দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধের দুর্দান্ত উপায়
দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধবয়স বাড়লে দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করে। এটি সাধারণ বিষয়। তবে অনিয়মিত জীবনযাপন, দাঁতের বিভিন্ন রোগ, জিহ্বার অযত্ন এসব কারণে বয়স বাড়ার আগেই দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করে। শুধু বড়দেরই নয় শিশুদেরও দাঁত ক্ষয় হয় কিংবা দাঁতে ছিদ্র দেখা দেয়।
যদি খুব দ্রুত দাঁত ক্ষয় হতে শুরু করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
পাশাপাশি এ সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে ঘরোয়া কয়েকটি উপায় অনুসরণ করতে পারেন।
দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধের দুর্দান্ত উপায়
দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধের জন্য নিচের উপায়গুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করা: দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করা দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দুই বার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করুন। দাঁত ব্রাশ করার সময় নরম-ব্রিস্টলযুক্ত টুথব্রাশ এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশ করার পর ফ্লস করুন। ফ্লস করার ফলে দাঁতের ফাঁকে থাকা খাবার এবং প্লাক দূর হবে।
- চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সীমিত করা: চিনি দাঁতের মাড়ির ক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সীমিত করুন। বিশেষ করে মিষ্টি, চকলেট, ক্যান্ডি, সফট ড্রিংকস, ফলের জুস ইত্যাদি খাবার এবং পানীয় যতটা সম্ভব কম খান।
আরো পড়ুন: দাঁত ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া: নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ডাক্তার আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা দেবেন।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান দাঁতের মাড়ির ক্ষয়ের একটি অন্যতম কারণ। তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।
এছাড়াও,নিচের উপায়গুলিও দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধে সহায়ক হতে পারে:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানি পান করার ফলে মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়। তাই প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: ব্যায়াম করার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস দাঁতের মাড়ির ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ইত্যাদি করুন।
- দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধে উপরোক্ত উপায়গুলি অনুসরণ করলে দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ থাকবে।
দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধ
দাঁতের ক্ষয় রোধের জন্য কোনো ঔষধ নেই। তবে, দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করার জন্য কিছু ওষুধ রয়েছে। এই ওষুধগুলি হল:
- ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট: ফ্লোরাইড হল একটি খনিজ পদার্থ যা দাঁতকে শক্তিশালী করে। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে যায়।
- ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশ: ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে যায়।
- রিমিনাল ক্যালসিয়াম: রিমিনাল ক্যালসিয়াম হল একটি ওষুধ যা দাঁতের ক্ষয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতকে মেরামত করতে সাহায্য করে।
- রেজিন-সিমেন্ট: রেজিন-সিমেন্ট হল একটি ওষুধ যা দাঁতের ক্ষয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতকে ঢেকে দেয়।
এই ওষুধগুলি শুধুমাত্র দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়ে গেলে এই ওষুধগুলি কার্যকর হয় না। দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়ে গেলে দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত। দাঁতের ক্ষয় রোধের জন্য নিচের উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
আরো পড়ুন: হাঁটুর সমস্যা হলে যে ৫টি ব্যায়াম আপনার জন্য নয়
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করা: দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করা দাঁতের ক্ষয় রোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দুই বার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করুন। দাঁত ব্রাশ করার সময় নরম-ব্রিস্টলযুক্ত টুথব্রাশ এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। দাঁত ব্রাশ করার পর ফ্লস করুন। ফ্লস করার ফলে দাঁতের ফাঁকে থাকা খাবার এবং প্লাক দূর হবে।
- চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সীমিত করা: চিনি দাঁতের ক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সীমিত করুন। বিশেষ করে মিষ্টি, চকলেট, ক্যান্ডি, সফট ড্রিংকস, ফলের জুস ইত্যাদি খাবার এবং পানীয় যতটা সম্ভব কম খান।
- নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া: নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ডাক্তার আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা দেবেন।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান দাঁতের ক্ষয়ের একটি অন্যতম কারণ। তাই ধূমপান ত্যাগ করুন।
দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধ নাম
দাঁতের ক্ষয় রোধের জন্য কোনো ঔষধ নেই। তবে, দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করার জন্য কিছু ওষুধ রয়েছে। এই ওষুধগুলি হল:
- ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট: ফ্লোরাইড হল একটি খনিজ পদার্থ যা দাঁতকে শক্তিশালী করে। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে যায়।
- ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশ: ফ্লোরাইডযুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে যায়।
আরো পড়ুন: হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি
- রিমিনাল ক্যালসিয়াম: রিমিনাল ক্যালসিয়াম হল একটি ওষুধ যা দাঁতের ক্ষয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতকে মেরামত করতে সাহায্য করে।
- রেজিন-সিমেন্ট: রেজিন-সিমেন্ট হল একটি ওষুধ যা দাঁতের ক্ষয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতকে ঢেকে দেয়।
- এই ওষুধগুলি শুধুমাত্র দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়ে গেলে এই ওষুধগুলি কার্যকর হয় না। দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়ে গেলে দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন
দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের প্রধান কারণ হলো দাঁতের চারপাশে খাবার এবং ব্যাকটেরিয়ার জমাট বাঁধা, যাকে ডেন্টাল প্লাক বলা হয়। ডেন্টাল প্লাক দাঁতের মাড়ি থেকে দাঁতকে আলগা করে দেয়। এর ফলে মাড়ি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং রক্তপাত হতে পারে।
আরো পড়ুন: ক্যান্সার এর ধরণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয়
এই অবস্থাকে জিনজিভাইটিস বলা হয় জিনজিভাইটিস দীর্ঘস্থায়ী হলে দাঁতের মাড়ি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দাঁতকে সমর্থনকারী হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। এই অবস্থাকে পেরিওডনটাইটিস বলা হয়। পেরিওডনটাইটিস হলে দাঁত আলগা হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত পড়ে যেতে পারে।
দাঁতের ক্ষয় রোধের উপায়
দাঁতের ক্ষয় হলো দাঁতের এনামেল এবং ডেন্টিন স্তরগুলির ক্ষয়। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপন্ন অ্যাসিডের কারণে ঘটে। দাঁতের ক্ষয়ের ফলে দাঁতে গর্ত তৈরি হয়, যা দাঁতকে দুর্বল করে তোলে। দীর্ঘস্থায়ী দাঁতের ক্ষয়ের ফলে দাঁত পড়ে যেতে পারে। দাঁতের ক্ষয় রোধের জন্য নিচের উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা: দাঁতের ক্ষয় রোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দুই বার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করুন। দাঁত ব্রাশ করার সময় নরম-ব্রিস্টলযুক্ত টুথব্রাশ এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন: কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সীমিত করা: চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সীমিত করুন। বিশেষ করে মিষ্টি, চকলেট, ক্যান্ডি, সফট ড্রিংকস, ফলের জুস ইত্যাদি খাবার এবং পানীয় যতটা সম্ভব কম খান।নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া: নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের ডাক্তার আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা দেবেন।
দাঁতের ক্ষয় পূরণ
দাঁতের ক্ষয় পূরণের অর্থ হল দাঁতের ক্ষয়ের কারণে সৃষ্ট গর্ত বা ফাঁকা অংশটি পূরণ করা। দাঁতের ক্ষয় হল একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায়শই মিষ্টি এবং চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে ঘটে। দাঁতের ক্ষয় হলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হতে থাকে এবং গর্ত বা ফাঁকা অংশ তৈরি হতে থাকে।
এই গর্ত বা ফাঁকা অংশে খাদ্য কণা এবং ব্যাকটেরিয়া জমে ফলে সংক্রমণ হতে পারে এবং দাঁতের ব্যথা, সংক্রমণ এবং এমনকি দাঁত হারানোর মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে। দাঁতের ক্ষয় পূরণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ক্ষয়ের পরিমাণ এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়।
ফিলিং: ফিলিং হল দাঁতের ক্ষয় পূরণের সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ক্ষয়ের অংশটি দূর করা হয় এবং তারপর সেই স্থানে একটি কৃত্রিম উপাদান দিয়ে পূরণ করা হয়। ফিলিং উপাদান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়, যেমন অ্যামালগাম, কমপোজিট, সিরামিক, গোল্ড, ইত্যাদি।
রুট ক্যানেল: দাঁতের ক্ষয় যদি গভীর হয় এবং পাল্প চেম্বার পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে রুট ক্যানেল চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই চিকিৎসায় দাঁতের ভেতরের নরম টিস্যু (পাল্প) অপসারণ করা হয় এবং তারপর সেই স্থানটি পুনরায় পূরণ করা হয়।
ক্রাউন: দাঁতের ক্ষয় যদি খুব বেশি হয়, তাহলে ক্রাউন বা মুকুট বসানোর প্রয়োজন হয়। এই পদ্ধতিতে দাঁতের বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলা হয় এবং তারপর একটি কৃত্রিম মুকুট বসানো হয়।
দাঁতের ক্ষয় পূরণের জন্য একজন দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দন্তচিকিৎসক দাঁতের ক্ষয়ের পরিমাণ এবং অবস্থান পরীক্ষা করে সঠিক পদ্ধতি নির্বাচন করবেন। পূরণের পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয় রোধের জন্যও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন:
- নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করা।
- মিষ্টি এবং চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া এড়ানো।
- ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করা।
- নিয়মিত দন্ত পরিদর্শন এবং পরিষ্কার করা।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের ক্ষয় হল একটি সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। দাঁতের ক্ষয়ের ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দাঁত ভেঙে যেতে পারে। দাঁতের ক্ষয় রোধে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন।
দাঁত ব্রাশ করা,ফ্লসিং,মিষ্টি খাবারের পরিমাণ সীমিত করুন,পর্যাপ্ত ফ্লোরাইড গ্রহণ করুন,নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখান । দাঁত ব্রাশ করা হল দাঁতের ক্ষয় রোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রতিদিন দুইবার, সকালে এবং রাতে, অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করুন। নরম-ব্রিস টুথব্রাশ ব্যবহার করুন এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
ফ্লসিং হল দাঁতের ফাঁকের মধ্যে জমে থাকা খাবার এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করার একটি কার্যকর উপায়। প্রতিদিন একবার, রাতে ঘুমানোর আগে, ফ্লসিং করুন। মিষ্টি খাবার এবং পানীয় দাঁতের ক্ষয়ের প্রধান কারণ।
মিষ্টি খাবার এবং পানীয় খাওয়ার পরে, আপনার মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া এগুলোকে চিনির মধ্যে রূপান্তর করে। এই চিনি অ্যাসিড তৈরি করে যা দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত করে। মিষ্টি খাবারের পরিমাণ সীমিত করার চেষ্টা করুন এবং মিষ্টি খাবার এবং পানীয় খাওয়ার পর আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
ফ্লোরাইড হল একটি খনিজ যা দাঁতের এনামেল শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করার পাশাপাশি, ফ্লোরাইডযুক্ত জল পান করুন বা ফ্লোরাইড টপিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন পান করুন। নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখানো দাঁতের ক্ষয় রোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার দাঁতের ডাক্তার আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং দাঁতের ক্ষয়ের লক্ষণগুলির জন্য নজর রাখবেন।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হলে করণীয়
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হলে প্রথমেই একজন দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, মাড়ি ক্ষয়ের কারণ ও মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসার ধরন নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত মাড়ি ক্ষয়ের প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ি ফুলে যাওয়া, রক্তপাত হওয়া, দাঁত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত দন্তচিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের চিকিৎসায় নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে: দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ করা: দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ করলে মাড়িতে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এতে মাড়ি স্বাস্থ্যকর থাকে। ফ্লসিং করা: ফ্লসিং করলে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। দাঁতের ক্যাপ বা ব্রিজ লাগানো: মাড়ি ক্ষয়ের ফলে দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেলে দাঁতের ক্যাপ বা ব্রিজ লাগানো যেতে পারে। অপারেশন: মাড়ি ক্ষয়ের মাত্রা বেশি হলে অপারেশনের মাধ্যমে মাড়ি সংস্কার করা যেতে পারে।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় প্রতিরোধে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা: দিনে দুবার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। ফ্লসিং করা: প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্লসিং করা উচিত। নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করা: বছরে অন্তত দুইবার ডেন্টাল চেকআপ করা উচিত।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় কম খাওয়া: চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় মাড়ির সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানি পান করলে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় একটি গুরুতর সমস্যা। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়
দাঁতের মাড়ি শক্ত করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লসিং করা: দিনে দুবার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করা এবং প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্লসিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া দূর হয়, যা মাড়ির প্রদাহের কারণ হতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানি পান করলে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় কম খাওয়া: চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় মাড়ির প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো কম খাওয়া উচিত।
নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করা: বছরে অন্তত দুইবার ডেন্টাল চেকআপ করা উচিত। এতে মাড়ির কোনো সমস্যা থাকলে তা প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ে এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করা যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো এবং ব্যায়াম করা উচিত।
এছাড়াও, কিছু ঘরোয়া প্রতিকার মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন: লবণ জল: লবণ জল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে মুখ কুলি করুন।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেলতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার দাঁত এবং মাড়িতে অ্যালোভেরা জেল লাগান।
নারকেল তেল: নারকেল তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার মুখে নারকেল তেল দিন এবং 20 মিনিট ধরে রাখুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
তবে, এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলিকে দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।