হৃদরোগ পতিরোধ করার ৭টি টিপস

দুর্বল হার্ট সবল করার উপায় হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ। কিছু ঝুঁকির কারণ, যেমন জেনেটিক্স বয়স এবং লিঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তবুও, অন্যান্য অনেক ঝুঁকির কারণ নিয়ন্ত্রণ বা সংশোধন করা যেতে পারেসেগুলি সম্পর্কে শিখলে আপনি আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন, কিভাবে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়, কিভাবে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায় হার্টের ব্লক দূর করার খাবার

দুর্বল হার্ট সবল করার উপায়

আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়া পরিপূর্ণ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হৃদরোগ প্রতিরোধ না করার জন্য বর্তমান বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান হয়ে দাড়িয়েছে। তাছাড়া একটি সু-সংবাদ হল অনেক ক্ষেত্রে সহজ জীবনধারা পছন্দের জন্যেও সম্ভব হতে পারে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করার ৭টি টিপস

হৃদরোগ বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। হৃদরোগ প্রতিরোধ করার জন্য কিছু টিপস হল স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয় থাকুন

নিয়মিত ব্যায়াম হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিট উচ্চ তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।

সীমিত পরিমাণে লবণ খান অতিরিক্ত লবণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই, প্রতিদিন দিনে 2300 মিলিগ্রামের কম লবণ খাওয়া উচিত। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন

নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। রক্ত পরীক্ষায় কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এবং রক্তচাপের মতো বিষয়গুলি পরীক্ষা করা হয়। ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়

হার্ট ভালো আছে বুঝার কিছু উপায় হল আপনার বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি নেই। আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হয় না। আপনার হার্টবিট নিয়মিত এবং স্বাভাবিক। আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক। আপনার কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক। যদি আপনার এই কোনও লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

এখানে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে যা হার্টের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি বুকের মাঝখানে, বাম বা উভয় দিকে, বা গলা, কাঁধ, বা বাহুতে হতে পারে। শ্বাসকষ্ট শ্বাসকষ্ট হৃদরোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি ব্যায়াম বা বিশ্রামের সময় হতে পারে।

বমি বমি ভাব বা বমি: বমি বমি ভাব বা বমি হৃদরোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা: মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হৃদরোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। বমি বমি ভাব বা বমি: বমি বমি ভাব বা বমি হৃদরোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হৃদরোগের একটি গুরুতর লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা সাহায্য নেওয়া উচিত।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাও হার্টের স্বাস্থ্য ভালো আছে কিনা তা নিশ্চিত করার একটি ভাল উপায়। এই পরীক্ষাগুলিতে রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি, এবং অন্যান্য পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

বেকড সামগ্রী সব ধরনের বেকড খাবার যেমন কেক, কুকিজ এবং মাফিন আপনার ডায়েট চার্ট থেকে বাদ দেওয়া উচিত। এই খাদ্য আইটেমগুলিতে উচ্চ চিনির মাত্রা থাকে এবং এটি অবশেষে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। 

এগুলি ট্রাইগ্লিসারাইডের উচ্চ মাত্রার দিকে পরিচালিত করে, যা হৃদরোগের দিকে পরিচালিত করে। সাদা আটা, যা এই আইটেমগুলির প্রধান উপাদান, আপনার রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আপনি পেট ভরে যাওয়ার পরেও ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারে।

সোডা ঠিক আছে, অল্প পরিমাণে চিনি খুব কমই যোগ করা ঠিক, কিন্তু যখন আপনি প্রতিদিন সোডা পান করার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেন, তখন এটি আপনার হৃদয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে শুরু করে, যা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন হৃদরোগের ঘটনা ঘটতে পারে। 

সোডা পানকারীরা সাধারণত যারা এগুলি পান করেন না তাদের চেয়ে বেশি ওজন বাড়ান এবং আপনি যদি এটি দীর্ঘদিন ধরে পান করেন তবে আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সোডা টাইপ 2 ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের বিকাশের সাথে ব্যাপকভাবে যুক্ত। এমনকি খারাপ, সোডা স্ট্রোক হতে পারে।

লাল মাংস ভেড়ার মাংস, মাটন এবং শুয়োরের মাংসের আকারে অত্যধিক লাল মাংস খাওয়া আপনার কষ্টের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ। এটি প্রধানত কারণ এই খাদ্য আইটেমগুলিতে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা কোলেস্টেরল বাড়ায়। লাল মাংসের পরিবর্তে মুরগি খাওয়ার কথা বিবেচনা করুন, বিশেষ করে যদি আপনি হৃদরোগের প্রবণ হন।

প্রক্রিয়াজাত খাবার আপনি যদি একটি সুস্থ জীবন চান, সসেজ, হট ডগ, সালামি এবং বেকনের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসের আইটেমগুলিকে না বলুন। এগুলি হল সবচেয়ে খারাপ ধরনের মাংস যা আপনি যতদূর আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 

এগুলিতে সাধারণত উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে। প্রকৃতপক্ষে, এগুলি এমন একটি খাবার যা আপনার এড়ানো উচিত। সাদা রুটি, ভাত এবং পাস্তা রুটি, ভাত, পাস্তা বা সাদা ময়দা থেকে তৈরি অন্যান্য স্ন্যাকস কখনই খাবেন না কারণ এতে ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর ফাইবার এবং খনিজ থাকে না।

আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে পরিশোধিত শস্য চিনিতে রূপান্তরিত হয়, যা আপনার শরীরে অবাঞ্ছিত চর্বি হিসাবে জমা হয়। আপনি যদি উচ্চ পরিমার্জিত শস্য সামগ্রী সহ একটি খাদ্য গ্রহণ করেন তবে এটি সাধারণত আপনার পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। 

এগুলি সরাসরি টাইপ 2 ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের সাথে জড়িত। পরিবর্তে, বাদামী রুটি, ওটস, চাল এবং পুরো গমের জন্য যান। সর্বদা "100% পুরো শস্য" লেখা পণ্যগুলি সন্ধান করুন।

পিজা হ্যাঁ, আমরা জানি আপনি এখন কি ভাবছেন। পিৎজা অনেকের কাছে একটি প্রিয় খাদ্য আইটেম এবং থালাটিকে পিছনে ফেলে রাখা একজন খাদ্য প্রেমিকের জন্য সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু এখানে, আপনাকে অবশ্যই আপনার হার্টের স্বাস্থ্য বিবেচনা করতে হবে। 

বেশিরভাগ টেক-অ্যাওয়ে এবং ডোরস্টেপ ডেলিভারি পিজ্জাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, সোডিয়াম এবং ক্যালোরি থাকে, যার সবকটিই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

এলকোহল মাঝে মাঝে পরিমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা কারও ক্ষতি করেনি। যাইহোক, আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এটিও একটি বড় নয়। এটি আপনার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে। 

অন্যদিকে, ভারী মদ্যপান বাড়ে হার্ট ব্যর্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, এবং স্ট্রোক। একটি পরিপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে এবং আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে অবিলম্বে মদ্যপান বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এগুলি এমন খাবার যা আপনার হার্টের জন্য ক্ষতিকর। একটি তালিকা প্রস্তুত করতে কার্ডিয়াক ডায়েট খাবার এড়াতে হবে, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি মূল্যবান খাদ্য আইটেমগুলির সাথে এই খারাপ খাদ্য বিকল্পগুলি প্রতিস্থাপন করেছেন। 

এই খাবারগুলিকে উপেক্ষা করা এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলির সাথে প্রতিস্থাপন করা নিশ্চিত করবে যে আপনি আর হৃদরোগের দ্বারা সমস্যায় পড়বেন না। প্রত্যেকে তাদের সামনে একটি ভাল জীবন চায় এবং তা করতে, উল্লেখ করা বিবেচনা করুন হার্ট অ্যাটাকের পরে এড়িয়ে চলা খাবারের তালিকা.

দুর্বল হার্ট সবল করার উপায়

দুর্বল হার্টকে শক্তিশালী করতে হলে নিচের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সক্রিয় থাকুন: নিয়মিত ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিট উচ্চ তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফল, শাকসবজি, এবং সম্পূর্ণ শস্য। এছাড়াও, কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন এবং কম স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়া উচিত।

লবণ সীমিত করুন: অতিরিক্ত লবণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়। তাই, প্রতিদিন দিনে 2300 মিলিগ্রামের কম লবণ খাওয়া উচিত। ধূমপান এড়িয়ে চলুন

মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন: মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, মানসিক চাপ কমাতে যোগ, ধ্যান, বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে।

যদি আপনার দুর্বল হার্ট থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে এবং আপনার জন্য সেরা চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

এখানে কিছু নির্দিষ্ট খাবার এবং পানীয় রয়েছে যা দুর্বল হার্টকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সম্পূর্ণ শস্য: সম্পূর্ণ শস্যগুলি ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টির ভালো উৎস। ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন: কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন, যেমন মাছ, মুরগী, এবং বাদাম, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভালো উৎস। পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কালো কোকো: কালো কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডস রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অন্যদিকে, নিচের খাবার এবং পানীয়গুলি দুর্বল হার্টকে আরও খারাপ করতে পারে চর্বিযুক্ত মাংস: চর্বিযুক্ত মাংসে অস্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে অস্বাস্থ্যকর চর্বি, চিনি, এবং লব

কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়

হার্টের জন্য উপকারী খাবার সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ করে পালং শাক, ব্রোকলি, লেটুস, অ্যাস্পারাগাস, ব্রকলি ফুল, মটরশুঁটি, শিম, কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

ফল: ফলেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। বিশেষ করে বেরিজাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি খাওয়া ভালো। এছাড়াও, কমলা, লেবু, আঙুর, আপেল, কলা ইত্যাদি ফলও খাওয়া যেতে পারে।

বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। বিশেষ করে আমন্ড, চিনাবাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট, পেস্তা, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে মাছ, শস্য, বাদাম, বীজ ইত্যাদি। সম্পূর্ণ শস্য: সম্পূর্ণ শস্য ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। সম্পূর্ণ শস্যের মধ্যে রয়েছে ওটস, ব্রাউন রাইস, বাদামী চাল, বাদামী রুটি ইত্যাদি।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার চর্বিযুক্ত মাংস: চর্বিযুক্ত মাংসের মধ্যে রয়েছে লাল মাংস, চর্বিযুক্ত ভেড়ার মাংস, চর্বিযুক্ত মুরগির মাংস ইত্যাদি।

স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার: স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে দুগ্ধজাত খাবার, লাল মাংস, চর্বিযুক্ত ভেড়ার মাংস, চর্বিযুক্ত মুরগির মাংস ইত্যাদি। ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ফাস্ট ফুড, বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি।

লবণযুক্ত খাবার: লবণ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। লবণযুক্ত খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার ইত্যাদি। চিনিযুক্ত পানীয়: চিনিযুক্ত পানীয় ওজন বাড়াতে পারে, যা হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। চিনিযুক্ত পানীয়গুলির মধ্যে রয়েছে কোমল পানীয়, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি।

হার্টের জন্য উপকারী খাবার

বাদাম বাদামের মধ্যে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা হার্টের জন্যে উপকারী। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, সপ্তাহে পাঁচ বারের বেশি যারা বাদাম খান, তাদের করোনারি হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২৫ থেকে ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত কম। 

নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ে। সেই সঙ্গে বাদাম একটি লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার, যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। সব ধরনের বাদামই ভালো, তবে চীনাবাদাম সহজলভ্য বলে আপনি এটি প্রতিদিন খেতে পারেন।

কমলা কমলায় আছে পেকটিন নামে একপ্রকার আঁশ যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আরও আছে পটাসিয়াম, যা ব্লাড প্রেশার কমায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হেসপিরিডিন নামের এন্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতি থাকায় কমলার রস খেয়ে ব্লাড পেশার কমে গেছে।

সামুদ্রিক মাছ সামুদ্রিক মাছে আছে হার্টের জন্যে উপকারী ওমেগা-৩। রূপঁচাদা, কোরাল, রূপসা, লাক্ষা জাতীয় সামুদ্রিক মাছ বাংলাদেশে পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যেতে পারে। বিদেশি সামুদ্রিক মাছের মধ্যে টুনা, স্যামন, সারডিন, ম্যাকারেল, হেরিং ইত্যাদি যদি সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে খেতে পারেন।

শিম শিমে আছে সয়া প্রোটিন, যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রাকে কমায়। আধাকাপ শিমে আছে নয় গ্রাম কোলেস্টেরল কমাবার উপযোগী আঁশ। গাজর গাজর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে যে ধরনের দ্রবণীয় আঁশ পাওয়া যায়, তা কোলেস্টেরল কমিয়ে থাকে।

রসুন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল হলো এলডিএল, রসুন এই এলডিএলের মাত্রা কমাতে দারুন উপকারী। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা রসুনকে অভিহিত করেছেন প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবে। এছাড়াও রসুন উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে গ্লুকোজের মান নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। 

সেই সঙ্গে এটি ঠাণ্ডাজনিত যে কোনো সমস্যা এবং ফ্লু প্রতিরোধ করে। হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা ও সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্যে প্রতিদিন রসুনের একটি কোষ খান। টক দই চিনি ছাড়া দই অর্থাৎ টক দই হৃৎপিণ্ডের পাশাপাশি পুরো শরীরের জন্যেই অত্যন্ত উপকারী। করোনারি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন যারা, তাদের জন্যে টক দই বিশেষভাবে উপকারী। 

টক দই আপনার পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে এটি ত্বকের জন্যেও উপকারী। তাই প্রতিদিন এক কাপ টক দই খাবেন। মিষ্টি আলু আলু বেশি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, সাধারণভাবে এমনটাই মনে করা হয়। 

কিন্তু মিষ্টি আলু এর ব্যতিক্রম। কারণ মিষ্টি আলু লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাবার। আর মিষ্টি আলুতে আছে দ্রবণীয় আঁশ, ভিটামিন এ এবং লাইসোপেন, যা হার্টের জন্যে উপকারী।

সয়াদুধ সয়াদুধ বা সয়াপ্রোটিন প্রথম শ্রেণির উদ্ভিদজাত প্রোটিন। এটি গরুর দুধের বিকল্প এবং শতভাগ কোলেস্টেরল মুক্ত। হৃদরোগীরা গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে সয়াদুধ/সয়াপ্রোটিন ড্রিংকস প্রতিদিন ২৫০ মিলি খেতে পারেন। বাজার থেকে সয়াবিন কিনে নিয়ে আপনি নিজেই বাড়িতে বসে সয়াদুধ তৈরি করে নিতে পারেন।

স্পিরুলিনা স্পিরুলিনা হলো অতিক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক নীলাভ সবুজ সামুদ্রিক শৈবাল, যা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। জাতিসংঘ স্পিরুলিনাকে একবিংশ শতাব্দীর খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। 

স্পিরুলিনাতে দুধের চেয়ে ২০ গুণ, ডিমের চেয়ে ছয় গুণ এবং মাছ ও মাংসের চেয়ে তিন গুণ প্রোটিন রয়েছে, যা সম্পূর্ণ কোলেস্টেরলমুক্ত। আরও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ফলিক এসিড ও এন্টি-অক্সিডেন্ট।

হার্টের ব্লক দূর করার খাবার

হার্টের ব্লক দূর করার জন্য উপকারী খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ফল বেরিজাতীয় ফল, যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি। এছাড়াও, কমলা, লেবু, আঙুর, আপেল, কলা ইত্যাদি ফলও খাওয়া যেতে পারে। শাকসবজি সবুজ শাকসবজি, যেমন পালং শাক, ব্রোকলি, লেটুস, অ্যাস্পারাগাস, ব্রকলি ফুল, মটরশুঁটি, শিম ইত্যাদি।

বাদাম ও বীজ আমন্ড, চিনাবাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট, পেস্তা, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি। মাছ সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যালমন, ম্যাকারেল, টুনা, সারদিন ইত্যাদি। সম্পূর্ণ শস্য ওটস, ব্রাউন রাইস, বাদামী চাল, বাদামী রুটি ইত্যাদি। ডাল মুগ ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদি।

হার্টের ব্লক দূর করার জন্য উপকারী খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে ফল বেরিজাতীয় ফল, যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাস্পবেরি ইত্যাদি। এছাড়াও, কমলা, লেবু, আঙুর, আপেল, কলা ইত্যাদি ফলও খাওয়া যেতে পারে। শাকসবজি সবুজ শাকসবজি, যেমন পালং শাক, ব্রোকলি, লেটুস, অ্যাস্পারাগাস, ব্রকলি ফুল, মটরশুঁটি, শিম ইত্যাদি।

বাদাম ও বীজ আমন্ড, চিনাবাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট, পেস্তা, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি। মাছ: সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যালমন, ম্যাকারেল, টুনা, সারদিন ইত্যাদি। সম্পূর্ণ শস্য ওটস, ব্রাউন রাইস, বাদামী চাল, বাদামী রুটি ইত্যাদি। ডাল মুগ ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদি। এই খাবারগুলি ছাড়াও, হার্টের ব্লক দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলিও নেওয়া যেতে পারে

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন। নিয়মিত রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, এবং রক্ত শর্করা পরীক্ষা করুন। যদি আপনার হার্টের ব্লক থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনার ডাক্তার আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে এবং আপনার জন্য সেরা চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন। নিয়মিত রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, এবং রক্ত শর্করা পরীক্ষা করুন। যদি আপনার হার্টের ব্লক থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে এবং আপনার জন্য সেরা চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন।

হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়

হার্টের সমস্যা বোঝার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা হার্টের সমস্যার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল বুকে ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে অনুভূত হয়, তবে কখনও কখনও বাম কাঁধ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল বা পেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। 

ব্যথাটি চাপ, ভার বা চাপের মতো অনুভূত হতে পারে। এটি কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। শ্বাসকষ্ট হার্টের সমস্যার আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট। এই শ্বাসকষ্টটি সাধারণত শারীরিক পরিশ্রমের পরে বা শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখা দেয়।

ক্লান্তি হার্টের সমস্যার কারণে ক্লান্তিও হতে পারে। এই ক্লান্তি সাধারণত শারীরিক পরিশ্রমের পরে বা সারাদিন ধরে দেখা দেয়। মাথা ঘোরা হার্টের সমস্যার কারণে মাথা ঘোরা হতে পারে। এই মাথা ঘোরাটি সাধারণত হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়।

বমি বমি ভাব বা বমি হার্টের সমস্যার কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। এই বমি বমি ভাব বা বমি সাধারণত হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্টের সমস্যার কারণে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এই অজ্ঞান হয়ে যাওয়াটি সাধারণত হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী হয়।

হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হৃদস্পন্দনের পরিবর্তন হার্টের সমস্যার কারণে হৃদস্পন্দন দ্রুত, ধীর বা অনিয়মিত হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা হার্টের সমস্যার কারণে চোখে ঝাপসা দেখা হতে পারে।

পায়ে ফোলাভাব হার্টের সমস্যার কারণে পায়ে ফোলাভাব হতে পারে। যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন

নিয়মিত ব্যায়াম করুন নিয়মিত ব্যায়াম হার্টকে শক্তিশালী করে এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান স্বাস্থ্যকর খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ধূমপান ত্যাগ করুন ধূমপান হার্টের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। ধূমপান ত্যাগ করলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং রক্তচাপের মাত্রা পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই মাত্রাগুলি বেশি থাকলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বেশি।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

খাবার যা খাওয়া উচিত ফল এবং শাকসবজি ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি ফল এবং সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

গোটা শস্য গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বাদামী চাল, ওটস, বার্লি এবং পুরো গম জাতীয় খাবার খান। চর্বিযুক্ত মাছ চর্বিযুক্ত মাছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্যামন, ম্যাকেরেল, টুনা এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ খান।

বাদাম এবং বীজ বাদাম এবং বীজে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। পেস্তা, আখরোট, কাজুবাদাম, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিড খান। সোডা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন সোডা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি, লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

খাবার যা এড়িয়ে চলুন রেড মিট রেড মিটে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। প্রক্রিয়াজাত মাংস প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে।

ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা ওজন বৃদ্ধি এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

হার্টের রোগীরা তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে একটি ব্যক্তিগতকৃত খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন