ঈদে মিলাদুন্নবী ফেসবুক স্ট্যাটাস
ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ব্যানার সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ ! কালের চাকা ঘরে আবারো এলো রবিউল আউয়াল মাস। রবিউল আউয়াল মাস হল আরবী ১২ মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস । মাস হিসাবে এর অবস্থান তৃতীয় । রবিউল আউয়াল মাস এলেই দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদুন্নবী, সিরাতুন্নবী ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন আয়োজন । ঈদে মিলাদুন্নবীর স্লোগান
রবিউল আউয়াল মাসের ৮ তারিখ, ৯ তারিখ অথবা ১২ তারিখে পৃথিবীতে আগমন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । একই মাসে তার আগমন এবং চলে যাওয়া । মহান নবীর জন্ম নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । মুমিনদের খুশি হওয়ার অন্যতম মাধ্যম ।
ঈদে মিলাদুন্নবী ফেসবুক স্ট্যাটাস
আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক অনেক মুসলমান আছে যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকে আবার অনেকে পালনা করে না।
যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকেন তারা ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে স্ট্যাটাস,উক্তি, কবিতা ভিবিন্ন সোসাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য খুজে থাকেন। তাই আজকে আমরা তোমাদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে স্ট্যাটাস,উক্তি - ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে কবিতা, ঈদে মিলাদুন্নবী ফেসবুক status 2022 শেয়ার করবো। আসা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন: ঈদের শুভেচ্ছা ফেসবুক স্ট্যাটাস
১২ই রবিউল আউয়াল!! আপনি জানেন কি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যুবার্ষিকী ১২ই রবিউল আউয়াল।। মুহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যু ১২ই রবিউল আউয়াল এটা নিশ্চিত কিন্তু জন্ম তারিখ নিয়ে মত বিরোধ রয়েছে, অথচ আমরা অনিশ্চিত বিষয়টি ধরে আনন্দ র্যালি, আলহামদুলিল্লাহ নবী (সঃ) এর জন্মদিন এইরকম স্টাটাস দিচ্ছি !!
আবার বলছি সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী, নবী (সঃ) এর মৃত্যুর দিন আমাদের কাছে সকল ঈদের থেকেও সেরা ঈদ!? ইয়া নবী সালাম আলাইকা। ইয়া হাবিব সালাম আলাইকা। ঈদে মিলাদুন্নবী আজ। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবিব, রাসুলুল্লাহ মোহাম্মদ (সাঃ) এর শুভাগমন হয়েছিলো আজকের এই দিনে।
আসুন রহমতের এই দিনে আমরা প্রার্থনা করি রাসুলের সত্যিকারের সুন্নাত আমরা পালন যেন করতে পারি। রাসুলে পাকের সুন্নিয়তের আদর্শে কিন্তু জাহেলী-ওয়াহাবি-নজদী-মওদুদির হিংসা ফ্যেসাদের মতবাদের কোনো স্থান নেই। রাসুলে পাকের সুন্নত সার্বজনীন, সুন্দর, সহনশীল, অসাম্প্রদায়িক, এবং সাম্যের। দ্বীনের শান্তির বানীর প্রচারই সুন্নিয়ত, শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে হানাহানি যুদ্ধ বিগ্রহ নয়।
তিনি বিদায় হজ্জের ভাষনে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ধর্মে ধর্মে যেনো আর হানাহানি মারামারি না হয়, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যেন থাকে। নিজের মধ্যে দ্বীন ধারন করলে হিংসার স্থান থাকেনা৷ সেই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন, সকলের মাঝে দ্বীনের মূল বানী, মানবিকতা জাগ্রত হোক!
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক শান্তির বানী, জয় হোক সুন্নীয়তের, জয় হোক দ্বীনের, জয় হোক মানবিকতার। আমীন। সাদাকাল্লাহুল আলিউল আজিম, ওয়াসাদাকা রাসুলুহুল নাবিউল কারীম।
ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা ব্যানার
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু সবাইকে ঈদুল মিলাদুন্নবী স্বাগতম শুভেচ্ছা স্বাগতম প্রিয় মুসলিমান ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভাল আছেন নবীর প্রতি ভালোবাসা সব মুসলমানদের থাকা দরকার যেই মুসলিমদের আমাদের প্রিয় নবী দয়াল নবীর প্রতি ভালোবাসা নিয়েই সে মুসলিম না,
তবে সে ভালোবাসা করতে গিয়ে বেশি ভালবাসতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করতে গিয়ে আমরা জানি বেদাত সৃষ্টি না করি এটাই আমার সবার কাছে আশা।12 রবিউল আউয়াল ডিপি / ঈদে মিলাদ উন নবী ডিপি
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি একটি পোস্টার ডিজাইন ঈদে মিলাদুন্নবী পোস্টার ডিজাইন।eid milad un nabi poster design
আমরা যারা নবীর প্রেমে ভক্ত তারা অনেকেই নবীর ভালোবাসা জন্মদিনের একটি পোস্টার বানাতে চাই ঈদে মিলাদুন্নবীর পোষ্টার ডিজাইন eid milad un nabi poster নিজের ছবি দিয়ে বন্ধু বান্ধবের মাঝে শেয়ার করতে চাই সেটি আমি কিভাবে করব আমরা অনেকেই জানিনা,
তাই আমি আপনাদেরকে সহজ পদ্ধতিতে আপনার ছবি দিয়ে একটি ঈদে মিলাদুন্নবীর পোস্টার বানাতে পারেন সে ব্যাপারে বলে দিব insha'Allah। eid milad un nabi poster
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহার ফেসবুক স্ট্যাটাস
যাইহোক আপনি আপনার যেই ছবি দিয়ে একটি পোস্টার বানাতে চান ভালো করে আপনার মোবাইল দিয়ে ছবিটি তুলে আপনার গ্যালারিতে সেভ করে রাখবেন তারপর আমি নিচে যে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে একটি লিংক দিয়েছি সেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ছবিটি ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করে ফের আপনার মোবাইল গ্যালারিতে সেভ করে রাখবেন।
ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার জন্য আপনার কোন অ্যাপস ডাউনলোড করার জরুরি না শুধু লিংকের উপরে ক্লিক করলেই আপনাকে ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার জায়গায় নিয়ে যাবে সেখানে শুধু আপনার ছবিটি আপলোড করে দেবেন অটোমেটিক ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ হয়ে যাবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী পোস্টার ডিজাইন
আজানের পর সকল মূসলিম ব্যাক্তির আজানের দোয়া পড়া উচিত । মুয়াজ্জিনের আজান শুনে উত্তর দেওয়া এবং আজানের পর দোয়া পড়ার ফজিলত অত্যাধিক। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আজানের পর দোয়া পাঠকারীর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ পুরস্কার। কী সেই দোয়া ও ফজিলত?
আজানের পর দোয়া ও মুনাজাত মুলত নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দরুদ ও প্রশংসা। নবিজির দরুদ পাঠ ও প্রশংসায় মিলবে পরকালের সুপারিশ। এর চেয়ে বড় পুরস্কার মুমিনের জন্য আর কী হতে পারে! হাদিসের বর্ণনায় এসব ফজিলত, দরুদ ও দোয়া ওঠে এসেছে।
নিওটেরিক আইটির এই নতুন আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আজানের দোয়া বাংলা উচ্চারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে আমরা সকলে চেষ্টা করবো আজানের উত্তর দেওয়া এবং আজান মনোযোগ দিয়ে শোনা । তারপর আজান শেষ হলো আজানের দোয়া পড়া । চলুন যেনে নি আজানের দোয়া ।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতরের ফেসবুক স্ট্যাটাস
আরবি ভাষার একটা অর্থ আছে , যেইটা আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা , কারন আমাদের ভাষা আরবি নয় । আমরা ছোট থেকে বাংলা ভাষা শিখে বড় হয়েছি । আলেমরা বুঝতে পারলে ও আমরা বুঝতে পারি না । আযানের দোয়া বাংলা অনুবাদ বা অর্থ নিছে দেওয়া হলো ।
বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।”
ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বক্তব্য
আল কুরআনের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের গুরুত্ব: মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন “কুল বিফদলিল্লাহি ওয়াবিরাহমাতিহি ফবেজালিকা ফালয়াফরাহু হুয়া খায়রুম মিম্মা ইয়াযমাউন।” (পারা ১১ রুকু ১১)
অর্থাৎ হে প্রিয় হাবীব আপনি বলে দিন, তারা যেন আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করে উক্ত খুশি ও আনন্দ তাদের সমুদয় সঞ্চয় থেকে অতি উত্তম। উপরে বর্ণিত আয়াত সমূহে যেরূপভাবে নেয়ামতের র্চচা ও স্মরণ করার উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুরূপভাবে অত্র আয়াতে দয়া, অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশী উদযাপনের নির্দেশ রয়েছে। প্রিয় নবী যে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহর রহমত, এতে মুসলিম মিল্লাতের কোন দ্বিমত নেই। অত্র আয়াতে যদি ফজল ও রহমত দ্বারা অন্য কিছু উদ্দেশ্য করা হয় তাও হুজুরের ওসীলায় সৃজিত।
সর্বাবস্থায় প্রিয় রাসুলের পবিত্র সত্তা আল্লাহ পাকের সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত হওয়া প্রমাণিত। উভয় জাহানে তারই রহমতের বারিধারা প্রবাহিত, সুতরাং তাঁর গুণগান শান মান মর্যাদা ও মাহাত্ম্য স্মরণ করা ও আলোচনা করা বিধাতার আনুগত্যের নামান্তর, পক্ষান্তরে এর বিরোধিতা করা অস্বীকার করা অকৃতজ্ঞতার পরিচায়ক।
আরো পড়ুন: ঈদ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস
হাদীস শরীফের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য: হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, প্রিয় রাসুলের কাছে সোমবার দিবসে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে প্রিয় নবী এরশাদ করেন, ফিহী উলিদতু ওয়াফিহী উনযিলা আলাইয়্যা অর্থাৎ এ দিনেই আমি আবির্ভূত হয়েছি এবং এদিনেই আমার উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।(মিশ্কাত শরীফ ১৭৯ পৃষ্ঠা)
প্রিয় নবীর উপরোক্ত হাদিস থেকে মিলাদুন্নবী তথা প্রিয় নবীর জন্ম দিবস ও নুযুলে কুরআন দিবসের গুরুত্ব এবং ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিবসের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন ও নেয়ামত প্রাপ্তির কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রোজা পালনের বৈধতা প্রমাণিত হলো। সুতরাং সাপ্তাহিক হিসেব অনুসারে প্রতি সোমবার যেমনি মুসলমানদের নিকট ঐতিহাসিক গুরুত্ব রাখে
তেমনি বার্ষিক হিসেবে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ বিশ্ব মুসলমানদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ এবং এ মাসে এ দিবসের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অপরিসীম। ২৭ শে রমজান পবিত্র কুরআন অবতরনের দিন হিসেবে যেভাবে গোটা রমজান মাস সম্মানিত স্মরণীয় বরণীয়।
তেমনিভাবে প্রিয় নবীর বেলাদত দিবস সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল মাসে হওয়ার কারণে গোটা মাস মুসলিম মিল্লাতের কাছে ঐতিহাসিকভাবে সমাদৃত এবং এ মাসের গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব ওলামায়ে ইসলামের সর্বসম্মতিক্রমে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।
প্রসঙ্গত ঃবোখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মদ কুস্তালানী মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (র.) প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেন যে, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রা.) এর মতো বিশ্ববিখ্যাত ওলামায়ে কেরাম বলেন,
প্রিয় নবীর জন্মদিবস শবে ক্বদর থেকে উত্তম, আরো বলেন শুক্রবার আদম (আ.) এর জন্ম দিবস হওয়ার কারণে যদি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন স্বীকৃত হয় তাহলে
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার জন্ম দিবসের পবিত্র ক্ষণ ও মুহূর্ত তোমার ধারণা মতে কেমন হওয়া উচিত। তাঁর সমুন্নত মর্যাদার যথার্থ বর্ণনা আদৌ কি সম্ভব। (জুরকানী শরহে মাওয়াহিব পৃঃ ১৩২-১৩৫ মাদারেজুন্নবুয়ত ২য় খন্ড ১৩ পৃষ্ঠা)
ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে কবিতা
যখন এলেন নূর নবী _মোঃ আবু তাহের চৌধুরী
আমার প্রিয় নবী _কাজী এম হাসান আলী
প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সাঃ)_সাগর মোস্তাক আহমেদ
এতিম নবীর বানী”_কে, এম, ফারুক”
বীর মুসলিম _নাঈম ইসলাম বাঙালি
নবীর আশিকি_পারভেজ হাসান
নবীর শানে_এইচ এম সুজন সিকদার
যখন এলেন নূর নবী
মোঃ আবু তাহের চৌধুরী
মহা নবী ——বিশ্ব নবী
এলেন যখন ধরায়,
নূরের রশ্মি ভুবন মাঝে
প্রাণে প্রাণে ছড়ায়।
আকাশ দিলে মেঘের ছায়া
বাতাস দিলে শীতল,
মরা গাছে ফুল ফুটিল
মক্কা হলো নির্মল।
ফুলে ছড়ায় রূপ ও সুভাস
মধুর সুরে পাখি,
ইয়া নবী—- নবী বলে
ওঠলে ভোরে ডাকি।
সাগর নদী দে-দোল দুলে
নাচে ঢেউয়ের ছন্দে,
পাহাড় মরু মোহিত হয়
স্বর্গের খোশবু গন্ধে।
সকল প্রাণী দুরুদ করে
সল্লাল্লাহু পড়ে,
দ্বীনের সূর্য উদয় যবে
মা আমেনার ঘরে।।
ঈদে মিলাদুন্নবীর স্লোগান
আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক অনেক মুসলমান আছে যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকে আবার অনেকে পালনা করে না।
যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকেন তারা ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে স্ট্যাটাস,উক্তি, কবিতা ভিবিন্ন সোসাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য খুজে থাকেন। তাই আজকে আমরা তোমাদের জন্য ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে স্ট্যাটাস,উক্তি - ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে কবিতা, ঈদে মিলাদুন্নবী ফেসবুক status 2022 শেয়ার করবো। আসা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
১২ই রবিউল আউয়াল!! আপনি জানেন কি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যুবার্ষিকী ১২ই রবিউল আউয়াল।। মুহাম্মদ (সঃ) এর মৃত্যু ১২ই রবিউল আউয়াল এটা নিশ্চিত কিন্তু জন্ম তারিখ নিয়ে মত বিরোধ রয়েছে,
আরো পড়ুন: ঈদ মোবারক ফেসবুক স্ট্যাটাস ২০২৪
অথচ আমরা অনিশ্চিত বিষয়টি ধরে আনন্দ র্যালি, আলহামদুলিল্লাহ নবী (সঃ) এর জন্মদিন এইরকম স্টাটাস দিচ্ছি !! আবার বলছি সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মিলাদুন্নবী, নবী (সঃ) এর মৃত্যুর দিন আমাদের কাছে সকল ঈদের থেকেও সেরা ঈদ!?
ইয়া নবী সালাম আলাইকা। ইয়া হাবিব সালাম আলাইকা। ঈদে মিলাদুন্নবী আজ। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবিব, রাসুলুল্লাহ মোহাম্মদ (সাঃ) এর শুভাগমন হয়েছিলো আজকের এই দিনে। আসুন রহমতের এই দিনে আমরা প্রার্থনা করি রাসুলের সত্যিকারের সুন্নাত আমরা পালন যেন করতে পারি।
রাসুলে পাকের সুন্নিয়তের আদর্শে কিন্তু জাহেলী-ওয়াহাবি-নজদী-মওদুদির হিংসা ফ্যেসাদের মতবাদের কোনো স্থান নেই। রাসুলে পাকের সুন্নত সার্বজনীন, সুন্দর, সহনশীল, অসাম্প্রদায়িক, এবং সাম্যের। দ্বীনের শান্তির বানীর প্রচারই সুন্নিয়ত, শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে হানাহানি যুদ্ধ বিগ্রহ নয়।
তিনি বিদায় হজ্জের ভাষনে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ধর্মে ধর্মে যেনো আর হানাহানি মারামারি না হয়, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যেন থাকে। নিজের মধ্যে দ্বীন ধারন করলে হিংসার স্থান থাকেনা৷ সেই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত করুন, সকলের মাঝে দ্বীনের মূল বানী, মানবিকতা জাগ্রত হোক! জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক শান্তির বানী, জয় হোক সুন্নীয়তের, জয় হোক দ্বীনের, জয় হোক মানবিকতার। আমীন। সাদাকাল্লাহুল আলিউল আজিম, ওয়াসাদাকা রাসুলুহুল নাবিউল কারীম।
ঈদে মিলাদুন্নবী বাণী
ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, এবং কবিতা। মিলাদ হচ্ছে শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব। মুসলিমদের মাঝে এ দিনটি বেশ উৎসবের সাথে পালন হতে দেখা যায়। হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর বারো তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মুসলমানরা এই দিনকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করেন।
আজ আমাদের এই পেজে ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন বানী নিম্নে দেওয়া হলো। আপনারা আমাদের এই পেজ থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে উক্তি আমাদের পেজে দেখতে থাকুন
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)এর শুভ জন্মদিন। সবাইকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী’র শুভেচ্ছা। সবাইকে ঈদে মিলাদ-উন-নবী মোবারক এর শুভেচ্ছা আপনাকে এবং আপনার পরিবারের।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষ্যে আমি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ্ ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। এই ঈদ আপনার জীবনে আরেকটি গৌরবময় বছর যোগ করার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমরা আপনাকে ঈদের মীলাদ-উন-নবীর শুভেচ্ছা জানাই।
ঈদে মিলাদুন্নবী শুভেচ্ছা
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ ও সালামে সরব ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দিনটি উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মহামানবের জীবনী চর্চায় মত্ত হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পাশাপাশি তারা পরস্পর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বিনিময় করেন। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নবীজীর পূর্ণ অনুসরণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় অগণিত পোস্ট থেকে।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মবার্ষিকী স্মরণে প্রতি বছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয় এবং রবি-উল-আউয়াল মাসে পালন করা হয়। ইসলামী চন্দ্র ক্যালেন্ডারের তৃতীয় এই মাসটি চাঁদ দেখার সাথে সাথে শুরু হয়। এ উপলক্ষে নবীজির মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করা হয়।
এ দিন এমন এক মহামানবের আবির্ভাবের দিন, যে কোনো বিচারেই যাঁর চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কারোর আবির্ভাব ঘটেনি এই পৃথিবীগ্রহে। যাঁর প্রভাব তাঁর কর্মকালে, জীবদ্দশায় যেমন তৎকালীন দুনিয়া অনুভব করেছে তেমনি ১৪শ’ বছর পরেও বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে। প্রলয়দিন পর্যন্ত সম গুরুত্বের সঙ্গে তা অনুভূত হতে থাকবে। তাইতো বিশ্ব মানবতার এই মুক্তির দূতের আদর্শ চর্চায় আজ সরব ছিল সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমগুলো।
ফেসবুকে ইয়াসিন মুন্সি লিখেছেন, ‘‘আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিনটি পালন করা হচ্ছে। এই আজকের পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে তা পরিপূর্ণতা হবে না। বরং তাঁর গুণাবলী অর্জন এবং তা সর্বক্ষেত্রে তার বহিঃপ্রকাশ করার মাঝেই তাঁকে প্রকৃত ভালোবাসা নিহিত।
নবীজিকে ভালোবাসা মানে তাঁর কোনো উম্মতকে কষ্ট, ক্ষতি, অকল্যাণ তথা হক্ নষ্ট না করা। তাঁর প্রকৃত উম্মত হতে হলে, তাঁকে খুশি করতে হলে তাঁরই মতো কর্ম ও আচরণ করা উচিত। সকলের মঙ্গল কামনায়। সৃষ্টিকর্তা সকলের প্রতি সহাই হোক।’’
ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানিয়ে লােইলি খান লিখেছেন, ‘‘সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর আন্তরিক শুভেচ্ছা। শুকরীয়া আল্লাহ পাক এর মহান দরবারে যে তিনি আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত করেছেন। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তাঁর খাস বান্দা এবং নবীজির খাস উম্মত হওয়ার তৌফিক দান করুন, আমিন।’’
হাবিবুর রহমান হাবিব লিখেছেন, ‘‘আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)। মানবতার মুক্তিদূত বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। সাড়ে ১৪০০ বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মলাভ করেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ এ রাসূল সা:।
ইসলামের সুমহান দ্বীন ও জীবনবিধান প্রচার শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির এ দিনে ইন্তেকাল করেন তিনি। এ জন্য দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এ মহামানবের জন্ম ও মৃত্যু একই দিনে হলেও মুসলিমরা দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: বা জন্ম-উৎসবের দিন হিসেবে পালন করে থাকে।’’
প্রায় সাড়ে ১৪শ’ বছর আগে এই দিনে আরবের পবিত্র মক্কার মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনে তিনি মহান আল্লাহ তা‘আলার ডাকে সাড়া দিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। তার সার্বজনীন শান্তির বার্তা দুনিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তাঁর আদর্শের কোনো বিকল্প নেই।