কিডনির সমস্যা বোঝার ১০টি উপায়?

কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে কিডনি রোগের লক্ষণগুলোর কথাপ্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। কিডনির সমস্যা বোঝার ১০টি উপায়

কিডনির সমস্যা বোঝার ১০টি উপায়

শরীরের অন্দরে কোনও অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। বিশেষ করে কিডনিতে সমস্যা তৈরি হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে অন্যটি দিয়ে। ফলে ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না।

কিডনির সমস্যা বোঝার ১০টি উপায়

প্রস্রাবের রং পরিবর্তন কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হতে পারে। স্বাভাবিক প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ বা সাদা হয়। যদি প্রস্রাব গাঢ় হলুদ, কমলা, লাল, বা বাদামী হয়, তাহলে এটি কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

প্রস্রাবের পরিমাণ পরিবর্তন কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে বা বেড়ে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক দিনে প্রায় ৬ থেকে ৮ বার প্রস্রাব করে। যদি প্রস্রাব করার ইচ্ছা কমে যায় বা প্রস্রাব করার জন্য রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়, তাহলে এটি কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

আরো পড়ুন: হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেসার বাড়ে

প্রস্রাবের সাথে ব্যথা কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের সাথে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা কোমর, পিঠ, বা তলপেটে হতে পারে। শরীর ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যা হলে শরীর ফুলে যেতে পারে। এই ফোলাভাব পা, হাত, বা মুখে হতে পারে।

শরীরে দুর্বলতা কিডনির সমস্যা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, মাথাব্যথা, বমিভাব, বা বমি হতে পারে। চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া কিডনির সমস্যা হলে চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে জন্ডিস বলা হয়।

শ্বাসকষ্ট কিডনির সমস্যা হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। জ্বর কিডনির সমস্যা হলে জ্বর হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির সমস্যা হলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। রক্তে ইউরিয়া বা ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি কিডনির সমস্যা হলে রক্তের ইউরিয়া বা ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়।

যদি আপনার এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলো পরীক্ষা করে কিডনির সমস্যা আছে কি না তা নির্ণয় করতে পারবেন।

কিডনির সমস্যা প্রতিরোধের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন। ধূমপান ত্যাগ করুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন। 

কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়

কিডনির সমস্যা হলে ব্যথার স্থান নির্ভর করে কিডনির সমস্যার ধরণের উপর। সাধারণত, কিডনির সমস্যা হলে নিচের স্থানে ব্যথা হতে পারে কোমরের দুই পাশে কিডনি আমাদের শরীরের পিঠের অংশে, পাঁজরের নিচে অবস্থিত। তাই কিডনির সমস্যা হলে কোমরের দুই পাশে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত তীব্র এবং স্থায়ী হয়।

তলপেটে কিডনি থেকে মূত্রনালী হয়ে মূত্রথলিতে মূত্র আসে। তাই কিডনির সমস্যা হলে তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত কোমরের ব্যথার চেয়ে কম তীব্র হয় এবং প্রস্রাবের সাথে যুক্ত থাকে।

প্রস্রাবের সময় বা পরে কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের সময় বা পরে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত জ্বলন্ত বা ছিদ্র করার মতো অনুভূত হয়।

আরো পড়ুন: আনারস খেলে কি হয়? আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা কি?

কিডনিতে পাথর হলে কিডনিতে পাথর হলে ব্যথা সাধারণত কোমরের একপাশে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তলপেটে বা পুরো পিঠে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা তীব্র এবং স্থায়ী হয়।

কিডনিতে সংক্রমণ হলে কিডনিতে সংক্রমণ হলে ব্যথা সাধারণত কোমরের দুই পাশে অনুভূত হয়। এই ব্যথার সাথে জ্বর, শীত লাগা, বমিভাব, বা বমি হতে পারে। কিডনিতে ক্যান্সার হলে কিডনিতে ক্যান্সার হলে ব্যথা সাধারণত কোমরের দুই পাশে অনুভূত হয়। এই ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং স্থায়ী হয়।

যদি আপনার কিডনির সমস্যার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলো পরীক্ষা করে কিডনির সমস্যা আছে কি না তা নির্ণয় করতে পারবেন এবং সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।

সুস্থ কিডনির লক্ষণ

সুস্থ কিডনির লক্ষণগুলো হল প্রস্রাবের রং হালকা হলুদ বা সাদা হয়। প্রস্রাবের পরিমাণ দিনে ৬ থেকে ৮ বার হয়। প্রস্রাবের সাথে ব্যথা হয় না। শরীর ফুলে যায় না। শরীরে দুর্বলতা হয় না। চোখের সাদা অংশ হলুদ হয় না। শ্বাসকষ্ট হয় না। জ্বর হয় না। রক্তে ইউরিয়া বা ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।

যদি আপনার কিডনির সমস্যার কোনো লক্ষণ না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার কিডনি সুস্থ আছে। তবে, সুস্থ কিডনি ধরে রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন।

ধূমপান ত্যাগ করুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন। কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত কিডনির সমস্যা হলে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা কিডনির ওপর কম চাপ সৃষ্টি করে। এই খাবারগুলোতে প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে।

প্রোটিন কিডনি প্রোটিনকে ভাঙতে এবং শরীর থেকে অপসারণ করতে সাহায্য করে। কিডনির সমস্যা থাকলে প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়। প্রতিদিনের খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ ০.৮ থেকে ১.০ গ্রাম প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য রাখতে হবে।

ফসফরাস ফসফরাস হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে, কিডনি সমস্যা থাকলে ফসফরাসের মাত্রা বেশি হলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই ফসফরাসযুক্ত খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

পটাশিয়াম পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে, কিডনি সমস্যা থাকলে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি হলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। তাই পটাশিয়ামযুক্ত খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

কিডনির সমস্যা হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফল ও শাকসবজি ফল ও শাকসবজিতে প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত।

** whole grains** whole grains-এ প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে whole grains-ও খাওয়া উচিত। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

মাছ মাছে প্রোটিন থাকে তবে ফসফরাসের মাত্রা কম থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে মাছ খাওয়া যেতে পারে। বাদাম ও বীজ বাদাম ও বীজে প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে বাদাম ও বীজ সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

কিডনির সমস্যা হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলোর মধ্যে রয়েছে  প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

রক্তের মাংস রক্তের মাংসে প্রোটিন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে রক্তের মাংস এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

কিডনির সমস্যা থাকলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত। ডাক্তার আপনার কিডনির সমস্যার ধরন এবং তীব্রতার উপর ভিত্তি করে আপনাকে সঠিক খাদ্যতালিকা দেবেন।

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

কিডনি ইনফেকশন, যাকে পাইলোনেফ্রাইটিসও বলা হয়, হলো কিডনির সংক্রমণ। এটি প্রায়শই মূত্রনালী বা মূত্রথলির সংক্রমণ (ইউটিআই) থেকে ছড়ায়। কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর পিঠের নিচের দিকে ব্যথা, বিশেষ করে একপাশে

ঘন ঘন প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ বা লাল প্রস্রাবে প্রোটিন কিডনি ইনফেকশনের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত মুখে নেওয়া হয়, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের জন্য স্থায়ী হয়। কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে নিয়মিত প্রস্রাব করা যৌন মিলনের পরে মূত্রনালী পরিষ্কার করা

আরো পড়ুন: ঘি খাওয়ার নিয়ম ও খাঁটি ঘি এর উপকারিতা

ডায়াপার পরিবর্তন করার পরে শিশুদের মূত্রনালী পরিষ্কার করা মূত্রথলির সংক্রমণের চিকিৎসা করা যদি আপনি কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। চিকিত্সা না করা হলে কিডনি ইনফেকশন গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কিডনি ব্যর্থতা।

কিডনি রোগ কি ভাল হয়

কিডনি রোগের ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে এটি ভাল হতে পারে কিনা। আকস্মিক কিডনি রোগ সাধারণত দ্রুত বিকাশ লাভ করে এবং তীব্র হয়। এই ধরনের কিডনি রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরোপুরি নিরাময় করা যায়।

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে। এই ধরনের কিডনি রোগের অনেক কারণ রয়েছে, যেমন ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ দীর্ঘস্থায়ী মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) কিছু ওষুধ জেনেটিক অবস্থা

দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসার লক্ষ্য হলো কিডনির ক্ষতি রোধ করা এবং রোগের অগ্রগতি ধীর করা। এই ধরনের কিডনি রোগের চিকিৎসায় সাধারণত ওষুধ, ডায়েট পরিবর্তন এবং জীবনধারা পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকে।

কিডনি রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি, রোগের ঝুঁকি কমাতে নিচের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলা

যদি আপনার কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ থাকে তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। চিকিত্সা না করা হলে কিডনি রোগ গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কিডনি ব্যর্থতা।
কিডনি ব্যথা বোঝার উপায়

কিডনি ব্যথা সাধারণত কোমরের নিচের দিকে, পিঠের দুই পাশে অনুভূত হয়। ব্যথাটি ধারালো, তীব্র বা তীব্র হতে পারে এবং এটি হাঁটা, বসা বা শুয়ে থাকার মতো কার্যকলাপের দ্বারা বাড়তে পারে। কিডনি ব্যথার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া

প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হলুদ বা লাল প্রস্রাবে প্রোটিন জ্বর ক্লান্তি বমি বমি ভাব বা বমি শ্বাসকষ্ট কিডনি ব্যথার অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কিডনি সংক্রমণ কিডনি পাথর কিডনিতে ক্যান্সার
কিডনিতে রক্ত জমাট বাঁধা

কিডনিতে আঘাত ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ যদি আপনি কিডনি ব্যথা অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। চিকিত্সা না করা হলে কিডনি ব্যথা গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কিডনি ব্যর্থতা।

কিডনি ব্যথা বোঝার জন্য নিচের কয়েকটি টিপস রয়েছে ব্যথার অবস্থান এবং তীব্রতা সম্পর্কে চিন্তা করুন। ব্যথার সাথে সাথে অন্যান্য কোনও লক্ষণ আছে কিনা তা খেয়াল করুন। আপনার ব্যথার কারণ হতে পারে এমন কোনও সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করুন।

আপনার ব্যথার কারণ নির্ধারণ করতে আপনার ডাক্তার আপনার চিকিৎসা ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করবেন। কিডনি ব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। 

কিডনি সংক্রমণ বা কিডনি পাথরের কারণে ব্যথার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিডনিতে ক্যান্সার বা অন্য কোনও গুরুতর অবস্থার কারণে ব্যথার ক্ষেত্রে আরও জটিল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

কিডনি ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলা

কিডনি ব্যথা একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনি কিডনি ব্যথা অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে

কতদিন বাঁচতে পারবেন ডায়ালাইসিস? কিডনি ব্যর্থতার ক্ষেত্রে, আপনাকে হয় সারাজীবনের জন্য ডায়ালাইসিস চিকিত্সা করতে হবে বা আপনাকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। সাধারণত, ডায়ালাইসিসের মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তির গড় আয়ু 5-10 বছর হয় তবে কিছু ক্ষেত্রে, আয়ু 20 বছর বা তারও বেশি হয়ে যায়।

প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ কিডনি রোগীর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিয়েটিনের মাত্রা, ইউরিন মাইক্রো অ্যালবুমিনের মাত্রা, ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের মাত্রা, রোগীর ওজন ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে প্রোটিনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। 

আরো পড়ুন: শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে বুঝবেন কিভাবে? সমাধান কি

সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম প্রোটিন রোগীভেদে ডায়েটে দেয়া হয়ে থাকে। প্রাণীজ প্রোটিন থেকে রোগীর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। ডিমের সাদা অংশ, মুরগির বুকের মাংস, মাছ, দুধ বা দই থেকে নিদিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। 

অনেক রোগীদেরই একটি ভুল ধারণা থাকে যে, ৩০ গ্রাম প্রোটিন মানে ৩০ গ্রাম মাছ বা মাংস; যা সম্পূর্ণ ভূল। ৩০ গ্রাম প্রোটিন হলো ২৪ ঘণ্টায় রোগীর প্রোটিনের পরিমাণ। এক্ষেত্রে কতটুকু ওজনের মাছ বা মুরগির মাংসের টুকরা হবে তা হিসেব করে নির্ধারণ করেন একজন ডায়টেশিয়ান।

রক্তে ইলেকট্রোরাইট, ইউরিক এসিড ও শরীরে ইডিমার ওপরে ভিত্তি করে ফল ও শাকসবজির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ মিলি ইকুইভিন্টে পর্যন্ত পটাশিয়াম প্রতিদিন রোগীকে গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। 

এক্ষেত্রে কতটুকু ফল ও সবজি খাবে তা ডায়েটিশিয়ান নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে। পটাশিয়ানের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আপেল, নাসপাতি, পেয়ারা ও পেঁপে এই চারটি ফলই সাধারণত বরাদ্দ করা হয়। তবে পটাশিয়ামের মাত্রা ভেদে তা পরিবর্তন করা যেতে পারে। পিউরিন ও উচ্চ পটাশিয়াম যুক্ত সবজি যেমন ফুলকপি, মটরশুটি, টমেটো, ঢেড়শ, কচুরলতি আরও বেশ কিছু সবজি নিষেধের তালিকায় থাকে।

রোগীর ২৪ ঘণ্টায় তরলের চাহিদা সাধারণত রোগীর ওজন, ইডিমা, এস্টিমেটেড জিএফআর, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ক্রিয়েটেনের মাত্রা ও গ্রহণকৃত ওষুধের ওপর নির্ধারণ করা হয়। তরল মাপার ক্ষেত্রে সময়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে দেড় লিটার পানি রোগীকে বরাদ্দ করা হয়। যা পানি, চা, দুধ সবমিলিয়ে হিসাব করতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ (সিকেডি) হল একটি ধীরগতিতে বিকাশমান অবস্থা যা কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করে। সিকেডি হলে কিডনিগুলি এই কাজগুলি সঠিকভাবে করতে পারে না।

রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপ

ক্লান্তি অত্যধিক ক্লান্তি বা দুর্বলতা ফোলা পা, হাত, বা পেটে শ্বাসকষ্ট শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে ব্যায়াম করার সময় খাদ্য অরুচি ক্ষুধা হ্রাস বা ক্ষুধামন্দা মাথাব্যথা মাথাব্যথা উচ্চ রক্ত শর্করা ডায়াবেটিস রক্তশূন্যতা রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যাওয়া

সিকেডির ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপযুক্ত ব্যক্তিদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে আপনার কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

কিছু ওষুধ কিছু ওষুধ, যেমন নেফ্রোটক্সিক ওষুধ, কিডনি ক্ষতি করতে পারে। কিছু সংক্রমণ কিছু সংক্রমণ, যেমন মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই), কিডনি ক্ষতি করতে পারে। অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন রেনাল অ্যালকোহল, কিডনি ক্ষতি করতে পারে। সিকেডি প্রতিরোধের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে

ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলা ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা কিডনি ক্ষতি করতে পারে।

সিকেডি একটি গুরুতর অবস্থা যা গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কিডনি ব্যর্থতা। যদি আপনার সিকেডির লক্ষণ থাকে তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন