ব্রণের স্থায়ী সমাধান চান তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন?
থুতনিতে ব্রণ হওয়ার কারণ আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কিশোর-কিশোরীদের ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। ব্রণ মূলত বয়ঃসন্ধিকালীন একটি সমস্যা। তবে বিভিন্ন বয়সে নারী ও পুরুষদের ব্রণের সমস্যা দেখা যেতে পারে। ব্রণের সমস্যায় চিন্তিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। তবে বেশি হয়ে গেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
হ্যাঁ, ব্রণের স্থায়ী সমাধান চাই। ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অনেকের জন্য মানসিকভাবে বিব্রতকর হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ এবং ত্বক পরিচর্যা পণ্য পাওয়া যায়, তবে এগুলো সবসময় স্থায়ী সমাধান দেয় না। ব্রণের স্থায়ী সমাধান পেতে হলে এর কারণগুলি নির্ণয় করে তার কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
বেনজয়েল পারঅক্সাইড: বেনজয়েল পারঅক্সাইড একটি অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষও দূর করতে সাহায্য করে। রেটিনল: রেটিনল একটি ভিটামিন এ জাতীয় উপাদান যা ত্বকের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ এবং তৈলাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
জারণবিরোধী উপাদান: জারণবিরোধী উপাদান, যেমন ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই, ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রণের জন্য কিছু ত্বক পরিচর্যা পণ্য যা এই উপাদানগুলোর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়:
ফেসওয়াশ: ব্রণ দূর করতে ত্বক পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ এবং তৈলাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য হবে। টোনার: টোনার ত্বককে জীবাণুমুক্ত করতে এবং ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। তবে তেলযুক্ত ত্বকের জন্য তেলবিহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। সানস্ক্রিন: সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ব্রণের জন্য ব্রণরোধী সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
পণ্যটি ব্যবহারের আগে প্যাকেজিংয়ের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।
পণ্যটি ব্যবহারের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
পণ্যটি ব্যবহারের পর ত্বকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে এবং একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
ব্রণে হাত লাগাবেন না।
মুখে অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করবেন না।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অনেকের জন্য মানসিকভাবে বিব্রতকর হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য ত্বক পরিচর্যা পণ্য এবং সাধারণ নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্রণের সমস্যা তীব্র হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
ভালো পরিষ্কারণ: প্রতিদিন চেহারার ভালো পরিষ্কারণ করুন। নিয়মিতভাবে ভালো সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ত্বকদের পরিস্কার: অতিরিক্ত ত্বকদের পরিস্কার করতে একটি গুড়িয়ে ব্রাশ বা ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
খাবারের যত্ন: পোষণশীল খাদ্য খান, অনেক পর্যাপ্ত পানি পান, শাঁকসবজি এবং ফল যোগান। এটি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুণকারী হতে সাহায্য করতে পারে।
সূর্যের অনুক্রমণ: সূর্যের অনুক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করুন। সূর্যের কাছে থাকার সময়ে উপযুক্ত সূর্য স্ক্রিন বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন যত্ন নেওয়া সহ পর্যাপ্ত ঘুম পান। ঘুমের মাধ্যমে ত্বকের পুনরুত্থান হয় এবং ব্রণের মাধ্যমে নিজেকে নিজে ঠিক করতে সাহায্য হয়।
এগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, তবে মনে রাখতে হবে যে ব্রণ সাধারিত সময়ে ঠিক হয় না এবং এটি প্রচুর সময় নিয়ে নেয়। যদি আপনি বৃদ্ধি বা আরও গম্ভীর ত্বক সমস্যা সহ কোনও সমস্যায় পড়ছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভিক্ষা করুন।
অন্য কিছু ওষুধ। কিছু ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড, অ্যান্টিকনভালসেন্ট, এবং অ্যান্টিবায়োটিক, ব্রণর কারণ হতে পারে। থুতনিতে ব্রণ কমাতে বা প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন দুবার মুখ পরিষ্কার করুন, সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। যদি আপনার ব্রণ গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনাকে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারে।
ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা ব্রণর সৃষ্টি করতে পারে। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট: অস্বাস্থ্যকর ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে চিনি, দুগ্ধজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুড থাকে। এই খাবারগুলি ব্রণর ঝুঁকি বাড়ায়।
ত্বকের যত্নের অভাব: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ত্বকের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি পায়, যা ব্রণর সৃষ্টি করতে পারে। কপালে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করা থেকে বিরত থাকুন। ত্বককে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। পর্যাপ্ত ঘুম নিন। মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন। কপালে ব্রণর সমস্যা যদি তীব্র হয় তবে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার অন্যান্য কারণগুলি হল: তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ত্বক পরিষ্কার না করা: ত্বক পরিষ্কার না করলে ধুলোবালি, তেল এবং ময়লা জমে ব্রণ হতে পারে। ত্বকে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার: ত্বকে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং ব্রণ হতে পারে।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের তেলগ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ব্রণ হতে পারে। কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণ হতে পারে। যেমন: কর্টিকোস্টেরয়েড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, লিথিনাম ইত্যাদি। ছেলেদের মুখে ব্রণ হলে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চললে ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে:
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা: দিনে দুইবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বকে তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা: ত্বকের ধরন অনুযায়ী নন-কমেডোজেনিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা: ত্বকে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা শান্তির অনুশীলন করুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণের সমস্যা কমে। ব্রণ খুব বেশি হলে এবং ত্বকে দাগ হয়ে গেলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা: দিনে দুইবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। ফেসওয়াশ ব্রণর কারণ হতে পারে এমন তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা শান্তির অনুশীলন করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণের সমস্যা কমে।
মধু: মধু ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। মধু ব্রণের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ খুব বেশি হলে এবং ত্বকে দাগ হয়ে গেলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ত্বক বিশেষজ্ঞ ব্রণের কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।
ব্রণ দূর করার জন্য কিছু টিপস: ব্রণতে হাত দেবেন না। ব্রণতে হাত দিলে ব্রণের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং ব্রণের দাগ হতে পারে। ব্রণের উপর তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্রণের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়। ব্রণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সাধারণ সানস্ক্রিন ব্রণের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে।
ব্রণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করুন। সাধারণ প্রসাধনী ব্রণের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। নিয়মিত ব্রণ পরিষ্কার করুন। ব্রণ পরিষ্কার না করলে ব্রণের দাগ হতে পারে। ব্রণ দূর করতে ধৈর্য ধরা জরুরি। ব্রণ দূর হতে কিছু সময় লাগে।
ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এছাড়াও, ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিন: প্রোটিন ত্বকের কোষের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, এবং বাদাম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
টক ফল: টক ফল যেমন লেবু, কমলা, এবং আনারস ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দই: দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এবং খনিজ থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
গরুর দুধ: কিছু লোকের ক্ষেত্রে গরুর দুধ ব্রণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, এবং অতিরিক্ত তেল অপসারণ করা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণের কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে প্রধান হলো হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি।
ব্রণের স্থায়ী সমাধান চান তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন?
ব্রণের সাধারণ কারণগুলি হল:
হরমোনল পরিবর্তন: বয়ঃসন্ধিকালে, গর্ভধারণের সময় এবং ঋতুস্রাবের সময় হরমোনাল পরিবর্তন ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।ত্বকের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি: ত্বকের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি হলে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে।ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণও ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।ত্বকের মৃত কোষের জমে থাকা: ত্বকের মৃত কোষের জমে থাকাও ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।ব্রণের স্থায়ী সমাধান পেতে হলে এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ব্রণের কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণের স্থায়ী সমাধানের জন্য কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি হল:
ওষুধপত্র: ব্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র পাওয়া যায়। এই ওষুধগুলো ব্রণের কারণ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।ত্বক পরিচর্যা পণ্য: ব্রণ দূর করতে কিছু ত্বক পরিচর্যা পণ্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই পণ্যগুলো ব্যবহার করার আগে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিতআরো পড়ুন: চুলকানি ও ব্রণ কমাতে কী করবেন
চিকিৎসা প্রযুক্তি: ব্রণের জন্য কিছু চিকিৎসা প্রযুক্তিও পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তিগুলো ব্রণের কারণ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।ব্রণের স্থায়ী সমাধান পেতে হলে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। চিকিৎসা শুরু করার কিছুদিন পর ব্রণ কমে যেতে পারে, তবে স্থায়ী সমাধান পেতে হলে কিছুদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
মুখে ব্রণ হলে যা মাখা উচিত তা নির্ভর করে ব্রণের ধরন এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, ব্রণ দূর করতে বা কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু উপাদান হল: স্যালিসাইলিক অ্যাসিড: স্যালিসাইলিক অ্যাসিড একটি ত্বক পরিষ্কারক উপাদান যা ত্বকের মৃত কোষ এবং তৈলাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও প্রতিরোধ করতে পারে।বেনজয়েল পারঅক্সাইড: বেনজয়েল পারঅক্সাইড একটি অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের মৃত কোষও দূর করতে সাহায্য করে। রেটিনল: রেটিনল একটি ভিটামিন এ জাতীয় উপাদান যা ত্বকের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এটি ত্বকের মৃত কোষ এবং তৈলাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
জারণবিরোধী উপাদান: জারণবিরোধী উপাদান, যেমন ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই, ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও প্রতিরোধ করতে পারে। ব্রণের জন্য কিছু ত্বক পরিচর্যা পণ্য যা এই উপাদানগুলোর সমন্বয়ে তৈরি করা হয়:
ফেসওয়াশ: ব্রণ দূর করতে ত্বক পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষ এবং তৈলাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য হবে। টোনার: টোনার ত্বককে জীবাণুমুক্ত করতে এবং ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। তবে তেলযুক্ত ত্বকের জন্য তেলবিহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। সানস্ক্রিন: সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ব্রণের জন্য ব্রণরোধী সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
ব্রণের জন্য ত্বক পরিচর্যা পণ্য ব্যবহার করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
ত্বকের ধরন অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করা উচিত।পণ্যটি ব্যবহারের আগে প্যাকেজিংয়ের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।
পণ্যটি ব্যবহারের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
পণ্যটি ব্যবহারের পর ত্বকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে এবং একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
ব্রণের জন্য ত্বক পরিচর্যা পণ্য ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করতে পারে:
দিনে দুবার মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।ব্রণে হাত লাগাবেন না।
মুখে অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করবেন না।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি অনেকের জন্য মানসিকভাবে বিব্রতকর হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য ত্বক পরিচর্যা পণ্য এবং সাধারণ নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্রণের সমস্যা তীব্র হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণ দূর করতে বা তা কমাতে কিছু উপায় আছে, তবে মনে রাখতে হবে যে ব্রণ সাধারিত সময়ে ঠিক হয় না এবং এটি প্রচুর সময় নিয়ে নেয়। তবে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া আপনার চেহারা স্বাস্থ্য করতে সাহায্য করতে পারে:ভালো পরিষ্কারণ: প্রতিদিন চেহারার ভালো পরিষ্কারণ করুন। নিয়মিতভাবে ভালো সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত ত্বকদের পরিস্কার: অতিরিক্ত ত্বকদের পরিস্কার করতে একটি গুড়িয়ে ব্রাশ বা ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন: ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তির উপায়
ত্বকের যত্ন: আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযোগী মোয়িস্টারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন।খাবারের যত্ন: পোষণশীল খাদ্য খান, অনেক পর্যাপ্ত পানি পান, শাঁকসবজি এবং ফল যোগান। এটি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুণকারী হতে সাহায্য করতে পারে।
সূর্যের অনুক্রমণ: সূর্যের অনুক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করুন। সূর্যের কাছে থাকার সময়ে উপযুক্ত সূর্য স্ক্রিন বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন যত্ন নেওয়া সহ পর্যাপ্ত ঘুম পান। ঘুমের মাধ্যমে ত্বকের পুনরুত্থান হয় এবং ব্রণের মাধ্যমে নিজেকে নিজে ঠিক করতে সাহায্য হয়।
ব্রণ নির্মাণ হতে সাহায্য করতে ক্রিয়াশীল পদক্ষেপ:
ব্রণ নির্মাণ হতে সাহায্য করতে সমৃদ্ধি এবং প্রোটিনের ধারাবাহিক সোর্স যোগান, এমনকি হাঁড়ি কুলি বা টুনা।এগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, তবে মনে রাখতে হবে যে ব্রণ সাধারিত সময়ে ঠিক হয় না এবং এটি প্রচুর সময় নিয়ে নেয়। যদি আপনি বৃদ্ধি বা আরও গম্ভীর ত্বক সমস্যা সহ কোনও সমস্যায় পড়ছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভিক্ষা করুন।
থুতনিতে ব্রণ হওয়ার কারণ
থুতনিতে ব্রণ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল হরমোনাল পরিবর্তন। বয়ঃসন্ধিকালে, মেয়েদের শরীরে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ত্বকে তেল উৎপাদন বাড়ায়। এতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রণ হয়। বয়ঃসন্ধিকালের পরেও, গর্ভধারণ, মাসিক চক্র, এবং ওষুধের কারণে হরমোনের মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে, যা থুতনিতে ব্রণ হওয়ার কারণ হতে পারে।অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
ত্বকের যত্নের অভাব। নিয়মিত মুখ পরিষ্কার না করলে ত্বকের তেল এবং ময়লা রোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্রণর দিকে পরিচালিত করতে পারে। অতিরিক্ত চাপ। মানসিক চাপ ত্বকের হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে, যা ব্রণর কারণ হতে পারে।অন্য কিছু ওষুধ। কিছু ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড, অ্যান্টিকনভালসেন্ট, এবং অ্যান্টিবায়োটিক, ব্রণর কারণ হতে পারে। থুতনিতে ব্রণ কমাতে বা প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন দুবার মুখ পরিষ্কার করুন, সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
আরো পড়ুন: মুখে কালো দাগের জন্য সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এড়িয়ে চলুন। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিন। প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুম নিন। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা অন্যান্য চাপ-মুক্তকরণ কৌশল চেষ্টা করুন।আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। যদি আপনার ব্রণ গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তারা আপনাকে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারে।
কপালে ব্রণ হওয়ার কারণ
কপালে ব্রণ হওয়ার প্রধান কারণ হল তৈলাক্ত ত্বক। কপাল, নাক এবং চিবুকের অংশকে টি-জোন বলা হয়। এই অংশে ত্বক স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তৈলাক্ত হয়। তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপগুলি সহজেই বন্ধ হয়ে যায়, যা ব্রণর সৃষ্টি করে।কপালে ব্রণ হওয়ার অন্যান্য কারণগুলি হল:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের মাত্রা পরিবর্তনের ফলে ব্রণ হতে পারে। এছাড়াও, গর্ভবতী মহিলাদের এবং যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করেন তাদেরও ব্রণ হতে পারে। মানসিক চাপ: মানসিক চাপের ফলে শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ব্রণর সৃষ্টি করতে পারে।ঘুমের অভাব: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা ব্রণর সৃষ্টি করতে পারে। অস্বাস্থ্যকর ডায়েট: অস্বাস্থ্যকর ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে চিনি, দুগ্ধজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুড থাকে। এই খাবারগুলি ব্রণর ঝুঁকি বাড়ায়।
ত্বকের যত্নের অভাব: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ত্বকের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি পায়, যা ব্রণর সৃষ্টি করতে পারে। কপালে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করা থেকে বিরত থাকুন। ত্বককে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। পর্যাপ্ত ঘুম নিন। মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন। কপালে ব্রণর সমস্যা যদি তীব্র হয় তবে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ
ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার প্রধান কারণ হল হরমোন পরিবর্তন। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের তেলগ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়ায়। তেলগ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসৃত হলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয় এবং ব্রণ হয়।ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার অন্যান্য কারণগুলি হল: তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ত্বক পরিষ্কার না করা: ত্বক পরিষ্কার না করলে ধুলোবালি, তেল এবং ময়লা জমে ব্রণ হতে পারে। ত্বকে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার: ত্বকে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং ব্রণ হতে পারে।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের তেলগ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ব্রণ হতে পারে। কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণ হতে পারে। যেমন: কর্টিকোস্টেরয়েড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, লিথিনাম ইত্যাদি। ছেলেদের মুখে ব্রণ হলে নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চললে ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে:
নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা: দিনে দুইবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বকে তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা: ত্বকের ধরন অনুযায়ী নন-কমেডোজেনিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা: ত্বকে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা শান্তির অনুশীলন করুন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণের সমস্যা কমে। ব্রণ খুব বেশি হলে এবং ত্বকে দাগ হয়ে গেলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা। এটি তৈলাক্ত ত্বকে বেশি দেখা যায়। ব্রণর প্রধান কারণ হল ত্বকের তেলগ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ এবং লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া। লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয় এবং ব্রণ হয়।ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা: দিনে দুইবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। ফেসওয়াশ ব্রণর কারণ হতে পারে এমন তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: ৬ ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করুন
ত্বকে তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা: ত্বকের ধরন অনুযায়ী নন-কমেডোজেনিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন। নন-কমেডোজেনিক প্রসাধনী ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় না। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করা: অতিরিক্ত প্রসাধনী ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা শান্তির অনুশীলন করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণের সমস্যা কমে।
ব্রণ দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। যেমন: লেবু: লেবুর মধ্যে প্রাকৃতিক অ্যাসিড থাকে যা ব্রণের কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। লেবুর রস ব্রণের উপর লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ বাটা ব্রণের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
মধু: মধু ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। মধু ব্রণের উপর লাগান এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ খুব বেশি হলে এবং ত্বকে দাগ হয়ে গেলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ত্বক বিশেষজ্ঞ ব্রণের কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।
ব্রণ দূর করার জন্য কিছু টিপস: ব্রণতে হাত দেবেন না। ব্রণতে হাত দিলে ব্রণের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং ব্রণের দাগ হতে পারে। ব্রণের উপর তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্রণের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়। ব্রণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সাধারণ সানস্ক্রিন ব্রণের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে।
ব্রণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করুন। সাধারণ প্রসাধনী ব্রণের ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। নিয়মিত ব্রণ পরিষ্কার করুন। ব্রণ পরিষ্কার না করলে ব্রণের দাগ হতে পারে। ব্রণ দূর করতে ধৈর্য ধরা জরুরি। ব্রণ দূর হতে কিছু সময় লাগে।
কি খেলে ব্রণ দূর হয়
ব্রণ দূর করার জন্য খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিছু খাবার ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, আবার কিছু খাবার ব্রণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলো হল: পানি: পানি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এছাড়াও, ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিন: প্রোটিন ত্বকের কোষের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, এবং বাদাম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
টক ফল: টক ফল যেমন লেবু, কমলা, এবং আনারস ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দই: দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এবং খনিজ থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আরো পড়ুন: মেয়েরা ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে
ব্রণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে এমন খাবারগুলো হল: চিনি: চিনি ত্বকের তেল উৎপাদন বাড়াতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রায়ই অতিরিক্ত চিনি, লবণ, এবং কৃত্রিম উপাদান থাকে যা ব্রণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। খাদ্যতালিকাগত ফ্যাট: অতিরিক্ত খাদ্যতালিকাগত ফ্যাট ত্বকের তেল উৎপাদন বাড়াতে পারে।গরুর দুধ: কিছু লোকের ক্ষেত্রে গরুর দুধ ব্রণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, এবং অতিরিক্ত তেল অপসারণ করা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, এবং মানসিক চাপ কমানো ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।