অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় পাইলস একটি অতি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি অর্শ রোগ নামেও পরিচিত। অনেকেই এই সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলেও এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইতে বা ডাক্তার দেখাতে সংকোচ বোধ করেন। ক্ষেত্রবিশেষে পাইলস এর সঠিক চিকিৎসার বদলে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি ঔষধ ও অন্যান্য টোটকা গ্রহণ করেন। অর্শ রোগ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার

অর্শ বা পাইলস রোগের লক্ষণ অর্শ বা পাইলস রোগের প্রধান লক্ষণ হল মলদ্বারে রক্তপাত। এই রক্তপাত সাধারণত মলত্যাগের সময় হয়, তবে কখনও কখনও মলত্যাগের পরেও হতে পারে। অর্শের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মলদ্বারে জ্বালাপোড়া মলদ্বারে ফোলাভাব মলদ্বারে চুলকানি

অর্শ বা পাইলস রোগের ঘরোয়া প্রতিকার অর্শ বা পাইলস রোগের কিছু ঘরোয়া প্রতিকার হল হাইড্রেটেড থাকুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং ডাল।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন নিয়মিত ব্যায়াম করলে মল পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়। গরম সেঁক দিন মলদ্বারে গরম সেঁক দিলে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। লোশন বা মলম ব্যবহার করুন ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে কিছু লোশন বা মলম ব্যবহার করা যেতে পারে।
অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রোপচার করা হয়। ওষুধের মধ্যে রয়েছে ব্যথানাশক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ এবং মল নরম করার ওষুধ। অস্ত্রোপচারের মধ্যে রয়েছে পাইলেক্টমি (piles removal), শ্লেষ্মাঝিল্লি সংকোচন (sphincterotomy) এবং ইনজেকশন থেরাপি।

অর্শ বা পাইলস রোগ প্রতিরোধ হাইড্রেটেড থাকুন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন নিয়মিত ব্যায়াম করলে মল পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়।

দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে মলদ্বারে রক্ত জমে পাইলস হতে পারে। মলত্যাগের সময় জোর করবেন না মলত্যাগের সময় জোর করলে মলদ্বারে চাপ পড়ে পাইলস হতে পারে। অর্শ বা পাইলস রোগের জটিলতা

অর্শ বা পাইলস রোগের কিছু জটিলতা হল রক্তশূন্যতা: দীর্ঘস্থায়ী অর্শ থেকে রক্তপাত হলে রক্তশূন্যতা হতে পারে। সংক্রমণ: অর্শের ফোলা অংশে সংক্রমণ হতে পারে। পাইলস বেরিয়ে আসা: অর্শের ফোলা অংশ মলদ্বার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। পাইলস ভেঙ্গে যাওয়া: অর্শের ফোলা অংশ ভেঙ্গে গেলে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হতে পারে।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়

পাইলস বা অর্শ একটি সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষকে হতে পারে। পাইলস হলে মলদ্বারে রক্তপাত, ব্যথা, জ্বালাপোড়া, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে

পাইলসের কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা পাইলসের কারণ নির্ণয় করে তার সঠিক চিকিৎসা করা হলে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পাইলসের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বংশগত কারণ

পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকার পাইলসের কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে উপশম করা যেতে পারে। পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া নিয়মিত ব্যায়াম করা মলত্যাগের সময় জোর না করা মলদ্বারে গরম সেঁক দেওয়া লোশন বা মলম ব্যবহার করা

আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে যেসব খাবার ভুলেও খাওয়া ঠিক নয়

পাইলসের অস্ত্রোপচার পাইলসের লক্ষণগুলি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাইলস অপসারণ করা যেতে পারে। পাইলসের অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাইলেক্টমি এই পদ্ধতিতে পাইলসকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা হয়। শ্লেষ্মাঝিল্লি সংকোচন এই পদ্ধতিতে পাইলসের চারপাশের শ্লেষ্মাঝিল্লি সংকুচিত করা হয়।

ইনজেকশন থেরাপি এই পদ্ধতিতে পাইলসের মধ্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা পাইলসকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচের নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। পানি পান করলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং ডাল ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মল পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়।

দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে মলদ্বারে রক্ত জমে পাইলস হতে পারে। মলত্যাগের সময় জোর করবেন না। মলত্যাগের সময় জোর করলে মলদ্বারে চাপ পড়ে পাইলস হতে পারে। 

পাইলসের লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। পাইলসের লক্ষণগুলি দীর্ঘস্থায়ী হলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে হলে উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে চলা এবং একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

পাইলস এর লক্ষণ ও প্রতিকার

পাইলসের প্রধান লক্ষণ হল মলদ্বারে রক্তপাত। এই রক্তপাত সাধারণত মলত্যাগের সময় হয়, তবে কখনও কখনও মলত্যাগের পরেও হতে পারে। পাইলসের অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মলদ্বারে জ্বালাপোড়া মলদ্বারে ফোলাভাব মলদ্বারে চুলকানি পাইলসের প্রতিকার 

পাইলসের প্রতিকারের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে পাইলসের কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা: পাইলসের কারণ নির্ণয় করে তার সঠিক চিকিৎসা করা হলে পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পাইলসের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে

আরো পড়ুন: বাচ্চাদের দুধের প্যাকেট কোনটা ভালো জানা আছে কি

নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বংশগত কারণ পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকার: পাইলসের কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে উপশম করা যেতে পারে। পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া নিয়মিত ব্যায়াম করা মলত্যাগের সময় জোর না করা

মলদ্বারে গরম সেঁক দেওয়া লোশন বা মলম ব্যবহার করা পাইলসের অস্ত্রোপচার পাইলসের লক্ষণগুলি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাইলস অপসারণ করা যেতে পারে। পাইলসের অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে

পাইলেক্টমি: এই পদ্ধতিতে পাইলসকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা হয়। শ্লেষ্মাঝিল্লি সংকোচন এই পদ্ধতিতে পাইলসের চারপাশের শ্লেষ্মাঝিল্লি সংকুচিত করা হয়। ইনজেকশন থেরাপি এই পদ্ধতিতে পাইলসের মধ্যে ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা পাইলসকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে।

পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকার পাইলসের কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে উপশম করা যেতে পারে। পাইলসের ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। পানি পান করলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং ডাল ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে মল পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং মলত্যাগ সহজ হয়।

দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। দীর্ঘক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে মলদ্বারে রক্ত জমে পাইলস হতে পারে। মলত্যাগের সময় জোর করবেন না। মলত্যাগের সময় জোর করলে মলদ্বারে চাপ পড়ে পাইলস হতে পারে। মলদ্বারে গরম সেঁক দেওয়া মলদ্বারে গরম সেঁক দিলে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে

অর্শ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

স্থূল বা পাইলস হ'ল মলদ্বারগুলি মলদ্বার বা মলদ্বারের চারপাশে ফোলা। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা যে কোনও বয়সে হতে পারে তবে এটি সাধারণত 40 থেকে 50 বছর বয়সে দেখা যায় the পর্বের মূল কারণটি হ'ল কোষ্ঠকাঠিন্য, যা মলটিতে অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং মলদ্বার এবং রক্তনালীগুলিকে জোর দেয় মলদ্বারে অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে

গর্ভধারণ ভারী বস্তু উত্তোলন অতিরিক্ত ওজন দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া বা আমাশয় কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ অর্শের প্রধান লক্ষণগুলি হল মলত্যাগের সময় রক্তপাত মলদ্বারে ব্যথা বা অস্বস্তি মলদ্বারে চুলকানি মলদ্বারে একটি গোটা অর্শের চিকিৎসা নির্ভর করে এর তীব্রতার উপর। হালকা অর্শের ক্ষেত্রে, ঘরোয়া প্রতিকারগুলি প্রায়ই উপশম দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে

পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মলত্যাগে কষ্ট হলে মল নরম করার ওষুধ সেবন করা মলদ্বারে ঠান্ডা সংকোচন ব্যবহার করা গুরুতর অর্শের ক্ষেত্রে, সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে। সার্জারির বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন ট্রেপিং এই পদ্ধতিতে, অর্শের রক্তনালীগুলিকে ক্ল্যাম্প বা বেঁধে দেওয়া হয়। হেমোরেকটোমি এই পদ্ধতিতে, অর্শগুলিকে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হয়।

অর্শ থেকে মুক্তির জন্য নিচের টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন, বিশেষ করে জল। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন শাকসবজি, ফল, ওটস এবং বাদাম। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

মলত্যাগের সময় কঠোর না হন। যদি মলত্যাগ করতে কষ্ট হয়, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন এবং পরে আবার চেষ্টা করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে ওষুধ সেবন করুন, যদি প্রয়োজন হয়। অর্শের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার রোগের কারণ নির্ণয় করে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

কি খেলে পাইলস ভালো হয়

পাইলস বা অর্শ হল মলদ্বারে বা মলদ্বার ও মলদ্বারের নিচের অংশে কিছু শিরা ফুলে যাওয়া। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত ভার উত্তোলন, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা, গর্ভধারণ, জন্মদান ইত্যাদি কারণে হতে পারে। পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাইলসের সমস্যা থাকলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত সেগুলো হল

অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার: আঁশযুক্ত খাবার মলকে নরম করে এবং মলত্যাগকে সহজ করে তোলে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, যা পাইলসের অন্যতম প্রধান কারণ। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, যেমন পালং শাক, লাল শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ইত্যাদি ফল, যেমন আপেল, কলা, আঙুর, কিশমিশ, আলুবোখারা, ইত্যাদি

আরো পড়ুন: খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার ৭টি লক্ষণ

শুকনো ফল, যেমন খেজুর, কিশমিশ, ইত্যাদি ডাল, যেমন ছোলা, মুগ ডাল, ইত্যাদি জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

মাংস ডিম দুধ ডাল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ভিটামিন সি কোষের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এতে পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কমলা ব্রোকলি টমেটো ক্যাপসিকাম পাইলসের সমস্যা থাকলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলো হল

মসলাযুক্ত খাবার মসলাযুক্ত খাবার মলদ্বারে জ্বালাপোড়া করে এবং পাইলসের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। ভাজাপোড়া খাবার: ভাজাপোড়া খাবার হজম করতে কষ্ট হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালকোহল: অ্যালকোহল কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে। কফি কফি কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে।

পাইলসের সমস্যা থাকলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা উচিত।

পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়

পাইলস হলে যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলো হল মলত্যাগের সময় রক্তপাত: পাইলসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল মলত্যাগের সময় রক্তপাত। রক্তপাত সাধারণত উজ্জ্বল লাল রঙের হয় এবং পায়খানার সাথে মিশে যায়। মলদ্বারে চুলকানি পাইলস আক্রান্ত স্থানে চুলকানি হতে পারে।

মলদ্বার থেকে টিউমার বেরিয়ে আসা পাইলস বড় হলে মলদ্বার থেকে টিউমার বেরিয়ে আসতে পারে।
মলত্যাগে অসুবিধা: পাইলস মলদ্বারকে সংকুচিত করে ফেলতে পারে, ফলে মলত্যাগে অসুবিধা হতে পারে।

পাইলসের তীব্রতা অনুসারে সমস্যার তীব্রতাও পরিবর্তিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলসের সমস্যা সাধারণত হালকা হয় এবং জীবনযাত্রায় খুব একটা প্রভাব ফেলে না। তবে পাইলস দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্র হলে সমস্যাগুলি আরও গুরুতর হতে পারে।

পাইলসের চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলস সাধারণত জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। তবে তীব্র পাইলসের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

অর্শ রোগ হলে কি কি খাওয়া নিষেধ

যেসব খাবারে ফাইবার কম থাকে, সেই খাদ্যগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাতকরণ দানা শস্য খেলে বাড়তে পারে সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস বা অর্শ রোগীদের মাংস খাওয়া উচিত নয়। কারণ বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত মাংস বাড়িয়ে দিতে পারে অর্শের সমস্যা।

যে সব খাবারে ফাইবার কম থাকে, সেই খাদ্যগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষত রিফাইনারিতে তৈরি দানা শস্য খেলে বাড়তে পারে সমস্যা। দুধ ও পনির বা চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবারের পরিমাণ কামালে উপকার মিলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংস খাওয়া অর্শ রোগীদের পক্ষে ভাল নয়। বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত মাংস বাড়িয়ে দিতে পারে অর্শের সমস্যা।

বেশি তেলে ভাজা খাবারও ডেকে আনতে পারে সমস্যা। খাবারে অত্যধিক তেল, মশলা ও নুন থাকলে পেটের গোলযোগ দেখা দিতে পারে। মদ্যপান বন্ধ করা জরুরি।

পাইলস এর প্রাথমিক লক্ষণ

পাইলস বা পাইলস হ'ল মলদ্বারগুলি মলদ্বার বা মলদ্বারে ফুলে যায়। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা যে কোনও বয়সে হতে পারে তবে এটি সাধারণত 40 থেকে 50 বছর বয়সে দেখা যায়। পাইলসের প্রাথমিক লক্ষণ হল মলত্যাগের সময় রক্তপাত। 

এই রক্তপাত সাধারণত উজ্জ্বল লাল রঙের হয় এবং পায়খানার সাথে মিশে যায়। তবে, কখনও কখনও রক্তপাত পায়খানার সাথে মিশে নাও যেতে পারে এবং মলত্যাগের পরে টয়লেট পেপারে দেখা যেতে পারে।

মলদ্বারে চুলকানি মলত্যাগে অসুবিধা পাইলসের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার রোগের কারণ নির্ণয় করে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মলত্যাগের সময় জোর করবেন না। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করুন।

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু উপায় হল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে মল নরম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলসের একটি প্রধান কারণ। 

তাই পাইলসের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন অন্তত 25 গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, ওটস, বাদাম এবং বীজ। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন পানি পান করলে মল নরম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত 8-10 গ্লাস পানি পান করা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন নিয়মিত ব্যায়াম করলে মলত্যাগের সময় জোর লাগতে হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়। মলত্যাগের সময় জোর করবেন না মলত্যাগের সময় জোর করলে মলদ্বারের রক্তনালীগুলি ফুলে যেতে পারে এবং পাইলসের সমস্যা হতে পারে। তাই মলত্যাগের সময় জোর করবেন না।

মলত্যাগের সময় পর্যাপ্ত সময় নিন মলত্যাগের সময় পর্যাপ্ত সময় নিন। তাড়াহুড়ো করে মলত্যাগ করলে মলদ্বারের রক্তনালীগুলি ফুলে যেতে পারে এবং পাইলসের সমস্যা হতে পারে। টয়লেট পেপার ব্যবহারের পরিবর্তে ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন টয়লেট পেপার ব্যবহার করলে মলদ্বারে ঘষা লাগতে পারে এবং পাইলসের সমস্যা হতে পারে। 

আরো পড়ুন: শীতে হাত পা ফর্সা করার উপায় বিস্তারিত জানুন

তাই টয়লেট পেপার ব্যবহারের পরিবর্তে ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। ঠান্ডা সেঁক দিন মলদ্বারে ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমে যায়। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা জেল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি। এটি মলদ্বারে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।

নারিকেল তেল ব্যবহার করুন নারিকেল তেল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। এটি মলদ্বারে ব্যথা, জ্বালাপোড়া এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গোসল করার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন গোসল করার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে মলদ্বারে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমে যায়।

ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করুন মলদ্বারে ব্যথা হলে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে, ব্যথানাশক ওষুধ বেশিদিন সেবন করলে পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি পাইলসের লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকলে বা তীব্রতর হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন