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়
ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালে খালি পেটে। আয়ুর্বেদের মতে, সকালে খালি পেটে ঘি খেলে তা অনেক উপকার করে। এটি শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, ত্বককে সুন্দর করে এবং শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে, সকালে খালি পেটে ঘি খেতে গেলে প্রথমে সামান্য পরিমাণে খেয়ে দেখতে হবে। যদি কোনও সমস্যা না হয়, তবে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঘি খেতে পারেন। এছাড়াও, দুপুরের খাবারের পর বা রাতের খাবারের আগে ঘি খাওয়া যেতে পারে। এতে হজমে সাহায্য হয় এবং পেট ভরা থাকে।
ঘি খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, ঘি খাওয়ার আগে অবশ্যই তা গরম করে নিতে হবে। ঘি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের ঘি কম খাওয়া উচিত। সাধারণত, প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে।
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার। গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে শরীরে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতাগুলো হলো শক্তি বৃদ্ধি করে গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয়। এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে। পানির অভাব দূর করে গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে শরীরে পানির অভাব দূর হয়। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায় গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এতে থাকা বাট্রিক অ্যাসিড অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। ত্বক সুন্দর করে গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে ত্বক সুন্দর হয়। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই ত্বকের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে গরম ভাতে ঘি মেখে খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং চুলকে নরম ও মসৃণ রাখে। গরম ভাতে ঘি খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, ঘি খাওয়ার আগে অবশ্যই তা গরম করে নিতে হবে। ঘি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের ঘি কম খাওয়া উচিত। সাধারণত, প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ঘি খাওয়া যেতে পারে।
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার নিয়ম হলো বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো শুরু করার বয়স বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো শুরু করার বয়স হলো ৬ মাস। এর আগে বাচ্চাদের হজমশক্তি ভালো হয় না, তাই ঘি খাওয়ালে বদহজম বা ডায়রিয়া হতে পারে।
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো শুরু করার পরিমাণ বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো শুরু করার পরিমাণ হলো ১/২ চা চামচ। প্রতিদিন অল্প অল্প করে ঘি খাওয়ানো শুরু করতে হবে। বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানোর উপায় বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গরম ভাতে বা দইয়ে মেখে খাওয়ানো। এছাড়াও, বাচ্চাদের খাবারে ঘি যোগ করে খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানোর সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, ঘি খাওয়ার আগে অবশ্যই তা গরম করে নিতে হবে। ঘি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। যাদের বাচ্চাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তাদের ঘি কম খাওয়া উচিত। সাধারণত, প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ঘি বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের ঘি খাওয়ার কিছু উপকারিতা হলো হজমশক্তি বাড়ায় ঘি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা বাট্রিক অ্যাসিড অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে।
শক্তি বৃদ্ধি করে ঘি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। ত্বক সুন্দর করে ঘি ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই ত্বকের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ঘি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ই চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং চুলকে নরম ও মসৃণ রাখে। তাই, বাচ্চাদের ঘি খাওয়ানো উচিত। তবে, পরিমিত পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ঘি খাওয়ার উপকারিতা ঘি একটি প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান যা দুধ থেকে তৈরি হয়। এটি চর্বিযুক্ত খাবার হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ঘি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘি হজম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি পরিপাকতন্ত্রকে লুব্রিকেট করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ঘি খাওয়া অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে, যা হজমে সাহায্য করে এবং যা শরীরে পুষ্টি বাড়ায়।
চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, চোখের শুষ্কতা দূর করতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘি ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে, ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ঘি খাওয়ার অপকারিতা ঘি একটি চর্বিযুক্ত খাবার হওয়ায় এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। ঘিতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ঘি খাওয়ার অপকারিতাগুলির মধ্যে রয়েছে
আরো পড়ুন: রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও মানবদেহে রোজার প্রভাব
ওজন বৃদ্ধি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খাওয়া ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি ঘিতে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া কিছু লোকের ঘি খেলে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ফুসকুড়ি, চুলকানি, বমি বমি ভাব ও বমি।
ঘি খাওয়ার পরিমাণ স্বাস্থ্যকর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ঘি খাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তবে যাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের ঘি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ঘি এর উপকারিতা ও ব্যবহার
গরুর ঘি কোলেস্টেরলের সমস্যার চিকিৎসায় খুবই উপকারী। গরুর ঘি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা দূর করে। চোখের জ্যাতি বাড়ায়। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনে ব্যবহৃত হয় ঘি। মানসিক চাপ,উদ্বেগ কমিয়ে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ঘি হলো প্রদাহ বিরোধী। ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি। গর্ভকালীন ঘি খাওয়া অনেক উপকারী। তবে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে নিতে হবে। ঘি খেলে মিনারেল ও ফ্যাটি এসিড ভালোভাবে শোষিত হয়। ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া মুখের ঘাসহ যেকোন সমস্যা দূরে রাখে।
ঘি পুষ্টিকর ও নিরাময়কারী। কেউ কেউ ওজন কমানোর জন্য ঘি খেয়ে থাকে আবার কেউ ওজন বাড়াতে। হার্টের যেকোন সমস্যায় ঘি অত্যন্ত উপকারী। এজন্য শরীরের সুস্থতার কথা বিবেচনা করে ঘি খাওয়া শুরু করুন।
ঘি এর ব্যবহার যাঁরা ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেন, তাঁরা সবসময় আয়ুর্বেদিক টিপসও মেনে চলেন। রান্নাঘরের অতিসাধারণ উপাদান এই ঘি। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে। ঘি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ঘিয়ের মধ্যে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে। রাতে নাইট ক্রিম হিসেবে ঘি ব্যবহার করলে আপনি ত্বকের বার্ধক্যও রুখে দিতে পারবেন।
রাতে ঘি খেলে কি হয়
ঘি মেশানো দুধ হজমে সাহায্যকারী এনজাইমের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। বিপাকক্রিয়ার হার বেড়ে যায় এবং পাচনতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। অন্ত্রের টক্সিন পদার্থ পরিষ্কার করে। দুধের সঙ্গে ঘিয়ের মিশ্রণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
গাঁটের ব্যথা কমাতে বেশ উপকারী এই পানীয়। ঘি-তে থাকা ভিটামিন কে-২ হাড়কে দুধের ক্যালশিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় শক্তিশালী হয়। বয়স হলে নিয়মিত এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে।
মানসিক চাপের কারণে অনেকের রাতের পর রাত ঘুম হয় না। ঘি মেশানো এক কাপ দুধ আপনার স্নায়ুকে শান্ত করে, ফলে চটজলদি ঘুম আসে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতেও এই পানীয় বেশ উপকারী। ঘি এবং দুধ উভয়ই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার।
ত্বক উজ্জ্বল করতে দুই উপাদানেরই জুড়ি নেই। দূষণ এবং মানসিক ক্লান্তির কারণে অনেক সময় ত্বক নিস্তেজ দেখায়। রাতে দুধ এবং ঘি খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ঘি-সহ দুধ খাওয়া যৌনজীবনের পক্ষেও ভাল। এটি বীর্য উৎপাদনের সঙ্গে যৌনশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।