অসুস্থতা নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

বন্ধুর অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আশা করি আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির মাধ্যমে আপনি মানব জীবনের এই জটিল ধাতার রহস্য জানতে পারবেন। মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

বন্ধুর অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

আশা করি মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে এবং মহান সৃষ্টিকর্তার হৃদয় আপনারা সকলে ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও অধিকারী কামনা করি যাতে করে মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে সর্ব অবস্থায় ভালো এবং শান্তিতে রাখুন।

অসুস্থতা নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

আমরা জীবনে যতই সুখী হই না কেন এবং যতই সাফল্য অর্জন করি না কেন সবার প্রথমে আমাদের শরীর সুস্থ থাকতে হবে। অসুস্থ শরীরে কিছুই ভালো লাগেনা। কথায় বলে স্বাস্থ্যই সম্পদ। কথা টা একদম সত্যি। হাজারো সুখের মাঝে যদি শরীর অসুস্থ থাকে তাহলে আপনার কিছুই ভালো লাগবে না। তাই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুস্থ শরীর।

রক্তমাংসের শরীর অসুস্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। সব সময় একজন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে না। সামান্য শরীর খারাপ এবং অসুস্থতা আমরা সবাই বোধ করি। আমরা যখন অসুস্থ হই তখন বোঝা যায় যে সুস্থতা কতটা জরুরী। আমাদের বন্ধুবান্ধব যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার জন্য দোয়া এবং প্রার্থনা করে আমরা তাকে বিভিন্ন ধরনের এসএমএস দিতে পারি। 

আরো পড়ুন: ফেসবুক আইডি সমস্যার সমাধান

তাকে উদ্দেশ্য করে তাকে মেনশন দিয়ে তার সুস্থতা কামনা করে পোস্ট শেয়ার করতে পারি। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে সুস্থতা এবং শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

অসুস্থতা নিয়ে যদি কেউ পোস্ট শেয়ার করতে চায় তাহলে আজকে আমরা অসুস্থতা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের সামনে উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করব। চলুন আমরা প্রথমে অসুস্থতা নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস দেখে নি।

পৃথিবীতে যতই আনন্দ থাকুক না কেন সবচেয়ে আনন্দ তখনই পাওয়া যায় যখন শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে। শরীরের সামান্য একটু ব্যাথা থাকলেও সব সময় অশান্তি অনুভব হয়। পৃথিবীর সব সুখ একদিকে আর সুস্থ থাকাটা আরেকদিকে। কারণ সুস্থ থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরী।

আমরা অনেকে সুখের খোঁজে নিজের শরীর এর যত্ন নিতে ভুলে যায়। অল্প বয়সে শরীরের যত্ন না নিলে বৃদ্ধ বয়সে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য শত কাজের মধ্যেও আমাদের উচিত নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া।

শরীর যদি সুস্থ না থাকে তাহলে বোঝা যায় সুস্থ থাকাটা কত বেশি ভাগ্যের। আমরা যারা সুস্থ জীবন যাপন করি তারা বুঝতে পারি না যে অসুস্থদের জীবন যাপন কতটা কষ্টের।

আরো পড়ুন: ফেসবুকে স্টাইলিশ নাম লেখার পদ্ধতি

অসুস্থ মন এবং অসুস্থ শরীর দুইটাই সুস্থ জীবনের জন্য ভালো না। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে তাহলেই শারীরিক সুস্থতা আসবে। শারীরিকভাবে যদি অসুস্থ বোধ করো তাহলে মানসিকভাবে নিজেকে সুস্থ ভাবে গড়ে তুলতে হবে।

শুধু শারীরিক অসুস্থতাকে অসুস্থ বলে না। যাদের নিজ-মানসিকতা এবং মানসিক দিক থেকে যারা খুবই দুর্বল তারাই আসলে,, আসল অসুস্থ।

যারা নিজেকে সব সময় অসুস্থ মনে করে তারা সব সময় অসুস্থই থেকে যায়। নিজের শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেমন জীবনে চলার পথে অনেক বাধা আসে ,যারা এই বাধা গুলোকে উপেক্ষা করে তারাই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে।

কথায় বলে স্বাস্থ্যই সম্পদ। “health is wealth” শরীর সুস্থ থাকলে পৃথিবীর সব সুখ শান্তি খুব সহজে অনুভব করা যায়। শরীর যদি অসুস্থ থাকে তাহলে শত আনন্দ তেও আনন্দ পাওয়া যায় না। সুস্থ শরীরে পৃথিবীকে অনুভব করা যায়। অসুস্থরায় বোঝে সুস্থতার অভাব।

আমরা যারা সুস্থ জীবন যাপন করি তারা বুঝতে পারি না অসুস্থ মানুষের কতটা কষ্ট হয়। আমরা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন বুঝতে পারি যে সুস্থ থাকাটা কত জরুরী। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে।

এভাবে আমরা অসুস্থতা নিয়ে ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট আপডেট দিতে পারি। অসুস্থতা সম্পর্কে এভাবে ফেসবুকে অথবা ইনস্টাগ্রামে করে দিতে পারি। আমরা এখন বর্তমানে সবাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। 

দৈনিন্দন জীবন আমরা শেয়ার করে থাকি নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। এভাবে যখন আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন এরকম স্ট্যাটাস আপডেট দেওয়া যায়। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বুঝতে পারবেন অসুস্থতার সম্পর্কে কিভাবে স্ট্যাটাস আপডেট দেওয়া সম্ভব।

আমরা যখন অসুস্থ হই তখন সকলের কেয়ার এবং ভালোবাসা প্রত্যাশা করি। অসুস্থ হলে আমরা আপনজনদের ভালোবাসা এবং আদর আশা করি। এভাবে আমরা যদি নিজেদের অসুস্থতা সম্পর্কে স্ট্যাটাস আপডেট দিই তাহলে সবার গুড উইশেস এবং get well soon এসএমএস পাওয়া যায়। এগুলো এসএমএস পেতে আমাদের সকলেরই খুব ভালো লাগে।

অসুস্থতা নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস

মানুষের জীবনে অসুস্থ মহান আল্লাহ তাহলে আর পক্ষ থেকে আসে। অসুস্থতা নিয়ে আনুগত্য ও নাফরমানীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। একজন ঈমানদার ব্যক্তিও অসুস্থ হতে পারেন। এজন্য অসুস্থতার সাথে ঈমানের কোন সম্পর্ক নেই। 

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনিও অসুস্থ হয়েছেন। যে ছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে প্রিয়। তারাও অসুস্থ হয়েছেন এজন্যই বলা যায় অসুস্থতা এবং সুস্থতার সাথে নাফরমানীর তুলনা দেওয়া যাবে না। 

অসুস্থ সবাই হতে পারে কে কখনো অসুস্থ হবে এটা কেউ বলতে পারবে না শুধু আল্লাহ তাআলা ছাড়া। যদি আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে আল্লাহ তায়ালাকে মনে করুন। কারণ অসুস্থ আসে জীবনে আল্লাহর পক্ষ থেকেই মানুষের পরীক্ষা নিতে। আজকের এই পোস্টে অসুস্থতা নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি জানাবো।

আরো পড়ুন: আনারস খেলে কি হয়? আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা কি?

অসুস্থতার এবং রোগের কোন নিজস্ব শক্তি নেই। রোগ ব্যাধি দেওয়ার মালিক হলেন আল্লাহ। আল্লাহ যদি চায় সবাইকেই অসুস্থ করে দিতে পারেন আবার তিনি সবাইকে সুস্থ করতে পারেন। এই পৃথিবীতে কোন বস্তু নেই যে মানুষকে সুস্থ করতে পারে একমাত্র আল্লাহ যিনি সবাইকে সুস্থতা দান করে।

ইসলামে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অনেক কথা বলা হয়েছে। যদি আপনার জ্বর ও ঠান্ডা আসে তাহলে আপনি মধু পান করতে পারেন তাহলে আপনার জ্বর এবং ঠান্ডা চলে যাবে। কিন্তু বর্তমান সমাজে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে আল্লাহর নাম্বারে তারা হাসপাতালের পিছনেই বেশি দৌড়ায়। 

অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্লাহ তায়ালা কে মনে করুন তিনিই আপনাকে সুস্থতা দান করবেন কারণ তিনি সুস্থতা দান করার মালিক।

অসুস্থতা নিয়ে ইসলামিক উক্তি

অসুস্থ হতে অস্বীকার করো? নিজের কাছে বা কারো কাছে কখনো বলো না তুমি অসুস্থ। অসুস্থতা এমন জিনিস যার শুরুতেই প্রত্যকের বাঁধা প্রদান করা উচিৎ। বুলার স্টিন শুধমাত্র ভালবাসাই পারে সকল রোগের উপশম ঘটাতে। গতিয়ে রাজনীতি এবং সংস্কৃতি দুটো ভিন্ন বিষয়৷ এক রোগ অন্যটি স্বাস্থ্য। হুমায়ুন আজাদ

খেয়ে যার হজম হয়, রোগ তার চেয়ে দূরে রয়৷ চাণক্য অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু রওয়ানা দেয় পায়ে হেঁটে। প্রবাদ বাক্য আরোগ্য লাভের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। প্রবাদ বাক্য হে মানুষ! তোমরা নিজেদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করো। দারিদ্র্যতা বা অসুস্থতা তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷ বেদ

সুস্থ মানুষের চিন্তা ভাবনা গুলোও অসুস্থ। হুমায়ুন আহমেদ যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, বেশীর ভাগ রোগ থেকে বেঁচে যাবেন। তুমি যদি স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে তাহলে অসুস্থতা তোমার বিপন্ন করত না৷ সক্রেটিস

কোনো রুগ্ন ব্যক্তিই জীবন সম্পর্কে কোনো সুস্থ বা সুন্দর ধারণা রাখতে পারে না৷ উইলিয়াম ওসলাম অসুস্থতার পর আরোগ্য লাভের ব্যাপারটা প্রায় নতুন করে জীবন শুরু করার মতো ব্যাপার। কর্নেলিয়া মিগস

অসুস্থ থাকা অবস্থায় নিজের কথা এবং চিন্তাগুলিকে কখনো বিশ্বাস করবেন না। জন ডাব্লু গার্ডনার হতাশা একটি মানসিক রোগ৷ এটি নিজের প্রতি অত্যাচার ছাড়া আর কিছু না। এ এম চিরোয়ান

বন্ধুর অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

পাঠক বন্ধুগণ আজকে আমরা আপনাদের মাঝে সম্পূর্ণ নতুন ব্যতিক্রমধর্মী একটি নিবন্ধ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের আজকের এই ব্যতিক্রমী নিবন্ধটি হচ্ছে অসুস্থ বন্ধুর জন্য দোয়া চেয়ে ক্যাপশন ও স্ট্যাটাস সম্পর্কিত উক্তি নিবন্ধ। 

আমরা আজকে আপনাদের মাঝে আমাদের এই নিবন্ধটিতে অসুস্থ বন্ধুর জন্য দোয়া চেয়ে ক্যাপশন ও স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরেছি। আপনি আমাদের আজকের এই পোস্টটি থেকে আপনার পছন্দনীয় যে কোন স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন সংগ্রহ করে আপনার অসুস্থ বন্ধুর জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে পারবেন। 

আরো পড়ুন: ছেলেদের attitude ফেসবুক পোস্ট

এমনকি আমাদের আজকের এই ক্যাপশন ও স্ট্যাটাস গুলো আপনি আপনার যে কোন আপনজনদের অসুস্থতায় দোয়া প্রার্থনা করতে ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করি আমাদের আজকের এই অসুস্থ বন্ধুর জন্য দোয়া চেয়ে স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন গুলো আপনাদের জীবনে অনেক কাজে লাগবে।

পৃথিবীতে একজন মানুষের জীবনে রক্তের সম্পর্ক থেকে গভীর একটি সম্পর্ক হচ্ছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এটি প্রতিটি মানুষের জীবনে আত্মার সাথে সম্পর্কিত একটি সম্পর্ক। কেননা একজন বন্ধুর সাথে একজন বন্ধুর আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়। 

আর মানুষ খুব সহজেই নিজের রক্তের সম্পর্কে কি ভুলে যেতে পারলেও সব আত্মার সম্পর্ককে কখনোই ভুলতে পারে না। আত্মার সম্পর্ক মানুষের সেই নিশ্বাস পর্যন্ত এ হৃদয়ের মনি কোঠায় জায়গা করে নেয়। আত্মার সম্পর্ক খুব কম মানুষের সাথে হয়ে থাকে।

আর যার সাথে মানুষের মনের মিল বা আত্মা সম্পর্কে তৈরি হয় সে হয়ে ওঠে একজন মানুষের জীবনে প্রকৃত বন্ধু। আর বন্ধু একজন মানুষের জীবনের প্রতিটি অংশ জুড়ে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কেননা বন্ধু ছাড়া পৃথিবীতে মানুষের সুখে জীবন কল্পনা করা বৃথা। 

বন্ধু হতে পারে নিজের সহপাঠী নিজের আপনজন এমনকি নিজের প্রিয় মানুষটি ও প্রকৃত বন্ধু হতে পারে। এই বন্ধু একজন মানুষের জীবনে পুরোটা অংশ জুড়ে বসবাস করে থাকে। একজন প্রকৃত বন্ধু একটি দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমান। 

দেহের একটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ছাড়া যেমন দেহ সুস্থ থাকা অসম্ভব। ঠিক তেমনি প্রকৃত বন্ধু অনুপস্থিতিতে জীবন চলা কষ্টকর। বন্ধুর অসুস্থতায় যেন জীবনে নেমে আসে, চরম অন্ধকার।

সুস্থতার জন্য স্ট্যাটাস

সুস্বাস্থ্য যে সৃষ্টিকর্তার কত বড় একটি নিয়ামত সেটি হয়তো একজন অসুস্থ মানুষ ভালো বুঝতে পারবে। সুস্বাস্থ্য মানুষ এবং সুশিক্ষা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তো যাই হোক এই পোস্টের মাধ্যমে কিছু সুস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে আশা করি যা কিছু লেখা হবে সম্পূর্ণ নতুন কিছু পাবেন। 

যাতে করে আপনারা এই লেখাগুলো থেকে কিছু সংগ্রহ করতে পারেন এবং কিছু জ্ঞান মূলক কথা শিখতে পারেন। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেই সুস্বাস্থ্য নিয়ে কিছু উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন গুলো।

সুস্বাস্থ্য ও আনন্দ একজন আরেক জনের পরম বন্ধু এটা কিন্তু চিরন্তন সত্য। এডিসন স্বাস্থ্যই হল সর্বপ্রথম নিজের ধন । ইমার্শন সুস্বাস্থ্য হল নিজের সুখ যা অন্য কিছু ধারা পূরণ করা যায় না বা কোন কিছু ধারা কেনা সম্ভব না। সংগ্রহীত আপনারা স্বাস্থ্যের খেয়াল নিন কারণ এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি বসবাস করতে পারবেন। জিম রন

আপনি যদি মনে করেন সুস্বাস্থ্য অর্জন করা অনেক সময় বা পরিশ্রম সাপেক্ষে আসে, তাহলে একবার অসুস্থ কে আপন করে নিন সবকিছু বুঝতে পারবেন নিজে থেকেই। লি সোয়ানসন সুস্বাস্থ্য কখনো কাউকে টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি দিতে পারবে না এটা সত্য, কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু দিতে পারে যেমন সুস্বাস্থ্য হল জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আন্ড্রিউ সেইল

নিশ্চয়ই মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোন নিয়ামত প্রদান করা হয় নাই। হযরত মুহাম্মদ সাঃ সুস্বাস্থ্যই প্রকৃত সত্য ধন-সম্পদ কিংবা সোনার, রুপার খনি নয় তবে সুস্বাস্থ্য হল নিজের এমন একটি পাওয়া সুখ যা আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না। এবং সুন্দর হাসি ও ঘুমের ওষুধ হল সুস্বাস্থ্যতা।- মহাত্মা গান্ধী

আমরা মাঝে মাঝেই ভুলে যাই যে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই নৈতিক দায়িত্ব। – হার্বাট স্পেনসর একজন মানুষ তার হয়তো বা টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি, ধন-দৌলত নাই থাকতে পারে কিন্তু সে তার সুস্বাস্থ্য শরীর নিয়েই অনেক খুশি, এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। সংগৃহীত

বড় ভাই অসুস্থ নিয়ে স্ট্যাটাস

অসুস্থতা নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস পোস্ট ক্যাপশন কিছু কথা। সুস্থ থাকা অবস্থায় মানুষ বুঝতে পারে না যে আল্লাহতালা তাকে কতো বড়ো নেয়ামত প্রদান করেছেন কিন্তু যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন ঠিকিই উপলব্ধি করতে পারেন।

যুবকদের তুলনায় বুড়োদের রোগ–ব্যাধি অনেক কম। কিন্তু যা থাকে তা আমরণ সাথি হিসেবেই বিদ্যামান থাকে। প্লেটো যৌবনটা একটা মস্ত ভুল, জীবনটা একটা সংগ্রাম আর বার্ধক্য এক বিরাট আক্ষেপের সমষ্টি। ডিজরেইল যারা সবসময় নিজেকে অসুস্থ ভাবে তারা আজীবন অসুস্থই থাকে। জুভেনাল

অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু যায় পায়ে হেঁটে। ডোনাল্ড জি মিচেল অসুস্থ লোকের চিন্তা ভাবনাও অসুস্থ থাকে। বেন জনসন আলস্য ও অতিভোজের দরুন স্থূলকায় নিদ্রালু হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি দেয়া স্বভাবে পরিণত হলে সেই মূর্খের জীবনে দুঃখের পুনঃ পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

অসুস্থতা ঘোড়ার পিঠে আসে তবে পায়ে রওয়ানা হয়। অসুস্থতা স্বাধীনতার বিপরীত। এটি সবকিছুকে অসম্ভব করে তোলে। ফ্রাঙ্কোয়েস সাগান অসুস্থতা মনকে মাঝে মাঝে ঘোরাফেরা করার ও সুরক্ষার জন্য মুক্ত করে তোলে। অ্যালিস বি টোকলা অসুস্থতা আমাদের সবচেয়ে অবাক করা আচরণ করতে পারে।

সুসান মিনোট অসুস্থতা থেকে পুনরুদ্ধার প্রায়শই মনে হয় আবার জীবন শুরু করার মতো। কর্নেলিয়া মিগস আপনার অসুস্থতা আপনার পরিচয় নয়। আপনার রসায়ন আপনার চরিত্র নয়। রিক ওয়ারেন বিশ্রাম নেওয়া অলসতা নয়, এটি ওষুধ! গ্লেন শোয়েইজার

আপনি যখন দু:খিত এবং একা থাকবেন তখন নিজেকে যে জিনিসগুলি বলবেন সেগুলি বিশ্বাস করবেন না। অজানা যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়। জুভেনাল প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, বেশীর ভাগ রোগ থেকে বেঁচে যাবেন।

অসুস্থতার জন্য মানুষ সবচেয়ে বিস্ময়কর আচরণ করতে পারে৷ সুসান মিনোট বিশ্রাম নেওয়া কখনোই আলস্য নয়৷ বিশ্রাম হলো অসুস্থতার উপযুক্ত ঔষধ । গ্লেন শোয়েইজার অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু রওয়ানা দেয় পায়ে হেঁটে। প্রবাদ বাক্য আরোগ্য লাভের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম । প্রবাদ বাক্য

হে মানুষ! তোমরা নিজেদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করো। দারিদ্র্যতা বা অসুস্থতা তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷ বেদ সৎ কর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ ও মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার উপরে বিজয়ী করে৷

মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস

প্রিয় মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে কারোরই ভালো লাগেনা। প্রিয় মানুষের অসুস্থতা যেন নিজের অসুস্থতা বলে প্রতিয়মান হয়। আর প্রিয় মানুষের অসুস্থ তাই আমরা সকলেই কামনা করি সেই ব্যক্তি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এবং আমাদের মাঝে আগের মত হাসতে খেলতে ফিরে আসুক।

তাই প্রিয় মানুষের অসুস্থতায় যারা মন খারাপ করে থাকেন তারা সকলের কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য অথবা সকলকে অবগত করানোর জন্য অসুস্থতা নিয়ে স্ট্যাটাস প্রদান করতে পারেন। আজকে আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রিয় মানুষের অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস প্রদান করা হলো।

তবে এই প্রিয় মানুষ বলতে আপনারা যদি বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে বুঝিয়ে থাকেন অথবা প্রেমিক অথবা প্রেমিকের কথা বুঝিয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এ সংক্রান্ত পোস্ট দিলে অনেকেই আপনাদের টিটকারি করবে। 

তবে প্রিয় মানুষ বলতে যদি পরিবারের কোনো সদস্যদের কথা বুঝিয়া থাকেন তাহলে সেটা যদি আপনারা পোস্ট করেন তাহলে সকলের থেকেই দোয়া পাবেন এবং সকলেই সুস্থতা কামানোর জন্য কমেন্ট করবেন।

প্রত্যেকের জীবনে প্রিয় মানুষ রয়েছে এবং প্রিয় মানুষের সংস্পর্শে আমাদের জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে। প্রিয় মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আমরা চিন্তিত হয়ে থাকি যে সেই ব্যক্তিটি কবে সুস্থতা লাভ করবে। আর প্রিয় মানুষের অসুস্থতায় দেখা যায় যে আমরা মন খারাপ করে বসে থাকে এবং সুস্থতা হওয়ার জন্য যারপরান‌ই নিয়ে চেষ্টা করি। 

তাই প্রিয় মানুষের সুস্থতা কামনা করার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পাশাপাশি যদি সকলকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেই এবং সকলকেই যদি বলতে পারি আমাদের পরিবারের নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি অসুস্থ তখন আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা সুস্থতা হওয়ার জন্য দোয়া করবে।

অসুস্থতা নিয়ে দোয়া

অসুস্থতা দেহের জাকাত স্বরূপ। এতে শরীর গুনাহমুক্ত হয়, পাক-পবিত্র হয়। আল্লাহর কাছে বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি হয়। ভবিষ্যত জীবনের জন্য উপদেশ গ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়। হযরত আলী রা. বর্ণনা করেন, 

আমি রসুল সা. কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকেল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে পরদিন সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে। (সুনানে তিরমিজি ৯৬৭)

أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا উচ্চারণ: আযহিবিল বা’স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফী লা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক-মা। অর্থ: হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন৷ 

তাকে নিরাময় করে দিন৷ নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোন রোগকে বাকী রাখে না।

আরেকটি দোয়া রয়েছে। أَسْأَلُ اللّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَّشْفِيَكَ উচ্চারণ: আস্আলুল্লহাল ‘আযিম রব্বাল ‘আরশিল ‘আযিম আই ইয়াশ্ফিয়াকা। অর্থ: আমি মহান আল্লাহর দরবারে দু’আ করছি তিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন, যিনি মহান আরশের রব।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার একজন অসুস্থ বেদুইনকে দেখতে গেলেন। আর কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তিনি বলতেন, (লা-বাসা তুহুরুন ইংশা-আল্লহ) ভয় নেই, 

আল্লাহ চান তো তুমি খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবে। এ রোগ তোমার পবিত্র হবার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ নিয়ম অনুযায়ী তিনি বেদুঈনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ‘ভয় নেই, তুমি ভালো হয়ে যাবে।

আল্লাহর ইচ্ছায় এটা তোমার পবিত্র হবার কারণ হয়ে যাবে। তার কথা শুনে বেদুঈন বলল, কক্ষনো নয়। বরং এটা এমন এক জ্বর, যা একজন বৃদ্ধ লোকের শরীরে ফুঁটছে। এটা তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। তার কথা শুনে এবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আচ্ছা, তুমি যদি তাই বুঝে থাক তবে তোমার জন্য তা-ই হবে। (বুখারি ৩৬১৬, ৫৬৫৬, ৫৬৬২, মিশকাত ১৫২৯)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ إِذَا اشْتَكى مِنَّا إِنْسَانٌ مَسَحَه بِيَمِينِه ثُمَّ قَالَ: «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমাদের কারো অসুখ হলে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার ডান হাত রুগীর গায়ে বুলিয়ে দিয়ে বলতেন, 

(আযহিবিল বা’স, রব্বান নাস, ওয়াফি আংতাশ শা-ফি লা- শিফা-আ ইল্লা- শিফাউকা শিফাআন লা- ইউগাদিরু সাক্ক-মা।) 

আরো পড়ুন: ফেসবুক অ্যাটিটিউড ক্যাপশন

অর্থ: হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন। তাকে নিরাময় করে দিন। নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোন রোগকে বাকী রাখে না। (বুখারি ৫৭৫০, মুসলিম ২১৯১, ইবনু মাজাহ ৩৫২০, মিশকাত ১৫৩০)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا فَيَقُولُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَسْأَلُ اللّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَّشْفِيَكَ إِلَّا شُفِيَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ قَدْ حَضَرَ أَجَلُه». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ

হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এক মুসলিম তার এক অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে গিয়ে যদি সাতবার বলে, 

আস্আলুল্ল-হাল ‘আযিম রব্বাল আরশিল আযিমি আই ইয়াশ্ফিয়াকা। 

অর্থ: আমি মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি তিনি যেন আপনাকে আরোগ্য দান করেন, যিনি মহান আরশের রব)। তাহলে তাকে অবশ্যই আরোগ্য দান করা হয় যদি না তার জীবনের শেষ সময় উপস্থিত হয়। (আবু দাউদ ৩১০৬, তিরমিজি ২০৮৩, মিশকাত ১৫৫৩)

অসুস্থতা নিয়ে কোরআনের আয়াত

সুস্থতা-অসুস্থতা দুটিই আল্লাহর নেয়ামত। সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করতে পারে। আর অসুস্থতার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, গুনাহ ক্ষমা করেন। যেকোনো অসুস্থতায় চিকিৎসা নেওয়া সুন্নত। 

কেননা ‘আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি।’ (বুখারি, খণ্ড-২য়, পৃ-৮৪৮, হাদিস -৫২৭৬; তাফসিরে কুরতুবি, খণ্ড-১০ম, পৃ-২৩৫) পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া ও কোরআনের কিছু আয়াতের ওপর আমল করার শিক্ষা দেয় ইসলাম। 

এই শিক্ষা মুমিনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইমাম বায়হাকি (রহ.) বলেন, পবিত্র কোরআনে যেমন আত্মার যাবতীয় রোগ এবং মন্দ প্রবণতার চিকিৎসা রয়েছে, তেমনি দেহের যাবতীয় রোগ-ব্যাধিরও চিকিৎসা রয়েছে। তাফসিরে কুরতুবিতে রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না, তার কোনো শেফা নেই।’ (তাফসিরে কুরতুবি, খণ্ড-১০ম, পৃ-২৩৫)

এখানে পবিত্র কোরআনের এমন ছয়টি আয়াত তুলে ধরা হলো যার ওপর একনিষ্ঠভাবে আমল করলে যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ ‘ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন।’ অর্থ: ‘এবং আল্লাহ মুমিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন।’ (সুরা তাওবা: ১৪)

وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ ‘ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন।’ অর্থ: ‘এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।’ (সুরা ইউনুস: ৫৭) يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ ‘ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি।’ 

অর্থ: ‘তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার।’ (সুরা নাহল: ৬৯) وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ ‘ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতিুল লিলমু’মিনি-ন।’ অর্থ: আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৮২)

وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ ‘ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-ন।’ অর্থ: ‘এবং যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।’ (সুরা আশ শুআরা: ৮০)

قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ ‘কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূ হুদাওঁ ওয়া শিফাউন।’ অর্থ: ‘বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়াত ও রোগের প্রতিকার।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৪৪)

উল্লেখিত প্রত্যেকটি আয়াতেই দেখবেন, মুমিনদের জন্য ‘শেফা’, ‘রহমত’ আরোগ্য প্রভৃতি শব্দের উল্লেখ রয়েছে। বুজুর্গ, সৎ-নিষ্ঠাবান আলেমরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলে থাকেন, পানিভর্তি পাত্র হাতে নিয়ে মুখের সামনে রেখে আয়াতগুলো পড়ে দম করে পানি পান করলে আল্লাহ তাআলা সহজেই রোগ থেকে মুক্তি দেবেন। 

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অসুস্থতার সময় উল্লেখিত আমল করার তাওফিক দান করুন এবং এর বিনিময়ে রোগ দূর করে দিন। আমিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন